তোমাকে চাই পর্ব-১০

0
88

#তোমাকে_চাই ।১০।
#সাইরা_শেখ

কয়েকটা পার্ফমেন্সের পর সিয়াম ও তুহিন মাইক্রোফোন নিয়ে ছুটে এসে বসল প্রিয়তার সামনে। সিয়াম মাইকটা প্রিয়তার মুখের কাছে ধরে বলল,
– ভাবি একটা গান,না বলতে পারবেন না আমরা জানি আপনার গানের গলা মা’রাত্মক। একটা গান ভাবি প্লিজ..
– সরি ভাইয়া, আজ হবে না।
– তাহলে ভাইকে বলুন। দুজনের একজনকে তো গান গাইতেই হবে।
– উনি গান জানেন?
– আমরা কখনও নিজের কানে শুনিনি। চাচিজানের কাছে শুনেছি ভাই ছোট থেকেই ভালো গান গায়।

প্রিয়তা সন্দিগ্ধ চোখে তাঁকাল নাওফিলের দিকে। তার চেহারা বিরক্তিতে কুঁচকে আছে। বিয়ে বাড়ি না হলে দুম দাম সিয়ামের পিঠে পড়তো নির্ঘাত। কিন্তু আজকের দিনটি সে নষ্ট করবে না। প্রিয়তাকে তাঁকাতে দেখে তার মুখভঙ্গি বদলালো। ভ্রুঁ নাচিয়ে প্রশ্ন করল,
– শুনতে চাও?
– কেন নয়? আমিও শুনতে চাই আমার বরের গলার সুর কেমন? তা শোনার উপযোগী কিনা।
– তুমি তোমার বরকে বড্ড হেলাফেলা করো প্রিয়। ইটস নট ফেয়ার। আমি কিন্তু তোমাকে এতটা হেলাফেলা করিনা। তোমার উচিত আমাকে আমার মত ট্রিট করা। প্রবলেম নেই, শিখিয়ে দিবো।
– দেখা যাবে।

সিয়াম গিটারের কড ঠিক করে নাওফিলের হাতে দিল। এরপর মাইক ধরে সেখানেই বসে রইল। নাওফিল ঘুরে প্রিয়তার দিকে তাঁকায়। গিটারের টিউন বাজতে আরম্ভ করে, সেই সঙ্গে তার দৃষ্টির প্রখরতাও বাড়ে। প্রিয়তার দিকে একধ্যানে চেয়ে থেকে নাওফিল সুর তুলল,
♪♪♪আমারো পরানো যাহা চায়,
তুমি তাই, তুমি তাই গো।
তোমা ছাড়া আর এ জগতে
মোর, কেহ নাই কিছু নাই গো।
তুমি সুখ যদি নাহি পাও,
যাও, সুখের সন্ধানে যাও,
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে,
আর কিছু নাহি চাই গো।
আমারো পরানো যাহা চায়..♪♪♪

করতালির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠল পরিবেশ। প্রিয়তা নিজের ভাব বজায় রেখে শক্ত চেহারায় বসে আছে। সবাই পুনরায় নিজেদের মত ব্যস্ত হয়ে পড়লে নাওফিল প্রশ্ন করে,
– কেমন লাগল?
– নট ব্যাড।
নাওফিল অবাক হয়।
– নট ব্যাড? যাস্ট নট ব্যাড?
– তো কি বলবো? গান শুনে প্রেমে পড়ে গেছি, আহা কি সুন্দর গলা। এসব বলবো?
– তুমি এত বদ কেন? মনে মনে ঠিকই এসব বলছ। মুখে বললে কি হয়?
– মনের কথা যখন বুঝতে পারছেন, মুখে বলার কি দরকার? ধরে নিন যা ভাবছেন তা শতভাগ সঠিক।
– রিয়েলি? আমি তো আগামীকাল রাতের কথা ভাবছি ধরে নেবো সবটা সঠিক? তুমি আসছো, ভালোবাসছো, কাছে টানছো। ইজ ইট ওকে উইদ ইউ?
– আপনার মত নির্লজ্জ মানুষ আমি আমার জীবনে দুটো দেখিনি।

রাগে তেতে উঠল প্রিয়তা। নাকমুখ ফুলিয়ে ফেলল। তা দেখে নাওফিল হেসে ফেলে। প্রিয়তা দ্বিতীয়বার এমন বেশরম মানুষের দিকে তাঁকাবে না ভেবেও চোখ ফেরাতে পারল না। ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইল। সেটা দেখে নাওফিল চোখ মা’রে, প্রিয়তা ফোস করে ওঠে। মনে মনে নিজেকে শাসায়, “ওর দিকে একদম তাঁকাবি না প্রিয়, একদম না।”
.
.
রাত জাগবে বললেও ২ টার পর কেউ জেগে থাকতে পারল না। যে যার মত শুয়ে পড়েছে। প্রিয়তাও চলে এসেছে নাওফিলের ঘরে। কিছুক্ষণ বাদে শাশুড়িমা এসে বসলেন প্রিয়তার পাশে। নিজহাতে প্রিয়তার গহনা খুলতে খুলতে বললেন,
– আমার ছেলেটা ভীষণ অগোছালো প্রিয়, তোমাকে প্রচুর বিরক্ত করবে। বেশি বিরক্ত করলে টাইট দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। যদি সেটাও না পারো আমাকে জানাবে। আমি ওকে শাস্তি দেব।
– জ্বি।
– আমি গিয়ে ওকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তখন সবাই মজা করে বলেছে আজ তোমাদের আলাদা থাকতে হবে।

প্রিয়তা লজ্জা পেল। ননদের মুখ থেকে এমন কথা শুনলে সেটা মানা যেত, শাশুড়ির থেকে শুনে বেশ লজ্জা লাগছে। বাড়িতে এই মানুষটিকে প্রিয়তা আলাদাভাবে জেনেছে। নাওফিল ঠিক ওর মায়ের মত হয়েছে। ভীষণ ভালো। প্রিয়তাকে চুপ থাকতে দেখে নাজনিন বেগম বললেন,
– কি ভাবছ? শাশুড়ি এসব বলছে কেন?
– না, না তেমন ভাবছি না।

– তোমার ননদরা তোমাকে ঠিক পছন্দ করেনা তোমার বংশপরিচয়ের জন্য। তালুকদার গোষ্ঠীর না হয়ে অন্য যেকোনো পরিবারে যদি জন্মাতে,দেখতে ওরা তোমাকে মাথায় তুলে রাখত। ওরা তোমাকে জ্বালাতন করছে, অপমান করছে, নাওফিল সন্ধ্যার ঘটনা বলল, তোমার হাত-পায়ের যে অবস্থা তাতে সবটা নিরব থেকে সহ্য করা যেকোনো মেয়ের পক্ষে অসম্ভব। তোমাকে আমার পছন্দ না, এমন নয়।তুমি বাড়ির অবস্থা বুঝতেই পারছ। আমি চাইলেও কিছু করতে পারবো না, কিন্তু যে পারবে সে তোমার পাশে থাকবে। আমার নাওফিল তোমাকে ভালোবাসে, এটা ও সরাসরি না বললেও আমি বুঝতে পারি।তোমাকে যদি অপছন্দই করত, তাহলে ও কোনো না কোনোভাবে বিয়েটা ঠিক ভাঙতো। তোমার পরীক্ষার দিন ওভাবে ছুটে যেত না। তোমার পরীক্ষা যতদিন চলেছে ও ততদিন সেখানেই ছিল। আমার ছেলে কারোর জন্য এতটা আগে করেনি। ওর ভাই-বোন ছাড়া কারোর কথা এতটা ভাবেনি। ওর চোখ দেখেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম ও তোমাকে কতটা চায়। তুমি ওকে ভুল বুঝে দূরে ঠেলে দিওনা। আমি লক্ষ করেছি তোমাদের মাঝে সেই সম্পর্ক নেই যেটা স্বাভাবিক স্বামী-স্ত্রীর মাঝে থাকা উচিত। মায়ের চোখ তো, ছেলের অস্থিরতা নজরে এসে যায়। এই যে দেখো, এখন বসার ঘরে বসে ছটফট করছে। শেষে স্থির থাকতে না পেরে আমাকে পাঠিয়ে দিল তোমার খোজ নিতে। তোমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা জেনে যেতে। ও তোমার জন্য এমন করছে, আর আমার জন্য এমন করত। ছেলে-মেয়েরা সবসময় মা-বাবার থাকে না।আমরা যতই বলিনা না কেন ছেলে আমার, আমি মা, ওর ওপর অধিকার আমার বেশি। এটা পূর্ণ সত্য নয়। মায়ের পরে স্ত্রীও একটি গভীর সম্পর্ক ও অনুভূতি নিয়ে আসে। নাওফিল একটু আগে কি বলেছে জানো?

প্রিয়তা মাথা নেড়ে ‘না’ বলে। নাজনিন প্রিয়তার চুলের ক্লিপ খুলতে খুলতে বললেন,
– আমি তোমার ছেলে। আমার মুখ থেকে আম্মু ডাক শুনতে তোমাকে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে,আর সে পরের বাড়ির মেয়ে, এসেই তোমাকে আম্মু ডাকছে। ওর ডাকটাকে অবহেলা করোনা। তাহলে বুঝতে পারছ.. ও তোমাকে নিয়ে কতটা চিন্তা করে?
– আম্মু, আমি জানি।
– কি জানো?
– ওই তো আপনি যা যা বললেন।
– আমি কি বললাম?
প্রিয়তা লজ্জায় মাথা নত করে রাখে। নাজনিন বেগম উচ্চস্বরে হেসে বললেন,
– আমি জানি, আমি একজন চমৎকার শাশুড়ি হব। সেটা তুমি যতই অস্বীকার করো না কেন। এবাড়িতে তুমি মায়ের অভাব কখনও অনুভব করবে না। এখন যাই, অনেক রাত হলো।

নাজনিন বেগম চলে যেতেই নাওফিল হাজির। দরজা বন্ধ করে সে সোজা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো। হাত থেকে বালা খুলে প্রিয়তা প্রশ্ন করল,
– ঘুমাচ্ছেন?
– না, চোখ বুজে শুয়ে আছি।
– আচ্ছা থাকুন। শুয়ে থাকার পাশাপাশি কিছু কথাও শুনুন।
– বলো।
– তাহের চাচা এবাড়িতে কেন এসেছে জানতে পারলেন? তাকে খুজতে গিয়েছিলেন না? পেয়েছেন?
– না।
– এখন আবার যান।সে বাড়িতেই আছে, পেয়ে যাবেন।
– বের করে দিতে চাচ্ছ, সরাসরি বললেই হয়। বাহানা করছ কেন?
– ওনাকে ধরা জরুরি, বিয়ে হয়েছে, এবার সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বে প্রমাণ লোপাট করতে। কারন বিয়েটা শান্তির রাস্তা তৈরি করেছে। এভাবে চলতে থাকলে দুই পরিবার আবার এক হয়ে যাবে। যেটা ওনারা চাচ্ছেন না। আপনি ওনাকে হাতে নাতে ধরুন। তারপর ফিরে আসুন। আমি ততক্ষণ অপেক্ষা করছি।
নাওফিল বিরক্তি নিয়ে বলল,
– করো অপেক্ষা, তাতে আমার কি?
– আম্মু বললেন তার ছেলে নাকি কাউকে ভালোবাসে। কাজ মিটলে, তার খোজ নিয়ে, তাকে আপনার করে দিতে পারবো। আমি ম্যাচমেকারের ডিউটি খুব ভালো জানি।

নাওফিল চট করে উঠে বসে বলল,
– কথা দিচ্ছ? পরে নাটক করবে না তো?
– যদি তাহের চাচাকে ধরতে পারেন তবে কথার খেলাপ করবো না। অন্যথায়, করতে পারি। আমার আবার মুড সুইং বেশি হয়।

নওফিল উঠে এসে প্রিয়তার পেছনে দাঁড়াল। দুজনকে একসাথে দেখিয়ে বলল,
– আমার পাশে তোমাকে ঠিক মানাচ্ছে না।
– এই খোচা মা’রা স্বভাব না গেলে এখন তো পাশে দেখা যাচ্ছে বেমানান বউকে, পরে দেখাও যাবে না।

নাওফিল প্রিয়তার কাঁধে হাত রাখে। প্রিয়তা আয়নায় দেখছে নাওফিলকে। অস্বস্তি লাগছে না। উপন্যাসের মত কাঁপাকাঁপি ভাবটাও আসছে না। বাস্তবে শিহরিত হওয়ার কোনো স্কোপ নেই নাকি? নাওফিল কাঁধের খয়েরী রঙের তিল ছুঁয়ে বলল,
– তিলটা একজাক্টলি অপোজিটে হলে এক্ট্রাক্টিভ লাগত। স্পটটাকে তুলে সামনে এনে দেই?

বেসামাল স্পর্শে প্রিয়তা এবার নড়ল। শুষ্ক ঠোঁটজোড়া জিভ দিয়ে ভিজিয়ে চটজলদি উঠে দাঁড়াল। নাওফিলের মাঝে পরিবর্তন আসেনি। সে আগের মতই প্রিয়তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে আছে। কিয়ৎক্ষণ বাদে চেহারায় রহস্যভাব এনে বলে,
– উফ! কথা দিয়েছ, তোমাকে ট্রাস্ট করে বিনাবাক্যে চলে যাচ্ছি। এসে যেন আমার বউটাকে সহিসালামতে পাই। টেক কেয়ার অফ হার, প্রিয়।
.
.
তাহেরকে বসিয়ে রেখে নাওফিল প্রশ্ন করে,
– কি হয়েছে আঙ্কেল? এত রাতে, এখানে, কাউকে না বলে এসে, কি করছিলেন?
– প্রিয়-মাকে দেখতে এসেছি। তালুকদার সাহেব পাঠিয়েছেন।
– দেখেছেন? তাহলে ফিরে যাননি কেন? বাড়ির ভেতর এভাবে ভুতের মত ঘুরঘুর করলে মানুষ ভয় পাবে তো।
– চলেই যাচ্ছিলাম।

নাওফিল সিয়ামকে একটি শিক গরম করে আনতে বলেছিল। সিয়াম সেটা নিয়ে এসেছে। নাওফিল গরম শিক তাহেরের হাতে চেপে ধরে বলল,
– ভুল মানুষের নজরে পড়েছেন চাচা।

তাহেরের চিৎকারে ঘরটি কেঁপে উঠলেও সে শব্দ বাইরে কারোর কান অবধি পৌঁছাল না। নাওফিল প্রশ্ন করে,
– সে কে?
– জানি না।
– এতগুলো বছরের ঝামেলা চাচা। কতমানুষের জান নিয়েছে। পালাক্রমে প্রতিশো’ধ নেওয়া-নেওয়ি চলেছে। সবটা মজা মনে হয়? খেলার পুতুল সবাই?

দরজায় ঠকঠক শব্দ হয়। সিয়াম দরজা খুলতেই প্রিয়তা প্রবেশ করে। তাহের প্রিয়তাকে দেখে চেঁচায়। প্রিয়তা হেয়ালি না করে বলল,
– দাদুকে ফোন করেছিলাম। সে আপনাকে পাঠায়নি। মিথ্যে বললেন কেন?
– তুমি আমাকে বিশ্বাস করছ না প্রিয়-মা? আমি তোমার সেই তাহের চাচা যে তোমাকে ছোট থেকে বড় হতে দেখেছি। আমার আঙ্গুল ধরে হাটতে শিখেছ তুমি।

প্রিয়তা শক্ত গলায় জবাব দিল,
– যদি এসবের পেছনে অন্যায় উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন চাচা। আমি এই কলহের সঠিক কারণ ও সঠিক অপরাধিকে খুজতে চাই। নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলেছি কেবল এটার জন্যই। গোটা তিনটে জেনারেশন একে অপরের জান নেওয়ার তাগিদে ছুটছে কেবল একটি আত্মহ’ত্যা’র ঘটনার জন্য। সেটা আদৌ আত্মহ’ত্যা ছিল নাকি খু’ন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অথচ আমার কত প্রিয়জন এই দ্ব’ন্দ্বে’র চক্করে জীবন দিল। নাওফিলের প্রিয়জনেরা জীবন দিয়েছে। এতগুলো জীবনের কোনো মূল্য নেই?

নাওফিল বলল,
– এভাবে কাজ হবে না। সিয়াম শেকল আন। ওনাকেও সেভাবে ঝোলাবো যেভাবে আমার ফুপি ঝুলেছিল।
প্রিয়তা অনুরোধ করল,
– যেটা জানেন, বলুন চাচা। নাহলে নাওফিল যেটা বলেছে সেটাই করবে।

তাহের নেতিয়ে পড়ল। সিয়ামের দেওয়া থার্ড ডিগ্রিতে ম’রম’র দশা তার। অবশেষে অচেতন হওয়ার আগে অস্পষ্ট স্বরে আওড়ালেন,
– র.র.র.হি.মম
প্রিয়তা ভ্রু কুঁচকে বলল,
– রহিম? যার মুখভর্তি দাড়ি? শ্যামলা দেখতে, চিকন?
নাওফিল প্রশ্ন করে,
– তুমি দেখেছ তাকে?
– দেখেছি মানে? চোর ভেবে রীতিমত মে’রে অজ্ঞান করে ফেলেছি। গিয়ে দেখুন উঠানে পড়ে আছে।
– সিয়াম, ওনাকে নিয়ে আয়।

সিয়াম চলে যেতেই নাওফিল প্রিয়তাকে বলল,
– বিয়ের দিন থেকেই সব বেড়িয়ে আসছে।তুমি দেখছি আমার সৌভাগ্য হয়ে এসেছ। এমন হবে জানলে আরও আগে বিয়ের ব্যবস্থা করতাম।
– একজন মহিলাও ছিল গেইটের কাছে। শাড়ি পড়া মনে হয়। দ্রুত হাটতে পারিনি বলে তার পরিচয় জানতে পারিনি। তবে এটা পেয়েছি..
একটা টর্চ দিল প্রিয়তা।নাওফিল চেনে টর্চের মালিককে। তাই স্মিতহেসে বলে,
– বিয়েটা ওদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উঠেপড়ে লেগেছে সবাই। এত বছর পর হঠাৎ এমন তৎপরতা?ওনার বা ওনাদের টার্গেট কে? আমরা নাকি দুই-পরিবারের মিলন? মূল সমস্যা কি? কি চায় ওরা?

চলবে…