দ্বিতীয় বসন্ত পর্ব-১৮

0
112

#দ্বিতীয়_বসন্ত
#লেখা_Bobita_Ray
পর্ব- ১৮

আবির, সুপ্তিকে জোর করে বুকের ভেতর চেপে ধরল। মাথায় চুমু খেয়ে, ব্যাকুল হয়ে বলল,
-‘তুমি এমন করছো কেন সুপ্তি? বাড়ি তো অবশ্যই যাবে তুমি। বড়বোন হিসাবে দীপ্তির পাশে থাকা তোমার দায়িত্ব।
সুপ্তি ফুঁপিয়ে উঠল। আবিরের বাহুডোর থেকে নিজেকে প্রাণপনে ছাড়িয়ে নিতে চাইল! আফসোস, আবিরের পুরুষালি শক্তির সাথে পেরে উঠল না। সুপ্তি, আবিরের শার্টে চোখের জল মুছে, কণ্ঠে তাচ্ছিল্য ফুটিয়ে বলল,
-‘এখন তো খুব দায়িত্ব বোধ শিখাচ্ছেন আমাকে। তাহলে এই কথাগুলো আমাকে আগে বলেননি কেন? অন্তত আমাদের বিয়ের পরেও তো বলতে পারতেন? ইশ..শয়তানটা না জানি, বন্ধ ঘরে আমার বোনের সাথে কত অত্যাচার করেছে।
আবির অধৈর্য হয়ে বলল,
-‘কী করে বলতাম সুপ্তি? যেখানে দীপ্তিই তোমাদের কাউকে কিছু জানায়নি। ও কেন এত কষ্ট, এত যন্ত্রণা মুখ বুঁজে সহ্য করল?
এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর সুপ্তির কাছে নেই। সুপ্তি অভিমানে বুঁজে আসা কণ্ঠে বলল,
-‘দেখি ছাড়ুন আমাকে?
-‘ছাড়ব। আগে বলো, ভুল বুঝে আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে না?
-‘সেটা সময় বলে দেবে।
আবির মরিয়া হয়ে বলল,
-‘সময় না..তোমাকেই বলতে হবে সুপ্তি।
-‘ছাড়ুন তো। আমার অসহ্য লাগছে।

দুজন গাড়িতে পাশাপাশি বসল। কারো মুখেই কথা নেই। আবির বার বার সুপ্তির বিষণ্ণ, মলিণ মুখপানে তাকাচ্ছে। সুপ্তি ভুলেও আবিরের দিকে চোখ তুলে তাকাচ্ছে না। গভীর মনোযোগ দিয়ে কী যেন ভাবছে, আর থেকে থেকে শাড়ির আঁচল দিয়ে, চোখের জল মুছছে।
নীরবতা ভেঙ্গে সারাটা রাস্তা। আবির কত কথা বলে গেল! সুপ্তিকে সহজ করতে চাইল! সুপ্তির মুখে ভুলেও একটা কথা ফুটলো না। যেন কুলুপ এঁটেছে মুখে। আবির বুকচিরে গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলল। আবিরের কপালে বেশিদিন সুখ সহ্য হয় না কেন, কে জানে! সুপ্তিকে, আবির এতদিন ম্যাচিউর মেয়েই ভাবতো। ওর ভেতরের অবুঝ পনা, অহেতুক জেদ, কথা না বলা, কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না আবির। সুপ্তির নির্লিপ্ততা কিছুতেই সহ্য হচ্ছে না। হৃদয় পুড়ছে। হৃদয় পোড়া ঘ্রাণ যদি সুপ্তিকে অনুভব করাতে পারতো আবির। সুপ্তি কিছুতেই দূরে বসে থাকতে পারতো না। আবিরকে জাপ্টে ধরে, আদরে আদরে ভরিয়ে দিতো। আবিরের এত কষ্ট হচ্ছে কেন, কে জানে! একটু কাঁদতে পারলে বোধহয় মনটা হালকা হতো। চোখদুটো কাঁদতে না পারার যন্ত্রণায় লাল টকটক করছে। বার বার ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভুলেও চোখ দিয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পরল না। বুকের ভেতর অসহ্য দহন দিয়ে আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে দীর্ঘ পথটুকু অবশেষে শেষ হলো। সুপ্তি গাড়ি থেকে নেমে, সৌজন্যেতা রক্ষা করতে, শুধু একবার বলল,
-‘বাড়ির ভেতরে চলুন?
আবিরের ভেতরটা গুমোট বাঁধা কষ্টে নীল হয়ে গেছে। অস্ফুট স্বরে বলল,
-‘আজ না।
সুপ্তি আর কিছু বলল না। এক প্রকার দৌঁড়ে লোহার গেইট পেরিয়ে বাড়ির ভেতর চলে গেল। সুপ্তি কী আবিরকে অধিকার খাঁটিয়ে আর একটিবার বলতে পারতো না?
-‘কেন যাবেন না? চলুন বলছি? আপনাকে আমার সাথে যেতেই হবে।
তাহলে কী আবির এখানে বসে থাকতে পারতো? পারতো না। ঠিকই সুপ্তির পিছুপিছু চলে যেতো। আবিরের গাড়িটা ধীরে ধীরে স্বর্ণছেড়ার স্কুল, বাজার, সরু রাস্তা পেরিয়ে, বড় রাস্তায় উঠে পড়ল। পেছনে একা ফেলে গেল আবিরের শখের নারীকে।

অসময়ে সুপ্তিকে দেখে, সুর্বনারানী বেশ অবাক হলো। বলল,
-‘তুই?
-‘দীপ্তি কোথায় মা?
সুর্বনারানী উঁকিঝুঁকি দিয়ে বলল,
-‘তোর সাথে আর কেউ আসেনি?
সুপ্তি মিনমিন করে বলল,
-‘তোমাদের জামাই নামিয়ে দিয়ে গেছে। দীপ্তিকে দেখছি না। ও কোথায়?
-‘ও ঘরে। শুয়ে আছে।
সুপ্তি গুটিগুটি পায়ে, দীপ্তির ঘরে চলে গেল। দীপ্তি এই অবেলায় ঘর অন্ধকার করে শুয়ে আছে। সুপ্তি লাইট জ্বেলে দিল না। নিঃশব্দে দীপ্তির পাশে গিয়ে বসল। জানালার ফাঁক গলে আবছায়া আলোতে দীপ্তিকে অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সুপ্তি, দীপ্তির কপালে হাত রাখল। কপালে স্নেহের স্পর্শ অনুভব করে দীপ্তি ডুকরে কেঁদে উঠল। অস্ফুট স্বরে বলল,
-‘দিদিরে…তুই এসেছিস?
সুপ্তিরও দুচোখ ভিজে উঠল৷ দীপ্তিকে আলতো করে ধরে উঠিয়ে দিয়ে, দুইবোন একে, অপরকে জড়িয়ে ধরে, আকুল হয়ে, অঝরে কাঁদতে লাগল।
ততক্ষণে সুর্বনারানীও দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে। শাড়ির আঁচল দিয়ে, চোখের জল মুছে, ঘরের লাইট জ্বেলে দিল।
সুপ্তি, দীপ্তিকে ছেড়ে, দীপ্তির মুখপানে তাকাতেই ভয়ে আঁতকে উঠল। ইশ.. জানোয়ারটা তার আদরের বোনের এ কী হাল করেছে? দীপ্তি বলল,
-‘জামাইবাবু আসেনি?
সুপ্তি উদাস হয়ে বলল,
-‘সে এসে কী করবে?
-‘এভাবে বলছিস কেন দিদি?
-‘তুই এত কষ্টে আছিস। একবারও আমাদের কেন বলিসনি দীপ্তি?
সুর্বনারানী বলল,
-‘ তোর সুখের কথা ভেবে বলেনি।
সুপ্তি অবাক হয়ে বলল,
-‘এসব কী বলছো তুমি?
-‘আমি ঠিকই বলছি সুপ্তি। ও যদি বিয়ের পরদিনই বরের সংসার না করে, আমাদের বাড়ি চলে আসতো। এত ভাল ঘরে তোর জীবনেও বিয়ে হতো না। গ্রাম অঞ্চলে এসব ঘটনা কত তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পরে। তুই তো জানিসই।
দীপ্তি বলল,
-‘চুপ করো মা। এসব কথা এখন থাক! এই দিদি? তুই আবার জামাইবাবুর সাথে রাগারাগি করে আসিসনি তো?
সুপ্তি অন্যদিকে তাকিয়ে বুকচিরে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। বলল,
-‘সেও তো আমাকে একবার সত্যিটা বলতে পারতো? ও কেন লুকিয়ে গেল?
-‘বোকার মতো কথা বলিস না দিদি। বেচারা ভাল মানুষ। যেখানে আমিই তোদের কাছে সত্যিটা লুকিয়ে গেছি। সেখানে ওনি আগ বাড়িয়ে তোকে কী বলবে? এতে তো পরিস্থিতি আরও বেশি ঘোলাটে হয়ে যেতো। তাছাড়া শৌভিককে প্রথমবার আমি মন থেকেই ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। আসলে এসব কিছুই না। অভিশাপ লেগেছে। বুঝলি দিদি? মা তোর বাবার রেখে যাওয়া টাকা দিয়ে, তোর বিয়ে ভাঙা ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিয়েছে! জেনেশুনে এতবড় পাপ করেও সুখে থাকা যায় বুঝি? আর আমিও কেমন বোকা দ্যাখ? মায়ের কথায় প্রবাহিত হয়ে, তোকে রিজেক্ট করা পাত্রকে বিয়ে করে নিয়েছি। ভাগ্যিস..শৌভিকের সাথে তোর বিয়েটা হয়নি। তাহলে তোর জীবনটাও একদম নরক বানিয়ে ছেড়ে দিতো। কথায় আছে না! যা হয় ভালোর জন্যেই হয়।
বরের উপর অভিমান করেছিস ভাল কথা। মনে রাগ পুষে শুধু শুধু ওই ভাল মানুষটাকে কষ্ট দিস না দিদি।
সুপ্তি চোখদুটো বন্ধ করে ফেলল। আবিরের ক্লান্তি জড়ানো নিদ্রাহীন, রক্তলাল, বিষণ্ণ চোখদুটো চোখের পাতায় ভেসে উঠতেই মনে মনে ছটফটিয়ে উঠল সুপ্তি। হায়..মানুষটাকে তখন না চাইতেও অনেক বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছে সুপ্তি। সেদিন পার্কে বসে, শাশুড়ীমায়ের কথাগুলোও মনে লাগাতার বাজলো। আর ভেতরে ভেতরে অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে গেল সুপ্তি। সত্যিই তো এখানে মানুষটার কোন দোষ নেই। তাহলে সুপ্তি কেন মানুষটাকে শুধু শুধু ভুল বুঝে কষ্ট দিল? মানুষটা শৌভিকের দাদা বলে?
সুপ্তি চোখের জল মুছে উঠে গেল। ব্যাগ থেকে ফোন বের করে আবিরের নাম্বারে বার কয়েক ফোন দিল। আবিরের ফোন বন্ধ।
শাশুড়ীমাকে ফোন দিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠল সুপ্তি। ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলল,
-‘আমার ভুল হয়ে গেছে মা। আমি আপনার কথা রাখতে পারিনি। ওই মানুষটাকে আবারও কষ্ট দিয়ে ফেলেছি। ও কী পৌঁছেছে মা? ওর ফোন বন্ধ কেন?
সুপ্তি কাঁদতে কাঁদতে গড়গড় করে কত কথা বলে গেল। তৃণারানী সুপ্তির কথার আগা-মাথা বুঝল না। শুধু বলল,
-‘আবির কোথায়? ও তো এখনো বাসায় ফিরেনি?
ভয়ের এক শীতল স্রোত সুপ্তির শরীরে বয়ে গেল। এখনো বাসায় যায়নি মানে? এতক্ষণ তো বাসায় চলে যাওয়ার কথা। কোন বিপদ হলো না তো আবার? আবিরের কিছু হলে, সুপ্তি মরেই যাবে। সুপ্তি দৌঁড়ে ঠাকুরঘরে চলে গেল। ঠাকুরের সামনে মাথা ঠেকিয়ে, কাঁদতে কাঁদতে বলল,
-‘মানুষটা যেখানেই থাকুক। ভাল থাকে, সুস্থ থাকে যেন। তুমি তাকে দেখে রেখো ঠাকুর।

সন্ধ্যে সাতটার দিকে, শৌভিকের বাবা-মা, শৌভিক, দীপ্তিদের বাসায় এলো। সুর্বনারানী আজ আর পাত পেরে খাওয়ানোর জন্য অস্থির হলো না। শুধু ওনাদের সামনে চা-বিস্কুট দিল। তারা চায়ের কাপ ছুঁয়েও দেখল না। নিজের ছেলের অপকর্মের জন্য শৌভিকের বাবার মাথা লজ্জায় কাটা যাচ্ছে। এরা যদি এখন বাজে ভাষায় অপমানও করে দেয়। তবুও পাল্টা অপমান করার কোন অপশন রাখেনি। তার অপদার্থ ছেলেটা। সুপ্তি ওদের সামনে এলো না। শুধু মায়ের হাত ধরে দীপ্তি এসে, ওনাদের মুখোমুখি চেয়ার পেতে বসল। নিহারবাবুও মেয়ের পাশে, মেয়েকে আগলে ধরে দাঁড়িয়ে রইল। ঘরে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে। দীপ্তির মা প্রথমে নীরবতা ভেঙ্গে কথা বলল,
-‘আপনাদের অপদার্থ ছেলে, আমার একরত্তি মেয়ের সাথে যে অন্যায় করেছে। আমার মেয়ের জায়গায় অন্যকেউ হলে, এতক্ষণ আপনার ছেলে জেলে থাকতো। কিন্তু আপনার ছেলেকে জেলে দিয়েও বা কী হবে? টাকার জোরে ঠিকই ছাড়া পেয়ে যাবে। শুধু শুধু উকিলের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমাদের জুতা ক্ষয় হবে। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে বাশি মুখে বিচার দিলাম। তিনি যদি সত্যি হয়ে থাকে। তাহলে আপনার ছেলের কঠিন শাস্তি হবে। যাইহোক এতবড় ঘটনার পরও আমি আর আমার মেয়েকে ওই বাড়িতে সংসার করতে পাঠাবো না। যদি ভাল মানুষের বাচ্চা হয়ে থাকেন, বিয়েতে যা যা দিয়েছি, সব ফেরত দিয়ে যাবেন। আর আমরা আপোষে, লিখিতভাবে ওদের ছাড়াছাড়ি করিয়ে দেব।
শৌভিকের মা হঠাৎ দীপ্তির হাতটা শক্ত করে চেপে ধরল। বলল,
-‘আমার ছেলেকে শেষ একবার সুযোগ দেওয়া যায় না মা?
দীপ্তি ধীর কণ্ঠে বলল,
-‘আপনার ছেলের হাতে, আমার মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?
শৌভিকের মা আঁতকে উঠল। আর কিছু বলার সাহস পেল না। এই মেয়েকে যতটা বোকা, ভীতু ভেবেছিল। মেয়েটা আসলে ততটাও বোকা বা ভীতু নয়।
শৌভিকের বাবাকে দেখে, শৌভিক খুব ভয় পায়। বাবার সামনে মাথা গোঁজ করে বসে বসে অপমান হজম করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। তবে শৌভিক যে এতবড় একটা কাণ্ড ঘটিয়েছে। ওর ভেতরে কোন শোক-তাপ নেই। উল্টো দরজার ফাঁকে সুপ্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, মনটাই ভাল হয়ে গেছে। এই মেয়েটাকে শৌভিকের যে কোন মূল্যে লাগবে। কী এমন বিশেষত্ব লুকিয়ে আছে? এই মেয়েটার মাঝে?
আর কিছুমাস কিংবা একবছর দাঁতে দাঁত চেপে ধৈর্য ধরবে শৌভিক। তারপর সুপ্তিকে সারাজীবনের জন্য আপন করে নেবে। দাবার গুটি খুব হিসাব করে চালতে হবে। একটু এদিক-সেদিক হলেই সব শেষ। আপাতত দীপ্তিকে নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। দীপ্তি মরে যাক। শৌভিকের কিছুই যায় আসে না। শৌভিকের যত ভাবনা, ধ্যাণ-জ্ঞান সুপ্তিকে নিয়ে। একদিন শৌভিকের মনের বাসনা অবশ্যই পূরণ হবে। পূরণ হতেই হবে। শৌভিকের মন জানে! বাবা ফাঁকা বুলি ছেড়েছে। কোন বাবা-মা তার একমাত্র সন্তানের ভুলের জন্য তাকে ত্যাজ্যপুত্র করবে না। হয়তো সামরিক রাগ থেকেই কথাটা বলেছে। আস্তে আস্তে সবকিছু ঠিক হবে যাবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র!
দীপ্তির শ্বশুর-শাশুড়ী অপমানিত হয়ে চলে গেল। যাওয়ার আগে শৌভিক চট করে সুপ্তির ঘরে ঢুকে গেল। সুপ্তির গায়ে ওড়না নেই। শৌভিককে দেখে, সুপ্তি চট করে গায়ে ওড়না জড়িয়ে নিল। অতিরিক্ত লজ্জায় সারা গা কাটা দিয়ে উঠল। শৌভিক লোভাতুর দৃষ্টিতে সুপ্তির বুকের দিকে তাকিয়ে গাঢ় কণ্ঠে বলল,
-‘রেডি থেকো প্রিয়তমা। খুব শীঘ্রই তোমায় আমি তুলে নিয়ে যাব।
সুপ্তির ভয়ে অন্তঃআত্মা পর্যন্ত কেঁপে উঠল। মুখ ফুটে কিছু বলার আগেই শৌভিক ঘর থেকে ঝড়ের গতিতে বেড়িয়ে গেল।

(চলবে)