#পাপ
#পার্ট ৪
#Abu_saleh
,,এত বছর কেনো দূরে ছিলাম জানো? আমি তোমাকে বাচাতেই এত টা দূরে ছিলাম বুকে পাথর বেধেঁ!
,,আমাকে বাচাঁতে মানে কিসব বলছো??
,,হে যা শুনেছো তা একদম সত্যি কথা!কারণ তোমার মা বাবা আর আমার মা বাবা আমাকে বাধ্য করেছে টুম্পার পেটে আমার সন্তান ধারণ করাতে!!! কারণ
তোমাদের পারিবারিক ত্রান্তিক কবিরাজ তোমার ভবিষ্যৎ দেখছে বললো সে, আর সেটা এমন ভাবে বর্ণনা দিয়েছে যা আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি!!উনি বলছে তুমি বাচ্চা ধারণ করলেই তোমার মৃত্যু অনিবার্য!!
সেটা আমি বিশ্বাস করি নাই,,, কিন্তু এখানে তোমার মরণ এর কথা সেখানে আমার হুস উড়ে গিয়েছিলো,,,
তখন তারা আরো অনেক ত্রান্তিক দেখায়,কিন্তু তারাও একি কথা বলে!!! তখন আমার হুস নেই।
আমি পাগলের মতো করতে থাকি!! যা তোমার কাছে তখন বিষের মতো লাগতো,,,
শেষ এ সিন্ধান্ত নিলাম এভাবেই কাঠিয়ে দিবো সাড়া টা জীবন।
এভাবে চলতে থাকলো। এক বছর দুই বছর প্রায় তিন বছর পর আমার মা আমাকে ব্লেকমেইল করতে শুরু করলো!!
তিনি বলতো আমার আর কোনো ওয়ারিশ নাই!!!তুই আমার শেষ সম্বল!!! তুই আর একটা বিয়ে কর না হয় আমাদের মেরে ফেল।
কিন্তু আমি মা কে বলি আমার জীবন থাকতে এ কাজ আমার ধারা হবে না।।
আমি শুধু নিলুফার হয়ে সাড়া টা জীবন থাকতে চাই।
এর পরে কেটে গেলো প্রায় এক বছর।
তোমার মা বাবা ও আমাকে এক পর্যায় জুর করে জেনো আমি আরেক টা বিয়ে করি।
কিন্তু আমি অনড়!!! আমি তোমাই নিয়ে কাটাবো সাড়া জীবন এসব বলতাম।
কিন্তু কাল রাত টা আসে সেদিন যেদিন তুমি বাসাই ছিলে না!!!
সেদিন টুম্পা আমাদের বাসায় থেকে যায় রাত্রে! আর আমি সেদিন বাসাই ফিরে আসি নেশা করে।।
আমার মা আর টুম্পা আমাকে দরজার সামনে থেকে মাতাল অবস্থাই ধরে ঘরের ভিতর নিয়ে আসে??
এই টুকুই জানি,,,,
বাকি টা আমার মা যা বললো তাই আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়,,
বাবা কিছুই জানতো না,, যখন টুম্পার প্রেগন্যান্ট হলো, তার পেট উচু হতে শুরু করলো তখন বাবা আর আমাদের সবার নজরে আসে,,,
টুম্পা বাবা আর মা কে বলেছে যেদিন রাতে আমি নেশা করে বাড়ি ফিরি সেদিন রাতে নাকি আমি তার সাথে মেলামেশা করি, তার ফল এটা।
আমার তখন মাথায় জেনো বাজ পড়লো!!!
এটা কিভাবে সম্বভ!! যে আমি কোনো দিন কোন মেয়ে কে পর্যন্ত একটু বাজে কথা বলতাম না সে নাকি মাতাল অবস্থাই একজন নারীর সম্ভ্রমহানী করলাম,, এটা কিভাবে বিশ্বাস করি,,তখন মা ও বিশ্বাস করে নাই।তাই ওকে নিয়ে
মসজিদে নিয়ে যায় যাতে ও মিথ্যা কথা না বলে।
কিন্তু তার একি কথা,,, মসজিদে গিয়েও সে একি কথা বললো।
এই পর্যন্ত বলে রাহুল থামলো। তার চোখ দিয়ে অঝর ঝরছে পানি।
আমি তার মাথা টা আমার বুকে চেপে ধরে নিজেও কেদে দিলাম।
আর বললাম,,
,,, এত কিছু হয়ে গেলো, আমাকে কেউ জানাই নি,,,, একটা বার তুমি আমাকে বলতে পারতা।
,,,বলতে পারতাম,, কিন্তু তুমি কিভাবে নিবে সেটা ভেবে আমার অনেক কষ্ট হতো!!!
,,,,তাহলে এই বাচ্ছা টা কি তোমার, আর টুম্পা কে কি তুমি বিয়ে করেছো???
,,নাহ আমি বিয়ে করি নাই,,, আমি আর মা মিলে তাদের ভরণ পুষণের দায়িত্ব নিয়েছি,, লোক চক্ষুর আড়ালে,!!!!
,,,তুমি এত টাই বোকা যে জানোই না!!এখন ডিএনএ টেষ্ট করে যানা যায় কার বাচ্ছা!!!
???
,,কি মনে করেছো চেষ্টা করি নাই, করেছি,,কিন্তু ফলাফল পজেটিভ??
,, তুমি কি এমন করেছো ওর সাথে রাহুল,,,???
কান্না করে দিলো নিলু।
,,বিশ্বাস করো নিলু!!আমার একটু ও মনে নাই,,,, আমি এমন করি নাই এর পরেও এমন কি করে হলো বলো???
,,,,তাহলে আমি ও মানি না?? তুমি এমন টা করতেই পারো না!!!
আমি আবার বড় ডাক্তার এর কাছে যাবো,, টুম্পা কে নিয়ে!!!!
,,,, হে আর এবার সব চেষ্টা টাই করবো আমার ছেলে এমন কাজ করবে আমার ও বিশ্বাস হচ্ছে না?? তাই টুম্পা কে ধরে নিয়ে এসেছি!!
বাইরে থেকে রাহুল এর মা টুম্পা কে নিয়ে দাঁড়িয়ে কথা গুলো বললো।
আমি টুম্পা কে দেখে বেড থেকে নেমে আস্তে করে তার কাছে গিয়ে টুম্পার গালে দুই টা থাপ্পর দিয়ে বললাম,,,,
এবার বল তুই, এই বাচ্চা কার,,না হলে তোকে আজকে মেরেই ফেলবো
টুম্পা সবার চাপে বলেই দিলো কার সন্তান,,,
যা শুনে কারো বিশ্বাস হচ্ছে না যে এটা উনি করতে পারে,, যাকে আমরা সবাই এত এত সম্মান করতাম সে এই কাজ করতে পারে?????
চলবে????