প্রিয়তম পর্ব-১১

0
164

#প্রিয়তম
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-১১

দুটো মাস কেটে গেলো। ইফাদ এখনো পর্যন্ত রিতুর সাথে একবারও যোগাযোগ করেনি। এমনিতে বাড়ির সবার সাথে ওর কথা হয়। রিতুর সামনেই তৌফরা কথা বলে। ইফাদ ভাইবোনদের আবদার, অভিযোগ সব শুনে। হাসে, বকাঝকাও করে। রিতু শুধু বসে বসে ওদের দেখে। ও অবাক হয়, যখন দেখে ইফাদ ওকে ছাড়া খুব খুশিই আছে। রিতুর তখন চোখ ছলছল করে ওঠে। কিন্তু কিছুই প্রকাশ করতে পারে না। স্যার তো ওকে ভুলেই গেছে। অথচ এই মানুষটার জন্যই বাবুল মিয়া ওর সাথে রাগ। ইশিতা এখনো ওকে ফোন করে ঝাড়ে। খোঁচা মেরে এটাও বলে, সুন্দর চামড়ার মেয়েমানুষ ছেড়ে অ’হমি’কায় ভরা ওকে মিস করতে ইফাদের বয়েই গেছে। রিতুর মস্তিষ্কে এই কথাগুলোর প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়ে। মনে তখন আজেবাজে নানান চিন্তা ভর করে। সেই দেশে সাদা চামড়ার সুন্দরী নারীদের বসবাস। ইফাদের আশেপাশেও সারাদিন এরাই ঘোরাফেরা করে। পুরুষ মানুষের মন ঘুরে যেতে কতক্ষণ? হয়তো ইফাদ রিতুর থেকে অবহেলা পেয়ে পেয়ে এতটাই বদলে গেছে যে এখন আর ওকে মনেই পড়ে না। নয়তো যে মানুষটা ওকে নিয়ে এতটাই সিরিয়াস ছিলো, যে মানুষটা খুব তুচ্ছ তুচ্ছ কারণে ওর জন্য জ্বর বাঁধিয়ে ফেলতো, সেই একই মানুষটা এতদিনেও কেন একবার খোঁজ নেয়নি ওর? রিতু ভেবে পায় না। খালি ঘরটার দিকে তাকালে কষ্টে বুক ফেটে যায় ওর। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে পাশ ফিরতেই শূন্য বিছানায় অংক স্যারকে দেখতে না পেয়ে ওর হু হু করে কান্না পায়। চোখের জল মুছে মুছে এভাবেই কাটছিলো রিতুর দিনকাল।

.

বাড়িতে ইফাদের বড়বোন ইফতির বিয়ের গুঞ্জন ওঠেছে। পাত্র আশফি, ইফতির প্রেমিক। দু’জনে সহপাঠী ছিলো। পাঁচ বছরের প্রেম ওদের। বছর দেড়েক আগে আশফি কানাডা যাওয়ার আগে শুধু আকদটা করে গেছিলো। এবার শুধু উঠিয়ে নেওয়ার পালা বাকি। এ নিয়েই বাড়িতে একটা হুল্লোড় ভাব। দু-পরিবারের সদস্যরা মিলে সবকিছু ঠিকঠাক করছে। দু’পক্ষের মানুষগুলোর মধ্যে বাড়াবাড়ি কিছু নেই।
রিতু বসার ঘর থেকে ফিরে বারান্দার বেতের চেয়ারটাতে মন খারাপ করে বসে বৃষ্টি দেখছিলো। বাইরে ঝড়ো হাওয়ার সাথে ব’জ্রসহ বৃষ্টি। অনেকক্ষণ এভাবে বসে থাকার পর দরজার বাইরে থেকে নাবিলার গলা শোনা গেলো। রিতু খুলতেই হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকলো নাবিলা আর রুফি। জিজ্ঞাসু কন্ঠে ওরা বলল,
— ওখান থেকে চলে এলে কেন ভাবি?
— কিছু না। এমনি…
নাবিলা বিস্ময় নিয়ে বলল,
— এমা! তোমার চোখমুখ এমন ভার দেখাচ্ছে কেন? কাঁদছিলে নাকি?
রিতু থতমত খেয়ে বলল,
— না না। তুমি কিছু বলবে?
— ওহ হ্যাঁ। ইফতি আপুর তো বিয়ের দিনক্ষণ পাকা
বিয়ে গেছে। ভাইয়া আসতেছে সামনের সপ্তাহে।
রিতু বুঝতে না পেরে প্রশ্ন করলো,
— কে?
— আরে আশফি ভাইয়া। আমাদের দুলাভাই আর
ইফতি আপুর বর। যাইহোক, বাড়িতে অবশেষে একটা ধুমধাম বিয়ে লাগবে। তোমাদের বিয়েতে তো সেরকম কোনো আয়োজনই হয়নি।
মন খারাপ করে বললো নাবিলা। রুফি উৎসুকভাব নিয়ে বলল,
— আমাদের কিন্তু এখনি বিয়ের প্ল্যান শুরু করতে হবে। দুলাভাইয়ের পনেরো দিনের ছুটি। বিয়ে করেই ওনি আবার গো ব্যাক টু কানাডা…
বলে রুফি, নাবিলা পরিকল্পনাগুলো করতে বসলো ওকে সঙ্গে নিয়ে। এরমধ্যে তৌফরাও যোগ দিলো আড্ডায়। বিয়েতে ওরা কি কি করবে তার লম্বা ফিরিস্তি দিলো, প্ল্যান করলো। কে কোন রঙের লেহেঙ্গা-শাড়ি, পাঞ্জাবি পরবে, কে বরের জুতো লুকিয়ে টাকা আদায় করবে এসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা চললো। রিতুর
সব বসে বসে শুনছিলো। অন্যমনস্ক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
— ইফতি আপুর বিয়েতে ওনি আসবেনা?
সবাই একসাথে ওর দিকে তাকালো। এরপর নিজেদের মধ্যে চাওয়াচাওয়ি করলো। রিতু থতমত খেলো। এরপর বলল,
— মানে ওনার বোনেরই তো বিয়ে। একটা বোন৷
আসবে না?
তৌফ উচ্চস্বরে হেসে বলল,
— গেলো তো সবেমাত্র। এখনি আসবে না। ভিডিয়ো কলে এ্যাটেন্ড করে নেবে। আজকাল ভার্চুয়ালি সব হচ্ছে…

রিতু আরকিছু জিজ্ঞেস করলো না। একেবারে লাপাত্তা হয়ে গেলো অংক স্যার? এমন ছিলো মানুষটা? কস্মিনকালেও রিতু এসব ভাবেনি। চোখদুটো ভিজে ওঠলো ওর। ওড়নার কোণা দিয়ে সন্তপর্ণে চোখটা মুছে ফেললো রিতু।

দেখতে দেখতে ইফতির গায়ে হলুদের দিন চলে এলো।
বাড়িতে সামনের খোলা জায়গায় হলুদের আয়োজন করা হচ্ছে। আত্মীয়-স্বজনে বাড়ি ভরা। ইশিতা আর ওর স্বামীও এসেছে। বাবুল মিয়া ইফাদের বাবার পাশে পাশেই রয়েছেন সর্বক্ষণ। তিনি তো একমণ মিষ্টান্ন, পান-সুপারি থেকে শুরু করে দেশি তাঁতের শাড়ি, মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনসপত্র পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে এসে বাড়ির সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বউয়ের বাপের মন বড় বলে বলে সকলেই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রিতু বাবার কান্ডে ভীষণ হতবাক হয়েছে। তার বাবার আয়-রোজগার বেশি নয়। এরমধ্যে এতকিছুর আয়োজন কীভাবে করলো তা ওর মাথায় আসলো না। এমন নয়তো যে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বলেই এতকিছু নিয়ে এসেছে? হয়তো চাপে পড়ে? রিতু খানিকটা চিন্তিত হলো। শ্বশুরবাড়ির লোকদের সে চেনে, তারা মোটেও এমন নিচু মানসিকতার নয়। কিন্তু বাবা আসলেই কেন এরকম কাজ করলো? কৌতূহলী মন নিয়ে একফাঁকে বাবাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই বাবুল মিয়া ওকে জানালেন, তিনি এখন একা মানুষ। মেয়েরা তো বরের বাড়িতে থাকে। সেরকম খরচটরচের ব্যাপার নেই। যতটুকু রোজগার করেন তা দিয়েই মিলিয়ে ঝিলিয়ে এতটুকু ব্যবস্থা করেছেন৷ তাছাড়া সবকিছু তার পরিচিতি বন্ধুদের ওখান থেকে এনেছেন। সেক্ষেত্রে টাকাপয়সার ততোটা অসুবিধাও হয়নি। রিতু বাবার কথা শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। তার বাবার আয় কম হলেও ভীষণ দিলখোলা মানুষ। অবশ্য ওর বরটাও কম নয়। রিতু সবকিছুতেই অংক স্যারকে ভীষণ মিস করতে লাগলো।

সন্ধ্যা নামতেই নাজিয়া ইসলাম সবাইকে তাড়া দিলেন। বাড়ির সব মেয়েরা সাজগোজে মত্ত হলো। পার্লার থেকে বউ সাজানোর মানুষ এলো। নাবিলা, রুফিরা এলো রিতুর কাছে শাড়ি নিতে। রিতু ড্রয়ার খুলে দু’জনকে তাদের পছন্দমতো শাড়ি বেছে নিতে সাহায্য করলো। এরপর নিজের জন্য শাড়ি বাছাই করতে গিয়ে পাশের অন্য একটা ড্রয়ারে দেখলো বেশকিছু শাড়ি। যেগুলো ইফাদ ওকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলো বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন উপলক্ষ্যে। রিতু উপহার গ্রহণ করলেও সেগুলো নিয়ে বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখাতো না, কখনো পরতো ও না। ইফাদও ওকে জোর করেনি কখনো। রিতুর মন খারাপ হবে গেলো। কতটা অবজ্ঞা-অবহেলা করতো সে সবকিছুতে! ইফাদ হয়তো ভালোবেসে এনেছিলো ওর জন্য। হয়তো আশাও করেছিলো রিতু শাড়িগুলো পরবে। কিন্তু তার কিছুই রিতু করেনি। কতক্ষণ অপরাধবোধে ভোগার পর শাড়ির স্তূপ থেকে কলাপাতা রঙের একটি জামদানী শাড়ি বের করলো। পাড়টাতে গাঢ় সবুজ সুতোর ফুলেল কাজ করা। দেখতে ভীষণ সুন্দর। পার্লার থেকে আসা সাজানোর মেয়েগুলো ইফতিকে সাজিয়ে এরপর ওকেও শাড়ি পরিয়ে, সাজিয়ে দিলো সুন্দর করে। খোঁপায় গুঁজে দিলো লাল গোলাপ। রিতু নিজেকে আয়নার দেখে অভিভূত হয়ে গেলো। নাবিলা, রুফিরা ওর প্রশংসা করতে লাগলো। ইশিতা শুধু মুখ ভেংচালো।

ইফতিকেও দেখতে আজ ভীষণ সুন্দর লাগছে।
হলুদাভ লাল রঙের শাড়ি, কাঁচা ফুলের গয়না। স্টেজে বসে হাসিমুখে পোজ দিচ্ছে, আনন্দ করছে। বিয়ের ক্নে সে। ওর সুখী মুখখানি দেখতে রিতুর ভীষণ ভালো লাগছে। নিজের পছন্দের ব্যক্তিটাকে নিজের করে পাচ্ছে। এরচেয়ে সৌভাগ্যের আর কি হতে পারে?
আর ওকে দেখো, বাবা যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলো। বিয়ের দিন একপ্রকার
রা’গ, জে’দ, ক্ষো’ভ নিয়ে ইফাদের নামে কবুল বলেছিলো সে। ঠিক করেছিলো লোকটাকে সে কখনো শান্তি দেবে না৷ এই চাপা ক্ষো’ভ থেকে মানুষটার সব আদর, যত্ন, ভালোবাসাকে সবসময় অবজ্ঞা করেছে, মেকি ভেবেছে। অথচ সময় ঘুরতেই এই ইফাদের জন্যই রিতু এখন সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। গুমোট মস্তিষ্কে এসবই ভাবছিলো রিতু। হঠাৎ তৌফর গলা শুনে ওর ঘোর কাটলো। ও তাকাতেই দেখলো তৌফ আর অমি ওর দিকে ফোন তাক করে নিজেদের মধ্যে গুঁজুরগুজুর, ফুসুরফুসুর করছে। ওকে দেখেই দু’জনে থতমত খেয়ে গেলো। অপ্রস্তুত গলায় বলল,
— ছবি তুলছিলাম সবার…
এটুকু বলতেই হঠাৎ শব্দ করে বেজে ওঠলো তৌফর ফোন। রিতু স্পষ্ট দেখতে পেলো ইফাদ কল করেছে।
ও ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই অমি, তৌফ বোকা হাসলো।
সটকে পড়তে যাবে তখনই রিতু আটকালো। অনুরোধের সুরে বলল,
— ফোনটা আমি রিসিভ করি?
তৌফ ওকে মানা করতে পারলো না। ফোনটা রিতুর হাতে দিয়ে পগারপার হলো দু’জনে। এরজন্য পরে ইফাদের কাছ থেকে নিশ্চয় ঝাড়া খাবে। এদিকে
রিতু কল রিসিভ করে চুপ করে রইলো। ওপাশ থেকে শোনা গেল,
— ভিডিয়ো কল দিচ্ছি, ধর। তোর ভাবির থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখবি, যাতে ও কিছু বুঝতে না পারে।
কতদিন পর রিতু ইফাদের গলা শুনতে পেলো!
রিতুর বুক কেঁপে ওঠলো, অশ্রুতে ভিজে ওঠলো
চোখ। শব্দ না করেই ফোন কেটে দিলো ও। ওপাশ থেকে কিছু সময়ের মধ্যেই এবার এলো ভিডিয়ো কল। রিতু নিজেকে ধাতস্থ করে নিরিবিলি জায়গাতে চলে গেলো। এরপর ধীরেসুস্থে কলটা রিসিভ করলো।
স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে ইফাদের উৎকন্ঠিত চেহারা। রিতু কাঁপা স্বরে প্রথমেই বলল,
— কেমন আছেন স্যার?
বো’মা ফাটলেও বোধহয় ইফাদ এত অবাক হতো
না যতটা না আর রিতুকে দেখে হয়েছে। ওর দেওয়া কলাপাতা রঙের শাড়ি, খোঁপায় গোলাপ। অনিন্দ্য সুন্দরী এই রমনীকে দেখে ফোনের ওপাশে দেখে ওর হৃদযন্ত্রটা কাঁপতে লাগলো, মাথা যাওয়ার যোগাড় হলো। নিজের চোখ ঢলে নিয়ে পরক্ষণেই ধমকে
ওঠল,
— তৌফ! তোর ভাবির মুখের সামনে ফোন ধরেছিস কেন? ফোন সরা…
রিতু নিচু স্বরে বলল,
— ওরা কেউ নেই এখানে…
— তুমি কে? রিতু?
— আপনি আমাকে ভুলে গেছেন স্যার?
রিতু অবাক হলো। কিন্তু ওর গলার স্বরে কিছু একটা
ছিলো, যেটা শুনে ইফাদ নিজেকে ঝটপট নিজেকে সামলে নিলো। এরপর ধমকের সুরে বলল,
— তুমি অন্যের ফোন ধরেছো কেন? সামান্য ম্যানার্স জানা নেই তোমার?
রিতু হতভম্ব হলো,
— আপনি আমাকে বকছেন?
ইফাদ কাঠ গলায় বলল,
— ফোনটা যার, তার কাছে ফেরত দাও। তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নই আমি।
ইফাদ বললো বেশ কঠিন গলায়। রিতু হতবাক হয়ে গেলো। অংক স্যার ওর সাথে কথা বলতে চায় না? সত্যিই না? এ কোন ইফাদকে দেখছে সে? এই লোক লন্ডনে গিয়ে কেন এত বদলে গেলো? বিদেশ-বিভুঁই কি মানুষকে এভাবে পাল্টে দেয়? রিতু এবার আর সামলাতে পারলো না নিজেকে। কেঁদে ফেললো,
— আমার সাথে কেন এতদিনেও একবার যোগাযোগ করলেন না? আপনি আমাকে কীভাবে ভুলে গেলেন স্যার? কেন এরকম করছেন আপনি?
ইফাদ দ্রুত কাজের বাহানা দিয়ে বলল,
— আমি খুব ব্যস্ত…
রিতু কেঁদে কেঁদে বলল,
— সবার সাথেই তো কথা বলেন, আমার বেলায়ই আপনি ব্যস্ত?
ইফাদ রা’গা’ন্বি’ত হলো,
— অফকোর্স। জনে জনে কথা বলে সময় নষ্ট করার জন্য আমি এখানে আসিনি। রাখছি ফোন…
রিতু ঝটপট করে বলল,
— আমি সরি, সত্যিই সরি।
ইফাদ অবাক হওয়ার ভান করে বলল,
–সরি? কেন?
রিতু কাঁপা গলায় বলল,
–আমি আপনার সাথে যা করেছি তার কিছুই ঠিক করিনি। আমার জন্য আপনি ইফতি আপুর বিয়েতেও আসেন নি। এজন্য সরি।
ইফাদ গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলল,
— ওহ! ওকে…
রিতু ব্যাকুল কন্ঠে বলল,
— আপনি ফিরে আসুন স্যার। সবাই আপনাকে খুব
মিস করে। চলে আসুন প্লিজ…
কথার মাঝেই ইফাদ ঝট করে ফোন কেটে দিলো৷
ওর অদ্ভুত ব্যবহারে রিতু কাঁদতেও ভুলে গেলো।
স্যার এমন নিষ্ঠুর আচরণ করতে পারলো ওর সাথে?

______

চলবে…