তোমার নেশায় মুগ্ধ পর্ব-৩২+৩৩

0
34

গল্প:- #তোমার_নেশায়_মুগ্ধ
লেখিকা:- #রাইমা । #পর্ব :-৩২

🥀কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমণাদের জন্য🥀

তালুকদার বাড়ির ডাইনিং রুমে আজ আবহাওয়া বড়োই গম্ভীর। নিজের আম্মাজানের মৃত্যুর পর আজ প্রথম বার বাপের বাড়িতে পা রেখেছেন হুমাইরা বেগম।

” আজ আবার তোমার জন্য জনসমক্ষে আমার সন্মান নষ্ট হলো। আর কয় বার এবাড়ির মাথা হেট করবে তুমি??” মুগ্ধের দাদাজান বলেন।
” ওই বাচ্চা গুলো কে ওই দিনই মেরে দিতে হতো। তাহলে আর…….” এনামুল সাহেব বলেন।

মেজো ভাইয়ের কথা শুনে তেড়ে এগিয়ে আসেন হামিদুল সাহেব। সপাটে এক চর বসিয়ে দেয় ভাইয়ের গালে।

” তুমি আমায় মারলে ভাইজান??”
” হ্যাঁ মারলাম। তোর কোনো পরিবর্তন নেই না রে?? কি ক্ষতি করেছে তোর ওরা?? কেনো মারতে চেয়েছিলিস তুই??”
” বাব্বাহ তোমার পিরিত দেখে তো আমি মূর্ছা যাচ্ছি গো। এর জন্যই বুঝি ওই ইভানের ঘাড়ে ফন্দি করে নিজের মেয়েকে গোছিয়ে দিলে??”
” মুখ সামলে কথা বল মেজো। এতোদিন আমার মেয়ের নামে অনেক কথা তোদের সহ্য করেছি।”

” তা আপনার মেয়ে কথা শোনার মত কাজ করবে আর কথা শুনতে হবে না বড়ো ভাইজান?? সবাই কি আমার মেহেকের মতো হয়,যে মা বাবা যেখানে বলবে সেখানেই বিয়ে করবে???” সুমাইয়া বেগম বলেন।
” অহংকার মানুষের পতনের কারণ জানিস তো সুমু?? এটা ভুলে যাস না তোর মেয়ের বর ঈশান কিন্তু ইভানেরই ছোটো ভাই। আর ওরা এটা লুকিয়ে বিয়ে করেছে আমাদের মেহেক কে। কখনো ভেবেছিস কেনো?? তোর মেয়ে আদেও ওখানে সুখে আছে কি না সেটা কখনো মেয়েকে জিজ্ঞেস করেছিস?? টাকা পয়সা কখনই সুখ শান্তি এনে দেয় না। আসল সুখ আসে স্বামীর ভালোবাসায়, স্বামীর যত্নে। তোর মেয়ে কে তার স্বামী ভালোবাসে তো?? তাকে সে যত্নে রেখেছে তো??” নাজিয়া বেগম বলেন।

নাজিয়া বেগমের কথায় অন্তর কেঁপে ওঠে সুমাইয়া বেগমের। সত্যিই তো বিয়ের পরে যতো বার মেয়েটার সাথে দেখা হয়েছে একবারো তো মেয়েটার মুখে হাসি দেখেনি। তার চঞ্চলা মেয়েটা কেমন যেন শান্ত ও চুপচাপ হয়ে গেছে বিয়ের পর থেকেই। কেনো?? তাহলে কি ভাবী ঠিক বলছে??

” আব্বাজান আব্বাজান সব শেষ হয়ে গেছে।” আজিজুল সাহেব ছুটতে ছুটতে বাড়ীতে ঢোকেন।
” কি হয়েছে আজিজুল?? শান্ত হয়ে বলো।” ইয়াজউদ্দিন তালুকদার বলেন।
” আব্বাজান বাজারের মধ্যে আমাদের দোকান গুলোয় পুলিশ এসেছে। বলছে আমরা নাকি দুইনম্বরী কারবার করি ।আমাদের সব দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে।”
” মানে???”
” আপনারা তাড়াতাড়ি চলেন।”

তালুকদার বাড়ির পুরুষেরা শীগ্রই রওনা দেয়।
______________

” এই নিয়ে কয় বার হলো মেহেক??”
” তিন বার হলো”
” তোমার কি শরীর ঠিক নেই? এতো বার বমি হচ্ছে কেনো??”
” বলছি ঈশান এক বার ডাক্তার ডাকবেন?? তাহলে আরকি একবার সিওর হওয়া যেতো।”
” সিওর?? কিসের জন্য??”
” না আসলে……”
” কি হয়েছে বউ জান?? খুলে বলো আমায়।”
” আসলে ঈশান আই থিঙ্ক আমি প্রেগনেন্ট। আমাদের বেবী হবে।”
” সত্যি??”
” হুম।”

মেহুর কথায় চোঁখে মুখে খুশির ঝলক ফুটে ওঠে ঈশানের। এদিকে মেহু লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। তার অনেক দিনের ইচ্ছা যে তার একটা ফুটফুটে মেয়ে বাবু হবে।সে দুনিয়ার বেষ্ট আম্মু হবে।আজ তার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। সে মা ঈশান মেহু কে কোলে তুলে ঘুরাতে লাগল।

” মেহেক মেহেক মেহেক আমি আজ খুব খুব খুব খুশি। এতোদিন পর আমার স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। অবশেষে আজ আমি আমার লক্ষে পৌঁছাতে পেরেছি।আমি এতো খুশি তে পাগলই না হয়ে যায়।”
” আরে থামুন থামুন। থামুন এতো জোড়ে ঘোরালে তো আপনার বেবির ক্ষতি হবে।”

ঈশান মেহু কে কোল থেকে নামিয়ে বলে,” চলো বাড়ির সবাই কে এই গুড নিউজ তো দিই।”



ঈশান মেহুর হাত ধরে সিঁড়ি দিয়ে নেমে ডাইনিং রুমে এসে তাকে সোফায় ছুঁড়ে ফেলে। ডাইনিং রুমে উপস্থিত বাড়ির সকলে চমকে ওঠে।

” কি হয়েছে ঈশান?? তুমি এই ভাবে ওকে ছুঁড়ে ফেললে কেনো??” ইশতিয়াক সাহেব বলেন।
” সেটা এই মেয়ে কে জিজ্ঞেস করো ড্যাড??” ঈশান বলে।
” অদ্ভূত তো আপনি আমার বোন কে এই ভাবে ছুঁড়লেন কেনো সেটা ও কি করে জানবে?আর ওকে এই ভাবে সবার সামনে অপমান করছেন কেনো?ও তো আপনার স্ত্রী।” মুগ্ধ বলল।
” ওই দুশ্চরিত্রা আমার স্ত্রী নই।যার নিজের চরিত্রের ঠিক নেই সে কখনোই ঈশান চৌধুরীর বউ হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।”

ঠাসঠাস

” আর একটা কথাও আমি আমার বোনের বিরুদ্ধে শুনবো না। কোন অধিকারে বলছেন আপনি এসব ঈশান?? সবার সামনে মেহু কে ছোটো করার অধিকার কে দিয়েছে আপনাকে??”
” মুগ্ধতা তুমি আমার ছেলে কে মারলে??” বুশরা বেগম বলেন।
” মাফ করবেন মা কিন্তু আপনার ছেলে এটা ডিজার্ভ করে। উনি কেনো মেহু কে এইভাবে ছুঁড়ে ফেললো??”
” আর আপনার বোন কি করেছে সেটা জানেন ভাবী??”
” কি করেছে আমার বোন??”
” নিজের না*গরের বাচ্চা পেটে ধরে বসে আছে ও।”

ঈশানের কথায় আকাশ থেকে পরে মেহেক। এ সব কি বলছে ঈশান?? একটু আগেই তো ও এতো খুশি ছিলো। হঠাৎ কি হলো?

মেহু এগিয়ে যায় ঈশানের দিকে,
“এসব কি বলছেন আপনি ঈশান?? এই বাচ্চা তো……”

ঠাসঠাস

ঈশানের চরে তাল সামলাতে না পেরে পরে যেতে নেই মেহু। মুগ্ধ তাকে ধরে নেয়।

” নিজের ওই নোংরা অপবিত্র হাতে আমাকে ছোঁবি না তুই ন*ষ্টা মেয়ে ছেলে। নিজের প্রেমিকের সাথে শোয়ার আগে আমার কথা মনে পড়েনি?? এখন তার বাঁচা তুই আমার ঘাড়ে চাপাতে চাস??”
” এসব মিথ্যে। এই বাচ্চা আপনার ঈশান। আমি আপনার বাচ্চার মা হতে চলেছি।”
” তোর এত বড়ো সাহস তুই আবার গলা উঁচিয়ে মিথ্যা বলছিস?? এতো টাকার লোভ তোর?? অবশ্য হবে নাই বা কেন তোর বাপ তো টাকার জন্যেই তোর মত চরিত্রহীন মেয়ে কে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে।”
” চুপ করুন আপনি দয়া করে। চুপ করুন। আমি আপনাকে ঠকাইনি। হ্যাঁ আমি মানছি বিয়ের আগে আমার সাথে আরফিন ভাইয়ার একটা প্রেমের সম্পর্ক ছিলো কিন্তু সেই সম্পর্কে আমরা কেউই কখনো সীমা অতিক্রম করিনি।”
” তাই নাকি?? তাহলে এটা কি??”

ঈশান সবার সামনে মোবাইলে একটা ভিডিও প্লে করে যাতে দেখা যাচ্ছে মেহু আরফিন কে জড়িয়ে ধরেছে। আরফিন মেহুর কপালে চুমু খাচ্ছে। এটা গেষ্ট রুমের ভিডিও যখন আরফিন থাকতো গেষ্ট রুমে। ভিডিও টা তে শুধু মাত্র এতোটাই দেখানোর পর স্ক্রিন ঝাপসা হয়ে যায়।

” এসব পুরোটা সত্যি নয়। আপনি বিশ্বাস করুন ঈশান।”
” সেদিন তোমরাদের মধ্যে এগুলো হয়নি??”
” হ্যাঁ সেদিন আমরা একটু ইমোশনাল হয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলাম কিন্তু তার বেশী কিচ্ছুই হয়নি।”
” এক বিবাহিত মহিলা একা একটা পরপুরুষের ঘরে একান্তে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরছে। সেই পুরুষটা তাকে কপালে চুমু খাচ্ছে এটা কি সেই মহিলার চরিত্রটিকে খুব ভালো প্রমাণ করছে ভাবী?? আপনিই বলেন।”

মুগ্ধ মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছে।তার আর কিচ্ছুই বলার নেই। সত্যিই তো এইভাবে একা সবাইকে লুকিয়ে ভাইয়ার রুমে যাওয়াটা মেহুর একে বারেই উচিত হয়নি।

” সেদিন আমাদের মধ্যে কিছু হয়নি। বিশ্বাস করুন আপনারা। আপাই আপাই তুমি বিশ্বাস করো সেদিন আমাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি গো।সেদিন আমি শুধু কথা বলতে গেছিলাম।”
” কথা বুঝি জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে?? আমি তো প্রথমেই বলেছিলাম এই মেহেক এর স্বভাব ভালো না। আরে বাবা মা বাবার শিক্ষা বলেও তো একটা কথা আছে নাকি??” বুশরা বেগম বলেন।
” চুপ করুণ। আমার মা বাবার শিক্ষায় আঙুল তোলার কে হন আপনি??”

” আজ থেকে আমার আর মেহেকের রাস্তা সম্পূর্ণ আলাদা।”
” আমি আপনার পায়ে পরছি ঈশান আমাকে ছেড়ে দেবেন না। আপনি আমাকে ছেড়ে দিলে আমার বাচ্চার কি হবে??” হাউ মাউ করে কাঁদতে থাকে মেহু।
” সেটা তোমার এই বাচ্চার বাবা বুঝবে আমি নয়।”
” আপনিই আমার বাচ্চার বাবা। বিশ্বাস করুণ প্লীজ।”
” আজ তোমার শেষ নিশ্চিত ”

ঈশান মেহু যে হির হির করে টানতে টানতে বাড়ি থেকে বিয়ে বেরিয়ে যায়।

#চলবে
#লেখিকা_রাইমা

গল্প:- #তোমার_নেশায়_মুগ্ধ
লেখিকা:- #রাইমা। #পর্ব :- ৩৩

🥀কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য🥀

” মনে পড়ে আপনার কলেজ লাইফের প্রেম ইশা কে?? আপনার সিনিয়র ছিলো?? সে আর কেও না আমার বড়ো আপু। অবশ্য তাছাড়াও তার আরেকটা পরিচয় আছে, সে হচ্ছে আপনার ফুফুর মেয়ে। মনে বিগ ব্রোর আপন বোন।”

ইয়ানার কথা শুনে আরফিনের পায়ের তলা থেকে যেনো মাটি সরে যায়।

” ই…. ই….ইশা??”
” মনে পড়েছে তাহলে?? আমার আপু কতোটা পাগল ছিলো আপনার জন্য সেটা আমাদের বাড়ির সবাই জানে। যখন সে কনসিভ করে তখন হাজারো বার সে আপনার পায়ে পড়েছে,কিন্তু আপনি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেননি। সেই পাপের ফল তো পেতেই হতো আপনাদের কে।”

” এসব কি বলছো মা?? আরফিন আর ইশা?? ইশা কে তো নির্মল ভালোবাসতো??” নাজিয়া বেগম অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন।

” আপনাদের ছেলে নির্মল ভাইয়া কে হিংসে করে তার থেকে ভালোবাসা কেড়ে তাকে হারানোর জন্য আমার আপু তাকে ব্যবহার করেছিলো। ভালোবাসার নাটক করে তার সাথে ফুর্তি মেরে তাকে প্রেগনেন্ট করে ছেড়ে দেয়। আমার আপু টা গায়ে আগুন দিয়ে সুই*সাইড করতে পর্যন্ত গেছিলো। শুধু মাত্র আপনার ছেলের জন্য।”
” কিন্তু এতে আমার মেয়ের কি দোষ??” সুমাইয়া বেগম বলেন।

ঈশান চিৎকার করে বলে ওঠে,” আপনার মেয়েই আরফিন কে বলেছিলো আমার আপুর সাথে প্রেম করতে। সে নির্মল কে পছন্দ করতো।কিন্তু নির্মল কখনওই তাকে সেই চোখে দেখেনি।যাতে নির্মল আপু কে ভুলে আপনার মেয়ে কে ভালোবাসে তাই সে আর আরফিন ফন্দি করে ওদের দুজনের জীবনটা কে নষ্ট করে দেয়।”
” দেখো বাবা যা হওয়ার হয়ে গেছে কিন্তু আমার মেয়ে টাকে এতো বড়ো শাস্তি দিও না। তুমি যদি এতো বড়ো কলঙ্ক লাগিয়ে আমার মেয়ে তাকে ছেড়ে দাও তাহলে আমার মেয়েটার কি হবে?? আমাদের ব্যাবসা পাতি সব শেষ হয়ে গেছে। পোয়াতি মেয়ে কে আমি খাওয়াবো কি??” এনামুল সাহেব হাত জড়ো করে বলে উঠলেন।

” দেখুন অনেক নাটক হয়েছে, আপনার মেয়ের কাছে ডিভোর্স লেটার পৌঁছে যাবে।এখানে আর এক মুহূর্ত থাকা দুষ্কর”
” দাঁড়াও ভাইয়া আমিও যাবো। আর হ্যাঁ ডিভোর্স লেটার পৌঁছে যাবে আপনাদের ছেলের কাছে। এখানে আমি যে উদ্দেশ্যে এসেছিলাম সেই উদ্দেশ্য শেষ।”

আরফিন ছুটে গিয়ে ইয়ানার পথ আগলে ধরে।

“কি করছো তুমি ইয়ানা?? কেনো এমন বলছো??”
” হাত ছাড় একবারে নাটক করবি না। তুই যে আমায় নয় আমার বাবার টাকার জন্য আমায় বিয়ে করেছিস তা আমি খুব ভালো করে জানি।”
“আমাকে ছেড়ে যেও না প্লীজ আমায় ক্ষমা করে দাও।”

ঠাসঠাস

” এই জানোয়ার আমার বোনের থেকে দূরে থাক নইলে তোর প্রাণ আমি কেড়ে নিতে পিছু পা হবো না।”

ঈশানরা তালুকদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
_______________

চৌধুরী ম্যানসনে বিশাল চিন্তার পরিবেশ।

” আচ্ছা বেইব তুমি ওদের জন্য আমাদের মধ্যে ঝগড়া করছো কেনো বলোতো?কি হলো আর কতক্ষণ রাগ করে থাকবে? কথা বলো।”
” আমার কারোর সাথে কথা বলার ইচ্ছা নেই।”
” লিসিন মুগ্ধ এবার কিন্তু তুমি ধৈর্যের বাঁধ ছাড়িয়ে যাচ্ছো।আমার ভেতরের সাইকোটা কে জাগাছ কিন্তু তুমি…….”
” ওই সাইকগিরিই তো করতে পারেন আপনি। আমার ভাইয়া দোষী আমার বোন দোষী মানলাম, কিন্তু আপনার আপু? সে কি কোনো দোষ করেনি?? আজ আমার নির্মল ভাইয়া তার জন্য আমাদের মাঝে নেই।”
” কেনো সবটা না জেনে কথা বলো??তোমার ভাইয়া আমার আপু কে ব্রেইন ওয়াশ করে তখন প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিলো। আপু কি জানতো যে আরফিন তাকে ঠকাবে??”
” আচ্ছা ঠিক আছে,বাদ দিলাম এসব। কিন্তু এসব মেহু কেনো শাস্তি পাবে?? তখন ওর বয়স মাত্র তেরো কি চোদ্দো। ওর কি তখন সেই জ্ঞান ছিলো??”
” এতোটাও ছোটো ছিলো না যে প্রেম আর ঠকানোর পার্থক্য বোঝে না। সেও সমান দোষী।আর এই ব্যাপারে আমি কিচ্ছু শুনতে চায় না। ডাক্তার কল করে ছিলো, আপুর জ্ঞান ফিরেছে। তাকে আমরা কালকে বাড়ি নিয়ে আসবো। আর তার সেবা করবে তুমি ”
” আমি পারবো না ইভান।”
” আই এম নট আস্কিং ইউ আই এম টেলিং ইউ। ইউ হ্যাভ টু ডু দ্যাট। তার যদি কোনো অযত্ন হয় তার ফল তোমায় ভুগতে হবে এটা মনে রেখো।”

ইভান রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

#চলবে
#লেখিকা_রাইমা