#প্রিয়জন (১১)
হুরের দিন গুলো আনন্দে কাটছিল। একটু একটু করে স্বাভাবিকতা ফিরে পাচ্ছিল সে। জাহিন যেহেতু ঢাকায় ব্যবসা করে, তাই নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করতে হয় তাকে। সেই জন্য মেয়েটির অপেক্ষা একটু হলেও বাড়তে থাকে। এই যে যেমন, আজ তিন দিন যাবত মানুষটা কাছে নেই। বিছানার চাদর ভাঁজ করতে করতে জাহিনের কথাই ভাবছিল মেয়েটি। ওমন সময় একজন পরিচারিকা এসে বলল তিথী আর জুহি এসেছে। মেয়ে দুটো ভারী দুষ্টু। বিয়ের পর আর দেখা না হলেও, কেমন একটা মায়া মায়া অনুভব হয় তার। ও দ্রুত বিছানা গুছিয়ে রেখে নিচে নামতে যাচ্ছিল। কিন্তু সেটি হওয়ার পূর্বেই হুরমুর করে ঘরে প্রবেশ করল দুজনে। এসেই মেয়েটাকে পেছন থেকে আগলে ধরল। একসাথে বলল,”ভাবিজান।”
দুজন এমন ভাবে চেপে ধরেছে যে, মেয়েটি নড়াচড়া করতেও পারছে না। কয়েক সেকেন্ড বাদে হাত আলগা করল ওরা। অনেকটা হাঁপানোর মতন করে হুর বলল,”তোমরা তো ভয় পাইয়ে দিয়েছিল।”
“কেন? কেন? ভাইয়া বুঝি এভাবে জড়িয়ে ধরে?”
ইঙ্গিত করে হাসল জুহি। হুর লজ্জায় মাথা নামাল। প্রসঙ্গ বদলাতে বলল,”কখন এসেছ?”
“মাত্রই।”
বলে আরো একবার হুরকে জড়িয়ে ধরল জুহি। তারপর কয়েক মুহূর্ত কেটে গেল। তিথী এসে থেকে মেয়েটিকে ভালো মতন লক্ষ্য করছিল। এবার চ্যাঁচিয়ে ওঠল।
“পেয়েছি।”
ও এমন ভাবে বলল যে জুহি আর হুর দুজনেই ভরকাল। বোঝার প্রয়াসে তাকিয়ে রইল। দুষ্টু মেয়েটা এগিয়ে এসে হুরের গলার কিছুটা নিচে স্পর্শ করে বলল,”উফ, সেই। এত জোশ একটা লাভ বাইট। ভাইয়ার ভালোবাসা তো চিহ্ন’র মতন ফুটে ওঠেছে।”
জায়গাটা ঢাকার প্রয়াসে দ্রুত কামিজ টেনে ধরল হুর। এবার তিথীর সাথে যোগ হলো জুহিও।
“কই দেখি তো।”
ফর্সা ত্বকে চিহ্নটা কিছুটা গাঢ় ভাবেই বসে গিয়েছে। মেয়েটি কেমন অস্বস্তি অনুভব করল। এই দুষ্টু মেয়ে দুটো এসেই শুরু করেছে। না জানি তার পুরো দিনটা কতটা লজ্জায় কাটাতে হবে।
হুরের আশঙ্কা সত্য হলো না। আড়ালে দুজন দুষ্টুমি করলেও, সকলের মাঝে একদমই দুষ্টুমি করল না তারা। ওরা বরং সবার সাথে মিলেমিশে নাশতা করল। গল্প করল। এক সঙ্গে মুভিও দেখল। এক পর্যায়ে ঘড়ির কাটা পৌঁছাল এগারোটায়। এই সময়ে জাহিন তাকে কল করে থাকে। দুই মূর্তির থেকে সাময়িক বিদায় নিয়ে ঘরে পৌঁছাল ও। ফোন নিয়ে চলাফেরার অভ্যাস তার নেই। তাই বিছানার এক পাশেই ফোনটি পড়ে আছে। সমস্ত ঘরে সূর্যের আলো এসে ভরে গিয়েছে। বারান্দায় লাগানো ফুল গাছ গুলো থেকে মিষ্টি ঘ্রাণ নাকে এসে স্পর্শ করে যায়। কয়েক মুহূর্ত অপেক্ষার পর ই কাঙ্ক্ষিত কলটি আসে। গতরাতে ভীষণ পরিশ্রম গিয়েছে। তাই জাহিনের ঘুম ভেঙেছে মাত্রই। ও আদুরে গলায় ডাকে,”হুর?”
জবাবে মৃদু সুরে মেয়েটি বলে,”হুম।”
“খাবার খেয়েছ?”
“খেয়েছি।”
তারপর একটু স্থিরতা। মেয়েটি সময় নেয় কয়েক সেকেন্ড। মৃদু সুরে ঠোঁট নাড়িয়ে শুধায়,”আপনি খেয়েছেন?”
“উহু। মাত্রই ঘুম থেকে ওঠেছি।”
“এত বেলা করে। শরীর ঠিক আছে?”
শেষ বাক্যটি বলার সময় তীক্ষ্ণ একটি ভাঁজ সৃষ্টি হলো মেয়েটির ললাটে। ও চাতক পাখির মতন উত্তরের অপেক্ষায় চেয়ে রয়। সেই অপেক্ষা ভেঙে জাহিন বলে,”গতরাতে পুরোটাই জেগে ছিলাম। অনেক কাজ ছিল।”
এই মুহূর্তে মেয়েটি কি বলবে বুঝতে পারে না। ও মৌনয় ডুবে যায়। জাহিন পুনরায় বলে,”সব ঠিকঠাক যাচ্ছে তো?”
“হ্যাঁ।”
বলেই তিথী আর জুহির কথা স্মরণ হয়। ও আরো বলে,”সকালে তিথী আর জুহি এসেছ।”
“দুষ্টু মেয়ে দুটো এসেছে!?”
“স্কুল বন্ধ। সেই সুযোগে এসেছে।”
“তোমাকে তো তাহলে খুব জ্বালাবে।”
“না, না। ওরা তো জ্বালায় না। শুধু…..’
বলে একটু থামে হুর। আরশি বরাবর বসে থাকায় নিজের মুখশ্রীর দেখা মিলে। যা দেখে নিজেই লজ্জায় রাঙা হয়।
“শুধু কী? বললে না তো।”
“না মানে,…..’
শুকনো ঢোক গিলে মেয়েটি। গলাটা কেমন যেন শুকিয়ে এসেছে। স্বামীর সাথে একটা সাধারণ বিষয় শেয়ার করতে গিয়েও বুকের ভেতরটা কেমন ধীম ধীম করে। ও বুক ভরে সমীরণ টেনে নেয়। তারপর চোখ দুটো মুদিত করে। এক দমে বলে,”শুধু লাভবাইট নিয়ে বলেছিল। সেদিন, গলার কিছুটা নিচে যে চিহ্নটা হয়েছিল ওটা নিয়েই বলেছিল।”
এই মুহূর্তে পৃথিবীর সমস্ত লজ্জা যেন হুর’কে স্পর্শ করে গেল। স্বাভাবিক বৈবাহিক সম্পর্কে আছে তারা। তবু এই কথা গুলো বলতে গিয়ে ওর বুক কাঁপছিল। এত দূরে থেকেও জাহিন যেন ওর লজ্জায় রাঙা মুখ, কাঁপতে থাকা ঠোঁট, ভরকানো চোখের দৃষ্টি, সব যেন বুঝতে পারছিল। তাই তো, ঠোঁটের কোণে মসৃণ এক হাসির উদয় ঘটেছে। হুরের মনে হলো, যখন তখন মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাবে। তাই নিজেকে শীতল করে বলল,”আপনি তো নাশতা করেন নি। ওঠে নাশতা করে নিন।”
কয়েক সেকেন্ডের নীরবতা। মেয়েটি জবাবের অপেক্ষায়। ওপাশ থেকে জবাব না এলে, সে কল কাটতে পারবে না। তার তো সেই সাধ্য হবে না। এদিকে মানুষটা চুপ করে আছে। অসহ্য ভালো লাগায় বুদ হয়ে আছে হুরের সমস্ত মন। সে অপেক্ষা করতে পারছে না। তাই আবারো বলল,”রাখব এখন?”
শান্ত, মোহনীয় গলায় ওপাশের ব্যক্তিটি ও বলল,”রাখো।”
তারপর কল কেটে দিল মেয়েটি। জাহিন তখনো এক বুক সুখ নিয়ে বিছানায় বসে আছে। জানালায় থাকা সফেদ পর্দা ভেদ করে, এক চিলতে রোদ এসে তাকে স্পর্শ করে যাচ্ছে। ভালো লাগায়, শরীর মন দুটোই মোহগ্রস্ত। এই সুন্দর সময়টা আরো বেশি পরিপক্বতা পেত, যদি এই মুহূর্তে প্রিয়তমাকে স্বীয় বক্ষে টেনে নিতে পারত। তখন হয়তো, আর কোনো অপূর্ণতা থাকত না তার জীবনে। কিন্তু, হায় আপসোস। প্রিয়তমা যে তার থেকে বহুদূরে। এই দূরত্ব ভেদ করে, প্রিয় স্ত্রীকে কাছে টানতে পারছে না সে।
চলবে…
কলমে ~ #ফাতেমা_তুজ_নৌশি
#প্রিয়জন (১২)
খোলা আকাশের নিচে বসে আছে হুর আর জাহিন। বেশ কয়েকটা দিন দূরত্ব গিয়ে ওদের। তারপর একদিনের কাছে আসা। আজ আবারো দূরত্ব বাড়বে। সেই জন্যই কী না মানুষটার সাথে যতটা পারা যায় সময় কাটিয়ে নিচ্ছে মেয়েটি। তার পরনে হাল্কা নীল রঙের থ্রি পিস। ফর্সা শরীরে মনে হচ্ছে, আকাশ এসে আটকে পড়েছে। এক দৃষ্টিতে মেয়েটিকে দেখছিল জাহিন। তার প্রিয়তমা। তার স্ত্রী। এই শব্দটায় অন্যরকম জাদু আছে। আছে পবিত্রতা। আজ তারা এত কাছে বসে আছে। চাইলেই একে অপরকে স্পর্শ করতে পারছে। এতে পাপ নেই। এই পাপ নেই শব্দটির পেছনে রয়েছে তিন কবুলের শক্তি। জাহিন যখন এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। হুর তখন অন্যমনস্ক হয়ে পাশের গাছটিকে দেখছে। যেখানে একটি পাখির বাসা। অথচ কোনো পাখি নেই। নিশ্চয়ই তারা বেড়াতে বের হয়েছে। ঠিক তাদের মতন। আচ্ছা, পাখির ও কি সুন্দর একটা সংসার হয়। হয়তো হয়। হুর সেভাবে ভেবে দেখে নি। আজ ভাবতে ভালো লাগছে। হয়তো মানুষটা পাশে আছে বলেই ভাবতে ভালো লাগছে। এত সময় ধরে চেয়ে থেকে, থেকে জাহিনের ঘোর বৃদ্ধি পেল। ও কিঞ্চিৎ অগ্রসর হয়ে শক্ত হাত খানার দ্বারা প্রেয়সীকে আগলে নিল। সেই আগলে ধরা হাত কোমরের কাছটা ছুঁয়ে যেতেই মেয়েটির সমস্ত দেহ থরথর করে কেঁপে ওঠল। ত্বরান্বিত হয়ে চাইল সে। অস্বস্তি, ও ভালো লাগার মিশ্রণে গলা শুকিয়ে এসেছে। জাহিন আরেকটু অগ্রসর হলো। কখনো খোলা ময়দানে এতটা কাছাকাছি হয় নি তারা। সর্বদা আড়ালে আবডালেই তাদের ভালোবাসা গুলো বিরাজ করেছে। এদিকে মানুষ জনের আনাগোনা নেই বলেই, জাহিন আজ এতটা কাছাকাছি হয়েছে। হুর নিজেও বোধহয় মোহগ্রস্ত হয়ে পড়ল। জাহিনের গালের খোঁচা খোঁচা দাড়ি গলায় এসে সুরসুরি দিয়ে যায়। ও ছটফট করতে করতে মানুষটাকে জড়িয়ে ধরে। আর তারপর কখন যে দুজনের মাঝে একটি উষ্ণ চুম্বন ঘটে যায়, তা হয়তো ওরা কেউ ই বুঝে ওঠতে পারে নি। ঠোঁটের মিষ্টতা শেষে দুজনেই কেমন বিহ্বল বনে যায়। জাহিন ঈষৎ ব্যস্ত হয়। তার যেন কি হয়েছে। সারাক্ষণ মেয়েটাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। আদরে আটকে রাখতে ইচ্ছে করে। তাই এই খোলা ময়দানে নিজের ভালোবাসার প্রকাশ করে ফেলেছে সে। হুর একটু আ তঙ্ক বোধ করল। সেটি লক্ষ্য করে জাহিন বলল,”সরি, আমি আসলে বুঝতে পারি নি।”
মেয়েটি ভেতরে ভেতরে কাঁপছে। ভালো লাগায় একই সাথে য ন্ত্র ণা য় কাতর সে। এই যন্ত্র ণার নাম সুখ। প্রতিবার, মানুষটার ভালোবাসায় নুয়ে পড়ে ও।
তারপর অনেকটা সময় কেটে যায়। দুজন মৌন থাকে। তখন প্রায় সন্ধ্যা হতে চলেছে। জাহিনকেও ফিরতে হবে। ওরা ওঠে পড়ে। মেয়েটির ওড়না গিয়ে আটকায় কাঁটাযুক্ত একটি গাছে। সেটা খোলার প্রয়াসে হাত বাড়াতেই জাহিন আগলে ধরে।
“কী করছো! হাতে কাঁটা লাগবে তো।”
“কিন্তু….’
বলতে বলতেই জাহিন তার ওড়নার শেষ অংশটি ছিড়ে ফেলে। হুর ব্যথিত নয়নে চায়।
“এই পোশাকটা আপনার দেওয়া ছিল তো।”
মেয়েটার কথার মানে শুরুতেই বুঝে না সে। তাই চেয়ে রয়। কয়েক সেকেন্ড বাদে যখন বুঝতে পারে তখন বুক ভেদ করে তপ্ত একটি নিশ্বাস নামে।
“বোকার মতন বললে। এটা খুলে আনতে গেলে হাতে কাঁটা ফুটে যেত। তখন তো আরো ব্যথা পেতে।”
“তবু আপনার দেওয়া উপহার।”
এই মেয়েটি এত বেশি আদুরে। জাহিনের তো ইচ্ছে করে সারাক্ষণ বক্ষে মিশিয়ে রাখতে। ও হাত বাড়ায়। মেয়েটির কানের পাশ ঘেঁষে মাথায় স্পর্শ করে।
“কষ্ট পেও না। আমি তো আছি। আমার সব কিছু তোমার সাথে আছে। এটা তো সামান্য পোশাক।”
তবু কী মেয়েটির মন ভালো হয়? হয় না। জাহিন সেটা বুঝে। তবে ভেবে পায় না কী করলে মেয়েটির মন ভালো হবে। এদিকে একটু তাড়া ও আছে। মন খারাপ নিয়েই বাড়িতে পৌঁছায় ওরা। আগে থেকেই সব জিনিস পত্র গুছিয়ে নেওয়া আছে। হুর নেমে যায় গাড়ি থেকে। জাহিনের মনটাও খারাপ।
“সাবধানে থেকো।”
“আপনি সাবধানে যাবেন।”
“আচ্ছা।”
বলেই গাড়ি ঘুরিয়ে নেয় জাহিন। আর কিছু বলার সুযোগ পায় না হুর। একদিক থেকে ভালোই হলো। মানুষটা আরো কিছু সময় থাকলে, ও হয়তো কেঁদে ফেলত। আর সেই কান্নার ফলে যাওয়াই হতো না। তখন হয়তো আরো বেশি ঝামেলা পোহাতে হতো তাকে।
অন্যমনস্ক, অস্থিরতা, ফ্যাকাশে মুখশ্রী সমেত বাড়ির ভেতর প্রবেশ করল হুর। সে এতটাই অন্যমনস্ক ছিল যে, বসার ঘরে বসে থাকা মানুষটাকে নজরেই এল না। সে ওঠে চলে গেল দোতলার দিকে। তাহির এক দৃষ্টিতে মেয়েটাকে দেখল। সে খবর পেয়েছিল জাহিনের সাথে হুরের ই বিয়ে হয়েছে। ওর মুখশ্রী দেখে বিশেষ কিছু বোঝা গেল না। রুমা সহসাই ছেলের বাহুতে হাত রাখলেন।
“যা হবার তা হয়েছে বাবা। তুই আর মন খারাপ করিস না।”
“মন খারাপ করছি না মা। ভুল করে ফেলেছি।”
“বললাম তো। যা হবার হয়েছে। তুই ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।”
“আচ্ছা।”
বলেই ওঠে পড়ল তাহির। রুমা ছেলের দিকে তাকিয়ে কিছুটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেললেন। ছেলেটা আদরের। রাগ ছিল ঠিক ই। তবে, খুব বেশি কিছু বলতে পারেন নি।
চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে মাত্রই কক্ষে ফিরেছে হুর। তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিতে নিতে ও যখন আরশির দিকে আগাল, তখন বিছানায় বসে থাকা একটি পুরুষ দেহ নজরে এল। প্রথমে ভ্রু কুঁচকে গেলেও, ক্ষণবাদেই সমস্ত শরীর শিউরে ওঠল ওর। হাত থেকে তোয়ালে পড়ে গেল মেঝেতে। সেটা ওঠানোর প্রয়াস অবধি ও করল না। এক পা পিছিয়ে যেতেই পা ঠেকল, আরশির সাথে। ওর চমকানো দৃষ্টি তাহিরকে আনন্দ দিচ্ছে। তার ঠোঁটে মুচকি হাসি দেখা যাচ্ছে। এদিকে মেয়েটির দু চোখে ভয়, আতঙ্ক।
“কেমন আছ হুর?”
বিছানা থেকে ওঠে দাঁড়িয়ে কথাটা বলল তাহির। মেয়েটির হৃদয় ছটফট করে। ও কথা বলতে পারে না।
“রাগ করে আছ নাকি? কথা কেন বলছো না? একটা সময় তো কথা বলার জন্য পাগল হয়ে থাকতে।”
বলতে বলতে কাছে চলে আসে তাহির। হুরের কান্না পায়। তবে গলা দিয়ে কথা আসে না।
“শেষমেশ আমাদের বাড়িতেই বউ হয়ে এলে? তোমার আমার সম্পর্কের কথা জানে তো?”
এইবার মেয়েটির চোখ থেকে অশ্রু নেমে আসে। কেঁপে ওঠে ঠোঁট। তাহিরের ঠোঁটে বাঁকা হাসি।
“যখন সবটা জানবে, তখন তুমি কী করবে? বলো কী করবে?”
বলতে বলতে মেয়েটির গাল স্পর্শ করে তাহির। ভয়ে এবার দু চোখ ভেঙে জল নামে মেয়েটির। ও কথা বলতে পারে না। শুধু চেয়ে থাকে ভয়ার্ত দৃষ্টি নিয়ে।
চলবে….
কলমে ~ #ফাতেমা_তুজ_নৌশি