তোমাতেই রহিব বিলীন পর্ব-১৭

0
890

#তোমাতেই_রহিব_বিলীন
#পর্ব_১৭
#নিশাত_জাহান_নিশি

“এতো ব্যাথা চেঁপে রেখেছিলেন বুকে? অথচ কখনো মুখ ফুটে কিছু বলেন নি! ভালো ছিলেন তো আমায় ছাড়া? দীর্ঘ দেড়টা বছর?”

আহনাফ বিদ্রুপ সূচক হেসে বললেন,,

“ভালো থাকা? কিভাবে ভালো থাকতে হয়, কিভাবে ভালো থাকা যায় তাই ভুলতে বসেছিলাম প্রায়! দিন, রাত এক মনে হতো। প্রকৃতির কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ে নি। নিজের মাঝেই ডুবে থাকতাম অষ্টপ্রহর। নাওয়া, খাওয়া ভুলে গিয়েছিলাম প্রায়। অপরাধবোধ কাজ করত ভীষন। কোনো কাজেই পর্যাপ্ত ধ্যান দিতে পারছিলাম না। নিজেকে সামলানোর মনোভাবটা ও বিলুপ্ত ছিলো প্রায়। একে তো তোমাকে ছেড়ে আসা। দ্বিতীয়ত, ভাবীর সাথে অন্যায় হচ্ছে জেনে ও মুখ বুজে সব মেনে নেওয়া। ভেতরে ভেতরে শুকনো লাকড়ীর ন্যায় দ্বগ্ধ হচ্ছিলাম। ফাইনালি বুঝতে পারলাম, আমি যা করছি অন্যায় করছি। রক্তের এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের টানে অনায়াসে একজন অন্যায়কারীকে আমি প্রশ্রয় দিচ্ছি। অনেক গুলো জীবন একসাথে নষ্ট করছি। আমার একটু ঘুড়ে দাঁড়ানো মানেই হলো, অনেক গুলো প্রিয় প্রাণ বেঁচে যাওয়া। আমার ভালোবাসার মানুষটাকে ও নিজের করে পাওয়া!”

“এতো বিলম্ব করলেন কেনো সবটা বুঝতে? আপনি জানেন? আপনার এই সামান্যতম ভুলের জন্য আমার আপুকে আরো দেড়টা বছর নষ্ট করতে হলো? একটা নরপশুর সাথে সংসার করতে হলো? তৃতীয় বার বেবি কন্সিভ করতে হলো! না জানি ঐ নরপশুটা আবার তৃতীয় বারের মতো আমার আপুকে ভুলভাল মেডিসিন খাইয়ে দিয়েছেন। আপুর চূড়ান্ত কোনো ক্ষতি করে দিয়েছেন!”

“আমি অনুতপ্ত প্রভা। ভীষন অনুতপ্ত। প্লিজ এসব বলে আমাকে আর নিজের বিবেকের কাছে ছোট করে দিও না। বিশ্বাস করো, আমি জেনে শুনে চাই নি ভাবীর কোনো ক্ষতি হউক। তবে কিভাবে যেনো এই বিরাট ভুলটা আমার দ্বারা হয়ে গেলো বুঝতেই পারি নি!”

“কাল সকালেই আমরা পুরো পরিবারের সামনে ঐ নরপশুটার মুখোশ খুলব আহনাফ। এবার অন্তত নিজের ভাইয়ের হয়ে অন্যায়ের সাথে আপোষ করবেন না প্লিজ। সদা সত্যের সাথে থাকবেন।”

“হৃদির বিয়ে দুদিন পর। এর মধ্যেই এসব?”

খড়তড় দৃষ্টিতে আমি আহনাফের দিকে চেয়ে বললাম,,

“কি চাইছেন কি আপনি? আমার আপু আরো দুদিন ঐ নরপশুটার সাথে এক ঘরে, এক বিছানায় রাত কাটাক? ঐ নরপশুটার সেবা, যত্ন করুক? তার মঙ্গলের কথা ভাবুক? নিজেকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবী করুক? আরো দুদিন তার সাথে সংসার করুক? সময়ের অপচয় করুক? তাকে নিয়ে মিথ্যে স্বপ্ন দেখুক? আরো দুদিন ঠকে যাক?”

“কি চাইছ কি তুমি? কি করতে চাইছ?”

“কালই আমরা আপুকে নিয়ে এই বাড়ি ছাড়ব। আর আপনার নরপশু ভাইকে জেলের ভাত খাওয়াবো। আমার আপু এই মিথ্যা সস্পর্কে আর একটা দিন ও ব্যয় করবে না।”

বসা থেকে উঠে আমি তেজী কন্ঠে আহনাফকে বললাম,,

“আমার চোখে এখন আপনি ও অপরাধী। আপনার জন্যই আমার আপুকে আরো দেড়টা বছর নষ্ট করতে হলো। নিজের ভাইকে বাঁচানোর জন্য আমার আপুর সাথে অন্যায় করলেন? বিবেকে বাঁধে নি আপনার?”

আহনাফ ভ্রু যুগল সংকুচিত করে আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে উত্তেজিত কন্ঠে বললেন,,

“তুমি আমাকে ভুল বুঝছ প্রভা। পরিস্থিতির চাঁপে পড়ে আমি তখন সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারছিলাম না ঠিকই তবে অনেকটা দেরি হয়ে গেলে ও আমি আমার ভুলটা বুঝতে পেরেছি। আমি ও চাই আমার ভাইয়া শাস্তি পাক। জাস্ট দুদিন সময় চেয়েছি আমি। হৃদির বিয়েটা হওয়ার পর পরই আমরা একটা সিদ্ধান্তে যাবো। তখন তোমাদের যা ঠিক মনে হবে তোমরা ঠিক তাই করবে। আমি বা আমার পরিবারের কেউ তোমাদের বাঁধা দিতে আসবে না।”

রগচটা ভাব নিয়ে আমি আহনাফের শার্টের কলার চেঁপে ধরে বললাম,,

“এক মুহূর্ত ও নষ্ট করতে চাই না আমি। কালই আমরা আপুকে নিয়ে এই বাড়ি ছাড়ব। সবসময় নিজেদের স্বার্থটাকে বড় করে দেখবেন না। অন্যদের দিকটা ও ভাবার চেষ্টা করবেন। সব সত্যি জানার পর কোনো মানেই হয় না আপুকে আরো দুদিন এই মিথ্যে সংসার নামক নরকে রেখে যাওয়া।”

আহনাফের শার্টের কলারটা ছেড়ে আমি ফুঁফিয়ে কেঁদে বললাম,,

“আমার রুম থেকে বের হোন আপনি। এই মুহূর্তে আপনাকে ও আমার সহ্য হচ্ছে না। প্লিজ লিভ মি এলোন প্লিজ।”

আহনাফ উদ্বিগ্নতা নিয়ে আমাকে ঝাঁকিয়ে আহত কন্ঠে বললেন,,

“প্লিজ প্রভা। অন্তত তুমি আমাকে ভুল বুঝো না। আমার অবস্থাটা বুঝার চেষ্টা করো। আমি কখনো চাই নি, ভাবীর কোনো ক্ষতি হোক। তবে ভাইয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটা ও জোগাতে পারছিলাম না। কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি আমার ভুল ত্রুটি গুলো বুঝতে পারছি প্রভা।”

অগ্নিশর্মা হয়ে আমি ধমকের স্বরে আহনাফকে বললাম,,

“কথা কানে যাচ্ছে না আপনার? রুম থেকে বের হতে বলেছি আমি আপনাকে। আমার মাইন্ড সেট হলে আমি নিজ থেকে আপনার সাথে কথা বলব। এখন আপনি যেতে পারেন।”

ধৈর্য্যে বোধ হয় চিড় ধরেছে আহনাফের। বিষন্ন মুখ ভঙ্গি পাল্টে আহনাফ ক্ষনিকের মধ্যে তেজর্শী ভাব নিয়ে হুট করেই আমার ঠোঁট জোড়া আঁকড়ে ধরে ছোট ছোট লাভ বাইটে আমার ঠোঁট জোড়াকে বিষাক্ত করে তুলছিলেন। প্রচন্ড ক্ষীপ্ত হয়ে আহনাফ অস্পষ্ট স্বরে বললেন,,

“রাগ, জেদ আমারো হয়। যখন তুমি আমার সাথে এভাবে রাগ দেখিয়ে কথা বলো। কেউ আমার সাথে উঁচু আওয়াজে কথা বললেই তাকে আমার খুন করে দিতে ইচ্ছে হয়। সে জায়গায় তুমি আমার কলার চেঁপে ধরে আমাকেই রুম থেকে বের হতে বলছ?”

আহনাফের জেদের সাথে পেরে উঠছিলাম না আমি। ক্রমাগত উনার জেদ বৃদ্ধি পেয়ে আমার ঠোঁটের যন্ত্রণা অত্যধিকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছিলো। এর মধ্যেই আহনাফ চোখ থেকে চশমাটা খুলে চশমাটা যেনো কোথায় একটা ছুড়ে ফেললেন আন্দাজই করতে পারলাম না আমি। লোকটা বোধ হয় নিজের বোধ বুদ্ধি হারিয়েছেন। প্রখর জেদের বশবর্তী হয়ে ঐদিনের বলা কথা গুলো ভুলতে বসেছেন। এসব তো আমাদের বিয়ের পরে হওয়ার কথা ছিলো তাই না? ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আহনাফ নিজেই আমার ঠোঁট জোড়া ছেড়ে রাগান্বিত চোখে আমার টলমল চোখে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন,,

“তোমার যা ইচ্ছা তুমি তাই করো। পারলে আজই, এই মুহূর্তে ভাবীকে নিয়ে নিজেদের বাড়ি ফিরে যাও। বাঁধা দিবো না তোমাদের। তবে আমার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করবে তো, আমি তোমাকে এমনি এমনি ছেড়ে দিবো না কিন্তু প্রভা। ভাইয়ার সাথে সাথে তোমাকে ও জেল বন্ধি করব। আমার মন ভাঙ্গার অভিযোগে!”

আহনাফ আর এক মুহূর্ত ও সময় ব্যয় করলেন না। ব্যালকনীর দরজার কাছে পড়ে থাকা আধ ভাঙ্গা চশমাটা দুপা দিয়ে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে রাগে গজগজ করে রুম থেকে প্রস্থান নিলেন। আহনাফের যাওয়ার পথে তাকিয়ে থেকে আমি চোখের জল ছেড়ে ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়লাম। ঠোঁট দুটো অসম্ভব রকম জ্বালা করছে আমার। রক্ত গড়িয়ে না পড়লে ও জখম হয়েছে নিশ্চয়ই। আহনাফের এই হিংস্র আচরনে কষ্ট পাই নি আমি মোটে ও৷ তবে আপুর সম্ভাব্য কষ্টে আমার কলিজাটা ফেঁটে রক্তক্ষরণ হচ্ছে!

______________________________________

সকাল ৭ঃ৩০ মিনিট বাজতেই আমার কাঁচা ঘুমটা ভাঙ্গল। আহনাফ যাওয়ার পর থেকে কাঁদতে কাঁদতে কখন যে চারদিকে ফজরের আযান পড়েছিলো সেই হুশ ছিলো না আমার। ঠিক আযানের পরর পরই আমার চোখে ঘুম লেগেছিলো। সেই ঘুম ভাঙ্গল মাএ। অস্ফুটে চোখে আমি ব্যালকনি থেকে উঠে প্রথমে ওয়াশরুমে প্রবেশ করলাম। কিছু সময়ের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে আমি ওয়াশরুম থেকে প্রস্থান নিয়ে সোজা দু তলার ডান পাশের রুমটায় চলে এলাম। ঐ রুমটাই আপু এবং জিজুর। ভেজানো দরজাটা শক্ত হাতে ধাক্কা মেরে আমি রুমে প্রবেশ করতেই দেখলাম আপু খুব যত্ন সহকারে জিজুর টি শার্ট গুছাচ্ছেন। কান্না চেঁপে আমি আপুর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আধো কন্ঠে বললাম,,

“আপু শুনছ?”

আপু মৃদ্যু হেসে পাশ ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,

“হুম বল। কিছু বলবি?”

স্থির চোখে আমি আপুর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বললাম,,

“খুব ভালোবাসো তুমি জিজুকে তাই না?”

আপু লজ্জামাখা হাসি দিয়ে বললেন,,

“সে আর বলতে? ভালোবাসি বলেই তো দীর্ঘ আড়াই বছর যাবত আরিফের সাথে সুখে, শান্তিতে সংসার করছি! তোর জিজু মানুষটাই এমন, যাকে ভালো না বেসে থাকা যায় না!”

তব্ধ শ্বাস ছেড়ে আমি পরমুহূর্তে বললাম,,

“যদি কখনো জানতে পারো জিজু তোমাকে ছাড়া ও অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে আছে বা ছিলো। তখন তুমি পারবে জিজুকে ছেড়ে দিতে?”

আপু অট্ট হেসে বললেন,,

“সকাল সকাল আমাকে রাগাবি বলে এসেছিস তাই না? ছোট বেলার অভ্যেসটা তোর আজ ও গেলো না!”

প্রসঙ্গ পাল্টে আমি পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে অস্থির কন্ঠে আপুকে বললাম,,

“জিজু কোথায়?”

“সকাল থেকেই দেখছি না। হয়তো কোনো কাজে বের হয়েছেন!”

পরক্ষনে আপু আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বললেন,,

“কেনো? কোনো দরকার আছে?”

ব্যতিব্যস্ত কন্ঠে আমি আপুকে বললাম,,

“জানো আপু? কাল মধ্যরাতে জিজু আমার রুমে প্রবেশ করে আমার কাঁথা ধরে টানছিলেন?”

মুহূর্তের মধ্যেই আপু চোখ,মুখ লাল করে বললেন,,

“কি যা তা বকছিস তুই? মাথা গেছে তোর?”

“আমি কোনো যা তা বকছি না আপু। জিজু তোমার সাথে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত ফ্লড করে যাচ্ছেন। আড়ালে উনার অসংখ্য পরকীয়া চলছে। তোমার বোনকে ও ছাড়ে নি ঐ দুশ্চরিএ, লম্পট লোকটা। আমার সর্বনাশ করতে ও উঠে পড়ে লেগেছিলেন!”

দম নেওয়ার সময়টা পেলাম না পর্যন্ত। ইতোমধ্যেই আপু ঠাস করে আমার গালে এক চড় বসিয়ে বললেন,,

“শাট আপ প্রভা। লজ্জা করছে না তোর? ভাই সম জিজু সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ কথা বার্তা বলতে? এতোটাই নিচে নেমে গেছিস তুই? তোর চোখে কি পৃথিবীর সমস্ত পুরুষ মানুষই খারাপ? এতো গুলো বছর তুই আমার দেবরের পেছনে লেগেছিলি কিছু বলি নি। কিন্তু আশকারা পেয়ে এখন তুই আমার হাজবেন্ডের পেছনে ও লাগলি? কথা গুলো বলতে একটু ও বিবেকে বাঁধল না তোর?”

ব্যাথাযুক্ত গালে হাত রেখে আমি কান্নাজড়িত কন্ঠে আপুকে বললাম,,

“বিশ্বাস করো আপু। আমি ইচ্ছে করে জিজুর পেছনে লাগি নি। জিজু সত্যিই আড়ালে তোমার সাথে প্রতারনা করছেন। তোমাকে ঠকাচ্ছেন। তুমি জানো আপু? বার বার কেনো তোমার বেবি মিসকারেজ হচ্ছিলো? জিজুর জন্য প্রতিবার তোমার বেবি মিসকারেজ হচ্ছে। জিজু তোমাকে ভুলভাল ঔষধ খাইয়ে বেবি নষ্ট করে দিচ্ছেন। অথচ তুমি আজও পর্যন্ত জিজুর এই চালাকিটা ধরতে পারো নি!”

দুটো চড় আরো বাড়তি পড়ল আমার গালে। রাগে গজগজ করে আপু উচ্চ আওয়াজে বললেন,,

“লিমিট ক্রস করছিস তুই প্রভা। আমার ভুলের জন্য বেবি মিসকারেজ হচ্ছে। আরিফের কোনো দোষ নেই এতে। আরিফকে আমি বিশ্বাস করি৷ কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমার বোনকে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না!”

চোখের জল ছেড়ে আমি আপুকে ঝাঁকিয়ে বললাম,,

“অন্ধ হয়ে গেছো তুমি আপু? ঠিক, ভুলের পার্থক্য ধরতে পারছ না? এতো বছর সংসার করে ও জিজুর আসল রূপটা তুমি ধরতে পারলে না? এতোটাই নির্বোধ, বোকা তুমি? আপন বড় বোন হও তুমি আমার। ছোট বোন হয়ে আমি কখনো তোমার ক্ষতি চাইতে পারি? আমার কথা যদি তোমার বিশ্বাস না হয়, তবে তুমি আহনাফ, নেহাল ভাই এবং তনিমা আপুর সাথে কথা বলতে পারো। তারা তোমাকে ফার্স্ট টু লাস্ট সমস্ত সত্যিটা খুলে বলবেন।”

ইতোমধ্যেই রুমে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি টের পেলাম। আপুর থেকে চোখ ফিরিয়ে আমি দরজার দিকে নজর দিতেই কান্নারত অবস্থায় আম্মুকে দেখতে পেলাম। আঁচল চেঁপে কেঁদে আম্মু আপুকে উদ্দেশ্য করে বললেন,,

“পল্লবী! ব্যাগপএ গুছিয়ে নে। আজই আমরা বাড়ি ফিরব। তুই ও আমাদের সাথে আমাদের বাড়ি ফিরবি!”

#চলবে…?