ধরিয়া রাখিও সোহাগে আদরে পর্ব-২৪ এবং শেষ পর্ব

0
350

#ধরিয়া_রাখিও_সোহাগে_আদরে
#লেখনীতে_জেনিফা_চৌধুরী
#পর্ব_চব্বিশ [প্রথম খন্ডের সমাপ্তি]

“আমার পুরো জীবনটাই তো মিথ্যা হয়ে গেল, বাবা। আমার শৈশব, আমার কৈশোর আমি এক খু°নীকে বাবা বলে জেনে এসেছি। কতশত বার স্নেহ, ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরেছি। কান্না লুকাতে বাবার বুক খুঁজে নিয়েছি। ছিহ! আমার ঘৃণা হচ্ছে। সব মিথ্যা মনে হচ্ছে৷ ও বাবা! বাবা! আমি এত যন্ত্রণা কিভাবে সইব? আর তোমার মেহরিশ? আমার বোনটা তো এসব জানতে পারলে ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে৷ মেয়েটা সারাজীব শুধু ভেঙেই গেল।”
বলতে বলতে হাউমাউ করে কাঁদছে মেহনূর। আবির সাহেবও বুক ভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কি বলবেন তিনি? কোন ভাষা প্রয়োগ করে মেয়েটাকে স্বান্তনা দেওয়া যায়? এখন নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। কেন মেয়েদের দেখার ইচ্ছে পোষণ করলেন? তিনি বেঁচে আছেন এই খবরটা বোধহয় কেউ না জানলেই ভালো হতো। মেয়ে গুলো সুখ কেড়ে নেওয়ার জন্য ভীষণ অনুতাপের ঝড় বইছে মনে। আবির সাহেব ফোঁপাতে ফোপাঁতে বলে উঠলেন,
“আমার বোধহয় ম°রে যাওয়াই ভালো ছিল রে, মা। আমি কেন বেঁচে থাকলাম। আমি না বাঁচলে তো তোরা সত্যিটা জানতি না। এত কষ্টও পেতে হতো না।”
মেহনূর চমকিত স্বরে বলল,
“বাবা, কি বলছো তুমি? একটা খু°নীকে আমরা বাবা বলে সারাজীবন আদর, স্নেহে ভালোবেসে যেতাম এটা তোমার কাছে ঠিক মনে হচ্ছে? তাহলে তো আমরাও অপরাধী হয়ে যেতাম, বাবা। বাবা, সত্য কখনো চাপা থাকে না। সত্য যতই কঠিন হোক না কেন জীবনের শেষ মুহূর্তে হলেও তা প্রকাশ পাবেই।”
আবির সাহেব পুনরায় বলে উঠলেন,
“আমি মেহরিশকে কি জবাব দিব?”
মেহনূর কান্না চেপে বলে উঠল,
“বাবা, আপুর সেসব কিছু মনে নেই। সব হারিয়ে ফেলছ। সব ভুলে গেছে।”
আবির সাহেব চমকালেন। বললেন,
“কি বলছিস?”
মেহনূর আবির সাহেবকে সেদিনের পরের ঘটনার পর থেকে সবটুকু খুলে বলল। সাথে সায়র আর মুন্নাও মাঝে মাঝে বুঝিয়ে বলল। সব শুনে আবির সাহেব পুনরায় বাচ্চা ছেলের মতো কেঁদে উঠলেন। বললেন,
“নিলু! আমার নীলিমা…!”
আর বলতে পারলেন না। কান্নায় ভেঙে পড়লেন। সায়র এবার মুখ খুলল৷ বলল,
“আংকেল, সব মিথ্যা, ভন্ডামির মুখোশ খোলার সময় এসে পড়েছে। আপনি শুধু শক্ত থাকুন।”


মেহরিশ নীলিমা বেগমের সামনে বসে আছে। নীলিমা বেগমের চোখে, মুখে ভয়৷ কি জবাব দিবেন মেয়েকে? মেহরিশ কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করল,
“মা, মেহনূর কেন তোমার গায়ে কলঙ্ক লেপ্টে দিল? কেন বাবাকে অস্বীকার করল? কেন?”
নীলিমা বেগম কাঁদছেন। বললেন,
“আমি জানি না।”
মেহরিশ মানল না। জোর খাটিয়ে বলল,
“আমি মানি না। তুমি সব জানো। সব জানো তুমি। আজ তোমাকে সব সত্য বলতে হবে, মা।”
নীলিমা বেগম মেয়ের জেদের কাছে হার মানলেন। কিছু বলার জন্য মুখ খুলবেন তার আগেই রুমে প্রবেশ করলেন সাবির সাহেব৷ বলে উঠলেন,
“আমি বলছি সব।”
নীলিমা বেগম সাবির সাহেবের কণ্ঠস্বর শুনেই কেঁপে উঠলেন। পাখির মতো পাখা ঝাপটে ভয়ে মেহরিশকে বুকে টেনে নিলেন। জড়িয়ে ধরলেন শক্ত করে। চোখ জোড়া বড় বড় করে তাকালেন সাবির সাহেবের দিকে। মেহরিশ কিছু বুঝতে পারল না। সাবিরকে বলে উঠল,
“বাবা, তুমি এখানে? তোমার তো আজ আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার কথা…।”
সাবির হাসল। মেহরিশ সে হাসির রহস্য বুঝতে পারল না। সাবির এগিয়ে এসে মেহরিশের পাশে বসল। মেহরিশের মাথায় হাত রেখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে একবার নীলিমা বেগমের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলল। নীলিমা বেগম ভয়ে জুবুথুবু হয়ে আছেন। সাবির সাহেব বললেন,
“আজ আমি তোকে সব বলব। এখন যা খুশি জিজ্ঞেস কর। উত্তর আমি দিব।”
নীলিমা বেগম বাঁধা দিয়ে বললেন,
“আমার মেয়েকে যা বুঝানোর আমি বুঝিয়ে দিব। তুমি যাও। তোমার দেরি হয়ে যাচ্ছে তো।”
সাবির হেসে জবাব দিলেন,
“ কখনো না পৌঁছানোর থেকে একটু দেরিতে পৌঁছানো হাজার গুণ ভালো।”
মেহরিশ মায়ের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বলে উঠল,
“বাবা! তুমি কি সত্যিই আমাদের বাবা? আমার অজানা সত্যগুলো আমি জানতে চাই।”
সাবির সাহেব হেসে ফেললেন শব্দ করে। বলে উঠলেন,
“সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে তোকে একটা ছবি দেখাই। ফ্যামিলি ফটো যাকে বলে।”
কথাটা বলে তার ফোন থেকে একটা ছবি বের করে মেহরিশের সামনে ধরতেই মেহরিশ চারশো বিশ ভোল্টের শক খেল। মাথা মুহূর্তে ঘুরতে শুরু করল। ছবিতে একই চেহারার দুজন ব্যক্তিকে দেখে মেহরিশ এক সেকেন্ডে বুঝে গেল ছবিতে থাকা ব্যক্তি দুজন জমজ ভাই। তাদের মধ্যে একজন হয়তো আবির সাহেব। কিন্তু কোনটা আবির সাহেব? মেহরিশ প্রশ্নোত্তর চোখে সাবির সাহেবের দিকে তাকাতেই সাবির সাহেব হাসলেন। বলে উঠলেন,
“নিজের বাবাকে চিনতে পারছিস না?”
মেহরিশের কেন যেন কান্না আসছে। সত্যিই তো নিজের বাবাকে চিনতে পারছে না? কেমন মেয়ে ও? নীলিমা এবার প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলে উঠলেন,
“তুমিই তো ওর বাবা৷ মেয়েটাকে শুধু শুধু কেন কনফিউজড করছো? মেহরিশ মা, আমি তোকে বলছি ক…।”
নীলিমা বেগমের কথা শেষ করার আগেই সাবির সাহেব বলে উঠলেন,
“আজ আমি বলব। সব আমি বলব।”
“বলো, বাবা। আমি শুনব। সব শুনব।”
নীলিমা বেগমের বুক কাঁপছে। আজ কোনো অঘটন ঘটবে। হয়তো কেউ এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবে, নয়তো হারিয়ে যাওয়া কেউ ফিরে আসবে। মন বলছে কিছু হবে। যা অকল্পনীয়। সাবির সাহেব কিছুক্ষণ থম মে°রে বসে রইলেন। মেহরিশ তৃষ্ণার্ত কাকের ন্যায় চেয়ে আছে সাবির সাহেবের দিকে। সাবির সাহেব নিরবতা কাটিয়ে বলে উঠলেন,
“আমি সাবির। আবির আমার ভাই।”
কথাটা মেহরিশের কানে যেতেই মেহরিশ খাট থেকে লাফিয়ে নেমে পড়ল। বিস্ময়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে ভুলে গেল৷ নীলিমা বেগমের চোখ থেকে টপাটপ পানি পড়ছে। সাবির পুনরায় বলে উঠল,
“আনায়াকে আমি কিডন্যাপ করিয়েছিলাম।”
মেহরিশের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল মনে হয়। মেহরিশ যেন কথা বলতে ভুলে গেল। বুকের ভেতরটা হাহাকার করে উঠল। কান্না গুলো নিমিশেই জট পাঁকিয়ে গেল। তবুও কোনরকমে জিজ্ঞেস করল,
“ক.ক.ক.কি বলছো, বাবা?”
নীলিমা এবার চিৎকার করে বলে উঠলেন,
“যা বলছে ঠিক বলছে। এই লোকটা তোর বাবা না। ও কারোর বাবা হতে পারে না। ও বাবা নামে কলঙ্ক। আমার থেকে স্বামী, সংসার, সুখ সব কেড়ে নিয়েছে।”
সাবির এবার নীলিমার হাত ধরলেন। নীলিমা ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য জোর করতেই সাবির সাহেব বলে উঠলেন,
“১৮বছর তো অনেক জোর করলে পারলে নিজের সম্মান, সুখ, সংসার বাঁচিয়ে রাখতে? তাহলে বৃথা জোর কেন খাটাচ্ছো নিলু?”
মেহরিশ শুধু নিষ্প্রাণ, নিস্তব্ধ চোখে দেখছে সবটা। সাবির সাহেব এবার মেহরিশের উদ্দেশ্যে বলল,
“তুই যা জানার আজকেই জেনে নে। শেষ দিন ফাসির আসামীকেও মন খুলে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। আর সেখানে তুই তো আমার প্রিয় শত্রু।”
মেহরিশের মাথা ঘুরতে শুরু করল। চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসতে লাগল। এর মধ্যে কানে ভেসে আসল আনায়ার কান্না। মেহরিশের হুশ আসল। রুমে যাওয়ার জন্য পেছন ঘুরতেই দেখল আনায়া একজন অপরিচিত ব্যক্তির কোলে। মানুষটাকে মেহরিশ চিনেনা। মেহরিশ কাঁপা-কাঁপি স্বরে জিজ্ঞেস করল,
“কে আপনি? আমার আনায়াকে আমার কোলে দিন।”
ব্যক্তিটি এবার পকেট থেকে একটা রিভলবার বের করল মেহরিশের দিকে তাঁক করে বলল,
“আপনি এক পা এগুলো, বন্দুকের একটা গুলি খরচ হয়ে যাবে।”
মেহরিশ ডুঁকরে কেঁদে উঠল। সাবির সাহেবের দিকে তাকিয়ে অসহায় বাক্যে উচ্চারণ করতে লাগল,
“বাবা, আমার মেয়েকে আমার কোলে দিতে বলো। প্লিজ, বাবা। ও ভয় পাচ্ছে। ও বাবা, বাবা। আমার কষ্ট হচ্ছে। দম আটকে আসছে। মাথা যন্ত্রণা করছে। তুমি তো আমার কষ্ট সহ্য করতে পারো না। আমার কষ্টটা একটু কমিয়ে দাও না, বাবা। আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দাও না। তুমি একবার হাত বুলিয়ে দিলে আমার কষ্ট কমে যাবে। বাবা।”
মেহরিশ আর কিছু বলতে পারল না। গলা আটকে আসতে লাগল। শরীর অবশ হয়ে আসছে। ধপ করে নিচে বসে পডল। নীলিমা দৌড়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই সাবির সাহেব আটকে দিলেন। বলে উঠলেন,
“তোমার সাথে এতদিন সংসার করতে আমারো গা ঘিনঘিন করেছে। তবুও তোমাকে সহ্য করেছি শুধুমাত্র একটা কারণে…।”
নীলিমা বেগম ভয়ে ঢোক গিললেন। প্রশ্ন করার সাহস পেলেন না। কারণ এর উত্তরটা তিনি জানেন। সাবির সাহেব পুনরায় বলে উঠলেন,
“পরকিয়ার শাস্তি এভাবেই পেতে হয়, নিলু। কাউকে ঠকানোর শাস্তি সরুপ এভাবেই ধুঁকে ধুঁকে ম°রতে হয়। একজনকে ভালোবেসে, তার মন ভেঙে অন্যজনের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া মা**দের জন্য যারা সত্যিকারের ভালোবাসে তারা দিনশেষে হেরে যায়।”
মেহরিশ আর সহ্য করতে পারল না। দুই হাতে কান চেপে চিৎকার করে উঠল। বলল,
“তোমরা এসব বন্ধ করো। আমি সহ্য করতে পারছি না। আমার কষ্ট হচ্ছে।”
সাবির এবার গলা ছেড়ে কাউকে বলে উঠলেন,
“এই কে আছিস বাইরে? এই উটকো ঝামেলাটাকে এক্ষুনি আমার চোখের সামনের থেকে দূর কর। বাকিটা আমি দেখে নিচ্ছি।”
বলতে বলতে দুজন পুরুষ ভেতরে ঢুকল, মুহূর্তেই এসে মেহরিশের হাত দুটো শক্ত করে বেঁধে দিল। মেহরিশ চেয়েও কিছু করতে পারল না। নীলিমা বেগম বার বার আকুতি মিনতি করে বলছেন,
“আমার ভুলের শাস্তি আমার মেয়েটাকে দিও না, প্লিজ।”
কিন্তু সাবির সাহেবের সেদিকে খেয়াল নেই। আনায়াকে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাতের ইশারা দিতেই লোকটা আনায়াকে নিয়ে বেরিয়ে গেল। মেহরিশ হাজারবার অনুরোধ করেও আটকাতে পারল না। সাবির এবার মেহরিশকে ধরে রাখা একজন ছেলেটার দিকে হাত বাড়াতেই ছেলেটা সাবির সাহেবের দিকে একটা ধারালো ছু°°ড়ি এগিয়ে দিল। মেহরিশের মুখটাও এবার বেঁধে দেওয়া হলো। ভয়ে মেহরিশের আত্না বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। সাবির ছু°°°ড়ি হাতে নিয়ে নীলিমার পেট বরাবর আঘাত বসিয়ে দিল। নীলিমা বেগম চিৎকার করার সুযোগ পেলেন না। গলগল করে রক্ত পড়া শুরু করল। ঢুলে পড়ে যেতে নিলে সাবির সাহেব আটকে রাখলেন। নীলিমা বেগমের চুলের মুঠি ধরে বলে উঠলেন,
“এই আঘাত ছিল আমাকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য।”
পরক্ষনেই আরেকবার নীলিমা বেগমের পেটে ছু°°°°ড়ি চালালেন। বলে উঠলেন,
“এটা ছিল আমার দ্বিতীয় বার আমার মোহিনীকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার জন্য।”
বলেই আরেকবার ছুড়ি চালালেন। এবার আর ধরে রাখতে পারলেন না। ছেড়ে দিলেন। নীলিমা বেগম ধপ করে মেঝেতে পড়লেন। গলা কা°°°টা মুরগীর মতো ছটফটিয়ে উঠলেন। মেহরিশ গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিলেও সেই চিৎকার বাইরে বের হলো না। চোখের সামনে মায়ের করুন অবস্থা দেখে মেহরিশ নিজেও ছটফট করতে করতে জ্ঞান হারাল…



মির্জা বাড়িতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করেও আগুন নেভানো যাচ্ছে না। বাইরে শতশত মানুষের ঢল নেমেছে। তাদের মধ্যেই আবির সাহেব, মেহনূর, আর সায়রের আহাজারি চলছে। সায়রকে কয়েকজন মিলেও ধরে রাখতে পারছেন না৷ সায়র চিৎকার করেই যাচ্ছে। এতগুলো মানুষের সাথে পেরে উঠছে না। সায়র চিৎকার করে বলছে,
“মেহরিশ! আপনি শুনতে পাচ্ছেন? আমি এখানে আছি। আপনার কোনো ভয় নেই। আমি আসছি। আমি আপনার, আনায়ার কিছু হতে দিব না। একদম ভয় পাবেন না। এই আমাকে ছাড়ুন। কি করছেন? আমাকে ধরে রাখছেন কেন? আমার বউ, বাচ্চা ভেতরে আছে। আমার বউ আমার সাথে অভিমান করেছে। আমার বউয়ের অভিমান ভাঙাতে হবে। আমাকে ছাড়ুন। প্লিজ আমাকে ছাড়ুন।”
নাহ! কেউ ছাড়ল না। চোখের সামনে সায়র নিজের স্বপ্ন, ভালোবাসা পুড়ে যেতে দেখল। যেখান থেকে শুরু হওয়ার কথা, সেখানেই শেষ হয়ে গেল…

#প্রথম খন্ডের সমাপ্তি..

[আমি ভীষণ ঝামেলায় ফেঁসে আছি। রুলস ব্রেক হচ্ছে উলটো। রোজার আগে আর নিয়মিত হওয়া সম্ভব না। তাই প্রথম খন্ডের সমাপ্তি টানলাম। শিঘ্রই ফিরব। একটা কমেন্ট করে যাবেন।]