#প্রাচীর
#নূপুর_ইসলাম
#পর্ব- ০৭
নিশাত শোয়ার পস্তুতি নিচ্ছিলো। আজ শক্রবার! শক্রবার এলেই নিশাত দুনিয়া দারি ফেলে দুপুরে একটু ভাত ঘুমের আয়োজন করে। আজও করছিল।
তখনি ঝড় তুফান তুলে সাবা দৌড়ে এলো। ঝড় তুফান তুলুক আর যাই করুক নিশাতের সমস্যা নেই। তবে ঝড় তুফান তুলে আসতে গিয়ে সাবা হুমড়ি খেয়ে পড়লো। পড়েও অবশ্য থামাথামি নেই। পাহাড় বেয়ে যেমন মানুষ উঠে, সেও হামাগুড়ি দিয়ে ঠিক সেই ভাবে এগিয়ে খাট ধরে কোঁকাতে কোঁকাতে তার ঠিক সামনে উঠলো। উঠে চোখ মুখ কুঁচকে কোন রকম বললো, — আপু বিরাট এক কারবার হয়ে গেছে।
নিশাত নির্বিকার চিত্তে তাঁকিয়ে তাঁকিয়ে এই মেয়ের কান্ডকারখানা দেখলো। এই বাড়িতে থাকলে মনোরঞ্জনের জন্য টিভি দেখার প্রয়োজন নেই। সে সাবা আর বিরাট কারবার দু’টোর একটা নিয়েও মাথা ঘামালো না। বিরাট করবার ঘটলে ঘটেছে। এখানে তার কি কাজ? তার এখন একমাত্র কাজ সে এখন এক ঘন্টা ভাত ঘুম দেবে। ব্যস!
তাই বালিশে দু- তিনটা থাপ্পড় মেরে সাইজ করতে করতে বলল, — তোর মা নয় ফুপুর কাছে যা! দুনিয়ায় সব বিরাট কারবার তারা একাই সামাল দিতে পারে। আমার এখানে কি?
— ফুপু তো তোমাকে ডাকতে পাঠালো। আর মা, সে তো বাসায় নেই। সকালেই না নানা বাড়ি গেল।
— না থাকলে নেই। এখন যাতো। বিরক্ত করবি না।
সাবা কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো, — আপু !
— যাবি নাকি গালের মধ্যে দেবো একটা।
সাবা ভোঁতা মুখে বেরিয়ে গেলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিরাট কারবার শোনাতে না পেরে তার বিরাট মন খারাপ হয়েছে। হলে হয়েছে। সবার মন ভালো করার দায়িত্ব তার নাকি? তাও যদি কোন লাভ টাভ হতো। যেখানে লাভ নেই, সেখানে নিশাত নেই।
বলেই সে জানালার পর্দা টানলো। টেনে শুয়ে চোখ বন্ধ করবে তখনি তার মাদার তেরেসা এসে হাজির। এসে সেও খুব খুব চিন্তিত হয়ে বললো,
— নিশাত কি করি বলতো? তোর মামা তো ফোন তুলছে না। এদিকে হেনা গেলো বাপের বাড়ি। বিয়ের এতো বছর হয়ে এলো তাও বাপের বাড়ি ছাড়তে পারে না।
— নিজে পড়ে আছো বাপের বাড়ি আবার ভাইয়ের বউকে বলছো।
— আমি কি আর সখে পড়ে আছি?
— এখন আবার সেই পুরোনো কাসুন্দি ঘাটা শুরু করবে না তো। বলেই কাঁথা টেনে নিজেকে পুরো ঢেকে ফেললো। সে কাঁথার ভেতরে দম নিতে পারে না। তবুও ফেললো।
সুলতানা কাথা টেনে সরালো। সরিয়ে বললো, — আবার শুলি কেন?
নিশাত এবার বিরক্ত হলো। কি ঘোড়ার ডিম হয়েছে কে জানে। সবাই তাকে জ্বালিয়ে মারছে কেন? কে সে? সাধারণ একটা মেয়ে। খেয়ে দেয়ে শান্তিতে একটু ঘুম দিতে চাইছে। তাও দিতে সবাই নারাজ। কেন? সে বিরক্ত মাখা কন্ঠে বলল, — হয়েছে টা কি?
— বিরাট এক ট্রাক নিয়ে এক লোক এসেছে। ট্রাকের মধ্যে গরু, ছাগল, হাস, মুরগি দুনিয়া দারির আর কিছু বাকি নেই। সব নিয়ে হাজির।
নিশাত ভ্রু কুঁচকে বললো, — কি নিয়ে হাজির?
— গরু, ছাগল। তাও আবার জোড়ায় জোড়ায়। অর্ধেক এলাকার মানুষে বাড়ি ভরে গেছে।
— কেন?
— তা আমি কিভাবে বলবো? চাচ্ছে তো তোকে।
নিশাত অবাক হয়ে বললো, — আমাকে?
— হ্যাঁ! তবে নামে গন্ডগল করেছে। নাম বলছে সাদিয়া। তবে ঠিকানা একদম ঠিক। ফোন নাস্বারও তো বললো।
নিশাত হা হয়ে কিছুক্ষণ তাঁকিয়ে রইল। সব কিছু তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। তার হা করার মাঝেই সুলতানা চিন্তিত হয়ে বললো, — তুই কিছু করিস নিতো নিশু?
— আমি কি করবো?
— এই ছেলে এসব নিয়ে এসেছে কেন? কথা বলছেও কেমন গদগদ হয়ে। কি করেছিস তুই বল? ঘুষ টুষ খাওয়া শুরু করিস নি তো আবার । তাও আবার গরু ছাগল? গরু, ছাগল ঘুষ নেয়টা কে?
নিশাত বিরক্ত হলো। মায়ের কথার অবশ্য উত্তর করলো না। তবে সাইড থেকে ওড়না নিয়ে গটগট করে বেরিয়ে এলো। এটা যে ঐ এক্সিডেন্টের বাঁদর তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে গরু, ছাগলের কাহিনী কি?
বাইরে এসে নিশাত কোন অবাক হলো না। অবাক হলো না সেই সমাজ সেবক কে দেখেও। কি যেন নাম বলেছিল । নিশাত মনেও করতে পারল না।
তবে সে এগিয়ে যেতেই মহা সমাজ সেবক বললো, — জ্বি ঠিকানা একদম ঠিক, মানুষও ঠিক, আমার সাথে ইনিই ছিল।
আসিফ হাঁফ ছেড়ে এক গাল হাসলো। যাক বাবা! কেন জানি এই মেয়ের উপর তার আর ভরসাই হয়নি। নাম নিয়ে যে খেল দেখালো আবার গিফ্টের জন্য রাজি হলো ফট করেই। তার মধ্যে আজব এই লিষ্ট। সে তো ধরেই নিয়েছিল কোন গড়বড় আছে। তাইতো এই ব্যবস্থা। সে এক গাল হেসেই বললো, — দুঃখিত ম্যাডাম। দু- দিন দেরি হয়ে গেলো। গরু – ছাগল কোন ব্যাপার না, তবে দুম্বার জন্য একটু দেরি হলো। এটা তো বাংলাদেশে সচারচর পাওয়া যায় না । তবুও চিন্তা নেই, এমন কোন কাজ নেই আসিফ পারে না। দুম্বার ব্যবস্থাও হয়ে গেছে। তবে সমস্যা হয়েছে উট নিয়ে। এতো কিছুর মাঝে উট জায়গা নেইনি ম্যাডাম। আপনি তো মনে হয় আর এখানে কিছু করবেন না। যদি দয়া করে সেই ঠিকানা টা বলতেন। ডাইরেক্ট সেখানেই পাঠিয়ে দিতাম।
নিশাত গোল গোল চোখে কিছুক্ষণ তাঁকিয়ে রইলো। তারছেঁড়া তেরেল্লা বলে টা কি? সে গোল গোল চোখ করেই বললো, — এসব কি?
— কোন সব ম্যাডাম?
নিশাত ট্রাকের দিকে ইশারা করলো! আসিফ হেসে বললো, — আপনিই তো লিষ্ট পাঠালেন। সব কিছু আপনি জোড়ায় জোড়ায় চান। সত্য বলতে কি ম্যাডাম লিষ্ট দেখে তো আমার খাবি খাওয়ার জোগাড়। না টাকা পয়সার জন্য না। তবে এমন গিফ্ট তো আমি আমার ইহজীবনেও কিনিনি ।
— গিফ্ট?
— হ্যাঁ! আপনিই তো সেই দিন ম্যাসেজ করে পাঠালেন। তবে আমি খাবি খেলেও আমার স্যার কিন্তু খাননি। তিনি লিষ্টের দিকে এক নজর তাঁকিয়েই বলেছে, ” সব পাঠাও “। একবার ভাবুন আমার স্যারের হ্নদয় কতো বড়? এখন আবার দেখুন তিনি নিজে এসেছেন আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য।
— আমি লিষ্ট দিয়েছি?
— হ্যাঁ।
— কখন?
— এই তো দু’দিন আগে । আমি কতো রিকোয়েস্ট করার পরে রাজি হলেন।
নিশাত বোঝার মতো মাথা নাড়ালো। নাড়াতে নাড়াতে বাড়ির দরজার দিকে তাঁকালো! সাবা কাঁদো কাঁদো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। সে হাসলো! তার এই রোবটিক হাসি দেখে সাবা উল্টো এক দৌড় দিলো। কোঁকাতে কোঁকাতেই দিলো। আজকে সে শেষ। এই পর্যন্ত কতো কিছুই তো করেছে। কখনো তো এমন ডাইরেক্ট অ্যাকশান হয়নি। তাছাড়া এমন লিষ্টের জিনিসও কেউ পাঠাতে পারে তারতো ধারণাও ছিল না। বলেছে ওমনি নিয়ে এসে হাজির। দেখতো কান্ড! ভাগ্যিস বাঘ, হরিণের কথা লিখে নি। এরাতো মনে হয় তাও নিয়ে হাজির হতো ।
নিশাত বড় একটা শ্বাস ফেলে বললো, — আপনার স্যার কোথায়?
— জ্বি ম্যাডাম গাড়িতে। এখানে আসেনি, আপনাকে কষ্ট করে একটু মোড়ে যেতে হবে। এতো লোকজন দেখে গাড়ি এদিকে নিয়ে আসেনি।
— অসংখ্য ধন্যবাদ আসেনি! এলাকায় নয়তো টেকা যেতো না। চলুন! আপনাদের ধন্যবাদের ঝামেলা টামেলা আজই খতম করি। সিন্দাবাদের ভুতের মতো ঘাড়ে চেপে আছেন। এই আপনাদের জন্যই না জীবনে কারো আর উপকার করবো না। কানে ধরলাম আমি। আর প্লিজ এই ট্রাক এক্ষুণি সরানোর ব্যবস্থা করুন।
আসিফ আঁতকে উঠে বললো, — কেন ম্যাডাম? পছন্দ হয়নি। গরু, মহিষ, কি আরেকটু বড় সাইজের চান? আমি এক্ষুনি ব্যবস্থা করছি। হাঁস, মুরগি কিন্তু জোড়ায় জোড়ায় আনি নি। এক খাচি করে এনেছি। দুটো দুটো কেনা যায় নাকি? তাছাড়া পালবেন না খাবেন? সেটাও ক্লিয়ার করেন নি। তাই দেশি, ফার্ম দুটোই এনেছি।
নিশাত উত্তর দিলো না। এর হাদারামের সাথে কথা বলে লাভ নেই। সে এগুতে গিয়ে আবার সমাজ সেবকের দিকে তাঁকিয়ে বললো, — ভাইয়ার নামটা যেন কি?
— কবির আপা।
— ও হ্যাঁ কবির সাহেব! এরকম স্পেশাল ট্রাক আপনিও পেয়েছেন?
— জ্বি না আপা। আমার চাকরি হয়েছে।
— সত্যিই!
— জ্বি আপা। স্যার খুবই ভালো মানুষ। আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরলেন। এমন মানুষ আজকাল পাওয়া যায় না। উপকার করলে ধন্যবাদ দিয়ে দায় সারেন। তবে তিনি সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
— হাত বাড়ানোর জন্যও হাত দরকার। তার আছে, সে বাড়িয়েছে। এতে এতো গলে যাওয়ার কিছু নেই। তবুও কনগ্রাচুলেশনস।
— ধন্যবাদ আপা। সবই আল্লাহর মেহেরবানি। তা না হলে স্যার কেন আমাদের গলিতেই এক্সিডেন্ট হবে।
নিশাত মাথা নাড়ালো। কথা সত্য! আল্লাহর মেহেরবানি কি না তা জানে না। তবে তার কপাল পোড়া ঠিক জানে। তা না হলে তার সামনেই মরতে আসবে কেন? সে মাথা নাড়াতে নাড়াতেই এগিয়ে গেলো। এই জীবনে আর যাই করুক, কারো জীবন বাঁচাবে না।
ওয়াহিদের ধ্যান ছিল মোবাইলে । জানালায় টোকা পড়তেই ফিরে তাঁকালো । আসিফ দাঁড়িয়ে আছে। ড্রাইভার এগিয়ে দরজা খুলতেই বললো, — ম্যাডাম এসেছেন স্যার! আপনি কি বের হবেন?
ওয়াহিদ একটু উঁকি দিয়ে তাঁকালো। নীল থ্রিপিসে সাদা ওড়না চাদরের মতো জড়িয়ে এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মুখটা অন্য পাশে ফেরানো, তাই সে দেখতে পারলো না। মোবাইল টা হাতে নিয়েই সে বেরুলো। বোরোতেই মেয়েটা ফিরে তাঁকালো। ওয়াহিদ থমকালো। থমকে সেখানেই দাঁড়িয়ে গেলো।
থমকেছে নিশাতও। আরে ভাই লম্বা হতে হতে তো মহাকাশে গিয়ে ঠেকেছে। সে দিন অবশ্য এতোটা মনে হয়নি ? তবুও এই লোকের কাছে নিজেকে তার লিলিপুট মনে হলো। সে এগিয়ে গেলো বলতে গেলে মনে মনে মুখ বাঁকিয়ে। আল্লাহ যাকে দেয় সর্বদিকে ছেঁড়াবেড়া করেই দেয়। আর তাদের দেখো, না আছে টাকা, না আছে হাইট। কপাল ঝামা দিয়ে ঘঁষেও এমন চমকানো যাবে না। হুহ্!
সে এগিয়ে গিয়ে সোজা বললো, — দেখুন। আমি তেমন কিছুই করিনি। যা করার ঐ কবির লোকটা করেছে। তবুও কৃতজ্ঞতা থেকে আপনি এতোটা কষ্ট করেছেন তার জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ। আর এই কাহিনি এখানেই ডিসমিস করুন। আর ঐ হাদারাম কে বলে এই ট্রাক নিয়ে বিদেয় হন। প্লিজ!
ওয়াহিদ এখনো এক ধ্যানেই তাঁকিয়ে আছে। ছোট থেকে বড় হলে মানুষ বদলায়। কতোটা বদলায় তার ধারণা নেই। তবে তার ভ্রম তৈরি মিছে মিছে হয়নি। এই মেয়ের কোঁকড়ানো চুল, কাটিং অনেকটাই… সে কোন রকম ঠোঁট নাড়িয়ে বলল — আপনার নাম কি সত্যিই সাদিয়া?
নিশাত বড় একটা শ্বাস ফেললো! আরে সাদিয়া রে! ফেলে বললো, — নারে ভাই! এখানে একটু মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছে। কি হয়েছে বোঝানোর মতো ধৈর্য্য এখন আমার নেই। তাই সত্যি করে বলছি আমার নাম নিশাত। তাসনিম নিশাত! আর সাদিয়া সাদিয়া বলে বলে মাথা ফ্রাই করবেন না। ধন্যবাদ টন্যবাদ কিছু দেওয়ার থাকলে দিন। দিয়ে বিদেয় হন। শক্রবার দিনটাই মাটি করে ফেললেন আমার।
নিশাতের নাম বলতে দেরি ওয়াহিদের হাত ফসকে মোবাইল পড়তে দেরি হয়নি।
নিশাত হা করে তাঁকালো। এক্সিডেন্টে নুলা টুলা হয়ে গেছে নাকি। আঘাত তো মাথায় পেয়েছিল। দেখেতো কান্ড! সামান্য মোবাইলও ধরে রাখতে পারছে না। আবার এই শরীর নিয়েই ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য মরে যাচ্ছে। সে বিরক্ত মুখেই নিচু হয়ে মোবাইল তুললো। তুলে বাড়িয়ে বললো, — আপনার মতো পাগলতো আমি ইহো দুনিয়ায়ও দেখিনি। মরতে মরতে হলেও ধন্যবাদ দেওয়া চাই।
ওয়াহিদ হাত বাড়িয়ে মোবাইল নিলো। তারপর বাড়িটার দিকে তাঁকালো। এক নজর তাঁকিয়ে আর দাঁড়ালো না। সোজা চলে গিয়ে গাড়ির ভেতরে গিয়ে বসলো।
নিশাত তো কিছুই বুঝলো না। হা করে তাঁকিয়ে রইলো! কোন পাগলের পাল্লায় যে পড়লো সে। ধন্যবাদ, ধন্যবাদ করে মরে যাচ্ছিলো। এখন দেখো কারবার, ধন্যবাদের খবরও নেই। না দিয়েই দৌড়! শরীর যখন এতোই খারাপ, এসেছো কেন রে ভাই? কে বলেছে এসে মরতে। আর যাবে যাও, তবে এই ট্রাকের কি হবে? মামা এসে এসব দেখলে তুলে আছাড় মারবে। সে চেঁচিয়েই বললো, — ট্রাকের কি করবো রে ভাই ? এই হাদারামকে নিয়ে যেতে বলেন।
ওয়াহিদ কিছু বললো না। তবে গাড়িতে উঠতে উঠতে আরেকবার ফিরে তাঁকালো। সে তাঁকানোর মাঝেই জানালার কালো গ্লাস ধীরে ধীরে তার দৃষ্টিকে আড়াল করলো।
আসিফ দৌড়ে গেলো। সে যেতেই গাড়ি স্টার্ট নিয়ে চলতে শুরু করলো। নিশাত আগের মতোই দাঁড়িয়ে রইলো। গাড়ি যতক্ষণ দেখা যায় তাঁকিয়ে রইলো। সে তো আর জানে না, গাড়ির কালো গ্লাসের ভেতর থেকে ঠিক তার মতোই আরেকজনও তাঁকিয়ে আছে। একধ্যানে, একপলকে। যার চোখে মুখে বিস্ময়।
চলবে…..