#তোমার_সনে_বেঁধেছি_আমারও_প্রাণ
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৫
“আজ ফিরতে এতো রাত হলো যে? কোথায় ছিলে এতোক্ষণ?”
তনয়া দরজা বন্ধ করে ছাতাটা রেখে বলল, “অফিসে অনেক কাজ ছিলো রে। খাবারগুলো সব ফ্রিজে রেখে দে। আমি খাবো না!”
“কেন খেয়ে এসেছো? ছাতাটা কার? ভীষণ সুন্দর! কবে কিনলে?”
“কিনিনি তো। একজন দিলো!”
মৌ ছাতা ঘুরিয়ে দেখল। অবাক কণ্ঠে বলল, “এতো সুন্দর ছাতাটা কে দিলো গো তোমায়? দেখে তো অনেক দামী মনে হচ্ছে! ছাতার নিচে থেকেও তো ভিজে গেছো দেখছি!”
তনয়া চেয়ারে এগিয়ে বসল। পানির গ্লাসে চুমুক দিয়ে বলল, “জানি না। কে দিলো তাও চিনি না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম একজন গাড়ি করে দিয়ে গেল!“
“হুম, দারুণ রোমাঞ্চকর কথা বলছো তো! তবে ছাতাটা বেশ ভালো!”
“রাখ তো ছাতা। ঘরে গেলাম!”
“মেজাজ অনেক তিরিক্ষি মনে হচ্ছে? কারণ কি? তন্ময়ের সাথে ঝগড়া নাকি?”
“ইদানিং খুব বাজে বকিস! ঘুমোতে গেলাম আমি!”
ঘরে এসেই প্রথমে শাওয়ার নিলো তনয়া। আয়নাতে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুতিয়ে দেখতে লাগল। নরম বিছানার উপর ভেজা চুলগুলো ছেঁড়ে দিয়ে শুরু পড়ল। শরীর ছেড়ে দিল। ক্লান্তি লাগছে, ঘুম আসছে! কাল অনেক কাজ আছে। কাজের কথা শুনলেই ঘুমাতে ইচ্ছে করে! তন্ময়ের কথা মনে পড়ল হুট করে। ঘুমের মধ্যে তনয়া কেঁদে উঠলো!
.
আজ সকাল সকাল সকলে চলে এসেছে। সকলে বেশ পরিপাটি। ম্যানেজার সাহেবের শরীরে পারফিউমের মাত্রা অধিক! একটু ধারে কাছে গেলেই মাথা গুলিয়ে যায়। তনয়ার পরনে শাড়ি। বাঙালি মেয়ে মানেই শাড়ি। সচরাচর থ্রি পিসে অভ্যস্ত সে, মাঝে সাঝে টপস ও পরে। তবে আজ বিশেষ দিনে শাড়ি পরার যৌক্তিকতা ছিলো একটু! তন্ময় এসে তার পাশে দাঁড়াল। ফিসফিস করে কানের কাছে বলল, “ইউ লুক সো নাইস তনয়া!”
তনয়া মিটিমিটি হাসল। ফিরে চাইল! তন্ময় তাকে দেখে মিষ্টি করে হাসি দিল। তার চোখ গুলো স্পষ্ট বলে দিলো, গতরাতের কোন কথা তার মনে নেই। ভালোই হলো! পরিস্থিতি স্বাভাবিক। লোকজন এদিকে আসছে। স্যার বোধহয় চলে এসেছে। সবাই উৎসুক হয়ে সামনের দিকে চেয়ে রইল। উত্তেজিত তারা! অতঃপর তিনি এলেন। তাকে দেখামাত্র তনয়ার চোখ মুখ কুঁচকে গেল। সুট টাই পরা এই লোক তার স্যার! না না, সুট টাই তে অসুবিধে নেই। স্যারের স্যার, মানে বড় বস ও তাই পরে আছেন। কিন্তু লম্বা চুল! এটা কেমন দেখায়? ছেলেদের লম্বা চুল দেখলেই তনয়ার কেমন অস্বস্তি হয়। লম্বা চুল রেখে কি অদ্ভুত ফ্যাশন। স্যারের চোখে ইয়া কালো চশমা। ক্লিন সেভ! এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরেও লোকটাকে ঠিক করে দেখতে পারল না। এর লম্বা চুল আবার পেছনে ঝুঁটি করা। এটা করার কি দরকার ছিলো? তনয়া কপাল কুঁচকে ভাবল, “বেনী করলেই তো পারত!” না না, কতোটুকু ছাগলের লেজে বেনী হয় না। আবার করলেও হয়! কি আজব!
তন্ময় জিজ্ঞেস করল, “কেমন দেখলি?”
“কাকে?”
“স্যারকে! তাকে দেখার জন্যই তো শাড়ি পরে সেজেগুজে হাজির!”
“পুরাই লস প্রজেক্ট, ভাদাইম্যার মতো দেখতে!”
তন্ময় মুখ টিপে হেসে বলল, “আস্তে! শুনতে পেলে তোর আমার দুজনের চাকরি নট!“
তনয়া মুখ টিপে হাসল!
.
শেহনেওয়াজ জাওয়াদ চৌধুরী চেয়ারের উপর হাত রেখে বললেন, “নাও এই চেয়ার এখন থেকে তোমার!”
ফিরে তাকালেন শেহনেওয়াজ উষ্ণ চৌধুরীর দিকে। উষ্ণ চোখের কালো সানগ্লাস নামিয়ে টেবিলের উপর রাখল। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলগুলো ঠিক করল। আদৌও চুল ঠিক করা নাকি কাউকে দেখার বাহানা। জাওয়াদ চৌধুরী আবারো ডাকলেন। ফিরে তাকালো সে। আড়চোখে চেয়ারের দিকে তাকিয়ে রইল। তিনি হেসে বললেন, “কি দেখছো? আমি জানি এই চেয়ারের উপর তোমার লোভ ছিলো!”
“ছিলো না আছে! ওটা আমারই!”
ছেলের কনফিডেন্স দেখে তিনি খুশি হলেন। গম্ভীর মুখে বললেন, “দেখা যাক! তুমি সামলাতে না পারলে আমার কাছে অপশন আছে!“
উষ্ণ বেপরোয়া ভঙ্গিতে দুই হাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে বলল, “কিন্তু আমার কাছে অপশন নেই। তোমার দুই নাম্বার ছেলেকে এই চেয়ারে বসতে দেওয়া যাবে না!”
“ঠিক করে কথা বলো উষ্ণ!” একটু উঁচু স্বরেই বললেন তিনি। উষ্ণ বিশেষ কোন পাত্তা দিলেন না। চেয়ার এগিয়ে বসে পড়ে টেবিলের উপর থাকা কাগজপত্র উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখতে লাগলেন। জাওয়াদ চৌধুরী গলার টাই লুজ করে বললেন, “অফিসের দায়িত্ব তুমি নেওয়ায় তোমার মা কতো খুশি জানো!”
উষ্ণ ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে বলল, “খুশি আর মা! মা শব্দটাই এখন তিতকুটে লাগে আমার কাছে!”
“আজকের দিনে তোমার সাথে দুটো তর্ক করে কথা বাড়াতে চাই না। তুমি যা চেয়েছো তাই দিয়েছি। বাজে বকা বন্ধ করো!”
উষ্ণ তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালো। সূক্ষ্ম দৃষ্টি এসে বাঁধল জাওয়াদ চৌধুরীর বুকের মধ্যে। পায়ের উপর পা তুলে উষ্ণ বলল, “এটা আমার অধিকার! আমি অর্জন করেছি। আমার যোগ্যতা ছিলো তাই পেয়েছি। তোমার তিনবার মেট্রিক ফেল করা দুই নাম্বার ছেলে কি এর ধারেকাছে ঠেসতে পারবে?”
অন্যকেউ এভাবে শেহনেওয়াজ জাওয়াদ চৌধুরীর সামনে উঁচু স্বরে কথা বললে এতোক্ষণে তিনি তার বুকে বন্দুক তা’ক করে ফেলতেন। বাপ দাদারা জমিদার ছিলো! শিকার করতে ভালোবাসাতেন। বংশগত সেই বৈশিষ্ট্য তিনিও পেয়েছেন। বাড়িতে তার লাইসেন্স করা বন্দুক আছে। এছাড়া শিকার করার জন্য আদিযুগের শর্টগান দেয়ালে সাজানো আছে! কিন্তু এখন আর শিকার করেন না। কিন্তু গু’লি করার অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করছে গু’লি ছুঁড়তে। তার সামনে কেউ উঁচু স্বরে কথা বললেও মাথা ঠিক থাকে না। তিনি খুব অহংকারী! লম্বায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি! খুব একটা কম না। তবে তাঁর বড় ছেলে উষ্ণ তার থেকেও কিছুটা লম্বা। ২ ইঞ্চি হবে বোধহয়! এই ছেলেকে একাধারে তিনি ভালোও বাসেন আবার ঘৃণাও করেন। ভালোবাসেন কারণ ছেলে তাঁর অনেক বৈশিষ্ট্য পেয়েছেন। তাদের ভাবনা চিন্তা মিল আছে। দুই ছেলের মধ্যে কেউ বংশের নাম রাখতে পারলে এটা কেবল উষ্ণ চৌধুরী! কিন্তু মাঝে মাঝে তার বেপরোয়া ভঙ্গি, অতি আত্মবিশ্বাস, বাচনভঙ্গি তার দম্ভে আঘাত করে। ঠুকনো করে দেয় তার দম্ভকে। এসব তিনি সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু আজ হজম করে নিলেন। ছোট করে বললেন, “রাতে একসাথে ডিনার করব, জলদি এসো!” উষ্ণ জবাব দিলো না। তিনি জবাবের অপেক্ষা করলেন না। কারণ তিনি জানতে চাননি আদেশ দিয়েছে। অতঃপর নিশ্চুপে বেরিয়ে গেলেন কেবিন থেকে।
.
বড় স্যার বের হবার দু ঘণ্টা পর ডাক পড়ল তন্ময় আর তনয়ার। দুজনকে একসাথে ডাকতে দেখে তনয়া ভারী অবাক হলো। কারণ সে তন্ময়ের সিনিয়র! অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার। আর তন্ময় সাধারণ একজন স্টাফ। যদিও তার কাজে সকলেই বেশ খুশি। কিন্তু দুজনকে একসাথে ডাকার কারণ সে বের করতে পারল না। উষ্ণ মুখের সামনে থেকে ফাইল টেবিলে রেখে চেয়ারে হেলান দিয়ে শুধালো, “তোমার নাম তনয়া আর তুমি তন্ময়?”
তনয়া জবাব দিল, “জি স্যার!“
“তোমরা কি যমজ ভাই-বোন!”
তনয়া হতভম্ব কণ্ঠে শুধালো, “কি?”
তন্ময় হেসে বলল, “না না স্যার?”
উষ্ণ আরো গম্ভীর কণ্ঠে, “তাহলে? কাজিন তোমরা?”
তনয়া হাসল। গা জ্বালিয়ে দেওয়া হাসি। দাঁতে দাঁত চেপে বলল, “না স্যার! আমরা কোনো আত্মীয় না?”
তন্ময় মুচকি হেসে বলল, “উই আর বেস্ট ফ্রেন্ড!”
“দেখেই বোঝা যাচ্ছে!” উষ্ণ মাথা ঝুলিয়ে বলল! তনয়া বাঁকা চোখে তাকাল। ছাগল একটা! বোঝা গেলে আবার ভাই বোন বানাতে চাস কোন দু্ঃখে। চোখে বিরাট একটা কালো চশমা লাগিয়ে বসে আছিস! কিছুই তো দেখতে পাস না আবার ভাব দেখাস ষোল আনা। বলে কি না আমরা ভাইবোন! যাচ্ছে তাই!
উষ্ণ এবার দাঁড়িয়ে গেল। চেয়ারে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বলল, “মিঃ তন্ময়, হ্যাঁ, টেবিলের ফাইলটা দেখুন। আপনাকে আমি অন্য কাজে শিফট করতে চাই। আপনি আজ থেকে আমাদের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট টা দেখবেন। আপনার বায়োডাটা আমি দেখেছি মনে হচ্ছে এই কাজের জন্য আপনি একদম পারফেক্ট!”
তন্ময় উৎসুক হয়ে ফাইলখানা হাতে নিল। তার চোখে মুখে অস্থিরতার ছাপ। বিরাট খুশি সে! তনয়া তার হাসিমাখা মুখ দেখে শান্তি পেলো। এটাই তো সে চেয়েছিলো। মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট তার জন্য পারফেক্ট কিন্তু এরজন্য আরো সময় লাগার কথা ছিলো। তন্ময় নতুন হিসেবে এতো বড় দায়িত্ব তাঁর কাঁধে তুলে দেওয়াটা কী ঠিক হলো? কিন্তু যোগ্যতা অনুযায়ী এটা তাঁর প্রাপ্য! না না, এই ভাদাইম্মাকে যতোটা খারাপ ভেবেছিলো ততোটাও খারাপ নয় সে। ভালোই আছে। উষ্ণ চৌধুরী আবারো মুখ খুললেন। গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, “মিসেস তনয়া!”
“স্যার মিস!”
“ওহ মাই মিস্টেক! মিস তনয়া, আপনার কাজটা আসলে কী?”
“মানে স্যার, আমি অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার!“
“সে তো বুঝলাম। না আপনার কাজ শুধু এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে যাওয়া গল্প গুজব করা। আমি আসার পর তাই দেখে আসছি। আপনার কোনো কাজ নেই?“
“সরি স্যার!“
“হুম। কাজ না থাকলে আমায় এসে বলবেন। আমি কাজ দিবো। ওকে?”
“সরি স্যার!”
“আসতে পারেন আপনারা!”
তনয়া রাগে ফেটে যাচ্ছে। কোনমতে রাগ সামলে ভার মুখে রুম থেকে বের হলো। এ তো ভালা মানুষ না! আসলেই ভাদাইম্যা! আসার পর থেকে এই কেবিনেই বসে আছে আর বলে কি না সে কাজ করে না? পাগল নাকি? মাথার তার ছেঁড়া আছে বোধহয়! তন্ময় তার ঘাড়ে হাত রেখে বলল, “হয়েছে হয়েছে। কন্ট্রোল তনয়া!”
“কি বলে শুনলি? আমি নাকি কাজ করি না!”
“সব বস এটাই বলে। যারা কাজ ভালো করে বস তাদের একটু বেশি বকাঝকা করে। ক্লাসে দেখিস নি? ম্যাম টপারদের সবসময় বেশি করে বকতো। শান্ত হ!”
তনয়া পরপর কয়েকবার নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “তবে আমি তোর জন্য অনেক খুশি। ট্রিট দিবি আমায়!”
“আলবাদ। আজ রাতে ডিনার আমার তরফ থেকে। তোর প্রিয় কাচ্চি খেতে যাবো!”
তনয়া খুশিতে লাফাচ্ছে। ওদিক থেকে একজোড়া আঁখি বারংবার তার উপর নজর রাখছে। হাতে কালো রঙের সানগ্লাসকে গোল গোল ঘুরিয়ে ভাবছে কিছু সে!
.
শেহনেওয়াজ উষ্ণ চৌধুরী গায়ের সুট টাই খুলে তার সেক্রেটারীর হাতে দিলো। গায়ের সাদা শার্টের উপরের দুটো বোতাম খুলে নিল। শার্টের হাতার বোতাম খুলে তা ফোল্ট করে কনুই অবধি উঠাল। চুলের ঝুঁটি আরেকটু শক্ত করে বেঁধে হাতে হকি স্টিক নিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে সামনের লোকের দিকে আগাল। আগন্তুকের সামনে একটা ফটো রাখল। ভুল বশত আগন্তুক সেই ছবি ধরে দেখতে লাগল। উষ্ণ চৌধুরী চোখ গরম করে তাকাল। তার দিকে না তাকিয়েও তার তীক্ষ্ম দৃষ্টির উপস্থিতি টের পাচ্ছে আগুন্তক! অজানা এক ভয়ে তাঁর হাত কাঁপছে। উষ্ণ চৌধুরী ধারালো কণ্ঠে বলল, “ফটো ধরার পারমিশন তো দিই নি!”
দ্রুত ফটোটা জায়গামতো রেখে দিল সে। শুকনো ঢোক গিলল বার বার। উষ্ণ হকি স্টিক নিয়ে তার চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে বলল, “তার নাম মিস তনয়া। ও কখন কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে কথা বলছে, কি কথা বলছে এভরিথিং! এভরিথিং আমার জানা চাই!”
“জি স্যার!”
উষ্ণ হঠাৎ করে হকি স্টিক তার ঘাড়ের উপর রাখল। আগন্তুক আর সেক্রেটারি দু’জনেই ঘাবড়ে গেল। উষ্ণ হেসে বলল, “আমি নজর রাখতে বলেছি, নজর দিতে না! আন্ডারস্ট্যান্ড!“
আগন্তুকের মুখ দিয়ে এবার শব্দ টুকু বের হলো না। সে কেবল দ্রুত মাথা নাড়ল। উষ্ণ চৌধুরী হকি স্টিক সরিয়ে নিল। বলল, “নাও গেট আউট!”
আগন্তুক দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে গেল। পালিয়ে গেলেই যেন বাঁচে!
জিহ্ব দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে সেক্রেটারি দিকে তাকাল উষ্ণ চৌধুরী! সেক্রেটারি চোখ নামিয়ে নিল। উষ্ণ এসে স্পটে দাঁড়াল। হকি স্টিক দিয়ে বলের উপর তাক করল। সেক্রেটারি নিচু স্বরে বলল, “মিস তনয়া কী কিছু করেছে স্যার? আমি কি তার উপর নজর রাখবো? অনেক বছর ধরে তাকে চিনি!”
উষ্ণ চৌধুরী ঘাড় ঘুরিয়ে শুধালো, “আমি কি তোমায় বলেছি?“
“সরি স্যার!“
“আচ্ছা তোমার নাম কী?”
“জাহিদ হাসান!”
“জেএস! সংক্ষেপে আমি এটাই বলে ডাকব।”
“আচ্ছা স্যার!”
উষ্ণ হেসে ফের তার বলের দিকে তাক করল। তাক করছে একদিকে অথচ নিশানা অন্যদিকে। শান্ত কণ্ঠে বলে উঠল, “তো জেএস, যদি এসব ব্যাপারে তোমার বড় বস জানতে পারে তাহলে… একটা শব্দ হলো। বল সোজা গোলে ঢুকেছে। সেক্রেটারী জেএস তটস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। উষ্ণ চৌধুরী তার দিকে হকি স্টিক তাক করে বলল, “বুঝতে পেরেছো!”
সেক্রেটারী জেএস মাথা নাড়ল। উষ্ণ চৌধুরী একগাল হেসে বলল, “ভেরি গুড!”
#চলবে….