প্রাচীর পর্ব-০৩

0
824

#প্রাচীর
#নূপুর_ইসলাম
#পর্ব- ০৩

ওয়াহিদ চোখ খুলে দেখলো তার মা চোখে মুখে দুশ্চিন্তার রেশ নিয়ে তাঁকিয়ে আছে। পাশে আসিফ আর নিতু। আসিফ তার অ্যাসিস্ট্যান্ট, নিতু ছোট বোন। ছোট হলেও তার আচরণ বড় বোনের মতো। সব কিছুতে মাতব্বরি করার একটা বদ অভ্যাস আছে তার। অবশ্য এর পুরো ক্রেডিট মাকে দেওয়া যায়। তিনি নিজে যেমন সব কিছুতে মাতব্বরি করেন তেমনি মেয়েকেও সেই শিক্ষা দিয়েছেন।

সুর্বণা আলতো করে ছেলের মাথায় হাত রাখলো। ছেলেটা এতো গোঁয়ার, কোন কথা দিয়েই তিনি টলাতে পারেন না। বয়স ত্রিশ হতে চললো! বিয়ে করবে না। তারা একটা ভুল করেছে। সেই ভুল ধরে বসে আছে। কিছুতেই বিয়ের জন্য রাজি করাতে পারছেন না। ছেলের এক কথা, ” থাকবে, নয় পুরোপুরি শেষ হবে। আর শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোন ডিসিশানে সে যাবে না। ”

মানুষ কতো ভুল’ই তো করে। সময় ভিন্ন ছিলো। তারাও একটা ভুল ডিসিশান নিয়েছে। সেটা ধরে বসে থাকার মানে হয়? লামিয়া কতো ভালো মেয়ে। তাদের জন্য কি সারা জীবন বসিয়ে রাখবে। শুধু তার মুখের দিকে তাঁকিয়ে সবাই অপেক্ষা করছে। এই নিয়েই কাল দু- জনের মধ্যে খুব কথা কাটাকাটি হয়ে গেলো। ছেলেটা রেগে গেলে চোখে দেখে না। কাকে দোষবে? তার নিজের স্বভাবই এমন।

ওয়াহিদের বাবা ছিলো শান্ত, কোমল মনের মানুষ। বাবার সব পেলেও স্বভাব হয়েছে একদম নিজের মতো। রেগে বাসা থেকে বেরোলো, আর খবর নেই। ফোন টোন কিছুই সাথে নেয়নি। বাড়িতে কারো খাওয়া ঘুম নেই। ফোন এলো বারোটারও পরে, থানা থেকে। এক্সিডেন্টের খবর শুনলো। শুনে কি আর হুঁশ আছে। কিভাবে যে এই হসপিটাল পর্যন্ত এসেছে একমাত্র সে’ই জানে। একমাত্র ছেলে তার। বুকের টান কি আর সন্তান বুঝে?

মাকে দেখেই ওয়াহিদের খুব অভিমান হলো। অভিমান অবশ্য প্রকাশ পেলো না। সে শক্ত পিষ্ট মানুষ। অভিমান প্রকাশ না পেলেও কাঠিন্য ঠিক প্রকাশ পেলো। সেই কাঠিন্যতা থেকেই আস্তে করে মাথায় থেকে হাত সারালো। সরিয়ে আসিফের দিকে তাকিয়ে বিরক্তমাখা কন্ঠে বললো, — দশ মিনিট সময় দিলাম। এই ক্যানোলা ট্যানোলা যা আছে সব খোলার ব্যবস্থা করো। আমি ফিরবো।

সুর্বণা আঁতকে উঠে বললেন, — সেকি! একদম না ওয়াহিদ। অনেক রক্ত গেছে। একটু অপেক্ষা কর! আমি ভালো হসপিটালে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

ওয়াহিদ মায়ের কথা কানেও নিলো না। কেন নেবে? সে কি তার কথা কানে নিচ্ছে? তাই নিজেই উঠে ক্যানোলা খুলতে গেলো। সুর্বণা ওয়াহিদের হাত জাপটে ধরলো। তার চোখে পানি। সারা জীবন নিজের জেদ বজায় রাখার মানুষ তিনি অথচ ছেলের জেদের কাছে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে। আর এই সব হচ্ছে ওয়াহিদের বাবার জন্য। তার সাথে পারেনি তবে ছেলেটার মাথা পুরো ওয়াশ করে রেখে গেছে। এখন তিনি কোন কিছু দিয়েই টলাতে পারেন না।

ওয়াহিদ এবার হাত সরালো না। মা তার কি, আর কেউ না জানুক উপরওয়ালা জানে। মাথা থেকে একবার হাত সরালো তাতেই তার বুক টনটন করছে। আবার সরাবে সেই ক্ষমতা আছে তার? তাই চোখ বন্ধ করে নিশ্চুপ কিছুক্ষণ বসলো। তারপর শান্ত ভাবে বললো, — বাসায় যাও মা। আমি সারাদিন এখানেই আছি । রাতে মিটিং আছে। এখান থেকেই এটেন্ড করবো।

— আজ সব বাদ ।

— তুমি যাও মা।

সুর্বণা অসহায় ভাবে কিছুক্ষণ বসলো। সে ভালো করেই জানে, তার যেমন ছেলে অন্তপ্রাণ তেমনি সেও ছেলের অন্তপ্রাণ। তাই কাল রাগ করেই বলেছিল, “মায়ের কথা না শুনলে মরা মুখ দেখবে।”

সুর্বণা স্বামীকে মরার হুমকি দিয়ে যতো সহজে কাবু করেছিল, সন্তানকে ওতো সহজে করতে পারেনি। কেননা এই হুমকিতে তার স্বামী এক সময় নীতির বাইরে গিয়েও চুপ হয়ে গিয়েছিল। তবে ওয়াহিদ হয়নি। বরং উল্টো রেগে মেগে আগুন! আগুন হয়েই ড্রইংরুমের জিনিসপত্র অর্ধেক ভেঙে চুরে নিজের মতো বেরিয়ে গেছে। চেনে তো ছেলেকে, এখন রাগ না পড়া পর্যন্ত আর কাউকে চেনবে না। তবে তার ধারণা ছিল ছেলের সব কিছুর উর্ধে তার মা। তবে কাল থেকে ধারণা পরির্বতন হলো। আর এই সব কিছু… সুর্বণার কিছু কিছু জিনিস বাস্তবে তো ভালোই মনে মনে ভাবতেও ভালো লাগে না। আজও লাগলো না। তবে আজ ওয়াহিদের বাবার কথা তার খুব মনে পড়লো। সব কিছু নিজের মতো করে নিতে পারার জন্য তার ভেতরে এক অহংকার ছিল। আত্মীয় – স্বজনদের মধ্যে বড় গলায় বলতো, — স্বামী, সন্তান, সংসার সব কিছু হাতে রাখার জন্য যোগ্যতা লাগে। সবার সেই যোগ্যতা থাকে না। অথচ আজ মনে হলো কায়সার স্ত্রীকে ভালোবেসে হোক আর সংসারের শান্তির জন্য হোক। নিজে থেকে সব ছেড়েছে বলেই আজ সে অনন্যা। এই যে ছেলে ছাড়ছে না বলে, কিছুই পারছে না।

সে চোখে পানি নিয়েই উঠে বেরিয়ে গেলো। নিতু কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে তার আগেই ওয়াহিদ আঙুল তুলে আগের মতোই বললো, — চটকনা খেতে না চাইলে এখান থেকে ভাগ।

— চটকনা দেওয়ার অবস্থা আছে তোমার?

— আমার না থাক বলেই ওয়াহিদ আসিফের দিকে তাঁকালো।

আসিফ ঢোক গিললো! এমন বদমাইশ লোক জীবনে দেখে নি। অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে ছোট বোনকে চটকনা দেওয়াবে। ভেবেছিল এই মাসেই রিজাইন দেবে। হলো কই? মাথা ফাটিয়ে বসে আছে। এখন আবার সুযোগের অপেক্ষায় বসে থাকো। ধুর! যন্ত্রনা আর ভালো লাগে না।

— তোমার মনে হয় না, বেশি করছো?

— করলে করছি।

নিতুর রাগে চোয়াল শক্ত হলো। তবুও শান্ত ভাবে বলল, — আমরা সবাই তোমার ভালো চাই ভাইয়া। অথচ এমন ভাব করছো, যেন আমরা তোমার শত্রু।

— বাসায় যা।

— সেটাতো যাবোই! লায়েক হয়েছো না। এখন মা, বোনকে লাগে নাকি?

ওয়াহিদ আর কথা বাড়ালো না। এর সাথে তর্কে জিতবে এমন কেউ পয়দা হয়েছে কি না আল্লাহ’ই জানে।

— যেই সম্পর্কের সামান্য সুতোও নেই। সেই সম্পর্ক জন্য বসে থাকা বোকামি ছাড়া কিছুই না। লামিয়া আপু খুবই ভালো মেয়ে ভাইয়া।

ওয়াহিদ নিতুর দিকে চোখ তুলে তাঁকালো। শান্ত ভাবে বলল, — দুনিয়ায় আগে কে এসেছে তুই না আমি?

নিতুর আগের মতোই শক্ত ভাবে বললো, — আগে এসেছো তো কি হয়েছে? এতোই যদি বড় হওয়ার জ্ঞান থাকতো তাহলে তো ঠিক বুঝতে । যার জন্য বসে আছো তার বয়সও আমার মতোই। আর আমার বিয়ে হয়ে এক বাচ্চা হয়ে গেছে। তোমার কি ধারণা সে তোমার জন্য বসে আছে?

ওয়াহিদ শান্ত চোখেই নিতুর দিকে তাঁকিয়ে রইল। কলেজ ভার্সিটিতে তার খুবই বদনাম ছিল। রাগলে সে মানুষ চেনে না । একবার তো এক বড় ভাইকে এক ঘুষিতে দাঁত নাড়িয়ে ফেলেছিলে। এখন অবশ্য সে রকম রক্ত গরম নেই। তবে কিছুটা তো অবশ্যই আছে। এই যে এখন কেমন শরীর জ্বলছে। অথচ সে বাবার হাত ধরে প্রমিস করেছে মা আর এই ফাজিলকে আগলে রাখবে।

নিতু তার ভাইকে চেনে। এই যে শান্ত ভাবে তাঁকিয়ে আছে, এই রুপও চেনে। তবে সে ভালো করেই জানে ধমক ছাড়া ভাইয়া তাকে কিছুই দেবে না। মায়ের মতো জেদ পেলেও বাবার আদর্শে ভরপুর। তবে আর কথাও বাড়ালো না। অযথা সময় নষ্ট। তাই নিজেই বেরিয়ে গেলো। নিতু বেরিয়ে যেতেই ওয়াহিদ আসিফের দিকে তাঁকিয়ে বললো, — আমি এখানে এলাম কি করে?

— একটা ছেলে আর মেয়ে নাকি ধরাধরি করে নিয়ে এসেছে।

ওয়াহিদ আবার শুয়ে পড়লো। মাথা ঝিমঝিম করছে। । রেগে বাসা থেকে বেরিয়েই হাই স্পিডে গাড়ি টেনেছে। কোথা থেকে কোথায় এলো কে জানে। হুঁশ ফিরলো সামনে এক লোক কে দেখে। রাস্তা পার হচ্ছিলো। তাকে বাঁচাতেই হুট করে পাশের গলিতে ঢুকে গেছে। ঢুকে আর কন্ট্রোল রাখতে পারেনি। ভাগ্যিস কারেন্টের খাম্বার সাথে লেগেছে। কোন মানুষ হলে কি করতো?

বড় একটা শ্বাস ফেলেই ওয়াহিদ চোখ বন্ধ করলো। করতেই আবছায়া একটা মুখ চোখের সামনে ভেসে উঠল। সাথে সাথে ওয়াহিদ চোখ খুললো। খুলে বললো, — তাদের ঠিকানা বের করো।

_____

সকালের এই সময়ের অফিসটা নিশাতের খুব ভালো লাগে। নিরিবিলি পরিবেশ সাথে এক কাপ চা। ব্যস শান্তি! এই শান্তিটা সে খুব উপভোগ করে। উপভোগ করতে করতেই বেলা বাড়ে। তার সাথে সাথে লোকজনও আসতে থাকে। তাদের সব সমস্যা শোনা, লিখে নোট করা, বাছাই করে রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেওয়া। খুবই ধৈর্য্যের কাজ। নিশাতের অবশ্য ধৈর্য্যের অভাব নেই। পরের বাড়িতে যারা গোদের উপরে বিষফোঁড়া হয়ে থাকে, তাদের আর কিছু থাক আর না থাক, ধৈর্য্য অবশ্যই থাকবে।

এখন অবশ্য চাইলেই মা মেয়ের ছোট্ট একটা চুড়ুই পাখির বাসা হতে পারে। তবে তার মা মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে। উপকারীর উপকার ভুলে যারা পিঠ বাঁচিয়ে চলে যায় তারা অকৃতজ্ঞ। আমরা কখনো অকৃতজ্ঞ হবো না। মামা- মামি যেমনি থাক। বিপদের সময় যে মাথায় ছায়া দেয়। সে’ই হয় পরম বন্ধু । তাদের দোষ দেখতে হয় না।

নিশাত অবশ্য কখনো দেখেও না। ঐ যে বললাম সুখী মানুষ। মানুষ ভালো থাকার জন্য কতো কিছুই তো করে। মুখে কুলুপ আঁটে, চোখে কালো কাপড় বাঁধে, আর সে তুলেছে এক প্রাচীর । সেই প্রাচীর ভেদ করে কিছুই আর তাকে স্পর্শ করে না। করে না বলেই সে সব সময় ভালো থাকে।

নিশাত চায়ের কাপটা টেবিলে রেখে চোখ বন্ধ করলো। মনে মনে গুনগুন করে গাইলো, — “এই আধো আলো আধো ছায়া দু’চোখ ভরে নাও, এই আমায় কিছু নাই বা দিলে ”

তখনি নিচু স্বরে কেউ তাকে সালাম দিলো। নিশাত চোখ খুললো। পনেরো ষোল বয়সের এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ে মলিন কাপড়, চোখে মুখে সংকোচ। সে কিছুক্ষণ তাঁকিয়ে রইল তারপর ঝট করে সোজা বসে, স্বাভাবিক ভাবে খাতা টেনে নিতে নিতে বললো, —

— ওয়া আলাইকুমুস সালাম! নাম ?

মেয়েটা মাথা নিচু করলো। যেন নাম বলা খুবই লজ্জার কাজ। মাথা নিচু করে আস্তে করে বললো — আফিয়া।

— বসো।

আফিয়া ধীরে ধীরে বসলো। নিশাত লিখতে লিখতেই বললো, — কত মাস চলছে?

আফিয়া অবাক হয়ে তাকালো! নিশাত একটু হেসে বললো,এতো অবাক হওয়ার কি আছে। দু-বছরের উপরে হলো এখানে কাজ করছি। এতটুকু তো অনুমান করাই যায় কি বলো?

আফিয়া এবার একটু হাসলো! নিশাতের স্বাভাবিক কথায় তার জড়তা অনেকটাই কমে গেলো। সে একটু হেসেই বললো — তিন মাস ।

— ভালো! যা যা লাগবে এনেছো?

— হুম।

— দাও।

আফিয়া সব এগিয়ে দিলো। নিশাত নিয়ে গুছিয়ে রাখতে রাখতে বললো, — ফোন নাম্বার কি দিয়েছো?

— আমারতো নেই। বাবারটা দিয়েছি।

— সমস্যা নেই। আমি সব লিখে রাখছি। তুমি যদি ভাতাটা পাও জানিয়ে দেওয়া হবে।

— কত দিন লাগবে?

— বেশি দিন না। ফোনে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আফিয়া উঠলো! ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেলো। নিশাত সেই যাওয়ার দিকে তাঁকিয়ে রইলো। মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে খুবই ক্লান্ত। কেমন হেঁলেদুলে হাঁটছে। এই অবস্থায় এই ভাবে হাঁটা ঠিক না। পরে টরে গেলো তো বিপদ। কাঁধে ব্যাগ ফেলে যেই বয়সে স্কুল – কলেজে যাওয়ার কথা সেই বয়সে বিরাট এক দায়িত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কি হয় এভাবে তাদের কৈশোরটা নষ্ট না করলে। অবশ্য গরীর মানুষের শৈশব, কৈশোর বলতে কিছু হয়ও না। তাদের একটাই দুনিয়া। পেটের ক্ষুধা! আর এই দুনিয়ার চাহিদা মেটাতে তারা নেমে পরে জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই।

নিশাতের ধ্যান ভাঙলো ফোনের শব্দে! ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করতেই দেখলো অচেনা নাম্বার। অবাক অবশ্য হলো না। এখানে কাজ করার সুবাদে অহরহ অচেনা নাম্বার থেকে কল আসে। একবার তো ভাই এক নেতার কল। সে কি আর ওতো নেতা টেতা চিনে। দিয়েছে রাগিয়ে! সরকারি জায়গায় টিউবওয়েল পাস হয়েছে। তাবুও তারা বসাতে দেবে না। বাবা রে বাবা! কি আকডুম, বাকডুম। অবশ্য কোন লাভ হয়নি। তারা সাধারণ হতে পারে তবে তাদের উপরে যারা আছে তারা তো সাধারণ না।

যাইহোক তাই আজকে সে সুন্দর ভাবেই ফোন রিসিভ করলো। করে কানের পাশে রাখতেই ওপাশ থেকে তার চেয়েও সুন্দর, অতি ভদ্র ভাবে কেউ বললো,

— হ্যালো! আসসালামু আলাইকুম।

নিশাতও তার ভেতরের অতি অতি ভদ্র সত্তাকে নাড়িয়ে চাড়িয়ে বললো, — ওয়া আলাইকুমুস সালাম।

— আপনি ভালো আছেন ম্যাডাম?

— জ্বি ভালো! কে বলছেন?

— আমি আসিফ মাহমুদ। আপনি কি সাদিয়া বলছেন?

নিশাত দীর্ঘশ্বাস ফেললো! অযথা সময় নষ্ট। ধুর! সেকেন্ডে’ই ভদ্র সত্তাকে ছু’ মন্তর করে উড়িয়ে বললো, — জ্বি না! রং নাম্বার। বলেই ফট করে কল কাটলো।

আসিফ কেটে যাওয়া ফোনের দিকে তাঁকিয়ে ঢোক গিললো। গিলে ওয়াহিদের দিকে তাঁকালো। ওয়াহিদের দৃষ্টি অবশ্য তার দিকে নেই। তার দৃষ্টি ল্যাপটপে। রাতে মিটিং সেটাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। হসপিটাল থেকে সোজা সেখানে জয়েন করবে। দেখতো যন্ত্রনা! থানা থেকেতো এই নাম্বার’ই দিলো। এখন বলছে রং নাম্বার। ধুর! বলেই সে আবার থানায় ফোন দিলো। কোন কাজ যদি এই পুলিশদের দিয়ে ঠিকঠাক ভাবে হয়। একজনের টা দিয়েছে ঠিক আরেক জনেরটা দিয়েছে পুরোই বেঠিক।

চলবে…..