তোমাকে_প্রয়োজন
আরোশি_ইসলাম_তিশা
পর্ব ৮,৯
” কিছু কিছু মুখের আদল বুকের মধ্যে দাগ কে*টে যায়, বুকটা ধড়ফড়ি ওঠে প্রচন্ড রকমের”।
এইযে মেঘের মনটা আজ ভালো না খা*রাপ সে বুঝতে পারছে আদ্র আজ থেকে মেঘ কে পড়াতে আসবে এটা শুনে যেমন তার ভালো লাগছে তেমনি খা*রাপও লাগছে৷ কারণ মানুষটা অন্য কারো জন্য বরাদ্দ কথাটা ভাবলেই হাহাকার করে উঠে। প্রচন্ড রকমের খা*রাপ লাগা বয়ে যায়। মনে হয় তার শ্বাস – প্রশ্বাস নিতে ক*ষ্ট হয়।
আচ্ছা, মানুষটা তার হয়ে থাকলে খুব বেশি কী ক্ষতি হয়ে যেতো?
ফের,যখন বাস্তবতায় ফিরে আসে তখন মনে হয় না ওনি কখনোই আমার হতে পারেনা।
“মানুষটা যে তার কখনোই ছিল না ”
মেঘের সমানে অনেকগুলো বই রাখা কিন্তু বইয়ের দিগে তার কোন মনোযোগ নেই। তার মন মস্তিষ্ক যেন দ্বিধায় পরেছে। এইযে তার সামনে জলজ্যান্ত একটা মানুষ দাড়িয়ে আছে সেদিকে তাঁর খেয়াল নেই।
আদ্র মেঘ কে কয়েকবার ডাকলো কিন্তু কোন উওর পেল না।
আদ্র খ্যাক খ্যাক করে কিছুটা কেশে উঠলো। মেঘ বিস্মিত নয়নে তাকিয়ে রইলো।
আপনার কী তাকিয়ে থাকা শেষ হয়েছে মেঘ?
মেঘ কিছুটা অপস্তুত হয়ে বললো আসলে আদ্র ভাই আপনি কখন এসেছেন আমি ঠিক খেয়াল করেনি।
আমি অনেকক্ষণ আগেই এসেছি আর আপনি তো মনে হয়না দুনিয়ার কোন খেয়ালে ছিলেন। কী এতো ভাবছেন আপনি?
মেঘ কিছুটা ক*ষ্ট পেল কারণ আদ্র তাকে আপনি করে বলে সে আদ্র থেকে ছোট হওয়া সত্বেও তাকে আপনি করে বলে।
আদ্র বেশ কিছুক্ষণ মেঘকে পড়া নিয়ে কিছু জিনিস বুঝিয়ে দিচ্ছে কিন্তু সেদিকে তাঁর খেয়াল নেই সে তো আদ্র কে দেখতে ব্যস্ত।
এইযে সে তাঁর মনকে বুঝাচ্ছে ওই দিগে তাকানো যাবল না। কিন্তু বে*হা*য়া মনটা যেন কোন বারণ শুনে না।
আদ্র এইবার মেঘকে ধ*মক দিয়ে বলল আপনি কী আমার কথা শুনছেন মেঘ?
মেঘ কিছু বিস্মিত নয়নে তাকিয়ে রইলো। আসলে আমি বুঝতে পেরেছি আদ্র ভাই।
তারপর দুই ঘন্টা কেটে গেল আদ্র মেঘকে পড়া বুঝিয়ে চলে গেল। অনেকক্ষণ ধরে পড়ার ফলে মেঘের মাথাটা প্রচন্ড রকমের ব্যাথ্যা করছিল। মেঘ ওয়াশরুম ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় এক কাপ কফি নিয়ে দাড়িয়ে ছিল। তাঁর মনটা যেন বিষন্নতায় ছেয়ে গেছে। এ অদ্ভুত মায়ায় জড়িয়ে আছে তাকে।
আচ্ছা, নিজেকে নিজের চেনা দায়!
পথে পথে ঘুরে একা
হতাশা হতাশা মেরুদন্ডের বক্রতা!
কি খুঁজি? কারে খুঁজি?
হেরে যাই হারিয়ো যাই, ভুলে যাই ;
নিজেকে নিজের চেনা দায়।
তপ্ত শ্বাস ফেললো মেঘ। নিজেকে নিজের সাথে লড়াই করতে হচ্ছ প্রতিনিয়ত। এই আমিটার সাথে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত তাঁর শরীর।
এদিকে আদ্র একটা লোককে ফোন করল কয়েকবার রিং হতে লোকটা ফোনটা রিসিভ করে বললো স্যার,কাজটা শেষ হতে আরও কিছু সময় লাগবে।আদ্র মুখটা রা*গে গজগজ করছে। আর কত! আর কত সময় লাগবে! ফোনটা কেটে দিয়ে ফোনটা মেঝেতে ছুড়ে ফেললো সাথে সাথে ঝনঝন শব্দে হয়ে ভে*ঙে গেল। তার মনটা বিষন্ন। চারপাশে হাহাকার। প্রিয়তমাকে কাছে পেয়েও ক*ষ্ট দিতে হচ্ছে তাকে।
” নিজ হাতে প্রিয়তমাকে কষ্ট দেওয়ার চেয়ে মৃত্যু শ্রেয় মনে হচ্ছে তার কাছে”
তোমাকে_প্রয়োজন
লেখিকা : আরোশি ইসলাম তিশা।
পর্ব : ৯
কেটে গেছে দুটো মাস। এই দুই মাসে আদ্র মেঘকে প্রতিদিন পড়াতে আসতো। প্রায় বেশ কদিন ধরে আদ্র আর মেঘকে পড়াতে আসেনা। মেঘের মনটা এজন্য খারাপ হয়। নিবিড়ের সাথে এই দু মাসে বন্ধুত টাও গারো হলো। নিবিড় বুঝতে পারে মেয়েটা আদ্রকে ভালোবাসে, কিন্তু প্রকাশ করে না।
নিবিড় একটা রেস্তোরাঁয় বসে মেঘের জন্য অপেক্ষা করছে। মেয়েটার জন্য বড্ড মায়া হয় তার ও যদি পারতো তাহলে ওর জীবনের সব ক*ষ্ট দূর করে দিত।চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হয় মায়াবতীর ক*ষ্ট লাঘব করতে। নিবিড় কফিতে চুমুক দিতেই মেঘ তড়িঘড়ি করে রেস্তোরাঁর ভিতরে ঢুকলো নিবিড় ইশারা দিতেই পাশে এসে বসলো।আজ নিবিড় অনেকটা সাহস নিয়েই জিজ্ঞেস করলো মেঘ তুমি কী আদ্র স্যার কে ভালোবাসো।
নিবিড় এমন প্রশ্ন মেঘ অবাক হলো না। ছেলেটা হয়তো একদিনে বুঝে গেছে তাই আর কথা ঘুরালো না। সরাসরি জবাব দিলো হ্যাঁ, ভালোবাসা আদ্র ভাইকে আমি ছোট থেকে ভালোবাসি। ছোট থেকে ওনার জন্য আমার একটা অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু আমি এই অনুভূতি বুঝতে পারিনি বুঝতে পারি তখন যখন ওনি আমার থেকে দূরে চলে গেছেন।
” জানতো প্রিয় মানুষের শূন্যতা বড় কাদায় ”
কথাগুলো বলার সময় মেঘের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল। মেঘের চোখ জল দেখে নিবিড় ভিতরে চিন চিন ব্যথ্যা অনুভব করছে। নিবিড় মেঘকে জিজ্ঞেস করলো মেঘ তুমি আদ্র স্যার কে বলেছো তুমি ওনাকে ভালোবাসো।
না। এখন আর বলে লাভ নেই ওনি কখনো আমার হবে না। অনু আপুর সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আর ওনি আমাকে পছন্দ করে না ভালোবাসে না আমাকে । একবার বলে তো দেখো মেঘ।
কী হবে বলে ওনি আমাকে ভালোবাসেন না। তবুও একবার বলে তো দেখো। এখন সব কিছু শেষ হয়ে যায় নি মেঘ এতে তোমাদের তিন জনের জীবন জড়িয়ে আছে।
আমি পারবো না আমার বোনের সুখ কেড়ে নিতে আমি পারবো না বলেই মেঘ কান্না ভে*ঙে পড়ে। নিবিড় মেঘকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। মেঘ কীভাবে তাঁর বড় বোনের বিয়ে ভে*ঙে দিবে। কিন্তু আজ যদি মেঘ না বলতে পারে তাহলে ভিতরে ভিতর দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যাবে। প্রিয়তমাকে কী করে শেষ হয়ে যেতে দেখবে নিবিড়।
হয়তো বলা হবে না প্রিয়তমাকে ভালোবাসার কথা। বলা হবেনা তার অনুভূতির কথা। সব কথা অব্যক্ত রয়ে যাবে আজীবন।
” বাড়িতে এসে একটা সংবাদ শুনে মেঘের মাথায় আকাশ ভে*ঙে পড়লো। তিন দিন পর আদ্র আর অনুর বিয়ে। মেঘের হৃদয় টা ভে*ঙে চুড়মার হয়ে গেল। অনু এসে মেঘকে জড়িয়ে দরে বললো আর তো কয়েকদিন আছি মেঘ এরপর তো শশুর বাড়িতে চলে যাবো আর তোর সাথে গল্প করা হবে না। মেঘের চোখ দিয়ে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো সবার অগোচরে সেই জলে মুছে নিল মেঘ।
ও আপু তুমিও না মন খা*রাপ করছো কেন?
আমি তো যাবো তোমার সাথে দেখা করতে তখন অনেক গল্প করবো। আচ্ছা, তুমি ছাড়ো তো আমার কতো কাজ আমার আপুর বিয়ে বলে কথা। বলেই মেঘ রুমে চলে গেলো।
মেঘ রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় ফ্লোরে বসে হাউমাউ করে কাদঁতে থাকে। রোম সাউন্ড প্রোফ বলে কান্নার আওয়াজ বাইরে থেকে শুনা যায় না। মেঘের হ্রদয়টা ভে* ঙে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। মেঘের হ্রদয় যেন কেউ বার বার ছু*ড়ি দিয়ে আঘাত করছে।
বিকালের দিকে অনুকে তানিয়া বেগম বিয়ের কেনাকাটা করার জন্য তৈরি থাকতে বলেছে। অনু মেঘের রুমে গিয়ে কয়েক বার ডাকলো কিন্তু কোন সাড়া পেল না ও মনে করলো হয়তো ঘুমিয়ে আছে তাই বিরক্ত করলো না।
অনু তৈরি হয়ে মেঘের রুমে এসে বসলো। মেঘ ফুপি কিছু কেনাকাটা করার জন্য তৈরি থাকতে বলেছে তুইও তৈরি হয়ে নে তাড়াতাড়ি।
ও আপু আমি কেন যাবো?
তুই কেন যাবি মানে তুই আমার বিয়ের শাড়ি থেকে শুরু করে যা যা প্রয়োজন সব কিছু তুই পছন্দ করে দিবি। আর না শুনতে চাই না মেঘ।
মেঘ আর কথা বাড়ালো না। তৈরি হয়ে নিল।
একটা কালো গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আদ্র। কালো কোর্ট আর হাতে ব্রান্ডের ঘড়ি চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করা। সব সময়ে মতো আজকেও দেখতে সুন্দর লাগছে। মেঘ আর অনু এগিয়ে যেতে গাড়ির দরজা খুল দিল আদ্র মেঘ আদ্র দিকে একপলক তাকিয়ে তপ্ত নিশ্বাস ফেলে গাড়িতে উঠে বসলো।
একটা বড় শপিং মলে এসে গাড়িটা থামলো। তারা তিন জন মিলে একটা শাড়ির দোকানে ঢুকল।সব কিছু আগে থেকেই কেনা হয়ে গেছে শুধু শাড়ি টা বাকি ছিল।
অনু একটার পর একটা শাড়ি দেখছে আর মেঘকে বলছে মেঘ একটা পছন্দ করে দে না কোন টা নিবো ভেবে পাচ্ছি না।
আদ্র অনুকে বললো আপনাদের এখানে না পছন্দ হলে অন্য দোকানে দেখতে পারেন।
না না আসলে কোন টা নিবো ভেবে পাচ্ছি না। মেঘের নজর গেল একটা কালো শাড়ির দিকে মেঘের কাছে লাল কালার টা ভালো লাগে তবে কালো শাড়ি টা যেন অসম্ভব সুন্দর লাগছে আজকে। মেঘ শাড়িটা অনুকে দেখিয়ে বললো দেখ তো ওটা কেমন অনু শাড়ি টার দিগে একবার তাকিয়ে বললো অনেক সুন্দর কিন্তু ওটা তো কালো আর বিয়েতে কালো পড়বো না মেঘ। তারপর আরও বেশ কয়েক টা শাড়ি থেকে একটা পছন্দ করলো অনু।
আচ্ছা, আপনাদের হয়েছে। চলুন রেস্টুরেন্টে যাওয়া যাক।
আপনারা যান আমার একটা ইম্পর্ট্যান্ট কল করার আছে। আমি আসছি।
আদ্র মেঘের পছন্দের শাড়ি টা কিনে নিল। বাইরে এসে দেখল মেঘ আর অনু দাড়িয়ে আছে।
চলুন যাওয়া যাক।
চলবে,,,,,,
তোমাকে_প্রয়োজন
আরোশি_ইসলাম_তিশা
পর্ব ১০
” তোমার জন্য এই হৃদয়ে মহাকাব্যের উত্থান হয়ে অতীত হয়ে গেছে সব। এই পৃথিবীতে দলিল হয়ে গেছে অজস্র আবেগ অনুভূতি!
নামহীন যত ভালোবাসা ; অশ্রু বেনামি!
নিয়ে গেছে সব। আজ যখন হৃদয় খুলে দেখি নিজের কি আছে!
সে কী নীরবতা! হাহাকার সব।
কথাগুলো লিখে ডাইরি টা বন্ধ করলো মেঘ। কাল অনুর গায়ে হলুদ মেহমানরা আজ থেকে আসা শুরু করে দিয়েছে। অনু মেঘের রুমে এসে দেখে ও চুপচাপ বসে রয়েছে।
কীরে এইভাবে মন খারাপ করে বসে আছিশ কেন?
কী সব আবল তাবোল বলছো মন খারাপ করে কেন থাকবো?
তাহলে রুমে বসে আছিশ কেন?
ও আপু ভালো লাগছে না। অনুকে জড়িয়ে দরে বললো তুমি কী আমাকে ভুলে যাবে আপু?
শোন, ভুল যাবো কেন?
আমি কী দূরে কোথাও যাচ্ছি। আর আমি কী আমার এই ছোট পাখিটাকে ভুলতে পারি। আর তুই মন খারাপ করবি না একদম। তুই যদি মন খারাপ করে বসে থাকিশ তাহলে আমারও মনটা খারাপ হয়ে যাবে।
হুম, মেঘ আপুর বিয়েতে কই হৈ-হুল্লোড়ের করবে তা না রুমে বসে শোক পালন করছে কথাটা বলতে বলতে রুমে ঢুকলো নিবিড়।
আপনি এখানে?
হুম তুমি দাওয়াত দিতে ভুলে গেলেও আন্টি কিন্তু ভুলে নি। আমার তো মনে হচ্ছে তুমি না আন্টি আমার ফ্রেন্ড।
আসলে আমি বলবো ভেবেছিলাম। বলা হয়ে উঠেনি।
আচ্ছা, তোমরা দুজন কথা বল। আমি যাই আমার ফ্রেন্ডরা আসবে কখন কল করে জিজ্ঞেস করতে হবে।
মেঘ তোমাকে এই ভাবে ভালো লাগছে না। তোমার অধর কোণের হাসি টা নেই কেন?
বিষন্নতায় জীবন টা ছেয়ে গেছে নিবিড়। আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আমি আর পারছি।
মেঘ নিজেকে সংযত করো। এভাবে চলে না। নিজের উপর বিশ্বাস রাখো সব ঠিক হয়ে যাবে।
আচ্ছা, নিবিড় ওনি আমার হলে কী খুব বেশি ক্ষতি হতো?
নিবিড় তপ্ত শ্বাস ফেললো। তার মনে অনেক কথা অব্যক্ত রয়ে গেছে। হয়তো বলা হবে না কখনো,
মেঘ,তোমাকে কখনো আমি বন্ধুর মতো দেখেনি। দেখছিলাম আমার রাজ্যের রানীর মতো। মায়াবতী গল্প বলা হবেনা। সব কথা অব্যক্ত রয়ে যাবে আজীবন।
কালকে গায়ে হলুদের কোথায় কী হবে সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে তানিশা আয়মান।
আদিয়াত আয়মান আদ্র কোথায় গিয়েছে জিজ্ঞেস করলেন?
ও আদ্র এয়ারপোর্টে গেছে ভাবিদের আনতে।
ও আদ্র আসলে আমার সাথে দেখা করতে বলো।
আচ্ছা।
” একটা বড় রেষ্টুরেন্টে বসে আছে আদ্র সাথে তার তার ভাই। যার সাথে ছোট থেকে বড় হয়েছে। ভাইয়ের থেকে বেশি বন্ধু। যার কাছে আদ্র সব কথা মন খুলে বলতে পারে।
কিছু বল আদ্র। সেই কখন এয়ারপোর্ট থেকে এসেছি।
চুপ করে বসে আছিশ কেন?
আদ্র তপ্ত শ্বাস ফেলে বললো। কাল গায়ে হলুদ। মাঝেখানে যদি একটা ভুল হয়ে যায় তাহলে আমাদের তিনজনের জীবন তছনছ হয়ে যাবে। এ-তো দিন ভয় না করলেও এখন কিছুটা নার্ভাস ফিল করছি।
আচ্ছা, মেঘ কে বলেছিস মনের কথা। নাকি এভাবে আরও নিজেকে কষ্ট দিবি। তুই এভাবে থাকলে ভালো থাকবি না আদ্র। এভাবে তোরা ভালো থাকবি না।
আমি চেষ্টা করছি সবকিছু ঠিক করার কিন্তু বাবা যদি মেঘের কোন ক্ষতি করে দেয়।
আমি আমার জীবন নিয়ে ভাবিনা। কিন্তু মেঘের কিছু হয়ে গেলে আমি বাঁচত পারবো না জয়।
জয় তাকিয়ে আছে এক প্রেমিক পুরুষের দিকে যে কীনা তার জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসে তার প্রিয়তমাকে।
আদ্র আর জয় বাড়িতে ফিরতেই তানিশা আয়মান আদ্রকে জিজ্ঞেস করলেন এতো দেরি হলো কেন?
আসলে মা, আমি আর জয় শপিং মলে গিয়েছিলাম।
ও তোর বাবা তোকে দেখা করতে বলেছেন।
” তুমি আলো না হও আঁধার হয়ে থেকে যাও আমার জীবনে প্রতিটা রাত। তবুও তুমি থেকে যাও। তুমি থেকে যাও আমার ঘোর লাগা মেঘ জড়ানো ভালোবাসায়।তোমার নামে সন্ধ্যা নামুক আমার এই জীবনে “।
কথাগুলো লিখে ডাইরি টা বন্ধ করলো আদ্র। মেঘের থেকে দূরে যাওয়ার পর থেকে আদ্র ডাইরি লেখা শুরু করেছে। লিখেছে মনে অব্যক্ত অনুভূতি।
চলবে