দ্বিতীয় বসন্ত পর্ব-০১

0
210

#দ্বিতীয়_বসন্ত
#লেখা_Bobita_Ray
পর্ব- ০১

বড়বোনকে দেখতে এসে ছোটবোনকে পছন্দ করেছে পাত্রপক্ষ। এই নিয়ে বাড়িতে হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে গেল। দেখতে সুদর্শন, বুয়েট থেকে ইন্জিনিয়ারিং পাশ দিয়ে, মোটা বেতনে সরকারি চাকরি করা পাত্রকে হাতছাড়া করতে চাইলো না মেয়ের মা সুর্বনা রানী। বাবা নিহার বাবু প্রথমে একটু গাঁইগুঁই করলেও পরে স্ত্রী’র কথা মেনে নিল।

বড়মেয়ে সুপ্তি ছাদের এককোণে আনমনা হয়ে বসে আছে। কোমর ছুঁইছুঁই ঢেউ খেলানো কুঁকড়ানো সুন্দর চুলগুলো মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে। বাসন্তী রঙা শাড়ির আঁচলখানা বড় অবহেলায় মাটিতে লুটিয়ে পরেছে। টানা টানা মায়াবী চোখের কোণে বিন্দু বিন্দু জল জমেছে। চোখের জলের সাথে কাজল লেপ্টে গেছে। এতে যেন মায়া মায়া চেহারার সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তুমি যতই শ্যামবর্ণ মায়াবী চেহারা নিয়ে জন্ম নাও না কেন! এই দেশের মানুষগুলো সুন্দরের পূজারী। এরা আসল সৌন্দর্য বলতে বুঝে, গায়ের রঙ ধবধবে ফর্সা। সৌভাগ্যক্রমে ছোটবোন দীপ্তির গায়ের রঙ ধবধবে ফর্সা। নাকটা বোঁচা, চোখদুটো ছোট ছোট, কাঁধ পর্যন্ত সিল্কি চুল। আজ দিদিকে দেখতে আসবে তাই মায়ের কথামতো নিজের ঘরে লুকিয়ে ছিল দীপ্তি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ছেলের মাসিমণি ঠিকই বাথরুমে যাওয়ার নাম করে চট করে দীপ্তির ঘরে ঢুকে পরল। তারপর দীপ্তিকে এটা-সেটা প্রশ্ন করতেই দীপ্তি ঘাবড়ে গিয়ে সব গড়গড় করে বলে দিল। ছেলের মাসিমণি দীপ্তির হাত টেনে ধরে বসার ঘরে নিয়ে আসতেই ছেলে মুগ্ধ হয়ে দীপ্তির দিকে অপলক তাকিয়ে রইল। ছেলের মাও সুপ্তিকে প্রশ্ন করা বাদ দিয়ে খুব আগ্রহ নিয়ে দীপ্তিকে পাশে বসিয়ে দিল। মুখে হাসি টেনে বলল,
-‘বাহ্..ভারী মিষ্টি মেয়ে তো তুমি! তা মা.. নাম কী তোমার?
দীপ্তি ভয়ে ভয়ে মাথা নিচু করে বলল,
-‘দীপ্তি।
-‘এবার কোন ক্লাসে পড়ো?
-‘এইচএসসি দিয়েছি।
-‘ভাল.. ভাল।
ছেলের মা সুপ্তির হাতে এক হাজার টাকার একটা নোট গুঁজে দিয়ে বলল,
-‘তুমি এখন যেতে পারো।
সুপ্তির মুখটা অপমানে থমথমে হয়ে গেল। পা আর চলে না। কত কষ্টে যে জায়গাটা থেকে উঠে দাঁড়াল। ছেলের মা সুপ্তির বাবাকে বলল,
-‘আপনার ছোটমেয়েকে আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে দাদা। ঠিক এই রকম একটা ফুলের মতো ফুটফুটে মেয়েই আমার ছেলের বউ করার জন্য বহুদিন ধরে খুঁজছিলাম। শৌভিক তখনো দীপ্তির দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। দীপ্তির বাবা ইতঃস্তত করে বলল,
-‘ইয়ে মানে..
শৌভিকের মা বলল,
-‘কোন মানে টানে শুনব না কিন্তু!
-‘আমার বড়মেয়েটার কোন গতি না করে ছোট মেয়েটার বিয়ে দেবো না।
পাত্রের মাসিমণি বলল,
-‘দ্যাখেন দাদা, এখন যুগ পাল্টেছে। ছোট বোনেরও আগে বিয়ে হয়। এটা কোন সমস্যা না। শুভ দিনক্ষণ দেখে, আগে আপনার ছোট মেয়েটার বিয়ে হোক। তারপর না হয় বড়মেয়েকে ভাল পাত্র দেখে বিয়ে দিবেন। তাছাড়া যে বাজার পড়েছে, একসাথে তো দুটো মেয়ের বিয়ে দেওয়া সম্ভব না।
সবকথাই সুপ্তির কানে গেল। মনটা বিতৃষ্ণায় ভরে গেল। মাকে ডেকে বলল,
-‘আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না মা। ছেলেকে পছন্দ হলে দীপ্তিকে এখানেই বিয়ে দিয়ে দাও।
সুর্বনা রানী ইতঃস্তত করে বলল,
-‘বড়বোন রেখে ছোটবোনকে বিয়ে দিলে লোকে কী বলবে?
-‘আমার বিয়ের জন্য তো এই পাত্র এতদিন তোমার ছোটমেয়ের জন্য অপেক্ষা করবে না। তোমাদের ভাষায় ভাল পাত্র হাতছাড়া হলে, পরে তোমরাই দোষারোপ করবে আমাকে।
সুর্বনা রানী মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলল,
-‘এভাবে বলছিস কেন মা?
সুপ্তি সে’কথায় উত্তর দিল না। বলল,
-‘মা আমি ছাদে যাচ্ছি। তোমরা এই ফাঁকে বিয়ের পাকা কথা সেরে ফেলো।
মাকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সুপ্তি ব্যস্ত পায়ে ছাদে চলে গেল।

শৌভিকের মাসিমণি শৌভিকের মাকে ফিসফিস করে বলল,
-‘ভাগ্যিস আমি বাথরুমে যাওয়ার বাহানায় পুরো বাসাটা ঘুরে দেখেছিলাম। তা না হলে এত সুন্দর মেয়েটা হাতছাড়া হয়ে যেতো।
শৌভিকের মা সুমিত্রা বলল,
-‘এই বৈশাখেই ভাল দিনক্ষণ দেখে আমি ওদের চারহাত এক করে দিতে চাই দাদা। নিহারবাবু স্ত্রী’র দিকে চোখ তুলে তাকালো। তিনি ইশারায় রাজি হয়ে যেতে বলল,
-‘তারা আগেই খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেছে। ছেলে বড় চাকরি করে। মানিকগঞ্জ সদরে নিজেদের পাঁচতলা ফ্ল্যাট বাসা আছে। ছেলেরা এক ভাই চারবোন। বোন চারজনের বিয়ে হয়ে গেছে। শুধু বাড়িতে দীপ্তি শ্বশুর-শাশুড়ী নিয়ে থাকবে। ভাগ্য ভাল হলে ছেলে যেখানে জব করে, সেখানেও নিয়ে যেতে পারে দীপ্তিকে। এরকম সোনার টুকরো পাত্র হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। তাছাড়া বড় মেয়ে সুপ্তিরও দেখতে শুনতে ভাল আর খুব গুণবতী ও ভদ্র। ওর জন্য খুঁজলে ভাল ছেলে পাওয়া ব্যাপার না। আপাতত ছোট মেয়েটার বিয়ে হোক! পরে সময় করে বড়মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে। পাত্রপক্ষ আশীর্বাদের দিনক্ষণ পাকা করে, দীপ্তির কপালে হলুদ ছুঁইয়ে, মিষ্টিমুখ করে চলে গেল।

সুপ্তি ধীরে ধীরে ছাদ থেকে নেমে নিজের ঘরে চলে গেল। মা কত করে রাতে খাওয়ার জন্য ডাকল। সুপ্তি সারা দিল না। সুপ্তির কেমন অদ্ভুত কষ্ট হচ্ছে। আয়নায় নিজের চেহারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল সুপ্তি। সুপ্তির প্রতিবিম্বও যেন ওকে আজ উপহাস করছে। গায়ের রঙটা আর একটু সুন্দর হলে কী এমন ক্ষতি হতো? অন্তত পাত্রপক্ষের সামনে এভাবে অপদস্ত হতে হতো না।
দীপ্তির কেমন মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। একমন দিদির জন্য দুঃখ অনুভব করছে৷ আরেক মন এত ভাল ঘরে বিয়ে হবে দেখে, খুশিতে ডগমগ। আসলে দীপ্তির পড়তে ভাল লাগে না। বিয়ে হলেই পড়া থেকে চিরতরে মুক্তি মিলবে। দিদিটা তো প্রচুর পড়ুয়া। বইয়ের ভেতর সারাক্ষণ মুখ গুঁজে থাকে। ওর কী মাথা ব্যথা করে না? সুপ্তিকে পড়তে দেখলেও দীপ্তির আজকাল খুব মাথা ব্যথা হয়। তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই গায়ের রঙ সুন্দর দেখে মায়ের আদরটা বেশিই পেয়েছে দীপ্তি। কখনো কোন কাজ করতেও দিতো না মা। বিছানায় শুতেই শৌভিকের চেহারা চোখের পাতায় ভেসে ওঠল। দীপ্তি খুব লজ্জা পেল। ইশ, মানুষটা তখন কেমন ড্যাবড্যাব করে দীপ্তির দিকে তাকিয়ে ছিল!
দীপ্তি সারারাত আকাশ-পাতাল ভেবেও কোন কূলকিনারা পেল না।

এক সপ্তাহ নাগাদ দীপ্তির বিয়ে ঠিক হয়েছে। এর মাঝে মা-বাবা ঘটা করে শৌভিককে আশীর্বাদ করে, বিয়ের দিনক্ষণ পাকা করে এসেছে।
একদিন সকালে কোচিং শেষে রাস্তায় নামতেই দীপ্তি দেখল,
শৌভিক বাইকে হেলান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পরনে কালো কালারের শার্ট, চোখে কালো সানগ্লাস। দীপ্তি অসময়ে শৌভিককে দেখে, শুকনো ঢোক গিলল। রাস্তার অপজিটে শৌভিককে দেখে খুব লজ্জা লাগছে আবার ভালোও লাগছে। শৌভিক, দীপ্তিকে দেখে বাইক স্টার্ট দিল। দীপ্তির সামনে জোরে ব্রেক কষে বলল,
-‘আমায় দেখে পালিয়ে যাচ্ছো বুঝি?
দীপ্তির বুকের ধুকপুকানি বেড়ে গেল। এভাবে টলিউডের নায়কের মতো এন্ট্রি নিলে ক্রাশ না খেয়ে থাকা যায়? দীপ্তির বান্ধবীরা ফিসফিস করে বলল,
-‘ছেলেটা কে রে দীপ্তি?
শৌভিক হেসে দিল। ভ্রু’জোড়া নাচিয়ে বলল,
-‘তুমি ওদের বলোনি কেন দীপ্তি? আমি কে?
দীপ্তি ঘাবড়ে গেল। শৌভিক বলল,
-‘চলো কাছে কোথাও ঘুরে আসি?
দীপ্তি সাহস পেল না। শৌভিক বলল,
-‘একা যেতে ভয় পাচ্ছো? ওকে নো প্রবলেম, তোমার দিদিকে ডেকে নাও?
দীপ্তি, সুপ্তিকে ফোন দিয়ে বলল,
-‘দিদি আমার কোচিং সেন্টারের সামনে একটু আসতে পারবি?
-‘কেন?
-‘আয় না প্লিজ?
সুপ্তি বিরক্ত হয়ে বলল,
-‘অনেক কাজ পরে আছে। আমি এখন যেতে পারব না।
শৌভিক বলল,
-‘আমাকে ফোনটা দাও? আমি কথা বলি।
দীপ্তি ফোনটা শৌভিকের হাতে দিয়ে দিতেই শৌভিক বলল,
-‘ভয় পাচ্ছেন?
-‘আপনি কে?
-‘আমি দীপ্তির হবুবর। আসলে ও আমার সাথে একা একা ঘুরতে যেতে সাহস পাচ্ছে না। আপনি আসলে যাবে।
-‘আজব! আমি কেন আপনাদের সাথে যাব?
-‘আসলে কী হবে? বোনের সাথে বোন যায় না বুঝি?
-‘স্যরি। অন্যের বোন কী করে জানি না। তবে আমি যেতে পারব না।
-‘আপনার সাথে আমার বিয়ে ভেঙে দীপ্তির সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে বলে, আপনি কী কোনভাবে আমাদের জেলাস ফিল করছেন?
-‘অদ্ভুত কথা বলছেন তো আপনি।
-‘সাহস থাকলে আসুন তবে?
-‘আমার সাহস আছে কী নেই, আপনাকে দেখতে হবে না। অযথা ঘুরে বেড়িয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমার কাছে নেই। স্যরি। কথাটা বলেই সুপ্তি ফোনের লাইনটা কেটে দিল। অপমানে শৌভিকের মুখটা থমথমে হয়ে গেল। টিস্যু দিয়ে কপালের ঘাম মুছে নিয়ে শৌভিক বলল,
-‘তুমি আমার সাথে ঘুরতে যাবে কী যাবে না?
দীপ্তির খুব কান্না পেল। বিয়ে ঠিক হয়েছে। সাতদিনও হয়নি। মানুষটা কেমন দীপ্তির ব্যাপারে অধিকার ফলানোর চেষ্টা করছে। দিদিটার সবকিছুতেই বাড়াবাড়ি। এলে কী এমন ক্ষতি হতো? দীপ্তির বোঝা হয়ে গেছে। দিদিটা হিংসে থেকেই মানুষটার সাথে ওমন রুক্ষ ব্যবহার করল। দীপ্তি বুকচিরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে শৌভিকের বাইকের পেছনে উঠে বসল। শৌভিক একটানে একটা নামীদামী কফিশপের সামনে গিয়ে থামাল। দীপ্তির বামহাত চেপে ধরে একটা কফিশপের ভেতরে ঢুকে কোণার টেবিলে গিয়ে বসল। বলল,
-‘তোমার দিদি কী বড্ড অহংকারী? না কী হিংসা থেকে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করল?
দীপ্তি কী বলবে ভেবেই পেল না। শৌভিক আবারও বলল,
-‘তোমার দিদিকে বলে দিও এসব অহংকারী, তেলবাজ, মেয়েকে শৌভিক চৌধুরী গোনায় ধরে না। এনিওয়ে.. কী খাবে বলো?
দীপ্তি মিনমিন করে বলল,
-‘আমি কিছুই খাব না।
-‘কেন খাবে না? তুমিও তোমার দিদির মতো ঢঙী না কী?
দীপ্তির মনে মনে দিদির উপর খুব রাগ লাগছে। দিদিটার জন্য এই মানুষটার কাছে কতগুলো বাড়তি কথা শুনতে হলো দীপ্তিকে। শৌভিক চট করে দীপ্তির উন্মুক্ত সুন্দর কাঁধে হাত রাখল। নিচু কণ্ঠে বলল,
-‘রাগ করো না। আসলে তোমার দিদির রুক্ষ ব্যবহারে আমার মাথাটা গরম হয়ে গিয়েছিল।
অনাঙ্ক্ষিত স্পর্শে দীপ্তি কেঁপে উঠল। শৌভিকে হাতটা আলগা হওয়ার বদলে ধীরে ধীরে দীপ্তির পিঠে চেপে বসল। হঠাৎ আগুনের উল্কা এসে গায়ে লাগলে যেমন অনুভূতি হয়। ঠিক একই রকম অনুভূতি এই মুহূর্তে দীপ্তির হচ্ছে। দীপ্তি ভীতু কণ্ঠে বলল,
-‘কী করছেন ছাড়ুন?
-‘কেন, আমার স্পর্শ ভাল লাগছে না তোমার?
-‘বিয়ের আগে এভাবে মেলামেশা করা ঠিক না।
-‘আশ্চর্য! আমরা কীভাবে মেলামেশা করছি? আমি কী তোমায় নিয়ে শুয়ে পরেছি? জাস্ট একটু ছোঁয়াছুঁয়িই তো। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর, এগুলো কমন ব্যাপার।
দীপ্তি আর কিছু বলার সাহস পেল না। তবে শৌভিকের হাত দীপ্তির গলা বেয়ে ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামছে। দীপ্তির এত লজ্জা লাগছে। ইচ্ছে করছে মাটির সাথে মিশে যেতে। বিয়ে ঠিক হয়েছে সাত দিন হলো। সাত দিনের ব্যবধানে মানুষটা কথা নেই বার্তা নেই! এতটা ঘনিষ্ঠ আচরণ করছে। ভাল ভাবে তো এখনো চেনা-জানাও হলো না মানুষটার সাথে। শুধু রাতে যা একটু ফোনে কথা হতো। লোকটা ১৮+ কথা বলতেই বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। প্রথম দুদিন খারাপ লাগলেও এখন অবশ্য একটু একটু দীপ্তিরও ভাল লাগে। লোকটা দীপ্তির বুকের নরম মাংসপেশিতে মৃদু চাপ দিতেই ব্যথায় কুঁকড়ে ওঠল দীপ্তি। শৌভিক, দীপ্তিকে ছেড়ে দিয়ে, কেমন করে যেন হাসল। নিচু কণ্ঠে বিড়বিড় করে বলল,
-‘আমরা কবে ডেটে যাচ্ছি?
-‘কোথায়?
-‘কোথায় বুঝো না? বিয়ের আগে দুজন কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করব। তারপর বিয়ে করব।
-‘অসম্ভব।
-‘কিচ্ছু অসম্ভব না। তুমি যদি দূরে কোথাও যেতে না চাও সমস্যা নেই। আমাদের ফ্ল্যাটেই আমরা…
দীপ্তি শুকনো ঢোক গিলল। বলল,
-‘না..না।
শৌভিক, দীপ্তির বাহু শক্ত করে চেপে ধরে, চোখে চোখ রাখল। কেমন হিংস্র চাউনি। দীপ্তি বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারল না। চোখ নামিয়ে নিল। শৌভিক বলল,
-‘তোমাকে দেখার পর থেকে আমার মাথায় জাস্ট আগুন ধরে গেছে দীপ্তি।

(চলবে)