#প্রাণপ্রিয়❤️ [পর্ব-০৫]
~আফিয়া আফরিন
সামনে পরীক্ষা উপলক্ষে অনিতাকে এখন প্রতিদিনই ক্লাসে যেতে হচ্ছে। কিন্তু ফুপির সাথে দেখানো রাগটা সে এখনো হজম করতে পারে নাই। সারাজীবন’ই তার সাথে এমন হয়েছে। এসে ভেবেছে এক আর হয়েছে আরেক।
তারমধ্যে কিছুদিন হলো, আহিরের কাজের চাপ বেড়েছে। তার সাথে দেখা সাক্ষাৎ খুব কম হচ্ছে, তবে ফোনে কথা হয়। কিন্তু তাতে অনিতার মন ভরে না। তার সামনাসামনি দেখা করা চাই। আহির চেষ্টা করছে, কিন্তু সময় মেলাতে পারছে না।
সেদিন অনিতা ক্লাস শেষে বান্ধবীদের সাথে গেল সিনেমা দেখতে। গত মাসে রিলিজ হওয়া সিনেমাটা এখনও দেখা হয় নাই। সেটা দেখতে সকলে রওনা হলো। হলে গিয়ে নিজের জন্য নির্দিষ্ট সিটে বসতেই পরিচিত একজন এগিয়ে এলো। অনিতা চিনতে পারল তাকে। একই কলেজে পড়াশোনা করেছে দু’জন। একসময় অনিতাকে প্রপোজাল দিয়েছিল, কিন্তু ততদিনে আহির অলরেডি অনিতার জীবনে এন্ট্রি নিয়েছে।
ছেলেটা প্রফুল্ল ভঙ্গিতে অনিতাকে জিজ্ঞেস করল, ‘কেমন আছো? অনেকদিন পর দেখা হলো তোমার সাথে।’
অনিতাও হাসিমুখে জবাব দিল, ‘ভালো আছি। তুমি কেমন আছো? কি খবর এখন? পড়াশুনা কোথায় করছ?’
ছেলেটার নাম রিফাত। সে অনিতার সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘ওই ছেলেটার কি খবর? যার সাথে তোমার রিলেশন ছিল? এখনো আছেই?’
‘হুম আছে।’ অনিতা ছোট্ট করে জবাব দিল।
রিফাত জিজ্ঞেস করল, ‘আসে নাই? বান্ধবীদের সাথে এসেছ যে?’
‘ও আসলে কাজেকর্মে একটু ব্যস্ত ইদানিং। সবসময়’ই আমার সাথেই থাকে। আজ সকাল থেকেই অনেক ব্যস্ত রয়েছে।’ অনিতা যথাসম্ভব আহিরের দোষটুকু আড়াল করল। কিছু মানুষ থাকে না যারা কোনো একটা খুঁত দেখলে খোঁচা মারতে ভোলে না, রিফাত হচ্ছে সেই ধরনের মানুষ।
তবুও সে বলে বসল, ‘গার্লফ্রেন্ডকে সময় দেয় না সে আবার কেমন প্রেমিক? যতই কাজ থাকুক না কেন, তোমার সাথে আসবে না? আমার গার্লফ্রেন্ড থাকলে সব কাজকর্ম বাদ দিয়ে সবসময় তার সাথে সাথেই থাকতাম।’
অনিতা এইবার নড়েচড়ে বসল। পাবলিক প্লেসে সিনক্রিয়েট করা উচিত নয়, তবুও তার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। এই ছেলেটা আসলে চায় কি? এসব উল্টাপাল্টা কথা বলার উদ্দেশ্য কি? আহিরকে অনিতার কাছে খারাপ বানাতে চাচ্ছে? হুহ, কখনোই সম্ভব নয়। অনিতার আহিরকে পুরোটাই চেনা হয়ে গেছে। হুট করে কেউ যদি কখনো বলে বসে, আহির একটা বড় ধরনের বাজে কাজ করে ফেলেছে তবুও সে বিশ্বাস করবে না। আহির এইরকম ছেলেই না। সে শান্তশিষ্ট, ভদ্র, নিরিবিলি।
অনিতা নিজেকে যথাসম্ভব ঠিক রেখে রিফাতকে বলল, ‘আমি আর আহির সিরিয়াস সম্পর্কের মধ্যে আছি। আমাদের ইনটেনশন বিয়ে করা এবং খুব শীঘ্রই আমরা তা করব। তোমার মত সে যদি সবসময় পড়াশুনা এবং নিজের কাজকর্ম ছেড়ে গার্লফ্রেন্ডের পিছু পিছু ঘুরে বেড়ায়, তাহলে কোন সচেতন মা-বাবা তোমার মত ছেলের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দিবে না। পাত্র এবং ছেলে হিসেবে অবশ্যই নিজেকে সুযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর আহির আমায় যথেষ্ট সময় দেয়। বরং কিছু কিছু সময় আমি তাকে সময় দিতে পারি না, বুঝতে পারি না। তুমি আমার এককালীন বন্ধু আছো, সেই বন্ধুই থাকো। আহিরকে নিয়ে বাজে কথা বলো না।’
রিফাত চুপ হয়ে গেল। অনিতা মনোযোগ দিল পর্দায়। ইশশশ, মাঝখানে কতকিছু মিস করে গেল। আড়চোখে তাকাল রিফাতের দিকে। অযথা আসছে আলগা পিরিত দেখানোর জন্য। এসব দেখার সময় আছে নাকি?
অনিতা নিজে আহিরকে যত কথাই বলুক না কেন, অন্য কেউ বললে সেটা সহজে সহ্য হয় না। কাজের চাপটা এই সপ্তাহের মধ্যে কমে যাবে, তারপর তাকে বাড়ি নিয়ে যাবে। মা আর দাদি সবসময় বলে, ‘কিরে ছেলেটাকে নিয়ে এলি না? তোর বাবা যে কথা বলতে চাইল!’
এইবার আহিরকে বলতেই হবে। আহিরের সাথে কথাবার্তা শেষে, তার ফ্যামিলির সকলের সাথে কথাবার্তা হবে এবং তারপর বিয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। অনিতা মনে মনে প্রফুল্লবোধ করল। স্বপ্নের দিন খুব শীঘ্রই ধরা দিচ্ছে!
.
আহির ইদানিং বাড়ি ফিরে রাত এগারোটায়। তারপর ফ্রেশ হয়ে কোনমতে একটুখানি খেয়ে ঘরে চলে যায়। তারপর ননস্টপ কথা চলতে থাকে অনিতার সাথে।
আজ বাড়ি ফিরল একটু আগেই। বাবাকে আর ছোটো ভাই আহিলকে দেখতে পেল। মা বাড়ি নেই, কিছুদিনের জন্য তার মায়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। ঘরবাড়ি বর্তমানে তাদের দখলে। যে যা খুশি তাই করছে। আহির ড্রয়িং রুমে এসে দেখল, বাপ ভাই দুজনেই সোফার উপর পা তুলে দিয়ে জোরে সাউন্ড দিয়ে টিভি দেখছে। মা থাকলে এটা কখনোই সম্ভব হতো না। তিনি এলোমেলো পছন্দ করেন না। অথচ এরা পুরো বাড়িটাকে মাথায় তুলেছে। গায়ের শার্ট মেঝেতে লুটোপুটি খাচ্ছে। টি-টেবিলের উপর চায়ের কাপ, ট্রে আরও বিভিন্ন জিনিসপত্র; সব অগোছালো।
আহির বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘মা না থাকাতে তোমরা দেখি আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে গেছ।’
আহিল এগিয়ে এলো। বড় ভাইয়ের পিঠে একটা চাপড় মেরে বলল, ‘আরে ভাইয়া তুমিও এসো। দেখো টিভিতে দারুন একটা রিয়ালিটি শো হচ্ছে।’
আহিরের বাবা ওয়াসিম’ও বললেন। আহির সেসব কানেই তুলল না। সে বলল, ‘মাকে সব বলতে হবে।’
ওয়াসিম সাহেব বললেন, ‘মায়ের চামচামি পরে করিস। এখন তো মা এখানে নেই, আমরা আছি। আমাদের সাথে তাল দে। আর যদি দিতেই না ইচ্ছে করে, তবে চুপচাপ নিজের ঘরে গিয়ে বসে থাক। বিরক্ত করিস না।’
আহির অবশ্য ফ্রেশ হয়ে এসে বাবা আর ভাইয়ের সাথেই টিভি দেখার জন্য বসে পড়ল। টিভি দেখা শেষে তিনজন মিলে ঢুকল রান্নাঘরে। রাতের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয় নাই। টিভি দেখতে দেখতে ঘড়ির দিকে খেয়াল’ই ছিল না। অনেক রাত হয়ে গেছে। সব বন্ধ, না হয় বাহির থেকে কিছু এনে খাওয়া যেত।
তিনজনের মাথা থেকে তিন রকম আইডিয়া বের হলো। যেটা দিয়ে খুব সুন্দর জগাখিচুড়ি রান্না হলো। সেই খিচুড়ির চেহারা দেখতেও খুব একটা ভালো হয় নাই, আর খেতে তো একদমই অস্বাদ! আহিরের মনে পড়ে গেল, অনিতা একবার তাকে রান্না করে খাইয়েছিল। কী স্বাদ তার! ওর কথা মনে হতেই মনে পড়ল, আজ ওর সাথে একবার’ও কথা হয় নাই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল, রাত একটা পার হয়েছে। বাবার দিকে তাকাল। বাবা দুই ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘আমি রান্নাবান্নাতে বরাবরই ফেল। তবে একজনকে চিনতাম, এত সুন্দর বলার যা বাহিরে। একবার শোন কী হয়েছে….’
বাবা বলেই যাচ্ছেন। আহির শুনছে না কিছুই। তার এই মুহূর্তে ঘরে গিয়ে অনিতাকে ফোন করা উচিত নয়তো রাগের এটম বোমা যে কোন মুহূর্তে ফেটে যেতে পারে।
কোনোমতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আহিলকে সব ঠিকঠাক করতে বলে, নিজে ঘরে চলে এলো। ঘড়িতে প্রায় দেড়টা। অনিতা ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা কে জানে? তবুও ফোন দিল। অনিতা তৎক্ষণাৎ ফোন কেটে দিল। মেসেজ পাঠাল, ‘আমি এখন ঘুমাব। এত রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করবে না।’
আহির পাল্টা রিপ্লাই দিল, ‘কথা বলতাম একটু।’
‘কারো সাথে ফালতু কথা বলে সবাই নষ্ট করার মত সময় আমার হাতে নেই। আমার সময়ের দাম আছে। নিজের মূল্যবান সময় যাকে তাকে বিলিয়ে দিই না।’
আহির স্পষ্ট বুঝতে পারল অনিতা রেগে আছে। সে পুনরায় ফোন করল এবং যথারীতি অনিতা ফোন কেটে দিল। রাগটা ভাঙ্গানোর সুযোগ তো দিতে হবে! আশ্চর্য!
আহির লিখল, ‘আমি ব্যস্ত ছিলাম।’
‘হ্যাঁ ঠিক আছে। আমি অভিযোগ করেছি? আমি কিছু বলেছি? তুমি তোমার মত ব্যস্ত থাকো। ফ্রি হতে কে বলেছে? ফ্রি হয়ে আমাকে কেন এত রাতে ফোন দিতে হবে? আমি কে, হুঁ? এত রাতে একটা মেয়ের কাছে ফোন দিতে লজ্জা লাগে না? অসভ্য কোথাকার। আর ফোন দিবে না কখনো তুমি আমায়।’
আহির হতাশ ভঙ্গিতে কপাল চাপড়াল। সে জানতো, আজ এরকম একটা ফাটাফাটি হয়ে যাবে। এমনিতেই দিনকয়েক হচ্ছে, অনিতা তার উপর রেগে আছে; আজ আবার সেই আগুনে ঘি পড়ল।
আহির রিপ্লাই দিল, ‘কাল তোমার সাথে দেখা করব। এগারোটায় টিএসসিতে অপেক্ষা করব। চলে এসো।’
অনিতা মেসেজটা দেখল বটে। কিন্তু রিপ্লাই দিল না। উল্টো ফোন অফ করে ঘরের বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়ল।
যথারীতি সকালে ঘুম ভাঙল। বাড়ি থেকেই বের হলো না। আহির নিশ্চয়ই অপেক্ষা করবে। করুক। সেও একটা ফোনকলের জন্য এগারোটা থেকে অপেক্ষা করে বসেছিল। এখন সেও একটু অপেক্ষা করুক। তারপর সমানে সমানে কাটাকাটি হয়ে যাবে।
আহির অনেকবার ফোন করেছে, মেসেজ পাঠিয়েছে। অনিতা কোথাও রেসপন্স করে নাই। বরং ছাদের উপর পা ঝুলিয়ে বসে ছিল। দুপুর বারোটায় পাল্টা মেসেজ দিয়ে বলল, ‘দেখা করার সময় হবে না।’
আহিরের প্রতিক্রিয়া তার জানা নেই। সে খানিকটা রেগেও যেতে পারে আবার নির্বিকারও থাকতে পারে। সেদিন সারাদিন আর আহিরের মেসেজ আসে নাই। রাতের বেলা ফোন দিল। অনিতা ফোন কেটে দিয়ে টাইপিং করল, ‘কথা বলার মুড নেই এখন। ঘুম ধরছে। ঘুমাব, গুড নাইট।’
এরপর আর আহিরের কি বলার থাকে? সেটা জোর করতে পারেনা। একই কাহিনী চলল পরবর্তী দুইদিন’ও। আহির অনেকবার দেখা করার চেষ্টা করেছে কিন্তু অনিতা ব্যাপারটা মোটেও গায়ে মাখে নাই। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে আহির সিদ্ধান্ত নিল, অনিতাদের বাসায় যাবে রাতের বেলা। যেই ভাবা সেই কাজ। অনিতাকে হঠাৎ সারপ্রাইজ দেওয়ার ইচ্ছা আছে, তাই আগে থেকে বলে নাই। তাকে এভাবে হঠাৎ দেখলে অনিতা নিশ্চয়ই আর রাগ করে থাকতে পারবে না!
.
ইদানিং রাতের বেলা সাদাত হাসানের ঘুম হচ্ছে না। বেশিরভাগ সময়টাই জেগে কাটান। কখনো নিজের ঘরে বসে বই পড়েন, কখনোবা ছাদে দাঁড়িয়ে হাওয়া খান, আবার কখনো বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রকৃতি বিলাস করেন। আজ’ও এককাপ চা হাতে বারান্দার চেয়ারে গিয়ে বসলেন। আচমকা মনে হলো, কেউ একজন মেইন গেট বেয়ে ভেতরে ঢুকেছে। অন্ধকারে ভুল দেখলেন নাকি? হতে পারে, গেটে তো দারোয়ান আছেই। গুরুত্ব দিলেন না বিষয়টা। রুবি থাকলে নিশ্চয়ই বলত, ‘সবই তোমার বয়সের দোষ।’
মিনিট দশেক বাদে তিনি উঠে ঘরে যেতে নিতেই কীসের যেনো একটা আওয়াজ ভেসে এলো। এইবার আর মনের ভুল নয়, তিনি স্পষ্ট শুনতে পেলেন। কান পেতে রইলেন, আরেকবার শোনার জন্য। কিন্তু অনেকক্ষণ কোনো আওয়াজ পাওয়া গেল না। তারপর আবার একটা আওয়াজ। মনে হচ্ছে কেউ জানালায় ঢিল ছুঁড়ে মারছে। তিনি এগিয়ে গেলেন।
.
এই বাড়িতে ঢোকার আগমুহূর্তেই আহির অনিতাকে মেসেজ দিয়েছিল, সে এখানে এসেছে। অনিতা যেন নিচে নেমে দেখা করে।
কিন্তু অনিতা আহিরের কথা বিশ্বাসই করে নাই। বিশ্বাস করানোর উদ্দেশ্যে আহির অনিতার জানালায় পরপর দুইবার ঢিল ছুঁড়েছে। অনিতা অবাক হলো এবং একইসাথে ভয় পেল। বাড়ির কেউ যদি কোনো ভাবে টের পেয়ে যায়? আহির’ই বা আসলাম কাকাকে টপকে ঢুকল কি করে? সে আহিরের মেসেজের জবাব দিল, ‘আর একটা ঢিল ছুঁড়লে খারাপ হবে বলে দিচ্ছি। যদি বাড়ির কেউ জেগে যায় আর তুমি ধরা পড়ে যাও, তখন?’
আহির জবাব দিল, ‘তখন আবার কি? আমি বলব, আমি তাদের হবু জামাই। তখন নিশ্চয়ই আপ্যায়ন করবে।’
‘গণপিটুনি দিবে তোমাকে। যেখানে আছ, ওখানেই চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকো। আমি আসছি।’
‘তাড়াতাড়ি আসো। মশা কামড়াচ্ছে তো।’
‘তুমি মশার কামড় খাওয়ার জন্য সেধে সেধে আসছ, আমার কি করার আছে? আমি বলেছিলাম আসতে? ওয়েট করো, আমি একটু দেখে আসি সবাই শুয়ে পড়েছে কিনা!’
‘ওকে তাড়াতাড়ি।’
অনিতা আর মেসেজের রিপ্লাই দিল না। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলো। ডাইনিং রুমে পা দিতেই বাবার গলা ভেসে এলো। তিনি উচ্চস্বরে ডেকে চলেছেন, ‘এই আসলাম, আসলাম কোথায়?’
অনিতার বুক কেঁপে উঠল। বাবা কোথায়? তিনি আসলাম কাকাকে ডাকছেন কেন?
পরক্ষণেই আবার বাবার কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, ‘চোর ধরেছি চোর, বাড়িতে এসেছিল চুরি করতে। মেইন গেট বন্ধ করো, যাতে চোর পালাতে না পারে।’
.
.
.
চলবে….
[কার্টেসি ছাড়া কপি করা নিষেধ]
শব্দ সংখ্যা— ১৬০৪