নীল সাঝেঁর উজান পর্ব-০৮

0
33

#নীল_সাঝেঁর_উজান
#পর্বঃ৮
#লেখনীতে_তানিয়া_রহমান

রক্তা*ক্ত বিধ্বস্ত অবস্থায় মেঝেতে অচেতন হয়ে পরে আছে সাঝঁ। গায়ে লাল বেনারসী আর সোনার গয়না পরে নববধূর সাজ এলোমেলো হয়ে গেছে। চোখের কাজল লেপ্টে গেছে দুচোখের আশেপাশে। বুঝা যাচ্ছে প্রচন্ড কেদেঁছে নিজের ক্ষতি করার আগে। মাঝে মাঝে মানসিক আঘাত এমনভাবেই মানুষকে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। অচেতন দেহটার মধ্য স্পন্দন চলছে ধীরে ধীরে। মেঝের সাদা টাইলসে রক্তের স্রোত যাচ্ছে। হাতের শিরা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সাঝঁ। মেয়ের এমন অবস্থা দেখে গগনবিদারী চিৎকার করে ডুকরে কেদেঁ উঠলেন সাঝেঁর মা। আর রমজান সাহেব হারালেন নিজের শরীরের ভারসাম্য। উজান হতভম্ভ হয়ে তাকিয়ে আছে সাঝেঁর ফ্যাকাশে হয়ে আসা চেহারার দিকে। যে মেয়ের একটু পর তিন কবুল পড়ে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার কথা সে এখন রক্তের স্রোতে ভাসছে। যার এই মুহুর্তে বিয়ের চিন্তায় বিভোর থাকার কথা সে এখন বাচঁবে কিনা এই চিন্তা সবাইকে পোড়াচ্ছে। সময়ের দায় বুঝা বড্ড মুশকিল। উজানের মনে হলো যে সাঝঁকে অবুঝ আবেগী হওয়ার জন্য সেদিন বুঝিয়েছিলো আর আজকে যে সাঝঁ বিধ্বস্ত হয়ে তার সামনে পরে আছে তার মধ্য আকাশ পাতাল তফাত। সেদিন সে এক জেদী সাঝঁকে দেখেছিলো আর আজ সে দেখছে অন্য এক সাঝঁকে। কারো ধাক্কায় কয়েক সেকেন্ডের চিন্তা থেকে বেড়িয়ে আসে উজান। উজান সাঝেঁর বাবাকে বলে

” দ্রুত এম্বুলেন্সে খবর দেন। সাঝঁকে তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিতে হবে। সময় খুবই কম। প্রচুর রক্ত ঝরে গেছে শরীর থেকে। ভাইয়া আপনি সাঝঁকে পাজাঁকোলে করে নিয়ে মেইন গেইটে আসুন। এম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে নিজেদেরই গাড়ি নিয়ে বের হতে হবে”।

উজান পকেটে থাকা রুমাল টা বের করে সাঝেঁর হাতে বেধেঁ দেয় যাতে কোনরকমে রক্ত ঝরা বন্ধ হয় । নাকের কাছে হাত নিয়ে দেখে শ্বাস প্রশ্বাস খুবই ধীরে চলছে। সাঝেঁর বড় ভাই আকাশ পাজাঁকোলে করে বোনকে তুলে নেয়। সাঝঁ সিড়ি দিয়ে আগেই নেমে গেছে নিচে। সাঝঁকে গেইটে আনতে আনতেই এম্বুলেন্স চলে আসে। দ্রুত তাকে এম্বুলেন্সে উঠানো হয়। উজান কি ভেবে সবার আগে এম্বুলেন্সে উঠে পড়ে। এম্বুলেন্স চলতে শুরু করলো।উজান সাঝেঁর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সাঝঁ গায়ের ভর ছেড়ে দিয়েছিলো। আকাশ একা উঠাতে পারছিলো না। আকাশকে সাহায্য করতে গিয়ে উজানের পাঞ্জাবিতে রক্তের দাগ লেগে গেছে। অক্সিজেন মাস্ক পড়ানো হয়েছে তাকে। উজান মনে মনে বললো

” কেন এই পাগলামি করলে সাঝঁ? বিয়ে ভেঙে গেছে বলে নিজের এতো বড় ক্ষতি করার চেষ্টা কেউ করে? বাচ্চাদের কথা মনে পড়লো না তোমার? জানো বাচ্চা দুটো কি পরিমাণ কান্না করছিলো তোমাকে না পেয়ে? এতো অবুঝ হলে কি করে”?

দশ মিনিট পর এম্বুলেন্স এসে পৌছেঁ মোহাম্মদপুর সিটি হসপিটালের সামনে। জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় সাঝঁকে। রক্ত পরা তখনো বন্ধ হয়নি টুপ টুপ করে পড়ছেই হাত থেকে। উজানের গা মাথা ঘুরে উঠে। সারাদিন কিছু খায়নি সে। সেই যে ফ্লাইটে খাবার খেয়েছিলো দেশে ফেরার সময়। এরপর পানি ছাড়া মুখে কিছুই দেয়নি সে। কিন্তু এসব এখন ভাবলে চলবে না। এই দূর্যোগ টলে যাক। ডাক্তার জানাক আগে সাঝঁ আশংকামুক্ত এখন। তারপর খাওয়া দাওয়া অন্য কিছু ভাবা যাবে। উজানের মাথা ভার হয়ে আসায় সে চুপচাপ এক কোণে চেয়ারে বসে পরলো। এক পলক সবার দিকে তাকালো সে। সবাই অশান্ত অস্থির হয়ে আছে। চোখ মুখ শুকনো লাগতেছে সবার। একটা দ্বীর্ঘ নিশ্বাস নিলো সে। এক জীবনে চোখের সামনে কত ওঠানামা দেখলো সে। কত মানুষের মুখোমুখি হলো। কত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। শরীরটা ক্লান্ত লাগছে তার। তবুও সাঝেঁর কথা মনে করে নিজেকে বুঝালো এখন ক্লান্ত হওয়ার সময় না। এইসব ভাবতে ভাবতেই ঠিক এক ঘন্টা পর অপারেশন থিয়েটারের লাল আলো বন্ধ হয়ে সবুজ বাতি জ্বলে উঠলো। অপারেশন থিয়েটার থেকে ডাক্তার বের হয়ে এসে বললো

” রোগীর বাড়ির লোক কে কে আছেন এখানে? অভিভাবক হিসেবে কে আছেন”?

সাঝেঁর বাবা,ভাই মামা সহ উজান এগিয়ে গেলো সামনে। রমজান সাহেব বললো

” আমি মেয়ের বাবা আর ও হচ্ছে ভাই। আমার মেয়ে কেমন আছে ডাক্তার”?

” খুবই বাজে ভাবে রোগী নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। মানসিকভাবে প্রচন্ড শক থেকেই নিজের জন্য এতো বড় ভুল পদক্ষেপ নেওয়া। পরিহিত কাপড় দেখে বুঝতে পেরেছি উনার আজকে বিয়ে ছিলো। পরে ঘটনা জানলাম সবকিছু। দেখুন মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে গেছে রোগী। তার এখন সুস্থ পরিবেশ দরকার। কোনভাবেই তাকে উত্তেজিত করে, কষ্ট দেয় এমন কোন কথা বা কাজ করা যাবে না। অল্পের জন্য বেচেঁ গেছে। খুবই দূর্বল এখন রোগী। গা থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। বলতে পারেন শারীরিক এবং মানসিক ভাবে মেয়েটা এখন বিপর্যস্ত। তাই তাকে নতুন করে কষ্ট দেয় এমন কোন কথা এবং কাজ করা যাবেনা। কিছুক্ষণ পর কেবিনে দিলে আপনারা দেখতে পারবেন কিন্তু এক এক করে দেখা করতে পারবেন। রোগীর জ্ঞান ফিরতে সময় লাগবে। অনেক ধকল গেছে। আজকালকার জেনারেশন এর মন বুঝা বড় দায়। কখন যে কি করে বসে। খুব সহজেই জীবনকে তুচ্ছ মনে করে। সাবধানে রাখবেন। রোগীর এখন ভালোবাসা এবং যত্নের প্রয়োজন”।

সবাই যেন বুকে পাথর চেপে রেখেছিলো এতোক্ষণ। মেয়ে আশংকা মুক্ত এটা শোনার পর সেটা যেন নেমে গেলো। কিন্তু ডাক্তারের বলা কথাগুলো আরেক চিন্তা ধরিয়ে গেলো তাদের। এই মুহুর্তে সাঝেঁর আশেপাশে যা পরিবেশ তাতে কতক্ষন তাকে সামলে রাখা যাবে সেটাই বড় প্রশ্ন। সুসময়ে মানুষকে যতটা না পাওয়া যায় কঠিন সময়ে তাদের অচেনা রুপ ঠেলে বের হয়ে আসে। একটা ছেলের বিয়ে ভাঙলে সে দুই দিন পর আবার বিয়ে করতে পারে। পুরুষ মানুষ তাকে কেউ এতো কিছু বলে না। কিন্তু মেয়ে মানুষ এর জীবনে পান থেকে চুন খসলেই তাকে নিয়ে এক কথা থেকে হাজারো কথা বানিয়ে চড়িয়ে বলা হয়। দগ্ধ ক্ষতে নতুন করে খোচাঁনোর মতো মানুষের অভাব নেই কিন্তু সেই জায়গায় যত্ন করে ওষুধ লাগানোর মতো মানুষের অভাব রয়েছে এই দুনিয়াতে। উজানের বড্ড মাথা ধরেছে। মাইগ্রেনের মাথাব্যাথা আছে তার। একবার সেই ব্যাথা উঠলে পাগল প্রায় হয়ে যায়। দ্রুত কিছু খেয়ে ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। একটু পর সাঝঁকে কেবিনে শিফট করা হলো। ডাক্তার বললো জ্ঞান ফিরতে তিন চার ঘন্টা লাগবে। ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে বিশ্রাম এর জন্য। এরই মধ্য আরও কিছু আত্নীয় স্বজন আসলো হাসপাতালে। উজানের এগুলোকে আলগা দরদ দেখানো মনে হলো। কারণ আসার আগে এদের মুখেই সাঝঁকে নিয়ে অনেক বিদ্রুপাত্মক কথা শুনে এসেছে। উজান সেদিকে খেয়াল না করে সোজা ক্যাফেটেরিয়াতে গেলো। একটা চিকেন স্যান্ডউইচ এক কাপ কড়া কফি আর এক বোতল পানি কিনলো সে। খাবার মুখে নিতেই তার মনে পড়লো সাঝেঁর বাবা ভাইয়ের কথা। তারা মেয়ের চিন্তায় অস্থির। তারাও বিয়ের চক্করে কখন খেয়েছে না খেয়েছে। কোন রকমে তাড়াহুড়ো করে নিজের খাওয়া শেষ করে কিছু খাবার আর পানি কিনে আবার কেবিনের দিকে গেলো সে। সাঝেঁর বাবা ভাইকে বললো কিছু খেয়ে নিতে। কিন্তু তারা খেতে নারাজ। যতক্ষণ না মেয়ের জ্ঞান ফিরে তাদের ডাকছে তারা কিছুই খাবেনা। উজান বললো

” সাঝঁতো অসুস্থ হয়েই আছে। এরপর আপনারা যদি অসুস্থ হয়ে যান মেয়েকে সামলাবেন কিভাবে? এর জন্য নিজেদের সুস্থতা প্রয়োজন। আপনারা ভালো থাকলে সে নিজেও সাহস পাবে নিজেকে ভালো রাখার। খেয়ে নিন আপনারা। ভারি খাবারতো না। কিছু খেয়ে পানি খান”।

উজানের কথায় মনে সাহস পেলো তারা। পরের ছেলে হয়ে এই বিপদে তাদের পাশে আছে। নিজেদের লোকগুলো কানাঘুষা করে ফুসরত পেলেতো পাশে থাকবে। মেয়ের কথা ভেবে কিছু মুখে দিলো তারা। সাঝেঁর মাতো প্রতিজ্ঞা করেছে মেয়েকে না দেখা অবধি তিনি কিছুই খাবেন না। উজানও সাঝঁকে না দেখা অবধি শান্তি পাচ্ছেনা। মেয়েটার জ্ঞান ফিরলে এক পলক দেখেই চলে যাবে সে। দেখতে দেখতে রাত আটটা বেজে যায়। সাঝেঁর জ্ঞান ফেরে। প্রচন্ড দূর্বল শরীর নিয়ে ধীরে ধীরে চোখ খোলার চেষ্টা করে। হাতে ক্যানোলা চলছে। অক্সিমিটার লাগানো আছে আঙুলে। নার্স ডাক্তারকে খবর দেওয়ার জন্য বের হয়। তখন বাড়ির সবাইকে বলে রোগীর জ্ঞান ফিরে এসেছে। সবাই উদগ্রীব হয়ে আছে সাঝঁকে দেখার জন্য। ডাক্তার চেকআপ করে যাওয়ার পর সাঝেঁর মা-বাবা গিয়ে দেখে আসে। মেয়েকে দেখেই অঝোরে কান্না শুরু করে দেন তারা।মেয়েকে বললেন

” এরকম পাগলামী করে কেউ মা? তোর কিছু হলে আমরা কেমনে থাকবো”?

সাঝঁ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে। অনেক কথা বলতে চাচ্ছে কিন্তু শক্তি পাচ্ছে না। তবুও বললো

” আমি অপয়া অশুভ”।

সাঝেঁর মা বললো

” এরকম কথা বলতে হয়না। নিয়তির উপর কারো হাত নেই “।

সাঝঁ আর কিছু বললো না। চোখের কার্নিশ বেয়ে পানি গড়িয়ে গেলো। সাঝেঁর বড় ভাই বোনকে দেখতে আসলো। ভেবেছিলো অনেক বকবে। কিন্তু বোনের চেহারা দেখে আর কিছু বলার সাহস পেলোনা। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে গেলো। সবশেষে উজানের পালা এরপর নার্স আর কাউকে এলাউ করলো না। উজান সাঝেঁর দিকে তাকালো। এক দিনে মেয়েটার বয়স যেন দশ বছর বেড়ে গিয়েছে। চোখের নিচে কালি জমেছে। চোখ মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। তবুও উজান ডাকলো

” এখন কেমন আছো সাঝঁ”?

সাঝঁ উজানের দিকে তাকালো না। মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে রইলো। উজান অভিমান বুঝতে পেরে বললো

” এখনো রেগে আছো? আচ্ছা এমন পাগলামি কেউ করে”?

সাঝঁ আর না থাকতে পেরে বললো

” আপনি কেন এসেছেন এখানে? আপনারতো খুশি হওয়ার কথা। আমার ভালো দেখতে চেয়েছিলেন। দেখেন আমি ভালো আছি “।আপনি চলে যান। আমার ব্যাপারে নাক গলাতে হবে না আপনাকে”।

উজান বললো

” তা দেখতেই পাচ্ছি কেমন ভালো আছো। আচ্ছা তুমি উত্তেজিত হইয়ো না আমি চলে যাচ্ছি”।

সাঝঁ এবার ফিরে তাকায় আর বলে

” হ্যাঁ এখনতো যাবেনই। অপয়া অশুভ যে আমি। আমার কাছে থাকলে সবার শুধু ক্ষতি হবে “।

সাঝঁ ফুপিয়ে কাদঁছে। উজান বললো

” মানুষ অশুভ অপয়া হয় না। উপরওয়ালা নিয়তিতে রাখেন না তাই সেটা মেলে না এজন্য অকল্যাণ কিছুকে দূরে সরিয়ে দেয়”।

উজান আরও দুই মিনিট থেকে বের হয়ে আসে। বের হয়ে করিডোরে আসতে নিলেই দেখে সাঝেঁর চাচী বলছে

” কি মেয়েরে বাবা! বিয়ের দিনই হবু স্বামীর জানের উপর বালা মসিবত নিয়ে এসেছে। অল্পের জন্য বেচেঁ গেছে ছেলে। এই মেয়েকে কে বিয়ে করবে? সবারই জানের ভয় আছে। এই ঘটনা শুনলে কেউ আর বিয়েই করতে চাইবেনা। দেখা গেলো বিয়ের দিনই স্বামীকে খেয়ে বসে আছে “।

উজান তাদের কথায় এতো বিরক্ত হলো। এই পরিবেশে মেয়েটা থাকলে সাঝঁকে আর বাচঁতে হবেনা। আবার আরেক আত্নীয় বললো

” ভেবেছিলাম আমার ছেলের জন্য কথা বলবো। কিন্তু পরে বিয়ে ঠিক করে ফেললো। বড় বাচাঁ বেচেঁ গেছি। না হলে আমার ছেলেটাও আজকে পাত্রের জায়গায় থাকতো”।

উজান তিক্ত বিরক্ত হলো তাদের কথায়। মনে হচ্ছে সাঝঁ যেন অচ্ছুৎ একজন। যে তার সাথে থাকলেই জানের বালাই হবে। পাশে তাকিয়ে দেখে সাঝেঁর বাবা-মা আর ভাই দাঁড়িয়ে আছে করুণ চোখে। সাঝেঁর মা বিলাপের সুরে বললো

” আমার মেয়েটার কি হবে সাঝেঁর বাবা”?

উজানের কি যে হঠাৎ করে মনে হলো। তার জেদ চাপলো সে সাঝঁকে বিয়ে করে দেখিয়ে দিবে সাঝঁকে বিয়ে করলেই কেউ ম*রবে না। উজান সাঝেঁর বাবাকে বললো

“আংকেল আপনি কাজী ডাকুন। আমি এখনই এই মুহুর্তে সাঝঁকে বিয়ে করবো। দেখি ওরে বিয়ে করলে আমি বেচেঁ থাকি না ম*রে যাই”?

উজান সাঝেঁর কাছে অনুমতি নিতে গেলে সাঝঁ বললো

” আপনার জানের ভয় নেই যদি আমাকে বিয়ে করলে যদি আপনার কিছু হয়ে যায়”? আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। যা কপালে আছে তাই হবে”।

উজান বললো

” কাজী বিয়ে পড়ানোর সময় দ্রুত তিন কবুল বলবে। আমিও দেখতে চাই আমার আর কি কি দেখা বাকি আছে । দেখি তোমাকে বিয়ে করলে আমি বেচেঁ থাকি কিনা”?

অতঃপর হসপিটালের সবাই একটা অভূতপূর্ব বিয়ে দেখলো যেখানে বউ হাসপাতালের পোশাকে আর বর রক্তা’ক্ত পাঞ্জাবি পরে কবুল বললো।

চলবে……..