#তোর_রঙে_হবো_রঙিন
#লেখনীতে_মেহেরীন
#পর্ব – ০৫
চাঁদের আলো ঘরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, মেঝেতে, পর্দার ফাঁকে, বিছানার কোণে। ঘড়ির কাঁটা থেমে নেই, কিন্তু মনে হচ্ছে সময় দাঁড়িয়ে গেছে শুধু ওদের জন্য। আলিশা চোখ তুলে তাকাতেই জায়ান স্থির হয়ে গেলো, অশ্রুসিক্ত নয়নে চেয়ে আছে মেয়েটা। জায়ান স্বাভাবিকভাবে জিজ্ঞাসা করলো…
‘ কি হয়েছে!’
আলিশা কোনো উত্তর দেয় না, শুধু চেয়ে আছে। চাহনীও এমন যে যে কেউ বিব্রতবোধ করবে। এই মুহূর্তে আর কোনো প্রশ্ন করা উচিত হবেনা বুঝে জায়ান ওকে কিছুটা স্পেস দিতে চাইছিলো। কিছু মুহূর্তে মানুষ একা থাকতে চায়, জায়ান ভেবেছিল আলিশাও বুঝি তেমনি কিছু ভাবছে কিন্তু আলিশা ওর হাতটা টেনে ধরে ধরা গলায় বলে উঠলো…
‘আমাকে কিছুক্ষণ আগলে রাখবে, প্লিজ? কিছু ভাববে না, আমি শুধু..শুধু নিজেকে ভুলতে চাই ‘
জায়ান মিনিট দুয়েক চেয়ে রইলো, এরপর আলিশাকে একটানে দাঁড় করিয়ে স্বেচ্ছায় জড়িয়ে ধরলো। আলিশা যেনো স্বস্তির আশ্রয় খুঁজে পেল, ধীরে ধীরে তাদের দুজনের মাঝে তৈরি হলো এক ধরণের নীরব বোঝাপড়া। হঠাৎ আলিশার ঠোঁট জায়ানের কাঁধে স্পর্শ করে, জায়ান থমকে যায়। তার শরীর জুড়ে এক অচেনা কম্পন খেলে যায়। জায়ান চাইলেই বলতে পারতো — “আমরা অপেক্ষা করতে পারি” বা চাইলে আলিশাকে দূরেও ঠেলে দিতে পারতো কিন্তু তা করেনি। সে বুঝতে পারছে, আলিশা এই মুহূর্তে ভাঙনের চূড়ায় দাঁড়িয়ে। তার চোখে জল, স্পর্শে অসহায়তা। হঠাৎ একটা দীর্ঘ চু’মু কপালে অনুভব করতেই কয়েক মুহূর্তের জন্যে থমকে যায় আলিশা, কিন্তু নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেনি। এরপর একের পর এক, চোখের পাতায়, গালের কিনারায়,গলায় স্পর্শ পেলো। জায়ানের ঠোঁট যেন প্রতিটা স্পর্শ দিয়ে বলছে, রাত গভীর হয়, বাতাস নিঃশব্দে জানালা ছুঁয়ে যায়। আর ঘরের ভেতর একটা নতুন সম্পর্কের, নতুন আস্থার জন্ম হয়!
সকালের রোদের প্রথম কিরণটা জানালার পর্দা ছুঁয়ে বিছানার এক কোণ ছুঁয়ে যাচ্ছে। ঘরের নিঃশব্দতা এতটাই ঘন, যেন কেউ শব্দ করলে এই শান্তি চিরে যাবে। জায়ান ধীরে ধীরে চোখ মেলে, চারপাশে তাকিয়ে তার প্রথম উপলব্ধি ছিলো “আলিশা”। মেয়েটা ঠিক গত রাতের মতোই এখনো তার বুকের ওপর আধশোয়া হয়ে আছে। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের তালে হালকা আন্দোলন হচ্ছে ওর শরীরে। এক হাত জায়ানের পাজরে আলগা করে রাখা, আর মুখটা বুকের কাছে লুকানো। কিছুটা সময় ধরে জায়ান নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকে মেয়েটার দিকে। আলিশার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকাতেই জায়ানের চোখে একধরনের অনিশ্চয়তা খেলে যায়। আলিশার কপালে হাত রাখে সে, নরম আঙুলে একবার ছুঁয়ে দেখে। জায়ান গভীরভাবে শ্বাস ফেলে। মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, সেগুলো জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু এ মুহূর্তে তো সম্ভব নয়! আলিশা তখনো গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন। মুখে একধরনের শান্তি, যেন কোনো দ্বিধা নেই। জায়ান আঙুল দিয়ে ওর ঠোঁটের কোণ ছুঁয়ে ধীর স্বরে বলে…
‘তুমি কি ভালোবেসে আমাকে নিজের করে নিয়েছো, নাকি…কেবলই আত্মসমর্পণ করলে?’
এক মুহূর্তের জন্য জায়ানের বুকটা ভার হয়ে ওঠে। তার কখনো ধারণা ছিল না, প্রথম দেখায় যে মেয়েটা এতো শক্তভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলো সেই মেয়েটি এমন নরমভাবে এক রাতেই তার চেনা সমস্ত গরিমাকে ফেলে তার সামনে নিজেকে মেলে ধরবে! জায়ান ওর গালে একটুকরো চু’মু খায় নিঃশব্দে। আলিশা নিঃশব্দে নিঃশ্বাস ফেলে, হয়তো স্বপ্নেও তার ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি!
জানালার পর্দা নরম বাতাসে দুলছে। আলিশার ঘুম একটু আগেই ভেঙেছে। ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ায়। গায়ে তখনও জড়ানো হালকা সিল্কের শাড়ি, শাড়িটা কোনরকম ঠিক করে উঠেই ঘরের সকল কোণে চোখ বুলিয়ে জায়ানকে খুঁজছিল কিন্তু পেলো না। ও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে আয়নার সামনে বসলো। ঠোঁট হালকা ফুলে আছে, আর চোখেমুখে ক্লান্তির সঙ্গে মিশে আছে এক ধরণের নিরব বিস্ময়তা। সামনের প্রতিবিম্বে তাকিয়ে হঠাৎ আলিশার মনে হয়, এই মেয়েটা যেন তাকে চিনতে পারছে না। সে ধীরে ধীরে আয়নার গায়ে আঙুল রাখে। তার ঘাড়ে, কাঁধে, গলায় ছায়া হয়ে রয়ে গেছে কিছু চিহ্ন। অচেনা, কিন্তু খুব পরিচিত।জায়ানের ছোঁয়া! আলিশা নিজের ঠোঁট ছুঁয়ে দেখে। এরপর হাত রেখে দেয় নিজের বুকের ওপর। মনে হয়, ভেতরে কোথাও ধুকপুক করছে অজানা এক অনুভূতি, এক অদ্ভুত প্রশান্তি! সে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একরাশ নতুন স্বপ্ন, নতুন অনুভূতি, আর নিজের গায়ে লেগে থাকা জায়ানের উপস্থিতি নিয়ে নিঃশব্দে বসে আছে মেয়েটা! আলিশা নিজের প্রতিচ্ছবিকে তাকিয়ে বললো…
‘এই নতুন আমি, শুধু জায়ানের জন্য!’
_______________________
রিসেপশনের স্টেজে আলিশা বসে আছে ধীর, শান্ত মুখে। আজ তার সাজে কোথাও অতিরিক্ততা নেই, বরং একধরনের পরিপক্বতা। চোখে মোটা কাজলের রেখা, ঠোঁটে হালকা রঙ, আর শরীরে হালকা মেরুন লেহেঙ্গা। পাশে বসে থাকা জায়ান আজ একটু চুপচাপ। গতকালও যে স্টেজে বসে ঐরকম গুরুতর মুহূর্তে আলিশার সঙ্গে মজা করছিলো সেই জায়ান আজ অনেকটা চুপচাপ। আলিশা মাঝে মাঝে তাকিয়ে দেখে, সকালের পর ব্যস্ততার জন্যে জায়ানের সঙ্গে ভালোমত কথা বলারই সুযোগ হয়নি। ভেবেছে রিসিপশনের অনুষ্ঠান শেষ হলে কথা বলবে।ছবির জন্য সবাই ডাকছে। ক্যামেরার ঝলকানিতে একটার পর একটা পোজ। কখনো হাত ধরে, কখনো কাঁধে হাত রেখে, কখনো হাসিমুখে। জায়ান চেষ্টা করে স্বাভাবিক থাকতে, আর আলিশা? ও বোঝে কিছু একটা যেন ঠিক নেই! বন্ধুদের হাসি ঠাট্টা শুনে জায়ান ঠোঁট টেনে হাসে, কিন্তু চোখে সেই পুরোনো তেজ নেই। হঠাৎ আলিশা জিজ্ঞেস করে…
‘সব ঠিক তো?’
জায়ান এক মুহূর্ত চেয়ে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো। ছবি তোলার পর জায়ান সতেজ থেকে নেমে যায়। এরপর একে একে এতো আত্মীয়স্বজনরা আসছিলো যে আলিশা আর সুযোগ পেলো না জায়ানের সঙ্গে কথা বলার। রাত বাড়ে। অতিথিরা একে একে বিদায় নিচ্ছে। স্টেজ থেকে নেমে আলিশা ভ্যেনুর একটা রুমে যায় পোশাক বদলাতে, পরিবারের সঙ্গে আজ বাসায় চলে যাবে দুদিনের জন্যে। সঙ্গে জায়ানেরও যাওয়ার কথা কিন্তু এ ঘরে এসে জায়ানকে দেখতে পেলো না! ফোন করেও লাভ হলো না, আলিশা চারপাশে তাকায়। হঠাৎ ফোনের মেসেজ বার খুলে দেখলো প্রায় আধ ঘন্টা আগে জায়ান মেসেজ করেছিলো। সেখানে দুটো লাইনে লিখা ছিলো…
> একটু দূরে যাচ্ছি, কিন্তু এটা ভেবো না আমি পালিয়ে যাচ্ছি। আর মনে রেখো এই নতুন ‘তুমি’ শুধু আমার!
আলিশা মেসেজটা পড়ে ধীরে ধীরে বসে পড়ে বিছানার এক কোণে। তার বুকের ভেতর ধকধক করছে কেবল একটা প্রশ্ন…
‘জায়ান কোথায় গেলো?’
রাতেই এভাবে না বলে কোথাও চলে যাওয়া মানে তো এড়িয়ে যাওয়া! তারমানে কি জায়ান কোনো কারণে ওকে এড়িয়ে যেতে চাইছে? আলিশা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। মৃদুভাবে জানালার পর্দা দুলছে, বাতাসে আজ একটু শূন্যতা মিশে আছে!
______________________________
গভীর রাত…কটেজের ভেতর বেতের তৈরি একটি চেয়ারে বসে কফি খাচ্ছিলো জায়ান। রাতের ঘুমে কখনো আপোস করেনা সে অথচ আজ চোখে ঘুম নেই, তাই এই গভীর রাতে উঠে কফি খাচ্ছে। ভাবনারা যেনো মেলা মেলেছে ওর মস্তিষ্কে, সেই ভাবনায় গুম হয়ে কখন যে পরপর দুকাপ খেয়ে ফেলেছে লক্ষ্যই করেনি। জায়ান ভাবতে শুরু করলো বিয়ের রাতের কথা, যে কারণে ও আলিশার থেকে দূরে এসেছে। যে কারণে ও কিছুটা স্পেস চেয়েছে! বিয়ের রাতে আলিশা যখন ফ্রেশ হতে গেছিলো তখন ওর ফোনটা সাইলেন্ট অবস্থায় বাজছিল। অচেনা নাম্বার বলে জায়ান প্রথমে ফোনটা ইগনোর করে, কিন্তু কল থামে না। আলিশাকে তখন বসার ঘরে ছিলো, জায়ানদের কিছু আত্মীয়রা আলিশার সঙ্গে কথা বলছিলো। পরপর পঞ্চমবার ফোন এলে, জায়ান কিছু না ভেবেই কলটা রিসিভ করে ফেলে। কল কারী যখন “নিশান ” বলে নিজের পরিচয় দেয় তখনই জায়ানের মেজাজ কিছুটা বিগড়ে গেছিলো কারণ নিশান কে সেটা আলিশা ওকে বলেছিলো। নিজের সদ্যবিবাহিত স্ত্রীকে বিয়ের রাতেই তার প্রাক্তন ফোন করছে দেখে জায়ানের রাগ হয়েছিল বটে তবে নিজেকে সংযত রেখেছে। সে রাতে জায়ান হয়তো নিজের আবেগ, জেদ আর আগুনে পুড়তে পুড়তে নিজের অধিকারটুকু খুঁজে নিতেই আলিশাকে কাছে টেনেছিল, আর সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিল যখন দেখলো আলিশাও বাঁধা দেয়নি! আলিশার এ পদক্ষেপ কিছুটা হলেও জায়ানের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছিল কিন্তু মনকে শান্ত করতে পারেনি। জায়ানের বারবার মনে হচ্ছিলো বিয়েটা তো ও একপ্রকার নিজের অতীত ভুলতে করেছে, আর সেই অতীতে আছে তার প্রাক্তন! এই ধরনের উল্টোপাল্টা ভাবনা ওর মস্তিষ্কে চাপ দিচ্ছিল। অস্থির হয়ে উঠছিল ছেলেটা। পরদিন সকালবেলাতেও জায়ান স্বাভাবিক থাকার ভান করেছিলো। কিন্তু ভেতরে এক অদ্ভুত অস্থিরতা জন্ম নিয়েছে। সে বুঝতে পারছে, তার অনুভূতি শুধুই শরীরী নয়। বরং, একটা ঘোরের মতো আসক্তি তৈরি হয়েছে। আলিশা কি তাকে চায় নাকি সবটাই শুধু বৈবাহিক সম্পর্কের জন্যে করছে এসব ভেবেও জায়ানের ভিতরে যেনো ভয় জমছে। এসব থেকে বাঁচার জন্যে একান্তে কিছুটা সময় কাটানো প্রয়োজন তাই সে অনুষ্ঠান শেষ না হতেই নিজেকে গুটিয়ে ফেলে। আলিশাকে মেসেজ করে রেখে বেরিয়ে পরে কোলাহলমুক্ত এ শহরের বাইরে। পুরো একটা দিন কাটিয়েছে এখানে তবুও স্বস্তি পাচ্ছেনা। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আদৌ ঠিক হয়েছে কিনা সেটা ভাবাচ্ছে ওকে, মেয়েটা আবার ওই ছেলেকে নিজের মনের মধ্যে পুষে রাখার প্ল্যান করছে না তো? এসব ভাবনা নিজেরই বিরক্ত লাগছে জায়ানের, বেশিরভাগ পুরুষই তার স্ত্রীর অতীত সম্পর্ককে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে না, জায়ানের ক্ষেত্রেও কি তাই হচ্ছে?
___________________________________
দুদিন বাবার বাসায় থাকে আলিশা, এ সময় জায়ান যায়নি বলে কথা হয়েছিলো কিন্তু আলিশা কোনরকম ম্যানেজ করে নিয়েছে। বাসায় কাউকে বুঝতে দেয়নি যে জায়ান হুট করেই গায়েব হয়ে গেছে। বাবার বাসা থেকে শ্বশুরবাড়ি আসার পর আলিশা বুঝলো দুদিন ধরে জায়ান কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করেনি, ফোনও বন্ধ। এনায়েত সাহেব তো বকাঝকাও করেছেন, আলিশা এখানে কিছুই বলেনি। ঘরে গিয়ে চুপচাপ বসেছিলো অনেকক্ষণ, লাঞ্চ করে এসেছে বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে পড়লো মেয়েটা। সিলিংয়ের দিকে দেখতে দেখতে আপনমনে বলে উঠলো…
‘কী অদ্ভুত তুমি, জায়ান। নিজের মতো করে টানো, নিজের মতো করে ফেলে যাও ‘
আলিশা যখন এসব ভাবনা মশগুল ছিলো তখনই দরজায় টোকা পড়ে, উঠে দরজা খুলতেই দেখে সায়ন এসেছে! সায়ন দরজার বাইরে দাঁড়িয়েই জিজ্ঞাসা করলো…
‘ জায়ান আর ফোন করেনি?’
না সূচক মাথা নাড়ল আলিশা, মিনিট দুয়েক নিরব থেকে সায়ন বললো…
‘ ও কোথায় গেছে আমি জানি, তুমি যদি যেতে চাও তাহলে আমি তোমার যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি ‘
‘ ও আপনাকে বলে গেছে?’
আলিশা ভেবেছিল জায়ান কাউকে জানিয়ে যায়নি, সায়ন ওর গন্তব্য জানে এটা শুনে আলিশা মনে মনে খুশি হলো। সায়ন মৃদু হাসলো, ওদের দুই ভাইয়ের সম্পর্ক যে কেমন তা তো আলিশা জানেনা!
‘ বলেনি, তবে আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি। আসলে আমার ভাইয়ের স্বভাবটাই এমন, যখন যা খুশি করে বসে কিন্তু এখন যে বিয়ে হয়েছে সেই চিন্তা মাথায় নেই ‘
দুদিন যাবত জায়ান বেপাত্তা, আলিশারও মন খারাপ হয়ে গেছিলো কিন্তু এখন জায়ানের কাছে যাওয়ার রাস্তা পেয়ে আর কিছু না ভেবেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো মেয়েটা…
‘ আমি যাবো ভাইয়া, আপনি ব্যবস্থা করে দিন ‘
‘ ও কিন্তু অনেক দূরে গেছে, তুমি একা যেতে পারবে? নাহলে আজকের দিনটা অপেক্ষা করো, আজ আমার একটু কাজ আছে। কাল না হয় আমিই…’
‘ না ভাইয়া, আপনাকে কষ্ট করতে হবেনা। আমি একাই যেতে পারবো। আপনি শুধু আমাকে লোকেশনটা দিয়ে দিলেই হবে ‘
সায়ন আর কথা বাড়ালো না, আলিশা যতো দ্রুত সম্ভব যেতে চেয়েছে তাই সায়ন আজ রাতেরই টিকেট বুক করে দেয়। আলিশা আজ রাতেই রওনা দেবে!
চলবে…