#প্রিয়তে_তুমি_প্রাণ💜
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৪
বিবাহিত হবার পরেও গতরাতে একা ঘুমানোর ব্যাপারটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না প্রান্তিক চৌধুরী! তবু ভালো ঘুম হলো তার। একবার ঘুমালে ভালো না হয়ে যায় কোথায়। চোখ মেলে বিছানার পাশে তাকাল। খালি জায়গায়টা বড় খা খা করছে। এর্লাম ঘড়ি সেই কখন থেকে ভীষন জ্বালাতন করছে তাকে। উঠে বসল সে। বিরবির করে বলল, “এখনো শুয়ে আছি কেন? আমার উচিত এখন গিয়ে বউ কে জ্বা‘লানো! বউ কই আমার?”
বিছানা ছেড়ে নেমে বউ বলে চেঁচিয়ে উঠলো সে। পুরো চৌধুরী বাড়ি জেনে গেল প্রান্তিক চৌধুরী ঘুম থেকে উঠে গেছে। হম্ভিতম্ভি করে ঘরের সামনে এসে দেখল দরজা খোলা। ‘বউ‘ বলে চেঁচিয়ে ঘরে ঢুকল সে। আবার বেরিয়ে বলল, বউ তো ঘরে নেই!
এবার বউ বলে ডাকতে ডাকতে নিচে নেমে এলো। সকলে হা হয়ে দেখছে প্রান্তিককে। রান্নাঘর থেকে প্রিয়তা অবধি শুনতে পেলো তার ডাক। তার বর মশাইয়ের ঘুম তবে ভেঙেছে।
প্রান্তিক চৌধুরী রান্নাঘরে প্রবেশ করল। তার বউ টিয়া রঙের শাড়ি পরে ময়দা মাখছে। প্রান্তিক চৌধুরী তাকে দেখতেই দেওয়ালের সাথে ঠেসে দাঁড়িয়ে বলল, হায় হায় ! বউ দেখি আজ আমার টিয়া পাখি হয়ে গেছে!
প্রিয়তা চমকে পিছনে তাকাল। রান্নাঘরে কেবল সেই তো নেই। আর অনেকে। প্রান্তিক চৌধুরী ইশারা দিতেই সকলে বেরিয়ে গেল। প্রিয়তা বিস্মিত! তবে বেশিক্ষণ রইল না। প্রান্তিক চৌধুরী তার কাছে এসে বলল,
– কি করছ বউ?
– দেখতেই তো পারছেন!
– বউ, কাল তোমাকে ডাকা‘ত মনে হয়েছিলো আজ টিয়া পাখি মনে হচ্ছে। এখন একটা খাঁচা কিনে এনে টিয়া পাখিকে পোষ মানাই তবে!
– এতো সহজ!
প্রান্তিক চৌধুরী এবার তার কাছ ঘেঁসে দাঁড়াল। তার ঘুম ঘুম মুখ, এলোমেলো চোখ। দেখেই মনে হচ্ছে ঘুম থেকে উঠে সোজা এখানে চলে এসেছে। আড়চোখে ফিরে বলল, – বউ! তুমি আমার মনের খাঁচায় এসো তো দেখো, নিজেই ফিরতে চাইবে না।
প্রিয়তা মুচকি হাসল। বলে উঠলো, সবার মতো মনে করবেন না। আপনার মনের খাঁচায় সবাই ধরা দিলেও আমি দিচ্ছি না।
প্রান্তিকের চোখ মুখ কালো হয়ে গেল। শুকনো গলায় বলল, – তুমি যেমন ভাবছো তেমন কিছু না!
– হ্যাঁ হ্যাঁ আপনি তো তেমন মানুষই না। মেয়েদের সাথে তো কথাই বলেন। শুধু তাদের দেখলে জড়িয়ে ধরে চু‘মু খেতে চান।
– সবাই না শুধু আমার বউ কে!
বলেই তাকে জড়িয়ে ধরতে এগিয়ে গেল। প্রিয়তার ধমকের সুরে বলল, একদম না!
প্রান্তিক হালকা কেশে বলল, “তুমি আমায় ভুল বুঝছো!
– তাই নাকি! তো বিয়ের দিন আপনার কোন বন্ধু এক্সি‘ডেন্ট করেছিল? সত্যিই বন্ধু তো!
– তুমি আমায় সন্দেহ করছো বউ? ও সত্যিই আমার বন্ধু।
– আচ্ছা একদিন দেখিয়েন তাকে।
– দেখাবো।
– মেয়ে বন্ধু না হলেই হলো।
প্রান্তিক হালকা কেশে বলল, না না ছেলে বন্ধুই! আমার কোনো মেয়ে বন্ধু নেই!
প্রিয়তা ভ্রু কুঁচকে তাকাল। প্রান্তিক চোখের ইশারায় তাকে আশ্বাস দিচ্ছে। প্রিয়তা বোধহয় বিশ্বাস করল না। মুখ ভেংচি কেটে আবারো কাজে মনোযোগ দিল। প্রান্তিক চৌধুরী দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার বউ কে দেখছে। দেখছে খুব মনোযোগ দিয়ে। না! দাদাজানের বয়স হলেও চোখের তেজ ভালো। খাঁটি সোনাই এনেছে তাঁর জন্য। পিউর গোল্ড।
দৃষ্টি গেল তার নন্দিত কোমরের দিকে। শাড়ির ফাঁক দিয়ে ফর্সা কোমরের একাংশ দেখা যাচ্ছে।প্রান্তিক ঠোঁট কামড় ধরল। বাঁকা চাহনিতে চোখ ফিরাল এদিকে। বউ তার নরম হাত ময়দা মাখছে। প্রিয়তা বরকে দেখছে আড়চোখে। এই লোকের এমন নিরবতা তাকে ভ‘য় দেখাচ্ছে। প্রান্তিক চৌধুরী নরম গলায় বলে উঠলো,
– এতো নরম হাতে ময়দা মাখে নেই!
প্রিয়তা হেসে শুধায়,
– চড় চেয়েছেন কখনো!
প্রান্তিক মলিন মুখে বলে উঠলো,
– এতো ত্যাড়া ত্যাড়া কথা কেন বলো বউ। তবে বউ তুমি কিন্তু ময়দা ভালোই মেখেছে। একদম সফট্ সফট্! ঠিক তোমার….
মাথা ঘুরিয়ে তার কোমরের দিকে ফিরল। প্রিয়তা হতভম্ব সামনের গ্লাসের পানি ছুড়ি মারল প্রান্তিকের দিকে। প্রান্তিক ঘাবড়ে উঠল। হকচকিয়ে ফিরে তাকাল প্রিয়তার দিকে। প্রিয়তার তার মুখের উপর বলল, ছিঃ! অসভ্য!
শাড়ির আঁচল ছেড়ে চলে গেল ওদিকে। প্রান্তিক চৌধুরী মুখের পানি ঝেড়ে আবারো পিছু নিল বউয়ের। প্রিয়তা তখন গরম করাইয়ে ডিম ভাজছে। প্রান্তিক চৌধুরী পাশে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে উঠল। হাতের আঙ্গুল তুলে বলল,- কাজটা তুমি ঠিক করলে না বউ!
প্রিয়তা গ‘রম খু‘ন্তি তৎক্ষণাৎ তার হাতে লাগিয়ে দিল।প্রান্তিক চৌধুরী লাফিয়ে উঠলো। চোখ মুখ গরম করে তাকাল এদিকে। প্রিয়তার খু‘ন্তি হাতে শাসাতা লাগাল,
– এরপর আমার সাথে চেঁচিয়ে কথা বললে এই খুন্তি একদম মুখে লাগিয়ে। এই যে ঠোঁটের কাছে।
প্রান্তিক চৌধুরী হাত দিয়ে ঠোঁট চেপে বলল, – তোমার এতো সুন্দর ঠোঁট থাকতে ওসব কেউ ঠোঁটে লাগায় নাকি!
প্রিয়তা চোখ গরম করে বলল,
– কি বললেন? লাগিয়ে দেবো?
প্রান্তিক ঠোঁট কামড়ে বলল,
– কি? তোমার ঠোঁট!
প্রিয়তা নাক ফুলিয়ে খুন্তি দেখিয়ে বলল,
– না এটা! খুব শখ দেখছি আপনার। দেই একটু লাগিয়ে।
প্রান্তিক চৌধুরী দুই পা পিছিয়ে বলল, না না! চলে যাচ্ছি আমি!
– বের হন! এক্ষুনি
– টিয়া পাখি বললে কি হবে? বউ আমার এখনো ডা‘কাত ই আছে।
– কি বললেন!
– কিছু না!
ছুটে পালাল প্রান্তিক চৌধুরী। একমনে বলতে লাগলো, – বাপরে! সত্যি সত্যি বউ আমার একটা ডাকা‘ত!
———-
প্রিয়তা রান্নাঘর ছেড়ে এসে দাঁড়ালো বসার ঘরে। দোতলায় দেখল মেয়ে গুলো আজও লাইন ধরে তার বরের ঘরে যাচ্ছে। প্রিয়তা এখান থেকেই দৃঢ় গলায় বলল, “থামো!”
থেমে গেল সকলে। মুখ ফিরে এদিক তাকাল। কোমরের গুঁজে রাখা শাড়ির আঁচল টুকু ছেড়ে দিল। খোঁপা বাঁধা চুলগুলো আপনাআপনি ছেড়ে গেল। সিড়ি বেয়ে উঠছে প্রিয়তা। বাঁকা চাহনিতে মেয়েগুলোকে দেখল। একেকজনের হাতে শার্ট, সুট, টাই। এদের কাজ হচ্ছে এগুলো ইস্ত্রি করে স্যারের কাছে নিয়ে যাওয়া। তবে নিয়ে যাওয়াই বরাদ্দ নয়। গতকালই প্রিয়তা বাকিটা জেনে গেছে। দৃঢ় স্বরে বলল, “এগুলো স্যারের ঘরে রেখে চলে আসবে!”
সামনের মেয়েটা শুধালো, জ্বি ম্যাম?
– বললাম এগুলো রেখে চলে আসবে।
– কিন্তু স্যারের তো হেল্পের দরকার হয়।
প্রিয়তা মুচকি হেসে বলল, – সেজন্য তো আমি চলে এসেছি। ও কাজ এখন তোমাদের না। যা বলেছি তাই করো। আর স্যারের এতো হেল্প করার ইচ্ছে থাকলে নিচে রান্না ঘরে চলে যাও। দেখবে, ফ্রিজের পিছনে খুব ময়লা জমে আছে। ওটা পরিষ্কার করো। আর বাকিদের কাজ টা আমি পরে বলে দিচ্ছি! ঠিক আছে! যাও যাও!
প্রিয়তার কথা শুনে মেয়েগুলোর মুখে আধার নেমে এলো। কিন্তু এবার মুখের উপর কিছু বললে যে চাকরি থাকবে না এটা এখন বুঝে গেছে। ম্যাম স্যারের সাথে যা করছে এরপর মেয়েগুলো আর কথা বাড়াল না।
প্রান্তিক চৌধুরী বসে আছে চেয়ারের উপর। একটু আগেই গোসল সেরে বেরিয়েছে। পাশেই একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে তার চুল শুকিয়ে দিচ্ছে। প্রান্তিকের হাতে ফোন।সে ফোনে মগ্ন অথচ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে নতুন বউয়ের কথা। কিভাবে বউকে ব‘শে আনা যায়। তাকে রেখে অফিসে যেতে বিন্দু মাত্র ইচ্ছা করছে না তার। দেখল মেয়েগুলো একের পর এক ঢুকছে। বিছানার উপর তার শার্ট আর সুট রেখে বেরিয়ে গেল তারা। ভ্রু কুঁচকে ফেলল সে। দরজায় নজর পড়তেই দেখল তার বউ দাড়িয়ে। প্রান্তিক চমকে উঠল। তার ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি। টিয়া রঙের শাড়িতে তার বউকে টিয়া পাখির মতো লাগছে।
প্রান্তিক উঠে দাঁড়ালো। মৃদু হেসে বলল, “তুমি এখানে”?
প্রিয়তা পিছনের মেয়েটাকে আড়চোখে দেখল। মেয়েটি বেরিয়ে গেল। প্রিয়তা এসে দাঁড়ালো বরের সামনে। বলল,
– নিন, তৈরি হয়ে নিন।
– কেন? তুমি তৈরি করে দিবে না।
– আপনি বাচ্চা না। সুট রাখা আছে পরে নিন।
প্রান্তিক চৌধুরী দুই হাত পকেটে গুঁজে তার বউয়ের দিকে ঝুঁকে গেল। ফিসফিসিয়ে বলল,
– না তুমিই পরিয়ে দিবে। নাহলে আমি ওদের ডেকে নিচ্ছি!
প্রিয়তা চোখ ঘুরিয়ে তাকাল। প্রান্তিক তাকিয়ে আছে চোখ মিলিয়ে। চোখে চোখে বিরাট যু‘দ্ধ। প্রান্তিক চৌধুরী ঠিক বুঝেছি তার বউ তাকে কাছে আসতে না দিলেও অন্য মেয়ের সাথে তাকে সহ্য করতে পারছে না এক দন্ড! ভালোবাসা তো আলবাদ আছে। তার বউ তাকে ভালোবেসে। আছে শুধু অভিমান করে। এই অভিমান তাকে ভাঙাতে হবে।
প্রিয়তা গম্ভীর মুখে বিছানা কাছে গেল। সুট তুলে নিল। প্রান্তিক বলে উঠলো,
– না না! ওই শার্ট নাও। এটা পরব না।
প্রিয়তা সাদা রঙের শার্ট হাতে নিয়ে এগিয়ে আসে। দেখল প্রান্তিক খা‘ড়ার মতো দাঁড়িয়ে আছে।
– দাঁড়িয়ে আছেন কেন?
– খুলে দাও এটা!
– আমি! কেন? আপনি খুলতে পারেন না।
– না পারলে বলো? আমি ওদের ডাকছি।
– কেন? আপনার কি হাত ব্যাথা করে?
প্রান্তিক প্রিয়তার হাতখানি ধরে বুকের বাঁ পাশে রেখে বলল,
– না, এখানে ব্যাথা করে!
হাত সরিয়ে নিল প্রিয়তা। প্রান্তিক চৌধুরী হেসে উঠলো। পরনে তার কালো রঙের শার্টের বোতাম খুলছে প্রিয়তা। প্রান্তিক চৌধুরী তীক্ষ্ন নজর তার উপর। প্রিয়তা একটু বাদে বাদে চুল তুলে তাকে দেখছে। মিনমিন করে হাসছে প্রান্তিক। ওদিকে দরজার আড়ালে মেয়েগুলো এই দৃশ্য দেখে জিহ্ব কামড়ে বিদায় নিল।প্রান্তিক অপেক্ষা করছে। শার্টের বোতাম খোলা হলে প্রান্তিক চৌধুরী শার্ট খুলে বিছানায় ছুড়ে মারল। প্রিয়তা আড়চোখে দেখছে তার বলিষ্ঠ দেহখান। গলার কাছে রগ গুলো ফুলে উঠছে একটু বাদে বাদে।এই সুঠাম দেহ এড়িয়ে যেতে পারছে না সে। তবুও মনস্থির করে নিল। যেই একটু পিছিয়ে যাবে অমনি সুযোগ বুঝে প্রান্তিক চৌধুরী তাকে ঝাপ্টে ধরল।
পাথরের ন্যায় শক্ত হয়ে দাঁড়াল প্রিয়তার। তার হাতের মুঠোয় প্রান্তিকের সাদা শার্ট। পিছন থেকে সে জড়িয়ে শক্ত করে। তার উষ্ণ অধরের ছোঁয়া পড়ছে প্রিয়তার ঘাড়ের কাছে। পুরো দেহ শিরশির করে উঠলো। কানের কাছে প্রান্তিক চৌধুরী ফিসফিসিয়ে বলে উঠলো,
– বউ!
কেঁপে উঠল প্রিয়তা। চোখ বন্ধ করে নিল দ্রুত। প্রান্তিক চৌধুরী বলতে শুরু করল,
– ইউ নো, ইউ আর দ্যা মোস্ট বিউটিফুল লেডি ইন দা ওর্য়াল্ড! তোমায় দেখার পর থেকে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথার মধ্যে ঘূর্ণিঝ‘ড়ের মতো তুমি ঘুরপাক খাচ্ছো। বউ বউ করে চেঁচিয়ে বেড়াচ্ছে। অ্যান্ডারস্ট্যান্ড সুইটহার্ট!
প্রিয়তা সামলে উঠল। ধমকের সুরে বলল,
– ছাড়ুন আমায়!
প্রান্তিক চৌধুরী আরো শক্ত পোক্ত করে জড়িয়ে ধরল তাকে। হেসে বলল, – ধরে তো নিই।নাও পারলে ছেড়ে যাও।
প্রিয়তা এদিক ফিরল। মুখোমুখি দুজন। তার হাতদুটো উদাম বুকের উপর।এবার অস্বস্তি হচ্ছে খুব। পর্দা ভেদ করে ঠান্ডা বাতাস ঢুকল ঘরের মধ্যে। প্রান্তিক বলে উঠলো,
– বাসর করার জন্য পারফেক্ট ওয়েদার! কি বলো?
চোখ টিপ মারল সে। প্রিয়তা হেসে বলল,
– কা‘মড় খেয়েছেন কখনো?
– কামড়াকাম‘ড়ি করবে এখন!
প্রিয়তা হেসে তার গলার কাছে কাম‘ড় বসাল। প্রান্তিক ঠোঁট কাম‘ড়ে সহ্য করে নিল। অথচ প্রিয়তা কে ছাড়ল না। প্রিয়তা তার মুখের দিকে তাকিয়ে নিভিয়ে গেল। প্রান্তিক চৌধুরী হেসে বলল,
– এবার আমি একটা খাই!
প্রিয়তা অস্ফুট স্বরে বলল, না!
প্রান্তিক চৌধুরী এগিয়ে আসছে। প্রিয়তা জোরে বলে উঠলো, – দাদাজান ডাকছে!
– কি!
বাঁধন আগলা হতেই প্রিয়তা ছুটে পালাল। নাকি প্রান্তিক চৌধুরী পালাতে দিল। সে বেরিয়ে যেতেই প্রান্তিক ঘর কাঁপিয়ে হাসতে লাগল!
#চলবে