#প্রিয়তে_তুমি_প্রাণ💜
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৬
বিয়ের পর আজ প্রথমবারের মতো ভার্সিটিতে আসলো প্রিয়তা। সামনেই তার পরীক্ষা! কিছু নোট কালক্ট করার দরকার ছিল। এর উপর পরীক্ষার ফি দেবার আজই শেষ দিন। নাহলে আরও সপ্তাহখানেক পর ভার্সিটিতে পা দেবার ইচ্ছা ছিলো তার। বিয়েই কেবল হয়েছে। এতেই নিজেকে কেমন নতুন নতুন লাগছে তার। এমন নতুন লাগার কারণ কি তার জানা নেই। মনে হচ্ছে তার শরীর থেকে কোনো ফুলের সুবাস ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই সুবাস বড়ই তীব্র আর আকর্ষণময়ী! এর কারনেই কি তার বর মশাই বার বার ছুটে আসে তার কাছে!
পরনে সাদা রঙের সালোয়ার কামিজ। শুভ্র রঙ বরাবরই তার পছন্দের রঙ। শুভ্র রঙেই যেন নিজেকে নতুন নতুন মনে হচ্ছে তাঁর। তাকে দেখতেই এক ঝাঁক মানুষ তাকে ঘিরে ধরল। কাছের বন্ধু বলতে প্রিয়তার তেমন কোনো সই নেই। এই দেখাদেখি হলে, কেমন আছো? কি খবর! এসব নেবার মানুষ ছাড়া। তবু আজ সে ভারী অবাক। এতোজন এসে একসাথে ঘিরে ধরবে আগে ভাবেনি। সকলে বলছে বিয়ের কথা। এদের না খাইয়ে সে এখান থেকে যেতে পারবে না। উঁহু কোনোভাবেই না।
বাধবাধ্য হয়ে তাদের নিয়ে গেলো চায়ের দোকানে। আপাতত চা আর সিঙাড়া খাইয়ে শান্ত করা যাবে। এসেছে অনেকক্ষণ হলো। সবাই বর দেখতে চাইছে। প্রিয়তার আচমকা মনে পড়ল, বরের সাথে তার কোনো ছবি আছে নাকি? ছিলো তো! রিসেপশনের। কিন্তু ছবিগুলো যে তার ফোনে নেই। কেউ সেই কথা বিশ্বাস করতে চাইলো না। সকলে ভাবলো প্রিয়তা তাদের সাথে ভান ধরছে।
ফোন বেজে উঠল। প্রিয়তা ফোনের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকালো! আননোন নাম্বার যে। প্রথমে ভাবলো ধরবে না। আবার ধরেও ফেলল। ওপাশ থেকে পুরুষালি কণ্ঠে তার আত্মা অবধি কেঁপে উঠল। পিছন ঘুরে তাকাল তৎক্ষণাৎ!
ছোটখাটো একটা ভিড়ের মধ্যে থেকে প্রান্তিক চৌধুরী খুঁজে পেলো প্রিয়তাকে। বাজপাখির চোখ! ধরা আবার পড়বে না! তীব্র সূর্যের আলোয় সবকিছু চকমক করছে। এর সাথে চকচক করছে প্রান্তিকের পিছনে রাখা গাড়িটা। চোখ থেকে কালো সানগ্লাস নামিয়ে রাখল সে।তীক্ষ্ণ দৃষ্টি প্রিয়তার উপর। চিকচিক করছে প্রান্তিকের মুখখানি। আনমনা বলে উঠলো, – আপনি এখানে?
———-
প্রিয়তার বরতে পেয়ে এখন আর কেউ ছাড়তে চাইছে না। দ্বিতীয় ধাপে এবার খাওয়া দাওয়ার ব্যাপার চলছে। বউয়ের সামনে ভাব নেবার জন্যে প্রান্তিক ও বলে উঠলো, ট্রিট সে দিবে! হট্টগোল হচ্ছে খুব। প্রান্তিকের প্রশংসায় সকলে পঞ্চমুখ। সেই ভালো বর পেয়েছে প্রিয়তা। বাব্বাহ! দেখতে এমন হিরোর মতো! এমন বর পেলি কোথায়? রেডিমেট খুঁজে আনলি কি করে?
এসব কথা শুনে প্রথমবারের মতো বরকে নিয়ে প্রিয়তার অহংকার হতে লাগল। এই প্রথম বরের প্রশংসায় সেও লজ্জিত। কিন্তু ভিড় ঠেলে এক মেয়ে এসে দাঁড়ালো প্রিয়তার পাশে। কানের কাছে চাঁপা স্বরে বলতে লাগলো,
– ও সত্যিই তোমার বর?
– হ্যাঁ!
– ইশ!
– কেনো?
– তোমার মতো এতো ভালো মেয়ের কপালে এমন বর জুটলো!
– মানে?
চোখমুখ কুঁচকে প্রশ্ন শুধালো প্রিয়তা। মেয়েটি তাঁর ব্যাচের। তাকে চিনে সে। মনের মধ্যে উথালপাথাল শুরু হয়ে গেল তাঁর। বর এসে হাতখান ধরতেই চমকে উঠল তরঙ্গের ন্যায়। নজর একটু সরতেই মেয়েটিও আড়াল হয়ে গেল। প্রান্তিক চৌধুরী হাত ছাড়ার পাত্র নয়। বউকে সাথে টানল তাঁর। এতোগুলো লোকের সামনে বাড়াবাড়ি টুকু নাইবা করল প্রিয়তা। নিঃসংকোচে হাঁটতে লাগল দু’জন। অথচ তাঁর মনের মধ্যে ঝড় হাওয়া বইছে। মেয়েটি এমন কেন বলল?
অকপটে প্রশ্ন করল,
– আপনি এখানে কেন?
– শুনলাম তুমি গাড়ি ছাড়াই বেরিয়ে গেছে। তাই নিতে চলে এলাম। আর আমার বউ কোথায় পড়ছে সেটাও তো দেখা দরকার!
– আমায় খুঁজে পেলেন কি করে?
– ভালোবাসার জিনিস খুঁজতে হয় মন দিয়ে, আমিও সেভাবেই খুঁজেছি!
মনের অস্থিরতা কমে আসতে শুরু করেছে। এখন একটু সহজ লাগছে তার কাছে। তবুও কন্ঠে তাঁর রুক্ষতা। বলে উঠলো কেবল,
– হেয়ালিপনা রাখুন তো!
– তো কি? বেহায়াপনা করব!
– সবসময় তো সেটিই করেন।
– বেহায়াপনা বউয়ের সাথে করব না তো কার সাথে করব বউ!
প্রিয়তার দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলিয়ে চোখ টিপ মারল সে। প্রিয়তা হতভম্ব। কাজ শেষে দুজন ফিরছে একসাথে। প্রান্তিক প্রিয়তা পাশাপাশি হাঁটছে। এদিক ওদিক চোখ ঘুরিয়ে বলল,
– বউ শোন, কাল থেকে তুমি বোরকা পরে আসবে বুঝলে। সবাই তোমাকে কেমন দেখছে দেখছো!
প্রিয়তা অন্যদিকে ফিরে জবাব দিল,
– ওরা আমায় না আপনাকে দেখছে।
প্রান্তিক চোখে সানগ্লাস পরে বলল,
– ওহ, ইউ সুড বি প্রাউড, মাই সুইটহার্ট! ইউ নো, ইউর হাসব্যান্ড ইজ কোয়াইট হ্যান্ডসাম!
ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি। অথচ তাঁর প্রিয়তা মুখের উপর বলে উঠলো,
– হ্যাঁ, কলেজে প্রথমবার বাঁদর এসছে। সবাই তাই উঁকি মেরে দেখছে।
কথাটা বেশ অপমানে লাগাল প্রান্তিক চৌধুরীর। থেমেই গেলো সে। প্রিয়তা মুখ টিপে হেসে গাড়িতে উঠে বসল। বরকে ভালোই জব্দ করা গেল!
———
প্রান্তিক চৌধুরীর বিয়ে হয়েছে মোটে সাতদিন। কিছু দিন আগেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছে আরিনা শেখ। কারোর কথা সে শুনছে না। দরজাও খুলছে না। ইজান শিকদার রোজ একবার করে এসে দরজা ধাক্কাচ্ছে। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে। তাঁর ভ‘য় হচ্ছে আবার কিছু না করে বসে রাগে‘র মাথায়।
আরিনার মা রোজ এসে কান্নাকাটি করেন ইজান শিকদারের কাছে। আরিনার বাবা দেশের বাইরে আছেন। বেশ রা‘গী আর একরোখা মানুষ। এতো ঘটনা সাথে ফোনে বলার সাহস তিনি দেখাননি। ইজান শিকদারই এখন তাঁর একমাত্র ভরসা। ছেলেটা ভালো!
আরিনা ঘরের দরজা আজ খোলা দেখে অবাক হলো ইজান শিকদার। অজানা ভ‘য় তাকে আঁকড়ে ধরল। হুড়মুড়িয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকল সে। পুরো ঘর অন্ধকারে ছেয়ে আছে। জানালার পাশে নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে আরিনা। তাঁর ঘরে অন্য কারো উপস্থিতি টের পেলেও ঘুরে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন বোধ করল না। ইজান এসে বসল তার পাশে। নিরবতায় কেটে গেলো বেশ অনেকক্ষণ!
আরিনা কে দেখে বুকের ভেতরটা জ্ব‘লে পুড়ে ছা‘রখার হয়ে যাচ্ছিল তাঁর। তার হাস্যজ্জ্বল মুখ আছে নিমিয়ে। এলোমেলো চুল গুলো খোঁপা বেঁধে রেখেছে অযত্নে। ইজানের ফুটন্ত ফুল যেন নিমিয়ে গেল। নিমিয়ে পড়েছে তাঁর অপার ভালোবাসা। নিষ্প্রাণ দৃষ্টি এদিক ফিরে তাকাচ্ছে না। ইজান শিকদার তার নরম হাত দুখান নিজের আদলে আনল। মূর্তি যেন নড়ে উঠল সামান্য। এদিক ফিরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল সে। কভালোবাসার মায়ায় পড়ে এমন প্রাণোজ্জ্বল, প্রাণবন্ত মেয়েটি আজ এমন করুণ দশা হতে পারে। ইজান দুই হাতে আগলে নিল তাকে। তাঁর চোখের কোণে অশ্রু এসে জমছে।অভিযোগ কেবল নিজের কাছে। কেন যে আগে আসলো না সে। প্রান্তিকের আগে যদি আরিনার জীবনে সে চলে আসতো তাহলে তো আজ এমন হতো। বুকে তীব্র ব্যাথা বোধ হচ্ছে।
আরিনা প্রান্তিকের বিয়েটা কোনোভাবেই যে মেনে নিতে পারছে না। তাঁর বুকভরা ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়েছিলো সে প্রান্তিকের চরণে। সেই ভালোবাসা প্রান্তিক চৌধুরী কতোটা অববয়ে অবহেলা করে আরেকজনের সাথে সুখের সংসার করছে। মেনে নিতে পারছে না আরিনা। কান্না থামিয়ে ফিরে তাকাল ইজানের দিকে। মাথা উঠাল তাঁর বুকের কাছ থেকে। যেখানে লেপ্টে আরিনাকে জড়িয়ে রেখেছিলো সেখানেই তাঁর সমস্ত অনুভূতি লুকানো। টের পেলো না কেউ।
ঠোঁট দুটো কাঁপছে তাঁর। ইজান আরিনার অশ্রু মুছিয়ে দিয়ে আশ্বাস দিল। দৃঢ় কণ্ঠে বলে উঠলো, – তুই চিন্তা করিস না অরু! আমি তোকে বলছি প্রান্তিক সুখী হবে না। আমি তাকে দেবো না সুখী হতে না। যে মরণব্যা‘ধি নিয়ে তুই ভুগছিস প্রান্তিক চৌধুরী ও এই মরণ‘ব্যাধি পাবে! বিশ্বাস কর আমায়!
আরিনা আবারো নেতিয়ে গেল তার বক্ষে। ইজান শিকদার শক্ত করে জড়িয়ে ধরল তাকে!
———-
আলস্য দুপুর! গোসল করবে করবে বলেও উঠতে ইচ্ছে করছে না। শেষে একপ্রকার বাধ্য হয়েই উঠে গেল সে। নাহলে এভাবে আর কতোক্ষন। তাঁর বর মশাই বাড়িতে নেই। একটু আগেই বেরিয়েছে। কি ভাবসাব তাঁর। বেগুনি করে শার্ট পরে তা আবার ইন করে ভাব নিয়ে তাড়াহুড়ো করে চলে গেছে সে। হুঁ! কি ব্যস্ত মানুষ তিনি! তাঁর কথা ভাবতে ভাবতে শাড়ি হাতে ঢুকে পড়ল গোসলখানায়। বালতি গড়িয়ে জল পড়ছে।পরনের কমলা রঙের শাড়িখানা খুলে রাখল আরেক বালতির ভিতর। এগুলো ধুতে হবে। ব্লাউজের হুক গুলো পিঠের কাছে। সেগুলো খুলতে বেশ অসুবিধে হচ্ছে। কেন যে তখন মাথায় ভুত চেপেছিলো এসবের। এতো এতো শাড়ি কিনে জমিয়ে রেখেছে বিয়ের পর পড়বে বলে। এখন এগুলোর গুষ্টি উদ্ধার করতে হচ্ছে তাঁকে।
ভিড়ানো দরজা আচমকা খুলে গেলো। চমকে উঠল প্রিয়তার। বাথরুমের দরজার সাথে ঠেসে দাঁড়িয়ে প্রান্তিক। ঠোঁট তাঁর সেই বাকা হাসি। বাঁকা চাহনিতে প্রিয়তার ফর্সা কোমরের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিপাত করে বলে উঠলো,
– সাহায্য করব?
মাথা ঘুরে গেল প্রিয়তার। এই না তিনি বাইরে গেলেন! তার ভাবনায় তো বেখেয়ালী হয়ে দরজা বন্ধ না করেই গোসলখানায় চলে এসেছে সে। মনে পড়তেই পুরো শরীর জ্ব‘লে উঠলো। বালতি থেকে পানি নিয়ে মুখের উপর ছুড়ে মার‘ল সে। ধপাস করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বলে উঠলো,
– অ‘সভ্য, ই‘তর, নি‘র্লজ্জ লোক একটা!
আধভেজা প্রান্তিক চৌধুরী দরজার এপারে দাঁড়িয়ে গালিগালাজ শুনতে পারছে। আবারো নক করল দরজায়। রাগ তাঁর নাকের গোড়ায়। কর্কশ গলায় খেঁ‘কিয়ে উঠলো,
– কি?
– পুরো তো ভিজিয়েই দিলে।তাহলে একসাথে গোসল সেড়ে ফেলি বউ!
প্রিয়তার বিস্ফোরিত দৃষ্টি ফেলে বলে উঠলো,
– আপনাকে না আমি খু‘ন করে ফেলবো বলে দিলাম।
– তোমায় দেখেই তো আমি আধমরা হয়ে আছি বউ!
– যান তো এখান থেকে!
ঝারি মে‘রে কথাটা বলে মুখের উপর দরজা আটকে দিল প্রিয়তা। এই লোক দিন দিন ধৈর্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।
দরজা খুলে উঁকি মারল প্রিয়তা । প্রান্তিক জামাকাপড় বদলে আবারো এসেছে। এবার বিছানায় বসে পা দুলাচ্ছে। বেরিয়ে এলো সে। হাতের তোয়ালে দিয়ে চুলগুলো বেঁধে বলল,
– আপনি এখনো এখানে?
– পুরোটাই তো আমার বাড়ি!
– কিন্তু এই ঘর আমার!
– ঘর কি বাড়ির বাইরে নাকি?
জবাব দিল না প্রিয়তা। এগিয়ে গিয়ে ড্রেসিন টেবিলের কাছে দাঁড়াল। তোয়ালে দিয়ে চুলগুলো ঝারতে লাগল। প্রান্তিক মুগ্ধ হয়ে দেখছে তাঁর বউকে। তাঁর চোখে মুখে মুগ্ধতা উপচে পড়ছে। চুলের পানি ছিটে আসছে তাঁর মুখের উপর। আজ প্রথম নিজেকে ম্যারিড বলে মনে হলো তাঁর। এই তো বিবাহিতদের জীবন। দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে বউ ভেজা চুল ঝারবে এর থেকে পানি ছিটে এসে পড়বে তার চোখে মুখে। সে বিরক্ত হবে না বরং খুশি হবে। এ যেন কাছে আসার ডাক। সামনের আয়নায় সেই মুগ্ধতা চোখে পড়ল প্রিয়তার।
তাঁর বর তাকে হা হয়ে দেখছে। সব মেয়ে তো এটাই চায়। বর তাদের দেখুক। কেবল তাদের। ভালোলাগা চেপে গিয়ে নিরস গলায় শুধাল,
– কি দেখছেন হা হয়ে?
– তোমাকে?
– দেখার কি আছে? মেয়ে প্রথম দেখছেন বুঝি!
প্রান্তিক হেসে উঠে দাঁড়ালো। এগিয়ে এসে বলল, – বউকে তো প্রথমই দেখছি।
শিরশির করে কেঁপে উঠল প্রিয়তার পুরো দেহ। সে এগিয়ে আসছে। আচমকা শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল প্রিয়তা। পা তাঁর জমে গেছে। বর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। হাত রাখল তার ঘাড়ের কাছে। সেকেন্ডের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে গেল তাঁর। ঢোক গিলছে বারংবার। ব্লাউজের পিছনের হুক টা সযত্নে লাগিয়ে দিল প্রান্তিক। মৃদু হেসে বেরিয়ে গেলো সে। মন ক্ষুন্ন হলো তাঁর। মনে যেন তাঁর অন্যকিছুই ছিল! মনের ভেতর জমিয়ে রাখা এক অচেনা পুরুষের জন্য যে ভালোবাসা জমিয়ে রাখছিল এতোদিন ধরে আজ যেন তার উজার করে বিলিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করত না। ভালোবাসা কি অদ্ভুত! আচমকাই মাথায় জেঁকে বসে। তখন বের করা দুষ্কর হয়ে উঠে!
#চলবে