পারমিতা পর্ব-০৬

0
85

#পারমিতা
#পর্ব_৬
#লেখিকা_Nabila_Ahmed

দুপুরের খাবার খেতে সকলেই ড্রাইনিং টেবিলে বসে আছে। হাবিব চৌধুরীর বাম পাশেই ওয়াহিদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী বসেছে। অন্যদিকে ডান পাশে আনিকা চৌধুরী বসেছে। আনিকা চৌধুরীর পাশে আবরার বসেছে। একটু পরেই মায়া চৌধুরীর পাশে এসে বসে মিতা।

–অরিয়ন কোথায়??
জিজ্ঞেস করে হাবিব চৌধুরী।

–ওর খাবার রুমে পাঠিয়ে দিবো।
জবাব দেয় আনিকা চৌধুরী।

–আমার মনে হয় অরিয়ন ভাইয়াকে কিছুদিন সময় দেওয়া উচিৎ। ৬ টা বছর কিন্তু কম নয়।
হুট করে বলে উঠে আবরার।

–আমার ও তাই মনে হয়।
সায় দেয় ওয়াহিদ চৌধুরী।

–আফরিনের আর কোনো খবর পাওয়া গেলো??
প্রশ্ন করে মায়া চৌধুরী।

–খোজ চলছে মায়া, দু একদিনের মধ্যেই সব জানানো হবে।
জবাব দেয় হাবিব চৌধুরী।

–আর মিতা??
কণ্ঠস্বর একটু নিচু করে বলে মায়া চৌধুরী।

মায়া চৌধুরীর কথা শুনে কনফিউজড হয়ে মায়া চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে থাকে মিতা।

–মিতাকে নিয়ে আবার কি??
প্রশ্ন করে উঠে আনিকা চৌধুরী।

–মিতা আর অরিয়নের তো বিয়ে হয়ে গেলো।
বলে মায়া চৌধুরী।

— হ্যাঁ হয়েছে তো? কোন অবস্থায় বিয়ে হয়েছে তা কি তুমি জানোনা মায়া?? এটা বিয়ে বললে ভুল হবে।
উত্তর দেয় আনিকা চৌধুরী।

–ভুল করার জন্য কি আমার মেয়েকেই চোখে পড়লো আপনাদের আপা?
রেগে গিয়ে বলে মায়া চৌধুরী।

–আনিকা তুমি চুপ করো। আর মায়া শুনো..।
আনিকা চৌধুরীকে চুপ করিয়ে দিয়ে মায়া চৌধুরীর দিকে মনোযোগ দেয় হাবিব চৌধুরী।

–অরিয়নকে তো তুমি ভালো করেই চিনো। আমার মনে হয় এখন বিয়েটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করে যেমন যাচ্ছে সব তেমন রাখলেই ভালো হবে।

–কিন্তু ভাইয়া মি..

–আমাকে কথা বলতে দে, ওয়াহিদ। আমার কথা এখনো শেষ হয়নি। মিতা এখানেই থাকবে, আমার ছেলের পুত্রবধূ হিসেবে।
বলে হাবিব চৌধুরী।

–কিন্তু বাবা, ভাইয়া মিতাকে মানবে না। তাহলে কেনো শুধু শুধু দু জনকে এই সম্পর্কে আটকে রাখবে।
হুট করেই মাঝখান থেকে বলে উঠে আবরার।

–বড়দের মাঝখানে কথা বলা কে শিখিয়েছে তোমাকে হ্যাঁ?? চুপ করে কথা শুনো আর না হয় চলে যাও। কোনটা ভালো কোনটা খারাপ তা আমার জানা আছে।
রাগন্ত কণ্ঠে কথাগুলো আবরারকে বলে হাবিব চৌধুরী।

–সরি বাবা।
মাথা নিচু করে বলে আবরার।

–মিতা এখানেই থাকুক, আগের মতোই সব চলুক। কলেজে যাওয়া আসা সব কিছু আগের মতোই থাকবে এরপর অরিয়ন একটু নর্মাল হলে ওর সাথে এই ব্যাপারে কথা বলবো। কিন্তু..
কথাগুলো বলে থেমে যায় হাবিব চৌধুরী।

–কিন্তু কি ভাইয়া??
প্রশ্ন করে ওয়াহিদ চৌধুরী।

–কিন্তু ডিভোর্স নিয়ে আমি কিছু ভাবছি না। বিয়েটা যখন হয়েই গেছে তখন এটা টেকানোর জন্য একটু চেষ্টা করা উচিত সকলের।

–কিন্তু আপু??
নিচু স্বরে বলে উঠে মিতা।

–কিন্তু আফরিন কি? আফরিন আর অরিয়নের কেউ না। নিজের টা ভাবো।
কড়া কণ্ঠে বলে হাবিব চৌধুরী।

–ওকে চাচ্চু।
কথাটা বলেই চুপ হয়ে যায় মিতা।

–ওয়াহিদ, খাওয়া শেষ হলে আমার স্টাডি রুমে আসিস কথা আছে।
টেবিল থেকে উঠে যেতে নিয়ে বলে হাবিব চৌধুরী।

–আচ্ছা ভাইয়া।
উত্তর দেয় ওয়াহিদ চৌধুরী।

চুপচাপ বসে খাবার খেতে থাকা মিতা সামনের দিকে তাকাতেই চোখে চোখ পড়ে আবরারের সাথে। আগে থেকেই মিতার দিকে তাকিয়ে আছে আবরার। মিতা কিছু না বলে মৃদু এক হাসি দিতেই আবরারও আলতো করে এক হাসি দেয়। ধীরে ধীরে মিতার উদ্দেশ্যে বলে উঠে-

–এভরিথিং উইল বি অলরাইট।

আলতো এক হাসি দিয়ে খাবার খেতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে মিতা।

“সবকিছু ঠিক হবে না” মনে মনে ভাবে মিতা। অরিয়নের মতো ছেলে চেয়েছিলো মিতা কিন্তু অরিয়নকে তো চায়নি। নাকি মিতার নজর ই লেগে গেলো অরিয়ন আর আফরিনের সম্পর্কের উপর? কি থেকে কি ভাবছে কিছুই জানেনা মিতা। শুধু জানে যা হচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে না।

****************

৩ দিন পর।

ড্রয়িং রুমে সবাইকে ডেকে পাঠিয়েছে হাবিব চৌধুরী। সবাই এসে বসে অপেক্ষা করছে অরিয়নের জন্য। আবরারের পাশে বসে আছে মিতা। দোতলায় সিড়ির সামনে অরিয়নকে দেখে যেন নার্ভাসনেস বেড়ে চলেছে মিতার। অরিয়নের দিকে তাকিয়েই চোখ নামিয়ে নেয় সাথে সাথে। বার বার মনে পড়তে থাকে রাগন্ত অরিয়নের চেহারাটা। নিজের অজান্তেই নখ কামড়াতে থাকে মিতা। পাশে বসে থাকা আবরারের নজর থেকে যেন কোনো কিছুই বাদ পড়ছে না। আলতো করে নিজের হাত দিয়ে মিতার হাত ধরে মুখ থেকে নামিয়ে নেয়।

অরিয়ন সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে সরাসরি গিয়ে বসে আনিকা চৌধুরীর পাশে। মিতা আড় চোখে তাকায় অরিয়নের দিকে। সামনে বসে থাকা অরিয়নের পরণে সাদা টি শার্ট আর ট্রাউজার, চুল ভেজা, দেখে মনে হচ্ছে ঘুমিয়েছিলো আসার সময় চুলে আর মুখে পানি দিয়ে এসেছে। চোখের চাহনিতে কোনো মায়া,ভালোবাসা কিছুই নেই। গম্ভীর এক চাহনি মনে হচ্ছে একটা রোবট। মিতার সাথে চোখাচোখি হতেই চোখ সরিয়ে নেয় অরিয়ন।

–কি জন্য ডেকেছিলে??
গম্ভীর কন্ঠে বলে অরিয়ন।

–আফরিনের মিসিং হওয়া নিয়ে কথা বলতে।
বলে উঠে হাবিব চৌধুরী।

–আফরিনকে পাওয়া গেছে?? কোথায় আফরিন?? অন্য ছেলের কথাটা মিথ্যে তাই না??
ডেস্পারেটলি একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে অরিয়ন। আফরিনের নাম শুনতেই যেন এক আশার আলো ফুটে উঠলো চোখে।

–আফরিনের কি অবস্থা এখন ভাইয়া? আইজিপি কি জানালো??
বলে উঠে মায়া চৌধুরী।

–পুলিশ যা সন্দেহ করেছিলো তাই। আফরিন কোনো ছেলের সাথেই পালিয়েছে। যেই ছেলের সাথে পালিয়েছে সে আফরিনের এক ক্লাসমেট ছিলো। আফরিনকে যেদিন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না সেদিন থেকে ঐ ছেলেকেও পাওয়া যাচ্ছে না।
কথাগুলো বলে একটু অপেক্ষা করে হাবিব চৌধুরী।

–আফরিনের কোনো খবর না পাওয়া নিয়ে পুলিশ সন্দেহ করছে অনেকদিন ধরেই এই প্ল্যান করা হয়েছিলো যেন বর্ডার পাড় করে ফেললে ওদের আর কেউ খোজ না পায়। নিজে থেকে না পালালে এরকম হওয়ার কথা না।
বলে ফেলে হাবিব চৌধুরী।

হাবিব চৌধুরীর কথা শুনে নিজের স্বামীর দিকে তাকাতেই মায়া চৌধুরী বুঝতে পারে হাবিব চৌধুরী যা বলছে তা আগে থেকেই জানতে পেরেছে ওয়াহিদ চৌধুরী। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মায়া চৌধুরী। পাশে বসে থাকা মিতা নিজের মাকে জড়িয়ে ধরে নিজেও কান্না করতে থাকে।

–আজ থেকে এই মেয়ে মরে গেছে আমার জন্য।
কান্না করতে করতে বলে মায়া চৌধুরী।

অরিয়ন কোনো কথা না বলেই উঠে নিজের রুমে চলে যায়।

–অরিয়নকে না জানালেও পারতে হাবিব।
বলে আনিকা চৌধুরী।

–বলাটা দরকার ছিলো আনিকা, এখন ও আর আফরিনের আশায় থাকবে না।
বলে হাবিব চৌধুরী।

*****************

১ মাস পর।

এক মাস ধরে এই বাড়িতেই থাকছে পারমিতা। যদি আগের আর এখনের মধ্যে তফাৎ শুধু এটাই আগে এই বাড়িতে মিতা বেড়াতে আসতো আর এখন একেবারে আছে। এখান থেকে কলেজ থেকে শুরু করে সবটাই করছে।

মন চাইলে নিজের বাড়িতে গিয়ে মা বাবার সাথেও দেখা করে আসে মিতা। যদিও ওটাও মিতার আসল বাড়ি নয় তবুও ছোট থেকে থাকার কারণে সেটাই মিতার আসল বাড়ি হয়ে উঠেছে।

এই এক মাসে মিতা সব থেকে বেশি মিস করেছে আফরিনকে। আফরিন ছাড়া সব কিছু কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগে। এরপর মিস করেছে মিতার অনিয়ন ভাইয়াকে। হাসি খুসি থাকা সেই অরিয়ন কোথায় গেলো তা মিতা জানেনা। এই ১ মাসে মিতার সাথে খুব কমই দেখা হয়েছে অরিয়নের। আর যখন দেখা হয়েছে তখন এক প্রকার ইগনোর করেই চলে গেছে।

আজ কলেজে মিতার কেমিস্ট্রি ক্লাস টেস্ট হওয়ার কথা। সকাল ৬ টা থেকেই উঠে পড়া শুরু করেছে মিতা। পড়ালেখা নিয়ে কম্প্রোমাইজ করতে পছন্দ করে না মিতা। সকাল ৮ টা বাজতেই তাড়াতাড়ি করে গোসল সেরে কলেজ ড্রেস পড়েই চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে নাস্তা খেতে নিতে চলে আসে।

–শায়লা আপু, তাড়াতাড়ি নাস্তা দেও।
নাস্তা চাইতে চাইতে হাবিব চৌধুরীর পাশে গিয়ে বসে মিতা।

–গুড মর্নিং মিতা।
বলে হাবিব চৌধুরী।

–গুড মর্নিং চাচ্চু।
হেসে উত্তর দেয় মিতা।

–আজ এতো সকাল সকাল, এক্সাম আছে নাকি।

–হ্যাঁ চাচ্চু, নাস্তা খেয়েই বের হয়ে পড়বো এখনি।

অরিয়ন ব্রিফকেস হাতে নিয়ে নাস্তার টেবিলে হাবিব চৌধুরীর পাশে গিয়ে বসে।

হঠাৎ করেই অরিয়নকে দেখে অবাক হয়ে যায় মিতা। সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট আর কোর্টে সব সময় অরিয়নকে দেখে এসেছে মিতা। প্রতিদিন সকালে অফিসে গেলে এভাবেই যায় অরিয়ন। কিন্তু আজ এতো সকালে দেখা হয়ে যাবে তা ভাবতেই পারেনি মিতা।

–গুড মর্নিং অরিয়ন ভাইয়া।
অরিয়নের দিকে তাকিয়ে বলে মিতা।

–গুড মর্নিং।
নিজের খাবারের দিকে তাকিয়ে বলে অরিয়ন।

মিতা আর কোনো কথা না বলে নিজের নাস্তা খেতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

–আজ এতো সকালে অফিস কেনো যাচ্ছিস??
অরিয়নকে প্রশ্ন করে হাবিব চৌধুরী।

–আজ একটা নতুন সাইটে যেতে হবে তাই।

–ওহ।

–আমার খাওয়া শেষ। আমি যাচ্ছি।
বলেই উঠে যায় মিতা।

–মিতাকে তোর সাথে নিয়ে যা। গাড়ি করে কলেজে নামিয়ে দিস।
অরিয়নের দিকে তাকিয়ে বলে হাবিব চৌধুরী।

হাবিব চৌধুরীর কথা শুনে দাঁড়িয়ে পড়ে মিতা। কিছু না বলে তাকিয়ে থাকে অরিয়নের দিকে। অরিয়ন নিজের বাবার দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে।

–আচ্ছা।
বলে অরিয়ন।

মিতা যেন বিশ্বাস করতে পারছে না।

–তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয় মিতা না হয় অরিয়ন রেখেই চলে যাবে।
বলে হাবিব চৌধুরী।

–আচ্ছা চাচ্চু।
কথাটা বলেই দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায় মিতা।

তাড়াতাড়ি করে দুটো বেনি করে বই খাতা সব গুছিয়ে নিয়ে কাধে ব্যাগ নিয়ে নিচে নেমে আসে মিতা। দরজার সামনে ব্রিফকেস হাতে দাঁড়িয়ে আছে অরিয়ন। মিতাকে আসতে দেখেই গাড়িতে গিয়ে বসে পড়ে অরিয়ন। মিতাও গিয়ে অরিয়নের পাশে বসে।

ড্রাইভার গাড়ি চালাতে ব্যস্ত। ৫ মিনিট ধরে গাড়ি চলছে তাও অরিয়ন বা মিতা কেউ কোনো কথা বলছে না। নিজের মোবাইলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে অরিয়ন অন্যদিকে আড় চোখে একটু পর পর অরিয়নের দিকে তাকিয়ে অরিয়নকে দেখছে মিতা।

–কিছু বলবি??
হঠাৎ করে বলে উঠে অরিয়ন।

হুট করেই অরিয়নের কথা শুনে ভয়ে লাফিয়ে উঠে মিতা।

–না না, কিছু বলবো না।
আমতা আমতা করে জবাব দেয় মিতা।

–তাহলে এভাবে বলদের মতো তাকিয়ে আছিস কেনো??
মিতার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে অরিয়ন।

“আমি তাকিয়ে আছি তা তুমি কীভাবে বুঝলে?” মনে মনে ভাবে মিতা। মিতার কথাটা যেন অরিয়ন বুঝতে পারলো মিতার চেহারা দেখে। নিজের হাতের আঙ্গুল দিয়ে জানালার কাচের দিকে ইশারা করতেই বুঝতে পারে মিতার প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে সেখানে।

–অহ।
ভ্যাবাচেকা খেয়ে বলে মিতা।

–তুমি কি আমার সাথে এখনো রাগ করে আছো??
প্রশ্ন করে মিতা।

মিতার প্রশ্ন শুনে আবারও মিতার দিকে ফিরে তাকায় অরিয়ন। অরিয়নের চেহারা দেখে যেন কিছুই বুঝতে পারছে না মিতা।

–না, আমি রাগ নিজের সাথে।
বলে অরিয়ন।

–তুই এখনো ছোট মিতা। যা হয়েছে তাতে তোকে জড়ানো ঠিক হয়নি।
বলে অরিয়ন।

–বাবা আর চাচ্চু বলে এটা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না তাদের।
ধীরে ধীরে বলে মিতা।

–তারা তাদের জ্ঞান হারিয়েছে নিজের সম্মানের কারণে। তাদের চোখে তোর আর আমার ১১ বছরের পার্থক্য চোখে পড়েনি।
রাগ হয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে অরিয়ন।

–তোর আর আমার এটা সম্ভব নয় তা তারা বুঝতে পারবে খুব তাড়াতাড়ি।
আঙ্গুলের ইশারা দিয়ে নিজেকে আর মিতাকে দেখিয়ে বলে অরিয়ন।

–হুম।
বলে উঠে মিতা।

–এই সম্পর্কে তোর থাকতে হবে এমনটা ভাবিস না তুই। নিজের পড়ালেখায় মন দে। আমি সব ঠিক করে দিবো।
হুট করেই মিতার মাথায় হাত দিয়ে বলে উঠে অরিয়ন।

অরিয়ন কি বললো তাতে যেন ধ্যান গেলো না মিতার। যা চোখে ভাসছে তা হলো সামনে বসে থাকা অরিয়ন। নিজের মাথায় অরিয়নের হাত অনুভব করতেই যেন প্রতিনিয়ত হার্টবিট বেড়েই চলেছে মিতার। সম্পর্কের কি হবে? তা মিতা জানেনা শুধু জানে অরিয়নকে হাসিখুশি দেখতে চায় মিতা। শুধু জানে অরিয়নের সাথে মিতার সম্পর্ক আগের মতো সুন্দর হলেই হবে। এতে যদি এই বিয়ের সম্পর্ক শেষ হয়ে যেতে হয় তাহলে বরং তাই হবে।

চলবে….