দেওয়া নেওয়া সানাই পর্ব-১৬

0
410

#দেওয়া_নেওয়া_সানাই
16&17
পর্ব:16
#লেখিকা_নুসরাত_শেখ

ঘুম ভাঙ্গল ইফরাজ আর হুযাইফার হাসাহাসির শব্দে।চোখ খুলে বোঝার চেষ্টা করছি ওরা কোথায়?ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি মাত্র ছয়টা পনের মিনিট বাজে।এত্ত সকালে বাপ মেয়ে করে কি?সোফার উপর বসে দুইজন খেলনা দিয়ে খেলছে।
ইফরাজ এত্ত সকালে উঠছো কেন?(ঐশানী উঠে বসে)

তুমি উঠলা কেন সোনাপাখি?ঘুমাও।আমি ওর সাথে খেলছিলাম।(ইফরাজ)

এত্ত সকালে খেলছিলা তুমি?উঠো তুমি এত্ত সকালে কোনদিন?নাকি ও উঠে গেছে দেখে ওকে নিয়ে খেলছিলা যাতে আমার না উঠতে হয়?(ঐশানী ইফরাজ এর সামনে এসে)

তুমি আর কিছুক্ষণ ঘুমাও না সোনাপাখি।এমনেই রাতে দেরিতে ঘুমাইছো।আমি আমার ময়নাপাখি খেয়াল রাখছিতো।(ইফরাজ)

তুমি ঘুমাও গিয়ে আমি ওকে একটু খাইয়ে দেই।সেই রাতে খেয়েছিল।(ঐশানী হুযাইফার পাশে বসে)

আমি একটু আগেই ফিটার করে খাইয়ে ছিলাম ওকে।তাইতো আমার সাথে খেলছে।নাহলে তোমাকে ছাড়া কিছুই বোঝেনা ও।(ইফরাজ)

হিংসা হয় বলে মেয়ের কম্পিটেশন এনেছ তাইনা?(ঐশানী)

মোটেও না।আমি আর যাই করি মেয়েকে হিংসা করিনা।(ইফরাজ)

আমাকে হিংসা করো।মেয়েটা আমার পাগল তাই হিংসা করো।যাতে ও তোমার প্রতি উইক হয়।আর আমি নতুন জন নিয়ে ব্যস্ত থাকি তাইনা?(ঐশানী)

বেশি বুঝো কেন সব সময়ই। বললাম না এমন কিছুই না।আমি জদি জানতাম আমার মেয়ের কষ্ট হবে এমন কিছুই আমি করতাম না।এখন হয়ে গেছে বলে আমি নিরুপায়।এর পর আর কোন বেবি আমি নিবোনা।(ইফরাজ হুযাইফা কে কোলে তুলে)

কে জানি কালকে ক্রিকেট টিমের কথা বলছিল আব্বুর সামনে?এখন সেই আবার আমাকে ধমক দিচ্ছে।দোষ করে নিজে আবার রাগ ও দেখায়।দেও আমার মেয়েকে।খবরদার ওকে জদি তোমার লাগোয়া বানাও তোমার খবর আছে।(ঐশানী)

ঘুমাতে যাও।আমি আমার ময়নাপাখিকে নিয়ে ঘুরতে যাবো।(ইফরাজ)

এত্ত সকালে কে ঘুরতে যায় ইফরাজ?(ঐশানী)

আমি আর আমার মেয়ে যাই।তোমার সমস্যা?(ইফরাজ)

চুপচাপ আমার মেয়েকে দাও।ও আর কিছুক্ষণ এই আবার ঘুমিয়ে যাবে।(ঐশানী)

না।(ইফরাজ)

ইফরাজ হুযাইফাকে দাও।সারারাত তুমি মাঝে ঘুমিয়েছ।আমার মেয়ের থেকে দূরে রেখেছ।এখন ও তুমি তাই করছ।কি চাইছ টাকি?একজন আসবে তার জন্য আমি আমার প্রথম সন্তান কে দূরে দূরে রাখব?(ঐশানী প্রায় কান্না করবে করবে ভাব)

আমি তোমার থেকে ওকে দূরে দূরে রাখছি?(ইফরাজ অবাক হয়ে)

হ্যা। (ঐশানী)

কি বলছ তুমি ভেবে বলছ তো?(ইফরাজ)

যা সত্যি টাই বলছি।তুমি ইচ্ছে করে এমন করেছ।আমি চাইছিলাম যেনো হুযাইফা বড় হোক তারপর বেবি নিবো।কিন্ত তুমি শোন নি আমার কথা।আর এখন আরেকজন এর কথা শুনতেই তুমি ওকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে রাখছ।তোমার তো বোঝা উচিত ওকে আমি কত্তটা ভালোবাসি।ওকে ছাড়া আমার চলেনা।তাও কেন তুমি এমন করছ?(ঐশানী কান্না করে)

ঠিক আছে নাও ওকে।আমি সব সময়ই ভুল করি।আমি মানুষটাই ভুল।
বলেই রুম থেকেই বেরিয়ে একেবারেই বের হয়ে আসলাম।
আমি নাকি ওকে দূরে সরিয়ে রাখছি।আমার মেয়ের মা ছাড়া চলেনা।সারারাত মেয়েটা কিছুক্ষণ পর পর উঠে যাচ্ছিল।ঐশানীর যেন কষ্ট না হয় সারারাত ঝেগে হুযাইফার খেয়াল রাখলাম।মেয়ের যাতে মাকে দেখে breastfeeding করতে মন না চায় সেই জন্য ওকে এদিক ওদিক খেলাতে মনোযোগ দেওয়ালাম।আর ঐশানী উঠে গেছে দেখে বাইরে নিয়ে আসতে চাইলাম যাতে দুইজন এর কারো কষ্ট না হয়।ঐশানীর কান্না বা মেয়ের কান্না আমার সহ্য হয়না।ও যানে সেইটা।তাও কত্ত গুলো কথা শুনিয়ে দিলো।ও একলাই ভালোবাসে মেয়েকে আমিতো বাসিনা।হ্যা আমি চাইনি ও এখন কোন পদক্ষেপ নেক যাতে বেবি না হয় তার একটা কারণ আছে।সব কিছু সবার জন্য না।ওর হুযাইফা হওয়ার সময়ই জ_রায়ুতে একটা টিউমার ধরা পরে।যা ডাক্তার আমাকে জানায়।তবে ওকে আমি বলিনাই।ডাক্তার বলেছে ওর টিউমার ধীরে ধীরে বড় হলে অপারেশন করতে হবে।তাই দ্বিতীয় বেবি জলদি কনসিভ করে নিতে বলেছেন।যাতে বেবি হওয়ার সময় অপারেশন একসাথে করে ফেলতে পারে।এরপর আর কোন বেবি হবেনা এটাও বলেছেন ডাক্তার।আমি চাইনা ও এটা জানুক।এমনেই অনেক কষ্টের পর ওর মনে একটু আমার জন্য ভালোবাসা জন্মছে।ওর জীবনের সব থেকে বড় কষ্ট ভুলে একটু সুখে থাকার অধিকার ওর অবশ্যই আছে।আর আমি চাই আমার সোনাপাখির যেন কোন কষ্ট সহ্য করা না লাগে।(ইফরাজ পার্কে বসে মনে মনে)

_______

সেই সকাল এ বের হয়েছে এখন ও আসার নাম নেই।দশ বার কল করেছি তাও ধরেনাই।এখন বাঝে সাড়ে নয়টা।মেয়েকে উঠিয়ে দেই খাওয়াতে হবে।ইফরাজ যাওয়ার কিছুক্ষণ পর এই মেয়েটা ঘুমিয়ে গেছে।ইফরাজ কোনদিন আমার উপর রাগ করেনা।যাই বলি হেসে উড়িয়ে দেয়।আজকে কি সত্যিই বেশি বলে ফেললাম নাকি?এসব ভাবতে ভাবতেই মেয়েকে উঠিয়ে মুখ ধুইয়ে সোফার উপর বসিয়ে বিছানা ঠিক করতে গেলাম।বালিশ সরাতেই দেখি ইফরাজ এর ফোন বালিশ এর নিচে।হাতে নিয়ে দেখি সাইলেনট মোড এ আছে।এখন ভিশন টেনশন হচ্ছে গেলো কোথায়?রাগ করে একটু বেশিই বলে ফেললাম।এই ছেলেটা এই সময়ই টেনশন এ ফেললা তো বাসায় আসো দেখো তোমার কি করি?তারপর আমি হুযাইফাকে খাইয়ে নিচে চলে আসলাম।
মামমাম ইফরাজ তোমাদের রুমে আসেনি?(ঐশানী)

নাতো।কেন উপরে নেই?(মামমাম)

না।(ঐশানী উদ্বিগ্ন কন্ঠে)

কি হয়েছে এমন দেখাচ্ছে কেন তোকে?(মামমাম ঐশানীর হাত ধরেই)

ও রাগ করে বের হয়েছে সকাল 6:30মিনিট এর দিকে।ফোনটাও নেই নি।আমার টেনশন হচ্ছে।(ঐশানী)

চলে আসবে টেনশন করিসনা।এমন সময়ই টেনশন করতে নেই।(মামমাম)

কেন রাগ করেছে জিজ্ঞেস করবা না?(ঐশানী)

তোদের স্বামী স্ত্রীর ব্যাপার মা এটা।যদি বলার মতো হয় অবশ্যই বলবি তোরা।তবে তোদের এই দুই বছরের বেশি সময় এ ও কোনদিন রাগারাগি হয়নি।হঠাৎই হলো আর ইফু ও ঘড় ছেড়ে বাইরে গেলো তাই একটু টেনশন আমার ও হচ্ছে।তবে ও ফিরে আসবে টেনশন করিসনা।(মামমাম)

তোমরা এত্ত ভালো কেন মামমাম?(ঐশানী কান্না করে)

দুর পাগলি কাদবিনা একদম।খেতে বস।(মামমাম)

ইফরাজ এর ওতো খুদা পাইছে মামমাম ও এখন ও আসছেনা কেন?(ঐশানী)

চলে আসবে তুই খা।খাদক টার খুদা লাগলে ঠিক এসে খাবে।তুই খা।আর শোন দুপুর থেকে খাবার উপর এ দিয়ে আসব।বারবার নিচে নামতে হবেনা।হুযাইফাকে দে তুই খেয়ে নে।(মামমাম)

আব্বু কোথায়?(ঐশানী)

হসপিটাল চলে গেছে।(মামমাম)

তুমি ও খাও।(ঐশানী)

তোর আব্বুর সাথে খেয়েছিলাম আমি।তুই খা আমি আমার দিদামনির সাথে একটু খেলি।আমার দিদামনি খাইছো?(মামমাম)

বু বু।(হুযাইফা)

বু বু।(মামমাম)

আমি না চাইতেও খেয়ে মামমাম এর রুমে আসলাম। এসে কিছুক্ষণ মামমাম এর সাথে কথা বলে উপরে চলে আসলাম।(ঐশানী)

______

বিকাল চারটা বাজতে চলল।আর এখানে থাকা যাচ্ছে না।খুব খুদা লাগছে।বের হওয়ার সময় মোবাইল ওয়ালেট কিছুই সাথে আনিনাই যে কিছু কিনে খাবো।মোবাইল আনলেও বিকাশ থেকে টাকা তুলে কিছু খেতে পারতাম।গাড়ির চাবি ও আনি নাই যে শোরুম যাব।মন মেজাজ খারাপ আছে বেশ তাই সিএনজি,রিক্সা বা টেক্সি নিয়ে যাওয়ার কথা মাথায় আসে নাই।যাওয়ার পর ভাড়া দেওয়া যেতো।যাইহোক আর কত্তক্ষন বাইরে থাকব।তাই ভাবলাম বাড়ি ফিরে যাই।সেই ভেবেই চললাম বাড়ির উদ্দেশ্য।বাড়ি ফিরে নিজের ফ্লাটে না গিয়ে মামমাম ফ্লাটে গেলাম খাবার খাওয়ার জন্য।কলিংবেল দেওয়ার কিছুক্ষণ এই মামমাম গেট খুলে দিল।(ইফরাজ)

কোথায় ছিলি সারাদিন?(মামমাম রাগ করে)

খুদা লাগছে মামমাম।সারাদিন কিছু খাইনাই।খেতে দাও। পরে সব বলব।(ইফরাজ)

কে বলেছে রাগ করে বাইরে গিয়ে পরে থাকতে।প্রেগনেন্ট মেয়েটা দুপুর বারোটার দিকে বের হয়েছে তোকে খুঁজতে এখন ও ফেরেনি।আর ও এখন এসে বলে খুদা লাগছে খেতে দাও।হুযাইফার কান্না ও থামবার না।কান্না করে করে একটু আগে ঘুমাইছে।ঐশানী কিছুক্ষণ পর পর কল করে জিজ্ঞেস করছে তুই ফিরেছিস কিনা?কি এমন হয়েছে এত্ত রাগ হলো তোর?(মামমাম চিৎকার করে)

আমার সোনাপাখি কোথায় এখন মামমাম?ওকে কল দাও।(ইফরাজ কান্না করবে করবে ভাব)

এখন আসছে বউ এর খবর নিতে।
বলতে বলতেই রুমে এসে ঐশানীকে কল করে বললাম ইফরাজ ফিরে আসছে।ও ফিরছে বলেই কল কেটে দিলো।ইফরাজ হুযাইফার সামনে বসে ওর মুখের দিকে তাকিয়েই আছে।
কি হয়েছে বাপ এত্ত রাগতো তুই কোনদিন করিস না?কেন এমন করলি?(মামমাম)

কিছুনা মামমাম। (ইফরাজ)

আমি তোর মা হোই ইফু।তোর চোখ দেখলে তোর মনের ভাব কিছুটা হলেও বুঝতে পারি আমি।তুই আর যাই করিস তোর ভালোবাসার মানুষদের কষ্ট সহ্য করতে পারিসনা।বলনা বাবা কেন এত্ত রাগ করে সারাদিন বাইরে থাকলি?(মামমাম)

আমার জন্য আমার মেয়ের কষ্ট হচ্ছে মামমাম।আমি নিরুপায় ছিলাম মামমাম আমার যে কিছুই করার ছিলোনা।(ইফরাজ কান্না করে)

কি হয়েছে ইফু তুই কান্না কেন করছিস?(মামমাম ইফরাজ কে জড়িয়ে ধরেই)

তারপর এই প্রথম ডাক্তার আর আমার পর মামমাম কে আমি সবটা খুলে বললাম।মামমাম কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে ছিল।তারপর আমাকে সান্তনা দিলো।(ইফরাজ)

কে বলে আমার ছেলে অবুঝ?আমার ছেলে সবার থেকে আলাদা।ও যানে ভালোবাসার মানুষটাকে কষ্ট না দিয়ে কিভাবে ভালো রাখা যায়।আমার ও কালকে রাগ লাগছিল তোর উপর।কিন্ত তুই যে মনে এত্ত বড় একটা কষ্ট চেপে আছিস তাতো আমরা কেউ বুঝতেই পারিনি।তোর মতো সন্তান ও স্বামী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বাবা।(মামমাম কান্না করে)

প্লিজ মামমাম আমার সোনাপাখি এই কথা যেন কোনদিন না জানে।(ইফরাজ)

না ইফু কোনদিন জানবেনা।তুই চিন্তা করিসনা।চল খাবি।(মামমাম)

ও আসুক আগে।আমার জন্য ও সেই দুপুর থেকে কষ্ট করছে।এটা যেনেও খেতে পারব না আমি।(ইফরাজ)

আচ্ছা। (মামমাম )

আমি শাওয়ার নিয়ে আসি এত্তক্ষন এ।(ইফরাজ)

যা।(মামমাম)

_______

ইফরাজ গেট খুলো।(ঐশানী)

আমি শাওয়ার নিয়ে আসছি।(ইফরাজ)

আমি গেট এখনই খুলতে বলছি।(ঐশানী চিৎকার করে)

কেন?(ইফরাজ)

তোরে খুলতে বলছি খুলবি এত্ত কথা কেন বলবি?(গেটে লাথি মেরে ঐশানী)

কি হলো বলো।
বলতে দেরি ও আমাকে ঠেলে ওয়াশরুম ঢুকে গেট লক করে আমার গলাতে কামর দিয়ে বসল।বেশ কিছুক্ষন এ যখন ও ছাড়ল না।আমি তখন ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
সোনাপাখি ব্যথা লাগছে খুব।(ইফরাজ চোখ বন্ধ করেই)

আমার ও ব্যথা লেগেছিল।সারাদিন যখন তোমার খোঁজ পাইনি তখন।একটু তো ফেরত পাবেই তাইনা।
বলেই আরো কয়েকটা কামর মেরে দিলাম ওর পুরো গলা ঝুড়ে।সারাদিন কাদিয়েছ আমাকে।একটু রাগ করে কথা বলাতে সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকলা।আমার কষ্ট হয়নি বুঝি।দুপুর বারোটার থেকে রোদের মধ্যেই মলে,রাস্তায়,ওর ফ্রেন্ড দের কয়েকজন এর বাসায় ঘুরে ও ওর খবর পাইনি।আর সে সারাদিন পর বাড়ি ফিরে এসেছে।কামর মেরে ওর গলা জড়িয়ে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকলাম।ও আমাকে জড়িয়ে ধরেই আছে।কিছুই বলছেনা।আমিও চুপচাপ এই আছি।বেশ কিছুক্ষন পর।
সরি বলো। (ঐশানী)

সরি সোনাপাখি।(ইফরাজ)

এভাবে না।ভালো মতো বলো।(ঐশানী ইফরাজ এর দিকে তাকিয়ে)

সরি সরি সরি সোনাপাখি বউ টা।(ইফরাজ মুচকি হেসে)

আর কোনদিন ঘর থেকে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হবা?(ঐশানী)

নিরুদ্দেশ কোই হলাম? সামনের পার্কে বসা ছিলাম তাও কয়েক ঘণ্টার জন্য। জদি কয়েক বছর এর জন্য হারিয়ে যেতাম তাহলে না নিরুদ্দেশ হয়ে যেতাম।(ইফরাজ)

কয়েক ঘণ্টা ও আমার কাছে কয়েক বছরের সমান ছিলো বুঝলে।আমার তোমাকে ছাড়া চলে না ইফরাজ।যেই তুই একমিনিট ও বাইরে থাকোনা কাজ ছাড়া।কাজে গেলেও কয়েক মুহূর্তেই কল করো।সেই তুমি সকাল থেকে হাড়িয়ে ছিলে।তুমি জানো আমার কত্তটা কষ্ট হয়েছে।(ঐশানী)

আমার বুঝি কষ্ট লাগেনা।আমার সোনাপাখিকে ছাড়া?আচ্ছা বউ শোননা বাইরে বসো নাহলে এই মুহূর্তেই আমার আদর আদর পাচ্ছে বুঝলে।কিন্ত অনেক খুদা ও পাচ্ছে।আপাতত শাওয়ার নিয়ে খেয়ে আসি তারপর আদর করব ঠিক আছে।(ইফরাজ মুচকি হেসে)

অসভ্য পুরুষ ভালো আর হবেনা।সিরিয়াস মোমেন্ট ও তার আদর আদর পায়।জলদি শাওয়ার নিয়ে বাইরে আসো।(ঐশানী)

ধন্যবাদ বউ। (ইফরাজ)

হঠাৎই ধন্যবাদ কেন?(ঐশানী ব্রু কুচকেই)

আরো দুই বছর আগে আমি বলেছিলাম কোন একদিন আমার জন্য তোমার ভালোবাসা যদি না হয় আমার নাম পাল্টে ফেলব।তোমার জন্য আমার নামটা পাল্টাতে হলোনা।তাই ধন্যবাদ। কথাটা হঠাৎই মনে পড়ল।(ইফরাজ মুচকি হেসেই)

জলদি শাওয়ার নিয়ে আসো।খেতে হবে খুদা লাগছে।
বলেই বেরিয়ে আসলাম।সত্যি ও যেদিন এই কথা বলেছিল আমি ও বলেছিলাম নাম পাল্টে ফেলো কারণ ঐ দিন কোনদিন আসবেনা।অথচ ও এক বেলার জন্য উধাও না হতেই আমার অবস্থা পাগল পাগল লাগছিল।নিজের উপর বেশ রাগ লাগছিল ওর সাথে ওভাবে কথা বলার জন্য।অন্য কোন স্বামী হলে স্ত্রীর প্রতি রাগ দেখাতো।অথচ আমি রাগ দেখানোর পর ও যদিও সকালে রেগেছিল।কিছুক্ষণ আগে সেই রাগ এর জন্য ওকে সরি বলতে বললেই ও বলেও দিলো।ছেলেটার ভালোবাসার উপর দিন দিন মুগ্ধ আমি।কিভাবে কেউ এত্ত ভালোবাসতে পারে?(ঐশানী)

***********(চলবে)***********

পর্ব:17

কিছুক্ষণ পর ও শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে এসে আমার কপালে চুম্বন করে নিচে গেলো খাবার আনতে।দশমিনিট পর এক হাতে খাবার এর ট্রে অন্য কোলে হুযাইফাকে নিয়ে ও আসল।হুযাইফাকে শুইয়ে আমার পাশে বসল। তারপর খাইয়ে দিতে লাগল।
তোমার খুদা লাগছে তুমিও খাও।(ঐশানী)

আগে তোমরা দুইজন খাও।আমি পরে খাচ্ছি। (ইফরাজ)

দুইজন?(ঐশানী)

ও আর তুমি।(ঐশানীর পেটে হাত দিয়ে ইফরাজ)

তাহলে একসাথে তিন জন খেলে সমস্যা কি?তুমিও সাথে খাও।আফটার অল ওর বাবাই তুমি।(ঐশানী)

খাও খাবোতো আমি।(ইফরাজ)

সরি ইফরাজ।আই এম ভেরি ভেরি সরি।আর কোনদিন পচা কথা বলবনা।প্লিজ রাগ করোনা।খাও না আমার সাথেই।(ইফরাজ এর হাত ধরেই ঐশানী)

আমি রাগ করে নেই সোনাপাখি।খাবো তো আমি।তুমি খাও আগে।(ইফরাজ)

আমার সাথে খাও তাহলে বুঝবো রাগ করে নেই তুমি।(ঐশানী)

আচ্ছা খাচ্ছি।
তারপর আমরা দুইজন খেয়ে নিলাম।প্লেট সহো ট্রে ডাইনিং এ রেখে রুমে আসতেই ঐশানী আমার হাত ধরেই সোফার উপর বসিয়ে আমার কোলে বসে পড়ল।
একটু রেস্ট করো সোনাপাখি।(ইফরাজ ঐশানীর গালে হাত রেখেই)

আম্মু আব্বুকে কল করে বলো তাদের নতুন অতিথির কথা।(ঐশানী)

এখন?(ইফরাজ)

হুম। (ঐশানী)

আচ্ছা।
বলেই আম্মুর নম্বর এ কল করলাম। কিছুক্ষণ রিং হতেই কল ধরলেন।তারপর কিছুক্ষণ বাড়ির সবার খবরাখবর আদান প্রদান করলাম।
আম্মু একটা কথা ছিলো।(ইফরাজ)

হ্যা বাবা বলো?(আম্মু)

আসলে হয়েছে কি হুযাইফার না নতুন খেলার সাথি আসছে।(ইফরাজ)

হ্যা কি বললা?(অবাক কন্ঠে আম্মু)

আপনারা আবার নানা নানু হতে যাচ্ছেন।(ইফরাজ)

ঐশানীকে দাওতো বাবা।(আম্মু)

ওকে যা বলার এসে বলবেন।ও ভয় পাচ্ছে আপনারা ওকে বকবেন শুনলে তাই আমাকে বলতে বলল।(ইফরাজ)

বকব কেন?(আম্মু)

তা জানিনা।যাইহোক কালকের মধ্যেই চলে আসবেন।ঠিক আছে আব্বুকে আমার সালাম দিবেন রাখি আম্মু।(ইফরাজ)

আচ্ছা বাবা।(আম্মু)

আসসালামুয়ালাইকুম আম্মু। (ইফরাজ)

ওলাইকুম আসসালাম ।(আম্মু)

আমি কখন বলছি আম্মু বকবে?(ঐশানী)

আমি জানি তুমি মনে মনে এই কথা ভেবেছ।(ইফরাজ)

তোমারে বলছে আমার মন এসে এই কথা?(ঐশানী)

হুম। বলো মনে মনে এই কথা ভাবো নাই?মিথ্যা বলবানা।(ইফরাজ )

কচু।(ঐশানী)

সোনাপাখি।হুযাইফার কি সারাদিন অনেক কষ্ট হয়েছে?(ইফরাজ অপরাধীর মতো ফেস করে)

প্রথম তো কয়েকদিন একটু কষ্ট হবে।আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।(ঐশানী)

সরি।(ইফরাজ ঐশানীকে জড়িয়ে ধরেই)

আমিও সরি।সকালের জন্য। (ঐশানী)

আমি সরি তোমাদের দুইজন কে দূরে সরানোর জন্য। (ইফরাজ)

এই কথা বলোনা।বললাম তো সকালের কথা গুলোর জন্য সরি।আর বলব না প্লিজ। ঐসব ভুলে যাও।প্লিজ ইফরাজ। (ঐশানী ইফরাজ এর গালে হাত দিয়ে)

আচ্ছা চলো রেস্ট নিবে।(ইফরাজ)

এখন না।আমি এখান তোমার কাছে কিছুক্ষণ থাকতে চাই এইভাবেই। (ঐশানী)

আচ্ছা সোনাপাখি।(ইফরাজ ঐশানীকে জড়িয়ে ধরে)

_______

তোমার আবার নাতি নাতনি আসছে।(মমতা আহসান)

মসকরা করোনা ঐশানীর আম্মু। (আফজাল আহসান পেপার থেকে চোখ সরিয়ে)

এখানে মসকরার কি বললাম আমি?জামাই বিকালে কল করে বলল আমাদের আবার নাতি নাতনি আসছে।কালকে দেখতে যেতে বলল মেয়েকে।(মমতা আহসান)

সত্যি বলছো?(আফজাল আহসান অবাক হয়ে)

হ্যা। সকালে ব্রেকফাস্ট এর পর এই বের হবো।মেয়ের মাথায় কি সমস্যা নাকি জিজ্ঞেস করতে হবে।আটমাস মাত্র মেয়ের এখনি আবার বেবি নিলো।(মমতা আহসান বিরবির করে)

কি বলো ঐশানীর আম্মু কিছুতো শুনিনা?(আফজাল আহসান)

এত্ত শুনতে হবেনা।সকালে যাচ্ছি এটা যেনে রাখুন।(মমতা আহসান বলতে বলতে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন)

পরের দিন সকাল

ব্রেকফাস্ট এর ঠিক এক ঘন্টার পর এই আব্বু আম্মু হাজির।সাথে আমার পছন্দের সব রকমের খাবার।আসতেই আম্মু আমাকে নিয়ে কিছুক্ষণ সেই লেভেল এর ঝাড়ি মারলেন।আমি চুপচাপ সব হজম করতে লাগলাম।কি আর বলব?তার মেয়ের জামাই এর নাকি আমাকে দেখলেই আদর আদর পায়।এটাও নাকি আমার এই দোষ। এসব তো বলতে পারিনা তাই চুপচাপ থাকলাম।হঠাৎই ইফরাজ রুমে আসতেই আম্মু চুপ হয়ে গেলো।আর ইফরাজ এসেই এমন কাজ করল আমিতো অবাক। (ঐশানী)

আম্মু প্লিজ আপনার মেয়েকে বকবেন না।ওর কোন দোষ নেই এর মধ্যে।সব দোষ আমার যদি বকতেই হয় আমাকে বকেন।আসলেই হুযাইফার কথা ভাবা উচিত ছিল আমার।প্লিজ ওর সাথে রাগ করবেন না।সব দোষ আমার হুযাইফার বলেন ঐশানীর বলেন এদের কারো কথা ভাবি নাই আমি।আসলে না ভেবেই সব সময়ই কাজ করি।আপনার মেয়ের উপর আপনার পুরো অধিকার আছে ও ভুল করলে বকার ইভেন মারার ও অধিকার আছে।তবে যেহেতু দোষ করে নাই তাই ওকে না বকে আমাকে বকেন।আফটার অল আমি ওতো আপনাদের ছেলে।(ইফরাজ আম্মুর হাত ধরেই)

না বাবা তোমাকে কেন বকব?(আম্মু)

তাহলে ওকে কেন বকলেন?(ইফরাজ)

না মানে।(ইতস্তবোধ করে আম্মু )

ওর দোষ নেই আম্মু তাও বকলেন কারন মেয়ে।আর আমি দোষ করলাম অথচ আমাকে বকছেন না কারণ আমি মেয়ের জামাই তাইনা?(ইফরাজ)

না বাবা।(আম্মু)

ছেলে ভেবে মাঝে মধ্যেই বকতেও তো পারেন।আমি রাগ করবনা।ভুল হলে অবশ্যই শুধরানোর জন্য হলেও আমাকে শাসন করার অধিকার আছে আপনার।ছেলে হোই আমি আপনার বুঝলেন।এখন চলুন আম্মু আপনার বেয়ান আপনাদের জন্য কিছু নাস্তার ব্যবস্থা করেছে।(ইফরাজ )

_______

কয়েক মাস পর

পাচঁ মাস পড়েছে চারদিন আগেই।ডাক্তার দেখিয়ে আসলাম বিকালে।হুযাইফা এখন হাটতে পাড়ে অল্প।তবে দাঁড়াতে পারে অনেকক্ষন।কথা বলে কি কিউট করে।কথা সুনলে মন জুড়িয়ে যায়।(ঐশানী)

মাম মাম (হুযাইফা)

হুম মামমাম।(হুযাইফাকে পাসে বসিয়ে)

মাম মাম।(হুযাইফা)

পানি খাবা?(ঐশানী)

উম।(মাথা নাড়িয়ে হুযাইফা)

এই নাও।(ঐশানী)

ময়নাপাখি আসো বাবুর কোলে।(ইফরাজ ঐশানীর পাশে বসেই)

বাবু।মাম বাবু খেল বাবু কবু?(হুযাইফা)

মামমাম এর বাবু খেলার জন্য আসবে জলদি মামমাম। এই বাবুর আদর লাগবে আদর দাও।(ইফরাজ হুযাইফাকে নিয়ে)

বাবু।চিরু দাও।(হুযাইফা ইফরাজ এর চুল ধরে)

চুল আচড়ে দিবা মামমাম?(ইফরাজ)

উম।(মাথা নেড়ে হুযাইফা)

আচ্ছা।
তারপর ওকে কোলেই নিয়ে চিরুনি নিয়ে আসলাম।আমাকে বালিশ এনে সেখানে শুতে বলে ও আমার চুল আচড়ে দিচ্ছে। যদিও পারেনা।ট্রাই করে আরকি।ও আমাকে যখন বাবু বলে মনে হয় আমার মামমাম কে দেখছি।আর ওর মামমাম কে মাম বলে।দাদা-দিদা,নানা-নানু সবাইকে স্পেশাল নামে ডাকে বনু বলে।কারণ সবাই ওকে বনু বলেই ডাকে।তাই ও সবাইকে বনু বলে।এতে ওর দাদা নানার বেশ আফসস হয়।শেষে কিনা নাতনির জন্য জেন্ডার নিয়ে টানাটানি।কিছুদিন আগেই দুই বেয়াই মিলে এক সাথে বসে এই নিয়ে কথা বলছিল। আমি শুনে ফেলেছিলাম।আমি শুয়ে আমার সোনাপাখির দিকেই তাকিয়ে আছি।ইদানিং মেয়ের জন্য আমার সোনাপাখিকে সোনাপাখি বলতে পারিনা।যাই শুনে সেই নামে ডাকে।যেই আমি আমার আব্বু মামমাম এর সামনে লজ্জা পাইনি ওকে সোনাপাখি বলতে সেই আমি মেয়ের জন্য ওর সামনে হুযাইফার মামমাম বলে ডাক দেই।কারণ যখন ওর প্রথম বুলি ফুটে সর্বপ্রথম বুলি ছিলো সোনা একটু থেমে পাখি।এটা শুনে ঐশানীর সেই কি রাগ। এখানে বলছে ঠিক আছে বাইরে বললে ইজ্জত শেষ।সেই থেকে হুযাইফার ঘুম এর পর এই এই আদুরে নামে ডাকতে পারি আমার বউ কে।আমার তাকানো দেখে ঐশানী আমার দিকে তাকালো।আমি মুচকি হেসে ওকে আমার কাছে ডাকলাম। ও মুখের ইশারায় একটা বকা দিলো।অসভ্য পুরুষ। তা দেখে আমি ঠোঁট উল্টে কান্নার ভান করলাম। (ইফরাজ)

ঢং।মামমাম আসো ঘুমাতে।অনেক রাত হলো।(ঐশানী)

বাবু বল বনু ঘুম।(হুযাইফা)

কেনো?(ঐশানী)

আজকে দিয়ে আসি প্লিজ। (ইফরাজ)

দিনদিন অসভ্যতামি বেড়েই যাচ্ছে হুযাইফার আব্বু তোমার?(ঐশানী রাগ করে)

চুপচাপ শোও।আমি ওকে দিয়ে আসছি।চলো বাবু বনুর কাছে দিয়ে আসি।(ইফরাজ হুযাইফাকে কোলে নিয়ে)

ইয়ে ইয়ে ইয়ে বনু ঘুম।(হুযাইফা চিৎকার করে)

পাজি বাপের পাজি মেয়ে।(ঐশানী ইফরাজ এর উদ্দেশ্য)

হুম ভালো।(ইফরাজ)

কিছুক্ষণ এর মধ্যেই ইফরাজ এসে গেট লক করে লাইট অফ করে ডিম লাইট ধরিয়ে আমার পাশে এসে শুয়ে পড়ল। তারপর আমার মুখের সামনে কিছুক্ষণ সূরা পড়ে পুরো মুখে ও শেষে পেটের উপর ফু দিলো।আর সব দিকে ফাজলামো করলেও নামাজ টা ঠিক রাখে।আগে পাচঁ ওয়াক্ত না পড়লেও আমার সেকেন্ড প্রেগনেনসির পর আমাকে ও নিজেও নামাজ পড়া,প্রতিদিন কোরআন শরীফ পাঠ করা এবং প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রোজা রাখে ও।আমাকে রোজা রাখতে দেয় না।তবে বলেছে সামনের মাসে তো রোজা তখন সব যেন রাখার ট্রাই করি।তারপর কিছুক্ষণ আমার সাথে গল্প করে আমাকে হালকা হাতে জড়িয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।(ঐশানী)

_________

(জেবা)
আজকে অফিস থেকে আসছি পর থেকে ফারাবির ভিশন শরীর খারাপ হয়ে গেলো।বমির সাথে কিছুক্ষণ পর পর পটি করছে।রাত এখন প্রায় এগারোটা বাজে।এত্ত রাতে আর দিক বেদিক পাচ্ছি না।ছুটলাম সামনের একটা হসপিটাল। তবে সেখান থেকে মহাখালি পাঠানো হলো ভোর পাচঁটার দিকে।আমার একুশ মাসের ছেলেটার একদিন এই নিস্তেজ হয়ে গেলো যেন।আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থনা করে যাচ্ছি সব হারিয়ে আমার ছেলেকে নিয়ে তো বেশ সুখেই ছিলাম হঠাৎই কেন এমন হলো।ডাক্তার রা বেশ রেগে গেলেন আমার উপর। রাতের থেকে ছেলেটার অবস্থা খারাপ এখন আনলাম বলে।কিছু হয়ে ওতো যেতে পারতো। আর বাইরের খাবার বেশি খাওয়ার ফলে এই অবস্থা হয়েছে।তারা স্লাইন দিলেন।দুপুর এর দিকে ও আমার ছেলেটা নিস্তেজ পড়ে আছে।অফিস এ ওকে নিয়েই যাই।লাঞ্চ আওয়ার ছাড়া তো খাবার খাওয়াতে পারিনা।এতে অফিস বস রাগ করেন।এমনেই বেবি নিয়ে যাই এটাই বড় সমস্যা।তাই সব সময়ই উপরি খাবার রাখি ওকে খাওয়ার জন্য। আর সেই সব খেয়েই এই অবস্থা। আজকে হয়তো ওর বাবা থাকলে আমার চাকরি করা লাগতো না,হয়তো আর দশটা বাচ্চার মতো ওর আর আমার খারাপ অপবাদ শুনতে হতোনা,সবার কথা মুখ বুঝে সহ্য করা লাগতো না,বাইরের পুরুষদের খারাপ প্রস্তাব শুনা লাগতোনা।হয়তো পাপের ফল ভোগ করাই লাগতো না যদি ফারাজ আর ঐশানীকে আলাদাই না করতাম।এসব ভাবনার মধ্যেই চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি পড়ল।আচ্ছা দোষ কি শুধু আমার একারই ছিলো?(জেবা ফারাবির দিকে তাকিয়েই মনে মনে)

************(চলবে)**********