নরপিচাশ ফুফি পর্ব-০১

0
1070

#নরপিচাশ_ফুফি
#পর্ব_১
#লেখক_আরিয়ান
( কপি সম্পূর্ণ নিষেধ

——আম্মু ফুপি আমার প্রতি রাতে ঘুমানোর সময় হিসু করার জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে ব্যথা দেয়। ফুফি বলে এ জায়গায় নাকি আঙ্গুল দিলে অনেক ভালো লাগবে।

কিন্তূ আমি অনেক ব্যথা পায় 🥲
-ফুফি আরো বলে তোমাকে চকলেট আইসক্রিম কিনে দেবো। ফুফি রাতে মোবাইলে কি যেন ভিডিও দেখে আর আমাকে অনেক চুম্মা দেয়। ফুফি চুম্মা দিলে একটু ভালো লাগে যে আমাকে আদর করে চুম্মা দিতাছে।

-কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আমার ওই হিসু করার জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে অনেক ব্যথা দেয়।

আমি অনেক কান্না করি তারপরও ফুপি জোর করে দিতে থাকে। ফুফি বলে আম্মু লক্ষ্মী কিছু হবে না একটু সহ্য করো। কিন্তু আমি কান্নায় ছটফট করতে থাকি।

“আমি প্রথমে আমার মেয়ে তনুর কথা বিশ্বাস করিনা।
হয়তোবা আমার মেয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারে কারণ ফুফির সাথে না ঘুমানোর জন্য তনুর বয়স সবে মাত্র ছয় বছর পড়েছে। এখনো বাচ্চা কিন্তু কিছুটা বুঝে আর এই জন্য ওর ফুফির সাথে রাত্রে থাকতে বলি।
আমাদের রুম টোটাল তিনটা এটাতে আমার শশুর শাশুড়ি আর একটাতে আমরা স্বামী-স্ত্রী। এবং আরেকটাতে আমার ননদ থাকে।



“যেহেতু তনু বড় হয়ে গেছে এই কারণে আমাদের সাথে আর ঘুমাতে নেওয়া হয় না। এজন্য ওর ফুপির রুমে ঘুমাতে বলি। আমার ননদ এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিল। মোটামুটি ছাত্রী হিসেবে অনেক ভালো আর আমার ননদ এর নাম তামান্না।

“আমার মেয়ে তনুর এই ভয়ানক কথা শুনে আমার কিছুতেই আর ভালো লাগছে না। আমার মেয়েটা হয়তোবা সত্যি কথা বলতে পারে। কারণ এর আগে কখনো এই কথা বলে নাই। যখন বলছিল তখন তনুর চোখ দিয়ে টলমল করে পানি পড়তে লাগলো।

আমাকে বারবার বলে আম্মু আমি আর ফুফির কাছে ঘুমাতে যাবো না। তুমি যদি আমাকে মারো কাটো তবু আমি যাব না। আমি তখন বললাম আমার আম্মা ঠিক আছে তোমাকে যেতে হবে না। এই কথা শুনে আমার মেয়ের তনু এত খুশি হল। সে বলতে থাকলো কি মজা কি মজা আমার আম্মু কত লক্ষী।


।—————
এ কথাটা নিজের মধ্যে আর চেপে রাখলাম না আমার স্বামী আরিয়ান কে বললাম । এ কথাটা শুনে আরিয়ান যেন আকাশ থেকে ওপরে পড়ে উঠলো।
আরিয়ান তখন বলল অন্তরা তুমি কি ঠিক বলছো?
অন্তরা বলল হ্যাঁ দেখো মেয়েটা সত্যি বলেছে এই কথাটা। আর ও তো বাচ্চা মানুষ হত কখন মিথ্যা কথা বলবে না।

*****আরিয়ান তখন বলল আমি কিছুতে বিশ্বাস করতে পারছি না অন্তরা। কিভাবে বিশ্বাস করবো বলো আমার বোন সবসময় হিজাব হয়ে থাকে। কারো সাথে কথা বলতে দেখি না। সময় মতন কলেজে যাই এবং বাসায় ফিরে ঠিক মতন।

—তখনই অন্তরা বলল আচ্ছা ঠিক আছে তোমার বিশ্বাস করতে হবে না আমি তোমাকে প্রমাণ করে দেবো।
আমার এই ছোট্ট মেয়ে কখনো মিথ্যা কথা বলতে পারে না এইটুকু আমার বিশ্বাস আছে।
আচ্ছা অন্তরা তুমি এই বিষয়টা নিয়ে কারো কাছে কিছু বইলো না। এটা একটা খুবই লজ্জাজনক কথা এটা যদি বাড়ির বাইরে কেউ জেনে যায়। তাহলে আমাদের মান সম্মানটা নিয়ে টানাটানি হয়ে যাবে!!

#চলবে