#নারকেল_ফুলের_মালা
#ফারহানা_কবীর_মানাল
৭.
তিন্নি মেঝেতে বসে আছে। হাত পা এদিক-ওদিক ছড়ানো। বসেছে স্থবির ভঙ্গিতে। তার শরীর চলছে না। বারবার করে দোয়া কালাম পড়ার চেষ্টা করছে। পারছে না। এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সে যতদূর জানে সূরা কেরাত পড়লে জ্বিন শ’য়’তা’ন ভয়ে পালায়, মানুষ শ’য়’তা’ন পালায় না। সরিফাও পালাবেন না। এখন তিনি নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছেন। বইপত্র খুলে নিয়ে বসেছেন। খানিক বাদে বাদে উদ্ভট সুরে চিৎকার করে উঠছেন।
তিন্নি বলল, “আমায় ছেড়ে দেন আম্মা।”
সরিফা একটু থমকে গেলেন। অন্যরকম গলায় বললেন, “এখনও আম্মা বলতে ইচ্ছে করছে?”
“করছে আম্মা। জীবনে যা-ই হয়ে যাক সম্পর্ক কখনো বদলায় না। আগেও আপনি আমার শ্বাশুড়ি ছিলেন, এখনও তাই আছেন। ভবিষ্যতেও তাই থাকবেন। যদি আমার মৃ’ত্যুর খবর লোকেরা জানতে পারে তখনও আপনি আমার শাশুড়ি থাকবেন। সংবাদের হেড লাইন হবে– শাশুড়ির হাতে বউয়ের খু’ন।”
“মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোমার? এসব কী বলছ?”
“আমি খুব সত্যি কথা বলছি আম্মা। এখানে একটুও মিথ্যে নেই। আপনি কী অস্বীকার করতে পারবেন যে আমি আপনার ছেলের বউ না?”
সরিফা চুপ করে রইলেন। তিন্নি বলল, “বলুন আম্মা। আপনি কী অস্বীকার করতে পারবেন? আপনি অস্বীকার করতে পারবেন কি-না জানি না, তবে আমি এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য যে আপনি একজন ভালো শাশুড়ি ছিলেন। যে কখনো তার ছেলের বউয়ের উপর অ’ত্যা’চা’র করেনি।”
সরিফা এবারও কোন কথা বললেন না। ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলেন। মৃ’ত্যু’ভ’য় খুব ভয়ংকর। মৃ’ত্যুর আগে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কী বলছে না বলছে বুঝতে পারে না। তিন্নির কী তেমন কিছু হয়েছে? নিশ্চয়ই হয়েছে। না হলে সে এমন সব কথা বলবে কেন?
তিন্নি বলল, “আমায় কথায় বিব্রত হবেন না আম্মা। ম’রার আগে কাউকে না কাউকে শেষ কথাগুলো বলে যেতে ইচ্ছে করে। এখানে আপনি ছাড়া আর কেউই নেই। তাই যা বলার আপনাকেই বলছি।”
“ওহ আচ্ছা! তাই? তা বলো। শুনি তোমার আর কী কথা বলার আছে।”
“আপনার ছেলেকে আমি খুব ভালোবাসি আম্মা। সে আমার জীবনের প্রথম প্রেম ছিল৷ হুট করে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসায় কতটা অবাক হয়েছি জানি না তবে খুব ভালো লেগেছিল। মনে হয়েছিল– সে আমাকে ভালোবাসে। অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে হবে এ কথা মানতে পারেনি। তাই এমন করে বসেছে৷ সত্যিই তাকে আমি খুব ভালোবাসি। সে যদি চাইত আমি ম’রে যাই। তাহলে তার সুখের জন্য ম’রে যেতাম।”
তিন্নি একটু থামল। পরক্ষণেই শান্ত গলায় বলল, “জানেন আম্মা, আপনার গলায় খুব ছোট্ট একটা তিল ফুটেছে। দেখেছেন আপনি? তিলটা খুব সুন্দর। আপনাকে খুব ভালো মানিয়েছে আম্মা।”
সরিফা ভ্রু কুঁচকে ফেললেন। কথার ফাঁকে তিন্নি অনেকটা পেছনে সরে গিয়েছে। সরিফা বললেন, “তুমি খুব চালাক মেয়ে। তবে এই সস্তা বুদ্ধি তোমার কোন কাজে আসবে না।”
“কখন কোন বুদ্ধি কাজে আসবে সে কথা কেউ জানে না।”
“তুমি যার অপেক্ষায় সময় নষ্ট করছ সে আসবে না। সদর দরজা লাগানো। বাড়িতে ঢোকার অন্য পথ নেই।”
সরিফা জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজালেন। সামান্য হেসে বললেন, “আমার সময় নষ্ট করতে চাইছ? তাতেও কোন লাভ নেই। কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের পর সারারাতই কাজের জন্য উপযোগী।”
তার হাসি খুব বিশ্রী দেখাল। ভালো লাগল না দেখতে। তিন্নি শুকনো ঢোক গিলে এদিক-ওদিক তাকাতে লাগল। এই মুহূর্তে ছুটে চলে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। নাকি হবে? সরিফা মেয়ে মানুষ। সে-ও তাই৷ গায়ের বল তারও কিছু কম নেই। তবে এই মহিলার অদ্ভুত শক্তি আছে। কী সেই শক্তি? সত্যিই কী তার কোন শক্তি আছে নাকি সবকিছু মিথ্যে? সে কিছু বুঝল না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।
সরিফার হাতে ছু’রি। ধা’রা’লো ছু’রি। চকচক করছে। সবেমাত্র ধা’র করিয়ে নেওয়া হয়েছে। মোমের আলোতে ছু’রিটাকে বেশ চমৎকার দেখাচ্ছে। তিনি ঠোঁট কামড়ে হাসলেন। অন্যরকম গলায় বললেন, “তৈরি হও মেয়ে। তোমার সময় শেষ।”
তিন্নি হয়তো কিছু শুনল না। দেখল না। জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল। তার সকল ইন্দ্রিয় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। শরীর অসম্ভব ক্লান্ত। ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসছে। ইচ্ছে করছে এখানে ঘুমিয়ে পড়ে। মনে হচ্ছে সে জেগে আছে হাজার বছর ধরে। এই ঘরে ফ্যান ঝুলানো আছে। তবে সেটি এই মুহূর্তে বন্ধ। ঘর জুড়ে পিনপতন নীরবতা। সরিফা তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছেন। তিন্নি নিষ্প্রাণ দৃষ্টিতে তার দিকে এক পলক তাকাল। সরিফা বললেন, “ম’রার জন্য তৈরি হও মেয়ে। আশা করি তোমার এই উৎসর্গ বৃথা যাবে না।”
বরফ শীতল কন্ঠস্বর। শুনলে গায়ে কাঁ’টা দেয় শিরদাঁড়ার ভেতর থেকে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়।
আকরাম সাহেবের ঘুম ভাঙল পানির ঝাপটায়। তিনি ধড়ফড়িয়ে উঠে চোখ কচলাতে লাগলেন। দোকানদার মবিনউদ্দিন বলল, “চাচা, আর কত ঘুমাবেন?”
“ঘুমিয়ে পড়েছিলেন নাকি?”
মবিনউদ্দিন ভ্রু কুঁচকে ফেলল। লোকটাকে দেখে পা’গ’ল মনে হয় না। শক্ত-পোক্ত চেহারা, মার্জিত পোশাক। ভালো পরিবারের মানুষ বলেই মনে হয়। অথচ তার কাজকর্ম পা’গ’লের চেয়েও খারাপ। সেই কখন তার দোকানে এসেছে। এক কাপ চায়ের কথা বলে একভাবে ঘুমচ্ছে। ডাকলেও সাড়া দিচ্ছে না। আকরাম সাহেব নিজের হাতের দিকে তাকালেন। বিব্রত গলায় বললেন, “কয়টা বাজে?”
মবিনউদ্দিন বলল, “রাত একটা বাজে। দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। চলেই যাচ্ছিলাম, ভাবলাম আপনাকে ডেকে দিয়ে যাই।”
“ওহ আচ্ছা! ভালো করেছ। ধন্যবাদ তোমাকে।”
“চাচার বাড়ি কোথায়? শরীর খারাপ নাকি? এভাবে ঘুমচ্ছিলেন কেন?”
আকরাম সাহেব ফ্যালফ্যাল করে তাকালেন৷ ঠিক সেই মুহূর্তে বিদ্যুৎ চমকের মতো মনে পড়ল– তিন্নি একা আছে৷ সুমন আছে। সরিফা আছে। সরিফাকে তিনি খুব ভালো করে চেনেন। এই মহিলা লোভ সামলাতে পারে না। ওদের দু’জনকে মে’রে নিজে সব শক্তি দখল করার লোভ সে ছাড়তে পারবে না। তিনি আর দাঁড়ালেন না। দ্রুত পায়ে হাঁটতে শুরু করলেন। এই পথ তার অচেনা। এত বছরেও এদিকে আসা হয়নি। আজ চলে এসেছে? কীভাবে এসেছে? আকরাম সাহেব ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেললেন। নিঃশ্বাসের শব্দ শোনা গেল স্পষ্ট।
তিন্নি সোফায় এক কোণায় পড়ে আছে৷ গুটিসুটি মে’রে পড়ে আছে। তার চোখ-মুখে ভয় এবং ক্লান্তি। অসহায়ত্বের ছাপও আছে। সরিফা বললেন, “আমাকে এভাবে দোড় করানোর ফল ভালো হবে না। ভেবেছিলাম তোকে খুব সহজ মৃ’ত্যু দেব। কষ্ট দেব না। কিন্তু না। তুই এত ভালো ব্যবহারের যোগ্য না। গতর বেশি বলে নিজেকে আমার চেয়ে বেশি শক্তিশালী মনে করেছিস। মানুষের ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়া উচিত। তোর এই ধারণা আমি ভেঙে দেব।”
তিন্নি শুকনো ঢোক গিলল। সে এতক্ষণ গোটা বাড়িময় ছুটে বেড়িয়েছে। পালানোর রাস্তা খুঁজেছে। তবে কোন সুবিধা করতে পারেনি। ক্রমাগত ছুটতে গিয়ে সে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে তার শরীরের সব শক্তি শেষ। সে চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিলো। শান্ত গলায় বলল, “ম’র’তেই যদি হয় তবে নিজেই ম’র’ব। আপনাকে আমার মৃ’ত্যুর ফল ভোগ করতে দেব না।”
“ফল ভোগ করতে দেবে না? কী করবে তুমি?”
“আ’ত্ম’হ’ত্যা করব।”
“কীভাবে করবে? এখানে স্বেচ্ছায় কোন ম’রার উপায় নেই তোমার। দম আ’ট’কে, গলা টি’পে কোন কিছুই সাহায্য ছাড়া তুমি নিজেকে মা’র’তে পারবে না। তাই তোমার এত কষ্ট করতে হবে না।”
সরিফা এগিয়ে গেলেন। তার হাতে ধরে রাখা ছু’রিটা জ্বলজ্বল করছে। চোখ-মুখে অদ্ভুত ধরনের হিংস্রতা। তিনি তিন্নির চুলের গোছা চে’পে ধরলেন। তিন্নি চোখ বন্ধ করে ফেলল। বোধহয় মৃ’ত্যুর চেয়ে মৃ’ত্যু ভয়ই বেশি আতঙ্কের। সহ্য করা যায় না।
দপ করে জ্বলে ওঠা প্রদীপের মতো তার চোখ খুলল। দু’হাতে শক্ত করে সরিফার গলা চে’পে ধরল। কঠিন মুখে বলল, “লড়তে না জানলে বেঁচে থাকার কোন মানে নেই। আমি ম’র’লে আপনাকেও ম’র’তে হবে। নিজে নিজেকে গলা চে’পে মা’রা যায় না সত্যি। তবে অন্যকে নিশ্চয়ই যায়।”
“তুই আমার সাথে পাবরি না। আমার সাথে কালো ছায়া শক্তি আছে। তারা আমাকে তোর চেয়ে হাজার গুণ শক্তিশালী করে রেখেছে। তুই পারবি না।”
“চেষ্টা করে দেখি তো পারি কি-না।”
সরিফা হাসলেন। জড়ানো গলায় বললেন, “যা খুশি করে নে। আজ তোর কোন রেহাই নেই।”
তিন্নি তার কথার জবাব দিলো না। দোয়া কালাম পড়তে শুরু করল। মিনিট দুয়েক জোরাজুরি পর হঠাৎই সরিফা ককিয়ে উঠলেন। অস্ফুটস্বরে আর্তনাদ করে তিন্নির চুল ছেড়ে দিলেন। তিন্নি তাকাল বিস্মিত চোখে। চেহারায় অবিশ্বাসের ছাপ ফুটিয়ে রাখল। রান্নাঘরে রাখা নতুন কেনা ব’টিটা হাতে নিয়ে সুমন দাঁড়িয়ে আছে। তার চেহারা শান্ত। উত্তেজনা বা ভয়ের ছাপ নেই। চোখ দু’টো জ্বলছে শুধু। তিন্নি বলল, “এটা কী করলে সুমন? কীভাবেই বা করলে?”
“তোমাকে কেউ কখনো গরম কয়লার উপর দিয়ে হাঁটিয়েছে? অন্ধকারে ভয় পাও জানার পরেও বাক্সে ভরে রেখেছে?”
সুমন থামল। অত্যন্ত শান্ত গলায় বলল, “খুব আশা নিয়ে এই বাড়িতে এসেছিলাম। সুন্দর একটা জীবন হবে। কিন্তু এখানে আসার পর তেমন কিছুই হয়নি। ওরা আমাকে মৃ’ত্যুর চেয়েও বেশি কষ্ট দিয়েছে। আমি ওদের কাউকে বাঁ’চ’তে দেব না। যারা আমার জীবন নষ্ট করেছে, তারা সুখে থাকতে পারবে না। আমি বদলা নেব। নিয়েই ছাড়ব।”
সে চমকালো। সুমন বাচ্চা ছেলে। তবুও এত গুছিয়ে প্রশ্ন করল। কথা বলল। আশ্চর্য! সে সুমনের গায়ে হাত রাখল। গা ঠান্ডা। জ্বর নেই। তিন্নি বলল, “কেন মা’র’লে?”
“না মা’র’লে তোমাকে মে’রে ফেলত। আমি সব শুনেছি। সবকিছু দেখেছি।”
তিন্নি তার কথা বিশ্বাস করতে পারছে না। বাচ্চা ছেলে এত নিষ্ঠুরভাবে কাউকে জ’খ’ম করতে পারে না। কিন্তু সে তো করল। তিন্নি তার দিকে তাকাল। সুমন বলল, “আমি বাঁচতে চাই না। ম’রে যেতে চাই। রোজ রোজ কষ্ট পাওয়ার চেয়ে একবারে ম’রে যাওয়া ভালো।”
সরিফা অবস্থা শোচনীয়। ব্যাথায় শরীর নীল হয়ে আছে। কথা বলার শক্তিটুকুও পাচ্ছে না। ঘাড়ের ক্ষত থেকে র’ক্ত পড়ছে। শাড়ি ভিজে গেছে। এগারো বারো বছরের বাচ্চার আ’ঘা’তে এমন করে ভেঙে পড়েছে সে কথা ভাবতেই তার গা জ্ব’লে যাচ্ছে। সরিফা হাতের উপর ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াতে চাইল। সুমন সুযোগ দিলো না। ক্রমাগত আ’ঘা’ত করতে লাগল। তিন্নি তাকে থামাতে চাইল পরক্ষণেই কিছু একটা ভেবে চুপ রইল। সুমন হিংস্র পশুর মত করছে। খুব জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। যেন বহুদিনের আক্রোশ মেটাচ্ছে।
বৃষ্টি শুরু হয়েছে। খুব জোর বৃষ্টি। আকাশ ফুটো হয়ে সব পানি মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। তারা দু’জন বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তায় নামল। তিন্নি সুমনের হাত ধরে রেখেছে। এই বাড়িতে থাকা ঠিক কাজ হবে না। তিন্নি জানে খু’নের কে’সে সুমন একা ফাঁসবে না। তাকেও ফাঁসতে হবে। পৃথিবীর কোন মানুষকে সে এ কথা বিশ্বাস করাতে পারবে না যে ক্লাস ফাইভে পড়া ছেলে খু’ন করেছে। সবাই তাকেই দোষারোপ করবে। এর চেয়ে পালিয়ে যাওয়া ভালো। কিন্তু কোথায় যাবে? সে গন্তব্য ঠিক করতে পারল না। ঝড়বৃষ্টি মাথায় অন্ধকার পথ চিরে সামনে এগোতে লাগল। সুমন কোন কথা বলছে না। যেন অসাড় হয়ে গেছে। মূর্তি মতো তার হাত ধরে আছে। সে যেখানে নিচ্ছে, সেভাবেই যাচ্ছে।
আকরাম সাহেব খোলা দরজা দেখে থমকে গেলেন, চমকালেন না। চোখ-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ ফুটিয়ে ব্যস্ত পায়ে ঘরের ভেতরে ঢুকলেন। সাবধানে দরজা লাগালেন। বাতি জ্বাললেন স্বাভাবিক ভঙ্গিতে। বসার ঘরের মেঝে র’ক্তে মাখামাখি। সরিফা উল্টে পড়ে আছে। তার শরীরের অবস্থা খুব বিভৎস। তাকানো যায় না। আকরাম সাহেব র’ক্ত মাড়িয়ে সরিফার কাছে গেলেন। কব্জিতে হাত রেখে নাড়ির গতি পরীক্ষা করলেন। নিঃশ্বাস পড়ছে কি-না যাচাই করলেন। তার শরীরে এখনও প্রাণ আছে। খুব ভালো ভাগ্যের জোরে বেঁচে যেতে পারে। একটু কষ্ট করতে হবে। আকরাম সাহেব ঘড়ির দিকে তাকালেন। দু’টো পঁচিশ বাজে। তিনি শরিফার মুখে হাত রাখলেন।
চলবে।