পরিণয় পর্ব-০৫

0
2

#পরিণয়
#পঞ্চম_পর্ব
#মৌসুমী_হাজরা

…দিদিভাই একটা কথা জিজ্ঞাসা করবো? তুমি রা গ করবে না তো?
ছোট কাকুর মেয়ে কোয়েলের কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে নয়না বললো, রা গ করবো কেন? বল তোর কী বলার আছে?
কোয়েল বেশ লাজুক হাসিতে বললো, সুজয়দা তোমার শুধু বন্ধুই হয়?
নয়না একটু রা’গী রা’গী মুখ করে বললো, তুই কী বলতে চাস?
কোয়েল সাথে সাথে বললো, এইজন্যই আগে বলেছিলাম রা গ করো না।
নয়না হেসে বললো, আচ্ছা রা গ করছি না। সুজয় বাবু আমার বন্ধু হয়। তবে এইটুকু জেনে রাখ তোর এই দিদিভাই তাঁর সাথে ভীষণ বড় অ’ন্যায় করেছে। সুজয় বাবুর জায়গায় অন্য কেউ থাকলে, আজ আমার মুখও দেখতো না। কিন্তু তিনি ছুটে এসেছেন আমার খোঁজে।
কোয়েল বললো, তবে যে জ্যেঠুর কাছে সুজয় দা বলছিল, থানাতে কী কাজ আছে, তারমানে ওটা এমন কিছু জরুরী কাজ নয়। সুজয়দা তোমার জন্য এখানে এসেছে।
নয়নার ঠোঁটের কোণে হাসি এসেও মিলিয়ে গেল। নয়নাকে চুপ করে থাকতে দেখে কোয়েল বললো, বলো না দিদিভাই তুমি কী অ’ন্যায় করেছো সুজয়দার সাথে?
নয়না বললো, সে অনেক কথা, পরে তোকে বলবো। তুই বল তোর ভবিষ্যতে কী প্ল্যান?
কোয়েল বললো, প্ল্যান তো অনেক কিছুই ছিল। ছোট থেকে নাচ শিখেছিলাম, ভেবেছিলাম একটা নাচের স্কুল খুলবো। কিন্তু সন্দীপের পরিবার সেটা চায় না।
নয়না বললো, সন্দীপ কে?
কোয়েল আবারও লাজুক হেসে বললো, সে তুমি বুঝে নাও। আমি বলতে পারবো না।
নয়না বললো, বাড়িতে জানে? কতদিনের সম্পর্ক?
কোয়েল বললো, সবাই জানে, আমাদের ৩ বছরের সম্পর্ক। বাড়িতে সবাই জানে। দুই বাড়িতে রাজীও আছে। তবে একটা সমস্যা আছে জানো?
নয়না বললো, কী সমস্যা রে?
কোয়েল বললো, সে তোমাকে পরে বলবো। কিন্তু একটা কথা তোমাকে না বলে পারছি না। আমি জানি আমি তোমার থেকে ছোট। কিন্তু আমি সুজয়দার চোখে তোমার জন্য ভালোবাসা দেখেছি। আমি জানি না তুমি কী অ’ন্যায় করেছো? তবে সুজয়দা মনে হয় সেইসব কিছু মনেই রাখেনি। তাই তো তোমার জন্য ছুটে এসেছে। এমন মানুষকে কখনো ফিরিয়ে দিতে নেই।

কথাটা বলেই কোয়েল চলে গেল। নয়না কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইলো। কোয়েল তার থেকে ছোট হলেও, মনের দিক থেকে ভীষণ ম্যাচিউর। কত সুন্দর করে কথা বলে।
একটা পরিচিত কণ্ঠ পেয়ে ঘুরে তাকালো নয়না।
… কাল সকালে আমাকে ফিরে যেতে হবে। এখন একবার থানা যাচ্ছি। কিছু কাজ আছে।
… ওহ আচ্ছা।
… বিকেল দিকে একটু সময় হবে?
… কেন বলুন তো?
… একটু বেরোতাম দুজনে। কিছু কাজ ছিল।
… ঠিক আছে। যাবো।

আর কোনো কথা হলো না দুজনের। সুজয় চলে গেল থানাতে। তবে একরাশ ভালোলাগা নিয়ে। নয়না আরও কিছুক্ষণ বসে থাকার পর ল্যাপটপটা খুললো।
যে জায়গায় নয়না স্কুল বানাতে চায়, সেখানকার ছবি নিয়ে পাঠিয়ে ছিল এক আর্কিটেক্ট বন্ধুর কাছে। সে একটা প্ল্যান বানিয়ে পাঠিয়েছে।
এখন নয়নার কাজ হলো, সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। অনেক আশাবাদী সে।
তবে গতকাল ওই ভদ্রলোক এমন করে বললেন কেন কে জানে?
নয়নাকে ভ য় পেলে চলবে না। তাকে যে স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে।

দুপুরের দিকে গ্রামের কয়েকজন বয়ষ্ক ব্যক্তি, যাঁদের সবাই খুব সম্মান করে। তাঁরা এলেন। একটা ছোট্ট মিটিং হলো। নয়না তার ইচ্ছের কথা জানালো। গ্রামের বয়ষ্ক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বললেন, তোমার এই উদ্যোগ খুবই ভালো লাগলো। তবে ওই জায়গা এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, সন্ধ্যে হলে ম দ – জু’য়ার আসর বসে। তাই তোমার কাজটা সহজ হবে না। অনেক কিছুর সঙ্গে ল’ড়াই করতে হবে।
নয়না বললো, আমি পারবো। আমাকে আইনি যা যা পদক্ষেপ নিতে হবে আমি নেবো। আমি আমার জীবন থাকতে পিছু হটবো না।
জ্যেঠু হাতজোড় করে এবার বললেন, ওর বয়স কম, তবু ওর জেদ ওকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। আমরা সবাই যদি ওর পাশে থাকি, তাহলেই সব সম্ভব হবে।
বয়ষ্ক মানুষেরা বললেন, আমরা তার জন্যই এখানে এসেছি। আমরাও এই গ্রামের ভালো চাই, কত ছেলে-মেয়ে স্কুল বিমুখ হয়েছে। তা দূরত্বের জন্য আবার ঠিক মতো না বোঝার জন্য।
তাই স্কুল গড়ার সাথে সাথে আমাদের প্রচার করতে হবে, স্বাক্ষরতা কতটা জরুরী।
কত ছেলে আছে, যারা অল্প বয়সে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে, সেই পরিবারের খোঁজ নিলে দেখা যাবে, তাদের পরিবারের বাবারা নে’শায় আস’ক্ত, ঠিক মতো পরিবারকে টাকাও দেয় না। কিংবা মা রা গেছে। তাই সংসারের হাল ধরতে ছেলেদের কাজ করতে হয়। আর মেয়েদেরও ভালো পাত্র পেলে অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। তাই পুরো গ্রামকে আগে স্বাক্ষর বানাতে হবে। নয়তো নিরক্ষর হয়ে থাকলে, আলো খুঁজে পাওয়া যাবে না।

নয়না সব শুনলো, তারপর তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। সে বললো, আমার কাছে একটা প্ল্যান আছে, তার জন্য গ্রামের মেয়েদের প্রয়োজন। আপনারা কেউ গ্রামের সব মেয়েদের এখানে একবার আসতে বলতে পারবেন? আপনারাও থাকবেন। আমার কথা শুনে ঠিক – ভুল বিচার করবেন। ঠিক হলো আজ সন্ধ্যার দিকেই সবাইকে ডাকা হবে।

বিকেলের দিকে সুজয় এসে জ্যেঠুকে বললো, জ্যেঠু আমি কি একবার নয়নাকে নিয়ে বাইরে যেতে পারি? একটু কাজ ছিল।
জ্যেঠু বললেন, ঠিক আছে যাও। তাড়াতাড়ি ফিরে যাবে, সন্ধ্যায় গ্রামের মেয়েদের নিয়ে একটা মিটিং হবে, তুমিও উপস্থিত থাকবে। নয়না কিছু বোঝাবে তাদের।
সুজয় ঘাড় নাড়লো।

… দিদিভাই, সুজয় দা এসেছে। জ্যেঠুর কাছে পারমিশন নিচ্ছিল, তোমাকে নিয়ে একটু বাইরে যেতে পারবে কিনা।

কোয়েলের কথা শুনে নয়না মুচকি হাসলো।
কোয়েল সেটা খেয়াল করে বললো, সুজয়দার নাম শুনলে তোমার মুখে একটা হাসি ফুটে ওঠে, তখন আমার এই সুন্দরী দিদিভাইকে আরও সুন্দরী লাগে।
নয়না নিছক রা গের অভিনয় করে বললো, খুব পাকা হয়েছে মেয়েটা। আয় তো কানটা মুলে দিই।
কোয়েল ছুটে পালিয়ে গেল। নয়না রেডি হয়ে বাইরে যাওয়ার আগে, আরও একবার আয়নার সামনে দাঁড়ালো। তুঁতে রঙের চুড়িদারে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে। চুলটা খোলা যদিও, তাও আরও একবার চিরুনি বুলিয়ে নিল। তারপর ইচ্ছে করেই কপালের কালো টিপটা সরিয়ে নিল। কপালটা ফাঁকা রাখলো।

দুজনে বেরিয়ে পড়েছে। যেতে যেতে সুজয় বললো, ভালো লাগছে ম্যাডাম আপনাকে। নয়না হাসি মুখে বললো, থ্যাঙ্কিউ!
সুজয় আবারও বললো, কপালে টিপটা থাকলে আরও ভালো লাগতো।
নয়না মনে মনে হাসলো। হয়তো এই কথাটা শোনার জন্যই টিপটা বাড়িতে খুলে রেখে এসেছে।

অবশেষে পৌঁছে গেল নয়না যেখানে স্কুল বানাতে চায় সেই জায়গায়। এত বড় জায়গায় একটা স্কুল বানানোর পরেও বেশ অনেকটা খোলা মাঠ থাকবে। যেখানে ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করতে পারবে। নয়না অবাক হয়ে বললো, আমরা এখানে কেন এসেছি?
সুজয় বললো, একটু অপেক্ষা করো জানতে পারবে।
কিছুক্ষণ পরেই একটি গাড়ি এসে থামলো। পরিচয় করে জানা গেল, তিনি এখানকার থানার ইনস্পেকটর। সুজয়কে তিনি বললেন, আমরা সাথে আছি। এইরকম একটা ভালো কাজে সাথ না দিলে হয়? বাকি যা বাধা আসবে, তা আমাদের যেন জানানো হয়। আমরা ব্যাপারটা দেখে নেবো। নয়না ম্যাডাম আপনি আপনার কাজ শুরু করে দিন। যেকোনো প্রকার হেল্প লাগলে আমাদের ফোন করে নেবেন।
নয়না এবার বুঝলো, সুজয় কেন থানাতে গিয়েছিল। তারমানে সুজয়ও আঁচ পেয়েছিল, কাজটা এত সহজ নয়। ওই ভদ্রলোকের কথাটা বলা কি এখন ঠিক হবে? না থাক, পরে বরং আবারও কিছু বললে তখন জানাবে।

নয়না যেভাবে স্কুলটি বানাতে চায়, তা তাদের জানালো। কাজটি কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে তা নিজেও জানলো। নয়না দুপুরে যে কথাটি জানতে পেরেছিল তা জানালো, সন্ধ্যের পর এখানে ম’দ আর জু’য়ার আসর বসে। অনেক ছেলে এইভাবে ন ষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানকার থানার ইনস্পেকটর বললেন, তাঁরা অনেকবার এখানে এসে কতজনকে তুলে নিয়ে গেছেন। কিন্তু বেশিক্ষণ আটকে রাখা যায় নি। কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের দাদা এসে ঠিক ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে আজ সচেতনতার অভাব, নিজের ভালো নিজেরা বুঝছে না।
কথা বলতে বলতে পেরিয়ে গেল ১ ঘন্টা। যিনি এসেছিলেন তিনি চলে গেলেন নয়নাকে সব বুঝিয়ে। সুজয় আর নয়না তখনও দাঁড়িয়ে আছে মাঠে। কত ছেলে এখানে খেলছে। হঠাৎ একটা ফুটবল সুজয়ের পায়ের কাছে গড়িয়ে এলো। দশ বছরের ছেলেটি ডেকে বললো, আমাদের বলটা দাও না….
সুজয় বললো, দিতে পারি, কিন্তু একটা শর্ত আছে।
ছেলেটি বললো, কী শর্ত?
সুজয় বললো, আমাদেরও খেলা নিতে হবে।
ছেলেটি বাকি ছেলেদের সাথে কথা বলে নিয়ে বললো, এসো তাহলে।
নয়না বললো, আপনি যান। আমি এখানে দাঁড়াচ্ছি।
সুজয় বললো, আমরা সবাই খেলবো, চলো আমার সাথে। এই বলে নয়নার হাতটা ধরে নিয়ে গেল।
নয়নার মনে পড়ে গেল, বিয়ের দিনের কথা। ঠিক এইভাবে হাত ধরে সেদিনও সুজয় বিয়ের মণ্ডপ থেকে নয়নাকে বের করে নিয়ে এসেছিল। এই হাত যেন নয়নাকে আগামীর দিশা দেখানোর জন্য এগিয়ে আসে। ওড়নাটা ভালো করে বেঁধে নিল নয়না। তারপর সকলে মিলে খেলা শুরু করলো।
মনে হলো দুজনের, তারা যেন শৈশব ফিরে পেয়েছে। নয়না খেলতে খেলতে ভু লে গেল সব চিন্তাভাবনা। গোল করতে পারলেই হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে যেন। আর সুজয় তা মুগ্ধ হয়ে দেখছে।

বিকেল গড়িয়ে এবার সন্ধ্যা নামার পালা।
কিন্তু দুজনের মন চাইছে, আরও কিছুক্ষণ সময়টা থমকে যাক।
সুজয় বললো, চলো এবার ফেরা যাক, জ্যেঠুকে কথা দিয়ে এসেছি, তাড়াতাড়ি ফিরবো বলে।
নয়না ঘাড় নাড়লো। যদিও দুজনেরই যাওয়ার ইচ্ছে নেই।

গাড়িতে চেপে পড়লো দুজনে। ছেলেগুলোকে কথা দিল, আবার তারা আসবে।

… ফুচকা খাবে? এখানে শুনলাম ভালো ফুচকা বানানো হয়।
… আপনি খাবেন তো খান।
… ঠিক আছে। আমি খাবো, তুমি দাঁড়িয়ে থাকবে।

নয়না বেশ অবাক হয়ে তাকালো। আরও একবার বলতে পারতো সুজয় খাওয়ার জন্য। তা না করে নিজে খাবে বললো। একটু অভিমান হলো নয়নার।

এক প্লেট ফুচকা বানিয়ে সুজয় এসে বসলো নয়নার কাছে। জিভে যতই জল আসুক, নয়না মনে মনে ঠিক করলো কিছুতেই খাবে না।
সুজয় একটা ফুচকা মুখে তুলে নিল। তারপর খেয়ে বললো, উফফফ! এমন ফুচকা আমাদের ওখানে পাওয়া যায় না। দারুণ খেতে।
নয়না মনে মনে ভাবলো, একবারও আর বললো না অব্দি তাকে খেতে। মুখটা ঘুরিয়ে রাখলো সে।
সুজয় সেই দিকে ফুচকার প্লেটটা নিয়ে বললো, একটা টেস্ট করা যেতেই পারে নয়না। প্লিজ খেয়ে দেখো।
নয়না অভিমান ভুলে একটা নিয়ে খেল। সত্যিই দারুণ খেতে।
সুজয় ধীরে ধীরে বললো, আরও এক প্লেট বানাতে বলি?
নয়না আর না করলো না।

বাড়ি ফিরে এসেছে দুজনে।
এক এক করে গ্রামের মেয়েরা এসেছে তাদের বাড়িতে। উঠোনে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এখন এখানে উপস্থিত।
নয়না বললো, তোমরা তো শুনেছো যে আমি এখানে একটি স্কুল বানাতে চাই, যাতে গ্রামের ছেলেমেয়েদের পাশের গ্রামে ক ষ্ট করে যেতে না হয়। তবে সেই সাথে আমি আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছি, গ্রামের মেয়েদের জন্য। আমরা চাইলে অনেক কিছু করতে পারি। সংসারে নারী – পুরুষ উভয়েরই কাজের প্রয়োজন। তাই শুধু পুরুষদের উপর নির্ভর না করে যদি অল্প কিছু টাকা নিজেরা ইনকাম করতে পারো তাহলে কেমন হয়?
ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচও দিতে পারবে আবার নিজের শখ – আহ্লাদও পূরণ করতে পারবে।
মেয়েরা বললো, কাজ তো করতে চাই। কিন্তু বারোমাস তো কাজ থাকে না। নয়না বললো, কাজ পাবে, যদি ইচ্ছে আর সময় তোমাদের থাকে। তোমরা চাইলে বাড়িতে আচার, জ্যাম, জেলি, পাঁপড় বানাতে পারো। আমি কথা বলে শহরে বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে পারি। আরও অনেক কাজ আছে যা বাড়িতে বসে করতে পারবে। তোমরা যদি এগিয়ে আসো, তাহলে আমি সাহায্য করতে পারি। এছাড়াও আরও একটা কথা এই গ্রামে কিছু মানুষ নিজের নামও সই করতে পারে না। এই অন্ধকারে আর কতদিন থাকবে?
আমি এখন এখানেই আছি, সব কাজ শেষ করে আমার কাছে যদি সন্ধ্যের দিকে আসতে পারো, আমি তোমাদের অক্ষর পরিচয় করাবো।
এই কথা শুনে নয়নার জেঠিমা, দুই কাকিমা, আর বোন কোয়েল এগিয়ে এসে বললো, আমরাও শেখাবো।

জ্যেঠু, কাকুরা এমনকি গ্রামের সব মানুষ এই উদ্যোগের কথা শুনে ভীষণ খুশি হলো।
সুজয় চুপ করে তাকিয়ে আছে নয়নার দিকে। মনে মনে ভাবছে, ভাগ্যিস সেদিন বিয়েটা হয়নি। নয়তো নয়নার এই রূপের কথা কখনো হয়তো সে জানতেই পারতো না।
নয়না তাকালো সুজয়ের দিকে, নয়নার চোখ যেন বলছে, পারবেন আমার জন্য অপেক্ষা করতে?….

চলবে…
ভুল ত্রুটি মার্জনীয় 🙏