দর্পণ পর্ব-৪৪ এবং শেষ পর্ব

0
508

#দর্পণ
#নুপূর_ইসলাম
#পর্ব- ৪৪ ( শেষ পর্ব)

দরজায় টোকার শব্দে আরমান বিরক্ত হলো। সেই বিরক্ত চোখে মুখে নিয়ে বিড়বিড় করে কয়েকটা গালিও দিলো। দিলশাদের কারণে তার মাথা আগেই নষ্ট, এখন আবার বিচের ঘটনার পুরো আগুন লেগে আছে। সে এদের শান্তি দেবে না, কতো বড় কলিজা আরমান তা দেখে ছাড়বে।

আবারো দরজায় টোকা পড়লো। এটাকে অবশ্য এবার টোকা বলা যায় না। রিতিমতো থাবা মারছে। সে বিরক্তিতে চোখ, মুখ কুঁচকে ফেললো। দিলশাদরা চলে গেছে। তারাও ফিরবে কাল। তাই রাতে বন্ধুরা মিলে খুব মজা করলো। সেই মজা শেষ হয়েছে হোটেলে এসে ইচ্ছে মতো মদ, নেশার মধ্যে দিয়ে। এই নেশাই তার বুকের জলন্ত আগুন কিছুটা নেভাতে পারে।

সেই মদের নেশাই চোখ মুখ টেনে এখন খুলতে এখন বারোটা বেজে যাচ্ছে। বাজে কয়টা? সকাল হলে তো এতো নেশা থাকার কথা না। সে হাতড়ে মোবাইল খুঁজলো, পেলো না। সে অস্ফুটভাবে সজিবকে ডাকলো। তারও খবর নেই। অবশ্য না থাকারই কথা। তারা একসাথে বসেই মদ খেয়েছে।

সে অনেক কষ্টে মাথা তুলে তাকালো। তাকিয়েই চমকে গেলো। পুরো রুম এলোমেলো। পাশের বেডে সজিবও তার মতো পড়ে আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা ফ্লোরে একটা মেয়ে পড়ে আছে। সম্ববতো জ্ঞান নেই। গায়ে কাপড় নেই বললেই চলে। হাতে পায়ে অসখ্য দাগ। সে হা করে হতম্বভ হয়ে তাকিয়ে রইলো।

সে স্বজ্ঞানে হোটেল রুমে এসেছে। তার বন্ধুরা সবাই এক সাথেই বসে মদ খেয়েছে । মাতাল হলেও রুমেই হবে। তবে এই মেয়ে আসলো কোথা থেকে?

তখনি দরজা ভাঙার শব্দ হলো! আরমান হকচকিয়ে গেলো। দরজা ভাঙতেই এক দল পুলিশ আর হোটেলের লোক ভেতরে ঢুকলো। আরমান বিস্ময়ভড়া চোখে তাকিয়ে রইলো। কিছুই বলতে পারলো না। হচ্ছে কি এখানে?

তার পরের দিনই পুরো বাংলাদেশে একটা নিউজ ছড়িয়ে গেলো। কক্সবাজারে হোটেল রুমে এক তরুণীকে সংগতবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ। পুলিশ খবর পেয়ে দরজা ভেঙে সবাইকে হাতে নাতে ধরেছে। তারা সবাই ছিলো নেশাগ্রস্ত। বর্তমানে এখন সবাই আছে পুলিশের হেফাজতে।

_______

উসমান গোসল করে বেরুলো । বাসায় আজকে দুনিয়ার আয়োজন, তার সাথে দুনিয়ার কাজ। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। সে সকাল থেকে ব্যস্ত ছিলো তাই গোসলের জন্য সময় হয়ে ওঠেনি।

এই আয়োজনটার প্রয়োজন ছিলো। বাড়িতে দু- দুটো বিয়ে গেছে। একটাও তো তেমন ভাবে কিছু করা হয়নি। তাই বাবাকে বলতেই, বাবা খুশি হলো। এলাকায় তার একটা নাম ডাক আছে। সমাজ আছে, আত্মীয় – স্বজন আছে। বিয়ে সাদির ব্যাপারে সবাইকেই বলতে হয়। তাই সেও রাজি হয়ে গেলো। সামনে আবার দিলশাদের পরীক্ষা । তাই তাড়াতাড়িই করা হলো।

সে মাথা মুছতে মুছতে সোজা আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালো! সকাল থেকে সময় পায়নি। এখন প্রায় দুপুর। ভাবলো এই ফাকে গোসলটা সেরে ফেলা যাক। কিছুক্ষণ পরেই এলাকার মানুষ আসা শুরু হবে। নেয়ে ঘেমে বেশিক্ষণ সে থাকতে পারে না।

তখনি তার চোখ পড়লো খাটের সাইডে! পাঞ্জাবি গুছিয়ে রাখা। অফ হোয়াইট রঙের। গলায় হালকা স্টোনের কারুকাজ।

সে হাসলো! আজ বাড়ি ভর্তি মেহমান। দুনিয়ার কাজ! এর মধ্যেও হয়তো দিলশাদ এসে এক ফাকে তার জন্য গুছিয়ে গেছে।

সে হাত বাড়িয়ে নিয়ে গায়ে দিলো। হাতা টেনে গুটালো। দিলশাদের পছন্দ সব সময়ই ভালো। তাকে দেখতে ভালো লাগছে। এই পাঞ্জাবি কখন কিনেছে উসমান জানে না। এই মেয়েকে শপিংয়ে নিলে, একটার পর একটা কিনতেই থাকে। শুধু নিজের জন্য না, বাড়ির সবার জন্য। তাই উসমান আর এখন ওতো খেয়াল করে না। নির্বিকার ভাবে বলে, — নিতে থাকো।

সে রেডি হয়ে বাইরে আসলো! ড্রইং রুমে বাবা, ভাই আরো তার চাচারা বসে আছে। সে সামনে আসতেই চমকালো। বাবা আর ভাই তাদের গায়েও সেম পাঞ্জাবি। এমন কি আহান, আহাদেরও। তারা পাঞ্জাবি পরে গুটি গুটি পায়ে সবার মাঝে হেঁটে বেড়াচ্ছে।

উসমানের এতো ভালো লাগলো। সে এগিয়ে গিয়ে উমরের সাইডে বসলো। এতো সুন্দর আইডিয়া একমাএ তার বউর মাথা থেকেই বের হওয়া সম্ভব।

— ভাবি ওরা কোথায়?

উমর বিরক্ত মুখে বললো, — কোথায় আবার, আমার রুমে। সেটাতো আবার সরকারি। বাড়িতে যেই অনুষ্ঠানই হোক। সবার আগে আমার রুম দখল।
আর তোর বউ! তার তো আবার সেটা দ্বিতীয় রুম। সকাল বেলা এই পাঞ্জাবি হাতে ধরিয়ে টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করলো। করলো তো করলো। আর ওমুখো যেতে পারলাম না। রেডিও হলাম ইউসুফের রুমে।

উসমান হাসলো! হেসে বললো, —- ইউসুফ কোথায়? সকাল থেকে দেখলাম না।

— বাইরেই আছে । একগাদা বন্ধুবান্ধব নিয়ে হাজির হয়েছে। গান টান বাজিয়ে পুরো বাড়ি মাথায় করে নিছে। দাদী মাএই লাঠিপেটা করে সব থামালো।

উসমান আবারো হাসলো! হেসে বাইরের দিকে তাকালো। এলাকার মানুষ আসতে শুরু করেছে। ড্রইংরুম থেকে সবাই বাইরে বেরিয়ে এলো। উসমান বাইরে বেরুতে বেরুতে একবার ভাবির দরজার দিকে তাকালো। সকাল থেকে দিলশাদ কে সে এক বারও দেখেনি। অবশ্য রাত ছাড়া এই মেয়েকে সে ধারের কাছেও পায় না।

পুরো বাড়ি মানুষে শোরগোল। উসমান তার বন্ধুদের সাথে এক সাইডে কথা বলছিলো। এর মধ্যে হামিদা বানু আসলো। উসমানকে খোঁচা মেরে বললো, ওই বদমাইশ! তুই কোন দুনিয়ায় থাকোছ। তোর বউ খবর রাখোস?

উসমান মৃদু হাসলো! বাড়ির একসাইডে স্টেজ সাজানো হয়েছে। বাড়ি সব মেয়েদের দল যে কিছুক্ষণ আগে সেই দিকে গেছে সে জানে। তারা যেতে যেতেই এলাকার অর্ধেক মেহমানও সেই দিকে ছুটেছে। তারা বউ দেখবে। তাই সে আর ঐ দিকে যায় নি।
সে হেসেই বললো, — কেন কি করলো আবার আমার বউ।

হামিদা বানু টেনে উসমানকে একটু সাইডে আনলো! বাড়ির কথা কি পরের সামনে বলা যায়। সে ফিসফিস করে বললো, —- তোর বউর আক্কোল হইবো কবে। এই অবস্থায় এতো লাফালাফি করতাছে ক্যা।

উসমান ভ্রু কুঁচকে বললো, — কোন অবস্থায়?

হামিদা বানু দাঁতে দাঁত চেপে বললো, —- হারামজাদা বুজোজ না কোন অবস্থায়। অবস্থাতো ঠিকিই করবার পারো বুঝবার বেলা যতো ঢং। সকালে যে তোর বউ এক চোট বউ টমি কইরা শ্যাষ সেই খবর রাখছোস।

উসমান অবাক হলো! না! অন্য কোন টেনশনে না। সে সব সময়ই সাবধান থেকেছে। সে জানে! দিলশাদ লেখাপড়া শেষ করতে চায়। এটা তার বাবার স্বপ্ন। আর সে থাকতে দিলশাদের কোন স্বপ্ন অপূর্ণ থাকবে না। তাই ভুল হওয়ার চাঞ্চই নেই। সে তো অবাক হলো! দিলশাদ অসুস্থ আর সে জানে না।

এই মেয়ে খালি পেটে আচার, টাচার দুনিয়ার হাবিজাবি খায়।নিশ্চয়ই গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হয়েছে । সে হনহনিয়ে এগিয়ে গেলো। অকাজ আর সাজগোজে বেলায় এই মেয়ে দুনিয়ার আগে, ঠিকমতো খাবার বেলায় নেই। নিশ্চয়ই সকাল থেকে না খেয়ে ছিলো।

স্টেজের সামনে এসেই উসমান থমকে গেলো। দিলশাদ মেরুন রঙের শাড়ি পরেছে। শুধু সে না ভাবিও। একই শাড়ি তবে দিলশাদের মাথায় আলাদা ওড়না দিয়ে হালকা ঘোমটা দেওয়া। তাকে দেখতে একেবারে নতুন বউ দের মতো লাগছে।

সে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইলো! বিয়ের সময় তো দিলশাদ বউ সাজেনি। এই নিয়েই তো উঠতে বসতে যতো খোঁটা। এই খোঁটার হাত থেকে বাঁচার জন্যই তো সে তাড়াতাড়ি আয়োজনটা করলো।

সে বুকে হাত রাখলো। হায় তার মিষ্টি বউটা। সাথে সাথে কয়েকটা বকাও দিলো । এই মেয়ে তাকে কিচ্ছু বলবে না। এই যে বউ সাজবে সে জানেই না। তার সব গুটুরগুটুর ভাই আর ইউসুফের সাথে।

সে এগিয়ে গেলো! উমর ভাই আগে থেকেই স্টেজে সামনে। অবশ্য থাকবেই না কেন! দুনিয়া এক দিকে তার বউ একদিকে। তাই বউ যেখানে সেও সেখানে। তাকে দেখে বললো, —- কিরে কোথায় ছিলি? বউ এখানে বরের খবর নেই।

— বরের খবর থাকবে কি করে? তোমরা খবরা খবর তাকে কিছু দাও।

— কোন খবর আবার দিলাম না।

— বাবা হতে যাচ্ছি! অথচো বাবাই জানে না।

উমর হেসে ফেললো! দুষ্টুর হাড্ডি এই মেয়ে। বমি করে চোখে মুখে কিছু দেখে না। তবুও দুষ্টুমি ছাড়ে না। দাদী আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই, বললো, — কামের কাম মনে হয় হয়ে গেছে গো দাদু! আল্লাহগো আমার এহোন কি হইবো। দাদীও সেটাকে সত্যিই ভেবে বসে আছে।

সে হেসেই বললো, —– চিন্তা করিস না, ডেলিভারির আগে ঠিক জানিয়ে দেবো ।

— তোমার শালীর খবর আছে বুঝেছো? সব সময় হেলাফেলা। দেখো কে বলবে অসুস্থ, এক মণ আটা, ময়দা মেখে ভেটকি মাছের মতো ভেটকাচ্ছে।

— তো, তোর সমস্যা কি? আমার শালী, যতো খুশি মাখুক। আটা ময়দা কম আছে নাকি? দরকার পরলে বস্তায় বস্তায় আনবো।

উসমান ঠোঁটে ঠোঁট চেপে তাকালো! উমর হাসলো! হেসে বললো, —- আরমানের কি খবর?

উসমান স্বভাবিক ভাবে বললো,– আরমান! আরমান টা যেন কে?

উমর হাসলো! হেসে ভাইয়ের কাঁধে হাত রাখলো। গুছিয়ে উঠার বয়সে তারা মা হারা। আর মা ছাড়া এই দুনিয়া খুবই অচেনা। এমন কি নিজের বাবাও। সেই দুনিয়ায় তারা একে অপরকে আঁকড়ে ধরেইতো বেঁচে আছে।

— ওর বাবা জামিন করাতে পেরেছে?
— আমি বেঁচে থাকতে পারবে বলে মনে হয় না।

উমর আবারো হাসলো! হেসে সে দীপার দিকে তাকালো। দীপার মুখে প্রাণ খোলা হাসি। এই হাসিতেই তো সে বাঁধা পড়েছিলো। আর জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত থাকবে। তার অপূর্ণতার জীবনে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি দীপা। দীপা থেকেইতো আজ তারা তিন ভাই থেকে একটা পরিবার। এই পরিবারকে কেও এখন আর ব্রোকেন ফ্যামিলি বলে না। বলে সুন্দন, পরিপাটি, গোছানো একটা সংসার। আমার দীপার সংসার।

— ও কি কিছু খেয়েছে ভাই?

উমরের সম্বিৎ ফিরলো! দীপার দিকে তাকালে সে দুনিয়া ভুলে যায়। সে চোখে মুখে প্রশান্তি নিয়ে বললো — হ্যাঁ! তোর ভাবি খাইয়ে ঔষুধ খাইয়ে দিয়েছে।

তখনি ইউসুফ আসলো! সাথে হামিদা বানু, আলি হোসেন, সাবিহা, রুবিনা, তাদের কোলো আহান আহাদ। তাদের নিয়ে স্টেজে উঠতে উঠতে বললো, —- যদি ফ্যামেলি ফটোতে থাকতে চাও। এসে পরো, আর না হলে ভাগো। এমন লেপ্টালেপ্টি করে সামনে দাঁড়িয়ে আছো কেন?

উমর, উসমান দু- জনেই হাসলো! হেসে তারাও এগিয়ে। তাদের ছাড়া ফ্যামেলি কমপ্লিট হবে নাকি?

ক্যামেরা ম্যান সবাইকে পজিশন দেখিয়ে দিলো। মেয়েরা থাকবে সামনে বসে । আর ছেলেরা দাঁড়াবে পেছনে,। বাচ্চা দুটো তার দু- দাদি মানে রুবিনা, সাবিহার কোলে।

উমর অবশ্য ক্যামেরা ম্যানের কথা শুনেছে বলেও মনে হয় না। সে আগেই দীপার পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

দীপা চোখ পাঁকিয়ে তাকালো। সে তা দেখেও দেখলো না। সে আরেকটু ঘেঁষে দাঁড়ালো। ইশ! মেরুন শাড়িতে দীপাকে নতুন বউদের মতো লাগছে।

আর উসমান দিলশাদের পেছনে দাঁড়াতেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। এই মেয়ে আবার ফ্যাশন কুইন। ব্লাউজের গলা দিয়েছে দুনিয়ার বড়। পুরো পিঠ বেড়িয়ে আছে। মাথার ঘোমটা পাতলা। সব দেখা যাচ্ছে। সে হাত দিয়ে পিঠ খামচে ধরলো।

দিলশাদ চমকে উঠলো! মনে মনে কয়েকটা ভয়ংকর গালি দিলো। তবে মুখ রাখলো হাসি হাসি। এতো সুন্দর করে সেজেছে। তা না হলে সব ছবি শেষ। তাল গাছের তাল গাছ। রুমে যাই একবার তারপর দেখাচ্ছি। ইশ! পিঠটা জ্বলছে। সব সময় তার ছাল চামড়া নিয়ে টানাটানি। হুহ্!

তখনি ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক শব্দ হতে লাগলো। আলি হোসেনের পুরাতন বাড়ি শুধু আলোতে না, তাদের মুখের হাসিতে ঝলমল করতে লাগলো।

অনুষ্ঠান আয়োজন সব শেষ হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। আত্মীয় – স্বজন ছাড়া খুব একটা মানুষ এখন আর নেই। ইউসুফ তার বন্ধুদের বিদায় দিয়ে ভেতরে যাচ্ছিলো। তখনি কেও এসে তার পা জাপটে ধরলো। শুধু জাপটে না, বলতে গেলে রিতিমতো ঝুলে গেছে।

ইউসুফ অবাক হয়ে তাকালো! ভাবির বোন তিহা। তারা পুরো পরিবার সকালেই এসেছে। ভাবি আর যেতে দেয়নি। এক সপ্তাহের আগে মনে হয় যেতেও দেবে না।
সে ভেবে পায় না কোন আক্কোলে মানুষ এমন নাম রাখে। তি- হা! তিহা আবার কেমন নাম? উল্টো করলে হয় হাতি। এই মেয়ের স্কুলের পুলাপানরা খেপায় না নাকি । সে বিরক্ত মাখাকন্ঠে বললো, — কি হয়েছে?

— ইউসুফ ভাই কুকুর, ।

ইউসুফ ভ্রু কুঁচকে পেছনে তাকালো! গ্রামের বিয়ে বাড়ি কুকুর তো আসবেই। এভাবে ঝুলে পড়ার কি হলো। সে ধমকে উঠলো! ছাড়ো! পা ছাড়ো! কুকুর তো কি হয়েছে?

তিহা কেঁদে ফেললো! তবে পা ছাড়লো না। সে ভয়ে কাঁপছে। সেতো স্টেজের ফুল আর বেলুন নিতে গিয়েছিলো। তখনি তো কুকুর গুলো তেঁড়ে এলো। সামনে কে সে দেখেনি। শুধু জাপটে ধরেছে।

ইউসুফ বিরক্ত হলো! টেনে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলো। তবে এই মেয়ে অক্টোপাসের মতো জাপটে ধরে আছে। ধুর, এ আবার কি যন্ত্রনা! সে তিহাকে পায়ে ঝুলিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই ভেতরে যেতে লাগলো।

#সমাপ্ত