প্রতাপ গড়ের অভিশাপ পর্ব-০৩

0
3

#প্রতাপ_গড়ের_অভিশাপ
#লেখায়_জান্নাতুন_নাঈম
#পর্ব_৩

দুইদিন পর বীর প্রতাপ বাড়ি ফিরে আসলেন।বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেল একজন বৃদ্ধ মানুষ রাস্তায় মরে পড়ে আছে। বৃদ্ধ লোকটির গায়ে অনেক গুলো লালচে রঙের ফোঁড়া দেখা দিয়েছে।

বীর প্রতাপ তার সহকারীকে বলল, “এই লোক এভাবে পড়ে আছে কেন ?”

সহকারী বলল, “এই লোক অজানা রোগে মারা গেছে। শহরের বাইরে থেকে এসেছে। সম্ভবত এমন কোন শহরে সে থাকে যেখানে অনেক মানুষ অজানা মহামারীতে মারা যাচ্ছে”

বীর প্রতাপ বলল, “এই লাশ সাবধানে কবর দেয়ার ব্যবস্থা করো।হতে পারে এটা ছোঁয়াচে রোগ তাই অনেক সাবধানে লাশ কবর দেবে।খুব তাড়াতাড়ি করো। নয়তো শহরের বাকি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তখন সেটা আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করবে”

জমিদার বাড়িতে ফিরতেই বীর প্রতাপ দেখলো হৈমু বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। সাথে মেজ বউ ও আছে।হৈমু বই পড়ছে আর মেজো বউ পান চিবোচ্ছে।বীর প্রতাপ বাড়িতে প্রবেশ করে সোজা মায়ের ঘরে চলে গেল।বীর প্রতাপের মা ঘরে ছোট বাচ্চার নকশিকাঁথা সেলাই করছে।বীর প্রতাপ মায়ের পাশে গিয়ে বসল।

বীর প্রতাপ বলল, “কি করছেন আম্মা?”
বীর প্রতাপের মা বলল, “দেখো তোমার ছেলের জন্য কাঁথা সেলাই করছি।দেখবে খুব শীঘ্রই আমরা আমাদের বংশধরের দেখা পাবো।”

বীর প্রতাপ বলল, “ আমি আপনাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে এসেছি আম্মা”

বীর প্রতাপের মা বলল, “কি কথা?”

বীর প্রতাপ বলল, “আমাকে একটা জরুরী কাজে অনেকদিনের জন্য থাকতে হবে”

বীর প্রতাপের মা বলল, “সবে মাত্র বাইরে থেকে আসলে। নতুন বিয়ে করেছ এরমধ্যেই আবার শহরের বাইরে যেতে চাইছো ?”

বীর প্রতাপ বলল, “খুব দরকার”

বীর প্রতাপের মা বলল, “কতদিন থাকবে?”

বীর প্রতাপ বলল, “এক বছর‌ কিংবা তার থেকে বেশি।এর থেকে কম ও হতে পারে”

বীর প্রতাপের মা বলল, “না গেলে হয়না?”

বীর প্রতাপ বলল, “না আম্মা।খুব দরকারি একটা কাজ। জাহাজে করে যেতে হবে।তাই আসা যাওয়া অনেক সময় লাগতে পারে”

বীর প্রতাপের মা বলল, “তুমি এই মুহূর্তে নতুন বিয়ে করেছ। নাতি নাতনির মুখ দেখাবো বলে কত শখ করে রাখলাম।অথচ তুমি বলছো জাহাজে ঘুরে বেড়াবে”

বীর প্রতাপ বলল , “পুরো পৃথিবীতে এক ভয়ংকর মহামারী আসতে চলেছে।এই মহামারী অনেক বছর আগে এসেছিল। তখন এক বিখ্যাত ডাক্তার এই বই লিখে রাখে।এই বইয়ে অনেক রোগের ভেষজ ঔষধ লেখা আছে।কোন রোগের জন্য কোন ঔষধ লাগবে সেটা এই পড়লে জানতে পারবো। আমার এই বই লাগবে। আমি চাই আমার প্রতাপ গড়ে মহামারী আসার আগে বইটা খুঁজে বের করতে।এতে কাউকে মরতে হবে না। আমি লাশের স্তূপ দেখতে চাই না। এরজন্য আমাকেই কিছু করতে হবে।কত মানুষ আমাকে ভরসা করে তুমি তো জানোই”

বীর প্রতাপের মা বলল, “অন্য কাউকে পাঠাও”

বীর প্রতাপ বলল, “অন্য কাউকে দিয়ে হবে না আম্মা”

বীর প্রতাপের মা বলল, “আমাকে নাহয় বোঝাতে পারলে হৈমুকে কীভাবে বোঝাবে”

বীর প্রতাপ বলল, “আমি ওকে বোঝানোর চেষ্টা করবো। আমি জানি সে আমাকে বোঝার চেষ্টা করবে”

বীর প্রতাপের মা বলল, “সেই বই কোথায় আছে ? তুমি কি তার খোঁজ পেয়েছ?”

বীর প্রতাপ বলল, “পেয়েছি। অনেক দুরের একটা জনমানবহীন দ্বীপে আছে এই বই।ক্লিফটন নামের এক রহস্যময় দ্বীপ।এক জলদস্যু গুপ্তধনের সাথে বইটা ওই দ্বীপে লুকিয়ে রাখে”

বীর প্রতাপের মা বলল, “তোমার যা ভালো মনে হয় করো।ভুলে যেও না আমাদের পরিবারের উপর একটা অভিশাপ আছে। তোমার দাদা এক গুপ্তধন খুজতে গিয়ে এই অভিশাপ নিয়ে এসেছে।

এক রহস্যময় দ্বীপে একটা হাজার বছরের পুরনো কবরে এই গুপ্তধন ছিল।সেই গুপ্তধন ছিল অভিশপ্ত।যা আমরা আজ ও বহন করছি”

বীর প্রতাপ বলল, “আমার বিশ্বাস আমাদের পুত্র সন্তান এই অভিশাপ নষ্ট করতে সক্ষম হবে”

বীর প্রতাপের মা বলল, “সেটাই যেন হয়”

বীর প্রতাপ বলল, “পাঁচ দিন পর আমি রওনা দিব। তোমার অনুমতি চাই আশাকরি তুমি বাধা দিবে না।”

বীর প্রতাপ বলল, “আমি তোমাকে আটকাতে পারবো না। তুমি আমার কথা শুনবেও না।যাও হৈমু্র সাথে দেখা করো। মেয়েটা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে”

বীর প্রতাপ মায়ের রুম থেকে বেরিয়ে গেল। তবে মায়ের রুম থেকে বেরিয়ে সরাসরি হৈমু্র সাথে দেখা করলো না।প্রথমে বড় বউ বকুলের সাথে দেখা করে নিল।বড় বউকে তার জাহাজের যাত্রার বিষয়ে বলল। এরপর দোতলায় নিজের রুমে চলে গেল। যেখানে হৈমু তার মেজো সতীনের থেকে জমিদার বাড়ির গল্প শুনছে।বীর প্রতাপ দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই নয়নতারা ও হৈমু দু’জনেই বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেল। বীর প্রতাপ বলল, “বাহ দুই সতীন বেশ ভালো গল্প করছো।নিচে তোমার দাসী বলল তুমি এখানেই আছো। তাই সরাসরি এখানে চলে এসেছি”

নয়নতারা বলল, “আপনি এসেছেন? আমার জন্য সিতা হার এনেছেন ?”

বীর প্রতাপ বলল, “দাসীর হাতে দিয়ে এসেছি।”

বীর প্রতাপ হৈমুর দিকে তাকালো।হৈমু চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল। বীর প্রতাপ নয়নতারা কে উদ্দেশ্য করে বলল, “তুমি তোমার রুমে চলে যাও। আমি এখন বিশ্রাম নিব। তোমার জন্য সিতা হার এনেছি।দেখ পছন্দ হয় কিনা”

নয়নতারা স্বামী অবাধ্য হলো না। সোজা নিজের রুমে চলে গেল।বীর প্রতাপ হৈমুর পাশে গিয়ে বসল।হৈমু বলল, “আমার জন্য বই এনেছেন ?”

বীর প্রতাপ বলল, “সব এনেছি। আমি ঠিক করেছি তোমার জন্য একটা ব্যক্তিগত লাইব্রেরী বানিয়ে দিব। তোমার শখের একটা ব্যক্তিগত লাইব্রেরী হবে। সেখানে তোমার অনুমতি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না”

হৈমু বলল, “জানেন আমার অনেক শখ ছিল আমার একটা ব্যক্তিগত লাইব্রেরী হবে।তাতে অনেক অনেক বই থাকবে। আমি যখন এসবের স্বপ্ন দেখতাম আমার ভাই বলতো আমরা গরীব তাই এইসব অবাস্তব স্বপ্ন না দেখতে। আমি কেবল একটাই উত্তর দিতাম স্বপ্ন দেখা কোন অপরাধ না।”

বীর প্রতাপ বলল, “আর এখন এক এক করে তোমার সব স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আমি অনেক বই এনেছি।একটা রুম বাছাই করে নিয়েছি।নিসা তোমার লাইব্রেরী সাজিয়ে দিবে।একশ টা বই এনেছি।এর মধ্যে ইংরেজি বই ও আছে”

হৈমু বলল, “নিসা সকাল থেকেই খুব অসুস্থ।সারা শরীর লাল হয়ে গেছে। বলছিল শরীর দুর্বল লাগছে।তাই আমি ওকে ওর বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত”

বীর প্রতাপ বলল, “শরীরের কোথাও ফোঁড়া ছিল?”
হৈমু বলল, “আমি খেয়াল করিনি। তবে পুরো শরীর লালচে হয়ে গেছিল।ও বলছিল ওর শরীর অনেক চুলকাচ্ছে এবং পুরো শরীর ব্যথা করছে”

বীর প্রতাপ বলল, “কখন এইরকম হয়েছে ?”

হৈমু বলল, “কাল সন্ধ্যায় বাজারে গিয়েছিল।বাজার থেকে ফেরার পর ওর শরীরের হালকা লালচে হয়ে দেখা যায়।আজ সকালে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে।”
বীর প্রতাপ বলল,”তোমার কিছু হয়নি তো?”

হৈমু বলল, “আমি একদম সুস্থ আছি”

বীর প্রতাপ বলল, “কোথাও লালচে হয়নি তো ?”

হৈমু বলল, “না। আপনার কি হয়েছে? এত চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন ?”

বীর প্রতাপ বলল, “চিন্তার ই বিষয়। জমিদার বাড়িতে ও মহামারী চলে এসেছে। ভালো হয়েছে ওকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছ”

হৈমু অবাক হয়ে বলল, “কি বলছেন এইসব ?”

বীর প্রতাপ বলল, “শহরে নতুন মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে। আমি অনেক আগেই খবর পেয়েছিলাম।তাই এর ঔষধ খুঁজতে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। এভাবেই তোমার সাথে আমার পরিচয় হয় আর আমি তোমাকে বিয়ে করে নেই।এটা অনেক ভয়ংকর একটা মহামারী।এটা ছোঁয়াচে রোগ।খুব অল্প সময়ের মধ্যে মানুষ মারা যায়”

হৈমু বলল, “আমাকে বিয়ের কারন কি? সন্তানের জন্য তো ধনী পরিবারের মেয়েও বিয়ে করতে পারতেন”

বীর প্রতাপ বলল, “আমার বড় দুই বউ তো ধনী ছিল কি লাভ হল। ওদের মধ্যে তো কোন সমস্যা নেই।আসলে আমাদের পরিবারের উপর একটা অভিশাপ আছে।বলতে পারো এই প্রতাপ গড়ের উপর।এই প্রতাপ গড়ের মেয়েদের ২৮ বছর ধরে কোন সন্তান হয়নি।যাদের সন্তান হয়েছে তারা অনেক দুর দুর্দান্ত থেকে পাত্রী এনেছে।আমাকে বলা হয়েছিল যদি প্রতাপ গড় থেকে অনেক দূরে কোন মেয়েকে বিয়ে করে দেখতে হয়তো এরজন্য সন্তান হতে পারে।তাই তোমাকে বিয়ে করা”

হৈমু বলল, “তাহলে আপনি আমাকে শুধু এইজন্যই বিয়ে করেছেন। আমি ভাবলাম আপনি আমাকে ভালোবাসেন তাই”

বীর প্রতাপ বলল, “ভালোবাসি তো বটেই।তা না হলে তোমাদের শহরে এত মেয়ে থাকতে মেলায় প্রথম দেখায় তোমাকে বিয়ে করে ফেলতাম নাকি ।মাত্র দুইদিনের পরিচয়ের মাথায় আমাদের বিয়ে হয়েছিল”

হৈমু বলল, “শুনছেন আমার খুব ভয় করছে।কাল রাতে বাজারে মেলা বসছিল। আপনি বলেছিলেন পুরো প্রতাপগড় ঘুরে দেখাবেন। কিন্তু আপনি বাড়িতে নেই।কাল রাতে বকুল দি আর নয়নতারা দি কে নিয়ে মেলায় গিয়েছিলাম।সাথে নিসাও ছিল।”

বীর প্রতাপ বলল, “তোমার উচিত হয়নি আমার অনুমতি ব্যতীত কোথাও যাওয়া”

হৈমু ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তার স্বামীর দিকে তাকিয়ে বলল, “আম্মা অনুমতি দিয়েছেন”

বীর প্রতাপ কিছু বলল না। বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো।

হৈমু বলল, “কাল নিসা এক বৃদ্ধ লোকটিকে সাহায্য করেছে।তার পুরো শরীরে অনেক ফোড়া ছিল”

বীর প্রতাপ ঘুমানোর আগে মাথা তুলে উত্তর দিলো, “আজ সকালে একজন বৃদ্ধ মরে পড়ে ছিল।তার শরীরে অনেক ফোঁড়া ছিল।হতে পারে নিসা মহামারীতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে আর সেও মারা যাবে”

হৈমু বলল, “আমি কি মরে যাব?”

বীর প্রতাপ বলল, “না। এখন ও যেহেতু সুস্থ আছো তাই কিছু হবে না। আক্রান্ত হলে এতক্ষণে লক্ষন দেখা দিত।”

হৈমু বলল, “এই মহামারী কীভাবে ছড়ালো?”

বীর প্রতাপ বলল, “এর জন্য আমার পুর্ব পুরুষ দায়ী। বলেছিলাম না আমাদের উপর অভিশাপ আছে। আমার দাদা একবার এক গুপ্তধনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে।তখন আমার বয়স বারো বছর চলে।দাদা বছরের পর বছর সমুদ্রে ঘুড়ে বেড়াতে থাকে। অবশেষে একটা দ্বীপে পৌছে যায়। যেখানে মাটির নিচে হাজার বছরের পুরনো এক রানীর কবরে অনেক সম্পদ রাখা ছিল। আমার দাদা হয়তো জানতো না যে সেই সম্পদ অভিশপ্ত। হাজার বছর আগের কথা।এক দেশে হঠাৎ করেই এক অজানা মহামারী দেখা দেয়। সেখানে অনেক মানুষ মারা যেতে শুরু করে।সেই দেশের রানী ও হঠাৎ করেই সেই মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।রানী যাকেই ছুঁয়ে দেখতো সেই মারা যেত। প্রথমে পুরো শরীর লালচে হয়ে গেল । এরপর পুরো শরীরে ফোঁড়ার মতো হতে লাগলো।ফোঁড়া পেকে গিয়ে তার থেকে পোকার সৃষ্টি হতো এবং মারা যেত। তারপর এই মহামারীতে অনেক মানুষ মারা যেতে লাগলো। সেই দেশের রানী মারা গেল।রাজা সিদ্ধান্ত নিল একটা জনমানবহীন দ্বীপে রানীর কবরে দেয়া হবে। মাটির হাজার ফুট বিশাল গর্ত করে বিশেষ সুরক্ষার মাধ্যমে রানীর কবর দেয়া হয়।সেই সাথে মহামারীতে আক্রান্ত সকল মানুষদের।যাতে আর কেউ মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা না যায়।এই যে মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছে এটা কিন্তু কোন সাধারন ব্যাপার না। এরা দিনের বেলায় মৃতের মতো পড়ে থাকলেও রাতের বেলা জিন্দা লাশে পরিনত হয়। অনেক দিন আগে এক ডাক্তার বলেছিল এরা জম্বি ভাইরাস। এরা অনেক ভয়ংকর।এরা শুধু আগুন আর পানিকে ভয় পায়।”

হৈমু বলল, “কবরস্থানে গুপ্তধন আসলো কীভাবে?”

বীর প্রতাপ বলল, “আগের যুগে যখন রাজা রানী মারা যেত তখন এইরকম বিশাল জায়গা কবর দেয়া হতো। তাদের কফিনে দামী অংলঙ্কার স্বর্ণ মুদ্রা সহ অনেক কিছু রাখা হতো।কেউ কেউ লাশের কফিনের পাশে মাটির কলসি ভর্তি অলঙ্কার ও স্বর্ণ মুদ্রা রাখতো। মানুষ এইসব কবরে যায় এইধরনের গুপ্তধন সন্ধান করতে”

হৈমু বলল, “হাজার ফুট নিচে কবরের মধ্যে কে যায় গুপ্তধন আনতে।যদি হুট করে মরা লাশ জিন্দা হয়ে উঠে তখন কি হবে।”

বীর প্রতাপ বলল, “এইরকম কবর মোটেও ভালো জায়গা নয়। এইরকম জায়গায় গিয়ে অনেক মানুষ মারা গেছে।তাও কিছু লোভী মানুষ এইসব করে”
কথাটা বলেই বীর প্রতাপ থেমে গেল।দেয়ালে টাঙ্গানো তার বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে বলল, “আর এই লোভের কারণে আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। ২৮ বছর আগে আমার বাবাও দাদার সাথে সেই খবরে গিয়েছিল আর ফিরে আসে নি।লাশটা ও পাইনি আমরা। দাদা একাই ফিরে এসেছিল”

হৈমু বেশ আগ্রহ নিয়ে গল্প শুনছিল।বলল, “এরপর কি হয়েছে?”

(চলবে)