#নীলাবতী
[ পর্ব – ৬ ] (১৮+ এলার্ট)
লেখক – শহীদ উল্লাহ সবুজ
নীলা সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে নিলয় এখনও ঘুমিয়ে আছে। নীলা ফ্রেশ হয়ে এসে নিলয়কে ডাক দেয়।
— নিলয় তুমিকি আজ অফিসে যাবেনা? কয়টা বাজে দেখছ তুমি?
— আজ অফিসে যাবো না। আমাকে একটু ঘুমাতে দাও।
নীলা আর কোনো কথা না বলে চলে গেলো নাস্তা রেডি করার জন্য। কিছু সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে নীলা দুজনের জন্য নাস্তা রেডি করে নিয়ে আসে। নিলয় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পরে দুজনেই এক সাথে নাস্তা করে। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে আসে।
— নীলা রেডি হয়ে নাও আমাদের বের হতে হবে।
— আমি না গেলে হয়না? আমার না ওখানে যেতে ইচ্ছে করছেনা।
— তোমাকে যেতে হবে। বেশি কথা না বলে রেডি হয়ে নাও।
নীলা আর কোনো কথা না বলে রেডি হয়ে নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দু’জন বেরিয়ে পড়ে। রাস্তায় একটা সিএনজি নিয়ে বসের বাসার দিকে রওয়ানা দিল। কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় পৌছে গেলো। দরজার সামনে গিয়ে কলিং বেলে চাপ দিতেই অফিসের বস এসে দরজা খুলে দেয়। দু’জনে বাসার ভিতরে যায়। বস বার বার নীলার দিকে তাকিয়ে থাকে। বাসার মধ্যে তাদের তিনজন ছাড়া আর কেউ নাই।
বস বলল — আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো আপনাদের?
নিলয় উত্তরে বলল — না স্যার কোনো সমস্যা হয়নি।
— আচ্ছা ঠিক আছে আপনারা বসুন আমি চা করে নিয়ে আসি।
এই কথা বলে বস চলে গেলো। নীলা নিলয়কে বলল– তুমি না বলছিলে তোমার অফিসের সবাই আসবে? এখানে তো আমরা ছাড়া আর কেউ নাই।
— চলে আসবে হয়তো। আমরা মনে হয় তাড়াতাড়ি চলে আসছি।
এবার বস সবার জন্য চা নিয়ে আসে। তিন জনেই চায়ে চুমুক দেয়। বস অদ্ভুত ভাবে নীলার দিকে তাকায়। ব্যাপারটা নীলার ভালো লাগছেনা। নিলয় চা রেখে দিয়ে বলল — নীলা আমার একটা কল দিতে হবে তুমি এখানে বসো আমি আসছি।
— নিলয় আমিও যাবো তোমার সাথে।
— আমি এক্ষনি চলে আসছি। তুমি স্যারের সাথে একটু গল্প করো।
এই কথা বলে নিলয় বের হয়ে চলে গেলো। নিলয় চলে যাওয়ার পরে বস নীলার পাশে এসে বসে। নীলা তার থেকে দূরে সরে গেলে সে নীলার আরো কাছে চলে আসে। নীলা অনেক ভয় পেয়ে যায়।
— কি ব্যপার ভয় পাচ্ছো কেন তুমি?
— আপনি আমার এতো কাছে আসছেন কেন?
— কারণ আজ রাতের জন্য তুমি আমার।
— মানে কি? কি বলছেন এসব?
— মানে খুব সহজ। আজ সারা রাত তুমি আমার। তুমি আমাকে আজকে রাতে আনন্দ দিবে।
এই কথা বলে লোকটা নীলা শরীরে হাত দেয়। এক টানে নীলার বুক থেকে শাড়ী সরিয়ে নেয়। নীলা লোকটার থেকে ছুটে একটু দূরে এসে চিৎকার করতে শুরু করে।
— নিলয়, নিলয়, নিলয়। নিলয় তুমি কোথায় চলে গেলে?
— চিৎকার করে লাভ নেই। আজকে আমি তোমাকে ভোগ করব। আর সেই জন্য নিলয় তোমাকে আমার কাছে দিয়ে গেছে। নিলয় নিলয় বলে হাজার ডকলেও কাল সকালের আগে নিলয় এখনে আসতে পারবেনা।
— না এটা হতে পারেনা। নিলয় কেন এমন করবে?
— কারণ তোমার এক রাতের বিনিময়ে নিলয় প্রমোশন পাবে। এবার তুমি আমাকে খুশি করো।
নীলা মনে হয়ে ভাবতে থাকে। নিলয় তার সাথে এমন একটা কাজ করতে পারলো? সামান্য একটা প্রমোশন এর জন্য নিজের স্ত্রীকে বিলিয়ে দিতে পারে? আমি কখনও ভাবতে পারিনি নিলয় এমন হবে।
নীলা এবার দৌড়ে দরজার কাছে চলে গেলো। কিন্তু দরজা বাহির থেকে লক করা তাই খুলতে পারছেনা। বস ধিরে ধিরে নীলার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। নীলা পিট দরজার সাথে ঠেকে গেলো। বস নীলার শাড়ী ধরে এক টানে পুরো শাড়ী খুলে ফেলে। নীলার শরীরে এখন শুধুই পেটিকোট আর ব্লাউজ আছে। নীলা দুই হাত দিয়ে তার বুক ডেকে নেয়। নীলা কান্না করতে থাকে।
— প্লিজ আমাকে যেতে দিন।
— তোমাকে যেতে দেওয়ার জন্য এখানে নিয়ে আসা হয়নি। আজ রাতের জন্য তুমি আমার।
অন্যদিকে নিলয় তার বাসায় চলে গেলো। প্রমোশনের লোভ তারা মাথায় এতো ছেপে বসেছে যে সে তার স্ত্রীকে অন্য একটা পুরুষের হাতে তুলে দিয়ে এসেও তার কাছে খারাপ লাগছেনা। একটি বার ও সে ভাবছেনা নীলার সাথে কি কি হতে পারে।
এই দিকে নীলা লোকটার কাছে বার বার বলছে তাকে যেনো ছেড়ে দেয়। কিন্তু নীলার কোনো কথা সে কানে তুলছেনা। এবার বস নীলার কাছে এসে নীলাকে কোলে তুলে তার বেডরুমে নিয়ে চলে গেলো। আর নীলাকে খাটের উপরে ফেলে দিল। বস নীলার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। নীলা ভয়ে ভয়ে পিছনের দিকে চলে যেতে থাকে। এবার লোকটা নীলাকে শক্ত করে ধরে নীলার ঠোঁটে চুমু খায়। আর নীলা শরীর অশ্লীল ভাবে হাত দিতে থাকে। নীলার ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে লোকটা নীলার ব্লাউজের হুক খুলে নীলাকে অর্ধ-উল*ঙ্গ করে নেয়। নীলা বার বার চেষ্টা করেও লোকটার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে। নীলা কিছুতেই এই লোকের শক্তির সাথে পেরে উঠছে না। কিছুক্ষণ পরে নীলা নিরুপায় হয়ে লোকটার কাছে নিজেকে তুলে দেয়। হিংস্র বাঘের মতো লোকটি নীলাকে ভোগ করতে থাকে। সারারাত নীলার উপরে অমানবিক নির্যাতন চলতে থাকে। নীলা সব কিছু সহ্য করে নেয়। আর নিলয়ের উপরে তার অনেক রাগ জমতে থাকে। নীলার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে শুরু করে। সারারাত নীলাকে ভোগ করে সকাল হলে নীলাকে লোকটা ছেড়ে দেয়। নীলা এবার তার সব কিছু পড়ে নেয়। নীলার শরীর অনেক খারাপ হয়ে গেছে। এমন কোনো যায়গা বাদ রাখেনি লোকটা যেখানে তার হাত যায়নি। নীলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখে তার গলায় এখনো কামড়ের দাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। নীলা অঝোরে কান্না করতে থাকে।
লোকটা নীলার কাছে এসে বলল — আমি অনেক খুশি হয়েছি। তোমার হাসবেন্ড এর প্রমোশন এবার হয়ে যাবে। তুমি এখন বাসায় চলে যেতে পারো। আর ফ্রেশ হয়ে নাও।
— নীলা ওয়াশরুমের ভিতর গিয়ে ফ্রেশ হতে যায়। নীলার পুরো শরীর লাল হয়ে গেছে। অনেক যায়গায় খামচির দাগ দেখা যাচ্ছে। নীলা ফ্রেশ হয়ে তার বাসার দিকে চলে যেতে থাকে। নীলা নিজেকে অনেক শক্ত করার চেষ্টা করে। আর নিলয়ের উপরে তার রাগ খুব বাড়তে থাকে। নীলা একটা দোকানে গিয়ে তার বান্ধুবী মারিয়াকে ফোন করে।
— হ্যালো কে বলছেন?
— মারিয়া আমি নীলা বলছি।
— আরে কতোদিন পরে কল দিলি তোর তো কোনো খোঁজ খবর নেই। দুলাভাই কেমন আছে।
— তোকে যেটা বলার জন্য কল দিয়েছি। তুই সেটা শুন।
— আচ্ছা বল।
— তুই নদীর পাড়ে আয়। আমি নিলয়কে মেরে ওখানে আসছি।
— কি বলছিস তুই নীলা? পাগল হয়ে গেলি নাকি? তুই তোর হাসবেন্ড কে কেন মারবি?
— সেটা পরে জানতে পারবি। এখন আমি রাখছি। বায়।
নীলা ফোন কেটে দিয়ে বাসায় চলে গেলো। বাসার সামনে গিয়ে দরজার কলিং বেলে চাপ দিতেই নিলয় এসে দরজা খুলে দেয়। নীলা রুমের ভিতরে চলে আসে কোনো কথা না বলে। নিলয় দরজা লাগিয়ে নীলার কাছে এসে বলল — নীলা আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও। আসলে এই প্রমোশন আমার খুব দরকার ছিল।
নীলা একটা হাসি দিয়ে বলল — নিলয় আমি কখনও ভাবতে পারিনি তুমি আমার সাথে এমন করবে। আমি তোমাকে বিশ্বাস করতাম আর তুমি আমার বিশ্বাসের এই মর্যাদা দিলে? নিলয় আমি কি কখনও বলেছি আমি কষ্টে আছি? কখনও বলেছি তোমার এই টাকা দিয়ে আমার সংসার চলছে না। কখনও কি আমি তোমার কাছে দামী কিছু আবদার কতেছি? করিনি। যখন যেটা দিয়েছ তখন সেটাই হাসিমুখে নিয়েছি। কারণ কি জানো আমি তোমাকে ভালোবাসতাম। আর তুমি আমার সেই দুর্বলতার সুযোগ নিলে। নিলয় তোমার কি একটা বার ও বুক কাপে নাই আমকে অন্য একটা পুরুষের কাছে ছেড়ে দিয়ে আসতে? আমার থেকে তুমি তোমার প্রমোশন বড় করে দেখলে? আজ না আমার নিজের প্রতি নিজের ঘৃণা হচ্ছে। তোমার মতো ছোট মনের মানুষের সাথে সংসার করেছি এতোদিন ধরে। আমি মানুষ চিনতে ভুল করছি। যাকে এতো ভালোবাসি সে আমার ভালোবাসার এমন প্রতিদান দিবে আমি না ভাবতেও পারিনি।
চলবে??