#পাপ
#পার্ট ৩
#Abu_saleh
রিক্সা নিয়ে টুম্পাদের কাছে যাওয়ার আগেই ওই লোক টা উধাও হয়ে গেলো।।
চোখের সামনে মানুষ এভাবে মিলিয়ে যায় কিভাবে।
এত বড় মফস্বল শহরে মানুষ এর কোনো পাত্তা পাওয়া যায় না, যদি একটু চোখের আড়াল হতে পারে,,
টুম্পা আমার চোখের সামনে থেকে কোথাই গেলো!! বুঝে উঠার আগেই।
না আর ভাবতে পারবো না, এভাবে বাচা যায় না! আজকে এর একটা বিহিত করবো! খুজে বের করবো লোক টা কে ছিলো।
১০ টা বছর ধরে একটা মানুষ কে এভাবে সহ্য করে আসছি,, যা আজকাল কোনো মানুষ করবে না
শুধু মাত্র মানুষ টাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি বলে আজ এভাবে তাকে নিয়ে পড়ে আছি।
আমি নিলুফা,। আমার স্বামী নিরাজ রাহুল!ও বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান। ১০ বছর ধরে মা হবার স্বাদ পায়নি।পায় নি বললে ভুল হবে,,
যদি নিজের স্বামী অন্যমনস্ক থাকে এসব নিয়ে তাহলে কি মা হওয়া যায়।
আমি বাড়ি ফিরে এলাম,, আর ভাবতে লাগলাম,, এত বছর ধরে কেনো এত উদাসীন থাকে ও, আর কেনোই বা এত বাজে ব্যবহার আমার সাথে করে।
নিজের শশুর বাবা ও আমাকে দেখতে পারে না। এখন আমার কাছে সব টাই পানির মতো পরিস্কার হয়ে গেছে।
শাশুরি শুধু একটু ভালোবাসে, সেটা কেনো তাও জানি না।
হয়তো আমি স্কুল টিচার, চাকরি করি বলে, আমার টাকাই সংসার চলে বলে, সব টাই আমার মনের সন্ধেহ।
মাথা ভনভন করছে এসব ভাবতে ভাবতে। বাড়ির গেইটে আসলাম, আর এগুতে পারলাম না,,,!
শুধু একবার উপরে চাইলাম, আর পড়ে গেলাম,,
আর কিছুই মনে নাই।
চোখ খুলে দেখি হাসপাতালের বিছানাই। মাথার পাশে আমার প্রাণপ্রিয় স্বামী,আর শাশুরি বসে আছে।
আর মাথাই হাত ভুলাচ্ছে আমার শাশুরি।
,তুমি ঠিক আছো তো মা নিলু? এখন কেমন লাগছে তোমার ?
উনি আমায় নিলু বলেই ডাকে,,,
আজকে আমার উনির চোখে একটু মায়া দেখলাম সামান্য পানি ছিলো।
সেটা কি আমার জন্য কি না তাও আমার এখন সন্ধেহ হচ্ছে।
মনের ভিতর রাখতে না পেরে আমি সরাসরি রাহুল কে জিজ্ঞেস করে বসি শাশুরির সামনে,,,
,,আজকে রিক্সায় তুমি ছিলে তাই না??? টুম্পার ছেলে টা তোমার?? ধরে পড়ে গেলে রাহুল তুমি,,, আমার চোখ কে এভাবে ফাকি দিতে পারবে না,, এত বছর ধরে আমার সাথে এভাবে খেলা করলা তুমি রাহুল কেনো,,, তুমি না আমায় ভালোবাসতা? চাদেঁর সাথে আমাকে তুলনা করতা,, আমায় নিয়ে ইহকাল পরকাল থাকবা বলছিলা?
সেসব কি একবার এর জন্য ও মনে পড়ে নাই তোমার???
আমি হাউমাউ করে কেদে দিলাম ©
হঠাৎ এসব বলাতে রাহুল জেনো আসমান থেকে পড়েছে।
(নিলু এসব জানলো কি করে এবার কি বলবো ওকে আমি,, ও কি সত্যি দেখে ফেললো আমাকে। এত বছর এর অপেক্ষা কি তাহলে বৃথা যাবে!!এভাবে সব শেষ হতে দেওয়া যাবে না,, কিছু একটা করতে হবে
,,কি বলছো পাগলের মতো! মাথা ঠিক আছে তোমার, মনের মধ্যে শুধু এসব নিয়ে থাকো, এই জন্য আবল তাবল বকছো,??
রাহুল এর কথার উত্তর দিতে যাওয়ার আগে শাশুরি মা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো,,
,,বউমা তুমি অসুস্থ তাই হয়তো কাকে না কাকে দেখেছো ঠিক নাই,,, তুমি বরং একটু রেষ্ট করো, একদম একটু কথাও বলো না তোমার শরির একদম দুর্বল হয়ে গেছে একদম।
এই বলে উনি বাইরে গেলেন। তখনি আমি রাহুল এর হাত টা ধপ করে ধরে ফেলি,,,
এতে ও ঘাবড়ে যায়। আর বললো,,,
,,কিছু বলবে নিলু,,???
,হে অনেক কিছু, যা তোমার কাছেই উত্তর আছে! কেনো করলে আমার সাথে এমন এত টা বছর ধরে??
পাগলের মতো ভালোবেসেছি,,যা বলেছো তাই করেছি?
নিজে সন্তানের মা হতে পারিনি তোমার দিকে চেয়ে?
কেনো করলে এমন টা আমার সাথে,,, আর পালিয়ে যেতে পারবে না এবার তোমাকে বলতেই হবে কেনো করলে এমন টা আমার সাথে তোমরা সবাই,,,
ও কিছু না বলে দরজার দিকে যেতে লাগলো, আমি আবারো বললাম,,
,,, এখান থেকে যদি তুমি আজকে যাও তাহলে এটাও মনে রেখো, আমার লা/শ নিয়ে যেতে হবে বাড়িতে!?
রাহুল আর এক পা এগুতে পারলো না।
সোজা আমার কাছে এসে আমার গালে দুই টা থা/প্পর মারলো। আর আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলো,,
,তুই মরলে আমার কি হবে, আমি কি নিয়ে বাচবো বল,,যেই ভয়ে এত দিন দূরে ছিলাম সেটাই বলো কেনো!!
বলেই পাগলের মতো আলিজ্ঞন করতে লাগলো।
আমার কাছে মনে হয়ছে জেনো আমি সেই আমার রাহুল কে দেখতে পাচ্ছি,যে আমার কিছু হলে নিজের জীবন এর মায়া ত্যাগ করে আমার সেবা করেছে, আজকে আমার স্বামীকে খুজে পাচ্ছি সেই ৯ বছর আগের রুপে।
আমার তুতনি তে তার ভালোবাসার পরস দেওয়াই বুঝিয়ে দিচ্ছে আমি জেনো নতুন করে বাচতে চাই!
তার চোখের পানি দিয়ে আমার গাল ভিজিয়ে দেওয়া এই বুঝিয়ে দিচ্ছে কত টা কষ্ট নিয়ে সে এত টা বছর পার করেছে!
তার বুকের সাথে আমার মাথা টা লাগিয়ে আমি শুনতে পাচ্ছি সে বলতে চাইছে,,,
তুমি মরলে আমার কি হবে, আমরা তো এক সাথে বুড়ো হতে চেয়েছিলাম!
আমার সাড়া মুখে তার ভালোবাসার আলিজ্ঞন দেওয়ায় আমার এত কষ্ট, এত যন্থনা লাগব করে হয়ে যাচ্ছে
,
আমিও তাকে বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিলাম আর বললাম,,,
,,বলবা না আমায় রাহুল!!?
হে বললো আজকে সব,বলবো, আর পারবো দূরে থাকতে অনেক সহ্য করেছি???
চলবে,,,,