#প্রাচীর
#নূপুর_ইসলাম
#পর্ব- ০৯
সজল বাসায় ফিরলো রাতে! আজ বাবা আগে ফেরায় দোকানের সব দায়িত্ব ছিল তার কাছে। সব কিছু গুছিয়ে সাটার ফেলতে ফেলতে তার বেশ রাত হলো। তার মধ্যে বাসায় ফেরার আগে সে কিছুক্ষণ মোড়ের দোকানে বসে। সিগারেট খায়, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়। আজও তেমন বসেছিল। সেখান থেকেই সব শুনলো। শুনে অবশ্য তেমন বিচলিত হয়নি। নিশাতকে সে চেনে। বড় হলো তো এক সাথেই। নিশ্চয়’ই কোন গন্ডগোল করেছে। এই মেয়ে আবার গন্ডগোল লাগাতে উস্তাদ। যা যখন মন চায় তাই বলে ফেলে। বলার আগে কোন চিন্তা ভাবনা নেই।
সে বাসায় ফিরতেই দেখলো তার মা আজ রান্না ঘরে। তাও আবার রান্না করছে। না, এমন না তিনি রান্না ঘরে পা রাখেন না। তবে সব কাজ সব সময় ফুপুকে করতে দেখতে দেখতে’ই তারা অভ্যস্ত। সে অবাক হয়েই বললো ব্যাপার কি?
হেনা দেশি মুরগীর ঝোল করছে। কিছুক্ষণ আগে এক লোক এসে হাজির। আসিফ নাকি কি নাম বললো। খুবই গলে গিয়ে দুঃখিত হয়ে বললো, খুব ভুল হয়ে গেছে আন্টি। অন্য জায়গায় ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। ভুলে এখানে চলে এসেছি। ম্যাডামও তো একজনকে বাঁচিয়েছে, আমাদের স্যারকেও একজন বাঁচিয়েছে। এই বাঁচা বাঁচিতেই গন্ডগোল লেগে গেছে। আমি খুবই দুঃখিত।
হেনার তো তখন খাবি খাওয়ার জোগাড়। সে ঢোক গিলে স্বামীর দিকে তাঁকালো । না বুঝে শুনে ফট করে ফোন। একটা কিলও মাটিতে পড়বে না গো আজ।
জালাল তখন রাগে ফুঁসছে! ফুঁসবে না কেন? সকাল থেকে নাটকতো আর কম চললো না। তার এমন ভাব পারলে এক্ষুণি মুখ বরাবর একটা লাগায়।
আসিফ নিজেও বিরক্ত! আরো কতকিছু যে করতে হবে আল্লাহ’ই জানে। এই মেয়েকেই নাকি স্যার এতদিন খুঁজেছে। আর কেউ না জানুক, সে তো জানে! শুধু পাতাল খোঁড়া বাকি ছিল। এখন দেখো কাকতালীয় বলুক আর উপরওয়ালার ইশারা কেমন মিলে গেলো। মিলছে ভালো! তবে তার জীবনকে তেনাতেনা করে ফেলবে । যে মেয়ের মেয়ে! দু- দিনেই সাত ঘাটের পানি খাইয়ে ফেলেছে। সে মনের বিরক্ত মনে চেপেই আরো গলে গিয়ে বললো, — আঙ্কেল সত্যিই দুঃখিত।
জালাল ফুঁসতে ফুঁসতেই বললো, — দু-মিনিটের মধ্যে ট্রাক নিয়ে বিদেয় হন। খবরদার আর এই এলাকায় যেন মুখ না দেখি ।
আসিফ কানে হাত দিয়ে জিহ্ব কেটে বললো, — এটা সম্ভব হবে না স্যার।
— কি সম্ভব হবে না?
— বাদ দেন আঙ্কেল! আজ আসি খুব বিরক্ত করলাম।
জালাল আর কিছু বলে নি। তবে হেনা পড়লো মহা চিন্তায়। চারটা মুরগি নিয়ে ফেলেছে। সে ভাবলো সেঁধে আল্লাহ কপালে রেখেছে, ফেলবে কেন? সে ছেলেটার পিছু পিছু নিচে এসে আস্তে করে বললো, — বাবা একটা ভুল হয়ে গেছে। চারটা মুরগি..
হেনা কথা শেষ হওয়ার আগেই আসিফ হেসে বললো, — সমস্যা সেই আন্টি। আপনি বরং আরো কিছু লাগলে রেখে দিন।
— না না একদম না।
— কিসের একদম না আন্টি। আমাদের জন্য আপনাদের কতো কষ্ট হলো। বলেই এক লোক কে বললো, — এই আন্টির জন্য আরো চারটা মুরগি দে। দেশি গুলা দেয়। ফার্মের মুরগিতে স্বাদ আছে নাকি।
ব্যস তারা যাওয়ার আগে সুন্দর করে রেখে গেছে। আহারে, খুবই ভালো ছেলে। কি সুন্দর গলে গলে আন্টি বলে। তাই হেনাও ফট করে কয়েকটা চাল ভিজিয়ে ফেলেছে। দেশি মুরগীর ঝোলের সাথে গরম গরম চিতই পিঠার স্বাদ’ই আলাদা। তবে চাল বাটা বাবা তার দ্বারা হবে না। তাই তারকারির ঝামেলা নিজের ঘাড়ে নিয়ে সুলতানাকে বলেছে বেটে ফেলতে। অবশ্য সে ভালো করেই জানে এই চাল সুলতানাও বাটবে না। বাটবে নিশাত! বাসায় থাকলে কোন কাজ সে মাকে করতে দেখতে পারে না। দিন ভর রাখে ঝাড়ির উপর, আবার কাজের বেলা ঢং।
তাই সে মুখ বাঁকিয়েই বললো, — আমি বাপু কিছু জানি টানি না। কোন আকাম করছে কে জানে । তা না হলে বাড়িতে এসে এসব হাজির হয় নাকি । নিচের রুমার মা বললো। বড় নাকি একটা গাড়িও এসেছিল। মোড়ে দাঁড়ানো ছিল। নিজে গিয়ে নাকি ফুসুর ফাসুর করে এসেছে। এখন নাকি আবার ভুলে চলে এসেছে। আল্লাহ’ই জানে! চাকরির নামে কি কি করে বেড়াচ্ছে। এখন ভালোয় ভালোয় মান সম্মান থাকতে থাকতে বিদেয় হলেই বাঁচি।
সুলতানা রান্না ঘরে আসতে আসতে সব কথাই শুনলো। তার নিজেরও মনে হচ্ছে বড় ভুল করে ফেলেছে সে । গলা ধরে বললো পড়তে চায়। সেও ভাইকে পায়ে ধরে রাজি করালো । চাকরির কথা বললো। সে ভাবলো যদি দুইটা টাকা আসে, তবে তো ভালোই। তাই রাজি হলো । এখন তো মনে হচ্ছে বড় ভুল হয়ে গেছে। আল্লাহ! সারা জীবন ভুলভাল করে নিজের জীবনটা নষ্ট করে ফেলছি। আমার মেয়ের জীবনটা যেন এমন না হয়। তার সুন্দর একটা সংসার হোক। সারা জীবন পাশে থাকার মতো একজন মানুষ হোক। স্বামী – সন্তান নিয়ে মাথা উঁচু করে থাকার একটা নিজের বাড়ি হোক।
সজল কথা বাড়ালো না। অবশ্য কখনো কিছু বলেও না। এই বাড়িতে বাবার কথাই শেষ কথা। তিনি যতদিন আছে বলে লাভও হবে না।
সে নিশাতের রুমের দিকে এগিয়ে গেলো। দরজায় টোকা দিতেই নিশাত বললো, — এসো।
সজল ভেতরে গিয়ে বললো, — কাহিনী কি?
— আরে ধুর। এক লোককে বাঁচালাম। তোমার গুণধর বোন গিট্ট লাগিয়ে নানির বাড়ি গিয়ে পালিয়েছে। একবার আসুক! ওর চুল কেটে আমি নেড়া না করছি দেখো।
সজল হাসলো! হেসে চেয়ার টেনে বসলো। সব সময় নিশাত থেকে চোখ ফেরালেও, আজ তাঁকিয়েই রইল।
সে খাটে পা মুড়িয়ে বসা! কোঁকড়ানো চুলগুলো এক সাইড করে বসে বসে নখ কমড়াচ্ছে । এটা তার বদ অভ্যাস। যখন অতিরিক্ত টেনশনে থাকে তখনি আপনা আপনি মুখে তার আঙুল চলে যায়। সে হেসেই বললো, — তো এতো টেনশনের কি হলো?
— মামা আমাকে বিদেয় করার ব্যবস্থা করছে । টেনশন হবে না?
— কেন তুই যেতে চাস না?
— তোমাদের বাড়ি কোন রসগোল্লা। যেতে চাইবো না। আমি তো ভাই বিয়ে করবো না।
— কেন?
— আমার ইচ্ছা।
— কাউকে পছন্দ করিস তুই?
নিশাত চোখ তুলো তাঁকালো! সোজা বসে বললো, — কি মনে হয়?
— হ্যাঁ বা না বল?
— হ্যাঁ বা না বলবো কেন? বরং পুরো বাক্য বলি। চলবে?
সজল উত্তর দিলো না। তবে নিশাত ঠিকই উত্তর দিলো। সজলের চোখে চোখ রেখেই বললো, — দুনিয়ার সব মানুষকে আমি ঘৃণা করি। ঘৃণা করি তোমার মতো মানুষকে যে উচিত বলতে পারে না। ঘৃণা করি মামার মতো মানুষকে যে বোনকে আশ্রয় দিয়ে সেকেন্ডে সেকেন্ডে বোঝায়, এই বাড়িতে তুমি আশ্রিতা। ঘৃণা করি আমার বাবা নামক মানুষকে যে তার সন্তানের কথা ভাবেনি, সারা দুনিয়া ফেলে তার হাত ধরে হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীর কথা ভাবেনি। ঘৃণা করি এই পৃথিবীর সকল মানুষকে যারা দোষ নেই জেনেও আঙুল তুলে। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করে। এখন বলো এতো এতো ঘৃণার মাঝে একটা নির্দিষ্ট মানুষ পছন্দ হবেটা কিভাবে?
সজল কিছুক্ষণ নিশ্চুপ তাঁকিয়ে রইলো! তারপর বললো, — একবার যদি কোন কারণে ঘৃণা তৈরি হয় তখন সব কিছুতেই হয়। কারণ থাকলেও হয়, না থাকলেও হয়। তাই বলে কি সব মানুষ এক?
নিশাত হাসলো! অবজ্ঞার হাসি। হেসে বললো — বাহ্! কথাও জানো তুমি?
— জানি না?
— কি জানি বাপু! ছোট বেলা থেকে তো বাপের সামনে পু পু করতে দেখে আসলাম।
— পু পু না করলে খুশি হতি?
— নারে ভাই মাফ করো। কারো কোন কিছুতেই আমার কিছু আসে যায় না। আমি এমনিতেই অনেক খুশি। বলেই নিশাত উঠল। বাড়িতে কোন আয়োজন চলছে কে জানে। সন্ধ্যায় থেকে মামি রান্না ঘরে। ভাবা যায়? সে সজলকে রেখেই বেরিয়ে গেলো।
সজল হাসলো! হেসে সেও আর বসলো না। সোজা এলো বাবার রুমে। দরজায় টোকা দিয়ে বললো, — আসবো বাবা?
জালাল মাত্রই হাত পা ধুয়ে খাটে বসেছে। তার হাতে গামছা। পিঠ মুছতে মুছতে বললো, –.আয়।
সজল ভেতরে এসে সোজা বললো, — আমি নিশাত কে বিয়ে করতে চাই।
সজল যে ভাবে সোজা বললো, জালাল উদ্দিনও সোজা দাঁড়িয়ে ঠাস করে চড় লাগিয়ে দিলো। দিয়ে একটা কথাই বললো, –.লাথি দিয়ে সোজা বাড়ি থেকে বের করবো হারামজাদা।
______
নিশাতের সকালে ঘুম ভাঙলো তার মামির আহাজারিতে। সে একটু অবাক’ই হলো। মামি এমনিতে যাই থাক, চিৎকার চেঁচামেচি করে বাড়ি মাথায় তোলার মহিলা তিনি না। পেটে পেটে জিলাপির প্যাঁচ নিয়ে ঘোরা মহিলা। হঠাৎ করে এই পরিবর্তেন কারণ কি?
সে হাই তুলেই উঠে বসলো। কোঁকড়ানো চুলগুলো টেনে টুনে চান্দি বরাবর খোঁপা করলো। পিঠার আয়োজন করতে করতে বেশ রাত হয়েছে। ঘুমিয়েছেও অনেক রাতে। এখন যে নয়টার উপরে বেজে গেছে বুঝতেই পারেনি। অবশ্য তেমন সমস্যা ও নেই। সে অফিসে যায় আরামছে দশটার পরে। তবে আজ মনে হয় কাজ টাজ কিছু করে যেতে পারবে না।
সে উঠে দাঁড়িয়ে সোজা এলো মামির দরজায়। মামি নিচে বসে পা ছড়িয়ে বুক চাপড়ে কাঁদছে। মা তার পাশে মুখ কালো করে দাঁড়িয়ে আছে। হয়েছে টা কি? সাবা শয়তানটা এখনো আসেনি । ওর কাছে আবার সব খবরা খবর পাওয়া যায়।
সুলতানা আসহায় ভাবে মেয়ের দিকে তাঁকালো। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই সজল সোজা তার সামনে দাঁড়িয়ে বললো,– আমি নিশাত কে বিয়ে করতে চাই ফুপু। কারো রাজি না রাজিতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি নিশাত কে বিয়ে করে তোমাদের নিয়ে এখান থেকে চলে যাব। এখন বলো তোমার সমস্যা আছে?
তিনি হকচকিয়ে গেলেন। বলে কি এই ছেলে? এমন না সজলকে তার পছন্দ না। তবে এভাবে তো কখনো ভাবেই নি। তাছাড়া নাজিমের সংসার থেকে ফিরে আসার পর তারতো আর যাওয়ার জায়গা ছিল না। দশ বছরের মেয়েকে নিয়ে এই ভাইয়ের দরজায়’ই এসে দাঁড়িয়েছিল। বাড়ির সবার অমতে প্রেমের বিয়ে তার। বাবা মা বেঁচে ছিল না। তার ভাই চাইলেই দূর দূর করে তাঁড়িয়ে দিতে পারতো তবে তিনি দেননি। চোখ মুখ কালো করে বলেছিল,”
সয় সম্মত্তির ভাগ যদি ছাড়তে পারো তাহলে জায়গা পাবে । তা না হলে রাস্তা মাপো। অভাবের সংসারে বাড়তি ঝামেলা ঘাড়ে নিতে পারবো না।”
তার বাবার গ্রামে কিছু জমিজামা ছিল। ওয়ারিশ সূত্রে সেও মালিক। তবে সেই সম্মত্তি নেওয়ার চিন্তা সুলতানার মাথায় কখনো আসেনি। তার শুধু একটা ছায়া দরকার ছিল। তার জন্য না হোক তার মেয়েটার জন্য। তাই সে রাজি হলো অনায়াসেই। তার ভাই হাসি মুখে কথা না বলুক। তবুও তো পাশে থেকেছে। আর সেই ভাইয়ের বিরুদ্ধে যাওয়ার তার না আছে সাহস, না আছে ইচ্ছে। তাই মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছে, — এসব বলেনা বাবা। নিশাত তোমার বোনের মতো।
— নিশাত আমার ফুফাতো বোন । ফুফাতো বোন কখনো আপন বোন হয় না ফুপু।
তখনি ভাই চেতলেন! হুংকার ছেড়ে বললেন, — এখনি বেরিয়ে যাবি এ বাড়ি থেকে। এক্ষুনি! এক টাকা কামাই করার মুরুদ নাই। এসেছে বিয়ে করতে। যা বাপের দম ছাড়া এক টাকা কামাই করে নিয়ে আয়, তখন এসে বড় বড় কথা বলিস।
এই ছেলেও পাগল। বেরিয়ে গেলো। বেরিয়ে যেতেই শুরু হলো হেনার আহাজারি। ভাই ফিরেও দেখলেন না। নিজের মতো বেরিয়ে গেলেন। মাঝখানে সুলতানা পড়েছে মহা মুসিবতে। কি করবে দিশেই পাচ্ছে না ।
নিশাতের মামা যেমন নিশাতের মামির দিকে ফিরে দেখেনি, নিশাতও মায়ের অসহায় মুখের দিকে ফিরে তাঁকালো না। তাদের বাড়ি, তাদের ঘর সেখানে তারা বুক চাপড়ে, শুয়ে, বসে গড়াগড়ি করে কাঁদলে কাঁদুক। তাদের কি?
ছোট বেলায় অবশ্য এমন ভাবনা ছিল না। কিছু হলেই দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করতো, — কি হয়েছে মামি?
মামি একটু হেসে বললো, — এতো কিছু জেনে কি হবে? নিজের কাজ কর গিয়ে হ্যাঁ। এ বাড়ির সমস্যা নিয়ে না ভাবলেও চলবে।
তো আজ এতো ভাবাভাবির কি? নিশাত আপন মনে গিয়েই কিচেন রুমে চায়ের পানি বসালো। রাতের তয়- তরকারি ওমনি’ই রয়েছে। মামা, সজল ভাই রাতে কেউ’ই খায়নি। কি হয়েছে কে জানে? এগুলোই গরম করে আজ অনায়াসেই হয়ে যাবে। অবশ্য মামার টা সে জানে না। তার আবার টাটকা টাকটা গরম খাওয়া চাই।
নিশাত চায়ের কাপ সাথে দুটো টোস্ট নিয়ে রুমে চলে এলো। খাটে বসে আরামছে চুমুক দেবে তখনি কলিং বেল বাজলো। বাজুক সে এখন বেরোচ্ছে না। এই সাবা শয়তানটা আসছে না কেন? এই সবে তার আবার দুনিয়ার আগ্রহ। কলিং বেল বাজতে দেরি ফড়িংয়ের মতো উড়াল দিতে দেরি হয়না।
তখনি হন্তদন্ত হয়ে সুলতানা এলো। যেন ভুত দেখে ফেলেছে। কয়েক সেকেন্ডেই সে নেয়ে ঘেমে একাকার।
নিশাত দীর্ঘশ্বাস ফেলেই চায়ে চমুক দিলো। আবার কি হয়েছে কে জানে? আহারে তার সুখের জীবনটা। কার নজরে এমন গ্রহণ শুরু হলো আল্লাহ’ই জানে।
চলবে….