# তোমার জন্য
Writer: জুঁই
পর্ব: নয়
.
.
ইচ্ছে ফাইল গুলো চেক করছে আর বারবার এদিক ওদিক তাকাচ্ছে…
আশিস বিষয়টা নোটিশ করলো…ইচ্ছে হয়তো আনইজি ফিল করছে…
করবেই না বা কেনো…ইচ্ছে কে নিজের কেবিনে বসিয়ে রাখছে…আশিসের সামনে বসে কাজ করতে ভয় প্লাস আনইজি দুটোই জেকে বসেছে ইচ্ছের মস্তিষ্কে….
.
.
আশিস: কি হয়েছে…?[ ভ্রু নাচিয়ে ]
ইচ্ছে: কিছু না [ মাথা নেড়ে ]
৩০ মিনিট পর…
ইচ্ছে: স্যার হয়ে গেছে…
আশিস: কি….???
ইচ্ছে: কি মানে…এই ফাইল টা চেক করা হয়ে গেছে….
আশিসের দিকে ফাইলটা এগিয়ে দিয়ে…..!!
আশিস ফাইল দেখছে আর বারবার ইচ্ছের দিকে তাকাচ্ছে….!
ইচ্ছে তো ঘাবরে গেছে মনে মনে
আল্লাহ কোনো ভুল করলাম না তো…ভুল হলে আমাকে without water ধুয়ে দিবে….
ইচ্ছে: স্যার সব ঠিক আছে তো….? [ ভয়ে ভয়ে ]
আশিস: হুমম ঠিকি আছে…
Next month এর first week এ presentation আছে… presentation টা তুমি করবে…
ইচ্ছে: কিহহহ…না আমি পারবো না..
আশিস:পারবে… আমি তোমায় guide করবো এই কয়দিন…আরো অনেক টাইম আছে next month..
ইচ্ছে: এহহ…next month এর first week এর কি আরো কয়েক বছর বাকি আছে নাকি…আছে তো মাত্র নয় দিন…!
আশিস: Enough time আছে…এতেই হবে…!
.
.
.
.
.,,
.
.
অফিস ছুটির পর…
….বাড়ি ফেরার পথে…
আশিস অপন মনে ড্রাইভ করছে আর গান শুনছে…
হঠাৎ রাস্তার পাশে একটা ব্রেঞ্চে চোখ পরলো…
ইচ্ছে কে একটা ব্রেঞ্চে বসা দেখতে পেল..সাথে ছোট ছোট কয়েকটা বাচ্চা বসে আছে ইচ্ছের সাথে…হয়ত কিছু একটা খাচ্ছে আর হেসে লুটিপুটি খাচ্ছে….
আশিস ভেবে পাচ্ছেনা এত বড় একটা মেয়ে এই ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে কি করছে…কি এমন কথা বলছে বাচ্চাদের সাথে যেনো হাসিতে বাদ মানছে না…
.
.
নিজের কৌতূহলের বসে গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে গেলো ইচ্ছের দিকে…
ইচ্ছের কিছুটা সামনে গিয়ে তো আরো কৌতূহল বেরে গেলো…
কারন ইচ্ছে কিছু একটা খাচ্ছে বাচ্চাদের সাথে…না জানি কতো মজা খেতে এই খাবার টা…
ইচ্ছেকে দেখে তাই মনে হচ্ছে আশিসের…!!
আশিসের নজর তো আটকে গেছে ইচ্ছের dimple [ টোল ] এ…
হাসার সময় ইচ্ছের গালে একটু টোল পরে….
আশিস ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে আছে ইচ্ছের দিকে….!!
.
.
ইচ্ছে হাসতে হাসতে সামনের দিকে তাকিয়ে ভূত দেখার মতো চমকে উঠে….
ইচ্ছে: আপনিইই এখানে…??
আশিস ইচ্ছের প্রশ্নে একটু অপ্রস্তুত হয়ে যায়….
অশিস: না মানে….এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম…বাচ্চাদের দেখে এগিয়ে আসলাম [ ডাহা মিছা কতা ]
ইচ্ছে মনে মনে: বিশ্বাস করবো….?
আশিস: Trust me…
ইচ্ছে: ধুরর ছাই…মনে মনে কথা বলেও শান্তি নাই…
আপনিও বাচ্চা পছন্দ করেন… বাচ্চাদের সাথে খেলতে পছন্দ করেন…?
আশিস:পাগল নাকি.. একদম না… না মানে হ্যাঁ…হ্যা তো…
তোমার হাতে ওটা কি…?
ইচ্ছে: কোন দেশ থেকে টপকে পরেছেন বলেন তো…এতো জনপ্রিয় একটা খাবারের নাম জানেন না…?
আশিস: এটা জনপ্রিয় খাবার…?
ইচ্ছে: হুমম তা নয়তো কি…এটা হচ্ছে হাওয়ায় মিঠাই…
আশিস: Whatt…?
এই তোমার জনপ্রিয় খাবারের নামের ছিরি…
ইচ্ছে: নামটা যেমন মিষ্টি খেতেও তেমন মিষ্টি…
এই নিন খেয়ে দেখেন…!
আশিস: তুমিইই খাও…ওই সব চিপ খাবার আমি খায় না…
Whatever ফিরবে কখন….
ইচ্ছে: এই তো একটু পর…
.
.
.
.
.
সাতদিন পর…
এই কদিন আশিস ইচ্ছেকে guide করছে presentation এর জন্য…
ইচ্ছে নিজেও অনেক হার্ড ওয়ার্ক করেছে…
যে করেই হোক ডিলটা ফাইনাল করতে হবে… এতো বড় একটা দায়িত্ব পেয়েছে…তা যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে….
আশিস সব স্টাফ কে ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছে ক্লাইয়েন্ট মিটিং এর সব কাজ…কিভাবে সব হ্যানডেল করতে হবে..
আশিস: আর একটা কথা…আজ তিন তারিখ… পাচ তারিখ শনিবার কিন্তু মাস্ট বি সবাই অফিস ড্রেস পরে আসবে…!
সবাই: জ্বী স্যার..
শুধু একজন বাদে…!!
ইচ্ছে: অসম্ভব…আমি পারবো না…[ চেচিয়ে ]
ইচ্ছের এমন আচরনে সবাই অবাক…
আশিস: What happened??
ইচ্ছে: কি বলছেন কি…আমি অফিসের কোনো ড্রেস ট্রেস পরতে পারবো না…
আশিস: তোমার থেকে আদরিত রহমান আশিস পারমিশন চাইনি… অর্ডার করেছে….got it…!!
ইচ্ছে মনে মনে: ওই শালা লুচুই কই কি..আমি নাকি শার্ট আর শর্ট স্কার্ট পরবো.. ওটাকে নাকি অফিস ড্রেস বলে…ওসব পরতে আমার বয়েই গেছে হুহহ…!!
১ দিন পর..
অফিসে সবাই ক্লাইয়েন্ট নিয়ে ব্যস্ত…ইচ্ছে এখনো অফিসে এসে পৌছায় নি..আশিস তো রেগে ফায়ার..ইচ্ছেকে একটা দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটাতে ওর কোনো পাত্তাই নাই…..!!
অলরেডি পনেরো মিনিট লেট ইচ্ছের…তাই বাধ্য হয়েই আশিস মিটিং শুরু করলো…!!
.
.
.
মিটিং রুমের দরজা খুলতেই আশিস সহ ক্লাইয়েন্ট দের সবার মুখ হা হয়ে গেছে….
চলবে……!!
# তোমার_জন্য
Writer: জুঁই
পর্ব: দশ
.
.
স্যার সত্যি আমি খুব দুঃখিত লেট হওয়ার জন্য…[ রুমে প্রবেশ করতে করতে ]
এখনো সবার দৃষ্টি ইচ্ছের উপর…কারন সবার মাঝে ইচ্ছে যেনো একটি ফুল..সাধারনের মধ্যে অসাধারন্ত ফুটে উঠেছে ইচ্ছের মাঝে….
ইচ্ছের পরনে নীল সাদা combined কালারের শাড়ি…আচলটা কাধ থেকে ছেড়ে দেয়া…চুল গুলো খোলা..ম্যাচিং ইয়ারিং.. হালকা লিপস্টিক আর হাতে নীল চুড়ি…!!
.
.
আশিসের সামনে হাত নেরে…
ইচ্ছে: স্যার কি ভাবছেন….??
ইচ্ছের ডাকে নিজের জগত থেকে ফিরল আশিস..
আশিস খেয়াল করলো শুধু সে নয় উপস্থিত সবার নজর পরেছে ইচ্ছের দিকে…
আশিস: Attention please…দেখা হয়ে গেলে আমরা কাজ শুরু করি….??
.
.
.
.
ইচ্ছে অনেক খুশি কারন তার করা presentation এ এতো বড় একটা ডিল ফাইনাল হয়েছে…
আশিস ও ইমপ্রেস্ড ইচ্ছের প্রতি…!!
.
.
,,
ইচ্ছে ফাইল রাখতে আশিসের কেবিনে আসে…এসে দেখে টেবিলের উপর সব ফাইল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে…
ইচ্ছে কোমরে শাড়ির আচল বেধে কাজে লেগে পরে…
কিছুক্ষণ পর ইচ্ছের মনে হলো তার পিছনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে…
পিছনে ঘুরে আশিস কে দেখে কিছুটা অস্বস্থি অনুভব হয়…আশিস নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে ইচ্ছের দিকে…ইচ্ছে তাড়াতাড়ি কোমর থেকে শাড়ির আচলটা ছেড়ে দেই…আশিস এক পা দু পা করে ইচ্ছের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে..আর ইচ্ছে পিছিয়ে যাচ্ছে..পিছাতে পিছাতে দেয়ালের সাথে লেগে গেছে…আশিস একটু এখটু করে ইচ্ছের মুখের দিকে নিজের মুখ এগিয়ে নিচ্ছে…যখনি ইচ্ছেকে কিস করবে ঠিক তখন আশিসকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেই ইচ্ছে…আশিস দুকদম পিছিয়ে যায়..
দুজনেই ঘোরের মধ্যে ছিল..কি করতে ছিল খেয়াল ছিলনা…!!
ইচ্ছে: কি করছেন কি….?[ রেগে + চিল্লিয়ে ]
আশিস নিজেকে স্বাভাবিক করে..
আশিস:Sorry.. please don’t mind….কি করতে যাচ্ছিলাম বুঝতে পারিনি….আমি তোমাতে বিভর হয়ে গিয়েছিলাম…
বলেই হনহনিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল আশিস…!!
.
.
.
.
ইচ্ছের নিজের প্রতি রাগ হচ্ছে..সারা রাস্তা নিজেকে বকতে বকতে বাড়ি ফিরলো…
কি করে আমি এমনটা করতে পারলাম…আমি আগে কেনো বাধা দিলাম না…উনি আমার এতো কাছে চলে আসলো তবুও কিছু বললাম না…আজ যদি কিছু একটা হয়ে যেতো তাহলে…!!
আমার তো দিহানের সাথে কথা বলতেই রাগ হয়…ওকে তো আমার ধারে কাছেও ঘেষতে দেই না..আমার আর দিহানের মাঝে মিনিমাম ১ ফিট দূরত্ব থাকে…!!
.
.
.
.
.
.
তিনমাস পর…
এই তিনমাসে আশিসের নেশা হয়ে গেছে ইচ্ছে…কাজে অকাজে নানা অজুহাতে ইচ্ছেকে নিজের কেবিনে বসিয়ে কাজ করিয়েছে আশিস….!!
সেই দিনের ঘটনার পর থেকে ইচ্ছে নিজেকে আশিসের থেকে যথেষ্ট দূরে রাখার চেষ্টা করেছে…
আশিসের মনে পুরোপুরি জায়গা দখল করে নিয়েছে ইচ্ছে…নানা ভাবে ইচ্ছেকে নিজের মনের কথা বলতে চেষ্টা করেছে আশিস…কিন্তু আশিসকে কিছু বলার সুযোগ দেইনি ইচ্ছে…
আশিস নিজেকে ইচ্ছের মতো করে তৈরি করার চেষ্টা করেছে…অনেকটা করেও ফেলেছে..ইচ্ছের ভালোলাগা খারাপ লাগা মিশে গেছে আশিসের মাঝে…!!
এখন শুধু বাকি নিজের মনের কথা ইচ্ছেকে জানানোর…মনে অনেক ভয়..বাবা মা বোনকে হারিয়ে নতুন কাউকে নিজের জীবনে জরাতে..সেও কি তার বাবা মা আর বোনের মতো হারিয়ে যাবে তার জীবন থেকে..ইচ্ছে কি তার ভালোবাসা গ্রহন করবে নাকি তাকে ফিরিয়ে দেবে…!!
আশিস নানুমনির কাছে অতি আদরে বড় হয়েছে..যেটা চাই সেটা যে করেই হোক নিজের করে নেই…কোনো কিছুতে রিজেক্ট হওয়ার অভ্যাস নেই…না বোধক শব্দটাকে যে করেই হোক হ্যাঁ বোধকে পরিনত করে…!!
,
,
,
,
,
ইচ্ছের অনার্স প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষা..যার জন্য কিছু দিনের ছুটি নিয়েছে…. দুদিন হলো অফিসে আসেনা ইচ্ছে…!
আর এদিকে তো আশিসের পাগল পাগল অবস্থা…ইচ্ছেকে না দেখতে পেয়ে…
.
.
অফিসের কাজ রেখেই শান্ত কে নিয়ে ছুটলো ইচ্ছের ভার্সিটিতে…
আশিস ড্রাইভ করছে…আর শান্ত ভেবে পাচ্ছেনা আশিস তাকে নিয়ে এই সময় কোথায় যাচ্ছে…!!
শান্ত: কোথায় যাচ্ছি বলবি তো…
আশিস: চুপচাপ বসে থাক…গেলেই দেখতে পাবি…!
শান্ত: হুমম তাতো পবোই…কিন্তু অফিসের কাজ রেখে যাওয়াটা কি খুব দরকার…?
অশিস: ৩০ মিনিট নিজের মুখটা অফ রাখ🙏🙏….!!
.
.
.
….৩০ মিনিট পর….
শান্ত: কি হলো গাড়ি থামালি কেনো….??
অশিস: চোখ দিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে দেখ..বুঝতে পারবি….!!
শান্ত: যেখানে ভাগের ভয় সেখানেই সন্ধে হয়…এ কোথায় নিয়ে এলি রে ভাই….
আশিস: মুখ বন্ধ কর….!!
শান্ত: সে নাহয় করবো…তার আগে এটা তো বল শালীনির ভার্সিটি কেনো নিয়ে এলি আমায়….??
আশিস: শুধু শালীনির না ইচ্ছের ও ভার্সিটি এটা..
তোকে নিশ্চয় শালীনির সাথে প্রেম করতে নিয়ে অাসিনি…
শান্ত: তাহলে চলনা ভাগ আসার আগেই চলে যাই…
আশিস: চুপ করে দাঁড়িয়ে থাক…এখানে দরকার ছাড়া নিশ্চয় আসিনি….!!
শান্ত: কি এমন দরকার তাও এই ভার্সিটির সামনে….[ মনে মনে ]
.
.
.
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আশিসের চোখ গেলো ইচ্ছে আর শালীনির দিকে….দুজনে গেট দিয়ে বের হচ্ছে হেসে হেসে…হয়তো পরিক্ষা ভালো হয়েছে…
এই হাসি মাখা টোল পরা মুখটাই যথেষ্ট আশিসকে ঘায়েল কথার জন্য….আর সেই টোলের অতলে হারিয়ে যায় আশিস বারংবার…!
,,
আশিস ইচ্ছের নাম ধরে ডাকতেই ইচ্ছে অবাক চাহনিতে আশিসের দিকে তাকায়….এই সময় আশিসকে এখানে দেখবে সেটা কল্পনার বাহিরে….
ইচ্ছে এগিয়ে এসে….
ইচ্ছে: স্যার আপনি এখানে….? কোথাও যাচ্ছিলেন এইদিক দিয়ে…??
আশিস: না…এখানেই এসেছি আর তোমার কাছে….
ইচ্ছে: আমার কাছে….??
আশিস: কিছু বলার ছিল তোমাকে…!
ইচ্ছে: হুমমম বলেন….[আল্লাহ তুমি দেখো আমি যা ভাবছি তা যেনো না হয়…মনে মনে ]
আশিস: শালীনি গাড়িতে শান্ত বসে আছে..তুমি গিয়ে কথা বলো…!
শালীনি: আগে বলবেন তো ভাইয়া..আমার জানটু এসেছে…ও আমায় সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য নিশ্চিত গাড়িতে বসে আছে….!!
শালীনিকে আসতে দেখেই শান্ত দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে বসছে…শালীনির জানটু মানটু সোনা মোনা বেবি টেবি এইসব ন্যাকা ন্যাকা ডাকে শান্তর নাজেহাল….!!
ইচ্ছে: কি এমন বলবেন যে এই সময় অফিসের কাজ ফেলে চলে আসছেন….
আশিস: চলো কোনো ক্যাফে গিয়ে বসি…
ইচ্ছে: কি বলবেন এখানেই বলেন…!
আশিস: তাহলে চলো সামনের ওই ব্রেঞ্চে গিয়ে বসি..[ হাত দিয়ে ইশারায় দেখিয়ে ]
.
.
.
ব্রেঞ্চে বসে আছে ইচ্ছে আর আশিস দুজনেই চুপ…প্রায় পাচ মিনিট হয়ে গেলো… অবশেষে নিরবতা ভেঙে…
ইচ্ছে: আপনি কি সত্যিই কিছু বলবেন…?? আমায় বাড়ি ফিরতে হবে….!
আশিস: দেখো ইচ্ছে আমি হেয়ালি করে কথা বলতে পারি না…যা বলার ডিরেক্টলি বলি..আর এই কথাটা আমার জীবনের খুব বেশিই গুরুত্বপূর্ণ কথা…তাই আমার বলা কথাটা তুমি সিরিয়াসলি নিবে…
.
.
.
চলবে…..!!
[ ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন…!! ]