#তোমাতে_সূচনা_তোমাতেই_সমাপ্তি
#লেখনীতে – #Kazi_Meherin_Nesa
#পর্ব – ১০
কিছু বুঝে ওঠার আগেই রোজাকে টেনে ট্রায়াল রুমের ভেতরে নিয়ে দরজা আটকে দিলো আদনান, কয়েক মুহূর্তের জন্য ভরকে গেলো রোজা।
‘ কি করছেন আদনান! সরুন ‘
রোজা বেরোনোর জন্যে দরজা খুলতে গেলে আদনান ওকে সরিয়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়, এরকম বন্ধ জায়গায় আদনান এভাবে নিয়ে আসায় রোজা ভয়ও পেলো বটে। আদনানের মুখ দেখে কিছুই আয়ত্ত্ব করা যাচ্ছেনা, সে কি রেগে আছে? কোন উদ্দেশ্যে আজ এখানে এসেছে সে? রোজার হাত থেকে লেহেঙ্গাটা হাতে তুলে দেখে আদনান বললো…
‘ এটা নিশ্চয়ই ওই ছেলেটার পছন্দ তাইনা? তোমাকে কখনো এই রঙের ড্রেস পড়তে দেখিনি, রংটা নিশ্চয়ই তোমার তেমন পছন্দ নয় তাইনা?’
রোজা মলিন মুখে উত্তর দিলো…
‘ভুল ধারণা আপনার, আমার এই রংও পছন্দ ‘
‘বিয়ের শপিং করতে এসেছো অথচ তোমার চোখেমুখে আনন্দের ছাপ নেই কেনো? তোমার তো এখন হ্যাপি থাকার কথা’
‘ কে বললো আমি হ্যাপি নই! অনেক হ্যাপি আমি ‘
রোজা টান দিয়ে আদনানের হাত থেকে লেহেঙ্গাটা নিয়ে নিলো, রোজা যে জোর করে এসব করছে তা বুঝে আদনান স্মিত হাসলো। আজ অব্দি কোনো বিয়ের কণেকে এতোটা উদাস দেখেনি সে…
‘অন্যের জন্যে নিজের পছন্দ অপছন্দ বদলে ফেলতেও দ্বিধা নেই তোমার তাইনা? অবশ্য ঐরকম একটা ছেলেকে বিয়ে করতে যখন রাজি হয়েছো, তার মানে আরো অনেককিছু সহ্য করার জন্যে নিজের মনকে নিশ্চয়ই মানিয়ে নিয়েছো রাইট?’
‘আমরা এসব কথা বাইরে গিয়েও বলতে পারি আদনান, এটা এসব আলোচনার জায়গা নয়’
রোজা ভয় পাচ্ছে, তবে নিজের জন্যে নয় আদনানের জন্যে! অদ্ভুত হলেও এটাই সত্যি যে এই মুহূর্তে রোজার আদনানের জন্যে চিন্তা হচ্ছে, ও মন থেকে চায়না আদনান কোনো সমস্যায় পড়ুক! রোজা ট্রায়াল রুম থেকে বেরোনোর জন্যে ছটফট করছে, আদনান দু হাতে ওর কাঁধ চেপে ধরে বললো…
‘ থামো তো! চুপ করে একটু দাঁড়াও। কতোদিন ধরে তোমাকে ঠিকমতো দেখতে পারিনি, প্রাণভরে আগে একটু দেখে নিতে দাও’
আদনানের কথায় শান্ত হয়ে ওর দিকে তাকালো রোজা, আদনানকে আজ কেমন ক্লান্ত দেখাচ্ছে। লোকটাকে হঠাৎ এমন ক্লান্ত দেখাচ্ছে কেনো? সে কি অসুস্থ? রোজার সন্দেহ হলো! এদিকে আদনান পলকহীন ভাবে তাকিয়ে দেখছে মেয়েটাকে, প্রায় আট নয়দিন পর আজ রোজাকে দেখলো। বুকের ভেতরটায় যেনো অনেক শান্তি লাগছে আদনানের। রোজা ওকে প্রশ্ন করলো…
‘ আপনি কি অসুস্থ?’
‘ নো, আই অ্যাম ফাইন ‘
‘ আপনাকে দেখে তো ফাইন মনে হচ্ছে না, দেখি..’
আদনানের কপালে হাত দিয়েই তাপ অনুভব করলো রোজা, কিছুটা রেগে বললো…
‘আপনার গায়ে জ্বর, আর বলছেন ফাইন আছেন? আপনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে অসুস্থ ‘
‘ এইটুকু জ্বরে কিছুই হবেনা আমার, রিল্যাক্স ‘
‘ সবকিছুতে রিল্যাক্স করা উচিত না আদনান, আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে কয়দিন ধরে অসুস্থ হয়তো, জ্বর এসেছে কবে? মেডিসিন খাননি?’
রোজা চিন্তিত হয়ে এক নাগাড়ে প্রশ্ন করে যাচ্ছে, কিন্তু আদনান উত্তর না দিয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। রোজা ওর জন্যে চিন্তা করছে দেখে আদনান বেজায় খুশি হয়ে ভ্রু নাচিয়ে বললো…
‘ ওয়াও! আমার মতো পর পুরুষের জন্যে চিন্তা হচ্ছে? দুদিন পর না তোমার বিয়ে? তুমিও তো দেখছি লয়াল নও..’
আদনানকে দেখে চিন্তা হচ্ছে রোজার, তার ওপর আদনানের কথা শুনে রাগ হলো মেয়েটার!
‘মজা করবেন না তো সবকিছুতে, যে প্রশ্নগুলো করলাম তার উত্তর দিন ‘
‘ আমার যত্ন করার জন্যে আপাতত কেউ নেই, আর নিজের যত্ন করার ইচ্ছা বা শক্তি কোনোটাই এই মুহূর্তে আমার নেই। যত্ন করার জন্যে কাউকে পেলে সুবিধা হতো’
আদনান মজার ছলে কথাগুলো বললো, রোজা বুঝলো এই লোক সহজ কথার সহজে উত্তর দেবেনা। এদিকে এতো দেরী হচ্ছে বিধায় নিষাদ রোজার ফোন করেছে। কল রিসিভ না করে কেটে দিয়ে রোজা বললো…
‘হেয়ালি বাদ দিয়ে ওষুধ খেয়ে নেবেন আর আমাকে প্লিজ যেতে দিন এখন। অনুরোধ করছি আপনার কাছে’
আদনান আর কথা না বাড়িয়ে রোজাকে বেরোতে দিলো, কিন্তু ওর পিছু ছাড়েনি। হাঁটতে হাঁটতে রোজা বললো…
‘আমার পিছু কেনো নিচ্ছেন! আমি এখানে একা আসিনি জানেন তো?’
‘তোমার ঐ হবু হাসবেন্ড না, চিটার হবু হাসবেন্ড সঙ্গে এসেছে সো হোয়াট! ওর কথা বলে আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই ‘
‘আমি জানি আপনি কিছুতেই ভয় পান না, তাই আপনাকে ভয় দেখানোর ইচ্ছেও আমার নেই। আমি চাইনা কোনো সিন ক্রিয়েট হোক বা আমার জন্যে আপনি কোনো ঝামেলায় পড়ুন’
রোজার কথায় কিছুটা অবাক হলো বটে আদনান, আবার ওর ভালোও লাগলো…
‘ তুমি আমার জন্যে চিন্তা করছো?’
‘ হ্যাঁ করছি ‘
‘ আমার জন্যে তোমাকে ভাবতে হবেনা রোজা, তুমি আপাতত নিজের কথা ভাবো। তুমি যে ভুলটা করছো সেটা করো না। বিয়ে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ন একটা ধাপ, অনেক লম্বা পথ একটা মানুষের পাশাপাশি হেঁটে যেতে হবে। সেই চলার পথের মানুষটা সঠিক না হলে সারাজীবন আফসোস করেও কিছু হবেনা সেখানে তুমি সব জেনে নিজের জীবন কেনো নষ্ট করতে চাইছো?’
থামলো রোজা, দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো…
‘ আমার কাছে বিয়েটা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই আদনান, আমার পরিবার…’
রোজা শুধু পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে নিজের জীবন নষ্ট করতে চাইছে দেখে আদনানের মেজাজ গরম হলো! আদনান কিছুটা ধমকে বললো…
‘ লিসেন রোজা, এতোটা বোকা তো তুমি নও। বোঝার বয়স হয়েছে তোমার। তুমি কি এইটুকু বুঝতে পারছো না যে বিয়েটা করলে শুধু তোমার একার জীবন নষ্ট হবে, তোমার পরিবারের কিছুই হবেনা? তোমাকে বিয়ে দিয়ে দিতে পারলেই তাদের ঝামেলা শেষ, কিন্তু তোমার জীবনে সারাজীবনের জন্যে যে ঝামেলা শুরু হবে তার কি করবে? তার দায় কি তারা নেবে?’
আদনানের ধমক শুনে আশেপাশে হেঁটে যাওয়া অনেকেই আড়চোখে তাকালো, রোজা নিজেও কিছুটা ঘাবড়ে গেলো। ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আদনান আবারো বললো…
‘ তোমার স্বামী অন্য একটা মেয়ের জন্যে প’র’কী’য়ায় লিপ্ত থাকবে, স্ত্রী হিসেবে কি সেটা সহজেই মেনে নিতে পারবে তুমি? আন্সার মি!’
বামহাতে জামার কিছু অংশ চেপে ধরলো রোজা, আদনানের কথা শুনে চোখে পানি এসে গেলো ওর। সত্যিই তো, আর যাই হোক স্বামীকে অন্য মেয়ের সঙ্গে সহ্য করা তো সম্ভব নয়। আর এমন স্বামীর সঙ্গে নামমাত্র বিয়ে করা মানে পুরো জীবন শেষ হয়ে যাওয়া…বিয়ের আর কয়েকদিন মাত্র বাকি, এতোদিন রোজার মাথায় এক চিন্তা ঘুরপাক খেতো কিন্তু এখন অন্য চিন্তা ঘুরছে। নিজের জীবনটাকে অন্যদের কথা ভেবে এভাবে জেনেশুনে শেষ করে দেওয়া অন্যায় হবে। আদনান রোজাকে সাহস দেওয়ার চেষ্টা করছে যাতে রোজা এই বিয়েটা থেকে পিছিয়ে যায়। এদিকে অনবরত রোজার ফোন বেজে চলেছে, আর দেরি করা ঠিক হবেনা। যাওয়ার সময় আদনান ওর সঙ্গে আসতে গেলেই…
‘ আমার ব্যাপার আমিই সামলে নেবো, আপনি আর আমার পেছনে আসবেন না প্লিজ!’
আদনান আর এগোলো না, ঠায় দাঁড়িয়ে মেয়েটার চলে যাওয়া দেখছে। আদনান জানেনা রোজা কি সিদ্ধান্ত নেবে, কি করবে বা ও কিভাবে রোজাকে সাহায্য করবে তাও বুঝতে পারছেনা। আদনান চায় বিনা ঝামেলায় কোনোভাবে রোজার এই বিয়েটা ভেঙে যাক, কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব?
_______________________________
শপিং শেষে কিছুক্ষণ আগেই বাড়ি ফিরেছে রোজা, ফ্রেশ হয়ে বসতেই ছোটো বোন রুমে এসে এটা ওটা নানান কথা জিজ্ঞাসা করছে। রোজা আনমনে উত্তর দিচ্ছে কিন্তু ওর মনটা আনচান করছে, আদনানকে অসুস্থ দেখে কেনো যেনো খারাপ লেগেছে ওর। আদনান যে ওকে পছন্দ করতে শুরু করেছে তা রোজার বুঝতে বেশি বেগ পেতে হয়নি কারণ পছন্দের মানুষ ব্যতীত কেউ কারো কথা এতোটা ভাবেনা। আদনান যে কি ভীষণ চেষ্টায় আছে ওকে বোঝানোর তা রোজা বুঝতে পারছে, কিন্তু কিভাবে বিয়ে আটকাবে? বাবার সঙ্গে কথা বলে কি আদৌ কোনো লাভ হবে? কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকলে যে সব শেষ হয়ে যাবে, তখন? আদনানের বলা কথাগুলো মনে পড়লো ওর, সত্যিই তো। এ যুগে বসে সব জেনেও শুধু পরিবারের কথা ভেবে ঐরকম একটা ছেলেকে বিয়ে করা বোকামি ব্যতীত কিছুই হবেনা। অনেক ভেবেচিন্তে রোজা সিদ্ধান্ত নিলো বাবার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা উচিত! এতো বড় হয়ে যাওয়ার পরও বাবাকে ভীষণ ভয় পায় রোজা, তবুও আজ সাহস যুগিয়ে কথা বলতে এসেছে। অন্তত নিজের জন্যে কথা না বললে কিভাবে চলবে? হিসেবের খাতা নিয়ে বসেছেন জামাল সাহেব, বিয়ের জন্যে কোথায় কতো খরচ হবে সেসবের হিসেব কষছেন তখন রোজা এলো…
‘ বাবা, তোমার সঙ্গে কিছু কথা ছিলো ‘
‘ আমি ব্যস্ত আছি এখন, পরে বলিস’
‘ জরুরি কথা বাবা, এখন না শুনলে পরে দেরি হয়ে যেতে পারে। কথাটা নিষাদের ব্যাপারে’
নিষাদের কথা শুনে চশমা খুলে মেয়ের দিকে তাকালেন জামাল সাহেব, বসতে বললেন মেয়েকে। ওদিকে…আজ তানভীরের অফিসে এসেছিলো আদনান, কথার ফাঁকে কফি খেতে খেতে তানভীর জিজ্ঞাসা করলো…
‘ এভাবে সব ছেড়ে চলে এলি, কেমন উপভোগ করছিস এই দায়িত্বহীন জীবন?’
‘ আপাতত উপভোগ করতে পারছি না ‘
‘ রোজার বিয়ে কবে?’
ভ্রু কুঁচকে তাকালো আদনান…
‘সেটা জেনে তুই কি করবি? গিফট নিয়ে দাওয়াত খেতে যাবি নাকি?’
‘ তোর সঙ্গে যদি বিয়ে হয় তাহলে রোজা গিফট পাবে, আমার বন্ধুকে দেবদাস বানিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করলে আমি গিফট দিতে যাবো কেনো?’
বন্ধুর কথায় হাসলো আদনান, তবে রোজার জন্যে চিন্তা হচ্ছে। মেয়েটা কি আদৌ বাড়িতে সামাল দিতে পারবে?
‘রোজা আদৌ কিছু করবে কিনা জানিনা, তবে আমার জন্যেই যেহেতু সব সমস্যার উৎপত্তি এই সমস্যা সমাধানে আমার একটা স্টেপ নেওয়া উচিত। কি বলিস?’
‘ কি স্টেপ নিবি?’
‘ ভাবিনি এখনও, তবে আমার কিছু একটা করা উচিত। রোজার বাবার যে বর্ণনা শুনেছি তাতে আমার মনে হয় না রোজা বললেও উনি মেয়ের কথা শুনবেন ‘
তানভীরের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করলো আদনান, দীর্ঘ আলাপ শেষে আদনান ঠিক করলো ও নিজেই রোজার বাবার সঙ্গে কথা বলতে যাবে। ফলাফল যা হবার হোক, অন্তত মেয়ের প্রতি বাবার যে ভুল ধারণা হয়েছে সেটা যদি ঘুচে তাহলে ভালো হয়! রোজা বাবাকে নিষাদ সম্পর্কে যা জানে সেগুলো সরাসরিই বললো, এমনকি আদনানের আনা সেই ছবিগুলোও দেখালো। রোজা নিজের কাছে রেখে দিয়েছিল সব, জামাল সাহেব ছবিগুলো দেখলেন, রোজার সব কথাও শুনলেন। এরপর মেয়েকে প্রশ্ন করলেন…
‘ তুই বলছিস নিষাদ ভালো ছেলে নয়, ওর বাইরে সম্পর্ক আছে। তুই নিজের চোখে দেখেছিস? এই প্রমাণগুলো তুই সংগ্রহ করেছিস?’
‘ না তবে…’
‘তাহলে এই ছবিগুলো তোকে কে দিয়েছে?’
এবার বেকায়দায় পড়ে গেলো রোজা, বাবার এই প্রশ্নের কি উত্তর দেবে? আদনানের কথা বললে যে ওর বাবা যে উল্টোকিছু ভেবে বসবে! মেয়ের নীরবতা দেখে জামাল সাহেব পুনরায় প্রশ্ন করলেন…
‘ কি হলো উত্তর দে, তোকে এগুলো কে এনে দিয়েছে? নিশ্চয়ই কেউ তোর জন্যে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে তাইনা?’
রোজা আর ভয় পেলো না, সবটা যখন বাবার সামনে প্রকাশ করতে পেরেছে এখন আর ভয় পেলে তো চলবে না…
‘ হ্যাঁ বাবা, কিন্তু সেটা তো বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় এটা যে এই নিষাদ আমাদের ঠকাচ্ছিলো, সবকিছু জেনেশুনে সে আমাকে বিয়ে করার চেষ্টা…’
পুরো কথা শেষ করতে পারেনি রোজা, তার আগেই দ্বিতীয়বারের মতো বাবার থা’প্প’ড় পড়লো ওর গালে! রোজার মনে কিছুটা হলেও আশা ছিলো যে বাবা হয়তো ওর কথা বিশ্বাস করবে নাহ, বাবা তার সব আশায় ছাই ফেলে দিলো। ছবিগুলো ছুঁড়ে ফেলে ধমকে জামাল সাহেব বললেন…
‘ কি বোঝাতে চাস তুই আমাকে? এখনকার যুগে এসব নকল ছবি বানানো কোনো ব্যাপার হলো? আর এসব ফা’ল’তু কাহিনী বানিয়ে পরের ছেলের দোষ দিচ্ছিস? নিজে যে কি করেছিস সেটা দেখছিস না? খবরদার, এসব উল্টোপাল্টা কথা বলে যদি বিয়েটা ভাঙ্গার চেষ্টা করিস তাহলে নিজেকে আর আমার মেয়ে বলে পরিচয় দিবি না তুই রোজা ‘
চলবে…
[ভুলত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন…!!]