#পিঞ্জিরা
#পর্ব_১৫
#জান্নাত_সুলতানা
রিহান অসুস্থ শরীর নিয়ে বসে আছে বেডে।তাকে শুয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ডক্টর। কিন্তু সে বসে আছে।পরিবেশ টা থমথমে। কেউই টুঁশব্দ করছে না।কেউ বসে আছে তো কেউ দাঁড়িয়ে আছে।রিহান এর বরাবর সামনের একটা চেয়ারে বসে আছে মিরা।
মেয়ে টার শরীর দূর্বল।তারমধ্যে এতজন মানুষ আর হঠাৎ বিয়ে বিষয় টা এমন পরিস্থিতির সাথে জুড়ে গিয়েছে হয়তো সেইজন্য অস্বস্তি হচ্ছে। রিহান দুর্বল চোখ জোড়া মেলে পিটপিট করে মিরা’র দিকেই তাকিয়ে আছে। মিরা’র হয়তো সেইজন্য অস্বস্তি হচ্ছে। রিহান দৃষ্টি ঘুরিয়ে কাজির দিকে তাকায়।তিনি কাজে খশখশ করে কিছু লিখছে।সে বিরক্ত হয়।এতো দেরি কেনো করছে কাজি সেটা বুঝতে পারছে না। রমজান শেখ নাতির মুখের দিকে তাকিয়ে আড়ালে মুচকি হাসে।মেয়ের অভিমান ভাঙ্গছে ধীরেধীরে। এতেই তিনি খুশি।তিনি মেয়ে রোকেয়ার দিকে একপলক তাকিয়ে
নীরবতা ভেঙ্গে কাজি কে তাগাদা দিয়ে বললো,
-“আমার দাদু ভাই অসুস্থ কাজি সাহেব।বিয়ে টা আপনি শুরু করুন।”
কাজি পান খেয়ে লাল করে রাখা ঠোঁট জোড়া এলিয়ে হাসে।সাদা দাড়ির ফাঁকে খারাপ লাগে না।মিরা’র ভালো লাগলো।তবে হঠাৎ নিজের দাদার কথা মনে পরে মন টা বিষণ্ণ হয়।বাবা-র অল্প বয়সে দুনিয়ায় ত্যাগ করার ফলে দাদার সাথে তার শৈশবে কাটানো স্মৃতি বেশি। বাবা দাদার কথা মনে পড়ে মিরা’র অস্বস্তি ভুলে মন খারাপ হয়।পাশে দাঁড়িয়ে আছে নিনা বেগম কমলা বেগম। তাদের ডাকেই মিরা’র ভাবনা ছুটে।অপ্রস্তুত হয়।
নিনা বেগম কাঁধ হাত রাখে।মিরা তাকায় নানির দিকে।নিনা বেগম ইশারায় কাজি সাহেব কে দেখায়।মিরা সেদিকে তাকাতেই কাজি হাসি বজায় রেখেই কবুল বলতে বলে।মিরা’র যেন কথাখানি শ্রবণ হলেও মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের করতে পারে না। কণ্ঠনালী কাঁপছে মেয়ে টার। সব কিছু কেমন স্বপ্ন মনে হচ্ছে। একপলক করে সবার দিকে তাকিয়ে রিহান এর দিকে তাকাতেই রিহান ভরসার দৃষ্টিতে তাকায়।মিরা রিহান এর দিকে তাকিয়ে থেকেই পরপর তিন বার কবুল বলে দিলো।রিহান স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে। অতঃপর নিজের পালা আসতেই সময় নিলো না।রিহান কবুল বলার পর-ই সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে।কাজি সব কাজ শেষ করে দু’জন এর সিগনেচার করালো।অতঃপর সব ফর্মালিটি পূরণ করে বিদায় নিলো।
আস্তে আস্তে সবাই গেলো।রিহান কে একজন নার্স এসে একটা ইনজেকশন দিলো।ব্যাথার ঔষধ মিরা পাশে বসে দেখে।মানুষ টার জেদি মিরা আগে থেকে জানতো।কিন্তু এতোটা সেটা কখনো ভাবে নি।দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস ছাড়ে। গায়ে মিরা’র সেই ধুলোমাখা সাদা কলেজ ড্রেস। আর এটা পড়েই বিয়ে হয়েছে। হয়তো সে প্রথম যে কলেজ ড্রেস পড়েই বিয়ের পীড়িতে বসেছে।
রিহান চোখ বন্ধ করে ছিলো।মাথা টা এতো সময় ব্যথায় টনটন করলে-ও ইনজেকশন দেওয়ার পর কিছু টা যেন হালকা লাগছে।কেবিনে তখন কেউ নেই।মিরা’র মা দাদি বাড়িতে চলে গিয়েছে। বাহিরে শেখ বাড়ির সবাই আছে মিরা’র জানা মতে।রিহান পিটপিট করে চোখ মেলে মিরা’র দিকে তাকালো।মিরা রিহান এর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলো বিধায় দু’জনের চোখাচোখি হলো।মিরা অপলক তাকিয়ে থাকে রিহান এর মুখের দিকে। ঠোঁটের এক পাশ লাল হয়ে ফুলে আছে। মাথায় ব্যান্ডেজ।মিরা’র বুকের ভেতর চিনচিন ব্যথা হয়।মানুষ টা কত সহজেই তার হয়ে গিয়েছে। অদ্ভুত এক মায়া পুরুষ টার জন্য আগে থেকে থাকলে-ও আজ যেন মানুষ টা নিজের।তার স্বামী অসুস্থ। বিছানায় শুয়ে। কতোটা কষ্ট না পেয়েছে। মিরা হাত এগিয়ে রিহান এর ঠোঁটের কোণে আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করে। রিহান চোখ বন্ধ করে। মিরা ধরে আসা গলায় শুধালো,
-“ব্যথা!”
-“নাহ।”
-“মিথ্যা বলছেন। মিথ্যা কথা বলা আপনার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে রিহান ভাই।”
রিহান মৃদু হাসে।তার মিরা রেগে?অভিমান? হ্যাঁ অভিমান করে আছে।
-“সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত যত খুশি ভাই ডেকে নে।সুস্থ হই তারপর বুঝিয়ে দেবো আমি তোর ভাই না জামাই!”
মিরা’র মূহুর্তে চোখ মুখে লজ্জা এসে ভিড় করে। কথা টা খুব বেশি লজ্জাজনক এমন নয়।কিন্তু “জামাই” এটা শুনে হঠাৎ মনে হলো আসলেই এই স্বপ্ন পুরুষ শখের পুরুষ আজ থেকে তার স্বামী। একটু আগেই তারা পবিত্র এক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।
রিহান এর কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। কিছু সময় চুপ থেকে কিছু বলবে তার আগেই কেবিনে কেউ নক করে। মিরা চমকে উঠলো।তড়িঘড়ি করে বসা ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলে। সেকেন্ড সময় ব্যবধানে রেহনুমা বেগম কক্ষে প্রবেশ করে। হাতে উনার ফোন। আর একটা শপিং ব্যাগ।মুখে ছেলের জন্য বেদনার ছাপ স্পষ্ট। মিরা’র মন এটা দেখে আরো খারাপ লাগে। হঠাৎ কোথা থেকে কি হয়ে গেলো যেন মিরা বুঝতে পারে না। এখনো সেই দুপুরে গাড়িতে বসে আছে সেই মূহুর্তে ভাসছে চোখের সামনে। তখনো মানুষ টা কতোটা প্রাণচাঞ্চল্যে ছিলো।আর এখন মলিনতায় গেঁড়া মুখশ্রী।
-“মিরা একটা থ্রি-পিস আছে। হাতমুখ ধুয়ে এটা পড়ে আয়।খাবার নিয়ে আসছে তোর ছোট মামা।”
মিরা’র হাতে শপিং ব্যাগ টা দিয়ে বলে রেহনুমা বেগম। মিরা হাতে নেয় সেটা।ঘাড় নেড়ে কেবিনে থাকা ওয়াশরুমে চলে গেলো।
রিহান একটু তাকিয়ে থেকে আবার চোখ বন্ধ করেছে।রেহনুমা গিয়ে ছেলের শিয়রের কাছে দাঁড়ায়। মাথায় হাত রাখে আলগোছে। নিচু হয়ে অধর ছুঁয়ে দেয় চুলের ভাঁজে। রিহান চোখ খুলে অসুস্থ চোখে হাসে।
-“কাজল কল করেছে। ঢাকা থেকে তোমার মামা অনেক বার কল করেছে। সকালে আসবে।”
রিহান শুনলো।কিছু বললো না।রেহনুমা বেগম ভ্রু কিঞ্চিৎ কুঁচকে জানতে চাইলো,
-“আব্বা গাড়িটা হঠাৎ এক্সিডেন্ট কেনো করলো?”
-“অনেক দিন গ্যারেজে ছিলো।আমি সব চেক তো করে বেরিয়ে ছিলাম। কিন্তু তারপরও মনে হয় একটা চাকায় সমস্যা ছিলো।”
রিহান কোনো রকম বললো।রেহনুমা বেগম কথা বাড়ায় না। ছেলের হাতে কপালে বারকয়েক চুমু খেলো।মিরা সাত আট মিনিট এর মধ্যেই ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে এলো।রেহনুমা বেগম এর দেওয়া বাদামী বর্ণের পাকিস্তানের থ্রি-পিস। কলেজ ড্রেস ব্যাগে নিয়েছে। রেহনুমা বেগম এগিয়ে এসে মিরা’র হাত থেকে ব্যাগ নেয়।কপালে স্নেহের পরশ দিয়ে বললো,
-“সবাই বাড়ি চলে যাবে।তুই থাকবি?”
মিরা প্রশ্নো টার বিপরীতে কি বলা উচিৎ বুঝতে পারছে না।কিন্তু মন খুব করে এখানে রিহান ভাই এর সাথে থাকতে চাচ্ছে। হোক না সেটা সারারাত বসে থেকে তবুও।
রিহান এর দিকে তাকিয়ে দেখে রিহান এর চোখ বন্ধ মিরা মিনমিন করে জানতে চাইলো,
-“কেউ থাকবে না?”
-“তুই তোর টা বল।”
মিরা এবার চুপ করে গেলো।রেহনুমা বেগম বুঝতে পারে নীরবতা সম্মতির লক্ষ্মণ।উনি মনে মনে খুশি হয়।ছেলের এই এলোমেলো জীবনে কেউ একজন এসছে।তিনি ছাড়াও কেউ ছেলের জন্য চিন্তা করে। রেহনুমা বেগম মিরা কে বলে বেরিয়ে যায়।
—–
ইব্রাহিম শেখ খাবার দিয়েছে গিয়েছে। রিহান এর জন্য স্যুপ আর মিরা’র জন্য সাদা ভাত আর ছোট মাছের তরকারি। মিরা’র পছন্দের খাবার। সাথে দিয়েছে টক।কিন্তু রিহান কে খাইয়ে দিয়ে মিরা সব গুছিয়ে রাখছে।রিহান ভ্রু কিঞ্চিৎ কুঁচকে নেয়।গম্ভীর স্বরে আদেশ করে,
-“খাবার খেয়ে নে।”
মিরা’র হাত থেমে যায়। খাবার খাওয়ার কোনো ইচ্ছেই নেই মেয়ে টার।টলমল করে চোখ। রিহান পাত্তা দিলো না সেদিকে। মিরা ফের বক্সের ঢাকনা লাগানোর জন্য উদ্যত হতেই রিহান আবার চাপা ধমক দিয়ে শুধালো,
-“খাবার খেতে বলেছি।”
মিরা মাথা নিচু করে ভাঙ্গা স্বরে বললো,
-“খেতে মন চাচ্ছে না।”
রিহান আগের ন্যায় গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো,
-“খাবার খেয়ে তারপরই সব গুছিয়ে রাখবি।অন্যথায় আমি কাকাই কে কল করে এক্ষুণি হসপিটাল আসতে বলবো।”
-“না, না।খাচ্ছি আমি।”
মিরা একটা প্লেটে ভাত নেয়।তরকারি নিয়ে একটু টক দিয়ে তড়িঘড়ি করে দুই তিন লুকমা মুখে দিয়ে কাশতে লাগলো।তালুতে উঠে গিয়েছে খাবার। রিহান অসুস্থ শরীর নিয়ে ঝট করে উঠে বসলো।পাশ থেকে পানির বোতল এর ছিপি খোলে মিরা’র মুখের সামনে ধরে কোনো রকম একটু পানি নিয়ে খেয়ে মিরা নিজে কে শান্ত করলো।তবে পুরোপুরি হলো না।এবার চোখের জল ছেড়ে ফুঁপিয়ে উঠলো। হেঁচকি তুলে বলতে লাগলো,
-“আমি আর খাব না রিহান ভাই।আমার খেতে ইচ্ছে করছে না।”
রিহান এর পেট মুচড়ে হাসি পায়।হাসে না সে।হাসলে মাথায় সমস্যা হতে পারে। তারচেয়ে ও বড় কথা মেয়ে টার জন্য তার মায়া হয়।তার শোকে বেচারি নাওয়াখাওয়া ভুলে গিয়েছে। রিহান ফোঁস করে দম ছাড়ে। ইশারায় সব গুছিয়ে রাখতে বলে।মিরা খুশি হয়।ঝটপট সব গুছিয়ে পাশের ক্যাবিনেটে লক করে রাখে।মিরা হাত ধুয়ে এসে রিহান এর পাশে টুলে বসার জন্য উদ্যত হতেই রিহান ওকে টেনে নিজের পাশে বসায়।বসা মাত্র দুই হাতে নিজের বুকের উপর নিয়ে নিলো।ব্যথা পেলো অল্প ভ্রু কুঁচকে আসে ব্যথায়। তবে সে দিকে ধ্যান না দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে নিজের সাথে। মিরা’র এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রিহান নামক পুরুষ টার গভীর আলিঙ্গন আবদ্ধ হলো।শরীর জুড়ে অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেলো।বুকের ভেতর ধুকপুক শব্দে করছে।রিহান অনুভব করলো কি সেই শব্দ? হয়তো। ফিসফিস করে বললো,
-“আজকের রাত টা তোলা রইলো।”
——-
ইফাদ ঢাকা রয়েছে কাল আতিক চৌধুরীর সাথে যাবে গ্রামে। খবর টা তারা সন্ধ্যায় পেয়েছে। যদিও তৎক্ষনাৎ যেতে চাইছিল সবাই। তবে রিয়াজ শেখ সবাই কে আশ্বস্ত করেছে গুরুতর কোনো আঘাত পায় নি।কাল সকালে বাড়ি নিয়ে যাবে। বাড়িতে যেন আসে সবাই।ঈশিতার পরীক্ষা চলছে। সে-ও ভাইয়ের জন্য অস্থির ছিলো।শিশিরও যাবে। অনেক দিন ফুফির বাড়ি যাওয়া হয় না।তারউপর রিহান আর কাজল কে চৌধুরী পরিবার কেউ ভিন্ন নজরে দেখে নি।সেখানে এতো বড় একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে কি করে সবাই বসে থাকবে!
শিশির কয়েকটা ড্রেস নিয়ে নিচ্ছে একটা ব্যাগে।সাথে ঈশিতা ও রয়েছে। ঈশিতার মন খারাপ। আজ কত মাস হয়েছে সেও গ্রামে যায় না।শিশির ব্যাগের চেইন আঁটকে ঈশিতার পাশে বসে।দুই হাতে মুখ আগলে নিজের দিকে করলো।ঠোঁট উলটে বললো,
-“আমার ঈশি রানীর মন খারাপ করে না।তোমার পরীক্ষা শেষ হলে আমরা দু’জন আবার যাব।”
-“আপু ভাইয়া!”
ঈশিতা কাঁদোকাঁদো হয়ে বলে।শিশির আলতো হাতে জড়িয়ে ধরে ঈশিতা কে। আশ্বাস দিয়ে বললো,
-“কিছু হয় নি।ঠিক হয়ে যাবে।”
শিশির ঈশিতার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।এরমধ্যেই দরজায় কেউ নক করলো।শিশির অনুমতি দিতেই ইফাদ রুমে প্রবেশ করে। দৃষ্টি তার ফোনে দিকে নিবদ্ধ। আর সেভাবে থেকেই জিজ্ঞেস করলো,
-“পেত্নী রানী তোর ল্যাপটপে চার্জ আছে? আমার টা ডাউন।একটু দে না।”
শিশির ঈশিতা কে ছেড়ে উঠে দাড়ালো। ভ্রু কিঞ্চিৎ কুঁচকে বিছানার অপর পাশে গেলো।ল্যাপটপ হাতে নিয়ে বিছানায় ফের বসলো।কিবোর্ডে আঙ্গুল চালাতে চালাতে পালটা প্রশ্নো করলো,
-“কি এমন জরুরি কাজ তোমার যে চার্জ হতে হতে তোমার ধৈর্য ফুরিয়ে যাবে?”
ইফাদ ফোনে কিছু টাইপ করতে করতে জবাবে বলে,
-“একজন এর সাথে ভিডিও কলে কথা বলবো।”
শিশির হাত থামে।বুকের ভেতর সুক্ষ্ম এক ব্যথা অনুভব করে।ধরে আসা গলায় ঝট করে বলে উঠলো,
-“স্পেশাল?”
ইফাদ বোনের দিকে একপলক তাকালো। ফোন পকেটে রেখে।খুব স্বাভাবিক ভাবে জনালো,
-“নিউ গার্লফ্রেন্ড।”
শিশির এর চোখের কোঠায় জল জমে।সেটা গড়িয়ে পড়ার আগে মুছে নিলো।মানুষ টা কেনো তার দিকে কখনো একটু তাকালো না।কেনো চোখের গভীরে তাকিয়ে শিশির এর বিন্দু বিন্দু করে জমা ভালোবাসা বুঝতে পারে না?
শিশির ল্যাপটপ এর শাটার বন্ধ করে চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করে আওড়াল,
-“আপনি আড়ালেই রয়ে যাবেন আমার ভালোবাসার পিঞ্জিরা।”
#চলবে….