#প্রতিশোধে_প্রনয়
part : 9
writer : Mohona
(do not copy please)
.
নীড় : রিভার্স সাইকোলজি। অনেক পুরোনো খেলা এটা।
তিথি : আমাকে এখানে রেখেছেন কেনো?
নীড় : আমার শত্রুদের সবচেয়ে বড় অপরাধ একটাই। আর সেটা হলো এই যে তারা আমার শত্রু। এতো সাধারন শাস্তি তোমাকে দিবো সেটা ভাবলে কিভাবে?
তিথি : যা করার করুন।
তিথির সাথে মেরিনের কোনো লিংক নেই। তবুও নীড়ের বিশ্বাস হচ্ছেনা। প্রান্তিকের স্কুল ছুটির সময় হয়ে গিয়েছো। তাই নীড় বাসা থেকে বের হয়ে গেলো। পিটার গাড়ি চালাচ্ছে। নীড় গভীর চিন্তায় মগ্ন।
পিটার : কি হলো স্যার?
নীড় : আমি মনেপ্রানে বিশ্বাস করি যে তিথির সাথে মেরিনের যোগসূত্র অবশ্যই আছে।
পিটার : স্যার আমি অনেক খুজেছি কিন্তু কোথাও পাইনি।
নীড় : হামম। তবুও আমি নিজে গিয়ে একটিবার খুজবো।
পিটার : জী স্যার।
নীড় : পিটার… পরশু আমাকে তুমি কোথায় পেয়েছিলে?
পিটারের অকারনে হাসি চলে এলো। মুচকি হাসলো। যদিও হাসিটা থামানোর অনেক চেষ্টা করেছে। তবে সফল হতে পারেনি।
নীড় : হাসির কোনো কথা বললাম কি?
পিটার : না স্যার। সরি স্যার। আসলে আপনি আমার সাথে সবসময় নরমালি কথা বলে থাকেন। কিন্তু এই কথাটা একটু অন্যভাবে বললেন তো তাই হাসি চলে এলো। সরি স্যার।
নীড় : এখন আমার প্রশ্নের উত্তর দাও। কোথায় পেয়েছিলে আমাকে?
পিটার : পাবের পেছনের দিকটাতে।
নীড় : হামম। একাই ছিলাম আমি?
পিটার : ইয়েস স্যার।
নীড়ের কপালে ভাঁজ পরলো।
নীড় : টেল মি দ্যা ট্রুথ পিটার।
পিটার : স্যার আমি বলতে পারি যদি আপনি রাগ না করেন।
নীড় : পিটার… ভনিতা করা আমার পছন্দ নয়।
পিটার : মেরিন বন্যা খানের সাথে ছিলেন।
নীড় কলার ঠিক করতে করতে বলল : মেরিন বন্যা খান আমাকে টন্ট মারবে।
পিটার : মারবেনা স্যার। সেও নেশায় ছিলেন। আপনাকে টন্ট মারলে আপনিও মারবেন।
নীড় : ওর কথার গুরুত্ব দেয় কে?
পিটার চুপ করে রইলো। নীড়ের চোখের সামনে সেদিন রাতের ঘটনা ঘুরতে লাগলো।
নীড় মনেমনে : নেশায় পরে কি অদ্ভুত কাজ করে ফেলেছি। ওই মেয়েকে কেনো কিস করতে গেলাম? উফফ… ওর কি কিছু মনে পরেনি? মনে পরলে তো পিস্তল নিয়ে চলে আসার কথা। ওর কি মনে নেই? রেসপন্স কেনো করছিলো ও?
ওর হাতের দিকে তাকালো। মেরিনের নখের আচর।
নীড় মনেমনে : ভালোবেসে লাভবাইট দেয়া হয়। আমাদের তো ঘৃণার সম্পর্ক। হেইট বাইট বলেকি এটা কে? আফসোস , কারো ইউজ করা মেয়ের কাছে গিয়েছিলাম , কিস করেছিলাম। ভেবেই নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে। আই জাস্ট হেইট দ্যাট গার্ল।
গাড়ি থেমে গেলো।
পিটার : স্যার… চলে এসেছি।
নীড় গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে গেলো।
পিটার : স্যারকে প্রথমবার অপ্রস্তুত লাগছিলো। আসলে মেয়ে বিষয়ক ঝামেলা সাংঘাতিক হয়। স্যার যতোই অপছন্দ করুকনা কেনো মেরিন বন্যা খানকে। তার ইফেক্ট ঠিকই পরে স্যারের ওপর।
.
৩দিনপর…
শমসের : তুমি হাতেহাত দিয়ে বসে আছো দিদিভাই।
মেরিন : আমি তো দারিয়ে আছি।
শমসের : দিদিভাই… এটা মজা করার সময় নয়।
মেরিন : কারেক্ট । এটা কফির সময়। মিলু… ব্ল্যাক কফি দুজনের জন্য।
শমসের : দিদিভাই.. তুমি ভালো মতোই জানো যে আমি কি বিষয়ে কথা বলছি। তাহলে ইগনোর কেনো করছো? কিছু বলছোনা কেনো?
মেরিন : দাদুভাই… দেয়ালের কান আছে , সিলিং এর কান আছে , ফার্নিচারেরও কান আছে।
শমসের : তোমার সন্দেহের তীর কার দিকে?
মেরিন : সবার দিকে। কাউকে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়।
শমসের : আমাকে তো বলো।
মেরিন : বলবো বলবো।
শমসের : তাহলে বলছোনা কেনো?
মেরিন : বললাম তো সবকিছুরই কান আছে।
শমসের : তাহলে কখন বলবে?
মেরিন : যখন সময় আসবে।
শমসের : উফফ।
.
নিহাল : তোমার এই মেয়েকেও নীড় রিজেক্ট করে দিবে। দেখে রিজেক্ট করাতো দূরের কথা। ও তো শুনেই না করে দিবে।
নীলিমা : তুমি আরো বেশি হতাশ করো আমাকে।
নিহাল : যেটা ফ্যাক্ট সেটাই বলি।
নীলিমা : তো বিয়ে কি করবেনা নীড়?
নিহাল : জানিনা। তবে এটা জানি যে ওর জন্য ওকে টক্কর দেয়ার মতো মেয়েই খুজতে হবে।
নীলিমা : কোথায় পাবো? মেয়ে তো আর হাতে বানানো যায় না বা বাজারের পন্যও নয় যে কিনে আনবো।
নিহাল : জানিনা ।
নীড় : এসব কি? ম্যাগাজিন কেনো এখানে?
তিথি : পড়ছিলাম আমি।
নীড় : ডক্টর আপনি। এসব ফালতু জিনিস পড়ছেন কেনো? আর পড়লেও এখানে কেনো? পড়বেনই বা কেনো?
তিথি : মানে কি এটার? পড়তেও কি পারবোনা?
নীড় : আপনি অন ডিউটিতে আছেন।
তিথি : প্রান্তিক একটি বাচ্চা। ওর জন্য আমি এখানে। বাচ্চাটা ঘুমিয়ে আছে। তো এখন আমি কি করবো? আশ্চর্য্য মানুষ তো আপনি।
নীড় : জাস্ট শাট আপ।
তিথি : কোনো লজিক নেই তাই শাট আপ বলেই গা বাঁচানোর ধান্দা।
নীড় : নিজেকে অতোটা গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন নেই।
তিথি : আমি আমাকে গুরুত্ব দিবো কি দিবোনা সেটা আপনি নির্ধারন করবেন না।
নীড় একটা বোতল টেবিলে ভেঙে তিথির গলার সামনে ধরলো।
নীড় : আমার মুখেমুখে তর্ক করা আমার পছন্দ নয়। নয় মানে নয়। কথাটা যেনো মাথায় থাকে। আর কখনো আমার সাথে তর্ক করলে কথা বলার জন্য জিহ্বাটাই আর থাকবেনা। কথাটা যেনো মাথাতে থাকে।
বলেই ও বোতলটা ধপাস করে হাত থেকে ফেলে দিলো। ওটা ঠিক তিথির পায়ের সামনে পরলো। তিথি চমকে উঠলো।
নীড় : পা টা মিস হয়নি। মিস করেছি। সবসময় সেটা হবেনা।
বলেই নীড় নিজের ঘরে চলে গেলো।
তিথি : ক্ষমতার এমন অপব্যবহার করা ঠিক নয়। আপনারা নিজেদের ছেলেকে বোঝাননা কেনো?
নীলিমা : তুমি এই টোনে কথা বলছো কেনো? এটা একটি চরম বেয়াদবি।
তিথি : আমার এই বেয়াদবি আপনার চোখে পরছে অথচ আপনার ছেলে যে এমন বেয়াদবি করে সেটা চোখে পরে না? আপনার ছেলের মধ্যে আদব বলতে তো কিছু নেই।
নীলিমা : তুম…
নিহাল : নীলি… চলো।
নীলিমা : আরে…
নিহাল : নীলি…
নিহাল নীলিমাকে নিয়ে বাগানের দিকে গেলো।
নীলিমা : তুমি আমাকে নিয়ে এলে কেনো? ওই মেয়েটা বেয়াদবি করছিলো আমার সাথে।
নিহাল : মেয়েটার দিকটা ভেবে দেখেছো? ওর সাথে কেমন আচরণ চলছে সেটা দেখতে পাচ্ছোনা? ইগোটা একটু সাইডে রেখে ভেবে দেখো। মাথা ঠান্ডা করো।
নীলিমা কয়েক সেকেন্ড চুপ করে রইলো।
নিহাল : নীড় ওকে একপ্রকার বন্দি বানিয়ে ফেলেছে। বিষয়টা কি ঠিক হচ্ছে বলো?
নীলিমা : নীড়কে কে বোঝাবে বলো তো? ও কি কারো কথা কখনো শোনে?
নিহাল : সেটাই তো কথা। নীড়ের সাথে কথা বলবো ।
নীলিমা : রেগে যাবে তো।
নিহাল : তবুও বলতে হবে।
.
পরদিন…
নীড় : কি এমন গুরুত্বপূর্ন কথা বলার আছে?
নিহাল : কথাটা গুরুত্বপূর্ন বলেই বলতে এসেছি।
নীড় : বলো।
নিহাল : তিথির শাস্তি মওকুফ করো।
নীড় : বাবা… ও আমার মুখের ওপর না বলেছে। ওকে ছেরে দেয়ার তো প্রশ্নই ওঠেনা।
নিহাল : নীড়… রাগটা একটু কমাও।
নীড় : সম্ভবনা।
নিহাল : কেনো বেচারির সাথে এমন করছো?
নীড় : ও কোনো বেচারি নয়? ওর গভীর কোনো ষড়যন্ত্র আছে।
নিহাল : সন্দেহ করা তোমার স্বভাব হয়ে গিয়েছে।
নীড় : সন্দেহ কখনো ভুল হয়না। সন্দেহ দিয়েই সত্যি পর্যন্ত পৌছানো যায়।
নিহাল : কি সত্য পেলে?
নীড় : খোজ চলছে। একটা সূত্র পাই। শেষ করে দিবো।
নিহাল : যা ইচ্ছা করো। আমি আর এসবের মধ্যে নেই। মেয়েটার জন্য মায়া হলো তাই বললাম।
নীড় : মায়া বিসর্জন দাও। মায়া রাখো কেবল ঘরের জন্য। মায়া যেনো বাহিরে না যায়।
পিটার : স্যার…
নীড় : বলো।
পিটার : একটা খবর আছে।
নীড় : কি?
পিটার : আপনার সন্দেহই সঠিক।কবির ফয়সাল খান এবং কনিকা খান মারা যায়নি। বেঁচে আছে।
নীড় : কি?
পিটার : ইয়েস স্যার।
নিহাল : এটা কিভাবে হতে পারে? আমরা ওদের জানাজাতেও গেলাম। সবাই গিয়েছে , দেখেছে।
নীড় : সবসময় সেটা ঠিক হয়না যেটা দেখা যায়। এই খবরটার অপেক্ষাই করছিলাম। মেরিন বন্যা খানকে এবার দেখাবো আমি মজা। নিজের মাবাবার মৃত্যু নিয়ে খেলার মজা ওকে আমি দেখাবো।
নিহাল : কিভাবে জানতে পারলে বিষয়টা?
নীড় : কোন মেয়ে নিজের মাবাবার মৃত্যুর পর এতো শক্ত থাকতে পারে বলো তো?
নিহাল : আমরা সবাই-ই দেখেছিলাম যে মেরিন কতোটা ভেঙে পরেছিলো।
নীড় : বাবা… মানুষ চিনতে পারোনা।
নিহাল : আচ্ছা সেটা ওদের ব্যাপার। ওরা তো আর আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপায়নি। যা করার ওরা করেছে। আমাদের আর এর মধ্যে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
নীড় : নট অ্যাট অল। এটার জবাব তো দিতেই হবে। আর এতোবড় নাটকটা কি এমনিএমনি করেছে বলে তোমার মনেহয়? না না না। এসবের পেছনে কারন একটাই। আর সেটা হলো প্রান। ওরা যেকোনো কারনেই প্রানকে চায়। জিততে চায় আমাদের থেকে। তাই এতোবড় নাটক। মৃত্যু নিয়ে খেলা খেলেছে। এতো ইবলিশের চেয়ে নৃশংস। চলো পিটার। রিয়েলিটি চেক দিতে হবে।
নীড় পিটারকে নিয়ে বের হয়ে গেলো।
নিহাল : শেষ জমানায় চলে এসেছি আমরা। তাই এসব ঘটছে। তা না হলে মেয়ে হয়ে নিজের বাবামায়ের মৃত্যুর নাটক সাজায়? ছিঃ ছিঃ… অতোটুকু একটি প্রানের জন্য এতোকিছু। এগুলোর প্রভাব কিভাবে পরবে ওর ওপর আল্লাহ জানে। নতুন করে অশান্তি শুরু হলো। ঝড়তুফানের শেষ নেই। একের পর একটা বিপদ আছেই।
.
□ : খেলাটা ঘুরে গেলো।
■ : আমার প্রচন্ড ভয় করছে।
□ : এটা ঘটলো কিভাবে সেটাই কথা। এই নতুন নাটক আবার শুরু হলো। আমাদের আল্টিমেট উদ্দেশ্যটা পূরন হবে কিনা সেই ভয়ে পরে গেলাম। এই ঘটনা আবার কে ঘটালো?
■ : জানিনা। এখন কি হবে? নীড়-মেরিন একে অপরের হাতে খুন না হয়ে যায়। এমনটা হলে কি হবে?
□ : উফফ… টেনশন দিওনা তো। ভালো লাগছেনা আমার। কিছু করতে হবে। ওরা খুন হলে সমস্যার সমাধান হবেনা বরং বেরে যাবে। আর আমাদের উদ্দেশ্য কারো জান নেয়া নয়। জান নেয়ার হলে তো নিয়েই নিতাম। আর ওই মেরিনটাও… মুখেই শুধু বড়বড় কথা। নীড়ের বুদ্ধি আসলেই অনেক বেশি। তাই মেরিন কিছু করতে পারছেনা।
■ : তুমি কখন কার পক্ষে কথা বলো সেটা জানা মুশকিল।
□ : আমি কার পক্ষ এবং কি চাই সেটা তোমার অজানা নয়। এখন ভাবতে দাও আমাকে।
.
জন গাড়ি চালাচ্ছে। মেরিন বসে আছে পেছনে। জনের ফোনে ম্যাসেজ এলো।
জন : ম্যাম… হার্ডডিস্কটা আর পাওয়া যায়নি।
মেরিন : ব্যাড নিউজ। ব্যাপার না। সেকেন্ড অপশন আছে আমার কাছে। কালকেই সব ইনফর্মেশন চলে আসবে।
জন : রিক্তার কাছ থেকে?
মেরিন : ইয়েস ইয়েস ইয়েস…
তখন মেরিনের ফোন বেজে উঠলো।
মেরিন : হ্যালো…
…
মেরিন : কি আপডেট?
…
মেরিন : আই লাভ ইউ বেবি বলতে পারলাম না। অনেক ধীর গতিতে চলছো। আরেকটু ফাস্ট হও।
…
মেরিন : জানি সরাসরি তোমার হাতে নেই। কিন্তু শাস্তিটা তুমিই বেশি পাবে।
…
মেরিন : ইমপ্রেস করো আমাকে। যতো তারাতারি করবে ততো তোমার ব্যাংক ভরবে। বিপদমুক্ত হতে থাকবে।
…
মেরিন : রাখছি।
মেরিন রেখে দিলো।
জন : রায়হানের কল ম্যাম?
মেরিন : ইয়েস ইয়েস ইয়েস।
জন : বেগ কেমন?
মেরিন : ভালোই আছে জন। কিন্তু ভালো তো বলা যাবেনা। সময় অনুযায়ী বেগ সঠিক।কিন্তু তোমার গাড়ির বেগ অনেক কম। খুব হতাশ করছে আমাকে।
জন : ম্যাম… একটু ঝামেলা হতে পারে।
মেরিন : হু কেয়ারস? আমি আছি তো।
জন : ওকে ম্যাম।
জন গাড়ির বেগ বারিয়ে দিলো।
মেরিন : জন… পিটার তোমার সৎভাই? তাইনা?
জন গাড়িতে ব্রেক মারলো।
জন : আপনি কিভাবে জানতে পারলেন ম্যাম?
মেরিন হাহা করে হাসতে লাগলো।
মেরিন : তোমাদের আইকিউ লেভেল একদম সমান সমান। দুজনই বিশ্বস্ত। তোমার ওপর আমি এবং পিটারের ওপর লুজার চৌধুরী প্রায় ১৬আনা বিশ্বাস করে। যেখানে বিশ্বাস শব্দের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায় সেখানে তোমরা বিশ্বাস বজায় রেখে চলেছো। রক্ত কথা বলে।
জন চুপ করে রইলো।
মেরিন : ভয় নেই জন। আমি এখনো তোমায় ট্রাস্ট করি। বৈধ অবৈধ শব্দের দ্বন্দ আছে। মানুষ কখনো অবৈধ হতে পারেনা।
জনের চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরলো।
মেরিন : জন… চোখের পানি আমাদেরকে দুর্বল করে দেয়। মারাত্মক দুর্বল। কষ্ট পেলে , কষ্ট হলে তাকে কাঁদাও যার জন্য তোমার কষ্ট হচ্ছে। জানি পিটারের জন্য তোমার কষ্ট নেই। তুমি এবং পিটার দুজনই একই দিকে।আর এটাও জানি যে তোমার মনে অনেক ঘৃণা আছে। যতোটা ঘৃণা আমি লুজার চৌধুরীকে করি তারচেয়ে বেশি ঘৃণা তুমি পিটারকে করো। ভাগ্য দেখো তোমাদের। তুমি আমার কাছে এবং পিটার লুজারের কাছে। মানে এখানেও প্রতিদ্বন্দি তোমরা। তোমার ওপর অতীতে যেমন ভরসা করেছি এখনো করবো। কিন্তু চোখ থেকে পানি ঝরানো দুর্বলকে নিজের কাছে রাখাটা বোকামি মনেহয় আমার কাছে।
জন : আর কখনো আমার চোখে পানি দেখবেন না ম্যাম। আমি আপনার স্ট্রং জন। আপনার বডিগার্ড , আপনার ড্রাইভার , আপনার পিএ।
মেরিন : নাইস। এখন দ্রুত বাসায় চলো। অনেকক্ষন থেমে আছো। পৃথিবী গতিশীল। থেমে থাকলে পিছিয়ে যেতে হয়
.
শমসের : সবকিছু প্ল্যান অনুযায়ীই হচ্ছে।
…
শমসের : ভয় নেই। এটাও পরিকল্পনার একটি অংশ।
…
শমসের : আগুন লাগানো হয়েছে পুড়িয়ে ছাঁই করার জন্য নয়। ধোয়া ছরানোর জন্যই আগুনটা লাগানো হয়েছে।
…
শমসের : মেরিন তো মেরিনই। ওর ওপর আমার সম্পুর্ন বিশ্বাস আছে।
…
শমসের : প্রয়োজন ছিলো বিধায় করেছি। তু…
বাহিরে ব্যান্ডপার্টির শব্দ পাওয়া গেলো।
শমসের : পরে কল করছি।
শমসের ফোন রেখে দিলো। বারান্দায় গেলো। দেখে ব্যান্ডপার্টি বাজনা বাজাতেবাজতে এগিয়ে আসছে।
শমসের : এসব কি? কারা এরা? এখানে কেনো আসছে? দিদিভাই বলেছে কি?
শমসের দ্রুত নিচে গেলো। সে যেতে যেতে মেরিনও নিচে নেমেছে।
মেরিন : কি হচ্ছে কি এসব?
বাজনা বেজেই যাচ্ছে।
মেরিন পিস্তল বের করে ৬জন ব্যান্ডওয়ালার পায়ের দিকে ফাকা গুলি করলো। তারা থেমে গেলো।
মেরিন : কি হচ্ছে কি? এসব কেনো বাজানো হচ্ছে? সাহস হয় কিভাবে?
তখন একটা ঢোলের শব্দ পাওয়া গেলো। সামনের ব্যান্ডওয়ালারা দুই সারিতে ভাগ হয়ে সরে দারালো। নীড় দৃশ্যমান হলো। ঢোল বাজাচ্ছে। বাজাতে বাজাতে এগিয়ে এলো।
মেরিন : স্টপ দেয়ার।
নীড় দারিয়ে গেলো।
নীড় : কতো বাধ্যগত আমি!
মেরিন : এসবের মানে কি?
নীড় : পিটার…মিষ্টি..
পিটার মিষ্টি নিয়ে এলো। জন মেরিন এবং শমসেরের সামনে দারালো।
জন : দূরে থাকো।
পিটার : আজকে সত্যিসত্যি মিষ্টি নিয়ে এসেছি। কোনো ভেজাল নেই।
মেরিন : আমি জানতে চাইছি যে এসবের মানে কি?
নীড় : কারো মৃত্যুতে কি করা হয়? শোক পালন করা হয়। রাইট?
মেরিন : কাম টু দ্যা পয়েন্ট মিস্টার লুজার চৌধুরী।
নীড় : পয়েন্টেই যাচ্ছি। কেউ মরলে শোক পালন করে। কিন্তু কারো জন্ম হলে আনন্দ উৎসব হয়। আনন্দ উৎসবে বাজনাই তো বাজানো হয়।
মেরিন : তো কার জন্ম হলো? তোমার মেয়ের নাকি তোমার ছেলের?
নীড় : আমার ছেলেমেয়ে জন্মায়নি। শমসের খানের ছেলেমেয়ে জন্মেছে।
মেরিন গুলি করলো। সেটা নীড়ের হাত ছুয়ে গেলো। পিটার পিস্তল তুললে জনও তুলল।
মেরিন : আমার প্রাঙ্গনে তোমাকে খুন করবোনা। সিংহী গুহায় শিকার করেনা। এর আগে আমি নিজের ইরাদা বদলে দেই দফা হও চোখের সামনে থেকে।
নীড় : হবো হবো। খুশির খবরটা তো শোনো। রিবার্থ হয়েছে কবির ফয়সাল খান এবং কনিকা খানের।
মেরিন : হ্যাভ ইউ লস্ট ইট?
নীড় : একদম না।
.
চলবে…