তোমার জন্য পর্ব-১৩+১৪

0
56

# তোমার_জন্য
Writer: জুঁই
পর্ব: তেরো
.
.
আশিসকে এভাবে দেখতে ইচ্ছের ও কষ্ট হচ্ছে…তবুও নিজেকে সামলে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো…!!

আশিস তাকিয়ে আছে ইচ্ছের যাওয়ার পানে…মনে মনে একটাই চাওয়া ইচ্ছে যদি একবার পিছনে ফিরে তাকাতো…

কিছু দূর গিয়ে পিছনে ফিরে তাকালো ইচ্ছে…এবার যেনো আশিসের শান্তি….!!

শালীনিকে দেখেও না দেখার ভান করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো ইচ্ছে…শালীনির বুঝতে বাকি নেই ইচ্ছে তার সাথে রাগ করেছে…আর এটাই স্বাভাবিক…!!

শালীনি ইচ্ছের হাত ধরে: প্লিজ ইচ্ছে রাগ করিস না…আমায় ক্ষমা করে দে.. বিশ্বাস কর এরকম কিছু হবে আমি জানতাম না.. ভাইয়া শুধু আমাকে বলছিলো তোর সাথে দেখা করতে চাই…আর সারাটা দিন তোর সাথে কাটাতে চাই…প্রথমে আমি রাজি হই নি অনেক রিকুয়েস্ট করলো তাই আর না করতে পারিনি..আমি বুঝতে পারেনি আমাকে এভাবে ইউস করবে…! [ একদমে কথা গুলো বলে দিল শালীনি ]

ইচ্ছেকে চুপ দেখে শালীনি আবার বলতে শুরু করলো..
শালীনি: আর বিয়ের ব্যাপার টা আমি একদমই জানতাম না…এটার পিছনে আশিস ভাইয়া আর শান্ত…সেদিন ক্যাফে থেকে চলে আসার পর শান্তর থেকে শুনেছি…

ইচ্ছে: তুই কি আমার সাথে বাড়িতে যাবি…?

শালীনি: হ্যাঁ যাবো তো… আঙ্কেল কে বলেছি আমি তোকে বাড়ি পৌছে দিব…

ইচ্ছে: তাহলে চল…

আর কোনো কথা না বলে বাড়ির দিকে রওনা দিলো..খুব কষ্ট হচ্ছে ইচ্ছের..একদিকে তার বাবা মা আর একদিকে আশিস… বাবা মার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য আর অন্য দিকে হয়তো ভালোবাসা.. এক দুটানায় ইচ্ছে…!!

বাড়িয়ে আসতেই…
শালীনি: প্লিজ আঙ্কেল তুমি ইচ্ছেকে বকো না.. আসলে ভুল টা আমারই ওকে এভাবে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি…তার মধ্যে মা এতো জেদ করল যে ইচ্ছেকে আসতেই দিল না…

ইচ্ছের বাবা: আমি শুধু ভাবছি ইচ্ছে থাকলো কিভাবে.. আমাদের ছাড়া তো একদিনও কোথাও থাকেনা…!

শালীনি: হ্যাঁ বারবার শুধু তোমাদের কথা বলেছে…ও থেকেছে আমাদের সাথে কিন্তু মন পরে ছিল তোমাদের কাছে…!

ইচ্ছের মা: মেয়েটার যখন বিয়ে হবে তখন কি করে যে শশুর বাড়ি থাকবে আল্লাহ ভালো জানেন…!

মায়ের মুখে বিয়ের কথা শুনতেই ইচ্ছের মুখটা ফেকাশে হয়ে গেল…বুকের ভিতর ছ্যাত করে উঠল..!

ইচ্ছের মা: দেখেছো বিয়ের কথা শুনতেই আমার মেয়েটার মন খারাপ হয়ে গেলো…

ইচ্ছে: তোমরা কথা বলো আমি রুমে গেলাম…!

.
.

.
,,

শান্ত: কিরে ফাইলটা হাতে নিয়ে বসে আছিস কেনো…? চেক করে সাইন করে দে [ আশিসকে উদ্দেশ্যে করে ]

আশিস: হুমমম

শান্ত: কি হুমমম? সাইন করতে হবে তো..!

আশিস: হ্যাঁ করছি…
তারপর ফাইল গুলো না চেক করেই সাইন করে দিল আশিস…!

আশিসকে দেখেই মনে হচ্ছে অন্যমনস্ক…কাজে মন নেই হয়তো অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করছে ! তাই আর কথা না বারিয়ে চলে গেলো শান্ত…

….তিনদিন পর…

নানুমনি: নানা ভাই কি হয়েছে তোমার…? তুমি আগের মতো কথা বলো না.. রাগ করোনা..কাজেও তো তেমন মন নেই তোমার..!

আশিস: কিছু হয়নি নানুমনি..!

নানুমনি: আমাকেও বলা যায় না…? তুমি ভালো নেই নানা ভাই সেটা আমি বুঝতে পেরেছি…!

আশিস গিয়ে নানুমনির কোলে মাথা রেখে…
হ্যাঁ নানুমনি আমি ভালো নেই… সত্যিই আমি ভালো নেই…[ কেদে কেদে ]

আশিসকে এভাবে কাদতে দেখে নানুমনি অবাক..কারন আশিস খুব সহজে কাদে না..আশিসের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে কি হয়েছে বলো আমায়…

আশিস নানুমনি কে সবটা বললো.. নানুমনি সবটা শুনে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে..
নানুমনি: ভালোবাসো ঠিক আছে..কিন্তু নানা ভাই তুমি যে এমন কিছু করবে আমি ভাবতে পারেনি..এটা তুমি ঠিক করো নি..!

আশিস: নানুমনি প্লিজ তুমি আমায় ভুল বুঝো না… তুমি অন্তত আমার পাশে থেকো..কোনো মূল্যেই আমি ইচ্ছেকে হারাতে পারবো না..আর সে জন্যই…আমার ইচ্ছেকে চাই নানুমনি ইচ্ছে কে চাই…

নানুমনি কি করবে…? একদিকে আশিস আর অন্যদিকে ইশা… আশিস তো অল্প কয়েক দিনের ভালোবাসার জন্য পাগল হয়ে গেছে…আর ইশা তো ছোট থেকে আশিসকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে আসছে…ইশার পাগলামিটা সামলাতে পারবে তো…?
কিন্তু আশিসকে কোনো কষ্ট দেয়া যাবেনা..ছোট থেকেই কষ্ট পেয়ে আসছে..নিজের চোখের সামনে বাবা মা বোন কে হারিয়েছে.. তারপর থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল সব কিছু থেকে…!

নানুমনি: আমি ইচ্ছের বাবার সাথে কথা বলবো..,, আমি তোমার কষ্ট দেখতে পারবো না..!

দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে কেউ দাঁড়িয়ে সব শুনে দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো…দরজা বন্ধ করে কাদতে লাগলো..
হ্যাঁ ইশা আশিসকে কফি দিতে এসে সব শুনে ফেলে..!

ইশা: কেনো বুঝলে না আমার ভালোবাসা..? একদিনের জন্য ও কি আমার ভালোবাসা তোমার চোখে পরেনি.. আমার ভালোবাসা তোমার প্রতি আমার কেয়ারিং শুধু পাগলামি মনে হয়েছে সব সময়.. হ্যাঁ আমি একদিনও নিজের মুখে বলিনি যে তোমায় ভালোবাসি..কিন্তু কতো ভাবে বুজানোর চেষ্টা তো করেছি.. এতো সব বিজনেসের প্যাঁচ বুজো আর আমার ভালোবাসাটায় বুঝলে না…? শুধু # তোমার জন্য ! নিজের স্বপ্ন পূরন করতে ছুটে যায় নি কানাডা তে.. স্বপ্ন ছিল কানাডা গিয়ে স্টাডি কমপ্লিট করার..তার থেকেও বড় স্বপ্ন ছিল তোমাকে নিজের করে পাওয়ার…!

….পরের দিন…

ইচ্ছে আর শালীনি ভার্সিটি থেকে ফিরছে হঠাৎ সামনে একটা গাড়ি ব্রেক করলো…

গাড়ির ভিতর থেকে আশিস বেড়িয়ে এলো…চোখ মুখ শুকনো শুকনো চুল গুলো উস্কু খুস্কু বেশ অগুছালো লাগছে আশিসকে…!
ইচ্ছের সামনে গিয়ে…

আশিস: কেমন আছো ইচ্ছে…?

ইচ্ছে: হুমম ভালো…[ নিচের দিকে তাকিয়ে ]
আশিসের চোখে চোখ রেখে হয়তো বলতে পারবে না..আশিসের চোখেই আটকে যাবে…!

আশিস কেমন আছে জিঙ্গেস করার সাহস পেলো না ইচ্ছে…কারন আশিসকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে ও কেমন আছে…কিন্তু ইচ্ছের কি কিছু করার আছে…?

আশিস: আমায় জিঙ্গেস করবে না আমি কেমন আছি…?

ইচ্ছে: হ্যাঁ ভালোই তো আছেন..না হলে কি আর এখানে আসতে পারতেন..[ নিচের দিকেই তাকিয়ে ]

আশিস একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে…
হুমম সত্যি বলেছো ভালোই আছি..তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছো ! আর তার থেকেও বড় কথা তুমি ভালো আছো..এর থেকে বেশি আর কি চাই ভালো থাকার জন্য… ব্যাসস এতো টুকুই যথেষ্ট..!

ইচ্ছে ঠিক বুঝতে পারলো আশিসের মনের চাপা কষ্ট টা…!

.
.
.
…….সাত দিন পর….

রাত বারো টা বেজে এক মিনিট…ইচ্ছে ঘুমিয়ে আছে…বারবার নড়েচড়ে উঠছে…মনে হচ্ছে গালের উপর কেউ স্লাইড করছে সফ্ট কিছু দিয়ে…কারো উপস্থিতি অনুভব করতেই চোখ খুলে তাকিয়ে ! সামনে থাকা মানুষ টিকে দেখে…
ইচ্ছে: ধ্যাতত শান্তিতে ঘুমাতেও দিবে না..[ বলেই আবার শুয়ে পরলো..]

চলবে……

# তোমার_ জন্য
Writer: জুঁই
পর্ব: চৌদ্দ
.
.
এই যে সুন্দর ম্যাডাম..এটা স্বপ্ন নয় সত্যি..চোখ মেলে দেখো সত্যিই আমি তোমার সামনে বসে আছি….

কথাটা শুনে দরফর করে উঠে বসলো ইচ্ছে..সামনে তাকিয়ে আশিসকে দেখে..নিজের হাতেই নিজে চিমটি কাটলো…

ইচ্ছে: আহহ…ব্যাথা পেলাম তারমানে সত্যি…কিন্তু কি করে সম্ভব…?

আশিস: Happy birth day icche… many many happy returned of the day…!

ইচ্ছে: আজ আমার জন্মদিন..? আমার নিজেরই তো মনে নেই..উনি জানলো কিভাবে…?
ইচ্ছে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে…

আশিস: তোমার সার্টিফিকেট থেকে বার্থডে জেনেছি বুজেছো..?

ইচ্ছে মাথাটা দুদিকেই নাড়ালো…আর অশিস হেসে দিল ইচ্ছের এমন কান্ডে….!

ইচ্ছের দিকে একটা ফুলের বুকে এগিয়ে দিয়ে…
আশিস: I love you icche…[ আশিসকে আর কিছু বলতে না দিয়ে ]

ইচ্ছে: অাপনার মাথা ঠিক আছে..? নাকি একেবারেই গেছে…? এতো রাতে এখানে এসেছেন এসব বলতে…

আশিস ইচ্ছের দিকে নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে..ইচ্ছে ব্যাপারটা খেয়াল করে…
ইচ্ছে: এরকম হা করে তাকিয়ে আছেন কেনো..?

আশিস: যা লাগছে না তোমায়.. স্কার্ট উইথ টি-শার্ট এন্ড উইথ আউট উড়না…[ মিনমিন করে ]

ইচ্ছে তাড়াতাড়ি গায়ে উড়না জড়িয়ে নিল..আর আশিসকে বকতে লাগলো..

ইচ্ছে: অসভ্য লোক একটা…এতো রাতে একা একটা মেয়ের রুমে এসে কি সব যা তা বলছেন..

আশিস: এটা আমার বউ এর রুম..তাতে তোমার কি হুমমম [ বিছানায় শরীর এলিয়ে দিয়ে ]

ইচ্ছে: ঢং কতো..যাবেন নাকি আমি বাবাকে ডাকবো…?

আশিস: হুমম ডাকো..ডাকো না শশুর মশাই কে…তাহলেই রাস্তা ক্লিয়ার হবে ঝামেলা ছাড়া…!

ইচ্ছে: সত্যি সত্যিই কিন্তু ডাকবো…? [ আমতা আমতা করে ]

আশিসের কোনো হেলদোল নেই..ইচ্ছের তো মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে..এতো রাতে ঘুমের তেরো টা বাঝিয়ে বার্থডে উইস করতে আসছে…

ইচ্ছে: আচ্ছা রুমের ভিতর আসলেন কিভাবে…? [ ভ্রু নাচিয়ে ]

আশিস এবার উঠে আরাম করে বসলো…চোখ দিয়ে ইশারা করলো বারান্দার দিকে…

ইচ্ছে: কিহহ..[ চেচিয়ে ].আপনি বারান্দা দিয়ে আসছেন কিন্তু কিভাবে…?

আশিস: আরো জোরে চিল্লাও…! এতো অবাক হওয়ার কি আছে…? বারান্দায় গ্রীল নেই অনলি থাইগ্লাস..আর তুমি গ্লাসটা ভিতর থেকে লক করোনি.. যে কেউ এসে তোমায় নিয়ে চলে যাবে..আর তুমি টেরও পাবেনা..!

ইচ্ছে: আপনি যাবেন..? নাকি….

আশিস ইচ্ছের দিকে এগিয়ে গিয়ে…
আশিস: নাকি কি করবে হুমম..হুমম..!

ইচ্ছে: দেখুননন…

আশিস: আমার কোনো প্রবলেম নেই..তুমি চাইলে আমি দেখতেই পারি [ লাজুক ভাবে ]

ইচ্ছে: অসহ্য লোক একটা…ফালতু..যত্তোসব বদ বুদ্ধি মাথায়..আপনি যান তো…[ আশিসকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে ]

আশিস: যেতে পারি একটা শর্ত আছে..!

ইচ্ছে: আমি আপনার ওসব ফালতু শর্ত টর্ত মানতে পারবো..লুচোর পরোটা কোথাকার..!

আশিস: ও হ্যালো ম্যাডাম…কিসের ফালতু শর্ত হুমম..? তুমি ফালতু..তোমার চিন্তা ভাবনা ফালতু হুহহ…!

ইচ্ছে: আমি ফালতু..? এই শুনেন আপনার এসব বকবক শুনতে ভালো লাগছে না যান প্লিজ…

আশিস: শর্ত মানবে…?

ইচ্ছে: হুমম বলেন..[ বিরক্ত নিয়ে ]

আশিস: শর্তটা হচ্ছে তুমি আমাকে এখন…[ আশিসের কথা শেষ হওয়ার আগেই ]

ইচ্ছে: নাহহহ…[ চিৎকার করে ]
আশিস ইচ্ছের মুখ চেপে ধরে…
কি করছো চিৎকার কেনো করছো..? সবাই জেগে যাবে তো..!

ইচ্ছের মুচরামুচরিতে আশিস ইচ্ছেকে ছেড়ে দিলো…
ছাড়া পেতেই ইচ্ছে হাফ ছেড়ে নিশ্বাস নিল…

ইচ্ছে: ছাড়লেন কেনো..ধরে থাকেন আরো কতোক্ষন..আমি মরে গেলে তারপর নাহয় ছাড়তেন..!

আশিস: আমার কথাটা শেষ করতে না দিয়েই চিৎকার শুরু করে দিলে…আমি বলতে চাইছিলাম তুমি আমাকে এখন কথা দিবে.. কাল আমার সাথে দেখা করবে..আর কোথায় কখন আমি এসএমএস করে জানিয়ে দিবো..!

ইচ্ছে: না পারবো না…পারবোনা…আর একটা কথাও না আপনি এখনই যাবেন মানে এখনই…

আশিস: হুমম যাবো.. কাল তুমি আসবে প্লিজ..প্লিজ..!

ইচ্ছে আশিসের দিকে তাকিয়ে মনের অজান্তেই মাথা নেড়ে হ্যাঁ করলো…

আশিস মুচকি হেসে ইচ্ছের কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে…
আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো ইচ্ছে…!!

____ মাঝে মাঝে তোর কাছে জেনে শুনে হেরে যায়…

কিছু কথা বলে ফেলি..কিছু কথা ছেড়ে যায় _____

.
.
.
পরেরদিন….

আশিস হাতে ঘড়ি লাগাতে লাগাতে সিড়ি দিয়ে নামছে..দেখে বেশ খুশি খুশিই লাগছে…!

ইশা: সেজে গুজে কোথাও যাচ্ছো…?

আশিস: বউ আনতে যাচ্ছি…যাবি আমার সাথে…?

ইশা: তোমার বউ যেদিন আসবে সেদিন হয়তো আমি এবাড়িতে থাকবো না…

আশিস: কেনো রে..তার আগেই বিয়ে করে কানাডা তে চলে যাওয়ার প্ল্যান আছে নাকি হুমম…?

ইশা: যখন সব স্বপ্ন ভেঙে যায়..তখন একটা স্বপ্নকে তো আকড়ে ধরতেই হবে..শেষ স্বপ্ন পূরণের জন্য যেতেও তো পারি..

আশিস: বাব্বা ভারি ভারি কথা বলতে শিখে গিয়েছিস..নানুমনি কোথায় রে…?

ইশা: হালকা জিনিস খুব সহজে উড়ে যায়…নানুমনি ঘুমাচ্ছে…!

আশিস: নানুমনি উঠলে বলে দিস..আমি আসছি…!

ইশা: কোথায় যাচ্ছো…? না মানে আজ তো অফিস গেলে না…

আশিস: তোর ভাবির সাথে দেখা করতে যাচ্ছি হ্যাপী…! [ বলেই চলে গেল ]

ইশা: হুমমম হ্যাপী..তুমি অন্তত হ্যাপী হও নিজের ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে…!
.
.
.
,,
.
.
.
ইচ্ছে: আচ্ছা আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন..চোখটা তো খুলে দিন..!

আশিস: খুব অধৈর্য মেয়ে তো তুমি থুরি অধৈর্য বউ…পাচঁ মিনিট অপেক্ষা করতে পারো না…?

ইচ্ছে: সেই কখন থেকে পাচঁ মিনিট বলেই চলেছেন শেষ তো হচ্ছে না…!

আশিস: হয়ে গেছে…এখানে চুপটি করে দাড়াও..নড়াচড়া করবে না..চোখ খুলতে বললে তবেই চোখ খুলবে…!

ইচ্ছে: ঠিক আছে…!

ইচ্ছের চোখের বাধন খুলে দিল আশিস..

আশিস: এবার আসতে আসতে চোখটা খুলো..!

ইচ্ছে চোখ মেলে তাকিয়ে আরেক দফা অবাক ! কারন সামনে একটা কেক তার মধ্যে হ্যাপী বার্থডে বউ লেখা..
চারপাশে সুন্দর করে বার্থডে বেলুন দিয়ে সাজানো..

তারপর কেক কেটে ইচ্ছেকে খাইয়ে দিল আশিস..ইচ্ছেও খাইয়ে দিয়েছে আশিসকে..!

আশিস: আজ আমি খুব খুশি ইচ্ছে..

ইচ্ছে: কিসের জন্য..?

আশিস: তোমার জন্য…

ইচ্ছে: আমার জন্য…?

আশিস: হুমম এই যে আমার কথা রেখে তুমি এখানে এসেছো..এতেই আমি খুশি…!

ইচ্ছে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে… হ্যাঁ এটাই হয়তো ভালোবাসার দূর্বলতা…!

আশিস: আরেকটা কথা রাখবে ইচ্ছে….? এটা ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে তোমার কছে রাখবে…? [ ইচ্ছের দিকে রিং এগিয়ে দিয়ে ]

ইচ্ছে হাতটা আশিসের দিকে বাড়িয়ে দিল…ইচ্ছের হাতে রিংটা পরিয়ে দিয়ে হাতের উপর চুমু একে দিল আশিস…!!
.
.
.
.
_____
.
.
.
ইচ্ছে বাড়ি ফিরতেই ইচ্ছের বাবা ইচ্ছেকে থাপ্পড় মাড়লো…

ইচ্ছের বাবা: এই আমার ভালোবাসা..বিশ্বাস আর ভরসার দাম দিলে তুমি…? এই জন্য তোমাকে সব ধরনের স্বাধীনতা দিয়েছি…আমার সম্মানের কথা একটা বার ভাবলে না তুমি…!

চলবে…..

[ ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন ]