তোমাকে প্রয়োজন পর্ব-১২+১৩

0
983

তোমাকে_প্রয়োজন
আরোশি ইসলাম তিশা
পর্ব ১২

” আলো – আঁধারের স্নিগ্ধ মিতালিতে ঝলমল করে ওঠে জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাত। এমন রাতের অস্পষ্ট মায়ালোকে নিমজ্জিত থাকে প্রকৃতি।জ্যোৎস্নার আলো -ছায়ায় নৃত্য প্রকৃতিপ্রেমী। হাত পা বাধা অবস্থায় একটা মেয়েকে অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। কালো মাস্ক পড়া একটা ছেলে জ্যোৎস্নার আলোয় মেয়েটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। চাঁদের মায়াবী আলোয় মেয়টার সৌন্দর্য দিগুণ ফুটে উঠেছে।”

ছেলেটা মেয়েটাকে ভালোভাবে দেখে মনে মনে বললো তোমার মতই এক মায়াবতীকে আমার রাজ্যের রাণী করার কথা ভেবেছিলাম।

” এখন মনে হচ্ছে কী জানো”?

স্মিথ হেসে বললো, তাকে আমার কাছাকাছি পেয়ে গেছি।

” জ্যোৎস্নার অমিও সুধা মেঘের শরীরের ওপর লুটোপুটি খাচ্ছে, আর মেঘ মুগ্ধ হয়ে আকাশে পানে চাঁদের দিগে তাকিয়ে আছে। চোখ দিয়ে পড়ছে অজস্র অশ্রুকণা সেদিকে তাঁর খেয়াল নেই। সে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে প্রকৃতির পানে। জ্যোৎস্নার অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে। জ্যোৎস্নার উপচে পড়া স্নিগ্ধতা রোমান্টিক স্মৃতির জগতে নিয়ে যায়।জ্যোৎস্নার এই অপরুপ সৌন্দর্য না দেখলে হয়তো অপূর্ণ রয়ে যাবে জীবন”।

আজ সারারাত হয়তো এভাবেই কেটে যাবে মেঘের চোখ দিয়ে অশ্রুকণা ঝরছে। মেঘের চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে

” হে পৃথিবী যাকে পাবোনা তাকেই কেন ভালোবাসলাম”? পাবোনা জেনেও কেন তার পিছু ছুটলাম? আমার ভাগ্যে কেন তাকে লিখা হলোনা?
কথগুলো যেন স্তব্ধ হয়ে রয়ে গেছে মেঘের মাঝে। সে নির্বিক তার কথা যেন আটকে গেছে।তাঁর কাছে বেচে থাকা যেন দুষ্কর হয়ে গেছে।

“যদি আত্মহত্যা করা পাপ না হতো তাহলে সে নিসন্দেহে তা বেছে নিতো”

এই অসহ্য যন্ত্রণা তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। তাঁর কাছে অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মৃত্যাু শ্রেয় বলে মনে হচ্ছে। মেঘ আকাশে পানে তাকিয়ে বলে উঠলো

” পরের জন্মে সহস্র কোটি তাঁরা হবো। দূর থেকে দেখবো তোমায় সেখান থেকে বলবো তোমায় ভালোবাসি, ভালোবাসি খুব বেশি ভালোবাসি “।

তুমি শুনতে পাবে কী সেই ধ্বনি?

নিজের কথায় নিজেই হাসে মেঘ। জীবনটা তাঁর হেলায় ভাসছে। তাঁর মন মস্তিষ্ক দ্বিধায় পড়েছে। মেঘ তার ডায়েরি টা নিয়ে ফেলে দিল বারান্দা থেকে কী হবে ডায়েরি রেখে।ডায়েরির পাতায় পাতায় রয়েছে অজস্র স্মৃতি। ডায়েরির পাতায় পাতায় না হয় পরে থাকুক তার অব্যক্ত ভালোবাসা।

” আকাশে দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে একটা ছেলে হাতে তার নিকোটিন। নিকোটিনের ধোঁয়ায় তার গোলাপি ঠোঁট গুলো কালো দাগ পরে গেছে। ভিতর তার অজস্র আবেগ অনুভূতি লুকিয়ে রেখেছে”।

আর কিছু মুহূর্তের অপেক্ষা। সব অপেক্ষার অবসান ঘটবে কাল। প্রেয়সীর নিজের করে নিবে সে। তাঁর সব দুঃখ কষ্ট মুছে দিবে সে ।

” সকালের আলো পর্দা ভেদ করে মেঘের চোখে মুখে উপচে পড়ছে রাতে কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে শুয়ে ছিল মেঘ কখন ঘুমিয়ে পড়ছে মনে নেই “।

বাইরে থেকে চেচানোর আওয়াজ ভেসে আসছে। কেউ কাঁদছ চিৎকার করে কী বলছে শুনা যাচ্ছে না ঠিকমতো। মেঘের হুশ আসতেই কালকে ডায়রীর কথা টা মনে পরে যায় ওই ডায়েরি টা কেউ আবার পেয়ে যায়নি তো?

মেঘ ছুট লাগালো বাইরে আসতে মানুষের ভির। ঠেলেঠুলো ভিতরে যেতেই তাঁর মাকে দেখলো চিৎকার করে কাদঁছে।

মেঘ ছুটে গেল মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করলো কী হয়েছ?

মেঘের মা কিছু বললো না মেঘকে জড়িয়ে দরে কাদঁতে লাগলো। মানুষ জন কী যেন বলাবলি করছে?

অনুর বান্ধবীরা দাড়িয়ে ছিল মেঘ সেখান থেকে একাট মেয়েকে জিজ্ঞেস করলো

শ্রেয়া আপু কী হয়েছে বলবে আমাকে? মা কেন কাদঁছে?

শ্রেয়া বললো অনু পালিয়ে গেছে। মেঘের হাতে একাট চিঠি দড়িয়ে দিল।

মেঘ চিঠি টা পরে বাকরূদ্ধ অবস্থায় দাড়িয়ে রইলো।
মাথায় তার আকাশ ভেঙে পড়েছে। বার বার একটা কথায় মাথায় বাড়ি খাচ্ছে, অনু পালিয়েছে।

মেঘের মা মেঘকে জড়িয়ে দরে বললো এবার কী হবে আমাদের। তোর বাবার মানসম্মান তো থাকবে না আর। তোর ফুপি যদি জানতে পারে খুব কষ্ট পাবে। তাদের সম্মান নষ্ট হয়ে যাবে। এতো মেহমানের সামনে আমাদের সম্মান নিঃশেষ হয়ে যাবে।

মেঘ কিছু বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। সবকিছু এলোমেলো লাগছে তাঁর কাছে। অনু কার সাথে পালিয়ে গেল আর কার সাথেই বা গেল?

চলবে।

তোমাকে প্রয়োজন
আরোশি ইসলাম তিশা
পর্ব ১৩

জীবন বড়োই বিচিত্র। মেঘের আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার কথা ছিল। তবুও তার মনে ভয় হচ্ছে যদি আদ্র এই বিয়েটা মেনে না নেয় তখন কী হবে?
মেঘ ভাবতে লাগলো আজকের দিনটার কথা…..

অতীত

অনুর মা তানিশা আয়মানকে অনুর পালিয়ে যাওয়ার কথা বললে তিনি মেঘকে আদ্র জন্য চাইলেন। অনুর মা মানসম্মান কথা চিন্তা করে রাজি হয়ে গেল। বিয়েটা খুব সাধারণ ভাবেই হয়েছে। তানিশা আয়মান বলে দিয়েছে যাতে তাড়াতাড়ি সবাই বাড়িতে চলে আসে।

বর্তমান

কারো পায়ের শব্দ শুনে মেঘের হুশ আসলো তানিশা আয়মান এসেছে। মেঘ ছলছল নয়নে তাকিয়ে রইলো। তানিশা আয়মান মেঘের কাছে এসে মাথায় হাত বুলালেন। হঠাৎ মেঘ তানিশা আয়মান জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।

আকস্মিক এমন ঘটনা বুঝতে সময় লাগলো তানিশা আয়মানের মেঘকে বললেন

এই মেঘ কান্না করছিস কেন? মায়ের কথা মনে পড়ছে বুঝি?

মেঘের কান্না যেন থামছে না তানিশা আয়মান মেঘের মাথায় আলতো করে হাত বুলাতে বুলাতে বলল আর কাঁদবি না একদম। কাঁদত কাদঁতে চোখের কী অবস্থা করেছিশ বলতো?

আমি জানি বিয়েটা মেনে নিতে তোর কষ্ট হচ্ছে। তবে আমি যে নিরু উপায় আজ যদি বিয়েটা না হতো তাহলে আত্মীয় স্বজনদের কাছে আমাদের সম্মান নষ্ট হতো। আমার ছেলেটা একটু বদমেজাজি তবে খারাপ নয় একটু মানিয়ে নিশ দেখবি খুব ভালোবাসবে তোকে রাজরানী হয়ে থাকবি। আমি এখন যাই আদ্রকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

আদিয়াত আয়মান সাথে প্রায় একঘন্টা যাবত কিছু নিয়ে কথা বলছে আদ্র। তানিশা আয়মান দরজার বাইরে এসে দেখল এখনো দরজা লাগানো। আদ্র কে কয়েকবার ডাকলো কিন্তু ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ পাওায়া যাচ্ছে না।

তানিশা আয়মান দরজার বাইরে দাড়িয়ে রইলো হঠাৎ দরজা খুলার শব্দে দরজার দিকে তাকাতেই আদ্রকে দেখতে পেলেন আদ্র রাগে গজগজ করছে।

তানিশা আয়মান আদ্রকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই হাতে থাকা মুঠো ফোনটি বেজে উঠলো।

মেঘের মা ফোন করেছে হয়তো মেয়ের জন্য চিন্তা হচ্ছে। তাছাড়া অনু বাড়িতে ফিরেছে কী সেটাও জিজ্ঞেস করা হয়নি। তানিশা আয়মান কথা শেষ হতেই দেখলো আদ্র নেই তিনি ভাবলেন হয়তো রুমে চলে গেছে।
শরীর আর চলছে না তানিশা আয়মানের সকাল থেকে এতো ঝামেলা তার উপর এতো আত্মীয় স্বজন সবাই কে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। রুমে গিয়ে দেখলেন আদ্রিয়ান আয়মান রাগে গজগজ করছেন

তানিশা আয়মান ভ্রু কুঁচকালেন জিজ্ঞেস করলেন বাবা ছেলে আবার ঝগড়া করছো।

আদ্রিয়ান আয়মান রাগী কন্ঠস্বরে বললেন অনু পালিয়ে গেছে আমাকে বললে না কেন? আর মেঘের সাথে বিয়ে দেওয়ার আগে আমাকে একবার জানানোর প্রয়োজন বোধ করলে না?

তানিশা আয়মান রাগী কন্ঠস্বরে বললো মেঘর সাথে বিয়ে হতে দিতে তুমি?

তুমি কখনো মেঘকে পছন্দ করেছো।যখন আদ্র জন্য মেঘের কথা তোমাকে বললাম কী বলেছিলে মনে নেই?

আদিয়াত আয়মান হনহন করে রুম থেকে বের হয় গেলেন।

তানিশা আয়মান তপ্ত শ্বাস ফেললো।

গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে আদ্র দৃষ্টি তার আকাশে পানে নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে তার কাছে সবকিছু এলোমেলো লাগছে। সবকিছু ঠিক করতে গিয়ে সবকিছু এলোমেলো করে ফেলেছে নিজে ভালো থাকা চাইতে গিয়ে মেঘকে কষ্ট দিচ্ছে। আদ্র ভিতরটা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। নিশ্বাস নিতে তার কষ্ট হচ্ছে।

“প্রিয়তমাকে কাছে পেয়েও নিজের করে নিতে পারছে না নিজ হাতে কষ্ট দিতে হচ্ছে তাকে “।

হঠাৎ হাতে থাকা মুঠো ফোন টা বেজে উঠলো ফোন টা রিসিভ করতেই লোকটার কথা শুনে আদ্রর মাথা কাজ করছে না কী করবে এখন?

“চারদিগে আলোর শিহরণ। আলোয় আলোয় দিগ দিগন্ত হেসে উঠে। আলোয় ভরা চাঁদের জ্যোৎস্নার প্লাবনে ডুবে যায় । চাঁদনি রাতের মোহনীয় রুপ সৌন্দর্য প্রতিটি মানুষের মনেই রং ধরায়। মেঘের এই চাঁদনি রাত উপভোগ করতে বিষণ ভালো লাগছে। তবে কেমন যেন একটা সুখের মতো ব্যথ্য বুকের তলায় জমা হয়, অথচ সেই ভাব প্রকাশের ভাষা নেই। জ্যোৎস্নার মায়াবী রুপ মানুষের মনপ যৌবনের আবির ছড়িয়ে দেয়,রাঙিয়ে তোলে মানুষকে। মেঘের ইচ্ছে হচ্ছে জ্যোৎস্নার এই রাত তার প্রিয় মানুষটির উপভোগ করতে।

কিন্তু আদ্র আসার কোন নাম গন্ধ নেই। মেঘ ক্লান্ত থাকায় অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ছে।

সকাল বেলা চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙলো মেঘের রাতের ঘটনা ভাবতে লাগলো আদ্র জন্য অপেক্ষা করতে করতে কখন যে চোখ লেগে এসেছে বুঝতে পারেনি।

আদ্র কী রাতে রুমে আসেনি? যদি আসতো তাহলে নিশ্চয়ই মেঘকে জাগিয়ে তুলতে। হঠাৎ মনটা খারাপ হয়ে গেল তবে কী আদ্র বিয়ে টা মেনে নেই নি?

তানিয়া আয়মানের চিৎকারে হুশ ফিরলো মেঘের। মেঘ ফ্রেশ হয়ে হালকা গোলাপি রঙের শাড়ি পড়ে নিল।

নিচে তানিয়া আয়মান রাগে গজগজ করছেন। মেঘকে দেখে তানিয়া আয়মান ডুকরে কেঁদে উঠলো হঠাৎ এমন কান্ডে মেঘ বিস্মিত হলো।

ফুপি কাঁদছ কেন?

কী হয়েছে আমাকে বল?

তানিয়া আয়মান কাদঁতে কাদঁতে বললেন আমার ছেলেটা রাগী বদমেজাজি কিন্তু ও এরকম করবে আমি বুঝিনি। আমি তোর জীবনটা নিজ হাতে শেষ করে দিলাম। আমায় মাফ করে দিশ মেঘ। আমি পারলাম না তোর জীবনটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে। আদ্র এমন একটা কাজ করবে আমি ভাবতেও পারি নি।

কী করেছেন ওনি?

তানিয়া আয়মান মেঘের হাতে একটা চিঠি দড়িয়ে দিলেন। যেখানে লেখা আছে,

প্রিয় মা,

আমি জানি আমার এই সিদ্ধান্ত তুমি কষ্ট পাবে। কথাগুলো ফোনে বলতে পারতাম কিন্তু তোমার সাথে কথা বলতে কষ্ট হতো তাই চিঠি লিখলাম।তবে আমার কিছু করার ছিলনা আমি মেঘকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে মেনে নিতে পারবো না। আমি লন্ডন ফিরে যাচ্ছি আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করোনা।আর মেঘকে বলো পারলে আমায় যেন ক্ষমা করে দেয়। ও চাইলে বাড়িতে ফিরে যেতে পারে আর কার জন্য বা এখানে থাকবে আমি আর বিডিতে ফিরবো না। মেঘকে বিয়ে করাটা আমার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। পারলে আমায় ক্ষমা করো।

ইতি,

আদ্র

মেঘের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। ওর মস্তিষ্ক যেন শূন্য। মন মস্তিষ্কের দ্বিধায় ভুগছে। এটা কীভাবে করতে পারলো আদ্র?

হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেল মেঘ তানিশা আয়মান বাড়ির লোকদের নিয়ে আদ্রর রুমে এনে শুয়ে দিল। মাথায় হাত ভুলাতে লাগলো চিন্তা করতে লাগলো সকালের ঘটনা

ঘুম থেকে উঠে নিচে নামতে দারোয়ান এসে তানিশা আয়মানের হাতে চিঠি দিয়ে বলো আদ্র দিয়েছে। চিঠি খুলতেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো তানিশা আয়মানের আদ্র এসব কী লিখেছে?

এখন এসবের মানে কী? আদ্র কে কয়েকবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ বলছে।

বর্তমান

একটু আগে মেঘের জ্ঞান ফিরেছে। মেঘ ছলছল নয়নে তাকিয়ে রইলো তানিশা আয়মান দিগে …….

ফুপি আমি কী এতোটাই খারাপ যে আমাকে ভালোবাসা যায় না?

তানিশা আয়মান মেঘের জড়িয়ে দরে বললো এসব কী বলছিশ মেঘ তুই খারাপ হতে যাবি কেন?
আমি তো মনে করি তাদের ভাগ্য খারাপ যে তোকে মেনে নিতে পারে নি।

মেঘের চোখ দিয়ে অজস্র অশ্রু ঝরছিল। মেঘের জীবনটা কেমন এলো মেলো হয়ে গেছে। সবকিছু ছন্নছাড়া। তার জীবন যেন হেলায় ভেসে চলেছে।

চলবে