পাপমোচন পর্ব-০৩

0
359

#পাপমোচন (৩য় পর্ব)

রিয়াদ ভাইয়াকে খুনি বলে সম্বোধন করতেই বজলুল শিকদারের চোখজোড়া ক্রোধে জলজল করে উঠলো। বাবার দিকে ক্ষুব্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ তারপর মুখের ভাব শান্ত করে বললেন,’ দ্যাখেন ভাইসাব, আপনি এইভাবে আমার ছেলেকে সরাসরি খুনি বলতে পারেন না। মানছি আপনার রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে কোনকিছু না জেনে এতবড় অপবাদ দিবেন! রিয়াদ তো আসছে,ও আসলেই তখন সবটা জানা যাবে।’

বাবা ভদ্রলোকের কথার কোনো জবাব দিলেন না। শুধু মুখ তুলে একবার তাঁর দিকে তাকিয়ে আবার দৃষ্টি নামিয়ে নিলেন।
আপুর লাশটাকে নিয়ে যাওয়ার পর মানুষের উপচে পড়া জটলা টাও এখন খানিকটা কমে গিয়েছে। যে কয়জন আছেন তারা কেউ কেউ আমাদের নিকটাত্মীয় আর প্রতিবেশী। মায়ের গলা থেকে আর কান্না বেরুচ্ছে না। মেয়ে হারানোর শোকে দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে পাথরের মূর্তির মত একদৃষ্টিতে বারান্দায় পড়ে থাকা চাদরটার দিকে তাকিয়ে আছে। আর একটু পর হেঁচকি দিয়ে গোঙানি বেরিয়ে আসছে।
মায়ের পাশে দুজন মায়ের সমবয়েসী মহিলা বসে আছেন। একজন আপুর শ্বাশুড়ি আরেকজন জামাল চাচার স্ত্রী। তারা দুজন মিলে মা’কে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু নাড়িছেঁড়া ধন হারানোর শোক কি আর এই মিছে সান্ত্বনায় দূর হওয়া সম্ভব?

দুপুরের সময় রিয়াদ ভাইয়া আমাদের বাড়িতে এসে পৌঁছালো। তাকে দেখে বাবার চোখজোড়া হিংস্র শ্বাপদের মত ক্রোধে জলজল করে উঠলো। রিয়াদ ভাইয়া বাড়ির ভিতরে ঢুকে একবার পুরো বাড়িটাতে চোখ বুলিয়ে নিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো,’ শ্রাবণ, সুমনা কোথায়? বাবা সুমনা কোথায়?’

আমি কোনোরকম উত্তর না করে ধরা পায়ে বাবার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। বজলুল শিকদার জবাব দিলেন,’ সুমনা আর নাই রে বাবা। একটু আগে পুলিশের লোকজন এসে সুমনার মৃত শরীরটাকে পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে গিয়েছে।’

‘পোস্টমর্টেম!’
তারপর সুমনাকে হারানোর বেদনায় রিয়াদ ভাইয়াও ছোট বাচ্চাদের মত ডুকরে কেঁদে ফেললো।
বাবা এবার মুখ খুললেন,’ কেন মা*রলে আমার মেয়েটাকে? কি দোষ করেছিলো আমার মেয়েটা? এখন মারার পর নিজের দোষ ঢাকতে আবার মায়া কান্না কাঁদতে এসেছো তাই না? আমার মেয়েকে তোমার ভালো লাগতো না আমাকে বলতো পারতে,ছাড়িয়ে নিতাম আমি। তারপরও তো আমার চোখের সামনে থাকতো। ‘

বাবার কথাগুলো শুনে রিয়াদ ভাইয়া কান্না থামিয়ে জড়ানো স্বরে বললো,’ বাবা আমি কেন সুমনাকে খু*ন করতে যাব! যাকে নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসি তাকে কেন খু*ন করবো আমি।’

‘বজলুল সাহেব কিছু বলছেন না কেন এখন?’

বাবার বজ্রধ্বনি শুনে বজলুল সাহেব রিয়াদ ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন,’ আচ্ছা খোকা এই কয়দিন সুমনা কি তোমার সাথেই ছিলো?’

রিয়াদ ভাইয়া বিস্ময়ের চোখে পাল্টা প্রশ্ন করলো,’ মানে?’

‘মানে তুমি যেদিন রাঙামাটি যাওয়ার কথা বলে সকালে বের হওয়ার সময় সুমনাকে সঙ্গে করে নিয়ে বাড়ি থেকে দুজন মিলে বেরিয়ে গেলে। তারপর কি সুমনাকেও তোমার সাথে রাঙামাটিতে নিয়ে গিয়েছিলে?’

‘না। আমি একাই গিয়েছিলাম।’

বাবা এবার নিজের রাগ দমাতে না পেরে ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে গিয়ে রিয়াদ ভাইয়ার গালে ঠাস ঠাস করে কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দিয়ে ক্ষুব্ধ স্বরে বলে উঠলেন,’ মিথ্যাবাদি। তুমি সেদিন একা গিয়েছিলে তো আমার মেয়েকে কোথায় রেখে গিয়েছিলে? আমার মেয়ে এই কয়দিন কোথায় ছিলো তাহলে? আর একটা মিথ্যা বললে জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলবো একবারে।’

হঠাৎ করে বাবার এমন আক্রমনে আমরা সবাই কয়েকমুহুর্তের জন্য স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। বজলুল সাহেব দাঁতে দাঁত চেপে ছেলের গায়ে হাত তোলার অপমান সহ্য করে নিলেন। হৃদয় ভাইয়া নিজেও বাবার হঠাৎ আক্রমনের শিকার হয়ে নিজেকে ধাতস্থ করতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগলো। তারপর গালে হাত দিয়ে বললো,’ বাবা আমি এসবের কোনকিছুই জানিনা। আপনি আমাকে ভুল ভাবছেন। আমি তো সেদিন নিজেই সুমনাকে আপনাদের বাড়িতে রেখে যাওয়ার জন্য আসছিলাম। কিন্তু খানিকটা পথ আসার পর অফিস থেকে ফোন করে একঘন্টা আগে পৌঁছানোর কথা বললে,তখন সুমনা নিজেই আমাকে বলেছিলো তাকে যেন আমি একটা আলাদা গাড়ি ঠিক করে দিই। আর তারপর সুমনার কথামত আমি আলাদা একটা গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আবার অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
তারপর আর কিছু জানিনা আমি।

কিন্তু সুমনা সেদিন এখানে না আসলে আমি তাকে অন্যগাড়িতে তুলে দেওয়ার আধঘন্টা পর আমাকে যে ফোন দিয়ে বলেছিলো, সে ঠিকঠাক ভাবে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে। তাহলে সেদিন কোন বাড়ির কথা বলেছিলো সুমনা?
এমনকি আমি রাঙামাটি পৌঁছানোর পর থেকে যে কয়বার তাকে কল করেছি সে প্রতিবারই হাসিমুখে কথা বলেছে। আপনাদের খোঁজখবর নিলেও সে রোজ একইভাবে আপনাদের খোজও দিয়েছে।’

বাবা রেগেমেগে বললেন,’মিথ্যা বলার জায়গা পাওনা? তোমাদের সবাইকে আমি জেলের ভাত খাওয়াব। আমার একটা মাত্র মেয়ে,তাকেও মানসিক অত্যাচার করে করেই শেষ করে দিয়েছো তোমরা সবাই মিলে।’

‘জেল’ কথাটা উঠতেই বজলুল সিকদার পাশ থেকে বলে উঠলেন,’ খোকা তোমাকে একবার ওসি সাহেব থানায় গিয়ে দেখা করে আসতে বলেছেন।’

‘আমাকে! আমি কেন দেখা করতে যাব। বাবা আমি সত্যিই সুমনার হত্যার ব্যাপারে কোনকিছু জানিনা। সুমনাকে তো আমি নিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসতাম। তাহলে কেন তাকে মানসিক টর্চার করতে যাব আমি। বাবা তোমরা তো সবটা জানো,তাহলে বলছো না কেন কিছু।’

‘খোকা, হায়দার ভাইকে এখন কোনকিছু বলে লাভ নেই। উনি এখন মেয়ের শোকে উম্মাদ হয়ে গিয়েছেন। তুমি দেরি না করে একটাবার থানায় গিয়ে ওসি সাহেবের সাথে দেখা করে এসো।’

রিয়াদ ভাইয়া বাধ্য ছেলের মত সম্মতি জানিয়ে তৎক্ষনাৎ বেরিয়ে গেলো থানার উদ্দ্যেশ্যে। আর যাওয়ার সময় আমাকেও সাথে নিলেন তিনি।

দু’জন মিলে থানায় এসে পৌছালাম। থানার ভিতরে ঢুকে একজন কনস্টেবলকে ওসি রুদ্র স্যারের কথা বলতে কনস্টেবল আমাদের দুজনকে অপেক্ষা করতে বলে ওসি সাহেবের রুমে ঢুকলো। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে আমাদেরকে জানালো, ‘যান। রুদ্র স্যার ডাকছেন আপনাদেরকে।’

কনস্টেবলের অনুমতি পেয়ে রুদ্র সাহেবের রুমে ঢুকলাম। ভদ্রলোক তখন মনোযোগ দিয়ে একটা ফাইল ঘাটাঘাটি করছিলেন। আমাদেরকে দেখে ফাইলটা দু হাত দিয়ে বন্ধ করে একপাশে রেখে দুজনকেই বসতে বললেন।

দুজনেই পাশাপাশি দুটো চেয়ারে বসার পর ওসি সাহেব রিয়াদ ভাইয়ার মুখের দিকে একবার তীক্ষ্ম দৃষ্টি বুলিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করলেন,’ আপনিই মৃতার হাসব্যান্ড? ‘

রিয়াদ ভাইয়া উত্তর দিলো,’ হ্যাঁ।’

‘আজ ভোর রাতে আপনার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গিয়েছে। শুনেছেন নিশ্চয়?’

‘হ্যাঁ। খবরটা শুনেই তো অফিসের মিটিং ফেলে ছুটে এসেছি রাঙামাটি থেকে।’

‘আপনার বাবা বলছিলেন, আপনি নাকি যেদিন রাঙামাটি যাচ্ছিলেন সেই দিন আপনার স্ত্রীকেও সঙ্গে করে বাসা নিয়ে বার হয়েছিলেন। তারপর আপনার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন নিজেই।’

‘হ্যাঁ স্যার। তবে আমি রেখে যাইনি। মাঝপথে অফিস থেকে জরুরী কল আসায় সুমনাকে আলাদা একটা গাড়ি দেখে একা একাই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।’

‘কিন্তু আপনার শ্বশুর তো অন্যকথা বলছেন। তিনি জানিয়েছেন তাদের মেয়ে গতকাল রাতে তাদের বাড়ি এসেছে। কি ঠিক বলছি তো আমি?’

শেষের কথাটা আমার দিকে তাকিয়ে বললেন ওসি সাহেব।
উত্তর দিলাম,’জ্বি স্যার। আপু গতকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে একটা বড় সাইজের ট্রলি ব্যাগ সমেত আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলো।’

পাশে বসে থাকা রিয়াদ ভাইয়া আমার কথাটা শুনে এবার চমকে উঠে বললো,’ ট্রলি ব্যাগ মানে! সুমনা তো আমার সাথে বেরিয়েছিলো ছোট একটা হাতে ঝোলানো ব্যাগ নিয়ে। ট্রলি ব্যাগ কোত্থেকে আসলো আবার!’

‘আপুর বিয়ের সময় আমি নিজের হাতে পছন্দ করে যেই ব্যাগটা কিনে দিয়েছিলাম সেই ব্যাগটা।’

‘কিন্তু সেদিন তো সুমনা কোনো ট্রলি ব্যাগ নেয়নি। স্যার আপনার বিশ্বাস না হলে আপনি আমার বাবা-মাকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। আমি কোনো মিথ্যা বলছি না।’

রুদ্র সাহেব আমাদের দুজনার দিকেই ভ্রু কুচকে তাকালেন এবার। তারপর কণ্ঠস্বর গম্ভীর করে বললেন,’ আচ্ছা রিয়াদ সাহেব আপনার সাথে আপনার স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্ক কেমন ছিলো?’

‘ভালো স্যার। আমাদের রিলেশন করে বিয়ে। বিয়ের আগে দুবছর একে অপরকে ভালোবেসে তারপর পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। বিয়ের এই আটমাসের ভিতরে আমাদের মাঝে কোনোরকম ঝগড়া বা কথা-কাটাকাটি হয়নি।’

‘তাহলে তো অন্যকারো সাথে সম্পর্ক থাকার কথা নয়। কিন্তু মাঝের এই কয়টা দিন আপনার স্ত্রী তাহলে কোথায় ছিলো? কি মনে হয় আপনার?’

‘স্যার আমি কিছু জানিনা। সুমনা যে কেন এভাবে আত্মহত্যা করলো সেটাই তো বুঝতে পারছিনা। গতকাল বিকেলেও তো বেশ মনখুলে কথা বললো আমার সাথে। তাহলে রাতে কি এমন হলো যে তাকে আত্মহত্যা করতে হলো?’

রুদ্র সাহেব এবার ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করলেন। চোখ বন্ধ করতেই তার ফর্সা চওড়া কপালের মাঝে কয়েকটা ভাজ ফুটে উঠলো।
কিছুক্ষণ চুপচাপ চোখ বন্ধ করে থাকার পর, চোখ খুলে তাকালেন আমাদের দিকে। তারপর বললেন,’ আপনারা এখন আসতে পারেন। প্রয়োজন পড়লে আবার ডেকে নিবো। এমনকি আমি নিজেও চলে যেতে পারি। আর হ্যাঁ, এখন কিছুদিনের জন্য নিজের বাড়িতেই থাকবেন সবাই। এখন আসতে পারেন।’

ওসি সাহেবের কথা বলা শেষ হলে এবার দুজনেই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। তারপর বেরিয়ে এলাম থানার বাইরে।

‘আচ্ছা শ্রাবণ তোমার আপু কি সত্যিই তোমাদের ওখানে ছিলো না এই কয়দিন?’

থানার বাইরে এসে প্রশ্ন করলো রিয়াদ ভাইয়া।

‘না ভাইয়া। আপু আসলে আমরা মিছামিছি মিথ্যা কেন বলতে যাব।’

‘আচ্ছা এখন বাড়িতে চলো।’

দুজন মিলে আবার বাড়িতে রওনা দিলাম। পুরো বাড়িটা এখন নিরব,নিস্তব্ধ। বাবা আর বজলুল শিকদার দুজন মানুষ দু দিকে বসে আছেন। আর আপুর শ্বাশুড়ি তখনো মা’কে সান্ত্বনা দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরকে দেখে বজলুল শিকদার এগিয়ে এলেন হন্তদন্ত হয়ে। তারপর জানতে চেয়ে বললেন,’ খোকা ওসি সাহেব কি বললেন?’

‘কিছুনা। আপাতত আমাদের সবাইকে না বলে বাড়ির বাইরে কোথাও যেতে নিষেধ করেছেন। আচ্ছা বাবা আমি সেদিন সুমনাকে নিয়ে বের হয়ে আসার পর সুমনা কি আর ওই বাড়িতে গিয়েছিলো একা একা? ঠিকমত মনে করে বলো তো।’

‘না। বউমা যদি একা একা আবার যেতো তাহলে কি আর আমরা তোকে ওই প্রশ্ন করতাম?’

‘তাহলে সুমনা ট্রলি ব্যাগ পেলো কোথায়? সেদিন তো আমার সাথে বেরুনোর সময় ছোট্ট একটা হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে বেরিয়েছিলো সুমনা। আচ্ছা শ্রাবণ তোমার আপুর ওই ব্যাগটা একবার দেখাতে পারবে আমাকে?’

‘অবশ্যই পারবো। ব্যাগটা আপুর রুমেই আছে এখনো। চলুন আমার সাথে।’

কথাগুলো বলে আপুর রুমের দিকে এগিয়ে গেলাম আমি। রিয়াদ ভাইয়া আর তার বাবাও আমাকে পিছু পিছু অনুসরণ করে আপুর রুমে এসে ঢুকলো।
আলমারির সাথে হেলান দেওয়া অবস্থায় ছিলো ব্যাগটা।
আমি গিয়ে ব্যাগটা দেখিয়ে দিতেই রিয়াদ ভাইয়া তড়িৎ বেগে এগিয়ে গিয়ে ব্যাগটা সেখান থেকে সরিয়ে মেঝেতে শুইয়ে দিলো।
ব্যাগের চেইন খুলতেই আমাদের নাকে বোটকা একটা গন্ধ এসে লাগলো। তারপর ভিতরে যা দেখলাম,তা দেখে আমাদের তিনজনারই হৃৎপিণ্ডটা ভয়ের চোটে একলাফে গলার কাছে উঠে যাওয়ার মত অবস্থা হলো।

আপু গতকাল রাতে যেই ব্যাগটা তার সাথে করে নিয়ে এসেছিলো সেই ব্যাগের ভিতরে আপুর কাপড়চোপড়ের পরিবর্তে সাদা পিলিথিনে পেঁচানো বছর তিনেকের একটা বাচ্চা শিশুর মৃতদেহ ব্যাগ বন্দী করে রাখা আছে!
চলবে…

#আশিক_মাহমুদ