তোমাতে আসক্ত আমি পর্ব-৪৮ এবং শেষ পর্ব

0
529

#তোমাতে_আসক্ত_আমি
#ইরিন_নাজ
#পর্ব_অন্তিম

বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে আরশি। ঝ*ড়ো হাওয়া এসে ক্ষণে ক্ষণে দেহে আ*ছ*ড়ে পড়ছে। উড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে তার শাড়ির আঁচল এবং উন্মুক্ত কেশ। তবে এসবে হেলদোল নেই আরশির। সে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অন্ধকার আকাশের দিকে। আজও আকাশে ঘন কালো মেঘ জমেছে। মেঘ জমেছে আরশির মনেও। ওই অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকট অ*ভি*যোগ করতে ব্যস্ত আরশি। কেনো তার বাবা কে বিনাদো*ষে এতো ক*ঠি*ন, য*ন্ত্র*ণা*দায়ক মৃ*ত্যু পেতে হলো! তার বাবা তো কখনো কারোর কোনো ক্ষ*তি করে নি। তবে কেনো, কেনো এমন হলো তার সাথে!

ইরফান চৌধুরী কে সকল প্রমান সমেত পুলিশের হাতে তু*লে দিয়েছে আবরার। ব্যবস্থা করেছে যাতে ক*ঠি*ন থেকে ক*ঠি*ন শা*স্তি হয় ইরফান চৌধুরীর। সবকিছু মিটিয়ে বাড়ি ফিরতে বেশ রাত হলো আবরারের। বাড়ি ফিরে রুম অন্ধকার দেখে কপালে ভাঁ*জ পড়লো তার। বেলকনিতে মরিচ বাতির আলো জ্ব*ল*ছে দেখে সেদিকে পা বাড়ালো সে। বেলকনির কাছাকাছি পৌছতেই হৃদস্পন্দন থমকে যাওয়ার জোগাড় হলো আবরারের। শুভ্র শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে তার শুভ্রপরী। এ*লো*মে*লো, প্যাঁ*চা*নো শাড়ি দেখে বুঝা যাচ্ছে নিজেই কোনোমতে পেঁ*চি*য়ে পড়েছে সে। দীঘল কালো কেশ বাতাসে দু*ল*ছে। আরশি কে এভাবে দেখে ঢোক গি*ল*লো আবরার। চোখ বন্ধ করে নিজেকে ক*ন্ট্রো*ল করলো সে। ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো আরশির কাছে।

গলায় ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ পেতেই কেঁ*পে উঠলো আরশি। আকাশ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে গলার দিকে তাকাতেই চ*ম*কালো সে। এ যে তার বাবার দেয়া সেই লকেট, তার বাবার দেয়া শেষ উপহার! নিজের অতি প্রিয় কিছু ফিরে পেয়ে চোখ ভরে আসলো আরশির। আলতো করে লকেটটায় হাত ছোঁয়ালো সে। পিছন ফিরতে চাইলো কিন্তু তার পূর্বেই শ*ক্ত বন্ধনে আবদ্ধ হলো সে। এই স্পর্শ তার চেনা, খুব পরিচিত। এ যে তার ব্যক্তিগত পুরুষটার স্পর্শ। চোখ বন্ধ করে ফেললো আরশি। মাথা নিচু করে আরশির কাঁধে চিবুক ঠে*কা*লো আবরার। ধীর স্বরে বললো,

— এই লকেট আমি কোথায় পেলাম এটা ভেবে অবাক হচ্ছ নিশ্চয়ই। এই লকেট টা ভু*লবশত তোমার গলা থেকে খুলে আমার গাড়িতেই পড়েছিল সেদিন। তোমার প্রতি আমার অনুভূতি দিন কে দিন গাঢ় হচ্ছিলো তখন। বে*সা*মা*ল হয়ে পড়ছিলাম। কিন্তু তোমার মনে আমার জন্য কোনো অনুভূতি আছে কিনা বুঝতে পারছিলাম না। তাই সেদিন ঠিক করি আর কখনো নিজ ইচ্ছাতে তোমার সামনে যাবো না। সৃষ্টিকর্তা যদি চান তবে আমাদের আবার মুখোমুখি করবেন। ঠিক তখনই এই লকেট টা গাড়িতে পড়ে থাকতে দেখি। এটা তোমার লকেট বুঝার পরে ঠিক কতোটা খুশি হয়েছিলাম বলে বুঝাতে পারবোনা। এটা পাওয়া আমার জন্য একটা সংকেত ছিলো যেনো! আমাদের পুনরায় দেখা হওয়ার সংকেত। লকেট টা নিয়ে বাড়ি ফিরি। কৌতূহলবশত লকেট টা খুলে দেখেছিলাম। লকেটে থাকা তোমার বাবার পিক কিছু রহস্য খো*লা*সা করেছিলো। বুঝতে পেরেছিলাম তোমার বাবার খু*নী আর আমার শ*ত্রু একই লোক। তোমার আমার ভাগ্য হয়তো আরও অনেক বছর আগেই জুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা জানতাম না। সেদিন ঠিক করি যেদিন তোমার বাবার খু*নী কে ধরতে পারবো সেদিন তোমাকে লকেট টা ফেরত দিবো। তাই আজ দিলাম। লকেট টা হা*রি*য়ে খুব ক*ষ্ট পেয়েছিলে তাইনা মিসেস অদ্ভুত চোখওয়ালি?

আবরারের বুকে মাথা ঠে*কা*লো আরশি। হাতের উপর হাত রেখে দূর আকাশের পানে দৃষ্টি তা*ক করে বললো,

— ক*ষ্ট তো অনেক পেয়েছিলাম। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ফিরে পেয়ে তারচেয়ে বেশি আনন্দ লাগছে। তাই এবারের মতো মা*ফ করলাম।

নিঃশব্দে হাসলো আবরার। আরশির মতো ঘন কালো আকাশের দিকে দৃষ্টি তা*ক করলো। কিছুক্ষন থেমে থেকে হুট করে প্রশ্ন করলো,

— তোমার প্রতি আমার যে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করতো তা কি তুমি বুঝতে না মিসেস অদ্ভুত চোখওয়ালি? আমি যে তোমার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছিলাম তা কি তুমি বুঝতে না? আমার চোখে কি তোমার জন্য অন্যরকম কিছু দেখতে না?

ঠোঁট বা*কি*য়ে হাসলো আরশি। চোখ বন্ধ করে শান্ত কণ্ঠে বললো,

— আপনার চোখে নিজের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা দেখি আমি এমপি সাহেব। আপনার না বলা অনুভূতিই আমাকে বা*ধ্য করেছে আপনাকে ভালোবাসতে। প্রথমবার যেদিন আমায় কি*ড*ন্যা*প করিয়েছিলেন সেদিন ই আপনার চোখে নিজের জন্য অন্য কিছু দেখেছিলাম। এরপর আপনার করা প্রতিটা কাজে, আপনার প্রতিটা কথায় নিজের জন্য কেয়ার, ভালোবাসা খুঁজে পেতাম। তবে মন মানতে চাইতো না। মনে হতো আমি ভু*ল ভাবছি। এটা কি করে সম্ভব! কোথায় আপনি আর কোথায় আমি! আবার রিফার সাথে হওয়া ঘটনা! ওসব শোনার পর ধনী ঘরের ছেলেদের প্রতি কেমন যেনো অ*বিশ্বাস, ভ*য় চলে এসেছিলো মনে। ভাবতাম তারা শুধু ঠ*কা*তে জানে, ভালোবাসতে নয়।

আরশির প্রতিটা কথায় চ*ম*কা*চ্ছে আবরার। কি সহজ স্বীকারোক্তি মেয়েটার! আরশি কিছুক্ষন থেমে ফের বলতে লাগলো,

— তবুও মন কে আ*ট*কা*তে পারছিলাম না। বুঝতে পারছিলাম আমিও ধীরে ধীরে আপনার প্রতি দু*র্ব*ল হয়ে পড়ছি। আপনি যখন মুনের সাথে কথা বলতেন, ওর প্রশংসা করতেন তখন প্রচুর রা*গ হতো, জে*লা*সি কাজ করতো। ইচ্ছা হতো আপনাকে টে*নে দূরে কোথাও নিয়ে যাই, কোথাও লু*কি*য়ে রাখি। মাঝে মাঝে আপনার চুল টে*নে ছিঁ*ড়*তে ইচ্ছা করতো।

কথা শেষ করে খিলখিল করে হাসতে লাগলো আরশি। মুগ্ধ হয়ে সেই হাসির শব্দ শুনতে লাগলো আবরার। আরশির হাসির শব্দ মিলিয়ে যেতেই অবাক কণ্ঠে প্রশ্ন করলো,

— যদি তুমি আমাকে পছন্দ ই করতে তবে কেনো আমাকে ই*গ*নো*র করছিলে? আর কেনোই বা আমার বিয়ের কথা শুনেও এতো স্বাভাবিক ছিলে? তোমার চোখে চোখ রাখলে মনে হতো তুমিও আমাকে ঠিক ততটাই চাও যতোটা আমি তোমায় চাই। কিন্তু আমার বিয়ের খবর শুনেও তোমার নির্লিপ্ত থাকা টা আমায় ভাবতে বাধ্য করেছিলো যে আমি ভু*ল ছিলাম।

আরশি বললো,

— ই*গ*নোর করা টা মুনের প্রশংসা করা আর আমাকে অ*প*মান করার শা*স্তি ছিলো। তবে ওই এক মাসে এটা বুঝে গিয়েছিলাম যে আপনি সত্যিই আমাকে ভালোবাসেন। আর রইলো বিয়ের কথা। আমার বিশ্বাস ছিলো আপনি বিয়ে টা করবেন না। যেভাবেই হোক ভে*ঙে দিবেন। তবে আপনি যে আমাকে তু*লে নিয়ে গিয়ে ডিরেক্ট বিয়ে করবেন তা ভাবনার বাহিরে ছিলো।

আবরার অবাক ভাব নিয়েই জিজ্ঞাসা করলো,

— তবে কি তুমি বা*ধ্য হয়ে আমায় বিয়ে করো নি?

মুখ বাঁ*কা*লো আরশি। ভাব নিয়ে বললো,

— আপনার কি মনে হয় আমি, আরশি আপনার ওই থ্রে*টে ভ*য় পেয়ে আপনাকে বিয়ে করেছি? অবশ্যই না। আমি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় আপনাকে বিয়ে করেছি। দুনিয়া উ*ল্টা*য় গেলেও যে আপনি রিফার কোনো ক্ষ*তি করবেন না ওটা আমার ভালো করেই জানা ছিলো।

মুখ টা হা হয়ে গেলো আবরারের। তার মিসেস অদ্ভুত চোখওয়ালি তো তার ভাবনার চেয়েও দুই কদম এগিয়ে! কোনোমতে মুখ টা বন্ধ করলো আবরার। স্ব*স্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো সে। আরশি কে থ্রে*ট দিয়ে বিয়ে করার জন্য এতদিন যাবৎ মনের মাঝে অ*প*রা*ধবোধ কাজ করছিলো আবরারের। যা আজ দূর হলো। আবরার আরশির কপোলে নিজের কপোল ছুঁইয়ে ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা করলো,

— তা আজ এমন ভ*য়ং*কর রূপ নেয়ার কারণ টা কি?

হাসলো আরশি। উদরে রাখা আবরারের হাত দুটো সরিয়ে পেছন ফিরলো। আরশির মুখের দিকে তাকানো মাত্র আরেক দফা ঢোক গি*ল*লো আবরার। এই মেয়ে আজ নি*র্ঘা*ত তাকে মে*রে ফেলবে। এভাবে কে সাজতে বলেছে মেয়েটাকে!

আরশি পিছন ফিরে পা উঁচু করে আবরারের গলা জড়িয়ে ধরলো। ব্যালেন্স রাখতে স*ম*স্যা হচ্ছে দেখে কাঁ*পা কাঁ*পা হাতে আরশির কোমর আঁ*ক*ড়ে ধরলো আবরার। আরশি আবরারের চোখে চোখ রেখে বললো,

— দুটো কারণে সেজেছি। প্রথম কারণ, মন খা*রা*প ছিলো। মন খা*রা*প থাকলে সাজলে নাকি মন ভালো হয়। তাই একটু ট্রাই করে দেখলাম। আর দ্বিতীয় এবং মেইন কারণ, শুভ্র পোশাক পড়লে, চুল খুলে রাখলে, হালকা একটু সাজলে আপনি যে আমার উপর থেকে নজর সরাতে পারেন না, সারাক্ষন আমায় মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখেন ওই দৃষ্টি আমার বড়ই ভাল্লাগে।

আরশির কাজল টা*না চোখে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ালো আবরার। কণ্ঠে মুগ্ধতা মিশিয়ে বললো,

— আমি শুধু তোমাতেই মুগ্ধ মিসেস অদ্ভুত চোখওয়ালি। #তোমাতে_আসক্ত_আমি। খুব বা*জে ভাবে আসক্ত। তোমার প্রতি আমার এমন আ*স*ক্তি রয়েছে যেই আ*স*ক্তি কখনো শেষ হবার নয়। যেদিন প্রথম তোমার চোখে চোখ রেখেছিলাম সেদিনই নিজের মাঝে কিছু একটা অনুভব করেছিলাম। তোমার ধা*রা*লো দৃষ্টি আ*ঘা*ত করেছিলো আমার হৃদয়ে। বাড়ি ফিরেও তোমার এই চোখ দুটো, তোমার ধা*রা*লো দৃষ্টি এক মুহূর্তের জন্য ভু*লতে পারছিলাম না। কিন্তু তোমার করা অ*প*মান ও ভু*লতে পারছিলাম না। তোমাকে ভ*য় দেখাবো বলে কি*ড*ন্যা*প করাই। কিন্তু তোমার চোখে ভ*য়ে*র ছিটাফোঁটাও দেখিনি আমি। তোমার আচরণ, তোমার তে*জ, ধা*রা*লো দৃষ্টিতে তাকানো বারংবার মুগ্ধ করছিলো আমায়। একসময় বুঝে যাই এই অদ্ভুত চোখওয়ালি মেয়েটার প্রতি বা*জেভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছি আমি। তাকে ছাড়া আমার কিছুতেই চলবে না। তাকে না দেখলে, নিজের না করতে পারলে পা*গ*ল হয়ে যাবো আমি। প্রথমে ভেবেছিলাম তোমাকে সবকিছু জানাবো। তোমার অনুমতি নিয়ে তবেই বিয়ে করবো। কিন্তু তোমাকে নির্লিপ্ত দেখে মনের মাঝে ভ*য়ে*র সৃষ্টি হয়। তুমি যদি রাজী না হও সেই ভ*য়ে কি*ড*ন্যাপ করে থ্রে*ট দিয়ে বিয়ে করি তোমাকে। তোমাকে ছাড়া নিজেকে কল্পনাও করতে পারি না আমি। আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা তুমি। তোমাকে আরও দুই বছর আগে থেকে কল্পনা করি আমি জানো! স্বপ্নে দীঘল কালো কেশের এক মেয়ে কে দেখতাম আমি যার হাসির শব্দ অবিকল তোমার মতো। কিন্তু তার মুখ টা দেখার পূর্বেই স্বপ্ন ভে*ঙে যেতো। প্রথমবারের মতো সেই মেয়ের মুখ দেখি আমাদের বিয়ের রাতে। আর সেই মেয়ে অন্য কেউ নয় তুমি।

থামলো আবরার। আরশি কণ্ঠ খাঁ*দে নামিয়ে শুধালো,

— এতো ভালোবাসেন আমায় এমপি সাহেব?

আবরার জড়িয়ে আসা কণ্ঠে উচ্চারণ করলো,

— ভালোবাসি, অনেক অনেক ভালোবাসি আমার মিসেস অদ্ভুত চোখওয়ালি কে।

আবরার কিছু সময় এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আরশির দিকে। অতঃপর জিজ্ঞাসা করলো,

— তা আমার মিসেসের মন টা কি ভালো হয়েছে?

আরশি আবরারের বুকে হাত ঠে*কি*য়ে বললো,

— ভালোবাসার মানুষের সান্নিধ্যে আসলে কার না মন ভালো হয়!

আবরার নে*শা*লো কণ্ঠে বললো,

— কিন্তু আমার যে মন ভালো নেই। তোমাকে এভাবে দেখে যে আমার নিজেকে পা*গ*ল পা*গ*ল লাগছে। ইচ্ছা করছে তোমাকে গভীর ভাবে স্পর্শ করতে। কিন্তু এর অনুমতি আমার আদোও আছে কিনা জানা নেই।

আবরারের আরও নিকটে গেলো আরশি। কপোলে ঠোঁট ছুঁইয়ে বললো,

— আমি আপনার স্ত্রী এমপি সাহেব। আপনার অধিকার আছে আমাকে ছোঁয়ার। তবুও যে আপনি আমার অনুমতি ব্যতিত আমাকে এতদিন যাবৎ স্পর্শ করেন নি তাতে আমার মনে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা কয়েক গুন বেড়ে গেছে। ভালোবাসি এমপি সাহেব। ধন্যবাদ আমাকে গ্রহণ করার জন্য, এত্তো এত্তো ভালোবাসার জন্য।

আরশির মুখে ভালোবাসি শব্দ টা শুনে কেঁ*পে উঠলো আবরার। নিজেকে আর নি*য়*ন্ত্র*ণ করতে পারলো না সে। অ*স্থি*র হয়ে একনাগাড়ে আরশির সারা মুখে অধরের স্পর্শ দিতে লাগলো। বাঁ*ধা দিলো না আরশি। চোখ বন্ধ করে আবরারের স্পর্শ গুলো উপভোগ করতে লাগলো। আজ আর কোনো বাঁ*ধা নেই তাদের মাঝে। তারা দুজনেই নিজেদের মনের মাঝের লু*কা*নো ভালোবাসা প্রকাশ করেছে একে অপরের কাছে। আজ হয়তো সময় এসেছে তাদের পবিত্র সম্পর্কটাকে পূর্ণতা দেওয়ার।

☘️সমাপ্ত☘️