#ধোঁয়াশার_শেষে
#আলিশা_আঞ্জুম
পর্ব ৩৯
ইউভান ধীরে ধীরে পডিয়ামে উঠে দাঁড়ায়। তার মুখে কোন বাড়তি ভাব নেই, চোখে কোন ঘোলাটে অনুভব নয়। যেন দীর্ঘ প্রস্তুতির পর এক যোদ্ধা অস্ত্র তুলে নিয়েছে তীক্ষ্ণ, ধারালো, নিঃশব্দ।এক মুহূর্ত নীরবতা ভেদ করে তার কণ্ঠ হতে বেরিয়ে আসে
“আমি শুরুতেই একটি প্রশ্ন রাখতে চাই।যাকে আপনারা একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক হিসেবে চেনেন,
যার নাম শুনলে আপনারা চোখ বন্ধ করে আস্থা রাখেন,
সে কি সত্যিই এতটা সম্মানের যোগ্য? আমি বলছি, না।
এই মানুষটি—ডঃ আরমান শাহ।সে একজন খুনির মতো নিষ্ঠুর বাবা। সে তার নিজের রক্তকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
সে দু’জন নারীর মৃত্যুর কারণ। একজন মা হয়ে ওঠার অধিকার হারিয়েছে, আরেকজন, আমার মা… নিঃশব্দে ঝরে গেছেন। আমি আজ সেই মুখোশ খুলতে এসেছি।
যাকে আপনারা আইডল ভাবেন,
আজ আমি দেখাবো, সে কেমন ভয়ংকর পিতা।”
মিডিয়া বিস্ফোরিত হলো এক তুফানে। ক্যামেরার ফ্ল্যাশ থামছে না। লাইভ সম্প্রচারে হেডলাইন ভাসছে
” বিলিয়নার ডঃ আরমান শাহকে সরাসরি অভিযুক্ত করলেন তারই সন্তান!”
“সন্তান বলল, বাবাই খুনের দায়ী!”
.
টিভির পর্দায় চলতে থাকা ইউভানের কনফারেন্স যেন বিষ ঢেলে দিচ্ছে বাতাসে। আরমান শাহ পেছনে হাঁটছেন। গলায় ঘাম, মুখে অবিশ্বাস আর ভয় একসাথে ভীড় করেছে।
“থামাও এই লাইভ! বন্ধ করো ওটা!”
তার কণ্ঠে ভর করা উত্তাপ, চিৎকার যেন ছুরি হয়ে ছুঁড়ে পড়ে দেয়ালজুড়ে।
“এই ছেলেটা আমার সব শেষ করে দেবে!”
.
টিভির পর্দা জ্বলছে। আলো কাঁপছে, ইউভানের চোখ যেন বিদ্ধ করছে জারার হৃদয়। সে চুপচাপ বসে, নিঃশব্দে ইউভানের বলা প্রতিটি শব্দ তার হাড়-মজ্জায় বয়ে নিচ্ছে।
জারা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ইউভান…
সে নিজেকে হারিয়ে দিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে—ভালোবাসার, বিশ্বাসের, রক্তের।
.
ইকরা হাতের মুঠো শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে। মূলত নিজেকে সামলানোর বৃথা চেষ্টা।তার চোখ জুড়ে অবিশ্বাস।
.
কনফারেন্স শেষ করে ইউভান বেরিয়ে আসে হোটেল থেকে। গাড়িতে চেপে সোজা চলে যায় তার বড় ফুফউর বাসায়। সেখানে ছিল আরমান শাহ নিজেও। ইউভান তার সামনে যেতেই চিৎকার দিয়ে আরমান শাহ বলেন
“তুমি কি আসলেই পদগল? মাথা খারাপ তোমার? ”
দু একটা তর্ক বিতর্ক হয়। তবে সবকিছু শেষ হয় যখন ইউভান তার বাবাকে সরাসরি বলে
” আপনি শুধু আমার রক্তেই আছেন। হৃদয়ে না।”
এমন কথা শোনার পর কোন বাবার পৃথিবী ধ্বংস হওয়া যেন অনিবার্য পরিণতি।
.
চারটা দিন কেটে গেছে সেই সাংবাদিক সম্মেলনের পর।
কিন্তু সময় যেন থেমে যায়নি বরং ছুটে গেছে টর্নেডোর মতো।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ আর নিউইয়র্ক সিটির স্পেশাল ক্রাইম ইউনিট দুই জায়গা থেকেই তদন্ত শুরু হয়।
ইউভানের তোলা অভিযোগ আর গোপন নথিপত্র একের পর এক উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে।
হসপিটালের করিডরে একদিন যারা দাঁড়িয়ে করতালি দিত, আজ তারাই মুখ ফিরিয়ে নেয়। চেম্বারে তালা পড়ে, দরজায় লাল সিল।
হাসপাতালের সিনিয়র বোর্ড সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়
“ডঃ আরমান শাহ এই প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করেছেন। তাঁর সকল পদ ও পদবি বাতিল করা হলো।”
.
সব জায়গায় প্রতিবাদ, পোস্টার
“Justice for the women he destroyed!”
“Shame on Dr. Arman Shah!”
মিডিয়া তাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।সমাজ তাকে ছুঁড়ে ফেলেছে। শিক্ষার্থীরা তার নাম মুছে দিয়েছে রেফারেন্স বইগুলো থেকে। এক সময় যাকে সবাই ‘আইডল’ বলত,
আজ কেউ উচ্চারণ করতেও ভয় পায় তার নাম।
.
সমাজে সম্মান পাওয়ার অদ্ভুদ লোভে যে অন্ধ হয়ে জীবন নষ্ট করেছিল আমাদ ও তার মায়ের। সে হিসাব যেন দ্বিগুণ হয়ে ফিরে এলো। এখন নিজের মুখটা আয়নায় দেখতেও ভয় পান আরমান শাহ। যে ইউভানের জন্য এতো কিছু? কিন্তু সত্যিই কি তা ছিল ভালোবাসা থেকে? নাকি নিজের সম্মান উঁচুতে ওঠাতে ছেলেকে হাতিয়ার করতে চেয়েছেন সবসময়। নিজের টাকা আর ক্ষমতার দাপট সবসময় মাটি থেকে তার দৃষ্টি দূরে রেখেছে।
.
সাতটা দিন পেরিয়ে গেছে।তবুও জারার ঘড়িতে সময় থমকে আছে।নীরব দেয়ালে ঝুলে থাকা ক্যালেন্ডারটা বদলায় পাতা,কিন্তু জারার বুকের ব্যথার পাতায় যোগ হয় শুধু অজস্র না বলা কথা।ইউভান চলে গেছে।কোনো কিছু না বলে।একটা শেষ বার্তাও না রেখে। দিনগুলো জারার কাটছিলো বুকে ছটফট ভাব নিয়ে। কি যে এক অসহ্য যন্ত্রণা আর কল্পনা। দরজায় কেউ টোকা দিলেই মনে হয় ইউভান এসেছে। দৃষ্টি দক্ষিণের এপার্টমেন্টে পরে থাকে। ছয়দিন এভাবে কাটলে সপ্তম দিনে বিকেলের একফালি আলো জানালার পর্দা ছুঁয়ে তার মুখে এসে পড়ে। কিন্তু অনুভব হয় না উঞ্চতা। জারা ভাবে
“যখন ইউভান দূরে যায়, বুকের ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে। আর যখন কাছে আসে, তখন সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এক অদ্ভুত দ্বিধা।”
সে ভালোবাসে, অথচ ভয় পায়। সে চায়, অথচ সরে যেতে চায়।
জারা আবার চুপচাপ ভাবে কখনো।
“হয়তো সে আর ফিরবে না।
হয়তো এই দূরত্বটাই আমাদের চিরস্থায়ী ঠিকানা হয়ে যাবে।”
আর ঠিক এই ভাবনাটাই তার চোখে জল নিয়ে আসে। আর প্রতিবারের মতোই সে নিজেকে বোঝায়
“আমি পারবো, নিশ্চয়ই পারবো…
কিন্তু… ইউভান ছাড়া প্রতিটি মুহূর্ত রঙহীন পৃথিবীর মতো লাগে। সবই যেন সাদা কালো।”
.
আজ মেঘলা আকাশের পানে তাকিয়ে মন খারাপের হাত ধরে জারা ফিরছিলো বাসায়। অনেকদিন যাওয়া হয়নি ভার্সিটিতে। পরীক্ষার ডেইট দিয়ে দিয়েছে। আজ কিছু প্রাথমিক কাজ সারতেই যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে হয়ে এলো আছরের ওয়াক্ত। ড্রাইভারটাও হুটহাট কি যে করে বসে জারা ঠাহর করতে পারে না। আকস্মিক বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরে নামিয়ে দিয়ে বলল
” ম্যাম, আমার যাওয়া বারণ। এখন আপনি একাই যান।”
অতঃপর এই অনিশ্চিত আকাশের নিচে জারাকে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এখন যদি নেমে পরে বৃষ্টি? ভাবনার মাঝেই জারা পৌঁছে গেলো বাসার গেইটের নিকট। ভাবনা ছেড়ে সামনে দৃষ্টি রাখতেই হঠাৎ আঁতকে উঠল সে। হাঁটার গতি মন্থর অলক্ষ্যে। কে যেন তাকিয়ে আছে তার পানে মুচকি হাসি ঠোঁটে নিয়ে। পকেটে গুঁজে রাখা আছে দু-হাত। এলোমেলো চুল। ঝরো হাওয়া শুরু হলো তখন। তার চোখে মুখে ঝাপটা দিলেও সে দৃঢ়। যেমন করে সে প্রতিবারই দেখে পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর দৃশ্য তার জারাকে তেমন করেই সে অপলক তাকিয়ে দেখছে আজও। গলায় অবহেলার সঙ্গে ঢিলে হয়ে ঝুলছে টাই। বাসার গেইটের সামনে তার গাড়ি দাড় করানো। সে নিউইয়র্ক থেকে ফিরে এসেই গেইটে দাড়িয়ে আছে। ঘরে ফেরেনি এখনো। হেঁটে হেঁটে ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো প্রেয়সীর নিকট ইউভান। অতঃপর জারা কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই তার মাথাটা বরাবরের মতোই বুকের মধ্যে রাখলো। জারা গুটিসুটি হয়ে গেলো। বোবা হয়ে সে অপরিকল্পিত ভাবেই অনুভব করলো ইউভানের বুকের যন্ত্রের স্পন্দন। ইউভান ধীর কন্ঠে বলল
“সরি, না বলে চলে গিয়েছিলাম।”
জারা ইউভানের বুক থেকে মাথা তুলে একটু দূরে দাড়িয়ে বলে ফেলে
” ভেবেছিলাম আপনি একেবারে চলে গেছেন। নয়তো একটা ইতি টেনেছেন আমার নাম…..”
ইউভান খপ করে জারার হাতটা ধরে। সেই বেপরোয়া ভঙ্গিতে আগপিছ না ভেবেই শক্ত করে চেপে ধরে জারার হাত বুকের বা পাশে। যেখানে যেন প্রতিটি বিটে জপ হয় ‘জারা জারা জারা’।
“আমি যতোদূরেই যাই না কেন। এটা সবসময় তোমার কাছে থাকে।”
অর্থাৎ সে বলল তার মন সবসময় যেন জারার নিকটই পরে থাকে। জারা হাতটা ছাড়িয়ে নিল। ইউভান এবার হাঁটু গেরে বসে পরে। পকেট থেকে একটা আংটির বক্স বের করে উন্মুক্ত করে ধরে জারার সামনে। মুখে বলে
“আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো। কিন্তু তোমার মধ্যে একটা দ্বিধা আছে। কিন্তু জারা, তুমি যদি বলো তুমি কলঙ্কিত তাহলে আমি বলবো তোমার কলঙ্ক উপেক্ষা করে আমি তোমাকে চাই। তুমি শুধু হাতটা বাড়িয়ে দাও। বাকিসব, সবকিছু আমি সামলে নেবো।”
জারার চোখে জল জমে। হাত দু’টো থরথর করে কাপে। জারা দ্রুত নিজের ওড়না চেপে ধরে। সে সাহস পায় না অনামিকা আঙ্গুলে ইউভানের ভালোবাসা জড়িয়ে নিতে। বুকটা ভেঙে যেতে চায় ক্রমশ। মনে হয়, ইউভান সমাজে হয়ে যাবে অনেক নিচু। তার জন্য, শুধুমাত্র তার জন্য ইউভানের একটা সুন্দর জীবনে ঝামেলা চলে আসবে। জারা আরো সাহস পায় না লজ্জার কারণে। মা বাবার কথা ভেবে। ইউভান এই মুহূর্তে মাথা নিচু করে ফেলে। জারার থেকে সারা না আসায় সে একাই জারার হাতটা নিয়ে বা হাতের আঙ্গুলে আংটি বসিয়ে দেয়। অতঃপর উঠে দাড়িয়ে বলে
“এমন একদিন আমি নিয়ে আসবো জারা, যেদিন তুমি সব ভুলে আমাকে নিজ থেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলবে ভালোবাসি।”
কথাটা বলেই জারার মুখটা উঁচু করে ধরে অশ্রু মুছে দেয়। অতঃপর গাড়ি থেকে একশো একটা লাল গোলাপের তোরা এনে ধরিয়ে দেয় জারার হাতে। আরো আনে একটা বেলি ফুলের গাজরা। ষাট টাকার গাজরা সে কিনেছে হাজার টাকা দিয়ে। তবুও এক প্রকার নিলামে উঠিয়ে। একটাই ছিল। আরো একটা ছেলে এসে দাবি করেছিল সে নেবে। যাই হোক সেখানে ছোট খাটো একটা ঝামেলা পার করে সে জয় করেছে এটা। ইউভান বোঝে না কেন তার জারাকে ঘিরেই এতো নজর সবার? কেন সহজ নয় সবকিছু? সে চাইবে আর জিতে নেবে তার প্রেয়সীকে। কেন যে বাগড়া আসে। এসে শুধু ইউভানের প্রেমের কিছু মুহূর্ত জীবন থেকে ছিনিয়ে নেয়। একটু বেশি বেশি প্রেম করতে পারতো সে।
জারার চুলগুলো ছিল উন্মুক্ত। মাথায় হালকা করে ওড়না পেঁচিয়ে রাখা ছিল। ইউভান ওড়না সরিয়ে নিজের গলা থেকে টাই খুলে ফেলল এক টানে। অতঃপর সেই দিনের মতো করে… যেদিন জারা ঘিয়া রঙের শাড়ির সঙ্গে মাথায় পেরেছিল বেলি ফুলের মালা ওমন করে পরিয়ে দিতে চাইলো। টাইয়ের সঙ্গে অপটুভাবে কিন্তু নিশ্চয়ই খুব যত্নের সঙ্গে মালা গুট দিলো। অতঃপর জীবনের সবটুকু ধৈর্য নিয়ে জারার চুল মুঠোয় নিলো। তারপর রয়ে সয়ে টাই দিয়ে বেধে দিল চুল। সঙ্গে রইলো বেলি ফুল। দেখতে চমৎকার না হলেও খারাপ হলে না। বেশ আদুরে হলো। জারার ছোট ছোট কাটা চুলগুলো… সেগুলো ইউভান প্রথম প্রথম তার হাতের আঙ্গুলে পেঁচিয়ে নিতে সেগুলো এনে রাখলো গালের কাছে। বড্ড মিষ্টি লাগছিল তখন জারাকে। ইউভান হাসলো নিশ্বব্দে। তার হাসিতে ছিল অজস্র খুশি, আনন্দ। সে একসময় হুট করে একটা নিশ্বাস ছেড়ে বুকে হাত রেখে বলল
” একদিন নিউজ হবে, জারার সৌন্দর্যে ইউভান খুন। প্লিজ তুমি বিয়ের দিন বেশি সাজবে না জারা, আমি বাসর করার আগেই তাহলে মারা যাবো।”
জারার ঠোঁটে অবশেষে হালকা হাসি ফুটে ওঠে। ইউভান তাকিয়ে দেখে সে হাসি। তার কিছুক্ষণ পর গাঢ় কন্ঠে আশ্বাস দিয়ে বলে
” আমি তোমার কোন অসম্মান চাইবো না। তোমার মা বাবার সম্মতিতেই আমাদের বিয়ে হবে। খুব শীঘ্রই। তুমি শুধু ইউভানের ঘরে আসার জন্য প্রস্তুতি নাও।”
এরপর ইউভান জারাকে বাসার মেইন গেট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে নিজে হাঁটতে লাগলো তার এপার্টমেন্টের দিকে। মুখে জমে অদ্ভুত এক অভিব্যাক্তি। সে বলেছিল দুই দিনের মাথায় জারাকে বিয়ে করবে৷ কিন্তু হঠাৎ একটা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি আসার দরুন তা সম্ভব হলো না। কিন্তু এবার? সবই হবে ইউভানের ইশারায়। তার পরিকল্পনা মাফিক।
.
জারার মা অফিস ডেস্কে বসে ফাইলগুলো একে একে যাচাই করছিলেন।হঠাৎ একটি কাগজে চোখ আটকে গেল।
সরল কিছু লিগ্যাল কাগজ মনে হলো।
“বিবাহ-অনুমতিপত্র” লেখা ছিল ছোট হরফে।
নামগুলোও চোখে পড়েনি ঠিকঠাক, তাড়াহুড়োতেই নিজের অফিসিয়াল সিল মেরে সই করে দেন। ঠিক এমন সময় কাচের দরজা খুলে যায়। ধীর পা, গাঢ় চোখে দৃঢ়তা, আর ঠোঁটে এক চিলতে নির্ভীক হাসি নিয়ে ইউভান ভেতরে ঢোকে। সঙ্গে সঙ্গে তার উপস্থিতিতে ঘরের বাতাস খানিক ভারী হয়ে ওঠে।
জারার মা চমকে তাকান
“তুমি? এখানে?”
ইউভান শান্ত গলায় বলে,
“আন্টি নয়, এখন আপনাকে ‘শ্বাশুড়ি মা’ বললে মনে হয় বেশি মানানসই হয়।”
চলবে……