#তোমার_নামে_লেখা_চিঠি
#কলমে_নওরিন_মুনতাহা_হিয়া
#পর্ব_০৬ (ইনায়া যখন ছুরি দিয়ে অরণ্যকে আঘাত করে)
ইনায়ার মুখে ঘৃণা করে কথাটা শুনে অরণ্য হাসে এরপর এগিয়ে যায় ইনায়ার কাছে। ইনায়া একটু একট করে পিছিয়ে যেতে থাকে অরণ্য সামনের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে একদম দেয়ালের কাছে চলে যায়। ইনায়া অনুভব করে তার পিছনে দেয়াল তাই সে আর কোথাও যেতে পারবে না সেটা বুঝতে পারে। অন্যদিকে অরণ্য নিজের মুখে একটা হাসি রেখে ইনায়ার শরীরের কাছে গিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে –
“- বাসর ঘরে জামাইকে আদর করতে হয় মিসেস ইনায়া ঘৃণা না। আর আজকে যেহেতু আমাদের বাসর রাত তাহলে চলুন একটু ইনজয় করি আমার প্রিয় শএু “।
অরণ্যর এতো কাছে আসা ইনায়ার পছন্দ হয় না তার জীবনে কখনো কোনো পুরুষ মানুষ তার এতো কাছে আসে নাই। অরণ্য ইনায়ার খুব কাছে গিয়ে কথা বলার কারণে তার শ্বাস ইনায়ার শরীরে পড়ছে। অরণ্যর উপর বেশ রাগ হয় ইনায়ার সে এক ধাক্কা দিয়ে তাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বলে
“- দেখেন মিস্টার অরণ্য আপনার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে জোর করে। যদি আমার আগে যানা থাকতো যে আপনার সাথে আমার বিয়ে হতে চলেছে। তাহলে বিয়ে তো অনেক দূরের কথা আপনাকে আমি খুন করে ফেলতাম।
“- আরে এতো রাগ ভালো না মিসেস ইনায়া আর আমাকে খুন করলে আপনি বিধবা হয়ে যাবেন সেটা কি করে হতে দেয় আমি। আচ্ছা এইসব বাদ দেন চলুন বাসর করি “।
অরণ্য কথাটা বলে আবার ইনায়ার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে ইনায়া আশেপাশে তাকিয়ে কোনো কিছু খুঁজতে থাকে। অরণ্য যখন ওর হাত টার্চ করতে যাবে তখন ইনায়ার চোখ যায় পাশে থাকা টেবিলে ফলের ঝুড়িঁতে থাকা ছুরির দিকে। ইনায়া তাড়াতাড়ি করে ছুরিটা হাতে নিয়ে নেয় এরপর অরণ্যর হাতে বসিয়ে দেয়। অরণ্য হাতে ছুরির আঘাত এতো ভালো করে লাগে নাই। ফল টাকার ছুরি থাকার কারণে এর মধ্যে বেশি ধার নাই। অরণ্য ব্যথায় মৃদুস্বরে বলে –
“- আহ। ইনায়া কি করলেন আপনি এইটা।
ইনায়া ছুরিটা হাতে শক্ত করে ধরে অরণ্যর গলার উপর রাখে এরপর নিজেকে ছাড়িয়ে সামনের দিকে আসে। দেয়ালের সাথে অরণ্যকে পিন করে ওর গলায় ছুরি ধরে বলে –
“- শুনুন মিস্টার অরণ্য রাজ চৌধুরী আপনাকে দেখে এই ইনায়া ভয় পায় না ঠিক আছে। যদি কখনো আমাকে টার্চ করার চেষ্টা করেন এই ছুরি দিয়ে আপনার খুন করব। প্রয়োজনে বিধবা হয়ে খুনের মামলার আসামি হবো জেলে যাবো কিন্তু আপনার সাথে সংসার করব না। এই ইনায়া কারো বাপকে দেখে ভয় পায় না “।
ইনায়ার কথা শুনে অরণ্যর চেহারায় ভয় না বরং ওর মুখে হাসি ফুটে উঠে। অরণ্য গলায় থাকা ইনায়ার হাত সরিয়ে দেয় এরপর বলে –
“- ওয়াও কি তেজ আপনার মিসেস ইনায়া। অবশ্য অরণ্য রাজ চৌধুরী বউ হয়ে যদি এইটুকু তেজ না থাকে তাহলে কি করে হয়। তবে আপনার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে হাত কাটতে পারবেন কিন্তু গলা না তাই শুধু শুধু কষ্ট করতে যাবেন না।
“- অরণ্য যদি কখনো আমাকে আপনি টার্চ করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনাকে খুন আমি অবশ্যই করব। যদি ছুরি দিয়ে করতে না পারি বন্ধুক দিয়ে হলে ও করবো “।
“- ইনায়া আপনাকে টার্চ করার কোনো আগ্রহ আমার বর্তমানে নাই না ভবিষ্যতে কোনো দিন থাকবে ও না । কোনো নারীর অনুমতি না নিয়ে তাকে টার্চ করা কোনো পুরুষ মানুষের শিক্ষা হতে পারে না। আর আপনার সাথে আমার শএুতা শুধু একটাই আপনি ওই চৌধুরী বাড়ির বিজনেস দেখা শোনা করেন।
অরণ্যর কথা শুনে ইনায়া বুঝতে পারে না তার সাথে চৌধুরী পরিবারের কি শএুতা থাকতে পারে। ইনায়ার যানা মতে অরণ্য সাথে চৌধুরী বাড়ির রক্তের সম্পর্ক আছে। মিলন সাহেবের ছোট ভাই মাহবুব সাহেবের ছেলে অরণ্য রাজ চৌধুরী। তবে অরণ্য বা তার পরিবার চৌধুরী বাড়ির কাউকে পছন্দ করে না বরং তাদের ঘৃণা করে। ইনায়া বলে –
“- আপনার সাথে চৌধুরী পরিবারের কি শএুতা থাকতে পারে অরণ্য? আমার মামণি আর ভালো বাবা কি ক্ষতি করেছে আপনার?
ইনায়ার মুখে অরুণা বেগম আর মিলন সাহেবের নাম শুনে অরুণ্যর মুখে থাকা হাসি ফুরিয়ে যায়। অরণ্যের চেহারায় রাগ আর ঘৃণা স্পষ্ট ফুটে উঠে অরণ্য বলে –
“- ওই চৌধুরী পরিবার আমাদের থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। আর ওই মিলন সাহেব আর অরুণা বেগম শুধু মাএ সম্পত্তির জন্য আমার বাবাকে খুন করেছে। শুধু মাএ এই চৌধুরী পরিবারের লোভের কারণে আমার মাকে বিধবা হতে হয়েছে আমার আর আমার বোনকে অনাথ পরিচয়ে বাঁচতে হয়েছে “।
ইনায়া কথাটা শুনে একটু অবাক হয় কারণ তার মামণি বাবা এখনো সম্পত্তির জন্য কাউকে খুন করতে পারে না। ইনায়া বলে –
“- আমার মামণি আর ভালো বাবা কখনো এমন করতে পারে না। নিশ্চয়ই আপনার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে অরণ্য?
“- কোনো ভুল হচ্ছে না আমার ইনায়া আপনার ভালো বাবা আমার আব্বুকে খুন করেছে। আর তার জন্য তাদের শাস্তি এই অরণ্য চৌধুরী অবশ্যই দিবে । তবে এখন আপনি ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসুন আমার কিছু জরুরি কাজ আছে যার জন্য বাহির যেতে হবে “।
অরণ্য ইনায়াকে কথাটা বলে রুম থেকে বের হয়ে যায় ইনায়া দেখে মেঝেতে রক্তের বিন্দু বিন্দু ফোঁটা পড়ে আছে। ইনায়ার করা ছুরির আঘাতের কারণে হয়তো অরণ্যর হাত কেটে গেছে যা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়েছে মেঝেতে। ইনায়া অল্প কিছু সময় অরণ্যর বলা কথা ভাবে কিন্তু কোনো কথার মানে সে বুঝতে পারে না। এরপর ইনায়া অরুণ্যর কথা অনুসারে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে নিজের গলা থেকে ভারী ভারী গয়না খুলে ফেলে। সারাদিন অনেক টার্য়াড থাকার কারণে বিছানায় শুয়ে ঘুমের দেশে পাড়ি দেয় ইনায়া।
রাত যখন বারোটা তখন দরজা খুলে রুমে প্রবেশ করে অরণ্য ওর হাতে বেন্ডেজ করা। মূলত হাতের কাটা স্থানে বেন্ডেজ করার জন্য বাহিরে চলে গিয়ে ছিলো অরণ্য। রুমে এসে দেখে ইনায়া বিছানায় ঘুমিয়ে আছে অরণ্য সেইদিকে একবার তাকিয়ে দেখে। এরপর নিজের আলমারি থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানা থেকে বালিশ নিয়ে সোফায় শুয়ে পড়ে। ইনায়ার ঘুমিয়ে থাকার কারণে অরণ্যর উপস্থিতির বিষয়ে তার কোনো ধারণা নাই।
সকাল সাতটা জানালার কাঁচ ভেদ করে সূর্যের আলো এসে পড়ে ইনায়ার সারা মুখে। ইনায়ার পিটপিট করে চোখ খুলে দেখে সে অচেনা একটা রুমে শুয়ে আছে। ইনায়ার মনে পড়ে কালকে তার বিয়ে হয়েছে তাও আবার তার চিরশত্রু অরণ্যর রাজ চৌধুরীর সাথে। ইনায়া রুমের আশেপাশে তাকিয়ে দেখে অরণ্য কোথাও নাই তাহলে কি অরণ্য কালকে সারারাত বাহিরে কাটিয়ে দিয়েছে। ইনায়া বলে –
“- ওই অরণ্য রাজ চৌধুরী কি রাতে ফিরে আসে নাই? তাহলে কি ওনার হাতে থাকা ছুরির আঘাতে ও কি বেন্ডেজ করেন নাই?
ইনায়ার মনে পড়ে অরণ্য তার শএু তার কথা সে কোনো ভাবতে যাবে। যদি অরণ্য সারারাত বাড়ি না ফিরে তাহলে তার কি? ইনায়া আর অরণ্যর চিন্তা করে না বরং সে ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে যায়। ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখে সে এখনো বিয়ের শাড়ি পড়ে আছে। রাতে অতিরিক্ত টার্য়াড থাকার কারণে শাড়ি না পরিবর্তন করে ঘুমিয়ে পড়েছে। তবে ইনায়ার মনে পড়ে তার কোনো জামা এই বাড়িতে নাই তাহলে সে কি পড়বে?
অরণ্য রুমে এসে দেখে ইনায়া আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তার পরনে কালকে রাতের জামা কাপড়। অরণ্য সেটা দেখে ভ্রু কুঁচকে ইনায়াকে জিজ্ঞেস করে –
“- ইনায়া কি পড়ে আছেন এইটা?
অরণ্য কণ্ঠ স্বর শুনে আয়নার সামনে থাকা ইনায়া পিছনে ফিরে তাকায়। অরণ্যর পড়নে কালকে রাতের পোশাক নাই তার মানে কি অরণ্য কাল রাতে ফিরে এসেছে? ইনায়ার কথার উত্তর দেয় না দেখে অরণ্য আবার জিজ্ঞেস করে –
“- ইনায়া কি সমস্যা আপনার? কথার উত্তর কোনো দিচ্ছেন না? আর কি পড়ে দাঁড়িয়ে আছেন আপনি?
অরণ্যর কথা শুনে ইনায়া নিজের ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে আসে। তবে সে অরণ্যর কথার উত্তর না দিয়ে আশেপাশে কি যেনো খুঁজতে থাকে। অরণ্য অবাক হয়ে আবার জিজ্ঞেস করে –
“- আপনি তখন থেকে কি খুঁজে যাচ্ছেেন ইনায়া?
“- আপনার চোখ দুইটা খুঁজে যাচ্ছি অরণ্য? আপনার চোখ কোথায় হারিয়ে গেছে?
“- কি বলছেন আপনি ইনায়া এইসব। আমার চোখ আমার সাথে আছে.
“- অরণ্য যদি আপনার চোখ যদি আপনার সাথে থাকে তাহলে কোনো জিজ্ঞেস করছেন কি পরে আছি? যেহেতু বিয়ে হয়েছে তাই অবশ্যই বিয়ের শাড়ি পড়েই থাকবো “।
ইনায়ার কথা শুনে অরণ্যে রাগ হয় তবে সে শান্ত হয়ে বলে –
“- চোখ আমার একদম সঠিক আছে। কিন্তু আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করেছি এখনো এই বিয়ের শাড়ি কোনো পড়ে আছেন? বাড়িতে মেহমান এসেছে নতুন বউকে দেখার জন্য?
“- মেহমান এসেছে দেখে আমি করব?
“- মেহমানের মানে জোকার হয়ে নাচতে হবে আপনাকে ইনায়া.
“- জোকার হয়ে নাচটা বরং আপনি করেন অরণ্য। কারণ আপনার চেহারা বা কাজের সাথে জোকারের অনেক মিল রয়েছে?
ইনায়ার কথাটা বলে বাহিরে বের হয়ে যেতে চাই তখন অরণ্য ওর সামনে যায়। অরণ্যের এমন করে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা থেকে ইনায়া বেশ বিরক্ত হয়। অরণ্য বলে –
“- কি বললেন আপনি আমাকে ইনায়া?
“- আপনি কানা যানতাম এখন কি কানে ও কম শুনেন না কি। মানে মামণি আমার সাথে কার বিয়ে দিয়েছে জামাই তো না পুরো অটিস্টিকের ডিব্বা “।
অরণ্য সামনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ইনায়া বাহিরে যেতে পারে না সে আবার ফিরে এসে আয়নাম সামনে দাঁড়িয়ে যায়। ইনায়ার কথা শুনে অরণ্য ভাবে অন্য মানুষের বউ তাদের জামাইকে কিউটের ডিব্বা বাবু সোনা বলে ডাকে। আর তার বউ তাকে অটিস্টিকের ডিব্বা বলে ডাকে অরণ্য কথাটা ভেবে নিজের কপালের উপর নিজের কষ্ট লাগে। কিন্তু এখন ঝগড়া করার সময় নাই অরণ্য বলে –
“- আপনি নিজের জামা কাপড় বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন নাই ইনায়া?
“- না “।
“- আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নাই। আমি সায়মা মানে আমার বোনকে বলছি আপনার জন্য শাড়ি আর হালকা জামাকাপড় নিয়ে আসতে। আর বাড়িতে মেহমান এসেছে তারা নতুন বউ দেখতে চাই সুন্দর করে রেডি হয়ে নিচে আসেন “।
অরণ্য কথাটা বলে রুম থেকে বের হয়ে যায় এরপর নিজের বোনের রুমে যায়। অরণ্যর বোন সায়মা ওর বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু ওর স্বামী বিদেশে থাকে যার জন্য সে এই বাড়িতে থাকে। অরণ্য তার বোনের রুমের দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকে যায় আর বলে –
“- সায়মা “।
“- হুম ভাইয়া বলো “।
“- তোর ভাবী বাড়ি থেকে কোনো শাড়ি নিয়ে আসে নাই। তোর কোনো নতুন শাড়ি থাকলে ওকে পড়িয়ে দে আর বাড়িতে মেহমান এসেছে ওনাদের সামনে সাজিয়ে নিয়ে যা.
অরণ্য সায়মাকে তার রুমে পাঠিয়ে দেয় সায়মা অরণ্যর রুমে এসে দেখে ইনায়া নিজের রুমে চুল মুছতে থাকে। সায়মা এসে দরজায় টোকা দেয় আর বলে –
“- রুমে আসতে পারি ভাবী “।
রুমের বাহিরে থেকে কোনো মহিলার ডাক শুনে ইনায়া রুমের বাহিরে তাকিয়ে দেখে একজন মহিলা সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। ইনায়া বুঝতে পারে এইটা অরণ্য বোন সায়মা ইনায়া শান্ত স্বরে বলে –
“- জি ভিতরে আসুন “।
ইনায়া জবার পেয়ে সায়মা রুমে ঢুকে আসে এরপর ইনায়াকে দেখে বলে –
“- বাহ কি মিষ্টি দেখতে আমার ভাইয়ের বউকে। একদম পরীর মতো “।
“- ধন্যবাদ আপু “।
ইনায়ার সাথে বেশ অনেক সময় কথা বলে সায়মা এরপর ওাে সাজিয়ে নিয়ে আসে মেহমানদের সামনে। সকলে অনেক প্রশংসা করে ইনায়ার রূপে বেশ অনেক সময় পরে সকল মেহমান বাড়ি থেকে বিদায় নেয়। ইনায়া নিজের রুমে চলে আসে তখন ওর পিএ সিফাত ওকে কল দেয় –
“- হ্যালো ইনায়া ম্যাম “।
“- হুম সিফাত বলো “।
“- ম্যাম আপনার নামে আলাদত থেকে একটা নোটিশ এসেছে। আপনার যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে তাই আমি অরণ্য স্যারের বাড়িতে সেটা পাঠিয়ে দিয়েছি “।
“- আমার নামে আদালত থেকে নোটিশ। কোনো বিজনেসের বিষয়ে কি সিফাত ?
“- জানি না ম্যাম “।
সিফাতের কথা শুনে ইনায়া একটু অবাক হয়ে যায় এরপর রুম থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে যায়। বাড়ির দরজায় কলিং বেলের শব্দ শুনা যায় ইনায়া গিয়ে দরজা খুলে দেয়। একজন লোক একটা চিঠি ইনায়ার হাতে ধরিয়ে দেয় সরকারি কাগজ মনে হচ্ছে। ইনায়া কাগজটা খুলে পড়ে যা দেখে তাতে সে অবাক হয়ে যায় ইনায়া বলে –
“- হেয়াট এইটা কি করে সম্ভব। এই চিঠির মানে টা কি? এখন আমি কি করব?
সবার জন্য কালকে সারপ্রাইজ আছে। আর গল্পে ইসলামি শরিয়ত মেনে করা হয়েছে ইনায়ার বিয়ে ডিভোর্সের অনেকদিন পরে হয়েছে।
#চলবে