পুনর্মিলন পর্ব-০৫

0
68

#পুনর্মিলন
#গুঞ্জন_চৈতি
#পর্ব_৫

ভালোবাসা বা না বাসার উপর আজকাল কিছু নির্ভর করে না। ভালোবাসা আজকাল চাকরির আ’বে’দ’ন’প’ত্রে’র মতো। একবার চাকরিটা পেয়ে গেলে তারপর আর সেই আ’বে’দ’ন’প’ত্র কোন কাজে আসে না। যত্ন করে তুলে রাখতে হয় মনের আলমারিতে। তখন প্রয়োজন পরে মা’ন’সিক ও শা’রী’রি’ক প্র’দ’ত্ত শ্র’ম, বুঝদার ঠান্ডা ম’স্তি’ষ্ক আর নিজের ইচ্ছা অ’নি’চ্ছা’র ব’লি দিয়ে উ’র্ধ্ব’ত’ন মহলকে পরি’তু’ষ্ট করার মতো ধৈ’র্য’শ’ক্তি। আর হ্যা, যেকোন দো’ষা’রো’প ব’ন্ধ মুখে মাথা পেতে নেওয়ার মতো সহ্য’শ’ক্তিও কিন্তু চাই। তাহলেই চাকরি টিকবে। নয়তো উপরমহল থেকে ই’স্ত’ফা’প’ত্র হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে। অথবা নিজের ব্যা’র্থ’তা মেনে নিয়ে নিজে থেকেই পদ’ত্যা’গ করে নিতে হবে। যেমন আমাকে আপনি দিয়েছিলেন। ই’স্ত’ফা’প’ত্র!’

‘চাকরি করার ইচ্ছে ছিলো তোমার? ছিলো না। তাই ই’স্ত’ফা’প’ত্র পেয়েছিলে। এবং সেটা তোমার ইচ্ছেতেই। আর আ’ধ্যা’ত্মিক কথাবার্তা শিখেছো দেখছি। আগে তো ন’নী’র পু’তু’ল ছিলে। ধ’রা ছোঁ’য়া যেতো না তার আগেই গ’লে পড়তে। তা তোমার শি’ক্ষা’গু’রু কে? ওই সোহাগ নামের ছেলেটা?

‘না। আপনি, আপনার পরিবার আর আমার কিছু কাছের মানুষ। আপনারা শিখিয়েছেন আমায়। কেউ এক চু’ল ছা’ড় দেননি শি’ক্ষ’ক’তায়। শি’খি’য়ে গেছেন তো গেছেন-ই। আমিও ছিলাম আদ’র্শ প’ড়ু’য়া। সে সু’যো’গ লু’ফে নিয়েছি।’

জাগ্রত এতোখন ঠা’ন্ডা মাথায় কথা বললেও এবার খানিক রে’গে গিয়ে কথা ফিরিয়ে দিলো। তবে গলার আওয়াজ স’চে’ত’ন রেখে।

‘সব কথায় টা’র্গে’ট করা ব’ন্ধ কর। তোমার বুঝি কোন দো’ষ ছিলো না? সবাই এমনি এমনি তোমার ওপর চ’ড়া’ও হতো? আমি কি চেষ্টা করি নি মানিয়ে নিতে? নিজেকে ভি’ক্টি’ম আর অন্যদের কা’ল’প্রি’ট ভাবা ব’ন্ধ করো।’

‘ছিলো বলেই তো নি’র’ব ছিলাম, স’র’ব হইনি। তবে ততটা দো’ষে’র ভা’গী’দার ছিলাম না যতোটা শা’স্তি আমার জন্য ব’রা’দ্দ করা হয়েছিলো। আপনি আর আপনার পরিবার আমাকে কখনোই আ’প’ন করে নে’ন’নি। আর না কখনো আমাকে আপন করে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।’

‘ওহ্ জাস্ট শা’ট-আ’প ফাগুন, জাস্ট শা’ট-আ’প। তোমার প্রতিটা কথা তুমি সবার দিকে আ’ঙ্গু’ল তুলে বলছো। নিজেকে ভি’ক্টি’ম বানাচ্ছো আর সবাইকে কা’ল’প্রি’ট বানাচ্ছো। চার বছর আগে এমনো কিছু দিন গেছে যেদিন তুমি হাজার বার বলেছো ডি’ভো’র্স এর কথা। আমার চে’হা’রা দেখলেও ক্ষে’পে যেতে। আমার পরিবারকে কখনো নিজের পরিবার বলে মে’নে না’ও নি। আর সবসময় দো’ষা’রো’প করে গেছো আমার মা কে। আমার মা ছিলো তোমার চ’ক্ষু শূ’ল। সেসব আমারও মনে আছে। ভুলিনি সেসব। কই আমি তো সেসব কথা তু’লছি না। তাহলে তুমি কেনো তু’লছো?’

জাগ্রত এবার সমস্ত ধী’র স্থী’র আর ধৈ’র্যে’র সীমা অ’তি’ক্রম করে চি’ৎ’কা’র করে উঠেছে। স্থান, কাল, পাত্রের ভে’দ ভুলে ঢেলে দিয়েছে নিজ মনের সমস্ত রা’গ আর অ’ভি’যো’গ।

রাতের নি’ক’ষ ভূ’তূ’ড়ে আঁ’ধা’র গলিয়ে চলন্ত বাসটি হটাৎ সরব হয়ে উঠলো। জাগ্রতের চি’ৎ’কা’র করে বলা কথায় ঘুমন্ত যাত্রীরা সবাই জেগে গেছে। কেউ উ’ৎ’সুক’ভাবে চেয়ে আছে কেউ ভী’ষ’ণ ভাবে রে’গে আছে ঘুম ভাঙলো বলে। কেউ আবার নিজেদের মধ্যে বলাবলি শুরু করেছে নানান স’মা’লোচ’না। কেউ কেউ নিজেদের সিট থেকেই ছু’ড়ে মারছে রু’ক্ষ, ক’টা’ক্ষ শব্দের বা’ন। এরমধ্যেই একজন ভদ্রমহিলা এগিয়ে এলেন। এসে বললেন জাগ্রতকে,

‘আপনারা মনে হচ্ছে স্বামী স্ত্রী। নিজেদের মধ্যে কোন স’ম’স্যা থাকলে বাড়ি গিয়ে মি’টি’য়ে নেবেন। এভাবে পাবলিক প্লেসে সি’ন’ক্রি’য়ে’ট করবেন না। আপনি তো পুরুষ মানুষ তাই ল’জ্জা শ’র’মের বা’লা’ই নেই। কিন্তু আপনার স্ত্রী একজন নারী। তার আ’ত্ম’স’ম্মানে আ’ঘা’ত লাগছে। হে’ন’স্তা হচ্ছে সে। নারীদের আ’ত্মস’ম্মান এর চেয়ে প্রিয় আর কিছু হয় না। যদি হয় তবে বুঝে নিতে হবে সে নারী মৃ’ত। ভেতরে ভেতরে মৃ’ত্যু ব’র’ন করে নিয়েছে সে। তাই নিজেদের ব্যা’ক্তি’গত আলাপ বাড়ি গিয়ে সেরে নেবেন।’

ফাল্গুনী অতি বিনয়ী কন্ঠে ভদ্রমহিলার কথার পিঠে বলে উঠলো,

‘দুঃ’খি’ত আন্টি, মা’ফ করবেন। উনি আর এমন করবেন না। আর আন্টি, উনি আমার স্বামী নন। আর না আমি উনার স্ত্রী। আপনি ভু’ল ভেবেছিলেন। আপনি সিটে গিয়ে বসে পড়ুন, চলন্ত বাসে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত নয়, যেকোন সময় দু’র্ঘ’টনা ঘটে যেতে পারে, যান।’

ভদ্রমহিলা সন্তুষ্ট হলেন ফাল্গুনীর কথায়। মুচকি হেসে চলে গেলেন ধীর পায়ে। ফাল্গুনী ঘাড় ঘুড়িয়ে দৃষ্টি ফেললো জাগ্রতর দিকে। জাগ্রত মাথা নি’চু করে নিয়েছে অনেক আগেই। এক হাতে কপালের এক পাশ ছুঁয়ে আছে চু’প’চা’প। ফাল্গুনী আরাম করে নিজের সিটে বসে মাথা এলিয়ে দিলো। তারপর নরম সুরে বললো,

‘স’রি ফিল হচ্ছে?’

জাগ্রত মাথা তুললো না। মাথা না তুলেই বললো, ‘স’রি, নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না’।

ফাল্গুনী খানিক হেসে দিলো। হাসি মুখেই বললো, ‘ভ’য়ে’র কোন কারণ নেই। এই আমি আর সেই আমির মধ্যে প্র’কা’ন্ড প্র’ভে’দ। বি’স্ত’র ফা’রা’ক। যাকে অন্যের সামনে একটা ধ’ম’ক দিলেও আ’ত্ম’স’ম্মানে আ’ঘা’ত পেতো, কেঁ’দে কে’টে নাকের জলে চোখের জলে বি’ক্রি’য়া ঘটিয়ে ফেলতো, তার সাথে এই আজকের ‘আমি’র কোন মিল নেই। আমি অন্তত পাই না। তাই আগের মতো লোকে কি বললো না বললো সেসব নিয়ে ভ’য় বা ল’জ্জা পাই না। আর তাই আপনার গি’ল্টি ফি’ল করার না’ট’ক টাও এখানে অ’হে’তুক আর অ’প্রোয়’জ’নীয়।

‘ফাগুন!’

‘ভু’ল করেও এই ভু’ল’টা আর করবেন না। আমার নাম ফাল্গুনী, ফাগুন নয়। আমি প্রথম থেকে এই পর্যন্ত শা’ন্ত ও ধী’র, স্থী’র ছিলাম, বাকি পথটাও তাই থাকতে চাচ্ছি। দয়া করে এবার চুপচাপ বসুন। একজন অচেনা ব্যাক্তির মতো দু’র’ত্ব বজায় রেখে মুখটা ব’ন্ধ রাখুন।’

জাগ্রত মাথা তুলে চাইলো। সরাসরি ফাল্গুনীর চোখে চোখ রাখলো। দৃষ্টিতে কোন ক্লে’শ নেই, দু’র্বো’ধ্য সে দৃষ্টি। ফাল্গুনী চোখ সরিয়ে জানালার বাইরে দৃষ্টি ফেলতেই জাগ্রত ব’লি’ষ্ঠ ক’ন্ঠে জেদি কায়দার ডেকে উঠলো, ‘ফাগুন’ বলে।

ফাল্গুনী চোখ ব’ন্ধ করে নিলো। মি’শ্র অনু’ভূ’তি হচ্ছে। অল্প আ’বেগ, অল্প অভি’মান, কিছু ভ’য় আর আকাশ সমান রা’গ। সব মিলিয়ে ভেতরটা ফে’টে পড়ছে।

‘ঘুড়ে বসো’

জাগ্রতের কন্ঠ জো’রা’লো। দ্বিতীয় বার কোন সি’ন’ক্রি’য়ে’ট হোক তা ফাল্গুনী চায় না তাই জাগ্রতর কথা উ’পে’ক্ষা না করে ঘুড়ে বসলো। জাগ্রত চুপচাপ ক’ঠি’ন মুখে বসে আছে। কিছুক্ষণ চু’প থেকে তারপর বললো,

‘সে’পা’রে’শ’ন এর দিন থেকে আজ পর্যন্ত কোথায় ছিলে?’

ফাল্গুনী হেসে দিয়ে বললো, ‘আপনি যেভাবে অধি’কা’র দেখিয়ে প্র’শ্ন করছেন তাতে মনে হচ্ছে না আপনি আমার প্রা’ক্ত’ন স্বামী। শুনুন, আপনি আমার কাছ থেকে কোন উ’ত্ত’র পাবেন না। আমি বা’ধ্য নই।’

‘তাহলে আবারও চলন্ত বাসটি চি’ৎ’কা’রের আ’ও’য়া’জে র’ম’র’মা হয়ে উঠবে। হয় বাস যাত্রী আর ড্রাইভার আমাদের না’মিয়ে দেবে নয়তো আমি তোমায় নিয়ে নেমে যাবো। সবাইকে বলবো আমরা স্বামী স্ত্রী। তা প্র’মা’ণ করার জন্য তোমার আমার কাপল ফটো আছে আমার কাছে। আর সে’পা’রে’শন এর পেপার তো তোমার কাছে নেই। তাই সবার কাছে আমরা স্বামী স্ত্রী প্রমাণিত হলে দুজনকে একসাথে নামিয়ে দেবে। সবার সামনে নতুন আরেক সি’ন’ক্রি’য়েট তৈরি হবে। তখন কোথায় যাবে? ভোর হতে এখনো বেশ দেরি। কি করবে ভেবে নাও। আমি তো আর তোমাকে চাইছি না। চাইছি তোমার থেকে কিছু প্র’শ্নে’র উ’ত্ত’র। তোমাকে চাইলে না হয় মুখের উপর না করে দিতে। চাইছি তো উত্তর।’

জাগ্রত কথা শেষ করে নির্লিপ্ত মুখ করে চেয়ে রইলো ফাল্গুনীর দিকে। স’গ’র্বে হাত দুখানা ভাজ করে বুকের কাছ রেখে ফাল্গুনীর প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা করতে লাগলো। ফাল্গুনীর মুখা’ব’য়ব বি’বে’চনা করে বোঝা মু’শ’কি’ল সে জাগ্রতর কথায় ঠিক কতোটা প্র’ভা’বি’ত হলো। ভ’য় কি পেলো? নাকি রা’গ হলো? নাকি ক’ষ্ট হচ্ছে তার?

জাগ্রত কিছু বুঝে উঠার আগেই ফাল্গুনী উঠে দাঁড়ালো। জো’রা’লো কন্ঠে ড্রাইভার মামা বলে ডেকে উঠলো বাস চালককে, বললো বাস থামিয়ে দিতে। ফাল্গুনীর এক কথায় বাস চালক থামিয়ে দিলো না বাস। ক’ন্ট্রা’কটর এগিয়ে এলো ফাল্গুনীর সামনে। জিজ্ঞেস করলো এখানে কেনো নামবে এখান থেকে কোন গাড়ী পাওয়া যাবে না এতো রাতে। টাঙ্গাইল পৌছাতে এখনো দু আড়াই ঘন্টা বাকি। ফাল্গুনী আত্মবিশ্বাসের সাথে বললো, ‘সেটা আমি দেখে নেবো, আপনি থামিয়ে দিন।’ জাগ্রত অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে দেখে যাচ্ছে শুধু। মুখে যেনো কিছু বলতেও ভু’লে গেছে। ক’ন্ট্রা’ক’টর কে বাস চালকের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে সং’বি’ৎ ফিরে পায় জাগ্রত। বাস ক’ন’ট্রা’ক’টরকে ডাক দেয়, এগিয়ে আসলে বি’ন’য়ী কন্ঠে বলে উঠে,

‘মা’ফ করবেন ভাই। আমরা এখানে নামবো না। আমাদের টাঙ্গাইলের পুরাতন স্ট্যান্ডে নামিয়ে দিবেন। আপনি যান।’

কন্ট্রাক্টর বিরবির করতে করতে চলে যায় সামনের দিকে। কন্ট্রাকটর যাওয়ার পর জাগ্রত সিটে বসে পড়লো ধ’প করে। সিটে এলিয়ে দেওয়া মাথা ঘুড়িয়ে চোখ বুলালো পুরো বাসে। অধিকাংশ যাত্রী ঘুমের মায়া ছেড়ে দিয়েছে। উ’ৎ’সু’ক চেহারায় উঁ’কি ঝুঁ’কি মারছে জাগ্রত আর ফাল্গুনীর দিকে। যেনো কোন বাংলা মুভির ক্লা’ই’ম্যা’ক্স সিন চলছে। দী’র্ঘ এক শ্বাস টেনে নিলো জাগ্রত। নিজেকে শান্ত করলো। ম’স্তি’ষ্ক ঘেঁ’টে মনে করলো চার বছর আগের কথা। একসাথে থাকার প্রথম ছয় মাসের কিছু সময় এমন ছিলো, ফাল্গুনী যখন রে’গে যেতো তাকে কোন কিছু করেই থামানো যেতো না। কান্নাকাটি করতো শুধু। বাড়ির কারো সাথে কথা বলতো না। শুধুমাত্র তার সাথেই একটু কথা বলতো। কিন্তু যা বলতো তার অধিকাংশই হতো তার মা কে নিয়ে। প্রচুর হা’ই’পা’র হয়ে থাকতো। তখন তাকে শান্ত করার জন্য একটা পদ্ধতিই কাজ করতো, তা হলো ভ’য়। ফাল্গুনীর লো’ক’ল’জ্জা’র ভ’য় ছিলো অ’ভা’ব’নীয়। কেউ তাকে কথা শুনাবে, খা’রা’প বলবে, ছো’ট করে কখনো কিছু বলবে তা সে মানতেই পারতো না। অতোটা ছোট বয়সেও আ’ত্ম’স’ম্মান নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায় সচেতন ছিলো। তাই ফাল্গুনীকে শা’ন্ত করাতে এভাবেই ব্ল্যা’ক’মে’ইল করতো জাগ্রত। যেভাবে আজ চেষ্টা করেছিলো কিছু কথা বের করতে। হটাৎ ফাল্গুনীর কথায় জাগ্রতর আবেশ ভ’ঙ্গ হলো। ফাল্গুনী বললো,

‘আর কতো না’ট’ক করবেন বলুন তো? মি’থ্যে’ই বা আর কতো বলবেন? অনেক তো হলো, এবার হা’ল ছেড়ে দিন। একটু পরেই বাস খা’লি হতে শুরু করবে। তখন সিট ব’দ’লে নেবো আমি। আপা’ততঃ কিছু সময় একটু চুপ থাকুন।’

‘কি মি’থ্যে বলেছি আমি? আর কি না’ট’ক’ই বা করলাম?’
‘করেননি বলছেন?’
‘প্লিজ ফাল্গুনী এতো হেঁ’য়া’লি আমি নিতে পারছি না। স্পষ্ট করে বলো। প্লিজ।’
‘বলবো বলছেন?’
‘ফাল্গুনী আ…..

জাগ্রত মাথা চেপে চিৎকার করে উঠলো ফের। অত্যাধিক অধৈর্য্য হয়ে বললো,

প্লিজ আমার ধৈ’র্যে’র প’রি’ক্ষা নিও না। আমি নিজেকে নি’য়’ন্ত্র’ণ করতে পারছি না। আর এটাও বুঝতে পারছি না তুমি কি করে এতোটা শা’ন্ত আছো! প্রথমে তা-ও মনে হচ্ছিল তুমি আমায় দেখে চ’ম’কে’ছ, অ’স্ব’স্তি’র স্বী’কা’র হচ্ছো, হয়তো কিছুটা ভ’য় ও পেয়েছো কিন্তু তারপরেই আবার বদলে যাচ্ছো! তোমাকে আমার অ’চে’না লাগছে, বড্ড অ’চে’না লাগছে। চার বছরে একটা মানুষের এতোটা ব’দ’ল কি সত্যিই অ’ভাব’নীয় নয়?

~চলবে