দ্বিতীয় বসন্ত পর্ব-০৮

0
153

#দ্বিতীয়_বসন্ত
#লেখা_Bobita_Ray
পর্ব- ০৮

দীপ্তির কোন হুশ, জ্ঞান নেই। প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে। পরনের শাড়ি ও বিছানার চাদর লাল রঙা রক্তে ভিজে গেছে। শৌভিক হতবিহ্বল হয়ে গেল। অতিরিক্ত ভয়ে চোখদুটো কোটর থেকে বেড়িয়ে আসতে চাচ্ছে। কাঁপা কাঁপা হাতে দীপ্তির গাল স্পর্শ করল শৌভিক। ভীতু কণ্ঠে বলল,
-‘এই দীপ্তি কী হয়েছে তোমার? কথা বলছো না কেন?
ছোটবেলা থেকেই রক্তে ভয়াবহ ফোবিয়া আছে শৌভিকের। দীপ্তির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে, নেশা ছুটে গেছে। প্রচুর ভয় পেয়েছে। ঘামে পুরো শরীর ভিজে উঠেছে। চোখ-মুখ অন্ধকার দেখছে। সুপ্তির উপর জেদ করে, দীপ্তির সাথে এতটা অমানবিক আচরণ করা একদম ঠিক হয়নি। আরও একটা অন্যায় কাজ করেছে শৌভিক। গতকাল রাতে বিশেষ এক ধরনের ঔষধ খেয়েছিল। সেই ঔষধের জন্যই বোধহয় এতটা বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। এত রক্ত শৌভিকের সহ্য হলো না। দীপ্তিকে বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে দিল। তারপর দৌড়ে বাথরুমে চলে গেল। চোখে, মুখে জলের ছিটা দিল৷ না..না.. এভাবে দীপ্তিকে ফেলে রাখা যাবে না। এত রক্তক্ষরণ হয়ে দীপ্তি যদি মরে যায়? তখন কী করবে শৌভিক? তাছাড়া এই ঘটনা জানাজানি হলে, শৌভিককে কতটা লজ্জায় পড়তে হবে! ভাবতেই দিশেহারা বোধ করল শৌভিক। পরে যা হয় হবে। আগে তো মেয়েটাকে বাঁচানো উচিৎ। শৌভিক ঘরে এসে, দীপ্তির একটা জামা হাতে নিল। ওড়না দিয়ে নিজের চোখ ভাল করে বেঁধে নিল। যাতে আর রক্ত দেখা না লাগে। দীপ্তির শাড়ি পাল্টে জামা পরিয়ে দিল। তারপর একটানে চোখের বাঁধন খুলে ফেলে, দীপ্তিকে পাজকোলা করে ছুটলো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে।
আবিরের ঘুম ভেঙেছে। বাসায় যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বাইরে আসতেই দেখল, শৌভিক, দীপ্তিকে কোলে নিয়ে ছুটছে। আবির হতভম্ব হয়ে গেল। ওদের পিছুপিছু গাড়ির চাবিটা নিয়ে ছুটে গেল।
শৌভিকের কাঁধে একহাত রেখে আবির বলল,
-‘কী হয়েছে শৌভিক?
শৌভিকের মুখটা শুকিয়ে একটুখানি হয়ে গেল। নিচু কণ্ঠে বলল,
-‘দীপ্তির অবস্থা ভাল না। হাসপাতালে নিতে হবে।
আবির গাড়িতে উঠে বসল। পেছনের দরজা আনলক করে দিয়ে বলল,
-‘শিগগিরই গাড়িতে উঠে বোস?
শৌভিক কোন কথা না বলে দীপ্তিকে নিয়ে উঠে বসল। আবির গাড়ি স্টার্ট দিল। কোন কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালাতে লাগল। একটা প্রাইভেট হাসপাতালের সামনে গাড়ি থামাতেই শৌভিক, দীপ্তিকে পাজকোলা করে নিয়ে নামল। দ্রুত ইমারজেন্সিতে ভর্তি করে দিল।
ডাক্তার পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখল, দীপ্তির যৌনাঙ্গ অনেকটা ছিঁড়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পাঁচটা সেলাই লেগেছে। তাতে রক্ত পরা বন্ধ হলো। জরুরী ভিত্তিতে দুই ব্যাগ রক্ত লাগবে। শৌভিকের সাথে ম্যাচ করল না। রক্তের গ্রুপ ম্যাচ করল আবিরের সাথে। আবির রক্ত দিতে রাজি হয়ে গেল।
ততক্ষণে শৌভিকের বাবা-মা, মামা-মামী, মাসিসহ বেশ কাছের কিছু আত্মীয় স্বজন হাসপাতালে চলে এসেছে। শৌভিকের বাবা তো ছেলেকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে, হাসপাতাল গরম করে ফেলল। দুই- তিন বার তেড়ে গিয়েছে। ছেলেকে মারতে। সবাই বাঁধা দেওয়াতে মারতে পারেনি। শৌভিকের মা ছেলের এত অধঃপতন দেখে শাড়ির আঁচলে মুখ লুকিয়ে হাপুস নয়নে কাঁদছে। নতুন বউয়ের বাবার বাড়ির লোকজন জানলে কী হবে? ভাবতেই লজ্জায় অস্থির লাগছে। কত মানুষ বিয়ে করে, বাসর হয়। কই তাদের তো এমন হয় না? তাহলে তার নিজের পেটের ছেলেই কেন, এই রকম একটা অঘটন ঘটালো? লোকে জানলে তো ছিঃ.. ছিঃ করবে। বউ তো আর একদিনের না। সারাজীবনের। রয়েসয়ে, ভালোবেসে কাছে গেলে কী এমন ক্ষতি হতো? এত কুৎসিত ঘটনার পর, এই মেয়েটা কী শৌভিকের সাথে সংসার করতে চাইবে? ভাবনা গুলো একটার পর আরেকটা মাথায় কেমন জট পাকিয়ে যাচ্ছে। এত ভাবতে ভাবতে সুমিত্রার পাগল পাগল লাগছে। সেই ছোটবেলার মতো ইচ্ছেমতো শৌভিককে পেটাতে ইচ্ছে করছে। ছেলে তো না। অসভ্য, জানোয়ার তৈরি হয়েছে একটা।

আবির, দীপ্তিকে রক্ত দিয়ে হাত ঝাড়তে ঝাড়তে বের হলো। সবাইকে দেখে, মৃদু হাসল।
তৃণারানী, আবিরের মলিণ মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। কে জানে! ছোট মেয়ের জের ধরে বড়মেয়েকে আদৌও আবিরের সাথে বিয়ে দেবে তো? দীপ্তির বাবা-মা। শৌভিকটা ছোটবেলা থেকেই মায়ের আস্কারা পেয়ে প্রচুর বেয়াদব তৈরি হয়েছে। তাই বলে, নিজের বিয়ে করা বউয়ের সাথে এতটা অমানবিক আচরণ করবে? ছিঃ..ছিঃ..
বিতৃষ্ণায় একদলা থু থু তৃণারানীর মুখে জমা হলো।

দীপ্তিকে ঘুমের ইনজেকশন পুঁশ করে বেডে দেওয়া হয়েছে। তিন-চার ঘণ্টা পর দীপ্তির জ্ঞান ফিরল। অবশ ছুটে গেছে। প্রচুর ব্যথা করছে। অসহ্য যন্ত্রণায় চোখ-মুখ খিঁচে আসছে! ধীরে ধীরে রাতের কথা মনে পড়তেই শিরদাঁড়া বেয়ে ভয়ের এক শীতল স্রোত নেমে গেল। মানুষটার সুন্দর মুখের আড়ালে, ভয়ংকর হিংস্রতা দেখেছে দীপ্তি। কেন মানুষটা দীপ্তিকে এত কষ্ট দিল?
দীপ্তি দুচোখ বুঁজে ফেলল। গাল বেয়ে দুফোঁটা নোনাজল গড়িয়ে পরল। “আপন মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে, সুখে থাকা যায় না বোধহয়!” তবে কী দিদির নীরব চোখের জলের অভিশাপ লাগল? আর এত তাড়াতাড়ি ফলেও গেল?
দীপ্তি বিড়বিড় করে বলল,
-‘দিদি রে..আমাকে তুই ক্ষমা করে দিস। বাবা-মা তোর মনে কষ্ট দিয়ে, আমার সুখ কিনতে চেয়েছিল! আমি যে কী সুখে আছি রে দিদি! ক্ষণিকের মোহে পড়েছিলাম ঠিকই। তবে এমন সুখ আমি চাইনি, বিশ্বাস কর?
লোভ, মিথ্যে অহংকার, সত্যিই একটা মানুষকে পুরো শেষ করে দেয়। শৌভিক যদি ভালোবেসে আমার কাছে আসতো! আমি ওকে আমার সবটুকু বিলিয়ে দিতাম। কিন্তু ও কেন আমাকে…
-‘আসব দীপ্তি?
দীপ্তির মুখের কথা মুখেই রয়ে গেল। দরজায় সুমিত্রাকে দেখে, তাড়াহুড়ো করে চোখের জলটুকু মুছে নিয়ে অন্যদিকে তাকাল। সুমিত্রা অবশ্য উত্তরের অপেক্ষা করল না। ধীর পায়ে হেঁটে এসে, দীপ্তির পাশে বসল৷ দীপ্তির একহাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে, বুকচিরে গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলল। অপরাধী কণ্ঠে বলল,
-‘শৌভিকের হয়ে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাকে ক্ষমা করে দিও মা।
সুমিত্রা ঝরঝর করে কেঁদে দিল। আচমকা দীপ্তির পাদুটো আঁকড়ে ধরে বলল,
-‘তোমার বাবা-মাকে এই বিষয়ে কিছু জানিও না। শৌভিকের বাবা রগচটা, রাগী মানুষ। এই ঘটনার জের ধরে যদি বিয়ের এক দিন না পেরোতেই তোমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাহলে এর প্রভাব আমার সংসারেও খুব বাজে ভাবে পড়বে মা। তুই তো আমার মেয়ের বয়সী। আমাকে আমার সংসারটা ভিক্ষা দে না মা?
সবাই স্বার্থপর। নিজেরটা গোছাতেই ব্যস্ত। দীপ্তিও তো খুব স্বার্থপরের মতোই কাজ করেছে। এখন কোন মুখে বাবার বাড়ি ফিরে যাবে দীপ্তি? মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের কতদিক সামলে চলতে হয়। এমনিতেই দিদির আগে দীপ্তির বিয়ে হয়েছে। এই নিয়ে দিদিকে কত কটুকথা শুনতে হয়। এখন যদি দীপ্তি সংসার না করে বাপের বাড়ি চলে যায়! তাহলে তো দিদির আর কখনো ভাল ঘরে বিয়েই হবে না। দীপ্তি সিদ্ধান্ত নিল। কষ্ট হলেও কাউকে কিছুই জানাবে না দীপ্তি। অন্তত দিদির বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। সুপ্তির ভাল ঘরে বিয়ে হয়ে গেলেই দীপ্তি আর শৌভিকের সংসার করবে না। মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করল দীপ্তি।

তিনদিন হাসপাতালে থেকে চতুর্থদিন দীপ্তিকে রিলিজ দেওয়া হলো। দীপ্তির মা সুবর্নারানী বার কয়েক ফোন দিয়ে অষ্টমঙ্গলায় যাওয়ার জন্য নেমন্তন্ন দিয়েছে। দীপ্তি মায়ের সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা বললেও বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপারটা মিথ্যে বলে কাটিয়ে দিল।
ওই ঘটনার পর থেকে শৌভিকের সাথে আর দেখা হয়নি। তবুও বেহায়া মনটা চাতক পাখির মতো শৌভিককে একপলক দেখার জন্য অস্থির, দিশেহারা হয়ে আছে।
শৌভিকদের বাড়িতে এসে, সুমিত্রা নিজের ঘরে নিয়ে গেল দীপ্তিকে। দীপ্তি ভেবেছিল বাসায় এসে হয়তো একপলক শৌভিককে দেখবে! শৌভিক যেন তীর্থের কাক। বাড়িতে এসেও দেখা মিলল না। দীপ্তির ঘা অনেকটা শুকিয়েছে। তবে ব্যথা আছে। নিয়ম করে দুবেলা ড্রেসিং করতে হয়। দীপ্তি নিচু হয়ে একা একা ড্রেসিং করতে পারে না। হাসপাতালে নার্সরা ড্রেসিং করে দিতো। এখন বাড়িতে কে ড্রেসিং করে দিবে? ডাক্তার বলেছে, নিয়মিত ড্রেসিং না করলে ইনফেকশন হয়ে যাবার সম্ভবনা আছে। সুমিত্রা একটা বাক্স নিয়ে এসে দীপ্তির পাশে বসল। দীপ্তি শুয়ে ছিল। শাশুড়ীকে দেখে ধীরে ধীরে ওঠে বসল। সুমিত্রা তুলোতে বায়োডিন ভিজিয়ে, নিচু কণ্ঠে বলল,
-‘মেক্সিটা সরাও দীপ্তি? আমি ড্রেসিং করে দেই।
দীপ্তি খুব লজ্জা পেল। এবং একই সাথে অনুভব করল। যে মেয়ের বর ভাগ্য ভাল হয় না। সেই মেয়ের শাশুড়ী ভাগ্য অসম্ভব ভাল হয়। হাসপাতালেও মানুষটা ছায়ার মতো দীপ্তিকে আগলে রেখেছিল। সুমিত্রা ভরসা দিয়ে বলল,
-‘লজ্জার কিছু নেই দীপ্তি। আমি তোমার মায়ের মতো।
দীপ্তি মুখে কিছু বলল না। তবে ধীরে ধীরে মেক্সিটা তুলে দিল। সুমিত্রা একমনে ড্রেসিং করে, রাতের খাবার খাইয়ে দিল। তারপর ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে গেল দীপ্তি। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে অনুভব করল। এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে একটা হাত, দীপ্তির হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছে। পাশেই সুমিত্রা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
দীপ্তিকে নাড়াচাড়া করতে দেখে শৌভিক ফোনের লাইট নিজের মুখে ধরল। অসময়ে শৌভিককে দেখে, পিলে চমকে উঠল দীপ্তির। হায়, মানুষটা এই কয়দিনে কেমন শুকিয়ে একটুখানি হয়ে গেছে। গালে অযত্নে দাড়ি গজিয়েছে। মুখটা খুব মলিণ। দীপ্তি ধীরে ধীরে ওঠে বসল। তবে শৌভিককে দেখে আগের মতো আর উচ্ছ্বাস কাজ করল না। গাঢ় কণ্ঠে বলল,
-‘কী চাই?
শৌভিক মাথা নিচু করে ফেলল। দীপ্তির কাছে আর কিছুই চাওয়ার নেই শৌভিকের। ফুলসজ্জার রাতে এমন একটা কাণ্ড ঘটিয়েছিল শৌভিক। প্রতিটা সেকেন্ডে মনে হলেই অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে যায় শৌভিক। বাবার কড়া নির্দেশ। দীপ্তিকে ডিস্টার্ব করা যাবে না। এই বাড়িতে দীপ্তি, দীপ্তির মতো থাকবে। শৌভিক, শৌভিকের মতো। কিন্তু শৌভিকের মন তো মানে না। শৌভিক খুব করে চায়, দীপ্তি, শৌভিকের আশেপাশে থাকুক। সেই আগের মতো শৌভিককে দেখে লজ্জা পাক, বুক দুরুদুরু করুক। মন থেকে ভালোবাসুক। মানুষের সব চাওয়া বোধহয় পূর্ণতা পায় না। শৌভিক বুকচিরে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। তখনো দীপ্তির একটা হাত শৌভিকের মুঠোর মধ্যিখানে ধরে রাখা। বলল,
-‘ঘরে চলো দীপ্তি?
দীপ্তি একটুও ভয় পেল না। লাইটের আলোটা ঘুরিয়ে ধরে শৌভিকের চোখে চোখ রাখল। তারপর কেমন করে যেন হাসল দীপ্তি। ঠাণ্ডা কণ্ঠে বলল,
-‘ওই ঘরে নিয়ে কী করবেন? সেদিনের মতো রেপড করবেন?
শৌভিক দুচোখ বুঁজে ফেলল। মুখটা শুকিয়ে একটুখানি হয়ে গেল। অস্ফুট স্বরে বলল,
-‘দীপ্তি?
-‘ভুল বললাম কিছু? স্যরি। আমি এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ নই। আমার শরীরটা পেতে হলে, আর কিছুদিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।
-‘অপমান করছো?
দীপ্তি অবাক হবার ভাণ করে বলল,
-‘অপমান? তাও আবার আপনাকে? এত সাহস আছে না কী আমার?
-‘দীপ্তি আমার মাথা গরম করে দিও না। প্লিজ ঘরে চলো?
-‘বললাম তো আমি এখনো সুস্থ হইনি।
শৌভিক নিচু কণ্ঠে বলল,
-‘তুমি যা ভাবছো! আমি তার জন্য ডাকিনি।
-‘তাহলে কিসের জন্য ডেকেছেন? আপনার হাত-পা টিপে দিতে হবে?
-‘দীপ্তি..?
শৌভিক আচমকা দীপ্তিকে কোলে তুলে নিল। দীপ্তির গা জ্বালানো কথা শৌভিকের সহ্য হচ্ছে না। দীপ্তি ছটফটিয়ে উঠল। শৌভিকের বুকে মৃদু কিল, ঘুষি দিয়ে, অধৈর্য হয়ে, রাগী কণ্ঠে বলল,
-‘ছাড়ুন? ছাড়ুন আমাকে? আমি কিন্তু চিৎকার করব এখন?
শৌভিক, দীপ্তিকে কোলে নিয়ে নিজের ঘরে যেতে যেতে বলল,
-‘করো চিৎকার? দেখি কেমন তেজ তোমার? বাট.. আই ডোন্ট কেয়ার।

(চলবে)