তোমার সনে বেঁধেছি আমারও প্রাণ পর্ব-০৬

0
1

#তোমার_সনে_বেঁধেছি_আমারও_প্রাণ
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৬

বাড়ির নাম দেয়ালে জ্বলজ্বল করছে। চৌধুরী ভবন! শেহনেওয়াজ উষ্ণ চৌধুরী গাড়ি থেকে বের হয়ে সোজা বাড়ির ভেতর ঢুকল। বসার ঘরেই তার জন্য অপেক্ষা করছিলো জাওয়াদ চৌধুরী। উষ্ণ বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করতেই তিনি বসা থেকে উঠে দাঁড়ালেন। ম’দ পান করার নেশা তার আগে থেকেই। মদের গ্লাস হাতে নিয়ে তীব্র কণ্ঠে বলে উঠলেন, “এতো রাত কেন হলো? তোমায় তো আমি বলেছি একসাথে ডিনার করব?”
উষ্ণ তার দিকে ফিরে তাকাল। সেই তাকানোতে কেবল ঘৃণা আর উপহাস। বলল, “বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি।”
“কেন?“
“ইচ্ছে হলো তাই!”
বলেই সিঁড়ির দিকে পা বাড়ায় সে। জাওয়াদ চৌধুরী তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলে উঠলেন, “জানো তোমার মা আজ কতো কষ্ট করে তোমার জন্য রান্না করেছিলো। তুমি তার সাথে এই ব্যবহার করলে?”
উষ্ণ কোনো জবাব দিলো। ভালো করে কথাও শুনলো না। সামনে আগালো। তার সামনে দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল সে। জাওয়াদ চৌধুরী রাগে কাঁপছেন। তিনি হুং কার দিয়ে উঠলেন। হাতের গ্লাস মে ঝেতে ছুঁ ড়ে ফেলে চেঁচামেচি করতে লাগলেন। তাঁর রক্ত বর্ণ চোখ দেখে যে কেউ ভয় পেয়ে যেতে পারে। কিন্তু উষ্ণের উপর এসবের বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়ল না। রুমে এসে সজোরে দরজা বন্ধ করে ফেলল সে। জাওয়াদ চৌধুরী এখনো চেঁচামেচি করছেন। ছেলের সাথে যতোই মিশতে চাইছেন ততোই যেন ছেলে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। চেঁচামেচি শুনে তিলোত্তমা চৌধুরী ছুটে এলেন। তিনি উষ্ণের সৎ মা। উষ্ণের বয়স ৭ বছর থাকতে তাদের বিয়ে হয়। তাদের একটা সন্তান ও আছে। ৩ বার মেট্রিক ফেল করা ২ নাম্বার ছেলেটার নাম হচ্ছে শেহনেওয়াজ ঊষাণ চৌধুরী।

তিলোত্তমা চৌধুরী। শান্ত শ্রুতিমধুর তার চেহারা। ভাবভঙ্গি ও যথেষ্ট সুন্দর। কথা বলেন অনেক গুছিয়ে। মূলত তার গুছিয়ে কথা বলার কারণেই তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন জাওয়াদ চৌধুরী। পরনে তাঁর দামী ইস্ত্রি করা সুতি শাড়ি। বরাবরই একটু ভাব নিয়ে থাকেন। মাথার চুল কিছুটা পেকে যাওয়ার সেগুলোতে বার বার কলব করিয়ে রাখেন। তার এতো ভালো ভালো বৈশিষ্ট্য থাকলেও উষ্ণ তাকে পছন্দ করে না। কখনো তাদের মাঝে ভালো করে কথাও হয়নি। উষ্ণ’র মা মারা যায়নি। তার বাবার সাথে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। এ বাড়ি থেকে তিনি বের হয়ে যাবার পর আর কখনো তাকে দেখেনি উষ্ণ। মায়ের কোন আত্মীয়র সাথেও কোনো যোগাযোগ রাখতে পারেনি বাবার কারণে। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের কিছু বছরের মধ্যেই পড়াশোনার জন্য উষ্ণ কে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়! দেশের বাইরে যাওয়া মানে বাবার থেকে দূরত্ব বাড়ানো। এটা যে কোনো এক ধরণের স্ট্র্যাটেজি এটাও সে ভালো করেই জানে। কার স্ট্র্যাটেজি এটা জানতেও কষ্ট হয়নি। মা বাবার মধ্যে ছাড়াছাড়ি ও হয়নি। কিছু একটা হয়েছে। আন্দাজ করতে পারছে। সবকিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে হাতের সুটটা বিছানার উপর ফেলল। এ বাড়ির সবথেকে বড় ঘরটা সে পেয়েছে!

তার ঘরটা অনেক সুন্দর করে সাজানো। প্রতিটা সাজানো জিনিস উষ্ণের পছন্দ করা। এ কাজের জন্য কেউ নেই। এই ঘরকে কেবল তার আপন মনে হয়। ঘরের প্রতিটা জিনিস উষ্ণ নিজের হাতে বাছাই করেছে। বিছানার পিছনের দেয়ালে বিশাল জায়গা জুড়ে তার সাদাকালো একটা ছবি। ছবিটাতে তার হাস্যোজ্জ্বল মুখ। হাসলে গালের দু পাশে ভালোই টোল পড়ে। এছাড়া‌ দামী দামী জিনিসে পুরো ঘরভর্তি। বেশির ভাগ জিনিসই বাইরে থেকে ইমপোর্ট করা। বুকশেলফের ভেতরে লুকিয়ে রাখা ওয়াইনের বোতল বের করল সে। চুমুক দিতে যাবে অমনি দেখল বোতল খালি। হতাশ হয়ে এদিক ওদিক তাকালো। এটা কার কাজ সে জানে? এক হাত কোমরে রেখে অন্য হাতে ওয়াইনের খালি বোতল নিয়ে বিছানার এপাশ থেকে ইশারা করে বলল, “বের হ! আমি জানি তুই ওখানে!”

বিছানার ওপাশ থেকে উঁকি মারল এক জোড়া চোখ। উঠে দাঁড়াল সে। গাল ভর্তি হাসি। লজ্জা পেয়ে মাথা চুলকাতে লাগল। দাঁত বের করে হাসছে সে। উষ্ণের মাথা গরম হয়ে গেল। তেড়ে গিয়ে বলল, “আমার ঘরে তুই কি করছিস? বলেছি না আমার ঘরে আসবি না!”
ঊষাণ ভয় পেয়ে বিছানার উপর লাফিয়ে উঠল। হাসতে লাগল আবারো। উষ্ণের মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। ঊষাণ বলল, “সরি ব্রো!”
“এটা তুই শেষ করেছিস?”
আবারো দাঁত বের করে হাসছে সে। উষ্ণ রাগে ফুঁ’সছে। ঘন ঘন শ্বাস ফেলে বলল, “ঘর ছেড়ে বের হ, এখুনি!”
“ব্রো, রেগে গেলে তোমায় অনেক হ্যান্ডসাম লাগে।”
“আমি এখুনি যেতে বলছি!”
চেঁচিয়ে উঠলো উষ্ণ। ঊষাণ এবারো হাসতে হাসতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো। এটা তার রোজকার কাজ। ভাই তাকে পছন্দ করে না এটা সে জানে। তাই ইচ্ছে করে জ্বালাতে আসে। উষ্ণ কে বড়ভাই হিসেবে তার বেশ পছন্দ। তাদের মধ্যে বয়সের তফাৎ কেবল ৮ বছরের। উষ্ণের বয়স ২৭ বছর! সাতাশ বছরের টগবগে যুবক সে! জীবনের অনেকগুলো বছর তার দেশের বাইরেই কেটেছে। মাথার চুল গুলো ছেঁড়ে মাথা ঝাড়ল। অতঃপর বিছানার উপর লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ল। মুখ খুলে শ্বাস নিচ্ছে সে। এই বাড়ির প্রতিটা লোককে তার অসহ্য লাগে। এই তালিকায় তার নিজের মা ও আছে। এদের প্রত্যেকের চেহারার পিছনে এক ভয়া’নক রূপ আছে। সকলে ভালো মানুষির মুখোস পরে থাকে। কিন্তু তাদের প্রত্যেকে উষ্ণ চিনে গেছে। প্রত্যেকে সে ঘৃ’ণা করে। চোখ পড়ল পাশের টি টেবিলে। টেবিলের উপর একটা ফুলদানি রাখা। তাঁর উপর তাজা ফুল! সাদা রঙে রঞ্জিত ফুলগুলো দেখে যে কারো মন ভালো হয়ে যেতে পারে। দরজায় কেউ কড়া নাড়ল। উষ্ণ ফিরে তাকাল। সার্ভেন্ট ঘরে ঢুকল। তার ট্রেতে পানির গ্লাসের সাথে একটা ওয়াইনের বোতল। উষ্ণ ওয়াইনের বোতল হাতে নিয়ে ফুলদানির দিকে ইশারা করে বলল, “এটা কে এনেছে?”
সার্ভেন্ট উত্তর দেবার আগে দরজার বাইরে থেকে শব্দ ভেসে এলো, “আমি এনেছি!”

উষ্ণ ফিরে তাকাল। তিলোত্তমা বেগম দাঁড়িয়ে দরজার দোরগোড়ায়। তিনি সার্ভেন্ট কে ইশারা করতেই সে দ্রুত ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো। উষ্ণ ওয়াইনের বোতলে চুমুক দিয়ে উঠে দাঁড়াল। তিলোত্তমা বেগম একগাল হেসে ঘরে ঢুকলেন। বললেন, “ফুল গুলো সুন্দর না। আমার পছন্দের ফুল! এই ঘরে ফুলগুলো বেশ মানায়!”
উষ্ণ ঈষৎ উপহাস করে হাসল। এক হাত তার প্যান্টের পকেটে। অন্য হাতে ওয়াইনের বোতল। সেটা থেকে উপুড় করে ফুলগুলোর উপর ওয়াইন ঢালল। তার মুখের হাসি মিলিয়ে গেল। চোয়াল শক্ত করে তীক্ষ্ম কণ্ঠে বলল, “আপনাকে এই ঘরে আসতে আমি বারণ করেছিলাম!”

তিলোত্তমা দাঁতে দাঁত চেপে ফুলগুলোর দিকে চেয়ে রইলেন। উষ্ণ ফের ওয়াইনের বোতলে চুমুক দিয়ে বলল, “এই আবর্জনা ঘর থেকে নিয়ে যান। আমার ঘরে আবর্জনা মানায় না!”
“তুমি তোমার মা কে অপমান করছো উষ্ণ!”
“আপনি আমার মা নন। সৎ মা! এই কথাটা ভুলে যাবেন না। আর দ্বিতীয় বার আমার ঘরে ঢুকার সাহস করবেন না। আপনার মতো আবর্জ’না আমার ঘরে না ঢুকলে আমি অনেক বেশি খুশি হবো!”
তিলোত্তমা বেগম চোখ বড় বড় করলেন। উষ্ণের স্প র্ধা দেখে তিনি অবাক হচ্ছেন। কিভাবে মুখে মুখে তর্ক করছে। এগিয়ে এসে কসি’য়ে একটা চড় মারলেন উষ্ণের গালে। হাত থেকে ওয়াইনের বোতলটা মেঝেতে পড়ে গেলে। গড়গড় করে মেঝের কার্পেটের উপর ওয়াইন মিশে যেতে লাগল। উষ্ণ ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে বলল, “আপনি বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন! আগের মতো আপনার শরীরে আর শক্তি নেই!”
তিলোত্তমা বেগম চোখ রাঙিয়ে থমথমে কণ্ঠে বললেন, “তোমার বাবার প্রেশার হাই! তিনি খুব ছট ফট করছেন। সব তোমার কারণে। যদি তার কিছু হয় তোমাকে আমি ছাড়বো না।”
উষ্ণ শব্দ করে নিঃশ্বাস ফেলে হেসে বলল, “চিন্তা করবেন না! তার কিছু হবে না। আপনার সাথে থেকে এতো বছর কিছু না হলে এখনো ও হবে না!”
তিলোত্তমা বেগমের ঠোঁট জোড়া কাঁপছে রাগে। তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না। তাঁর রক্ত বর্ণ দৃষ্টি উষ্ণকে ভড়কে দিতে পারছে না।‌ ধপ ধপ জুতার আওয়াজ ফেলে তিনি বেরিয়ে গেলেন। এই ছেলেকে আর একমূহুর্ত তিনি সহ্য করতে পারছেন না। তাকে চ ড় মেরে নিজের হাত যেন নোংরা করে ফেলেছে। কল ছেড়ে বার বার হাত ধুতে লাগলেন। নোংরা যাচ্ছে না কেন? সাপের মতো ফোঁস ফোঁস শব্দ করছেন তিনি।
.
রাত তখন ভালোই হয়েছে। উষ্ণ কাউকে ফোন করে অপেক্ষা করছে। ওদিকের ব্যক্তি কখন ফোনটা তুলে। বেলকনির এপাশ থেকে ওপাশে পায়চারি করছে। হাত দিয়ে ভেজা চুলগুলো পিছনের দিকে হেলিয়ে দিল। অপেক্ষা করতে সে পছন্দ করে না। যখন অপেক্ষা করতে থাকে তখন তার মনে অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। অবশেষে ফোন তুলল। উষ্ণ গম্ভীর কণ্ঠে বলল, “জেএস!”
জাহিদ হাসান সবে ঘুমিয়েছিলেন। আধো আধো ঘুমে ফোনটা তুলল। উষ্ণ স্যারের গলার আওয়াজ শুনেই তিনি ঘাবড়ে গেলেন। বললেন, “জি স্যার!”

_আপনাকে একটা কাজ করতে হবে!
_কি স্যার?
_কাল আপনি কাজে আসবেন না!
_জি স্যার!
হকচকিয়ে গেল জেএস। তার কাজটা কি চলে গেলো নাকি? উষ্ণ আকাশের দিকে মুখ করে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলল, “কাল আপনাকে আমি অফিসে দেখতে চাই না। আপনার পরিবর্তে মিস তনয়া কে পাঠাবেন।”
“কিন্তু স্যার কাল তো অনেক কাজ আছে! আপনাকে ফ্যাক্টরি ঘুরিয়ে দেখাতে হবে, স্টাফদের সাথে মিটিং আছে..
তাকে থামিয়ে দিয়ে উষ্ণ বলল, “জানি। কাল সারাক্ষণ মিস তনয়া আমার সাথে থাকবে। আপনি যেভাবে পারেন এই কাজ করুন‌। এটা আপনার দায়িত্ব। কিন্তু কাল আপনাকে আমি অফিসে দেখতে চাই না। গট ইট!”

বলা মাত্র ফোন কেটে দিল। ওপাশ থেকে জেএস হ্যালো হ্যালো করে যাচ্ছে। কোনো লাভ নেই। এদিকে কাল অফিসে তার মুখ দেখলে না চাকরি চলে যায়। এতো রাতে মিস তনয়া কে কিভাবে ঠিক করবে। কিছুই মাথায় ঢুকছে না। নিজেকে পাগল পাগল লাগছে। যখন স্যারের বাবার সাথে কাজ করত মনে হতো ডেঞ্জা রাস। এখন স্যারের ছেলে তো তার চেয়ে দ্বিগুণ। না কিছু একটা তো করতেই হয়। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় রাত্রির দু’টো বাজে। তনয়া তখনো মোবাইল নিয়ে গুঁতোগুতি করছে। হঠাৎ সেক্রেটারি জাহিদ হাসানের কল আসতেই সে হকচকিয়ে গেল। এতো রাতে স্যারের সেক্রেটারি কেন তাকে কল করছে। তনয়া রিসিভ করল!

_হ্যালো , হ্যাঁ বলুন স্যার। আপনি এতো রাতে?
_তনয়া, আপনাকে একটা কাজ করতে হবে!
_হ্যাঁ স্যার বলুন। আপনি কি অসুস্থ? আপনার গলা এমন লাগছে কেন?
_হ্যাঁ আমি খানিকটা অসুস্থ। কাল অফিসে আসতে পারব না। আপনি কি আমার হয়ে কাল স্যারের সাথে থাকতে পারবেন। তাকে ফ্যাক্টরি ঘুরিয়ে দেখাতে হবে। আরো অনেক কাজ আছে!
_আমি! কার সাথে? উষ্ণ স্যার! স্যার আপনার কি হয়েছে।
_তনয়া বোঝার চেষ্টা করুন। আমি খুব অসুস্থ। বার বার বাথরুম থেকে যাওয়া আসা করছি। এ কাজ কাল আপনাকেই করতে হবে।
বাথরুমের কথা শুনতেই তনয়া নাক মুখ কুঁচকে নিল। বিনয়ের সাথে বলল, “আপনি এখন ঠিক আছেন স্যার?”
জেএস তার পেটের উপর হাত বুলিয়ে বলছে, “না! যাওয়া আসা লেগেই আছে। আমি আপনাকে স্যারের সিডিউল পাঠিয়ে দেবো। কাল আমার এই কাজটা করে উপকার করুন বোন। রাখছি!”
বলেই তিনি ফোন রেখে দিল। তার সত্যি সত্যি পেটে ব্যাথা হচ্ছে। ঘুম রেখে মনে হচ্ছে এবার বাথরুমে ছুটতে হবে। তনয়া হ্যাঁ না কিছু করতে পারল না। তাকে যেন জোর করে বাঘের খাঁচা য় ঢুকি য়ে দেওয়া হলো। দুর্বল ছোট খাটো একটা হরিণের বাচ্চা বাঘের খাঁচায়। বাঘ তাকে দেখেই গ র্জে উঠছে। না! তনয়া আর ভেবে পাচ্ছে না। এতো রাতে সেই কেন ফাঁসতে গেলো। উফ্! এই স্যারের ভূত যেন তার ঘাড়ে চেপে বসেছে!

#চলবে