গল্পঃ দুষ্ট ছাত্রীর রোমান্টিক প্যারা
পর্বঃ ১১
লেখকঃ দুষ্ট ছেলে
নিরবঃ হুম আম্মু কেন কি হয়েছে।
নিরবের আম্মুঃ কিছু কথা ছিলো উঠ বাবা।
তখন নিরব উঠে বসলো আর তখন নিরব জিজ্ঞেস করলো।
নিরব : হুম বলো এখন কি বলবে।
নিরবের আম্মুঃ শুন বাবা সুলতানর আর তর বিয়ে আগামী চারদিন পর হবে সবাই মিলে আমরা ঠিক করেছি।
নিরব তো এটা শুনে অবাক হয়ে গেছে।
মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ছে মনে হচ্ছে তার তখন নিরব বললো।
নিরব অবাক হয়েঃ কি বলছো তুমি এইগুলা আম্মু।
নিরবের আম্মুঃ হুম যা বলছি ঠিক বলছি তর বন্ধুদের সবাই কে বলে দিস।
নিরবঃ শুনো আম্মু আমি এই বিয়ে করবো না।
নিরবের আম্মুঃ যানি তো কেন করতে চাইছিস না ।
তর লেখাপড়া শেষ হয়নি কোনো চাকরি নিস নি এখনো। বউ কে বিয়ে করে খাওয়াবি কি এইগুলা বলবি তো আমি যানি সমস্যা নেই তর কিছু করতে হবে না আগামী চার দিন পর তর বিয়ে এটা মনে রাখিস আর কিছু শুনতে চাই না তর কথা ।
নিরবঃ আরে এইগুলা না আমার কথাটা আগে শুনো তারপর তুমি বলো।
তখন নিরবের আম্মু রাগী গলায় বললো 😡
নিরবের আম্মুঃ তর আর কোনো কথা শুনতে চাই না।
নিরবঃ আমার কথটা তো শুনবে।
তখনি বাহির থেকে নিরব এর আব্বু ডাকলো নিরব এর আম্মু কে তখন নিরবের আম্মু চলে গেলো।
।
আর নিরব তখন মনে মনে বললো।
নিরবঃ আমার কথার কোনো দাম নেই বিয়ে করবো আমি জীবন সঙ্গী আমার অথচ আমার কোনো মত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না আমি এই সুলতানা কে কখনো বিয়ে করবো না। দেখি কি করে বিয়ে দেয় বিয়ে করলে তানিয়া কে করবো।
তখন নিরবের আবার মন খারাপ হয়ে গেলো এই চিন্তা করে তার আব্বু আম্মু যদি না রাজি হয়ে তানিয়ার সাথে বিয়ে দিতে তখন কি হবে বিয়ে তারা ঠিক করে ফেলছে তাহলে তো এই বিয়ে ভাঙ্গার মতো আর কোনো রাস্তা নেই কি করবে সে । এখন হাজারো চিন্তা মাথায় কি করবে সে।
।
চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লো রাতে আর খাবার খেলো না নিরব । সকালে কারো ফোনে ঘুম ভেঙে যায় নিরব এর তখন তাকিয়ে দেখে সুমন তখন ফোন রিসিভ করে বললো।
নিরবঃ হুম বলো ভাই।
সুমনঃ কোথায় আপনি ভাই।
নিরবঃ আমি তো বাসায় এখনো বের হয়নি।
সুমনঃ যলদি আসেন আমি অপেক্ষা করছি।
নিরবঃ ঠিক আছে আমি এখনি বের হচ্ছি।
এইবলে ফোন কেটে দিলো নিরব তখন ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে সকাল নয় টা বাজে তখন নিরব ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিচে আসলো তখন নিরব এর আম্মু বললো।
নিরবের আম্মুঃ কোথায় যাওয়া হচ্ছে।
নিরবঃ একটা বন্ধুর সাথে দেখা করতে।
নিরবের আম্মুঃ ঠিক আছে যলদি ফিরে আসিস বিকেলে বিয়ের মার্কেট করতে হবে। খাবার খেয়ে যাবি
নিরবঃ নাহ বাহির থেকে থেকে খেয়ে নিবো।
নিরবের আম্মুঃ ঠিক আছে।।
তারপর নিরবের আম্মু চলে গেলো নিরব চেয়েছিলো এখন তানিয়ার কথা বলতে কিন্তু তার আগেই চলে গেলো তার আম্মু ।
।
তখন নিরব আর কিছু না বলে চলে আসলো বাসার বাহিরে মন খারাপ করে । তখন হেটে হেটে যাচ্ছিলো তানিয়ার বাসার কাছে যেতেই তখন সামনে তানিয়া পড়লো ইস্কুলে যাচ্ছে তখন নিরব কে তানিয়া দেখে দৌড়ে এসে তানিয়া বললো।
তানিয়াঃ আমার জান কোথায় যাচ্ছে ।
নিরব তখন মন খারাপ করে উওর না দিয়ে হেটে হেটে যেতে লাগলো তখন তানিয়া আবার বললো।
তানিয়াঃ কি হলো বলো কোথায় যাও আমার জান।
তখন নিরব মন খারাপ করে বললো।
নিরবঃ একজন এর সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।
তানিয়াঃ কিহহহ কার সাথে কে সে ছেলে নাকি মেয়ে।
নিরবঃ সে ছেলে তার নাম সুমন।
তানিয়াঃ আচ্ছা তোমার কি হয়েছে বলো তো এমন মন খারাপ করে কথা বলছো কেন হুম কিছু হয়েছে তোমার।
নিরবঃ নাহ কিছু হয়নি এমনি ভালো লাগছে না তুমি ইস্কুলে যাও ক্লাস এর সময় হয়ে যাচ্ছে।
তানিয়াঃ ঠিক আছে যাচ্ছি কিন্তু যাওয়ার আগে একটু হাসি দাও আমার জান আমি দেখে যাই নয়তো আমারও মন খারাপ থাকবে।
নিরবঃ হি 😁 হি 😁 হি 😁 পাগলি কোথার যাও ইস্কুলে এখন।
তানিয়াঃ হুম যাচ্ছি তোমার এই হাসি টুকু যথেষ্ট আমার মন ভালো করার জন্য তাহলে আমি যাচ্ছি।
নিরবঃ হুম যাও।
তানিয়াঃ আজ তো তাহলে ইস্কুল থেকে আসার সময় তোমাকে পাবো না।
নিরবঃ নাহ আসতে লেট হবে আমার এখন তুমি যাও যলদি।
তানিয়াঃ ঠিক আছে যচ্ছি।
তখন তানিয়া চলে গেলো আর নিরব তখন মন খারাপ করে হাটতে লাগলো যতই হাসার চেষ্টা করুক মন খারাপ থাকলে তা আরো কষ্ট দেয় এখন আর তার আগের হাসির ফিলিংস আসে না তার প্রিয় মানুষটি সে পাবে না এই ভেবে আরো মন খারাপ হয়ে গেলো।
।
তখন চিন্তা করতে করতে একটা গাড়িতে গিয়ে উঠলো কিছু খন পর তা যেতে লাগলো বেশ কিছু খন পর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে চলে আসলো তখন নিরব সুমন কে কল দিলো। রিসিভ করার পর বললো।
।
নিরবঃ আমি চলে আসছি কোথায় আপনি।
সুমনঃ এক মিনিট দাড়ান আপনি আমি আসছি আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন।
নিরবঃ এইতো গেইট এর সামনে নিল শার্ট পড়ে দাড়িয়ে আছি।
সুমনঃ হুম দেখতে পেয়েছি।
তখন সুমন নিরব এর সামনে আসলো আর বললো।
সুমনঃ আমি সুমন ভাই।
নিরবঃ আমি নিরব।
সুমনঃ চলুন রেস্টুরেন্টে কিছু খেয়ে নেই আগে তারপর সেখানে বসে কথা বলা যাবে।
নিরবঃ ঠিক আছে চলুন।
তারপর একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলো VIP কেবিনে সেখানে তার আরো কিছু ফ্রেন্ড আছে তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো সেখানে আরেকটা মেয়ে আছে তার বান্ধবী বললো তারপর সবাই খেয়ে নিলো খাওয়া শেষ করে নিরব বললো।
নিরবঃ কিসের কথা যানি বললে এখন বলো ।
সুমনঃ ঠিক আছে বলছি আমি বলি আপনি শুনেন তারপর আপনি বলবেন।
নিরবঃ ঠিক আছে বলুন।
সুমনঃ একদিন ফেসবুকে ঘুরাঘুরি করছি তখনি মেসেঞ্জারে একটা মেসেজ আসে I love you লিখে আমি খুবি অবাক হয়ে গছি এটা দেখে।
একটা মেয়ের আইডি থেকে আসছে আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম এটা কেন লিখছে তখন সে উওর দিলো TRUTH,,,,DARE এর পাল্লায় পড়ে এই মেসেজ দিতে হয়েছে তখন আমি বুঝতে পারছি এটা মজা করছে তখন তার সাথে কথা বলতে চাইলাম আরো কিন্তু আর উওর দিলো না তিন দিন পর উওর দিলো তখন তার সাথে একটু কথা বললাম একটু একটু কথা বলতে বলতে প্রায় প্রতিদিন কথা হতো তারপর থেকে তারপর আমরা এক পর্যায়ে বন্ধু হয়ে যাই তখন একটা মঝার ঘঠনা ঘটে আমি যে ইস্কুলে পড়তাম সেও সেই ইস্কুলে পড়তো এমন কি একি ক্লাসে আমরা কিন্তু তার ফেসবুকে ছবি না থাকায় চিনতে পারিনি আমরা তখন ক্লাস নবম শ্রেণিতে পড়তাম আর একটা কথা আমার আইডিতে কোনো ছবি ছিলো না আমি নতুন খুলেছি আইডি তাই চিন্তে পরেনি আমরা ইস্কুলেও ভালো বন্ধু ছিলাম তখন তো আরো ভালো বন্ধু হয়ে যাই এই বন্ধুর সম্পর্ক থাকে এক বছর দশম শ্রেণিতে উঠার পর সে প্রপোজ করে আমি ও আর না করতে পারিনি কারন আমিও পছন্দ করতাম তারপর আমাদের রিলেশন চলে এক বছর কলেজ যাওয়ার পর দুই পরিবার কে না জানিয়ে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেই আমার বন্ধুরা শাক্ষি আছে এমন কি ছবি আছে বিয়ের কাগজ আছে সে বলছিলো ভার্সিটিতে উঠলে সবাই কে বলবে বিয়ের কথা আমাদের তাই আমিও আর কাউকে বলিনি তারপর যখন কলেজ উঠি কিছু দিন যাওয়ার পর আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয় হঠাত করে এই কলেজ থেকে অন্য কলেজ চলে যায় আমি হাজার বার চেষ্টা করছি কি হয়েছে যানার জন্য কিন্তু বলেনি। যানেন আমি এখন ঘুমাতে পারছি না খেতে পারছি কিছু করতে পারছি না নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় একদিন অনেক কষ্ট করে তার সাথে কথা বলি সেদিন কি বলছে যানেন বলছে তার নাকি আমাকে ভালো লাগে না তাই চলে আসছে তখন বিয়ের কথা বলছি সে বললো এইগুলা কিছু না আবেগে করছে ভুলে যেতে সে এই বিয়ে মানে না আর যদি আমি মানি তাহলে বলছে সে ডিবোস দিবে । যানে খুব কষ্ট হয়েছে এই কথা শুনে দেড় বছর রিলেশন বিয়ে করছে সাথে আর সে দুই মিনিটে বলে দিলো এই গুলো আর বলছে তার সাথে যেন যোগাযোগ করা না হয় তাহলে সে মরে যাবে আমি তাকে ছাড়া পারছি না থাকতে অনেক ভালবাসি তাকে।
।।।।
এই বলে সুমন কান্না করে দিলো।
তখন নিরব কথা গুলো শুনে বুঝতে পরলো সে অনেকটা ভালো ভাসে কিন্তু মেয়েটা তাকে ভালবাসে না আবেগে হয়তো ভালবেসে আর সে মন থেকে ভালবেসে তখন নিরব বললো।
নিরবঃ কান্না করো না বুঝতে পারছি কিন্তু সে মেয়েটা কে।
সুমনঃ আপনি যাকে এখন বিয়ে করতে যাচ্ছেন সুলতানা।
নিরব তো এটা শুনে অবাক হয়ে গেছে তখন বললো।
নিরবঃ কি বলছো তুমি এইগুলা।
সুমনঃ হুম সত্যি বলছি বিশ্বাস হচ্ছে না তো দাড়ান আমরা বিয়ে করার সময় কাজি অফিসে ছবি তুলেছি ভিডিও আছে দেখেন।
নিরবঃ দাও তো দেখি।
তখন সুমন ১০ টা ছবি বের করে দিলো আর ভিডিও দিলো ফোনে তখন নিরব দেখে অবাক হয়ে গেছে সত্যি এটা সুলতানা,,,,
বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
চলবে,,,,,,