প্রতিশোধে প্রনয় পর্ব-০৭

0
102

#প্রতিশোধে_প্রনয়
part : 7
writer : Mohona
(do not copy please)

.

জন : বাকি কাজ আমার।
মেরিন : জানি আমি সেটা। তোমার চেয়ে বেশি কারো ওপর আমি ভরসা করতে পারিনা। চলো… এই জায়গাটা ত্যাগ করতে হবে।
জন : ইয়েস ম্যাম চলুন।
মেরিন জনকে নিয়ে চলে যেতে নিয়েও দারিয়ে গেলো। পেছনে তাকালো। চারদিক দেখলো।
জন : কোনো সমস্যা ম্যাম?
মেরিন : না। চলো। শোনো মূল পরিকল্পনা তো আমি করেই নিবো। কিন্তু মুখরোচক প্রতিবেদনটা তোমাকেই ভাবতে হবে।
জন : অবশ্যই ম্যাম।
মেরিন জনকে নিয়ে চলে গেলো।

■ : আরেকটু পরে এলে কি হতো? আসার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলে।
□ : ধরা তো পরিনি। আর রিস্কি প্ল্যান তোমার ছিলো।
■ : প্ল্যান আমার। কিন্তু ধরা পরার কোনো সম্ভাবনা নেই। দেখলে তো আমার এই কাজটা আমাদেরকে উদ্দেশ্যের কাছে নিয়ে এলো।
□ : মেরিন কি করবে বলে তোমার মনে হয়?
■ : যা করবে খারাপই কিছু করবে। মিলিয়ে নিও আমার কথা।

.

রাতে…
নীড় ঘুমাতে পারছেনা। এপাশওপাশ করছে। ওর মনে পরছে দুপুরের কথাটা।মেরিনের গলা চেপে ধরেছিলো। গলায় ওর আঙ্গুলের দাগ পরে গিয়েছে। চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরছিলো।
নীড় : আই হেইট ইউ মেরিন বন্যা খান।
বলেই নীড় কাচের জানালায় ঘুষি মারলো। সেটা ভেঙে গেলো।
নীড় : একটা মেয়ে এতোটা খারাপ কিভাবে হতে পারে? ছিঃ… প্রানের সুরক্ষা আরো বারাতে হবে। ওর আশেপাশে যেনো একটা মাছিও না গলতে পারে সেই ব্যবস্থা আমি করবো।
নীড় মেরিনের ছবিতে নিজের হাতের রক্ত মুছে নিলো।
নীড় : আই হেইট ইউ।
মেরিনের ছবিটা দুমরে মুচরে নিচে ফেলে পা দিয়ে লাথি দিলো।
প্রান্তিক : চাচ্চু তোমাল হাত দিয়ে দেখি লক্ত পলছে।
নীড় : তুমি ঘুম থেকে কিভাবে উঠলে?
প্রান্তিক : শব্দ পেয়ে। লক্ত থামেনা কেনো? আমি আদল দিয়ে দিবো নাকি ঔষধ দিয়ে দিবো?
নীড় : তুমিই তো আমার সেরা ঔষধ।
প্রান্তিক : হিহি। আচ্ছা তোমাল কি ব্যথা হচ্ছে?
নীড় : ব্যথা এখনই চলে যাবে। বসো এখানে।
প্রান্তিক বসলো। নীড় কাটা জায়গায় ঔষধ দিচ্ছে আর প্রান্তিক ফু দিচ্ছে। ওকে দেখতে ভীষন মিষ্টি লাগছে। নীড় মুচকি হাসি দিলো। ব্যান্ডেজ করে নীড় প্রান্তিককে বুকে জরিয়ে নিলো। ওকে আদর করতে লাগলো , নিজের খোচাখোচা দারি দিয়ে খেলতে লাগলো। ও খিলখিল করে হাসছে।
প্রান্তিক : চাচ্চু আমাল সুলসুলি লাগছে তো। আমাল হাসি পাচ্ছে। হাহাহা…
নীড় : পাক হাসি…
ও প্রানের সাথে আরো খেলছে। নিহাল-নীলিমা জানালা দিয়ে দেখছে।
নীলিমা : নীড়ের মন ভালো করার ঔষধ যে প্রান সেটা ভুলেই যাই।
নিহাল : হামম। কিন্তু তবুও আমি কালকের জন্য ভয় পাচ্ছি।
নীলিমা : আমি ঠিক করেছি কথাটা বলাবো প্রানকে দিয়ে।
নিহাল : তবুও ঠিক বুঝে যাবে যে কাজটা আমাদের।
নীলিমা : রিস্ক তো নিতেই হবে।

.

পরদিন…
নীড় : আমি কি বলেছি যে আমি বিয়ে করবো?
নীলিমা : তুমি বলোনি। কিন্তু বিয়ে তো করতে হবে নাকি।
নীড় : আমি বিয়ে করবোনা।
নীলিমা : কিন্তু কেনো?
নীড় : আমি মেয়ে , বিয়ে এবং ভালোবাসায় বিশ্বাস করিনা সেটা তোমরা জানো।
নীলিমা : যতোই এসবে বিশ্বাস না করো। এগুলোর ভালো দিক , মন্দ দিক ২টাই আছে। বিয়ে-ভালোবাসা আমাদের জীবনের সাথে মিশে আছে।
নীড় : আমি কোনো কথা শুনতে চাইনা। আমি আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। তোম…
প্রান্তিক একটি মেয়ের কোলে বসে হাসতেহাসতে নিচে নেমে আসতে লাগলো।
নীড় : মেয়েটি কে? এই বাসায় কেনো? যেখানে আমার ইচ্ছা ছারা কোনো মশা পর্যন্ত বাসায় প্রবেশ করতে পারেনা সেখানে এই মেয়ে এখানে কেনো? কে?
নীলিমা : এটা একজন চাইল্ড স্পেশালিস্ট।
পিটার : ইয়েস স্যার। এনিই দেশের সেরা পিডিট্রিশিয়ান। ডক্টর তিথি।। খুবই ভালো একজন মানুষ। আপনার কথা মতোই আমি তাকে খুজে বের করেছি।
নীড় : হামম।
প্রান্তিক : চাচ্চু…
বলেই প্রান্তিক নীড়ের কোলে গেলো।
প্রান্তিক : জানো চাচ্চু… এই ডক্টল আন্টিটা না এই এতোগুলো ভালো। আমাকে চকোলেটও দিয়েছে। থ্যাংক ইউ আন্টি।
তিথি : ওয়েলকাম ডিয়ার।
পিটার : ডক্টর তিথি , ইনি হলেন মিস্টার নীড় আহমেদ চৌধুরী।
তিথি : হ্যালো স্যার।
নীড় : হ্যালো।
তিথি : রেগে হ্যালো বললেন মনে হলো।
নীড় : আই থিংক আপনার ভিজিটিং টাইম শেষ।
নিহাল : নীড়… ডোন্ট বি সো রুড।
তিথি : ইটস ওকে স্যার। বাই প্রান।
নীড় : কল হিম প্রান্তিক। প্রান ওকে কেবল আমরা ডাকি।
তিথি : আশ্চর্য্য মানুষ। আসছি প্রান্তিক। বাই।
প্রান্তিক : কিন্তু আন্টি… তুমি তো বলেছিলে যে তুমি আজকে সারাদিন আমাল সাথে খেলবে। প্লমিস কলেছিলে।
তিথি : না বাবা। আবার নেক্সট উইক দেখা হচ্ছে। বাই…
তিথি চলে যাচ্ছে।
প্রান্তিক : চাচ্চু… আন্টিকে বলোনা আমাল সাথে আজকে খেলতে।
নীড় : খেলার জন্য চাচ্চু আছি , দাদুভাই আছে , দীদু আছে , পিটার আংকেল আছে।
প্রান্তিক : না না না। আমি ওই আন্টিল সাথে আজকে খেলবো।
নীড় : পিটার… ব্রিং হার ব্যাক।
পিটার : ইয়েস স্যার।
পিটার ডক্টর তিথিকে ডেকে নিয়ে এলো।
তিথি : মিস্টার চৌধুরী আমাকে ডাকছিলেন?
নীড় : হ্যা। আজকে বিকাল পর্যন্ত আপনি প্রানের সাথে সময় কাটাবেন।
তিথি : বাট আমার পেশেন্ট আছে।
নীড় : সেটা প্রানকে প্রমিস করার আগে ভাবা উচিত ছিলো।
তিথি : আরে আমি তো কেবল ওর…
নীড় : আমি বলে দেওয়া মানে অর্ডার দেয়া।
তিথি : এক্সকিউজ মি… আমি আপনার এনপ্লয়ী নই। তাই আপনি আমাকে অর্ডার দিতে পারেন না।
নীড় : কার সামনে দারিয়ে কথা বলছেন জানেন?
পিটার : কেনো অযথা ঝামেলা করছেন ম্যাম? স্যারের মাথা গরম হয়ে গেলে বিপদ আপনারই।
তিথি : কিসের বিপদ? দেশে কি আইনকানুন কিছু নেই?
পিটার : বাঘের সাথে হরিণের লড়াই হয়না। বড়জোর হরিণ প্রাণ বাঁচিয়ে পালায়। আপনার আজকের সেশনের টাকা আপনি পেয়ে যাবেন
তিথি : বিষয়টা টাকার নয়। আম…
তখন তিথির ফোনটা বেজে উঠলো।
নীড় : পিক আপ দ্যাট ফোন ডক্টর।
তিথি কথা বলে এলো।
তিথি : এতোটুকুর জন্য হেল্থ মিনিস্ট্রিতে কল করার কি প্রয়োজন ছিলো?
নীড় : আপনি আইনের কথা বললেন তাই আমি আপনাকে আইনত প্রান্তিকের ডক্টর বানিয়ে নিলাম। সিম্পল। আপনি আজকের দিনটা রিজেক্ট করেছেন। এখন প্রতিদিন আপনাকে এখানে আসতে হবে। এটাই আপনার জব।চলো পিটার।
নীড় পিটারকে নিয়ে চলে গেলো। তিথি প্রানের সাথে খেলতে চলে গেলো।
নিহাল : কথা তো হলোই না। তোমার ছেলে তো আরো রেগে গেলো।
নীলিমা : প্রানকে দিয়েও কথা বলাতে পারলামনা। ধ্যাত…
নিহাল : বাট এই মেয়েটার সাহস আছে। নীড়ের মুখের ওপর কথা বলছিলো।
নীলিমা : তো এখন কি একে ছেলের বউ বানাবো নাকি?
নিহাল : কি আশ্চর্য্য! সেটা কখন বললাম? তোমার সাথে আজকাল কথাই বলা যায়না। আমি অফিস গেলাম। খেয়াল রেখো প্রানের ওপর। আর ডক্টরটার ওপরও নজর রেখো।
নীলিমা : নীড় যখন ওকে রেখেছে তখন ওর থেকে কোনো বিপদ নেই।
নিহাল : বিপদের ঠিক নেই। যখন তখন যেকারো মাধ্যমে আসতে পারে। গার্ডস তো আছেই। তবুও কোনো বিপদ সংকেত পেলে নীড় অথবা আমাকে কল করো।

.

নীড় : পিটার… ডক্টরটা মেরিন প্রুফ কিনা খোঁজ লাগাও।
পিটার : মেরিন প্রুফ!
নীড় : হ্যা। ভুলেও মেরিনের সাথে যোগাযোগ আছে কিনা , নূন্যতম কোনো লিংক আছে কিনা খুজে বের করো।
পিটার : ওকে স্যার।
নীড় : যদি কোনো লিংক থাকে তাহলে গুম করে দিবে।
পিটার : ইয়েস স্যার। কিন্তু স্যার… আমি ডক্টর তিথি সম্পর্কে সব তথ্য নিয়েছি। কোনো খারাপ রিপোর্ট নেই।
নীড় : আমি খারাপ থাকা না থাকার কথা বলিনি। আমি বলেছি মেরিনের সাথে কানেক্টেড থাকার কথা। ২৪ঘন্টার মধ্যে আমি তথ্য চাই।
পিটার : চলে আসবে।
নীড় : আজকের শিডিউল কি?
পিটার : স্যার… আজকে মিটিং নেই কোনো।
নীড় : হামম। তবে আজকে চোর ধরতে যাবো সন্ধ্যায়।
পিটার : চোর ধরতে মানে?
নীড় : ভীষন মজার গল্প। গল্পটার স্বাক্ষী হলে আনন্দ পাবে।
পিটার : ওকে স্যার।
নীড় বোতলে চুমুক দিলো।
পিটার : স্যার ড্রাইভ করছেন আপনি।
নীড় : ব্যাপারনা।

.

সন্ধ্যায়…
প্রান্তিক : চাচ্চু… তুমি হিলো সেজে কোথায় যাচ্ছো?
নীড় : হিরো সেজে!
প্রান্তিক : হামম হামম। তোমাকে একদম হিলোল মতো লাগছে।
নীড় : দুষ্টু ছেলেটা।
প্রান্তিক : হিহি।
নীড় : আচ্ছা লাভ শোনো… রাতে আমার দেরি হতে পারে। তাই তুমি গুড বয় হয়ে ডিনার করবে। দাদুভাই বা দীদু খাইয়ে দিবে। স্টোরি বলবে। ঘুমিয়ে পরবে। ওকে?
প্রান্তিক : আচ্ছা…
প্রান্তিকের কপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলো নীড়।বাসা থেকে বের হতেই সিগারেট ধরালো। সেটা হাতে নিয়েই গাড়িতে উঠে বসলো। নিহাল ওপরে দাড়িয়ে ছেলেকে চলে যেতে দেখলো।
নিহাল : প্রানের চোখের আড়ালে যে নীড় আছে তার অপর নাম ধ্বংস। প্রানের চোখের সামনে যে নীড় থাকে সে নীড় সবসময় থাকলে কতোই না ভালো হতো।
নীলিমা : প্রানের সামনে যে নীড় থাকে সেই নীড় সবসময় থাকলে প্রান আমাদের কাছেই থাকতোনা।
নিহাল : তা ঠিক। তবুও আমি বলবো যে মৃত মানুষের চরিত্রে এমন দাগ লাগানো ঠিক হয়নি। এর হিসাব একদিন না একদিন দিতেই হবে।
নীলিমা : নীলার চরিত্রে দাগ লাগানোটা যেমন অন্যায় ছিলো তেমন করে আমাদের থেকে আমাদের বংশধরকে লুকিয়ে রাখাটাও অন্যায় ছিলো। ৩টা বছর খানেরা আমাদের থেকে প্রানকে আড়াল করে রেখেছিলো।
নিহাল : হামম। এখানে নীলার দোষ তো নেই।
নীলিমা : এটাতে ওর দোষ নেই মানে এটা নয় যে ও নির্দোষ। এসব ঘটনার জন্য ওই দায়ী। ও খানদের তরফ থেকে এসেছিলো আমাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে। ফাঁসিয়েছিলো আমার ছেলেকে। ধ্বংস করতে এসেছিলো আমার সাজানো সংসারকে। সার্থকও হয়েছে। আমার প্রনয় নেই। আমার নীড় কেমন হয়ে গিয়েছে।
নিহাল : নীড়ের এমন হওয়ার পেছনে ওর হাত নেই।
নীলিমা : প্রনয় থাকলে নীড়কে সামলাতে পারতো।নীলার জন্যই মেয়েদের প্রতি নীড়ের ঘৃণা আরো বেরে গিয়ছে। কোনোদিনো ক্ষমা করবোনা ওকে।
নীলিমা চোখের পানি মুছে ঘরে চলে গেলো। নিহাল আকাশের দিকে তাকালো।
নিহাল : আল্লাহ… নীলা মেয়েটাকে জান্নাত নসীব করো।

.

নীড় বসেবসে রেড ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দিচ্ছে।
এমিলি : হ্যান্ডসাম ফেইস নিয়ে মেয়েদেরকে দূর থেকে কেবল দেখতে নেই। ডান্স করতে হয় , গল্প করতে হয়।
নীড় : সেটা মেয়েদের ওপর নির্ভর করে। আমার থেকে দেখতে সুন্দর হতে হবে অবশ্যই।
এলিনা : অহংকার… নাইস। হ্যান্ডসাম হলে অহংকার তো থাকবেই।
নীড় : আম…
নীড় থেমে গেলো। মেরিনকে দেখতে পেলো। কপালে ভাঁজ পরলো। গ্লাসে চুমুক দিলো।
পিটার মনেমনে : স্যার মেরিন বন্যা খানের জন্য এখানে এসেছেন?
নীড় হাতের গ্লাসটা শক্ত করে চেপে ধরলো। দাঁতে দাঁত চেপে দেখছে। গ্লাস রেখে বোতল নিলো।
পিটার : স্যার…
নীড় : বলো।
পিটার : আপনি কি মেরিন বন্যা খানের জন্য এখানে এসেছেন?
নীড় : নো। এই মেয়েটা চলে আসাতে মনেহচ্ছে সবটা গন্ডগোল হয়ে যাবে। সাথের ওই ছেলেটা কে?
পিটার : চিনিনা স্যার।
এলিনা : হেই হ্যান্ডসাম… কোথায় হারিয়ে গেলে?
নীড় : নীড় আহমেদ চৌধুরী কখনো হারায়না।

জারির : ফিলিং লাকি। মেরিন বন্যা খান আমার সাথে পাবে এসেছে।
মেরিন : লাক নাকি ব্যাডলাক সেটা কে বলতে পারে?
জারির : বিউটিফুলের সাথে সময় কাটিয়ে মরে গেলেও স্বস্তি।
বলেই জারির মেরিনের হাতের ওপর হাত রাখলো। মেরিন জারিরের চোখের দিকে তাকিয়ে এরপর ওর হাতের দিকে তাকালো। জারির নিজের হাত সরিয়ে নিলো।
জারির : সরি। আসলে অনেকদিন পর তোমায় দেখলাম তো। তাই।
মেরিন : হার্ডডিস্কটা?
জারির : এসেই টেবিলের নিচে লাগিয়ে রেখেছে।
মেরিন : গুড বয়। চলো কথা বলি।
জারির : আমি তো ধন্য।লেট মি ইনফর্ম ইউ, তোমার রাইটে প্রায় ২০হাত দূরে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন আছে।
মেরিন : ঢোকার সময়েই দেখেছি।
জারির : ওহ। এখন কি হবে? হার্ডডিস্কটা কি করবে?
মেরিন : হাতে চলে এসেছে আমার।

পিটার : স্যার , ওটা জারির হুদা। এই পাবের ঔনার। মেরিন বন্যা খানের ফ্রেন্ড।
নীড় : হামম।
পিটার : ক্যাজুয়াল মিটিং এর জন্য এসেছে।
নীড় : নট অ্যাট অল। ওরা কোনো হার্ডডিস্ক নিয়ে কথা বলছে। কোনো হার্ডডিস্কের জন্য এসেছে।
পিটার : হার্ডডিস্ক! আপনি জানতেন? আর এই কারনেই এসেছেন?
নীড় : এসে রিংকি জেরিনের জন্য।
পিটার : তাহলে এই বিষয়ে কিভাবে জানলেন?
নীড় : জানতাম না। এখন লিপরিড করে। টেবিলের নিচে লাগানো ছিলো। ওই ছেলেটা রেখেছিলো। মেরিন নিয়ে নিলো। ওর কাছ থেকে ওটা আমি নিবো। জানতে হবে কি আছে।
পিটার : স্যার , রিংকি জেরিন চলে এসেছে। সাথে হয়তো ওটা বয়ফ্রেন্ড।
নীড় : নিউ বয়ফ্রেন্ড বলো। নামটা তাসিন। বসে আর কতোক্ষন থাকবো। এই এলিনা এজেন্টকে হ্যান্ডেল করো।
নীড় ওয়াইনের বোতল হাতে এগিয়ে গেলো। মেরিনকে ক্রস করে রিংকির দিকে গেলো। ইচ্ছা করে তাসিনের কাধে ধাক্কা মারলো। তাসিন পরে গেলো।
নীড় : সরি ম্যান। কাধ দিয়ে টাচ লাগাতেই পরে গেলে হয়? জিমে গিয়ে কি কেবল শরীরে হাওয়া ভরা হয় নাকি? পিটার বেচারাকে টেনে তুলো।
তাসিন নিজে থেকেই উঠে দারালো।
তাসিন : দোষ করে আবার নিজেই টন্ট মারছেন?
নীড় : তুমি লাকি যে আমার সাথে ধাক্কা লাগার পর তোমাকে শ্যুট করিনি। আমি মানুষটা অনেক দামী। নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন।
তাসিন : ননীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন! সরি স্যার। সরি সরি।
নীড় ড্যাম কেয়ার ভাব নিয়ে এগিয়ে গেলো।
রিংকি : কে ছিলো ওটা?
তাসিন : মাথা খারাপের গোডাইন। সাইকো সাইকো। টাকার কুমির।
রিংকি : সেই সাথে হট। আমার সমান সমান।
তাসিন : কিছু বললে তুমি?
রিংকি : তোমার জানার প্রয়োজন নেই। এমনিতেও তুমি আমার লেভেলের নও।

মেরিন মনেমনে : মজাদার খিচুরি হচ্ছে। কাউকে টাচ করেনা। অথচ নিজেই ধাক্কা মারলো। দেখতে তো সেই লাগছে।
জারির : কি হলো?
মেরিন : ডান্স ফ্লোরে যাবে?
জারির : সেটাতো আমার গুড লাক হবে।
মেরিন : আর কোথাও আগুন লেগে যাবে।
জারির : কিছু বললে?
মেরিন : না। চলো। জন নজর রেখো চারদিকে।
মেরিন জারিরের সাথে ডান্সফ্লোরে গিয়ে নাচতে লাগলো। নীড় তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
নীড় : একেই বলে নারী… যাকে পাগলের মতো ভালোবাসতো তার মৃত্যুর ৬মাসও হয়নি অথচ অন্যকারো সাথে শুরু হয়ে গিয়েছে।
রিংকি : হ্যালো হট হ্যান্ডসাম।
নীড় পাশ ফিরে দেখে আবারো বোতলে চুমুক দিলো।
রিংকি : এমন করে ইগনোর করলে যে কেউ ঘায়েল হবে।
নীড় : যাকেতাকে তো আমি ইগনোরও করিনা। ইগনোরও করি লেভেল অনুযায়ী।
রিংকি পাশে বসলো।
নীড় মনেমনে : শিকার চলে এসেছে শিকারি হতে।শিকারটাকে মেরিন নামক বাজপাখির হাত থেকে বাঁচাতে হবে। না হলে আমার প্ল্যান ফ্লপ হতে পারে।
রিংকি : লেভেলের না হলে তো আমি রিংকি জেরিনও কথা বলিনা।

জন : ম্যাম…
মেরিন : জারির… আমি এক পেগ নিয়ে আসছি। ২মিনিট।
জারির : আমি নিয়ে আসছি।
মেরিন : ওকে।
জারির গেলো।
মেরিন : ইয়েস জন?
জন : নীড় চৌধুরী স্যার রিংকি জেরিনের জন্য এসেছে।
মেরিন : গার্লফ্রেন্ড?
জন : না। তার বেস্টফ্রেন্ডের ভাবি। ডিভোর্স চাইছে। অ্যালিমনিতে অর্ধেক প্রোপার্টি চেয়েছে। তাই …
মেরিন : নিজের মতো করে হ্যান্ডেল করতে এসেছে। রাইট?
জন : হামম।
মেরিন : ইন্টারফেয়ার করলে কেমন হয়?
জন : ম্যাম… আপনিও জরুরী কাজে এসেছেন। যদি সেটা ফ্লপ হবে।
মেরিন : জন… তুমি আছো তো। পরিস্থিতি সামাল তোমার চেয়ে ভালো কে দিতে পারে? দিবে তো?

.

চলবে…