নিকুঞ্জ কানন পর্ব-০৭

0
26

‎#নিকুঞ্জ_কানন
‎#নুজহাত_আদিবা
[‎পর্ব ৭]

‎আজ সরকারি ছুটির দিন। স্কুল, কলেজ ও অফিস সব বন্ধ। কাল রাতের অভূতপূর্ব ঘটনার পর সবারই ঘুমোতে বেশ দেরি হয়ে গেছে। ফলাফল তরী আর রুমি দুজনাই খুব দেরি করে ঘুম থেকে উঠলো। তরী প্রথমে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার বিষয়টা নিয়ে কাচুমাচু করলেও; সবাইকে স্বাভাবিক দেখে নিজেও শান্ত হলো।
‎কাল রাতে তরী পরিকল্পনা করেছিল সকালে উঠেই; আহসানের কাছে গত রাতের বিষয়টা নিয়ে ক্ষমা চাইবে। কিন্তু, নাস্তার টেবিলে মাজদাক ও আহসান কাউকেই দেখতে পেল না তরী। শোভার কাছে শুনলো আজকে নাকি গুদামে নতুন মাল আসবে। সকাল সকাল পিতা পুত্র সেখানেই গেছে।

‎শোভার সঙ্গে রান্নাবান্নার কাজ সেরে তরী বারবার আহসানের ঘরের সামনে উঁকিঝুঁকি দিতে লাগলো। লোকটা কেন এখনও আসছে না? তরীর পিছু পিছু তখনই রুমি এলো। হাতে বড়সড় একখানা দড়ি। আর বড় একটা কাঠের টুকরো। তরীর দিকে তাকিয়ে ফিচেল হেসে বললো,

‎” দোলনা খাবে ভাবী?”

‎তরী প্রথমে না বলতে চাইলো। মনোয়ারা পইপই করে বলেছিলেন ” বাড়ির বউদের এত ছোটাছুটি করতে নেই।” কিন্তু, শেষে রুমির জোরাজোরির কাছে হার মানলো। ভাবী আর ননদ দুজনে মিলে উঠোনের বড় আমগাছটার ডালে দড়ি বেঁধে দোলনা বানালো। প্রথমে তরী বসলো রুমি পেছন থেকে ধাক্কা দিলো। এরপর রুমি বসলো তরী ধাক্কা দিলো।
‎ দীর্ঘ সময় ধরে এদের দোলাদোলি পর্ব চললো। ননদ ভাবী নয় তাঁদের সম্পর্ক যেন দুই সইয়ের মতো। ঠিক তখনই বাইকের শব্দ পেয়ে তরী আহসানের উপস্থিতি অনুমান করতে পারলো। রুমিকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ঘরে নিয়ে এলো। আহসানের সঙ্গে একটু শান্ত হয়ে কথা বলাটা যে খুবই প্রয়োজন!

‎আহসান ঘরে ঢুকতেই তরী তাঁর পিছু নিলো। আহসান প্রথমে তরীকে পাত্তাই দিলো না। যেন সে চেনেই না তরীকে! যে নিজের স্বামীর স্পর্শ চেনে না। তাঁর সঙ্গে কীসের কথা? তরী মনোযোগ আর্কষনের জন্য আহসানের ঠিক সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। আহসান তখন সবে হাত থেকে ঘড়ি খুলছে। তরী হঠাৎ এভাবে সামনে আসাতে প্রথমে একটু ভরকে গেল সে! তরীর পরনে হালকা আকাশী রঙের শাড়ি। চুলগুলো তখনও হালকা ভেজা। নিজ রমনীর এই রূপ যে অবজ্ঞা করা যে ;ঠিক কতটা কঠিন আহসান আজ তা ভয়াবহ ভাবে টের পেল। আহসান তবুও নিজ কাজে অবিচল রইলো। তরীকে উপেক্ষা করে পাশ কেটে চলে যেতে রইলে তরী তাঁর হাত টেনে ধরলো।
‎আহসানের শিরদাঁড়া খাড়া হয়ে গেল। পুরো শরীরে বিদ্যুৎ এর তীব্র ঝলকানিতে কেঁপে উঠলো সে। বৈধ স্পর্শের ক্ষমতা কী এতটাই বেশি? আহসান নমনীয় হয়ে পরলো। তরীর চাহনি ভঙ্গিমা তাঁকে একপ্রকার কোমল হতে বাধ্য করলো। তরী স্বামীর ক্ষতস্থানে হাত রেখে বললো,

‎” সত্যি বলছি আমায় বিশ্বাস করুন। আমি যদি জানতাম ওটা আপনি আমি তাহলে কখনোই ওভাবে চিৎকার করতাম না। মা গল্প করতো রাতে নাকি তেনারা এসে জানালা দিয়ে ইয়া লম্বা হাত বাড়িয়ে মানুষের র’ক্ত চুষে খায়। আমি আর গুনগুন রাতে ভয়ে জানালা বন্ধ করে রাখতাম। আমি এত বড় ভুল কী করে করলাম? আপনি আমাকে ক্ষমা করুন আমি বুঝতে পারিনি।”

‎তরী মাথা নিচু করে ফেললো। বড্ড খারাপ লাগছে তাঁর। লাল হয়ে র’ক্ত জমাট বেঁধে চোট লেগে কী বাজে অবস্থা হাতটার! আহসান অভিযোগের সূরে বললো,

‎” আমার হাতে যে ব্যাথা লাগলো। আমি এখন কী করে খাবার খাবো? হাতে কিছু লাগলেই জ্বলে ওঠে; র’ক্ত বেরোয়। আজ বাইক চালাতে গিয়ে কী যে ব্যাথা হয়েছিল!”

‎তরী আহসানের হাতে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,

‎” আমি বুঝতে পারিনি। ঘাট হয়েছে আমার! আর কোনোদিন এমন ভুল হবে না। ক্ষমা করবেন না আমায়?”

‎আহসান প্রতুত্তরে বললো,

‎” এখন দুপুরের খাবার সময়। আমার হাতে তো ব্যাথা। আমি কী করে এখন খাবো?”

‎তরী নির্দ্বিধায় বললো,

‎” আমি খাইয়ে দেবো আপনাকে? আমি গুনগুনকে ভাত খাইয়ে দিতাম। আমার হাতে খাবেন?”

‎আহসানের নিকট হতে জবাব না পেয়ে তরী বললো,

‎” আচ্ছা থাক তাহলে। আপনি না চাইলে বাদ দিন। আমি বিশ্রাম নিন; আমি আসছি তাহলে।”

‎তরী চলে যাওয়ার সময় আহসান পিছু ডেকে বললো,

‎” মৌনতা যে সম্মতির লক্ষন সেকি তুমি জানো না তরী?”

‎তরীর ঠোঁটে জ্বলজ্বলে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো। দৌড়ে গিয়ে আহসানের জন্য ভাত বেড়ে নিয়ে এলো। সাথে ইলিশ মাছের দোপেয়াজা আর ডাল। অতি যত্নের সঙ্গে আহসানের মুখে হাতের নলা তুলে দিলো। আহসান তরীর অগোচরেই নিজের অপর হাতে চিমটি কাটলো। বিশ্বাস হচ্ছে সবটা? হচ্ছে না!
‎★
‎সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরে আহসান বাড়িতে অনেকক্ষন কী যেন একটা খোঁজাখুজি করতে লাগলো। কিন্তু, কোথাও পেল না। আহসানকে উদ্বেগে দেখে শোভা বললেন,

‎” কী হয়েছে? কিছু খুঁজছিস বাবা?”

‎আহসান গম্ভীর স্বরে বললো,

‎” কাল মোটা দড়ি এনেছিলাম। গুদামের মাল বেঁধে রাখার জন্য। কোথাও পাচ্ছি! এখানেই তো রেখেছিলাম।”

‎শোভা উচ্চস্বরে রুমিকে ডেকে পাঠালেন। রুমি মায়ের ডাকে ছুটে এলো। তাঁর পিছু পিছু তরীও এলো। এতক্ষন তাঁরা দুজনে মিলে কার্টুন দেখছিল। গোপাল ভাঁড়ের পুরনো এপিসোড গুলো সন্ধ্যা বেলায় রিপিট হয়। শোভা রুমিকে দেখে বললেন,

‎” রুমি রে তোর ভাইয়াকে দড়ি খুঁজে দে তো। এখানে নাকি দড়ি রেখেছিল। কোথাও নাকি খুঁজে পাচ্ছে না। একটু দেখ তো মা।”

‎দড়ির কথা শুনে রুমি উসখুস করতে লাগলো। মাথা চুলকে বললো,

‎” ওহ! ওটা ভাইয়ার দড়ি ছিল? আমি আর ভাবী ভাবলাম পুরনো বলে ফেলে দিয়েছে হয়তো।”

‎শোভা নিজ কন্যা ও পুত্র বধুর দিকে তাকিয়ে বললেন,

‎” এই তাহলে ননদ ভাবীর দোলাদুলির ইতিহাস? আরে আহসান! দুপুরে যা কান্ড হয়েছিল বললে বিশ্বাস করবি না! ননদ দোলনায় বসে ভাবী সযত্নে দোলনা ধাক্কা দেয়। আবার ভাবী বসে ননদ পিছু থেকে ধাক্কা দেয়। আমি আর তোর বুবু তো হাসতে হাসতে শেষ! হাহা!”

‎আহসান তরীর দিকে তাকিয়ে ঠোঁট টিপে হাসলো। পুঁচকে মেয়ে বিয়ে করার সুফল নামক কুফল!

‎আহসান তরী আর রুমি উভয়কেই পড়তে বসিয়েছে। তরী সোজা কথায় মেনে গেলেও রুমি গো ধরে বসেই আছে। আজ সে পড়বে না! শেষে আহসান বুকসেলফের ওপর থেকে মোটা লাঠি বের করায়;রুমি লেজকাটা বাঁদরের মতো পড়তে বসেছে। পড়াশোনার প্রতি তাঁর বিরাট অনীহা! নেহাতই আহসান তাঁকে ধরে বেঁধে রোজ পড়াতে বসায়। নাহলে এই মেয়ে কবে যে গোল্লায় যেতো! এই নিয়ে আহসানের আফসোসের শেষ নেই। টপারের বোন হয়ে তাঁর পড়াশোনার প্রতি এত অনাগ্রহ!
‎এক পড়তে বসার মাঝেই আজ সে তিনবার তিন অজুহাতে পড়া থেকে উঠলো। প্রথমবার পানি খাওয়ার ছলে। দ্বিতীয় বার বাথরুমে যাবার ছলে। তৃতীয় বার বই আনার ছলে! আহসান হতাশ! এই মেয়েকে বঁশে আনা তাঁর পক্ষে অসম্ভব!
‎★
‎নৈশভোজ শেষে টেবিল গুছিয়ে রাখবার সময় আহসান আড়চোখে তরীকে ইশারা করেছিল। এর অর্থ রাতে জানালাটা খোলা রেখো।

‎তরী রাতে স্বামীর কথা মতো যোগ্য স্ত্রীর ন্যায় তাই করলো। জানালাটা খোলা রেখে সজাগ হয়ে রইলো। পাছে আহসান না এসে পড়ে। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পর পরিবেশ যখন শান্ত; আহসান তখন জানালায় স্বল্প আওয়াজে টোকা দিলো। তরীর কানে তা পৌঁছাতেই সে বিছানা থেকে সাবধানে উঠে বসলো। জানালার দিকে তাকাতেই আহসানের চাঁদ মুখখানি দেখলো। পা টিপে টিপে দরজা খুলে বের হলো সে। অন্ধকারে অসাবধানে পা ফেলতেই তরী চিৎপটাং হয়ে পড়ে যেতে রইলে আহসান তাঁকে ধরে ফেলো। তরীর মন আনন্দে পুলকিত হয়ে গেল। কেমন একটা নায়িকা নায়িকা অনুভূতি হচ্ছে তাঁর। সিনেমার নায়িকা যখন পড়ে যায়। নায়ক বিদুৎ এর গতিতে এসে তাঁকে ধরে ফেলে। আচ্ছা, সে কী তবে নায়িকা? তবে, নায়ক কে? আহসান? অবশ্য এতে মন্দ হবে না। এমন সুপুরুষ একজন মানুষ তরীর নায়ক হলে খুবই চমৎকার হবে। ক্ষনে ক্ষনে ভিলেনের হাত থেকে তাঁকে বাঁচাবে। হিহি!

‎আহসান তরীর হাত ধরে তাঁকে বাইরে নিয়ে এলো। আজ ভরা পূর্ণিমা, আকাশের মাঝে স্থান পেয়েছে গোলাকার গঠনের একটি বিশাল চাঁদ। চারিপাশে তখন সুনসান নীরবতা। মৃদু মৃদু বাতাসে পাশের গোটাকয়েক গাছের পাতাগুলো ক্ষনিক পরপর একে অপরের মিশে যাচ্ছে। তরীর সঙ্গে আহসানের হাতের বাঁধন শক্ত হলো। তরী জড়সড়ে হয়ে বললো,

‎” আপনার ভয় করছে না?”

‎আহসান সরল কন্ঠে বললো,

‎” কীসের ভয়?”

‎তরী ভয়ার্ত স্বরে বললো,

‎” যদি এখন তেনারা আসেন?”

‎আহসান প্রশ্নের বান ছুঁড়ে দিয়ে বললো,

‎” কারা?”

‎তরী চুপিসারে বললো,

‎” উফ! আপনি কিছুই বোঝেন না। রাতে তেনাদের নাম নিতে নেই।”

‎তরীর অদ্ভুত ভূত ভ্রীতির কথা শুনে আহসান ঠোঁটগুলো এলিয়ে হাসলো। আবছা আলোয় সেই হাসিটাকে সঠিক ভাবে দেখার সুযোগ হলো না তরীর। হেসে সে বললো,

‎” তাহলে আমি বাঁচিয়ে নেবো। বিশ্বাস করো তো আমায়?”

‎তরী ঠান্ডা গলায় বললো,

‎” নিজের চেয়েও বেশি।”

‎আহসান তরীকে সঙ্গে নিয়ে বড় কাঁঠাল গাছের গুঁড়িটায় গিয়ে বসলো। তরীর একেবারে সন্নিকটে সে। একেবারে অপরের শ্বাস নেওয়ার শব্দটাও শুনতে পাচ্ছে তাঁরা। অকস্মাৎ বাতাসে তরীর খোঁপা বাঁধা চুলগুলো এলোমেলো হয়ে গেল! ছোট ছোট চুলগুলো এসে চোখে মুখে বাড়ি দিলো। তরী হাত উঁচু করে পুনরায় বাঁধতে চাইলো। আহসান অনুরোধের সূরে বললো,

‎” বেঁধো না। যা ছন্নছাড়া তা কেন অবাধ্য বাঁধনে বাঁধতে যাও?”

‎তরী ওই কথা উপেক্ষা করতে পারলো না। হাতদুটো গুটিয়ে ফেললো। আহসান হঠাৎ কী যেন খপ করে ধরলো! তাতে আবছা তালির আওয়াজ হলো। তরী চমকে তাঁর দিকে তাকালো। আহসান তরীর দিকে নিজের হাতের মুঠোটা বাড়িয়ে দিলো। তরী সযত্নে কৌতুহলে তা খুলতেই ভেতর থেকে একটা ক্ষুদ্র জোনাকি বেরিয়ে এলো। তরী তা ধরবার পূর্বেই কোথায় যে উড়ে গিয়ে মিলিয়ে গেল! তরী হতাশ হয়ে আহসানের পানে চাইলো। তীব্র হতাশাছন্ন স্বরে বললো,

‎” সবাই শুধু আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আপনিও কী চলে যাবেন?”

‎আহসান তপ্ত কন্ঠে বললো,

‎” তুমি যদি রেখে দিতে চাও তবে থেকে যাবো। আর হেলায় ছুঁড়ে দিলে মিলিয়ে যাবো।”

‎তরী সরলতা মাখা স্বরে বললো,

‎” তাহলে আপনাকে আমি বয়ামে ভরে রেখে দেবো। তাহলে আর হারিয়ে যাবার কোনো ভয় থাকবে না। আমাদের বাড়িতে মা আচার করার জন্য ইয়া বড় বড় কাঁচের বয়াম ধুয়ে রাখে। সেগুলোতে রাখলে আপনি আর পালাতে পারবেন না।”

‎আহসান মায়াভরাট কন্ঠে বললো,

‎” আচ্ছা, রেখে দিও।”

‎এরপর পরস্পরের মাঝে চোখে চোখে সন্ধি হলো। চারিদিকে ঝিঁঝি পোকার আওয়াজে যখন সমারোহ। তখন তাঁরা একে অপরের চোখের নেশায় বন্দি। একে অপরের প্রতি নৈকট্য লাভের আশা যেন আরো বাড়লো। দৃষ্টির খেলা তখন অধরে এসে থামলো। কখন যে তাঁরা একে অপরের অধরে মত্ত্ব হলো কে জানে! দুজনের নিঃশ্বাসমালা ঘন হয়ে গেল। আহসান নিজ স্ত্রীর গাল হাতের আঁজলায় পুরে নিলো। তরীও যেন নিজের ধ্যান জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। তাঁর মাথায় শুধু একটা শব্দই এলোমেলো হয়ে বাড়ি খাচ্ছে। আহসান, আহসান আর আহসান!

‎মিনিটখানেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর যুগলের ঘোর কাটলো। নিজেদের অবস্থান টের পেয়ে দুজনেই সরে গেল। তীব্র অস্বস্তিতেও একে অপরের দিকে তাকাতে ভুললো না তাঁরা। এভাবেই নীরবতার অদূরে কেটে গেল কিছু মুহূর্ত। চাঁদের অপরূপ সৌন্দর্যে ঘায়েল হলো তরী। চাঁদের দিকে তাকিয়ে তরী বললো,

‎” আজ রাতটা কত সুন্দর না?”

‎পেছন থেকে জবাব এলো,

‎” তুমি এই রাতের চেয়েও সুন্দর তরী।”

‎তরী লজ্জায় মাথা নুইয়ে ফেললো। আহসান ফের বললো,

‎” তুমি মেয়েটা ভাদ্র মাসের তীব্র দাবানলে এক পশলা বৃষ্টির মতো সুন্দর তরী।”

‎তরী এত শক্ত কথার মানে বুঝলো না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো শুধু।

চলবে…