#প্রিয়_আসক্তি 🔥
তিতলী
পর্ব,,১৩
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
ফুলে মোড়ানো বিছানার মাঝে বসে আছে প্রিয়তা। আর তার আর বিভোরের বাসর রাত। জীবন কোথা থেকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়ে দেয় সেই সমীকরণই মেলাচ্ছে বসে বসে প্রিয়তা। সেই প্রথম থেকে সবটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কিভাবে পড়াশোনার জন্য এখানে আসা। বিভোরের বেইমতেহান ভালোবাসা। কতো ঝড় ঝাপটার পর এই আকাঙ্ক্ষিত রাত। আচ্ছা বিভোর ঘরে আসলে কি করবে সে। সালাম করবে…. না না পায়ে হাত দিয়ে সালাম করা তো গুনাহ, তাহলে মুখে সালাম দিবে। তারপর!! কিভাবে তাকাবে সে বিভোরের দিকে!! ভাবতেই লজ্জায় লাল হয় প্রিয়তার মুখটা।
একটু পরেই দরজা লাগানোর শব্দ পেয়ে কেঁপে ওঠে প্রিয়তা। গলা শুকিয়ে কাঠ কাঠ। আস্তে আস্তে খাটে থেকে নেমে আসে। বিভোরের সামনে গিয়ে আস্তে করে সালাম দেয়। বিভোর সালামের উত্তর দিয়ে সোজা কাবার্ডের কাছে গিয়ে একটা কারো টিশার্ট আর ট্রাউজার নিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে যায়।
প্রিয়তা আবুলের মতো তাকিয়ে আছে বিভোরের দিকে। কি হলো বেপারটা!!! দেখেও দেখলো না। আমাকে!! এই মিসেস প্রিয়তা বিভোর খানকে ইগনোর করলো!!!!
(এমনি এমনি কি রাক্ষস বলি,, গোমড়া মুখো,পাজি, হতচ্ছাড়া)বিড়বিড় করতে থাকে প্রিয়তা।
বিভোর ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে প্রিয়তাকে বিড়বিড় করতে দেখে মুখ টিপে হাসে। তারপর প্রিয়তার সামনে গিয়ে সিরিয়াস মুখে বলে,,
:- এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?? যা ফ্রেশ হয়ে চেঞ্জ করে আয় একসাথে নামাজ পড়বো।
বলে বেলকনির দিকে চলে যায়। প্রিয়তা আস্তে আস্তে আলমারির কাছে গিয়ে সেখান থেকে একটা লাল রঙের সুতি শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়। ২০ মিনিট পর ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে বিভোরকে রুমে না দেখে ব্যালকনিতে যায়।
ব্যালকনির রেলিং ধরে আকাশে চাঁদের দিকে একমনে তাকিয়ে আছে বিভোর। প্রিয়তা আস্তে করে বিভোরের পেছনে গিয়ে দাঁড়ায়। কাঁধে হাত রাখতেই ঘুরে দাঁড়ায় বিভোর। প্রিয়তার দিকে কিছুক্ষণ অপলকে তাকিয়ে আবেশে চোখ বন্ধ করে নেয়। এই দিনটা,, শুধুমাত্র এই দিনটার জন্যই কতো কতো অপেক্ষা করেছে বিভোর।তার মনে,, তার মস্তিষ্কে,তার রন্ধে রন্ধে,,তার ঘরে তার বিছানায় সর্বত্র জুড়ে এই মেয়েটা বিচরণ করবে। প্রিয়তার গায়ের ঘ্রাণ তার শরীরে, ঘরে ,ওয়াশরুমে ,ব্যালকনিতে সর্বত্র মেহেক ছড়াবে।
ফ্রেশ হয়ে প্রিয়তাকে কত স্নিগ্ধ লাগছে। ইচ্ছে করছে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে। নিজেকে সংযত করে বিভোর। বলে,,
:- চল নামাজ আদায় করে নেয় ।
তারপর দুজনে রুমে এসে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে নামাজ আদায় করে। নামাজ থেকে উঠে বিভোর কাভার্ড থেকে একটা ইনভেলাপ আর একটা বক্স বের করে নিয়ে আসে। ইনভেলাপটা প্রিয়তাকে এগিয়ে দিয়ে বলে,,
:- এতে তোর মোহরানার টাকা আছে ।এটা তোর প্রাপ্য তাই বুঝিয়ে দিলাম।
প্রিয়তা অবাক হয়ে বিভোরের দিকে তাকিয়ে বলে,,,
:- এই টাকাগুলো নিয়ে আমি কি করবো??
বিভোর ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে বলে,,
:-প্রিয় তুইতো খুব ভালো করেই জানিস কাবিনের টাকা স্ত্রীর প্রাপ্য থাকে। এটা তোর হক। আর আমার উচিত তোর হক তোকে বুঝিয়ে দেয়া ।এখন তুই এই টাকা নিয়ে কি করবি সেটা তোর ব্যাপার।
তারপর বক্সটা খুলে প্রিয়তার দিকে এগিয়ে দেয়। বলে,,,
:- আর এটা তোর বিয়ের পর প্রথম উপহার। শুনেছি আজকে রাতে স্ত্রীকে কিছু উপহার দিতে হয়।
প্রিয়তা তাকিয়ে দেখে একটা হার্ট শেপের স্টোনের ডায়মন্ডের রিং। অসম্ভব সুন্দর রিংটা। বিভোর রিংটা হাতে নিয়ে প্রিয়তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। প্রিয়তাও হেসে তার এক হাত বিভোরের হাতের ওপরে রাখে। বিভোর প্রিয়তার অনামিকায় আংটিটা পরিয়ে দেয়। তারপর প্রিয়তার কাঁধ ধরে দাঁড় করিয়ে বেশ সময় নিয়ে প্রিয়তার কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দেয়।প্রিয়তা মুখ নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। লজ্জা পাচ্ছে ভীষণ। মনে একটা ভয়ও কাজ করছে। আজ রাতেই যদি বিভোর স্বামীর অধিকার দেখাতে আসে” ভাবতেই থরথর করে কেঁপে ওঠে প্রিয়তা।
হঠাত প্রিয়তার ভাবমূর্তি পরিবর্তনে বিভোর কিছুটা আন্দাজ করতে পারে প্রিয়তার মনে কি চলছে,,,, প্রিয়তাকে আরেকটু ভয় দেখানোর লোভ সামলাতে পারে না বিভোর। হুট করেই বিভোর বলে,,,
:- প্রিয় আমার না ভিষন ইচ্ছে করছে!!
বিভোরের কথায় চমকে ওঠে প্রিয়তা। কি বলতে চাইছে বিভোর!! কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,,
:-ম..মান.. মানে!!ক..কি ইচ্ছে করছে আপনার??
বিভোর মুহুর্তেই প্রিয়তার একদম কাছে এসে দাঁড়ায়। প্রিয়তার মুখের থেকে মাত্র এক ইঞ্চি দূরত্বে অবস্থান করছে বিভোরের মুখ। একের পর এক গরম নিঃশ্বাস আছড়ে পড়ছে প্রিয়তার চোখে মুখে। চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে নেয় প্রিয়তা। একহাতে শাড়ি খামচে ধরে।
বিভোর আরেকটু ঘোর লাগা গলায় বলে,,
:- আসলে,,আমার,,,
:- হুম,,কি!!
:-ভিষন ইচ্ছে করছে!!
:-ক,,কি??
:-ভিষন ইচ্ছে করছে,,,এক কাপ কফি খেতে। প্লিজ আজকের রাতে তোকে রান্না ঘরে যেতে বলছি বলে রাগ করিস না। এক কাপ কফি করে নিয়ে আয় প্লিজ। সারাদিনের ধকলে মাথাটা জ্যাম হয়ে আছে,,,,
বিভোরের কথায় চোখ খুলে তাকায় প্রিয়তা। আহাম্মকের মতো বিভোরের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
(এটা কি ছিল??কি ভাবলো আর কি হলো!!)
:- এ্যা,,,কফি!!!
:- হ্যাঁ কফি!!! কেন তুই কি ভাবলি??
:- ন…না কিছু না!! আমি কফি নিয়ে আসছি।
বলেই প্রিয়তা একরকম হড়বড় করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। প্রিয়তা বেরিয়ে যেতেই বিভোর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লো বিছানায় ।বালিশে মুখ গুজে দিয়ে খিকঃখিক করে হেসে উঠলো!!
বেশ দিয়েছে প্রিয়তাকে!!! বেচারি কি ভয় তাই না পেয়েছিলো!! এক বুক সুখ নিয়ে হাসতে থাকে বিভোর!!
কিছুক্ষণ পর প্রিয়তা কফি নিয়ে রুমে আসে। বিভোরকে রুমে কোথাও দেখতে না পেয়ে বেডের পাশে টি টেবিলের উপরে কফির মগটা রাখে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে বিভোর কোথায় গেলো। ব্যালকনিতে গিয়ে দেখে ব্যালকনি অন্ধকার হয়ে আছে !!
প্রিয়তা আস্তে করে বিভোরকে ডাকে।
:-বিভোর ভাইয়া,,কোথায় আপনি!!বিভ..
আবার ডাকতে নিলেই আচমকা বিভোর পেছন থেকে চোখে হাত রাখে । একহাতে চোখ চেপে ধরে আরেক হাতে প্রিয়তাকে জড়িয়ে কাছে টেনে নেয়। প্রিয়তার পাঠ বিভোরের বুকের সাথে লেগে আছে। হার্টের গতি দ্রুত হয় প্রিয়তার। বিভোর প্রিয়তার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে,,
:- there is a surprise for you prio….!!
প্রিয়তার চোখ ধরে বেলকনিতে নিয়ে আসে বিভোর।তারপর হালকা বেগুনি রঙের ডিম লাইট জ্বালিয়ে দেয়।চোখ খুলে দিতেই প্রিয়তা সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে বেলকনি টা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আর মাঝখানে একটি ঝুলন্ত দোলনা। সেটা ছোট ছোট ফেইরি লাইট দিয়ে সুন্দর করে ডেকোরেট করা। এটা দেখেই প্রিয়তার খুশি যেনো উপচে পড়ে,,,,সে অনেকদিন বিভোরকে বলতো যে ছাদে একটা দোলনা লাগিয়ে দিতে। কোন কারনে বিভোর সেটা দিতে রাজি হয়নি তখন। ওর দোলনার শখটি যে বিভোর এইভাবে পূরন করবে ভাবতেই পারেনি প্রিয়তা। খুশিতে আত্মহারা হয়ে বিভোরকে জড়িয়ে ধরে লাফাতে থাকে প্রিয়তা,,,
:- থ্যাংক ইউ… থ্যাংক ইউ …থ্যাংক ইউ সো মাচ!!!
ব্যাস,, প্রিয়তার এই খুশি টুকুই তো চেয়েছিলো বিভোর। কিন্তু আচমকা প্রিয়তার জড়িয়ে ধরাতে ফ্রিজড হয়ে গেছে বিভোর। অন্যরকম সব অনুভূতিরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ঢোক গিলে নিজেকে ধাতস্থ করে বিভোর।
প্রিয়তাকে নিয়ে গিয়ে দোলনায় বসিয়ে দেয়। তারপর নিজেও পাশে বসে। প্রিয়তাকে টেনে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। প্রিয়তাও নিজেকে বিভোরের থেকে আলাদা করে না,,বিভোর এখন তার স্বামী। তার কাছে নিজেকে আড়াল করার কিছু নেই!! শুধু উজাড় করে ভালবাসতে হবে!!
:-বিভোর ভাইয়া দেখেন আজ আকাশের চাঁদ টা কতো সুন্দর লাগছে 😍
বিভোর চাঁদের দিকে না তাকিয়ে প্রিয়তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে,,,
:-আরে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেনো?? চাঁদের দিকে দেখেন।
:- তুই আমাকে কি বলে ডাকলি??
:- কেনো বিভোর ভাই..…বলেই থেমে যায় প্রিয়তা। ওর তো খেয়ালই নেই বিভোর আর এখন তার বিভোর ভাইয়া নেই,,সে এখন তার স্বামী।
:- আসলে এতো দিনের অভ্যাস তো!! ঠিক হয়ে যাবে।
:- তাইনা ম্যাডাম,,,,আমি যে আপনার হাসবেন্ড সেটা ফিল হচ্ছে না বুঝি!!! তাহলে তো সেটা যেনো মনে থাকে তার একটা বেবস্থা করতে হয়!!!
:- কি,,কি বেবস্থা!!
:- এইযে এই বেবস্থা!!
বলেই প্রিয়তার ঠোঁট আঁকড়ে ধরে নিজের দখলে নিয়ে নেয় বিভোর। একহাতে প্রিয়তার কোমরে বিচরণ করছে,,, আরেক হাতে সম্পুর্ন আবদ্ধ প্রিয়তা। বিভোরের ভালোবাসায় নিজেকে বিলীন করে সে। চোখ বন্ধ করে কুড়াতে থাকে তার ভালোবাসার মানুষটির বৈধ স্পর্শের অনুভূতি গুলো।
(আর কইতাম না🥱🥱🥱
এতো পরের বাসরঘরে আড়ই পাতা ভালো না)🤭🤭
_________
এদিকে রিয়াকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে আবির। বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে রিয়ার হাতে ল্যাগেজ টা দিয়ে তালা খুলে আবির।ভেতরে প্রবেশ করে রিয়াকে বলে ওখানে দাঁড়াতে।
রিয়া ঠিক বুঝতে পারে না আবির কি করতে চাইছে!! নিজেকেও খুব ক্লান্ত লাগছে!! হুট করে ঘটে যাওয়া পরিণয়টা ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না!! আবিরের সাথে তার এমন সম্পর্ক কখনো গড়ে ওঠেনি যে আকস্মিক হওয়া সম্পর্কে সে কম্ফোর্টেবল হবে। তবে আবিরের ব্যবহারে খানিকটা স্বস্তি মিলেছে এ কথা ঠিক। কিছুক্ষণ পরে আবির ড্রয়িং রুমের লাইট জ্বালিয়ে হাতে একটি ডালা নিয়ে এগিয়ে আসে।
রিয়া ভ্রু কুঁচক তাকিয়ে থাকে!! বুঝতে চাইছে কি করতে চাই আবির ।
আবির টুকরি থেকে এক মুঠো গোলাপের পাপড়ি দরজার সামনে ছড়িয়ে দেয়। তারপর হাত বাড়িয়ে দেয় রিয়ার দিকে। বলে,,,
:- ওয়েলকাম মাই হোম ওয়াইফি,,,🥰
মুখের সামান্য হাসলেও মনে মনে প্রচন্ড খুশি হয় রিয়া। আবিরের মুখে ওয়াইফি ডাক শুনে ভেতরে একটা আলাদা শিহরণ জেগে ওঠে। হাত বাড়িয়ে আবিরের হাতের উপরে হাত রাখে রিয়া। আবির আস্তে আস্তে রিয়াকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। গেট লাগিয়ে দিয়ে রিয়াকে নিয়ে বেডরুমে যায় ।
রিয়া চারদিকে তাকিয়ে দেখতে থাকে অসম্ভব সুন্দর করে গোছানো ফিটফাট একটা বেডরুম। ডঃ সাহেবের রুচি আছে বলতে হবে!! ফ্ল্যাট টা কোথাও অগোছালো দেখেনি সে।একা থাকলেও বেশ রুচি সম্মতভাবে সাজিয়েছে সবকিছু। আবির মাথা চুলকে আমতা আমতা করে বলে,,,
:-ইয়ে মানে,,, রিয়া টিয়া আসলে হয়েছে কি!! এভাবে হুট করে যে সবকিছু হবে সেটা তো বুঝতে পারিনি। রাতে খাবারের জন্য কোন ব্যবস্থা করা নেই। তুমি এক কাজ করো ,ওয়াশরুম ওইদিকে, ফ্রেশ হয়ে নাও। ততক্ষণে আমি কিছু একটা খাবারের ব্যবস্থা করে ফেলছি। আই হোপ আমি এতটাও খারাপ রান্না করি না😁😁
রিয়াও হালকা হেসে মাথা নাড়ায়।রিয়া ল্যাগেজ থেকে একটা থ্রি পিস বের করে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়।
প্রায় চল্লিশ মিনিট পর শাওয়ার নিয়ে বের হয় রিয়া। রিয়া বের হয়ে দেখে আবির খাবার এনে বিছানার উপর রাখছে।
রিয়া বের হতেই খাবারের প্লেটটা রেখে রিয়ার দিকে তাকায় আবির।রিয়াকে দেখে যেন থমকে যায় আবিরের দুচোখ। রিয়ার চোখে মুখে এখনো পানির ফোঁটা লেগে আছে।সেগুলো বিদ্যুতের আলোয় চিক চিক করছে। রিয়ার মাথায় বড় লম্বা চুল!! এতদিন বেনুনি করা দেখলেও এই মুহূর্তে ভেজা চুলগুলো ছেড়ে রেখেছে রিয়া।তা থেকে টুপটুপ করে পানি ঝরে পড়ছে।চোখের পাপড়ি তে পানি লিপ্টে আছে। একটা আকাশী রঙের জামা পড়ে আছে রিয়া। চোখ ফেরাতে পারে না আবির। ঘোরের মাঝে আছে যেনো সে। এক পা এক পা করে রিয়ার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় আবির।
রিয়া চোখ মেলে আবিরের দিকে তাকায়। কেমন ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে আছে দেখেই রিয়ার সারা শরীরে শিহরণ বয়ে যায়। ভাবে,, (এভাবে এগিয়ে আসছে কেন ডাক্তার সাহেব)
আবির রিয়ার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কোমরে হাত রেখে এক টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। রিয়া সামলাতে না পেরে দু’হাতে আবিরের বুকের উপরে শার্ট খামচে ধরে। আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে আটকে যাই রিয়াও। আবিরের মুখ আস্তে আস্তে নেমে আসছে। চোখ বন্ধ করে নেয় রিয়া।
আবির আস্তে করে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় রিয়ার মিষ্টি ঠোঁটে।
আলতো ছোঁয়ায় শুষে নিতে থাকে রিয়ার ঠোঁটের স্বাদ।
বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রিয়াকে।
আশ্চর্যজনক ভাবে রিয়ার একটুও খারাপ লাগছে না। বরং অন্যরকম এক ভালোলাগায় ছেয়ে যাচ্ছে মন।এটাকেই হয়তো বৈধ সম্পর্কের জোর বলে। মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেও যার সাথে সাপে নেউলের মতো সম্পর্ক ছিলো। সে আদতে এখন তার স্বামী। হ্যাঁ আশ্চর্য হলেও এটাই সত্যি!!
To be continue,,,,,,,