প্রতিশোধে প্রনয় পর্ব-০৫

0
670

#প্রতিশোধে_প্রনয়
part : 5
writer : Mohona
(do not copy please)

.

নীড় : বেচারী খান।
বলেই নীড় হাহা করে হাসতে লাগলো।
আতিক : এখন কি হবে স্যার?
নীড় : মেরিন বন্যা খান আপনাকে শাস্তি দিবে এবং আপনি সেটা ভোগ করবেন। সিম্পল।
আতিক : স্যার… আপনি আমাকে বাঁচাবেন না!
নীড় : প্রশ্নই ওঠেনা। বেইমান আপনি। লাস্ট মোমেন্টে অধিক টাকার লোভে আপনি প্রজেক্টটা আমাকে দিয়েছেন। খুব খারাপ কাজ করেছেন।
আতিক : স্যার…
নীড় : টক টু দ্যা ওয়ালস। দিস ওয়ালস , দ্যাট ওয়ালস। বাই। চলো পিটার।
নীড় পিটারকে নিয়ে বের হলো।

মেরিনের গাড়ি কেবল স্টার্ট দেয়া হলো এবং চলতে শুরু করলো। তখনই ২টা টায়ার শেষ হয়ে গেলো। গুলির শব্দ পাওয়া গেলো। গাড়ি থামতেই জন পিস্তল নিয়ে বের হলো।
নীড় : নাইস শট। তাইনা পিটার?
পিটার : ইয়েস স্যার। আপনার নিশানার জবাব নেই।
নীড় : থ্যাংকস। কিন্তু জন আমাদের দিকে পিস্তল তাক করে রেখেছে কেনো?
মেরিনও নিজের পিস্তল বের করে আঙ্গুলে ঘুরাতে লাগলো। পিস্তল দিয়ে চাকার দিকে ইশারা করে
বলল : এসব কি ছিলো?
নীড় : প্র্যাক্টিস। শ্যুটিং প্র্যাক্টিস করছিলাম। চোখের সামনে তোমার গাড়িটাই পরলো। তাই… সরি ফর দ্যাট।
তখন নীড়ের ফোনটা বেজে উঠলো।
মেরিন : স্পেশাল ফোনকল ফর ইউ। দ্রুত রিসিভ করো।
নীড় : হ্যালো…
□ : স্যার… আতিকের বিক্রি করা ফ্যাক্টরীতে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। আপনার অনেক লোকসান হয়ে গেলো।
নীড় : নো প্রবলেম। রাখছি।
নীড় ফোন রেখে দিলো। মেরিনের চোখের দিকে তাকালো।
মেরিন : সুন্দর লাগছে বুঝি আমাকে? জানি তো এই চেহারাটা তোমার দুর্বলতা। চোখ ফেরানো দায়।
নীড় চোখ সরিয়ে নিলো।
মেরিন : চলো জন ডার্লিং।
জন : ম্যাম… নিশানার হিসাবটা রয়ে গেলো তো।
মেরিন : অনেক সময় সুযোগ আছে। চলো।
জন : ম্যাম, ট্যাক্সিতে বসতে পারবেন?
মেরিন : গরুর গাড়িতেও বসতে পারবো। চলো।
জন : একটু সামনে গেলেই ট্যাক্সি পাওয়া যাবে।
মেরিন : চলো।
বলেই একপা বারিয়ে হঠাৎ করে পেছনে ঘুরে নীড়ের গাড়ির চার চাকায় গুলি করলো। পিটার পিস্তল তাক করতে করতে মেরিনের কাজ শেষ।
মেরিন : পিটার… পিস্তলের বেগ সমান হলেও তোমার চেয়ে আমার বেগ অনেক বেশি। আর তাছারাও , ভয় নেই পিটার। তোমার বসকে মারবোনা। বাংলায় কি যেনো বলে একটা প্রবাদ… ছুঁচো মেরে হাত নষ্ট করবোনা কি যেনো… সেটা তোমার স্যারের ক্ষেত্রেও আমি বলবো। তোমার স্যারকে মারতে আমি চাইনা। নিকৃষ্ট জীব মারাতে মজা নেই। বাঘ-সিংহ হলে আলাদা ব্যাপার। চলো জন।
মেরিন জনকে নিয়ে চলে গেলো।
পিটার : কার কল ছিলো স্যার?
নীড় সবটা বলল।
পিটার : এসব কি মেরিন বন্যা খান করিয়েছে?
নীড় : তাছারা আর কে করাবে?

.

প্রান্তিক : কালেক লাতেও চাচ্চু ছিলোনা আজকেও নেই।
নীড় : কে বলেছে চাচ্চু নেই। এই যে এখানে।
প্রান্তিক : চাচ্চু…
নীড় : বাচ্চা…
প্রান্তিক : তুমি কোথায় ছিলে সকাল থেকে?
নীড় : অনেক জরুরী একটা কাজ ছিলো। আজকে আমার জানকে নিয়ে সারাদিন ঘুরবো।
প্রান্তিক : ইয়ে… কি মজা কি মজা।
নীড় প্রান্তিককে নিয়ে বের হলো।
নীলিমা : ভাগ্যিস প্রানের মাথা থেকে কথাটা বেরিয়ে গিয়েছে।
নিহাল : সাময়িকভাবে বেরিয়ে নীলি। স্থায়ীভাবে নয়। আজ নাহয় দুদিনপর ওর মাথায় আবারো কথাটা আসবে। ও যতো বড় হবে ওর উত্তর দেয়া আরো কঠিন হবে।
নীলিমা : হামম। কি করা যায় তাহলে?
নিহাল : জানিনা। অনেক ভেবেছি কালকে। কোনো সমাধান পাইনি।
নীলিমা : সত্যিট ওকে জানাতে হবে। কিন্তু সত্যিটা জানার এবং বোঝার মতো বয়স ওর হয়নি।
নিহাল : আমি ভাবছি আরেক কথা। নীড়ের বউ এলে কি ভেবে? এখন তো বলছে যে বিয়ে করবেনা। হয়তো এটা ভেবেই বিয়ে করতে চাইছেনা।
নীলিমা : তুমি কি চাও নীড় বিয়ে না করে থাকুক?
নিহাল : পাগল হলে? এটা কেনো বলবো? আমি তো চাই নীড়ের জীবনটাও সুন্দর হোক। আমি ভাবছি কিভাবে নীড় এবং প্রান দুজনেরই ভালো হয়। আমরা আর কতোদিন বলো?
নীলিমা : হামম। একটা লক্ষিমন্তর মেয়ে আনবো। যার মনটা সরল হবে। যে নীড়ের সাথে মানিয়ে নিতে পারবে।
নিহাল : তুমি কি পাগল হয়েছো? এমন মেয়ে নীড়ের বউ হয়ে এলে দুদিনও টিকবেনা। ভয়েই মরে যাবে।
নীলিমা : তো তুমি কি চাইছো নীড়ের বউও ওর মতোই হোক?
নিহাল : একদম না। একটা নীড়ই যথেষ্ট। নীড় বিয়ের জন্য রাজি তো হোক। যাকে তাকে তো আর বিয়ে করবেনা। ওর পছন্দ হলেই তো বিয়ে করবে। কথা হলো প্রানকে নিয়ে। নতুন কেউ এসে প্রানকে কিভাবে গ্রহন করবে?
নীলিমা: নীড়ের বউয়ের কি সাহস হবে প্রানের সাথে খারাপ ব্যবহার করার?
নিহাল : নীড়ের সন্তান হলে কি তার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হবেনা? প্রানের চেয়ে নিজের সন্তানকে কি ভালোবাসবেনা? সেটা কি বৈধ নয়? বাবার কাছে সন্তান সবার আগে হয়।
নীলিমা : এভাবে তো ভেবেই দেখিনি। উফফ… সব হয়েছে ওই খান বাড়ির মেয়ের জন্য। সব দোষ নীলার। ওর জন্য আমার দুই ছেলের , আমার নাতির জীবন অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। প্রনয় যে কেনো নীলাকে ভালোবেসেছিলো , কেনো বিয়ে করেছিলো কে জানে?
নিহাল মনেমনে : প্রনয় কেনো নীলাকে বিয়ে করেছিলো সেটা জানলে তুমি মেনে নিতে পারবেনা। বিশ্বাস করবেনা। শত হলেও মা তো।
নীলিমা : কি হলো? চুপ করে আছো কেনো? কিছু বলছোনা কেনো?
নিহাল : খুব মাথাব্যথা করছে। এক কাপ চা করে দাও না আদা দিয়ে।
নীলিমা : দিচ্ছি। একটু অপেক্ষা করো।

.

□ : আমি বুঝতে পারছিনা মেরিন বন্যা খান প্রান্তিককে নীড় চৌধুরীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছেনা কেনো?
■ : কাজটা অতোটাও সহজ নয়। নীড় চৌধুরী কোনো সাধারন কেউ নয়। মেরিন বন্যাকে মাত দেয়ার যোগ্যতা রাখে।
□ : তাই বলে এমন ফ্লপ প্ল্যান নিয়ে পথ চলবে?
■ : প্ল্যানটা ফ্লপ হয়েছে?
□ : সাকসেসফুলও হয়নি। এভাবে হাতে হাত দিয়ে বসে থাকা যাবেনা। আমাকেই কিছু করতে হবে।
■ : কি করবে তুমি?
□ : আগুন লাগানোর। আমি হার চাই। আমি আগুন চাই।
■ : যদি তোমার কোনো পদক্ষেপ ভুল হয় তাহলে কিন্তু নীড়-মেরিন কেউই তোমাকে ছারবেনা।
□ : কিচ্ছু হবেনা। সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবেনা।
■ : এমন কিছু করোনা যেনো খেলাটা ঘুরে যায়।
□ : নতুন পরিকল্পনাটা সফল হয়েছে কি হয়নি?
■ : হয়েছে।
□ : তাহলে ভরসা রাখো এটাও হবে।
■ : আগুন নিয়ে খেলছি আমরা। জলে কুমিড় ডাঙায় যমের মতো পরিস্থিতি।
□ : শান্ত থাকো। সব হবে। জলের কুমির জলেই থাকবে। ডাঙার যম ডাঙাতেই থাকবে।

.

প্রান্তিক : চাচ্চু… ওখানে ওলা কি কলছে? অমন ড্রেস পলে আছে কেনো? এটা কেমন গেইম? কি গেইম?
নীড় : এটা কুংফু গেইম। বেবিদের কুংফু।
প্রান্তিক : ওয়াও! আমি খেলবো গেইমটা।
নীড় : ওকে লাভ। বাট লাভ এটা একটা স্পেশাল গেইম। একটু কঠিনও।
প্রান্তিক : কেমন স্পেশাল আল কেমন কঠিন?
নীড় : এই গেইমটা খেলা শুরু করলে ততোদিন পর্যন্ত শেষ করা যায়না যতোদিন পর্যন্ত এটা না শেখা হয়।
প্রান্তিক : মজাল তো। কঠিন কেনো?
নীড় : কঠিন কারন এটাতে শক্তি প্রয়োগ হয়। আঘাত দিতে হয় , আঘাত পেতে হয়। লাইক ফাইটিং ফাইটিং । ঢিসুম ঢিসুম।
প্রান্তিক : ঢিসুম ঢিসুম!
নীড় : ইয়েস।
প্রান্তিক : তোমাল মতো?
নীড় : আমার চেয়েও বেটার।
প্রান্তিক : ইয়ে… ইয়ে। আমিও কলবো । আমি খেলবো। আমিও শিখবো।
নীড় : বাট বেবি… ব্যথা পাবে তো তুমি।
প্রান্তিক : পাবোনা চাচ্চু।
নীড় : বেবি…
প্রান্তিক : না না না। প্লিজ চাচ্চু… প্লিজ চাচ্চু।
নীড় : ওকে লাভ। যেমনটা তুমি চাও। এসো আমার সাথে।
নীড় প্রান্তিককে নিয়ে গেলো রুমটাতে। ও আনন্দের সাথে বাকি বাচ্চাদের দিকে চলে গেলো।
নীড় : সরি ডিয়ার।
পিটার : স্যার , আপনি কাজটা ইচ্ছা করে করলেন। তাইনা?
নীড় : হ্যা পিটার। আত্মরক্ষার কৌশল জেনে রাখা ভালো। জীবনের প্রতিটি ধাপে কাজে লাগে।
পিটার : ব্যথা পাবে তো।
নীড় : বাচ্চারা হাটতে শেখার সময় হোচট খায় । হোচট খেতেখেতে হাটতে শিখে যায়। হাটতে শেখার পর চলার পথে অনেক কাটা থাকে। তবুও পথ চলে। হোচট খাওয়ার ব্যথা থেকে বাঁচানোর জন্য যদি বাচ্চাকে কোলে বসিয়ে রাখি তবে সে কখনো হাটতে শিখবেনা। কাটা বিধে যাওয়ার ভয় যদি বাচ্চাকে ঘরে রেখে দেই তাহলে জীবনের আনন্দ পাবেনা। আগে বারতে পারবেনা। প্রান আমার ভাতিজা। আমাদের রক্ত। আমার ছেলেই বলতে পারো। চারিদিকে শত্রু। যদিই কোনো অ্যাটাক হয় বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে ও যেনো একটু চেষ্টা করতে পারে লড়াই করার। আমি তো সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ওকে প্রটেক্ট করার। তবুও যদি ছোটখাটো কোনো সমস্যা চলেই আসে তাহলে যেনো ও মোকাবিলা করতে পারে। নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টাটুকু করতে পারে। ও চৌধুরীদের ছেলে। ও দুর্বল নয়। ও সবল। বুঝেছো?
পিটার : ইয়েস স্যার।
প্রান্তিক শিখছে , পরছে , হাসছে। উপভোগ করছে বিষয়টাকে। নীড় দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে। প্রায় ৪০মিনিট পরে প্রান্তিক খুশিতে দৌড়ে এলো চাচ্চু বলে। নীড়ও ওকে কোলে তুলে নিলো।
প্রান্তিক : আমাল না খুব মজা লেগেছে। আমি কালকেও কিন্তু আসবো।
নীড় : অবশ্যই । চাচ্চু প্রতিদিন তোমাকে নিয়ে আসবো।
প্রান্তিক : ইয়াহু।
নীড় : এই কুংফু শিখলে যে তুমি চাচ্চুকে হারিয়ে দিবে সেই ভয় যে আমি পাচ্ছি।
প্রান্তিক : হিহি।

.

মেরিন : দাদুভাই… থাইল্যান্ডের ডি…
জন : ম্যাম…
মেরিন : হ্যা বলো জন। নতুন কোনো আপডেট?
জন : ম্যাম , প্রান্তিককে কুংফু স্কুলে অ্যাডমিট করেছে নীড় চৌধুরী।
মেরিন : হামম।
শমসের : এতোটুকু বাচ্চাকে কুংফু স্কুলে কেনো অ্যাডমিট করালো? ছোটমানুষ ও। ব্যথা ট্যাথা পাবে তো। কোনো সমস্যা হয়ে গেলে?
মেরিন : দাদুভাই , ওটা বাচ্চাদের কুংফু স্কুল। ওখানে বাচ্চাদের ফ্লেক্সিলিবিটির ওপর নির্ভর করেই শেখানো হয়।
শমসের : তুমি এটাকে স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছো?
মেরিন : হ্যা। থ্যাংকস জন।
জন বাহিরে গিয়ে দারালো।
শমসের : দিদিভাই… একটু ভেবে দেখো নীড়ের ইন্টেনশনটা। ও নিশ্চয়ই কোনো ভালো উদ্দেশ্যে কাজটা করেনি।
মেরিন : ও আমাকে নিজের প্রতিপক্ষ ভেবেই কাজটা করেছে। যদি ওকে কিডন্যাপ করানোর চেষ্টা করি তাহলে ও যেনো কোনোভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই ওকে কুংফু স্কুলে অ্যাডমিট করেছে।
শমসের : তবুও তুমি এতো স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছো?
মেরিন : হ্যা। ওর উদ্দেশ্য যাই হোকনা কেনো কাজটা ভালোই। বিপদের হাতপা থাকেনা।
শমসের : হামম। নেক্সট মুভ কি হবে?
মেরিন : ফ্যাক্টরী সীলড করা হবে।
শমসের : চৌধুরীদের?
মেরিন : হামম।
শমসের : অভিযোগটা কি হবে?
মেরিন : বেইমানি ।
শমসের : ফাসাবে ওদেরকে?
মেরিন : হলে ভালোই হতো। কিন্তু পেছন থেকে আমি ছুরি মারিনা।
শমসের : তাহলে কিভাবে সম্ভব হবে এটা?
মেরিন : ওদের ফ্যাক্টরীতে ঘটনা ঘটছে। সেটা আমার পর্যন্ত এসেছে। সেটাই কাজে লাগাবো।
শমসের : হামম। লাভ কি হবে?
মেরিন : চৌধুরীরা যেখান থেকে শুরু করেছিলো সেখানেই পৌছানো হবে।
শমসের : প্রতিপক্ষকে হারানোর জন্য প্রতিপক্ষকে দুর্বল করা ভালো বুদ্ধি। নাইস মুভ।
মেরিন : দাদুভাই… প্রতিপক্ষ সমানে সমানে হয়। চৌধুরীদেরকে আমি সমান ভাবি না। আমি এই দিক নিয়ে ভাবতামও না যদিনা ও আমাদের প্রজেক্ট কেড়ে নিতো। ও যদি ইন্টারফেয়ার করে তাহলে আমি করবোনা সেটা কি হয় বলো? হামম?
শমসের : সঠিক সিদ্ধান্ত । আচ্ছা , এই ঘটনা ঘটবে কখন?
মেরিন : কালকে বৃহস্পতিবার। তাই কালকে ঘটবে। দুদিন কোর্ট বন্ধ থাকবে।
শমসের : সীল করবে সেটা কি নিশ্চিত?
মেরিন : গোয়েন্দা ঢুকে গিয়েছে তথ্য সংগ্রহ করেছে , প্রমান পেয়েছে। ভয় পাচ্ছিলো স্টেপ নিতে। ভয়টা দূর করেছি আমি। নির্ভয়ে সীল করা হবে।
শমসের : ঘটনা এই পর্যন্ত চলে এসেছে আর তুমি আমাকে এখন জানালে।
মেরিন : সবটা ফাইনাল ২ঘন্টা আগে হলো। যখন নীড় প্রানকে নিয়েয় ব্যস্ত ছিলো তখন পরিস্থিতি ওর হাতের বাহিরে চলে যাচ্ছিলো।
শমসের : ও যদি ব্যাকআপ প্ল্যান করে বা ওর পর্যন্ত তথ্য চলে যায় তাহলে?
মেরিন : এমনটা না ঘটার সম্ভাবনা ৯৫%। এখন শুধু কালকের অপেক্ষা।

.

পরদিন…
নীড় : ওয়াট?
পিটার : ইয়েস স্যার। কাম ফার্স্ট। আমি প্রায় পৌছে গিয়েছি।
নীড় : আমিও বের হচ্ছি।
নীড় দ্রুত বের হয়ে গেলো।
নিহাল : কি হলো? নীড় ওভাবে বেরিয়ে গেলো কেনো?
নীলিমা : আমি কিভাবে জানবো? ওকে কল করো।
নিহাল : না না, ওকে এখন কল করা যাবেনা। রেগে যাবে। পিটারকে কল করি। নিহাল পিটারকে কল করে ব্যস্ত পেলো।

নীড় : আপনি আমার ফ্যাক্টরী সীল করতে পারেন না। কেনো করবেন?
☆ : প্রমান আছে আমাদের কাছে।আদালত থেকে অনুমতি নিয়েই আমরা এসেছি। সীলড ইট।
নীড় : অফিসার… ভুলে যাচ্ছেন কি কার সামনে দারিয়ে কথা বলছেন? নীড় আহমেদ চৌধুরী আমি।
☆ : আমরা অপরাধ চিনি। অপরাধীর নামের সাথে আমাদের কাজের কোনো সম্পর্ক নেই।
নীড় : আইনমন্ত্রীর কথা তো শুনবেন। রাইট?
মেরিন : প্লিজ কল হিম।
নীড় পাশ ফিরলো মেরিনকে দেখে আবারো ফোনের দিকে তাকালো। পকেটে রেখে দিলো। বুঝতে পারলো এখন কল করা আর না করা সমান।
নীড় : যা করার করুন। ইউ আর ওয়েলকাম। চলো পিটার।
নীড় মেরিনকে ক্রস করে চলে গিয়ে আবার ফিরে এলো।
নীড় : ব্লেইম গেইম খেলে ঠিক করোনি।
মেরিন : ব্লেইম গেইম তুমি শুরু করেছো। এই গেইমে আমি এখনো প্রবেশ করিনি।করবো করবো। শীঘ্রই করবো। মনে আছে তো কি ব্লেইম গেইম খেলেছিলো?
নীড় : আমার স্মৃতিশক্তি অনেক ভালো। আমি জানি আমি কি গেইম খেলেছি। তোমাদেরকে মাত দেয়ার গেইম খেলেছি। লেটস গো পিটার ডার্লিং।
নীড় পিটারকে নিয়ে চলে গেলো।
মেরিন : প্রতিশোধের চেয়ে সুস্বাদু আর কিছু নেই জন। প্রতিশোধের তো কেবল শুরু। এখনো অনেক কিছু বাকি। আজকে রাতে আমার ঘুম হবে। মেজাজটা বিগরে ছিলো কালকে থেকে। আজকে স্বস্তি পেলাম । চলো জন আমরাও যাই।।
মেরিনও চলে গেলো।

.

রাতে…
নীড়ের মেজাজটা বড্ড খারাপ।
নীড় : হ্যালো পিট…
প্রান্তিক : চাচ্চু…
নীড় : পরে কল করছি পিটার।
নীড় ফোন রেখে দিলো।
নীড় : লাভ… তুমি ঘুম থেকে উঠে এলে কেনো?
প্রান্তিক : আমাল কিছু বলাল ছিলো। কিছু চাওয়াল ছিলো।
নীড় : বলো কি চাই।
প্রান্তিক : আমাল মাবাবা লাগবে।
নীড় : কি?
প্রান্তিক : হ্যা চাচ্চু। আমাল মাবাবা লাগবে।
নীড় : হঠাৎ মাবাবা কেনো?
প্রান্তিক : সবাল মাবাবা আছে তাই আমালও মাবাবা লাগবে। সবাল থাকলে আমাল কেনো থাকবেনা? মাবাবা চাই।

.

চলবে…