নরপিচাশ ফুফি পর্ব-০৩

0
1312

#নরপিচাশ_ফুফি
#পর্ব_৩
#লেখক_আরিয়ান

ঠিক আজকে রাতেও আমার মেয়ের তনুকে বুঝিয়ে ওর ফুফির সাথে ঘুমাতে বললাম। ছোট্ট মেয়ের তনু সে কিছুতেই যেতে চাইল না। অঝোরে কান্না করতে লাগলো বলল আম্মু আমি যাব না ফুফুর সাথে ঘুমাতে। তুমি প্লিজ আমাকে জোর করো না। প্রয়োজনে আমি নিচে ঘুমাতে রাজি আছি তবু আমি ফুফির সাথে ঘুমাতে যেতে পারবো না।

তনু এত আর্তনাদ ভাবে বলতে লাগলো আমি কিছুতেই মানতে পারছি না। কারণ এর শেষ আমার দেখতে হবে কেন আমার মেয়ের সাথে এই ধরনের কাজটা আমার ননদ তামান্না করেন।

ওই সময় আমার স্বামী আরিয়ান ছিল সে আমাকে বলল জোর করছো কেন মেয়ে তনু যেতে চাচ্ছে না বাদ দাও।।

আমি বললাম আজকে হয়তোবা আমার মেয়ের তনুর সাথে এ কাজটা করতেছে কিন্তু সমাজে এমনও আরো মানুষ আছে। ওইসব ছোট্ট বাচ্চা তাদের মায়ের সাথে এবং বাবার সাথে এই কষ্টের কথাগুলো শেয়ার করতে পারেন না।

ধন্যবাদ জানাই আমার ছোট্ট মেয়ের তনুকে সে তার কষ্টের কথাগুলো আমার সাথে শেয়ার করেছে।
তবে আরিয়ান যতই যাই বলো আমি এর শেষ না দেখে আমার ভিতরে কোন শান্ত আসবে না।

তুমি বুঝতে পারছ না কেন অন্তরা তনু যেতে চাচ্ছেনা তাকে জোর করোনা প্লিজ।
তুমি চিন্তা করো না আজকে এর শেষ বের করেই ছাড়বো আমি।

আমি তনুকে বুঝিয়ে অনেক কষ্টে রাজি করালাম ওর ফুফির সাথে ঘুমানোর জন্য কিন্তু আমার মেয়েটা এতটা কান্না করতেছে।
এই নরপিচাশ ননদ আমার কি পরিমাণ ব্যথা দিয়েছে। সেটা সহ্য করতে পারছেন আমার মেয়ের তনু।
তার কথা শুনলেই আমার মেয়ে চিৎকার করে কান্না করতে থাকে।

আমার মেয়ে তনু বলে আম্মু আমি যখন প্রস্রাব করতে যায় আমার প্রচুর জ্বালাপোড়া করে।
ছিঃ এই কথাটা শোনার আগে আমার মৃত্যু হলো না কেন আমারই ননদ এতটা জঘন্য খারাপ হতে পারে। সেটা ভাবলেই কেমন নিজেকে তুচ্ছ মনে হচ্ছে।

যেই ননদ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে পর্দা করে তার ভিতরে এতটা শয়*তানি বুদ্ধি কিভাবে আসে।
আর এমন জঘন্য কাজটা কিভাবে করতে পারে সেটা কখনোই ভাবতে পারছিনা।

এগুলো যখন মনে পড়ছে মনে হচ্ছে আমার ননদকে এখনই যাইয়া খু**ন করে আসি। এতোটুক একটা ছোট্ট মেয়ের সাথে এই কাজটা কিভাবে করতে পারে।
একটিও বিবেকে বাধা দিল না। আচ্ছা ঠিক আছে মানলাম মানুষের যৌব*ন জ্বালা থাকতে পারে।
তাই বলে এত ছোট্ট বাচ্চার সাথে কিভাবে করতে পারে।

তাও আবার তার ভাইয়ের মেয়ে। ভাইয়ের মেয়ে মানে নিজের মেয়ের মতনই হয়। এটা যদি তার নিজের মেয়ে হতো এই কাজটা কি সে করতে পারতো?

আমার স্বামী তার নিজের বোন বলে হয়তোবা সে গা ঢাকা দিচ্ছে। কিন্তু মনে মনে নিজে নিজে কি বলতেছে। অনেক রেগে আছে আমার স্বামী আরিয়ান।
হয়তোবা প্রকাশ করতে পারছে না কারণ তারই নিজের বোন।
আর নিজের বোনের এই কথাটা কিভাবে বলতে পারে।

এজন্য বারবার বলতেছে অন্তরা এগুলো বাদ দাও। হয়তোবা তামান্না ছোট মানুষ ভুল করে করে ফেলেছে।
আরিয়ান তুমি কি বলছ ও ছোট্ট কিভাবে হয় তামান্না যথেষ্ট অ্যাডাল্ট। আর সে জেনে শুনে এ কাজটা করতেছে।

তুমি যতই বলো আমি এর শেষ দেখবোই।

এই বলে আমার মেয়েকে যখন ওর কাছে ঘুমাতে নিয়ে যাব তখনই আমার শাশুড়ি আম্মা। ডাক দিল পিছন থেকে বৌমা তোমাদের রুমে দেখলাম চিল্লাচিল্লি হচ্ছে?
কোন কিছু হয়েছে নাকি একটু বলবা?
না আম্মা কিছু হয় নাই এমনি আপনার ছেলে অন্য বিষয় নিয়ে আমার সাথে একটু কথা কাটাকাটি করছিলেন।
আচ্ছা আম্মা আপনার কিছু লাগবে নাকি বলবেন?
হে আমার কিছু লাগতো আমি পানের বাটা টা খুজে
এই লেখাটা লেখক একমাত্র আরিয়ান তার রিয়েল পেজ 👉 নিস্তব্ধ শহরツ সম্পূর্ণ পর্ব পেতে আশা করি সবাই ফলো করে পাশে থাকবেন।

পাচ্ছি না একটু পানের বাটা আইনা দিবা?
আমি তখন তনুকে বললাম তুমি আমাদের রুমে চলে যাও। কিছুক্ষণ তোমার বাবার সাথে থাকো।
আমি তোমার দাদি আমাকে কিছু পান এনে দিয়ে তারপরে তোমার কাছে আসছি।

পানের বাটা আনতে যাইয়া দেখি তামান্না তার নিজের রুমে বসে ঠিক যেন মোবাইল কি দেখছে।
আমার ভিতরে রাগী এমনভাবে বিস্মিত হতে লাগলো।
কারন সে আমার ননদ আমি কিছু বলতেও পারি না। সরাসরি যদি কিছু বলি আমার শাশুড়ি এবং আমার জামাই অনেক কিছু বলতে পারে।

এজন্য নিজের রাগ নিজে কন্ট্রোল করতে লাগলাম।
পানের বাটা আনার সময় তামান্না আমাকে দেখে বলল ভাবী তনু কি আজকে আমার সাথে তনু কি ঘুমাবে না?
আমি বললাম!!!!

#চলবে