প্রাণনাশিনী পর্ব-০৩

0
1

#প্রাণনাশিনী
#পর্ব_০৩
#সুহাসিনি_মিমি

–ঐডা নাওফিক ভাই নাহ? ”

শিউলির কথায় কোনো সাড়া দিলো না সুবহা। স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সামনে। চোখে মুখে এক অদ্ভুত শূন্যতা। ভেতরটা যেন হঠাৎ করে হিম হয়ে উঠছে মেয়েটার। শিউলি বিস্ময় নিয়ে চাইলো সুবাহার দিকে। আড়চোখে দেখে বলল,

–“ওই মাইয়া, স্কুলে যাবি না? এমনে থম মাইরা দাঁড়াইয়া রইসোস কেন?”

সুবহা ধীরে মাথা নাড়লো। গলা নামিয়ে বলল,

— “শিউলি রে, আজ আর স্কুলে যাওয়া লাগবে না। তুই যা, আমি বরং বাড়ি ফিরে যাই।”

শিউলি অবাক হয়ে কপাল কুঁচকে বলল,

— “আজব কাহিনি! অর্ধেক রাস্তা আইসা এখন বলতেসোস বাড়ি যাবি? তাহলে আসলি কেন?”

— “আমি কি জানতাম নাকি যে নাওফিক ভাই এইখানে দাঁড়ায়া থাকব?”

— “তোহ কী হইছে? নাওফিক ভাই কি তোরে খাইয়া ফেলবে নাকি? দাঁড়ায়া থাকলে তোর কি সমস্যা?”

সুবহা কিছুটা ম্রিয়মাণ হয়ে বলল,

–“গতকালের কথা মনে নাই?কি বলছিলো আমারে?”

শিউলির মুখটা একটু থেমে গেল। কিছুক্ষণ চুপ থেকে মনে করার চেষ্টা করলো গতকাল বিকেলের কথা। গতকাল বিকেলে সুবহার বলা কথা স্মরণ আসতেই সহজ গলায় সুবহা কে স্বাভাবিক করতে বললো,

— “আরেহ ভুন্দি! ঐডা নাওফিক ভাই রাগে বলছিলো। মারামারি করার টাইমে পোলাগো মাথা গরম থাকে।দ্যাখবি, এখন কিছুই কইবো না। আয়তো আমার লগে!”

বলে শিউলি আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে সুবহার হাত চেপে ধরে একরকম জোর করেই টেনে নিয়ে যেতে লাগল সামনে। সুবহার মুখে দ্বিধা থাকলেও পা চলতে লাগলো শিউলির টানে।

বেলতলার ঘাটের এক প্রান্ত ঘেঁষে বয়ে চলেছে ছোট্ট একটা নদী। গ্রীষ্মকালে যার বুক শুষ্ক হয়ে উঠলেও বর্ষায় রূপ নেয় এক উন্মত্ত স্রোতস্বিনীতে। পানিতে টইটম্বুর হয়ে উপচে পড়ে তীর ছাপিয়ে। রাস্তার অপর প্রান্তে বিস্তৃত ছোট ছোট বিল। এই বিলগুলোর সৌন্দর্যের মূল আকর্ষণ থাকে লাল রঙা শাপলা। স্থানীয়দের মুখে তা “র”ক্ত শাপলা” নামে পরিচিত।

আজ প্রকৃতিও কিছুটা বিষণ্ণ। বিল-নদী, দুটোর মধ্যেই এক ধরনের নিস্তেজতা। জোৎস্নাহীন রাতের মতো নির্লিপ্ত আর নিশ্চুপ। ঘাটের সাথে রয়েছে এক বটগাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা টং দোকান। যা গ্রামের মানুষের কাছে আশু মিয়ার টং দোকান নামেই খ্যাত।

সেই বটগাছের পাশেই ঠেস দিয়ে রাখা একটি কালো বাইক। বাইকের উপর এক পা রাখে দাঁড়িয়ে আছে নাওফিক। চোখে কালো সানগ্লাস। দৃষ্টি নিবদ্ধ ফোনের স্ক্রিনে।

সুবহা দূর থেকেই দেখে নিয়ে মনে সাহস যোগালো হয়তো লোকটা দেখে নি তাকে।
কিন্তু তবুও বুকের ভেতর কোথা থেকে যেন এক অজানা কাঁপুনি ধরা দেয় তার। পৃথিবীর অন্য সব মানুষের সঙ্গে সুবহা কোন না কোনভাবে তার কথায় বা নীরবতায় বুঝে নিতে পারলেও এই লোকটার বেলায় সে অচল। নাওফিক যেন তার কাছে এক রহস্য। এক অচেনা আতঙ্ক! চোখের আড়ালে থাকা স্মৃতিগুলো কেমন গলার কাছে এসে চেপে বসে। হাত-পা অবশ করে দেয়। সুবহা যতই কাছে এগিয়ে যায় ততই বুকের ভেতর ‘দ্রিম দ্রিম’ শব্দ যেন বেড়ে চলে তার।

–“দাড়া!”

আচমকা কণ্ঠস্বরটা যেন বজ্রাঘাতের মতো নেমে আসে সুবহার কানে। সুবহা আর শিউলি ঠিক নাওফিককে পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু নাওফিকের গম্ভীর, পুরুষালি গলায় উচ্চারিত সেই একটিমাত্র শব্দ যেন মুহূর্তেই থমকে দেয় সুবহার কদম। শরীর কেঁপে উঠে। চোখ দুটো আপনি থেকেই বন্ধ হয়ে আসে। নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে পড়ে সে। পায়ের নিচে যেন জমে উঠেছে এক শীতল শিকল। নিজেকে শিউলির আড়ালে লুকিয়ে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করে দ্রুত।

–“এদিকে আয়!”

নাওফিকের কণ্ঠস্বর আরও গাঢ় হয়।
সুবহা শক্ত করে চেপে ধরে বান্ধবীর হাত। শরীরের প্রতিটি কোষে ভয়ের স্পন্দন ছড়িয়ে পড়ে তার।

শিউলি ঠাহর করতে পারে বান্ধবীর করুন অবস্থা সম্পর্কে। মৃদু সান্ত্বনার কণ্ঠে ফিসফিসিয়ে বলে,

–“ভয় পাস না, আমি তো আছি পাশে!”

ওদিকে নাওফিক চোখ থেকে চশমা নামিয়ে হাতে নেয়। ফোনটা পকেটে রেখে এবার পূর্ণ মনোযোগে তাকায় দুই কিশোরীর দিকে।

–“কিরে, তোকে ডাকছি নাহ? এদিকে আয়!”

–“ওখান থেকেই বলেন নাওফিক ভাই। আমরা শুনছি!”

নাওফিক এক মুহূর্ত চুপ করে তাকালো। চোখ সরু হয়ে আসে তার। তারপর ধীরে ধীরে নজর বুলায় শিউলির আড়ালে থাকা লুকিয়ে থাকা সুবহার উপর।

সাদামাটা স্কুল ড্রেসে দু’চোখে ভয় আর লজ্জার ছায়া নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি তাকে ভয় পায় এটা সে জানে। কিন্তু কেন এই ভয় সেটা জানেনা সে। সে কি বাঘ না ভাল্লুক? এতো ভয় পেতে হবে কেন তাকে? প্রশ্নটা যে আজও কুড়েকুড়ে খায়!

যার সাথে কখনো গলা উঁচিয়ে কথা বলেনি। সবসময় সহজ সরল নরম ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেও এতটা ভয়! ভেবেই একটা দীর্ঘ নিঃশাস ছাড়ে নাওফিক।

সুবহা জানতো এই মুহূর্তটা এড়ানো সম্ভব নয়। শিউলির আড়ালে নিজেকে গুটিয়ে রাখলেও ভিতরের কণ্ঠস্বর বলছিল পালানোর আর সুযোগ নেই সুবহা।

দুরু দুরু বুকে পা বাড়ায় সামনে। কিশোরী পা, কিশোরী সংকোচ তবু কদম ফেলে সামনে এগিয়ে যায়। মাথা নিচু। দৃষ্টি মাটিতে নিবদ্ধ। যেন মাটির ফাঁকে গর্ত খুঁজছে নিজেকে লুকিয়ে ফেলার জন্য।

নাওফিক ঠান্ডা চোখে একবার তাকায় ।
সুবহার দিকে চেয়ে তার চোয়াল শক্ত হয়ে আসে কিছুটা। কালকের বলা কথাগুলো যে এ মেয়ের কানে ঢোকেনি সেটা বুঝতে তার দেরি হয় না। তবু নিজেকে সংবরণ করে। ক্রোধ তার চোখে ঝিলিক দিয়ে গেলেও তা আর কণ্ঠে ঠাঁই পায় না।

–“তোকে গতকাল কী বলেছিলাম, মনে নেই?”

সুবহার গলা শুকিয়ে আসে। চোখের পলক পড়ে না। বুকের ভিতরে যেন কেউ ঢাক পেটাচ্ছে।
নাওফিক এবার একটু তীক্ষ্ণস্বরে বলে উঠে,

–“ওড়না কই তোর? বোরকা পরিস নি সেটা বাদ দিলাম। কিন্তু একটা ওড়নাও কি বাড়িতে নেই?”

এই তো ঠিক এই ভয়টাই ছিল সুবহার!
এই লোকের একেকটা প্রশ্ন একেকটা ধমকতার বুক কাঁপিয়ে দেয়। সকালবেলায় ঘর থেকে বেরোনোর সময় মনে মনে ভেবেছিল, বাড়ির পেছনের পথ দিয়ে গা ঢাকা দিয়ে চলে গেলেই হয়তো চোখে পড়বে না।

সুবহা থম মেরে দাঁড়িয়ে রইলো মুখে কুলুপ এঁটে। টু শব্দ টি পর্যন্ত করলো নাহ। মনে মনে রাগ জেরে উঠলো শিউলির প্রতি। মেয়েটা সবসময় তাকে এভাবে বিপদে ফালিয়ে ভাগে। আজও তাই করলো।

–“চাচা বাড়িতে?

দু পাশে মাথা নাড়লো সুবহা। সুবহার না সম্মতি শুনে ঠোঁট টিপে হাসলো বোধহয় তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানব। সুবহার চক্ষু পরলো না আর তা।

–“বাড়িতে ফিরে যা। বোরকা ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষেধ তোর জন্য। স্কুল যাওয়া লাগবে নাহ।”

–“আমার তো বোরকা নেই নাওফিক ভাই!

ছোট্ট মুখ থেকে বের হওয়া সদ্য বুলিতে যেন এক পশলা বৃষ্টির ফোটা পরলো খা খা করা মরুভূমির উপর। মেয়েটার কণ্ঠ টা ঠিক মিষ্টি সুরেলা কোকিলের প্রতিধ্বনি ন্যায়! তপ্ত শ্বাস নিয়ে প্রত্তুত্বর করলো,

–“বাড়িতে যা।”

সুবহা আর দাঁড়ালো নাহ। আদেশ পাওয়া মাত্রই ছুটলো বাড়ির দিকে। কালকে নাহয় কোচিং এ না গিয়ে সেরেছিল। আজ কি জবাব দিবে বাড়িতে গিয়ে? তার মা তাকে কাঁচা চিবিয়ে খাবে নাহ?তবে অতশত ভাবার আর ফুরসৎ পেল না ছোট্ট সুবহা। আপাতত এই নাওফিক নামের জম থেকে বিদেয় হতে পারলেই বাঁচে সে।

সুবহা যেতেই সেদিকে চেয়ে মৃদ হাসে এই যুবক। দূর থেকে সেই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করছে ৪-৫ জন যুবক। এরা সবাই নাওফিক এর কাছের লোক। ছোট বেলা থেকেই ওদের সাথে চলা ফিরা থাকলেও নাওফিক কে মাঝে মাঝে বুঝতে অক্ষম হয় সকলে।

–“ঐডা শ্রেয়ান এর বোন নাহ?

মুখে সিগরেট পুড়তে পুড়তে এতক্ষন এদিকটায় দেখছিল সকলে। এতক্ষন এক সাথে থাকলেও সুবহা কে দেখে নাওফিক এর ইশারা পাওয়া মাত্রই তানভীর সকল কে নিয়ে কেটে পরে সেখান থেকে। আশ্রয় নেয় আড়ালে।

–“হ্যা!

–“ওই মাইয়ার সাথে কি চলে আমাদের নাওফিক এর?

–“কি বলতে চাস তুই?

–“মামা আমাগো নাওফিক শেষপর্যন্ত নিজের হাঁটুর বয়সী মেয়ের প্রেমে মজলো নাকি?

দীপ্ত কে হাত দিয়ে পেটে গুঁতো মারলো তানভীর। পরপর বললো,

–“আরেহ তেমন কিছু নাহ। শ্রেয়ান এর বোন মানে তো আমাদের ও বোনের মতোই। ওই একটু আকটু শাসন করে।”

দীপ্ত দু ঠোঁটের ভাঁজে সিগরেট টা ঢুকিয়ে এক টান মারলো তাতে। ধুয়া ছাড়লো শুন্য। কিছু একটা ভেবে মুখে ফুটে উঠলো এক বাঁকা হাসি।

আসরের আজান পড়েছে সবে। সুবহা উঠে এসেছে তাদের বাড়ির দু’তলার ছাদে। হাতে আচারের কাঁচের বয়াম। যেখানে মেয়েরা আইসক্রিম কিংবা চকোলেটের জন্য পাগল, সেখানে সুবহার পাগলামি একটুখানি আচার নিয়েই। সারা বছর ধরে বিলকিস বেগম মেয়ের খাতিরে রকমারি আচার বানিয়ে রাখেন। একেক মরসুমে একেক স্বাদ। ঝাল, মিষ্টি, টক।

আজ সকালে মায়ের কাছে একটু মিথ্যে বলতে হয়েছিল সুবহাকে। খুব বেশি অপরাধবোধ হচ্ছে না তার। এই চেয়ার-মানের পোলাটার জন্যই সব! কেন যে ছায়ার মতো তার পেছনে লেগেই থাকে লোকটা বোঝে না সে। তাদের বাড়ির মেয়েরা কী পরে রাস্তায় বেরোয় সেই শাসন তো করে না সে। তাহলে তার পেছনে এত কৌতূহল কেন? সে বোরখা পরুক কিংবা না পরুক তাতে কার কী? সে তো এখনো ছোট! হ্যা তার বাবা তো তাই বলে।

কিন্তু কতদিন এভাবে লুকিয়ে থাকতে হবে তাকে? যদি আবার কালকে রাস্তায় ঘিরে দাঁড়ায় লোকটা? ভাবতেই বুকের ভেতরটা ধক করে ওঠে। নিঃশব্দে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে সুবহা।

এই দুটো বছর যেন শান্তির দিন্ ছিল। কারণ ‘নাওফিক’ নামের সেই আপদটা দেশে ছিল না।
হঠাৎ ছাদের উপর ভেসে আসে ছোট কাকার মেয়ে ঋতুর কণ্ঠ,

–বড় পি! জেঠু মনি ডাকছে, জলদি এসো!”

হুঁশ ফিরে আসে সুবহার। আচারের বয়ামটা নিচে রেখে ওড়নায় চটচটে তেল মুছতে মুছতে ছুটে চলে আসে নিচে। বসার ঘরে আব্বাস মিয়া বসে আছেন। পাশে সারি সারি শপিং ব্যাগ। এত ব্যাগ একসাথে দেখে চোখ মেলে তাকায় সুবহা।

–বাবা! এত্তো ব্যাগ! শহরে গেসিলা নাকি?”

আব্বাস মিয়া কিছু বলেন না। ঠিক তখনই কল পাড় থেকে হাত মুছতে মুছতে ভিতরে ঢোকে শ্রেয়ান। ভাইকে এভাবে হুট করে দেখে খানিকটা অবাক হয় সুবহা।

–আমি এনেছি। বাবা না।”

শ্রেয়ানের কথা শুনে বিলকিস বেগম থমকে দাঁড়ান। বড় বড় চোখে তাকান ছেলের দিকে। যে ছেলে কিছুদিন আগেও এক কাপ চায়ের জন্য টাকা চাইতো, সেই ছেলে কিনা আজ এতগুলো ব্যাগ নিয়ে এসেছে! কারোই যেন বিষয়টা বিশ্বাস করতে মন চায় না।

সবার জিজ্ঞাসু চোখকে একপ্রকার উপেক্ষা করেই শ্রেয়ান বসে পড়ে খাবার টেবিলে।

–এগুলো তোর রুমে নিয়ে যা!”

সুবহা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এত ব্যাগ, এত জিনিসপত্র। কী আছে এর ভেতরে?

–ভাইয়া… এগুলোর ভেতরে কী আছে?”

–ভিতরে গিয়ে নিজেই দেখে নিস।”

সুবহা এগোতে যাচ্ছিল ব্যাগ ধরতে ঠিক তখনই কথা কেটে দেয় বিলকিস বেগম। চোখে একরকম জহুরির দৃষ্টি। গলায় কৌতূহলের সঙ্গে সন্দেহ মেশানো স্বর,

–কি কিনা আনসোস তুই? টাকা পাইলি কই?”

শ্রেয়ান মায়ের কথার কোনো জবাব দিল না। চুপচাপ বসে পড়লো খাবার টেবিলে। প্লেটে ভাত তুলে নিতে নিতে ধীর গলায় বলে উঠলো,

–কিরে? দাঁড়িয়ে আছিস কেন এখনো? বললাম তো, ব্যাগগুলো রুমে নিয়ে যা।”

সুবহা একবার বাবার দিকে তাকায়, তারপর মায়ের দিকে। মূলত কী করবে, কী বলবে তা-ই বোঝাতে চাইলো চোখে মুখে। আব্বাস মিয়া কোনো কথা না বলেই ধীরে ধীরে উঠে গেলেন নিজ রুমে। চারপাশে হঠাৎ একটা অদ্ভুত নিস্তব্ধতা নেমে এলো।

আর দেরি করলো না সুবহা। মনে মনে উষ্ণ কৌতূহল নিয়ে ব্যাগগুলো একে একে গুছিয়ে তুলে নিলো কোলে। তারপর ছোটাছুটি করে উঠে গেলো নিজের ঘরে। দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলো সাবধানে। যেন কেউ হঠাৎ ঢুকে না পড়ে।মনের ভিতর ধুকপুক করছে তার ভাই এসব কেন কিনে আনলো? তার জন্য কী কী এনেছে? ব্যাগের ভেতর কি শুধুই জামা-কাপড়? না কি অন্য কিছু?

চলবে…..