#তোমাকে_নিয়েই_গল্প
#পর্ব:২০
#জুনাইনাহ_তাসনিম_অরহা
সকাল,সকাল এরকম বালতি ভর্তি পানি তে গোসল করে কি রিয়াক্ট করবো বুঝতে পারছি না।আর কার ওপরেই বা রিয়াক্ট করবো?কারন সামনে যতোজনকে দেখছি কাউকেই চেনা লাগছে না।দুজনকে হালকা চিনি,পাশের বাড়ির লোক আর বাকিদের অচেনা অচেনা লাগছে।সব অচেনা মানুষদের ভিড় থেকে মামি সামনে এলো।আমাকে ভেজা দেখে তাড়াতাড়ি আমার কাছে এসে মাথা মুছতে লাগলো।
–এই তোরা কি করেছিস এ?মেয়েদুটোকে একদম ভিজিয়ে ফেলেছিস।দেখেয় বোঝা যাচ্ছে ওদের ঘুমের মধ্যে কাজটা করা।
–আরে বৌ তুই চিন্তা করিস নে।ওদের শরীল খারাপ হবেন না।আর নতুন বোর বুনেরা এইরাম ঘুমোবে ক্যান।উরা তো ভোর বেলা উঠে মজা করবে,বিয়ের কাজ করবে।এই ছ্যামড়িরা ওঠ..
ভিড়ের মধ্য থেকে এক বয়স্ক মহিলা কথাগুলো বলে।তারপর সবাই মিলে হেসে দেয়।আমি আর মারিয়া তো হা করে তাকাই আছি।মামি সবাইকে বাইরে যেতে বলে,সবাই চলে যায়।মামি আমাদের বলেন,
–মা তোরা তাড়াতাড়ি জামাকাপড় বদলে ফেল,তা না হলে ঠান্ডা লেগে যাবে।আর গ্রামের বিয়েতে এগুলো একটু হয়।বরের ভাইবোন,কনের ভাইবোন সবাইকে নিয়ে ওরা একটু মজা করে।যা যা তাড়াতাড়ি যা।
মামি চলে গেল।আমি আর মারিয়া একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছি।আমি তো মারিয়াকে আন্দাজে বলেছিলাম যে ভোরবেলা উঠতে হবে এখব তো দেখছি সত্যিই উঠা লাগলো।গ্রামের বিয়্ব এরকম ক্যান রে ভাই??আমি আর মারিয়া চেঞ্জ করে বাইরে গেলাম।পাড়ার লোক মানে গ্রামের অনেক লোক ভিড় করেছে।বাড়ির পাশে বাগানে দেখি হৈচৈ হচ্ছে।কিন্তু এতো হৈচৈ কেন হচ্ছে বুঝে উঠতে পারলাম না।আমি,মারিয়া আর সাথে স্নিগ্ধা ভাবিও আছে।তিনজন এগিয়ে গেলাম দেখার জন্যে।ভিড় ঠেলে স্নিগ্ধা ভাবি আগে এগিয়ে গেল পিছু পিছু আমরা।ভিড়ের মাঝখানে দুজনকে কাদায় চোবানো হয়েছে।এতোটাই কাদা মাখানো হয়েছে যে তাদের দেখে চেনার উপায় নেই।স্নিগ্ধা ভাবি বেশ কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
–কে???
–ভাবিইইই….
ভাবি শুনে বুঝা হয়ে গেছে এটা কে।মিষ্টার সাদা বাদর কাদা মেখে ভূত,অবশ্য পাশে আরো একজন আছে কিন্তু চিনতে পারলাম না।তবে এর আগের বার সাদা বাদররটা আর কতোটকু কাদা মেখেছিলো,এবার তো তার ৪ গুন।শরীরের কোন অংশ বাদ নেয়।আমি তো জোরে জোরে হেসে ফেললাম।স্নিগ্ধা ভাবি আমার দিকে আড়চোখে তাকালো আমি তাও নিজের হাসি আটকাতে পারলাম।হোহোহোহহহ করে হাসতেই আছি।কাদা বাদররটা আই মিন সাদা বাদরটা আমার দিকে চোখ গরম করে তাকালো এটা দেখে আমার আরো বেশি হাসি পেয়ে গেলো।সাদা বাদরটা আর ওনার সাথে থাকা ওনার সেই পুলিশ বন্ধু অনেক রিকুয়েস্ট করার পর ছাড়া পেলো ওই কাদার থেকে।হাহাহহহহ….কিন্তু যাওয়ার সময় আমার দিকে চোখ গরম করে যাচ্ছিলো,মনে হচ্ছিলো আমাকে যেন খেয়েয় ফেলবে।তবে আমার একটু ভয় লাগলো না বরং হাসি পেলো আরো।
[[বি.দ্র:আমাদের এলাকাই হলুদের দিন এরকম কাদা খেলা হয় মজা করে।বিয়ে বাড়িতে বাড়ির সবাইকে কাদাই ফেলানো হয় আবার পাড়াপ্রতিবেশিরাও।ইসলাম ধর্মে এরকম রিচুয়ালস নেই,কিন্তু আমার এলাকাতে হয় দেখি।ছোট থেকেই দেখছি দাদি,চাচি,ভাবিরা মিলে এরকম মজা করে তাই এটাও দিলাম গল্পে]]
*বেলা ১২টা।আপুকে হলুদের গোসল দেয়া হবে এখন।আকাশ ভাইয়েরটা একটু আগেই হয়ছে আমরাও ছিলাম এবার আপুর পালা।আপুর হলুদের গোসলের সময় আমি আর মারিয়া ঠিক করলাম শাড়ি পরবো।অনেক ভেবে ভেবে লাল সবুজ কম্বিনেশনের শাড়ি নিলাম দুজন।মারিয়া কমবেশি শাড়ি পরতে জানে তাই আমার আর ওতো টেনশন নিয়া লাগলো না।মারিয়া আমাকে শাড়ি পরিয়ে দিলো।তবে আজ আর হিজাব পরলাম না।চুল ছেড়ে দিয়েছি,চোখে গাঢ়ো কাজল,ঠোটে গাঢ়ো লাল লিপস্টিক আর একটু মেকাপ ও দিলাম।মারিয়া টিপ পরতে বলছিলো,কিন্তু টিপ বরাবরই আমার খুব অপছন্দের তাই আর টিপ পরলাম না।মারিয়া কানাটারেও আজ খুব সুন্দর লাগছে।দুজন রেডি হয়ে গেলাম আপুর রুমে।আপুকে একটা লাল পাড়ের হলুদ শাড়ি পরানো হয়েছে।আমি আপুকে কাচা ফুলের গহনা পরিয়ে দিলাম।ফুলের গহনা এক্সট্রা থাকায় আপু আমাকে আর মারিয়াকেও পরতে বলে।আমি আর মারিয়া মাথার টিকলি আর হাতের চুড়ি বানিয়ে পরলাম গোলাপ আর রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে।
মা এসে আমাদের আপুকে নিয়ে বাইরে যেতে বলে।আমি,মারিয়া আরো কয়েকজন মিলে আপুকে নিয়ে উঠানে নিয়ে গেলাম।মহিলারা সবাই গ্রাম্য ভাষায় গান গাচ্ছে।আমি তো তালে তালে নাচতে শুরু করলাম।মারিয়া এর মধ্যে বলে,
–দোস্ত ছবি তোল তো তোর মোবাইলে।আমারটা তো আনতে খেয়াল নেই।
–আমিও তো মোবাইল আনিনি।
–ধুর।ক্যামেরাই যতোই ছবি তোলা হোক ফোনের গ্যালারিতে থাকলে সবসময় দেখা যাই।কিন্তু অ্যালবামে তো পসিবল না ইচ্ছা হলেই।
–মারিয়া কথাটা কিন্তু ভুল বলেনি।সবসময় তো আর অ্যালবাম নিয়ে ছবি দেখা হইনা।এখনকার যুগে মোবাইলেই সব।আর এতো সুন্দর সুন্দর মুহুর্তগুলো গ্যালারিতে থাকলে মন্দ হয়না ব্যাপারটা।যাই মোবাইলটা আনি(মনে মনে ভাবি)
আপুর তো হলুদ এখনো শুরু হয়নি তাই ছবি তোলার জন্যে মোবাইল আনতে রুমের দিকে রওনা দিলাম।বিয়ের আয়োজন সব বাইরেই তাই বাড়ির মধ্যে মানুষজন খুব কমই আছে।আমি খুব দ্রুত হেটে নিজের রুমের দিকে যাচ্ছিলাম কিন্তু হটাত কেউ আমার হাত ধরে হেচকা টান দিয়ে একটা রুমের ভিতর নিয়ে যায়।আমার সামনে থাকা ব্যক্তিটির মুখ শক্ত,চোখ এখন লাল হয়ে আছে।চোখ দিয়ে যেন আগুন বের হবে।আমি অর্ধেক মরে গেলাম যেন ভয়ে।আমার ডান হাতটা উনি আরো শক্ত করে চেপে ধরেন।আমার খুব ব্যাথা লাগলো এবার।হাতটা এতোটাই শক্ত করে ধরেছে যে আমার রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার অবস্থা।কিন্তু এতোটা রাগ কেন দেখাচ্ছে আমার ওপর।আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেও নিজেকে এক বিন্দু ছাড়াতে পারলাম না।উনি আমাকে একদম দেয়ালের সাথে মিশিয়ে ফেলেছেন আর হাতের কথাতো বাদই দিলাম।অবাশ হয়ে গেছে হয়তো।আমি আর না পেরে ভয় আর ব্যাথায় কুকড়ে উঠে কাপা কাপা কন্ঠে বলি,
–কি করছেন অভ্র ভাই?আমার ব্যাথা লাগছে তো।ছাড়ুন আমাকে।
–………………….(উনি কোন কথা বললেন না।ওনার চোখমুখে রাগ আরো স্পষ্ট হয়ে আসলো)
–আহ!ব্যাথা লাগছে আমার হাতে।ছাড়ুন আমাকে আর এটা কোন ধরনের আচারন বলুন তো?এতো রাগই বা কেন দেখাচ্ছেন আমার ওপর?কি করেছি আমি?
–কি করেছো তুমি জানো না??(আমার হাতটা ছেড়ে দিয়ে দেয়ালে স্বজোরে এক ঘুষি দেন উনি।দেয়ালও যেন কেঁপে উঠলো।ওনার এরকম কাজে আমার বুক কেঁপে ওঠে।)
–আ আমি সত্যিই জানি না(কাপা কাপা কন্ঠে বলি)
–সত্যিই জানো না তাই না?নিজের শরীর দেখিয়ে বেড়াতে খুব মজা লাগে তাই না?
–মা মানে?
–মানে?মানে জানতে চাও তুমি।
(এক মুহুর্তেই উনি আবার আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলেন কিন্তু এবার ব্যাপারটা আরো ভয়ংকর ছিলো।আমার ওই হাতটা তো ধরেছেনই সাথে আমার উন্মুক্ত কোমর।এতোটাই জোরে চেপে ধরেছেন যে ওনার ওই ছোট নখগুলোও আমার কোমরে এক নিমিষেই গর্ত করে ফেললো জায়গাটা।আমি ব্যাথায় কুকিয়ে উঠলাম)
–আয়াহ!ছাড়ুন আমাই,ব্যাথা লাগছে।(ব্যাথা সহ্য করতে পারছি না আমি)
–শাড়ি যখন সামলাতে পারো না তখন পরতে যাও কেন?শরীর দেখানোর খুব ইচ্ছা জেগেছে?তাহলে শাড়ি খুলে ফেললেই তো পারো।এভাবে শুধু কোমর,পিঠ দেখানোর কি দররকার?জামাকাপড় ছাড়াই তো ঘোরা যায়।এটুকু দেখিয়ে কি শান্তি হবে??(উনি চিতকার করে বলে)
–ছাড়ুন আমাকে(আমি আমার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু উনি আরো শক্ত করে চেপে ধরছেন।ওরকম ৬ফিট লম্বা মিডিয়াম বডিবিল্ডারের শক্তির কাছে আমার এতো লাফালাফি সবই বৃথা।তাও চেষ্টা করে গেলাম।কারন যতো সময় যাচ্ছে ওনার নখ আরো গভীর হচ্ছে আমার শরীরে আর ব্যাথাটাও তীব্র হচ্ছে)
–আচ্ছা তোমাকে এসব বলছি কেন আমি?তুমি তো মজা পাচ্ছো কোমর,পিঠ এসব দেখিয়ে।তোমার হিজাব পরতে বলে কে হ্যা?ওরকম হিজাব পরার কি মানে যে ইচ্ছা হলেই বাদ দিয়া যায় আবার ইচ্ছা হলেই পরা যায়।আর যেন কোনদিন তোমাকে হিজাব না পরতে দেখি।এখন থেকে আজকের মতো করে সবাইকে পেট দেখিয়ে বেড়াবা।(উনি রাগ নিয়েই বলে)
আমি এতোক্ষনে বুঝলাম ওনার এই আচারনের কারন।কিন্তু এসবের থেকে আমার ব্যাথাটা বেশি এই মুহুর্তে।আমি আর সহ্য না করতে পেরে কেঁদে দিলাম।আমি আর একটা কথাও বললাম না।কথা বলার মতো আর কোন শক্তি আমার আর নেই।আমি কেঁদে চলেছি।উনি আমার কোমর থেকে হাত সরিয়ে নেন,এমনকি আমার হাতটাও ছেড়ে দেন।আর আমাকে ওনার বুকে টেনে নেন।আমাকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলেন,
–সরি।আমি তোমাকে এতোটা কষ্ট দিতে চাইনি।তুমি তো জানোই যে তোমাকে নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করুক তা আমি মেনে নিতে পারি না।তুমি শাড়ি পরে চড়ুই পাখির মতো নাচানাচি করছিলে তখন তোমার কোমর দেখা যাচ্ছিলো,পিঠের দিকটাও।সবাই হা করে তাকিয়ে ছিলো এটা আমি মেনে নিতে পারিনি।সেই কারনেই হয়তো এতোটা রিয়াক্ট করে ফেলেছি।সরি…
উনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।আর আমি ধপাস করে মাটিতে বসে পড়ি কোমরে হাত দিয়ে।কোমর থেকে হাতটা সামনে এনে দেখি রক্ত লেগে আছে।কোনরকম শাড়িটা আরেকটু সরিয়ে দেখি জায়গাটা ছিলে গেছে।এদিকে যেই হাতটা ধরেছিলেন সেখানেও কালশিরা পড়ে গেছে।মিনিট দশেক পর আমি শাড়িটা ভালোভাবে কোমরে জড়িয়ে নিজের রুমে যাই কেউ এটা দেখে ফেললে আবার আরেক ঝামেলা।নিজের রুমে এসে বিছানাই শুয়ে পড়ি।চোখ বন্ধ করেই শুয়ে ছিলাম দরজাই নক করার আওয়াজ।চোখ খুলে দেখি ছোট্ট একটা পিচ্চি মেয়ে।
–আন্তি,আন্তি আমি কি আসবো?
(মেয়েটিকে চিনি না তাও ছোট্ট মেয়েটা ঘরে আসতে চাওয়াতে ইশারা করে আসার অনুমতি দিলাম)
–আন্তি এই নাও।(মেয়েটা হাত বাড়িয়ে একটা প্যাকেট দিতে আসলো)
–কি এটা।
–আমি তো জানি না।অভ্য তাতু পাথিয়েছে।
–অভ্র?(আমি বেশ অবাক হই)
–হ্যা।ওই যে দলজার পাশে দালিয়ে আছে।
ওনার নাম শুনেই আমার খুব রাগ হলো আমি মেয়েটার হাত থেকে প্যাকেটটা নিলাম।প্যাকেটটা খুলে দেখি মলম জাতীয় কিছু।এটা দেখে আমার রাগ আরো বেড়ে গেলো।প্রথমে আঘাত দিয়ে আবার মলম দিচ্ছে।আমি ওটা ফেরত দেয়ার জন্যে মেয়েটার দিকে তাকালাম কিন্তু মেয়েটা উধাও।এক্ষুনি তো এখানে ছিলো।তাহলে কোথায় চলে গেলো?আমি মলম টা ছুড়ে ফেলে দিলাম,প্যাকেটটাও ফেলতে যাচ্ছিলাম কিন্তু প্যাকেটের ভিতরে আরো কিছু একটা আছে মনে হলো।প্যাকেটটা ভালো করে খুলে দেখি একটা কাগজ।কি মনে করে কাগজটা খুলে দেখলাম।
“I’m really really really sorry.(কান্নার ইমোজি আকা)
তোমাকে তো আগেই বলেছি যে তোমাকে কেউ অন্যভাবে দেখুক তা আমার সহ্য হয় না।আজকে কতো মানুষ বাজে নজর দিয়েছে তুমি জানো?।তোমার তো এরকম সাজের দরকার নেই।তুমি যেমন তেমনি তো অনেক সুন্দর।হালকা সাজ,হিজাব এতেই তোমাকে মানাই।ডায়েরিটা পড়ে কি তুমি এটুকুও বোঝনি?প্লিজ আর রাগ করো না ওষুধটা ওখানে লাগিয়ে নিও।ব্যাথা কমে যাবে,সরি।”
–কষ্ট দিয়ে আবার সরি বলা হচ্ছে?হাহ!কিন্তু এ ব্যাটা এসব কি লেখেছে?ডায়েরি পড়ে বুঝিনি,আমার দিকে কেউ বাজে নজর দিলে তার সহ্য হয় না।মানেটা কি এসবের?কি যে করছে আজকাল!বিরক্তিকর।
আমি চিরকুটটা ছিড়ে জানালা দিয়ে ফেলে দিই।ব্যাথা নিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি ঠিক নেই।
*–সুচী,এই সূচী ওঠ।(মারিয়ার ডাকে ঘুম ভাঙে)
–তুই?(ঘুমের ঘোরে)
–মোবাইল নিতে এসে তুই এখানে ঘুমাচ্ছিস?আপুর হলুদ হয়ে গেলো আমরা কতো মজা করলাম।আর তুই পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস?রাতে ঘুমাসনি?
–আপুর হলুদ হয়ে গেছে?
–তা কি তোমার জন্যে বসে আছে?কতো খোজা হলো তোকে কোন পাত্তাই নেই।না পেরে তোকে ছাড়াই হলুদ হয়ে গেলো।তুই ও না মানে!ঘুমানোর আর টাইম পেলি না?
(মারিয়া ড্রেস চেঞ্জ করতে চলে গেলো।আর এদিকে আমার রাগ আরো বেড়ে গেলো সাথে খুব জোরে কান্না পেলো।শুধু মাত্র ওই মানুষটার কারনে আমি নিজের বোনের হলুদের গোসল মিস করলাম।কোনদিনও ক্ষমা করবো না আমি ওনাকে।)
চলবে……
(গল্পটা কেমন হচ্ছে জানাবেন.কোন ভূলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন
ধন্যবাদ)