#নরপিচাশ_ফুফি
#পর্ব _৮ এবং শেষ
#লেখক_আরিয়ান
ডক্টর তখন বললেন আচ্ছা ঠিক আছে আপনাদের মেয়ে আপনারা নিজে যেতে পারেন সমস্যা নেই। কিন্তু অতিরিক্ত কোন প্রেসার দিবেন না। এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয় নাই। কিছুদিন বিশ্রাম এর খুবই প্রয়োজন যেহেতু এতবড় একটা অপারেশন করা হয়েছে।
আমার জীবনে এমন অপারেশন কোনদিন করি নাই এই প্রথম করলাম।
দোয়া করি যেন অতি দ্রুত তনু সুস্থ হয়ে সবার মাঝে ফিরে আসুক।
তারপরে আরিয়ান রিসিপশনে গেল তনুর ছাড়পত্র নিয়ে আসলো এবং বাড়িতে রওনা হলো। বাড়িতে রওনা হওয়ার পূর্বে অন্তরাকে বললেন তার শাশুড়ি বৌমা একটা কল দিবে তামান্নাকে?
অন্তরা তখন বলল আমরা তো এখনই বাসায় যাচ্ছি ওনার কারণে কেন কল দেবো?
একটা কল দাও তামান্না এখন কোথায় আছে?
ওর সাথে আমার অনেক কিছু হিসাব বাকি আছে।
অন্তরা তখন বললেন আম্মা আপনি চুপ থাকেন আমরা সবাই বাসায় যাই তারপরে কি করা হয় এর অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
আম্মা তখন রেগে বললেন তোমার কিছু করা লাগবে না।যা করার আমি করবো যেহেতু আমার মেয়ে।
এত বড় বেয়াদব কোথা থেকে হয়েছে এগুলো আমার অবশ্যই জানতে হবে।
অন্তরা তার সাথে কথা বললেন না। শুধু বললেন আপনার যেটা ভালো মনে হয় সেটা করবেন।
কিন্তু এর বিচার অবশ্যই হয় যেন আম্মা।
এদিকে আরিয়ান বলে আম্মা অবশ্যই এর একটা কঠোর বিচার করতে হবে। আজকে হয়তোবা আমাদের ফ্যামিলিতে এই ধরনের একটা সিনক্রিয়েট ঘটনা হয়েছে। যদি এই কাজটা অন্য কারো সাথে করতো তাহলে আমাদের মান সম্মানটা কোথায় যেত একবার ভেবে দেখেছো?
হ্যা আরিয়ান তুমি কোন টেনশন করো না বাবা অবশ্য এর বিচার আমি করব।
এদিকে অন্তরা কিছু বলতে পারছে না যেহেতু তার শাশুড়ি তার থেকেও রেগে আছে।
অন্তরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতেছে তার শাশুড়ি কি বিচার করেন। এই বলে আমরা সবাই হসপিটাল থেকে বাড়িতে রওনা দিলাম।
বাড়িতে এসে দেখতে পেলাম তামান্না একইভাবে ফোন নিয়ে ব্যস্ত।
আম্মা রুমে ঢুকতেই তামান্নার এ অবস্থা দেখে সরাসরি তার রুমে ঢুকে গেল।
ঢুকে যাওয়ার পরেই তামান্না কে কিছু না জিজ্ঞাসা করে ঠাস ঠাস করে গালি মুখে থাপ্পর মারতে লাগলো। তারপর মারতে মারতে বলতে লাগলো তোর মতন কু*লাঙ্গার সন্তান আমি কিভাবে পেট ধরেছিলাম। আজকে তুই কার সাথে কি করেছিস জানিস?
তামান্না সব বুঝতে পেরেছে তার ঘটনাটা হয়তোবা সবাই জেনে গিয়েছে।
এই জন্য তামান্না কোন কথা বলতেছে না। এদিকে অন্তরাও বলছে তোমাকে আমি ছোট বোনের মতন করে দেখতাম। তুমি কেন এত বড় স*র্বনাশটা আমার সাথে করলে?
তোমার কি ক্ষতি করে ছিলাম তামানা বলতে পারো?
শুধুমাত্র তোমার কারনে আমার মেয়ে আজকে এই মৃত্যু শয্যা থেকে বেঁচে আসলো।
ঠিকই বেঁচে আসলো কিন্তু আমার এই ছোট্ট মেয়েটা কখনো আর মা হতে পারবেনা। ডক্টর এই কথাটা বলেছেন।
অন্তরাও রাগ আর সামলাতে পারল না সেও দুই গালে দুইটা থাপ্পড় মারল। শাশুড়ি বলতেছে মারো বৌমা মারো। ওর এত বড় সাহস কোথা থেকে হয়েছিল আমার আদরের নাতনির সাথে এই কাজটা করল কিভাবে? তামান্না তখন বলল আসলে আমি বুঝতে পারিনি এই জিনিসটা এতদূর হবে। আমি সত্যিই অনেক বড় ভুল করেছি। আমাকে তোমরা মেরে ফেলো!!
আমার এই আদরের ভাস্তির সাথে এ কাজটা আমার করা ঠিক হয় নাই। আমি সত্যি অনুতপ্ত। আরিয়ান তখন বলল তোকে দুধ কলা দিয়ে কা*লসা**প পুসেছিলাম। তোর জন্য কি করি নাই বল?
এসব ঘটনা সব তনুর সামনে হচ্ছে তনু তখন বলল তোমরা আর মাইরো না ফুফি কে প্লিজ।
তখন তার দাদীমা বললেন তুই চুপ কর তনু। তামান্না এখনই এই বাড়ি থেকে বের হবে আমি আর কোন কথা শুনতে পাচ্ছি না।
কোথায় যাবে আর কি করবে আমি এটাও জানিনা। এখন থেকে ভুলে যাব আমার কোন মেয়ে নাই। এটাই আমার শেষ সিদ্ধান্ত।
আমার নাতনি কে যে এত বড় সর্বনাশ করেছে আমি তাকে দেখতে চাচ্ছি না।
আরিয়ান- তামান্না কে এখনি এই বাড়ি থেকে বের হতে বল।
আরিয়ান আর কোনো কথা বলছে না যতই অন্যায় করুক তারই তো ছোট বোন।
আরো অনেক আগে থেকে তার বাবা স্টক করে বাসায় পড়েছিল। তখন থেকে এই সংসারে দায়িত্ব আরিয়ানের ছিল।
তাই আরিয়ান চুপ হয়ে থাকল। তনু এরই মাঝে বলতে লাগলো তোমরা যদি ফুপিকে বের করে দাও তাহলে আমিও কখন বাসা থেকে চলে যাব। তোমরা কিন্তু কেউ বুঝতে পারবে না।
ফুফি তার ভুল স্বীকার করেছে। তাকে তো সবাই তোমরা মারছো এবং অনেক কষ্ট দিলে।
তখনই অন্তরা বলল তুমি ছোট মানুষ তনু এসব নিয়ে কথা বলো না। তোমার কত বড় ক্ষতি করেছে তুমি হয়তো জানো না।
তনুর একই কথা ফুপিকে যেন বাড়ি থেকে বের করে না দেয়।
তখনই আরিয়ানের আম্মা বললেন দেখ তামান্না এই ছোট্ট মেয়েটার ক্ষতি করেছিস অথচ সেই মেয়ে তোর সাপোর্ট করতেছে।
এই বলে আর সবাই না বলেই তোমাকে রুমে নিয়ে যায় এবংআরিয়ান,অন্তরা এবং শাসড়ি একটা সিদ্ধান্ত নিতে লাগল। অন্তরা শাশুড়ি বললো তামান্না কি আর পড়ানো যাবে না ওর জন্য একটা ছেলে দেখ। এ কথাটা আরিয়ান কে বলতে লাগলো।
আরিয়ান এ কথা শুনে তারই বন্ধুর ছোট ভাই আছে।
বন্ধুকে বললেন আমাদের বাড়িতে তোর ছোট ভাইকে নিয়ে আয়।
ছেলে পক্ষে সবাই এসে তামান্না কে দেখল,।
দেখে মোটামুটি পছন্দ হয়েছে এবং বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে ফেলল।
বিয়ের কিছুদিন পরে তামান্না বাড়িতে আসে এসে সবার পা ধরে মাফ চাই এবং তনু কে জড়িয়ে কান্না করতে লাগলো। তামান্না বলতে লাগলেন, আমার লক্ষ্মী আম্মু তোমার সাথে আমি অনেক খারাপ আচরণ করেছি তুমি আমাকে মাফ করে দিও।
তখন তনু বলল তুমি তো আমার ছোট আম্মু মনে করি কখনো ফুপি মনে করতাম না।
তামান্না তখন বলল আমার পাগ*লি মেয়েটা।
এই গল্পে একটা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, উপযুক্ত আপনার কোন মেয়ে অথবা বোন থাকে ঘরেতে দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেবেন।
আর অবশ্যই আপনার মেয়ে অথবা বোন কোথায় যাচ্ছে কি করতেছে মোবাইলে কি করতেছে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
আরেকটা কথা সবাইকে বলব পর্ন ভিডিও থেকে সবাই সাবধান। এটা একটা স্বাভাবিক মানুষকে খারাপ করতে সময় লাগে না।
আজকে যেমন ছোট্ট মেয়েটা তনুর সাথে হয়েছে। কালকে আপনার বাড়িতে প্রাপ্ত এমন কোন বোন অথবা মেয়ে থাকে তাদের সাথে এমন ঘটনা ঘটতে সময় লাগবে না।!
#সমাপ্তি